“আমার শেষ বাণী-আদর্শ ও একতা।”জেল থেকে এ কথা বলেছিলেন সূর্য সেন। আমি কোনো বীর সন্ন্যাসীর বীরত্বের কথা শুনিনি। কিন্তু বীর শহীদের বীরত্বের ইতিহাস পড়েছি। যাঁদের নিয়ে গান বা কবিতার সংখ্যা খুবই কম! বীর শহীদের বীরত্ব সংবাদে দেখেছি। শহীদ হলেন ফাদার স্ট্যানিস্লাস স্বামী। এই তো কয়েক মাস আগে পর্যন্ত— কতজন কৃষক শহীদ হয়েছেন তার কোনো হিসেব রেখেছেন কেউ? ... ...
স্কুল যাওয়ার সময় খড় বাঁধা থেকে শুরু করে দেখতে পেতাম। কিংবা বাইরে বেরুলেই দেখতাম পুজোর মাস দেড়-দুই আগে থেকে— একমেটে, দু’মেটে...। বাড়ির পাশেই বারোয়ারী দুর্গাদালান। অথচ কখন যেন মৃৎশিল্পীরা খড়ি মাখিয়ে চলে যেতেন! তারপর থেকে রোজ অপেক্ষা করে থাকতাম কবে রং করতে আসবেন। রং এর দিন থেকে শুরু হতো আমাদের হৈ চৈ খেলা। সেদিন থেকে শুরু করে আমরা পাড়ার ছোটরা সবাই সারাক্ষণ দুর্গাদালানেই হৈ চৈ করতাম। শুধু পাড়াই নয়, গ্রামে একটাই পুজো। বড়োরাও থাকতেন। আমরা ছোটরা কত রকম নতুন নতুন খেলা আবিস্কার করে খেলতাম। কখনো কখনো পাড়ার বড়োদের বকাও খেতাম। রং করা থেকে শুরু করে মূর্তি সাজানো দেখা, সে এক অন্য রকম ... ...
২৬শে সেপ্টেম্বর। দিনটা শিক্ষক দিবস নয়। বিদ্যাসাগরের জন্মদিন। সেই উপলক্ষে এই দিনটা কোন দিবস হিসাবে মর্যাদা পায়নি আজও! সেই সময় শুধুমাত্র ব্রাহ্মণ বৈদ্যরাই সংস্কৃত কলেজে পড়ার সুযোগ পেতেন। সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর বিদ্যাসাগর অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার সাধন করেছিলেন। তিনি সেকেলে রীতিনীতি পাল্টে দিয়ে নতুন রীতিনীতির সূচনা করেছিলেন। সর্বসাধারণের জন্য সংস্কৃত কলেজে অধ্যয়নের সুযোগ তিনিই করে দেন। ইতিহাসের পাতা যতই অদলবদল হোক না কেন আজ পর্যন্ত কোনো সন্ন্যাসী শুধু বাংলার কেন সমগ্র ভারতবর্ষ উপমহাদেশ বা সমগ্র পৃথিবীর কোত্থাও কোনো নবজাগরণের ছিটেফোঁটাও আনতে পারেননি। যে ঈশ্বর এনেছিলেন তাঁর পুজো আমরা করি না। আমরা অলৌকিকের পিছনে দৌড়ে নিজেকে বাস্তববাদী প্রমান করার চালাকি ... ...
আমি উর্দু বা হিন্দির কোনোটাই তেমন জানি না। বা জানিই না। কিন্তু উর্দু গান শুনতে বা মির্জা গালিবের কবিতা গান শুনতে ভালোই লাগে। মানে না বুঝলেও শুনতে ভালো লাগে। সুরের জন্য ভাল্লাগে। আর একটু বলতে পারি, উর্দু ভাষার গানে যে মিষ্টতা আছে সেই মিষ্টতা হিন্দিভাষায় মোটেও পাই না। এটা আমি শুনে বলছি। যাঁরা শুনেছেন তাঁরা হয়তো বুঝতে পারবেন। বাংলা আমার মাতৃভাষা আমার পিতৃভাষা। আমার এই নিজস্ব ভাষাটি সবচেয়ে শ্রুতিমধুর। এটা শুধু আমার কথা না, ইউনেস্কো স্বীকৃত শ্রতিমধুর ভাষা বাংলা। যে ভাষা শুনতে এবং বলতে আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। ভারতবর্ষ উপমহাদেশে হিন্দি নামে কোনও ভাষাই ছিল না। শুধু ভারতবর্ষে কেন সারা ... ...
২৫শে বৈশাখ এবং ২২শে শ্রাবণ কি মনে রাখেন ৮ই অক্টোবর কিংবা ৬ই সেপ্টেম্বরের কথা? আলাউদ্দিন খাঁ। যাঁর হাতে তৈরি হয়েছিলেন অগণিত সংগীতশিল্পী। আমি ২৫শে বৈশাখ বা ২২শে শ্রাবণকে একেবারেই ভুলতে বলছি না। বরং মনে রেখেই বলছি– ২২শে শ্রাবণ একটা মিথ্যে দিন, কারণ রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু হয়নি। বরং রবীন্দ্রনাথ প্রতিনিয়ত সমাজের হাতে খুন হন। আজকের সমাজ তো রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টির থেকে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বড়ো দুঃশ্চিন্তা করেন। তাঁর বৌদিকে নিয়ে বেশি ভাবেন। তাঁর রচনাগুলো ক’জন পড়েন? রবীন্দ্রনাথের বৌদিকে নিয়ে কে কি লিখলেন সেটায় বিশ্বাসী, সেটাই পড়েন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের রচনাবলী তাঁদের কাছে বদহজম। আলাউদ্দিন খাঁর হাতে তৈরি বাঁশির ঈশ্বর পান্নালাল ঘোষের কথা আমরা মনে রাখি না। অনেক ... ...
এখন বর্ষার মরশুম। আর বর্ষার মরশুম মানেই কৃষকেরা জমিতে সারাক্ষণ। এখন আমন ধান রোয়ার সময়। প্রথমে ট্রাক্টরের সাহায্যে জমি চষা তারপর ধান রোয়া হবে। রোদ হোক বা বৃষ্টি, সমস্ত দূর্যোগ উপেক্ষা করে খালি পায়ে কৃষকেরা সারাদিন জমিতে কাজ করেন। আছে বিষধর সাপের ভয়। কয়েক বছর আগে এমন বর্ষাকে উপেক্ষা করে দিন-রাত ট্রাক্টরের সাহায্যে কৃষকেরা জমি চষার কাজ করতেন। তখন কোনো একটা জমির ওপরে বাঁশের মাচা করে তার ওপর তাঁবু খাটিয়ে রাতে পালা করে একজন ঘুমাতেন অন্যজন জমি চষতেন। তারও আগে দেখেছি দুটো বলদের সাহায্যে নাঙল দিয়ে জমি চাষ করতে। দুটো গরুর কাঁধে থাকত একটা কাঠের দণ্ড। দণ্ডের সঙ্গে মাঝে বাঁধা থাকত ... ...
দামোদর নদীতে বান আসছে। / বাঁধের রাস্তা। / কাঁধে স্কুলের ব্যাগ। / চটি খুলে এক হাতে নিয়ে অন্য হাতে ছাতার ভার সহ্য করে ... ...
. ... ...
জেসুইট পাদরি ফাদার স্ট্যান স্বামী / রাষ্ট্রের হাতে শহীদ হলেন আপনি। ... ...
রক্তে লেখা অতীত / বুকে হাহাকার নিয়েও / নিরবে তাকিয়ে রয়েছে... ... ...