র্যাগিং একটি সম্মিলিত অন্যায় তো বটেই, অনেকগুলো কারণের সম্মিলিত প্রভাবও বটে। আমি মনে করি র্যাগিং বৃহত্তর অর্থে একরকম ধর্ষণ; প্রত্যেক মানুষের মনে একজন র্যাগার, একজন ধর্ষক থাকেই, যে আসলে ক্ষমতাহীনের ওপর নিজের ক্ষমতা দেখাতে চায়, যা খুশি করতে, করাতে, দেখতে চায়। স্বাভাবিক অবস্থায় মানুষ নিজের এই সত্ত্বাকে নিয়ন্ত্রণ করে কিন্তু অনুকুল পরিবেশে এই সত্ত্বা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। কাছাকাছি বয়সের কিছু ছেলে একসঙ্গে হলে এবং জুনিয়ররা ... ...
অন্ধ হলে যে প্রলয় বন্ধ হয় না সে কথা হাড়ে হাড়ে জেনেও যেসব বিষয়ে আমরা অন্ধ হয়ে থাকি তার একটা হল র্যাগিং। একসময় প্রত্যেক শিক্ষাবর্ষের শুরুতে এই শব্দটা খবরের কাগজের পাতায় উঠে আসত। আই আই টি থেকে শুরু করে প্রায় অখ্যাত কলেজ, র্যাগিং-এর সূত্রে খবর হয়ে উঠত কমবেশি সবাই। কিছু অভিযোগ, ব্যবস্থা নেওয়া, শাস্তিবিধান, তারপর চুপচাপ। শিক্ষাবর্ষ এগোবার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক নয়মে র্যাগিং এর প্রকোপ কমে যায়, অন্য সবকিছুও থিতিয়ে ... ...
বলছিলাম কি সমস্যাটা আসলে হল ‘খাপ’-খোলা নিয়ে। সে বিষয়টা মেরুণা মূর্মূ, স্বপ্নময় চক্রবর্তী বা পারমিতা ঘোষ (হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিকই দেখছেন, পারমিতা ঘোষের কথাই বলছি) যিনিই হোন না কেন, কলের মুখে ছিপি লাগানোটা সবচেয়ে আগে দরকার। ‘যাহা খুশি বলিবার অধিকার’ ছাড়াও এ গণতন্ত্র লইয়া বহু কিছু করিবার আছে, কঙ্গনা রানাউত ছাড়াও বহু রোল মডেল আছে। তাই ফেসবুক নামক একটি ‘অসংরক্ষিত’ দেওয়াল পেয়েছেন বলেই যা মনে আছে ঝেড়ে দিলেন, এটা ঠিক হচ্ছে না ভাই !না না আমি মোটেই সংরক্ষণ নিয়ে বলছি না। সেটা নিয়ে বলতে গেলে তো থোঁতা মুখ ভোঁতা হয়ে যেত। ডাক্তারীর যে সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা বা ‘নীট’ (NEET) এই বছর তার ... ...