আমার ঘরের এসি-টা ঠান্ডা হচ্ছে না আর, তাই মুখ বাড়িয়ে ছুটে যাই মর্গের পাশে। অন্ধকার নিভিয়ে এল-ই-ডি আলোর মিছিল পথ করে দেয় ছয় নম্বর পা-জোড়ার জন্য।পুরনো ৭০ সালের বাঙালী বাড়ির পশ্চাতে পায়খানার লোহার সিঁড়ি ভেঙে নেমে আসে মৃত শার্দুল আর ২ দিনের পচে থাকা মানুষের বাচ্চা।আমার একখানা কাঠের পা আর লোহার পা তুলে দিই তাদের ঘাড়ে। উড়ন্ত বেগুনি সবুজ মাদুর নিয়ে ধেয়ে যাই মেথর বস্তিতে। কচি ম্যানহোলের মুখে ঝলকে ওঠে গম্ভীর নিরানী, মৃত শিশু কোলে নিয়ে নেমে যায় নিচে, এক সাফাই কর্মচারীর নিথর দেহ ।মিউনিসিপ্যালিটি থেকে হেঁটে এসে পৌঁছায় কয়েকটি নরম- সরম কীট।।তাদের গুডবাই জানিয়ে আবার ছুটি মর্গের গায়ে লেগে থেকে যেতে,কারন,আমার ঘরের এসি-টা আর ... ...
কবিতার ছন্দে বেড়ে ওঠা আধুনিক ছাই, স্ট্যাচু, থলথলে ফেস্টুনের পেটে থাকা গন্ধক, মেলাই মেলে মেলার মাঠে হরবখত। তবু কবিতা যেদিন অমরত্ব পেল, সেদিন দুম করে দু - দশটা কবি পরলোকগমন করলো। তাদের ব্যবচ্ছেদ করতে গিয়ে মরে গেলেন পাঁচজন ডোম আর এক জোড়া ডাক্তার, শব্দের স্পন্দনে। মর্গের ঘর থেকে স্কিড করে বেরিয়ে আসে গিয়ার পরিবর্তনের ফাটাফাটি মিঠাস। চালুনির ফাঁকে ধরা থাকে যে চাঁদ তাতে কি গ্রহণ লাগে? কারণ জানা যায় না, ফলাফলে আরো কিছু কবিতা বিছিয়ে দেওয়া হয় পিচ রাস্তায়, আলমারিতে, থানার দেওয়ালে, শুকনো গোবরের থ্যাতলানো কেন্দ্রে, হারজিরজিরে শ্রোণীদেশের সাইডে। সুলতানা অথবা পল্লবী, ধর্ম অথবা হিংস্রতা কোনটা প্রিয় জানতে চাইলে বুক ... ...
আমি পোড়া মাল , ম্যালফাঙ্কশনড ! ... ...
কবিতার উপর ভরসা করে একটা শূন্য কিনে রেখেছিলাম। বেশ ভারী, ওজনে সস্তা, হাইড্রোজেনের জেনারেশন গ্যাপ। যে স্পেসে ৭০ থেকে ২২ এক হয়ে যায়। কে বড়, কী সামান্য, সে অসামান্য অসহিষ্ণুতা রাস্তা কেটে দেয়। সে সময়ে ঘড়ি থামিয়ে, ইঞ্জিনে জল ঢেলে, মাও এসে প্রশ্ন করে বিশ্বভারতী কথার অর্থ কী? সেখানে কি মরুঝড় আর তুষারপাতের সখ্যতা আছে? এই প্রশ্নের সাথেই আসে মিষ্টি জলের লেক, এক সামুদ্রিক বিপ্লবী, ও সহজিয়া ছন্দ। কোথায় যাবে , কী-ই বা পড়বে, কেনই বা তার মৈথুন হবে নজরদারি বন্দী? সুড়ঙ্গ কি খুঁড়েই নিয়েছে মৌচাকের অভিবাসীরা? জয় মানে কী? দগ্ধ মানেই বা কী? ভারাভারার কাঠিন্য যেনো পিছরি জাতির পাহারাদার! ... ...
সবজান্তা ... ...
প্রতিবাদ, এক বুক কিলবিল করা পোকা, যা কুরে কুরে খায় আর বলে শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়া।সে কি অত সহজ! কত বছরের কত নরম বুটের ঠোক্কর, পৈতের পোঙা, আর শ্রেণী আধিপত্য, প্যারালাইস করে দিয়েছে অনুভূতির সূক্ষ্ম কোণগুলো। সেগুলো ঝাড়পোঁছ করে চকচকে করে তুলতে বড়ই খাটনি। তার থেকে ভালো ভেসে চলা। আজ রোহিত তো কাল আনিস, পরশু কৃষক মোর্চা তো পরদিন দেউচা, কখনো গৌরী লঙ্কেশ বা স্ট্যান স্বামী, আবার কখনো চেতনাহীন রাজনৈতিক উন্মাদনা। ... ...