ঢ্যামকুড়কুড় ঢ্যামকুড়কুড় ঢ্যামকুড়কুড়...
ক্যাথারিনের ল্যাপটপ বেজে চলেছিল। ঘরের আলোটা দিনের বলে কৌণিক দেখতে হচ্ছে স্ক্রীন। কৌণিক কত কিছুই দেখার! স্ক্রীণের দেওয়াল পেরিয়েই ক্যাথারিনের ঝুলকো বুকগুলো। সাদা মেয়ের বুকের উপরের অংশটা বাদামী, নিচের ব্রা খিল দেওয়া অংশটা সাদা, যেটা এখন দেখা যাচ্ছে। ঢাক বাজছে থেকে বুক বাজছে থেকে ক্যাথির বুক বাজাবে অনিন্দ্য অব্দি গিয়ে বাক্যটা তুরীয় দশা প্রাপ্ত হয়। তখন বাক্যটাকে ভেঙে নিতে হয় ছাতের মতোন। ছোট ছোট হাতুড়ির ঘায়ে বারান্দার উপরের ছাতটা না ভাঙলে ফ্ল্যাটের ... ...
।। রেল যাবে,সভ্যতা যাবে বুকের উপর দিয়ে ।।
দখলদারের সভ্যতা মানে গতি।মানে তুঙ্গ শক্তিমত্ততা। ইঁটের মাপ, দাঁতের ডাক্তারি, ওজন এবং স্থাপত্যের আশ্চর্য্য জ্যামিতি ছাপিয়ে সে চলে যায়। তার সময় নেই। তাকে একজীবনে অনেক কিছু করতে হবে, পেতে হবে। কে পরে থাকছে, কে অক্ষম, কে দুর্বল, কে সঙ্গ ছেড়ে দিল সে সব নিয়ে তার মাথা ঘামাবার সময় কই? সে জানে শুধু তাকে পেতে হবে। দেবার কথা নিয়ে মাথা সে ঘামাতে রাজী না। পেতে গেলে যে সামান্য দিতে হয় তাতেও তার কুন্ঠা, তার হিসেব, তার কার্পণ্য। কাজেই উইলিয়াম ভাবছিল নেটিভের সাহ ... ...
।। গণতন্ত্র,জন মার্শাল,সিন্ধু সভ্যতা আর ক্লাইভ ।।
এই বঙ্গ যা ক্লাইভ ধীরে ধীরে গ্রাসে নেবে সেট নবাবের ভোগ দখলের রাজত্ব। এ অভিজাতদের মৃগয়াক্ষেত্র। মীরমদন বা মদনলাল হল শুধু বিশ্বস্ত যোদ্ধা এবং সন্মানজ্ঞান সম্পণ্ণ মানুষ। মীর জাফর নিজের রাজত্ব চেয়েছিল মাত্র। সেটা বাকী ভারতবর্ষে কি অস্বাভাবিক ঘটনা? দক্ষিণ থেকে উত্তরে, মুঘল থেকে মারাঠা সকলেই বিভিন্ন ইউরোপীয় শক্তির সাহায্য নিচ্ছে। এককালে যেমন তুর্কী থেকে আফগান বিভিন্ন যোদ্ধাদের সাহায্য নিত সকলে। ব্যবসায়ীরা ধন সম্পদ বানিয়েছে ভোগ করবে ... ...
।। ধ্বংস থেকেই নতুন জন্মায় ।।
সেই কবে কার্ল মার্ক্স ব্রিটিশদের ভারতে উপনিবেশ করা নিয়ে কত কথা বলে গ্যাছেন। সেই ১৮৫৩ সালে।
“How came it that English supremacy was established in India? The paramount power of the Great Mogul was broken by the Mogul Viceroys. The power of the Viceroys was broken by the Mahrattas. The power of the Mahrattas was broken by the Afghans, and while all were struggling against all, the Briton rushed in and was enabled to subdue them all. A coun ... ...
।। জয়ই একমাত্র গুণ ।।
জিতেছিলেন সিজার। কিন্তু সেই জেতার পিছনে ছিল পরাজিত না হওয়ার ইচ্ছে। লড়াইটাকে সিজার ভাগ করেছিলেন দু-ভাগে। একভাগে ছিল ব্রিটনদের সম্পূর্ণ পরাজিত করে দখলে রাখার ভাবনা, অন্য ভাগে ছিল কৌশলের জয়। প্রথমটা সিজার খারিজ করেছিলেন প্রথমবারই। কারণ এই দেশটাতে আছে বলতে শুধু টিন। সোনা হলে কথা ছিল কিছু। কিন্তু সোনা না হলে সিজারের আলাদা করে কিছু এসে যাবেনা। তিনি ব্রিটেন না, রোম নিয়ে চিন্তিত। সমস্ত রাস্তা পৃথিবীর যাচ্ছে রোমের দিকে, আর তিনি সেই রাস্তায় হাঁটতে পারছেন না। কোনো ম ... ...
।।সভ্যতা মানেই রোম।।
খ্রীষ্ট জন্মাতে তখনো দেরী ৫৪ বছর। জুলিয়াস সিজারের জাহাজ থামল ব্রিটেনের উপকূলে। ব্রিটেন দেশটি রহস্যময়। এখানে সৌভাগ্য না এলে রোমে তার ফেরা মুশকিল, আর রোমে ফিরতে না পারলে তার এই নাম-খ্যাতি এসব মূল্যহীন। কবে কোন বাহিনী তাকে ‘ইম্পারেটার’ বা কম্যান্ডার বলে স্বতস্ফূর্ত খেতাব দিয়েছে এ সবে সিজারের চলবে না। এদিকে রোমে সিজারের অবস্থা কঠিন। প্রচুর ঋণ, প্রচুর শত্রু, প্রচুর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। একটার পর একটা নির্বাচন জিততে অনেক অনেক টাকা লেগেছে। রোমান তেলেন্ত-এর ভার জমে ... ...
ভূমিকা
বেশ ক'বছর আগে চেষ্টা করছিলাম উপন্যাস নিয়ে একটু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে। একটি শারদীয়ায় প্রকাশিত হয়েছিল তখন। বই করার কথা ছিল তাঁদের। সে সামর্থ্য নানা কারণে তাঁদের না থাকায় বই-এর চেহারা আর পায়নি। গুরুর তৃতীয় তরঙ্গ দেখে মনে হল একবার ঝালিয়ে নিই স্মৃতি। সুধীদের মতামতে সমৃদ্ধ হই। পূজো আবার আসছে। এখানের বন্ধুদের পড়া নয় সে জানি। তাই ভরসা করে দিয়ে দিলাম। অন্তত পুরোনো কাসুন্দি ঘাঁটছি বলে গাল খাবো না। ধারাবাহিক করেই দিচ্ছি। ... ...