আউটলুকের প্রাক্তন এডিটর, কৃষ্ণ প্রসাদ গতকাল (সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৭) একটি লেখা শেয়ার করেছেন ফেসবুকে। তাঁর অনুমতি নিয়ে আমি লেখাটার বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করলাম। বন্ধু বোধিসত্ত্ব মাইতিকে বিশেষ ধন্যবাদ, অনুমতি জোগাড় করে দেবার জন্য। গৌরী লঙ্কেশ খুব নিয়মিত ফোন করতেন না। কিন্তু যেদিন করতেন, বেশ রাতের দিকে করতেন আর সহজে ছাড়তেন না ... ...
আরাস্তু জাকিয়া বর্তমানে দিল্লি নিবাসী। একটি স্টার্ট-আপ সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা। সম্প্রতি ফেসবুকে তিনি শেয়ার করেছিলেন তাঁর জীবনের গল্প। আহমেদাবাদে একজন মুসলমান হিসেবে বড় হয়ে ওঠার গল্প, প্রথমে ১৯৯২, তার পরে ২০০২এর দাঙ্গা নিজের চোখে দেখার গল্প। তাঁর অনুমতিক্রমে, আমি লেখাটির বাংলা অনুবাদ তুলে দিলাম আমার ব্লগে ... ...
মহাগুণ মডার্ণ নামক হাউসিং সোসাইটির একজন বাসিন্দা আমিও হতে পারতাম। দু হাজার দশ সালের শেষদিকে প্রথম যখন এই হাউসিংটির বিজ্ঞাপন কাগজে বেরোয়, দাম, লোকেশন ইত্যাদি বিবেচনা করে আমরাও এতে ইনভেস্ট করি, এবং একটি সাড়ে চোদ্দশো স্কোয়্যার ফুটের ফ্ল্যাট বুক করি। এবড়োখেবড়ো জমির মধ্যে একেবারে কিছু-নেই অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে মাথা তুলতে আমি দেখেছি। নিয়মিত যেতাম উইকেন্ডে। ধূলো-রাবিশ আর মেশিনপত্তরের মধ্যে থেকে ধীরে ধীরে মাথা তুলে দাঁড়ালো একের পর এক কুড়ি তলা, চব্বিশ তলা টাওয়ার। অসমান জমিতে চকচকে টাইল আনল সমান ভাব। মহাগ
... ...দিল্লি ইউনিভার্সিটির শান্তিকামী ছাত্রী গুরমেহর কৌরের ওপর কুৎসিত অনলাইন আক্রমণ চালিয়েছিল বিজেপি এবং এবিভিপির পয়সা দিয়ে পোষা ট্রোলের দল। উপর্যুপরি আঘাতের অভিঘাত সইতে না পেরে গুরমেহর চলে গিয়েছিল সবার চোখের আড়ালে, কিছুদিনের জন্য। আস্তে আস্তে সে স্বাভাবিক জীবনের ছন্দে ফিরছে। সম্প্রতি সে একটি ব্লগ শুরু করেছে – বলেছে প্রতি সপ্তাহে সে সেখানে লিখবে তার নিজের কথা, তার শান্তির সন্ধানে অভিযানের কথা।
গুরমেহরের অনুমতিক্রমে তার প্রতিটি ব্লগ-পোস্টের বাংলা অনুবাদ থাকবে এবার থেকে, আমার ব্লগে। ভাবনাগুলো ... ...
গল্পটা ঠিক গুরমেহরকে নিয়ে শুরু হয় নি। শুরু হয়েছে তার দুদিন আগে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রামজাস কলেজে দুদিনব্যাপী ডিবেটের অনুষ্ঠান ছিল, বিষয় ছিল প্রতিবাদের সংস্কৃতি। তো, সেই ডিবেটের দ্বিতীয় দিনে আমন্ত্রিত বক্তা ছিলেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ স্কলার, উমর খালিদ।
এই অবধি পড়েই নিশ্চয়ই আন্দাজ করে নিয়েছেন কেন অচল সিকি আবার এক বছর বাদে বসে গেছে মন কি বাত লিখতে? বিচ্ছিন্নতাবাদী, রাষ্ট্রবিরোধী, আফজল গুরুর সমর্থক, “ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে” বলে স্লোগান দেওয়া “ভামপন্থী” উমর খালিদকে সেদিন ... ...
অস্বীকার করবার প্রায় কোনও জায়গাই নেই যে ছোটবেলায় আমাদের অনেকেই প্রায় নিয়ার-পারফেক্ট শুদ্ধাচারী ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতিতে বড় হয়েছিলাম। হিন্দি গান শোনা ছিল মহাপাপ, গাওয়া তো উচ্ছন্নে যাওয়ার স্পষ্ট লক্ষণ ছিল। ছোটখাটো বিচ্যুতি, এই যেমন অনুপ জালোটা, মান্না দে এটুকু বাদ দিলে বাংলাময় ছিল আমাদের জীবন। পাড়া কালচারে বড় হয়েছি আমরা। গ্রাম নয়, আবার পুরোদস্তুর শহরও নয়, মফস্বল সংস্কৃতিতে কাজ করত পাড়া-কালচার। শুভানুধ্যায়ী কাকু-জেঠিমা-মোড়ের সিগারেটের দোকানের স্বপনদা, এঁদের স্নেহদৃষ্টির ছায়াতেই আমরা বড় হয়েছি। প্রায়শই ... ...
অনুষ্ঠানের পরের দিনই লেখা শুরু করেছিলাম, তার পরে আর শেষ করি নি। আজ শ্রীশ্রী রবিশংকর পদ্ম সম্মানে ভূষিত হয়েছেন, তাঁর সম্মানে আজ লেখাটা শেষ করেই ফেললাম। জয় গুরুদেব :)
অরূপ, বয়সে একটু বড় হলেও, স্কুলে আমার সহপাঠী ছিল। ব্যান্ডেল সেন্ট জনস। ভালো গান করত, হারমোনিয়াম বাজাত, ফলে স্কুলের প্রেয়ারে ও সামনের রো-তে দাঁড়াত। আমিও দাঁড়াতাম, কারণ আমি তবলাটা বাজাতাম। আমাদের মিশনারি স্কুলে প্রতিদিন হারমোনিয়াম তবলা সহযোগে দুটি করে গান হত। জনগণমন আর হে প্রভু, হে দয়াময়। দ্বিতীয় গানটা বুকের কাছে হাত জোড় করে গা ... ...
মূল লেখাটি এনডিটিভি ইন্ডিয়ার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ এডিটর শ্রী রবিশ কুমারের, এনডিটিভি সাইটে একুশে ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত। রবিশজির অনুমতিক্রমে তার বঙ্গানুবাদটা এখানে দিলাম সকলের পড়ার জন্য। কটা বাজছিল, আমার মনে নেই। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মিছিল থেকে আমি ফিরে এসেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। কত টাইমজোন, কত দেশ-দেশান্তরের ঘুম আমার চোখে এসে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। নিচে একটা চেঁচামেচির শব্দ শুনে আমার ঘুম ভাঙল। ঘুমচোখে শব্দগুলো শুনে মনে হচ্ছিল, সেগুলোও যেন অন্য কোনও ... ...
(এই লেখার মূল অডিয়েন্স গুরুর জনতা নয়, মূলত গুরুর বাইরের জনতাকে উদ্দেশ্য করেই লেখা। ব্লগের লেখা, এখানেও তুলে দিলাম। বিশেষ ধন্যবাদ রৌহিনকে, আর শাক্যজিৎকে)
(১)
লেখা শুরু করার আগে ডিসক্লেইমার দিয়ে রাখা ভালো, যা দিনকাল চলছে। কে কখন কোথা থেকে সিডিশন চার্জ ফার্জ লাগিয়ে দেবে, জানা তো নেই, দিল্লি ঘেঁষে বাস করি, বহুকালের চেনাশনা বন্ধুরাও আজকে কেমন কিছু ইস্যুতে পোলস অ্যাপার্ট হয়ে যাচ্ছে, ঘরের দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে বসে আছি – আর পিছু হঠবারও জায়গা নেই। পাকিস্তানে যাবার হুমকি বেশ কয়েকবার পে ... ...
হ্যাঁ, মিছিল হাঁটার গপ্পো। আমি তো চিরদিনই রাজনীতি থেকে দূরে থাকা পাবলিক, মিছিলে কখনও হাঁটি নি, স্লোগানও দিই নি, তাই কে ভাই কে দুশমন - জানাটাও হয়ে ওঠে নি সময়মতো। যদিও সমসাময়িক রাজনীতির খবরাখবর ঠিকই রাখি-টাখি, এবং নিজের মত করে তার একটা ইন্টারপ্রিটেশনও করে থাকি।
তো, সেই ইন্টারপ্রিটেশন আমাকে জোর করে ঠেলে দিল কালকের মিছিলে, জেএনইউ সলিডারিটি মার্চ।
কবিতা কৃষ্ণণ জানিয়েছিলেন দুপুর দুটোয় জমায়েত, আর আড়াইটেয় মিছিল শুরু হবে। আমি সেইমত সাড়ে বারোটার সময় বেরিয়ে পড়লাম বাড়ি থেকে। যে হেতু মিছি ... ...