গুয়াহাটি-শিলং যাত্রাপথ তখন কাঁচা রাস্তা। পায়ে হেঁটে যেতে সময় লাগে তিনদিন। অন্যথায় গরুর গাড়ি, সময় সেই তিনদিন। পথে দস্যুদের উৎপাত। সেই সময়ে এই পথে যাত্রার সময় একদিনে নামিয়ে আনলেন কশিমুদ্দিন। তাকেই এখন মনে করা হয় আধুনিক শিলংয়ের পথপ্রদর্শক। হাজি কশিমুদ্দিন মোল্লা জন্মগ্রহণ করেন ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগের শেষ দিকে, জনাই হাটপুকুর অঞ্চলে। পিতা গোলাম হায়দার। জীবন ও জীবিকার সন্ধানে গোলাম হায়দার কিশোর পুত্র কশিমুদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে পূর্ববঙ্গের ছাতক (সিলেট) হয়ে জঙ্গলে ভরা দুর্গম পথ পায়ে হেঁটে পৌঁছন চেরাপুঞ্জিতে। ১৮৪৯ সালে। ... ...
২৭৩ একর বা ৮১৯ বিঘা জমির এই বাগান বা উদ্যানটি গঙ্গার ঠিক উপরেই অবস্থিত। হাওড়া স্টেশন থেকে বাস অটো-তে সহজেই যাওয়া যায়। স্থানীয় লোকেরা বাগানটিকে এখনও বলে কোম্পানির বাগান। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মিলিটারি সেক্রেটারি কর্ণেল রবার্ট কিড (১৭৪৬-৯৩) এখানে বাস করতেন। সেটা ১৭৮০ সাল। ... ...
স্কুলে পড়ার সময়, সম্ভবত ক্লাস নাইনে পড়ার সময় এস. ওয়াজেদ আলির ‘ভারতবর্ষ’ শিরোনামে একটি রচনা পড়েছিলাম। ১৯৮৪ পর্যন্ত মাধ্যমিকের সিলেবাসে ছিল এই প্রবন্ধটি। উত্তরকালের কাছে তাঁর পরিচিতি এই ‘ভারতবর্ষ’ নামে বিখ্যাত রচনাটির জন্যেই বোধহয়। সেখানে একটি লাইন ছিল ‘সেই ট্রাডিশন সমানে চলছে, কোথাও তার পরিবর্ত্তন নেই’। বাক্যটি তাঁর জীবিতকালের মধ্যেই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবাদ হিসাবে স্থান করে নিয়েছিল। তাঁর মৃত্যুর অর্ধশতাব্দী (৬৮ বছর) পরে আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। ... ...