সামুরাই (Samurai), যাদের 'বুশি' নামেও ডাকা হয়, তারা ছিল জাপানের প্রাক-শিল্পাঞ্চল যুগের সামরিক বাহিনীর সদস্য এবং এক কিংবদন্তিতুল্য যোদ্ধা শ্রেণি। জাপানি ক্রিয়াবাচক শব্দ 'সাবুরাই' থেকে 'সামুরাই' শব্দটির উৎপত্তি, যার অর্থ হলো 'সেবা করা'। এই নামকরণের মধ্যেই তাদের প্রধান ভূমিকা নিহিত। তারা সামন্ততান্ত্রিক জাপানে ধনী জমিদার বা 'দাইমিয়ো'দের ব্যক্তিগত সশস্ত্র বাহিনী হিসেবে তাদের নিরাপত্তা ও ভূ-সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ করত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা সমাজে এক বিশেষ এবং অত্যন্ত প্রভাবশালী যোদ্ধা শ্রেণিতে পরিণত হয়। জাপানি ইতিহাসে সামুরাইরা খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতাব্দী থেকে ১৮৬৮ সালের মেইজি পুনঃপ্রতিষ্ঠা পর্যন্ত প্রায় ৭০০ বছর ধরে জাপানের সরকার ও সমাজের ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছিল। এই সময়কালে জাপানে শোগুনেট (সামরিক একনায়কতন্ত্র) ... ...
কানাডায় "সেক্স ফর রেন্ট" (sex-for-rent) প্রথাটি একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। এর অর্থ হলো, বাড়িওয়ালা বিনামূল্যে বা কম মূল্যে ভাড়া দেওয়ার বিনিময়ে যৌন সুবিধা দাবি করে। এটি কোনো ঐতিহ্য বা প্রথা নয়, বরং কানাডার আবাসন সংকটের সুযোগে এক ধরনের শোষণ।এই ধরনের প্রস্তাব প্রায়শই দুর্বল শ্রেণির মানুষকে লক্ষ্য করে করা হয়। বিশেষ করে নারী, তরুণী এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মতো যারা সাশ্রয়ী মূল্যে আবাসন খুঁজতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে, তারা এই ধরনের শোষণমূলক প্রস্তাবের শিকার হন। কানাডায় যদি আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ এমন কোনো পরিস্থিতির শিকার হন, তবে অবিলম্বে স্থানীয় পুলিশ বা আইনি সহায়তাকারীদের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছ কানাডিয়ান সরকার। ... ...
তুরস্কের ইস্তাম্বুলের রাস্তায় একসময় একটি ধূসর রঙের বিড়াল বাস করত, যার নাম ছিল টমবিলি। আরামপ্রিয় এই বিড়ালটি তার বিশেষ ধরনের বসার ভঙ্গির জন্য দ্রুত সারা বিশ্বে জনপ্রিয়তা লাভ করে। টমবিলিকে প্রায়শই ইস্তাম্বুলের কাদিরকয় জেলার একটি ফুটপাতে হেলান দিয়ে বসে থাকতে দেখা যেত। তার সেই ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা মানুষের মনে গভীর ছাপ ফেলে। টমবিলি নামটি তুর্কি শব্দ টম্বিল থেকে এসেছে, যার অর্থ গোলাকার বা গোলগাল। এই নামটি তার ব্যক্তিত্ব এবং শারীরিক গঠনের সাথে পুরোপুরি মানিয়ে গিয়েছিল। বিড়ালটি তার সহজ-সরল জীবনযাপন এবং শান্ত স্বভাবের জন্য পরিচিত ছিল। স্থানীয়রা তাকে খুব ভালোবাসত এবং তার আরামদায়ক উপস্থিতি এলাকার মানুষের জীবনের একটি অংশ ... ...
১৯৪৫ সালের ৪ আগস্ট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রায় শেষের দিকে, সোভিয়েত স্কুলছাত্রদের একটি দল মস্কোতে তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত অ্যাভরেল হ্যারিম্যানের (W. Averell Harriman) কাছে একটি উপহার হিসেবে দারুণ হাতে খোদাই করা 'গ্রেট সীল' (Great Seal) উপহার দেয়। এটিকে 'বন্ধুত্বের নিদর্শন' হিসেবে ধরা হয়েছিল। রাষ্ট্রদূত এই সুন্দর উপহারটি তার বাসভবন স্পাসো হাউসের কার্যালয়ে ঝুলিয়ে রাখেন।কিন্তু এই নিরীহ-দর্শন উপহারের ভেতরে একটি গোপন স্পাই ডিভাইস লুকানো ছিল। এটি এমন একটি প্রযুক্তি যা তৎকালীন সময়ে প্রায় অকল্পনীয় ছিল। এই যন্ত্রটির কোনো ব্যাটারি বা তার ছিল না। সোভিয়েত বিজ্ঞানী ও বিখ্যাত থেরেমিন (Theremin) বাদ্যযন্ত্রের উদ্ভাবক লিওন থেরেমিন (Léon Theremin) এটি ডিজাইন করেছিলেন। এই যন্ত্রটি শুধুমাত্র তখনই কাজ করত ... ...
ফ্রাঙ্ক ক্যাপ্রিও একজন ইতালীয় আমেরিকান বিচারক। তিনি রোড আইল্যান্ডের প্রভিডেন্সের একজন পৌর আদালতের প্রধান বিচারক। তিনি তার মানবিক ও সহানুভূতিশীল বিচার প্রক্রিয়ার জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করেছেন। ফ্রাঙ্ক ক্যাপ্রিও ১৯৩৬ সালে ইতালীয় অভিবাসী দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় আইন পেশায় ব্যয় করেছেন। তবে, বিশ্বজুড়ে তার পরিচিতি এসেছে মূলত প্রভিডেন্স পৌর আদালতে তার বিচার কার্যক্রমের ভিডিওগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার পর। বিচারক ক্যাপ্রিও তার আদালতে আসা সাধারণ মানুষের প্রতি যে ধরনের empathy এবং compassion দেখান, তা সত্যিই বিরল। ট্র্যাফিক আইন লঙ্ঘনের মতো ছোটখাটো অপরাধের জন্য তার কাছে আসা মানুষের আর্থিক অবস্থা, পারিবারিক সমস্যা এবং তাদের ব্যক্তিগত জীবনের গল্প তিনি মনোযোগ দিয়ে ... ...
রুশ বিপ্লব, অনেকের কাছে পরিচিতি পায় অক্টোবর বিপ্লব নামে। এই বিপ্লবের পুরোধা তিন ব্যক্তিত্ব কমরেড ভ্লাদিমির লেনিন, লিয়ন ট্রটস্কি এবং জোসেফ স্ট্যালিন।বিপ্লবে জয়ী হওয়ার পর লেনিনের নেতৃত্বে দেশে গড়ে তোলা হয় সমাজতান্ত্রিক এক শাসন ব্যবস্থা। লেনিনের খুব কাছের এবং নির্ভরযোগ্য মানুষ ছিলেন লিয়ন ট্রটস্কি। তাকেই লেলিনের যোগ্য উত্তরসুরী ভাবা হতো। লেনিনের মৃত্যুর পর স্বাভাবিকভাবেই ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকার কথা ছিল লিয়ন ট্রটস্কির। কিন্তু রাজনৈতিক পাশা খেলায় দক্ষ এবং ক্ষুরধার বুদ্ধিসম্পন্ন জোসেফ স্ট্যালিনের কাছে রাজনীতির লড়াইয়ে হেরে যান এবং সেই সাথে ক্ষমতার বলয় থেকেও ছিটকে পড়েন ট্রটস্কি।বিপ্লবের পর দেশের মধ্যে যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, ট্রটস্কির নেতৃত্বে তার অবসান ঘটে ১৯২০ সালের অক্টোবর ... ...
৩ অক্টোবর, ১৯৩৫ সাল- ইতালিয়ান ফোর্স বর্তমান ইথিওপিয়া আক্রমন করে। (দ্বিতীয় ইউরোপীয়-আবিসিনিয় যুদ্ধ) এই যুদ্ধ শুধুমাত্র আফ্রিকা মহাদেশীয় ইতিহাসই বদলে দেয় নি। বরং সেই সাথে মানব সভ্যতার ইতিহাসেও গনতান্ত্রিক এবং ফ্যাসিবাদ রাষ্ট্রের ইতিহাস বদলের সূচনা করেছিলো- আর তা হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। উল্লেখ্য, ১৮৯৬ সালের আদওয়া যুদ্ধে (প্রথম ইউরোপীয়-আবিসিনিয় যুদ্ধ) ইতালিয়ান রয়েল ফোর্সের প্রায় ৬০০০ সামরিক সদস্য মারা যায়। প্রথমবারের মতো একক ইউরোপীয় শক্তি ধ্বংসে আফ্রিকান ইতিহাসে তা চিরস্মরনীয়। নিজেকে রোমান সাম্রাজ্যের সমরনায়ক আর রাষ্ট্রনায়ক জুলিয়াস সিজার এর সাথে তুলনা করা- ইতালির ফ্যাসিবাদী নেতা বেনিতো মুসোলিনি নতুন রোমান সাম্রাজ্য তৈরীর স্বপ্নে বিভোর, ইতালির কলোনি রাষ্ট্র সমূহ যেমন- লিবিয়া, আবিসিনিয়া (ইথিওপিয়া) সহ ইতালিয়ান সোমালিল্যান্ড ... ...
কফির উৎপত্তি ইথিওপিয়ায়। ধারণা করা হয়, খ্রিষ্টীয় নবম শতকে এক রাখাল কালদি প্রথম কফি আবিষ্কার করেন। তিনি লক্ষ্য করেন, তার ছাগলগুলো একটি লালচে বেরি খাওয়ার পর অস্বাভাবিক চঞ্চল হয়ে উঠছে। সেই বেরিই ছিল কফির ফল (কফি চেরি)। আরব দেশে প্রসার: ইথিওপিয়া থেকে কফি আরব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ইয়েমেনের মোকার বন্দর ছিল কফি বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র। সেখান থেকেই “মোকা কফি” নামটি এসেছে। মুসলিম সুফিরা কফি পান করতেন রাত জেগে ইবাদত করার জন্য। ধীরে ধীরে কফি আরব সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে। কফি হাউসের জন্ম: ১৫শ শতকে কফি ছড়িয়ে পড়ে মিশর, তুরস্ক এবং পারস্যে। ইস্তাম্বুলে প্রথম কফি হাউস চালু হয়। কফি হাউসগুলো শুধু কফি পান করার ... ...
"চীনের বন শহর" উপাধিটি লিউঝো ফরেস্ট সিটিকে বোঝায় , যা চীনের গুয়াংজিতে অবস্থিত একটি পরিকল্পিত শহর। আর্কিটেক্ট স্টেফানো বোয়েরি এর ডিজাইন করেছেন। এই শহরটিকে একটি সম্পূর্ণ সবুজ নগর এলাকা হিসেবে পরিকল্পনা করা হয়েছে, যেখানে থাকবে মূলত গাছপালা। এবং ভবনগুলো গাছপালা দিয়ে ঢাকা থাকবে, যার লক্ষ্য দূষণ মোকাবেলা করা এবং জীবনযাত্রার পরিবেশ উন্নত করা। ধারণা: লিউঝো ফরেস্ট সিটি প্রকৃতিকে নগর ভূদৃশ্যের সাথে একীভূত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যেখানে ভবনগুলি গাছপালা দিয়ে ঢাকা। বৈশিষ্ট্য: এই শহরে ৪০,০০০ গাছ এবং ১০০ টিরও বেশি প্রজাতির প্রায় দশ লক্ষ গাছপালা থাকবে। পরিবেশগত সুবিধা: আশা করা হচ্ছে যে গাছপালা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং দূষণকারী ... ...
ম্যাকেনা’স গোল্ড (McKenna's Gold) ১৯৬৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি আমেরিকান ওয়েস্টার্ন অ্যাডভেঞ্চার চলচ্চিত্র। এই ছবিটি উইল হেনরীর ম্যাকেনা'স গোল্ড নামক উপন্যাসের কাল্পনিক সোনার শহরের খোঁজা একটি দলের অভিযান নিয়ে তৈরি হয়েছে। ছবির পরিচালক জে. লি. থম্পসন এবং প্রধান চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেছেন গ্রেগরি পেক (শেরিফ স্যাম ম্যাকেনা), ওমর শরীফ (জন কলোরাডো), এবং টেলি স্যাভালাস । ছবির গল্প শুরু হয় একজন আ্যাপাচী বৃদ্ধ লোক (অ্যালিয়াতর) যিনি ম্যাকেনাকে মৃত্যুর পূর্বে একটি গোপন সোনার শহরের মানচিত্র দেন। পরে, ম্যাকেনা একটি ডাকাত দলের হাতে বন্দি হন যার নেতা জন কলোরাডো। কলোরাডো ম্যাকেনাকে সেই সোনার শহরের খোঁজে তার যেতে বাধ্য করে এবং তাদের সঙ্গে আরও কিছু মানুষ যোগ দেয়। ... ...