বর্তমানে গোয়েন্দাকাল চলছে। একের পর এক ছবি হচ্চে। ডিরেক্টর ওয়াইস বদলে যাচ্ছে সত্যান্বেষীদের অ্যাটায়ার, স্যাটায়ার বা তুখোড় রাফটাফানিসম। রোম্যান্টিকও বটে। কিন্তু কাল বড় বিচিত্র বস্তু। সেই নিয়মেই কয়েকবছর বাদে উঠে যাবে রজনী সেন রোডের বাড়িখানার কপিরাইট। সব্বাই লাইসেন্সপ্রাপ্ত হবেন থার্টি টু কোল্টের। সেই অদূর ভবিষ্যতের কিছু ছবির নাম ও গল্প ক্যামন হতে পারে সেইটে নিয়ে, জাস্ট ভাঁট বকতে বকতে কয়েকটা কাল্পনিক সিদ্ধান্তে আসা গ্যাছে। ইহার সহিত বাস্তবের কোনো মিল ছিলোনা,নেই, থাকবেও না। তা সত্ত্বেও কেউ কোনো মিল ... ...
সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন উপলক্ষে দুটি পোস্ট শিহরণ তুলেছে। দুটি স্ক্রিনশট বেসিক্যালি। দুজন ভদ্রমহিলার প্রোফাইল থেকে নেওয়া। দুটির মর্মার্থ মোটামুটি এক। তারা মনে করেন সত্যজিৎ রায় ওভাররেটেড ও বাজে সিনেমা বানান। তাদের মধ্যেই একজন আবার এই ধারণা পোষণ করেন যে অস্কারটা সত্যজিৎ রায়ের না পেয়ে দেবের পাওয়া উচিত ছিলো।
কিন্ত কারোর তো মনে হতেই পারে, দেবকে ভালো লাগতেই পারে সত্যজিৎ রায়ের চেয়ে বেশি। তার পূর্ণ অধিকার আছে সেটা শেয়ার করবার নিজের দেওয়ালে। এতে কোনো অন্যায় নেই। হ্যাঁ আপনি অবাক হলেও নেই। এবা ... ...
দিনান্তে যেটুকু বাড়ি ফেরা জড়িয়ে ধরে একটা মানুষ বাঁচে তার গায়ে কতটা ‘আমি’ লেগে থাকি আর কতটা ‘আমার’ সেটা কি ঠিক করে কেউ জানে? এই ‘আমার’-টা কিন্তু কাঠবেড়ালী বা পাশবালিশ যা খুশি হতে পারে। অথবা শুধু একটা অবস্থান হতেও বা আটকাচ্ছে কে? মনের শরীর বর্জন, ভীড়ের সামিল গর্জন থেকে নিজের অবস্থান, তারপর?...... হোক না সে আমার থেকে বিদ্যা-বুদ্ধি-পাড়ায়-অবস্থায় একেবারে চন্দ্রবিন্দু-কেটি মেলুয়া আলাদা, হোকনা অন্য, অচেনা, আনকোরা, হোকনা কঠিন, কোন সহজ জিনিসটা রাত জাগার ভালোলাগা এনে দেয় শুনি?
আড়ালে থেকে যাওয়াদের ... ...
গলাবাজি করতে কে না ভালোবাসে? কে না ভালোবাসে যে তিনি বলবেন আর বাকিরা শুনবে। আরও ভালো হয় যদি তার বক্তব্য যারা শুনছেন তারা সক্কলে মিলে একবাক্যে সায়ও দিয়ে দিলেন। তার সাথে সাথে এ আপ্লুত সায়ও দিলেন যে-এই কথাটাই এদ্দিন আমিও বলবো বলবো করেও বলে উঠতে পারিনি, আহা আপনি যেন স্বাক্ষাত ফ্রয়েড।
কার না ভালোলাগবে এইরকম একটা মাস সাপোর্ট পেয়ে গেলে তার বক্তব্যের সমর্থনে? বাস ট্রাম মেট্রোয় কারোর সাথে ঝামেলা লাগবার পর সহযাত্রীরা এগিয়ে আসেন আপনার হয়ে, তখন ভালো যে লাগেনা, নিজেকে যে বেশ একটা কেউকেটা বলে মনে ... ...
বিষয়টা হলো ফর্সা, জাঁদরেল নামওয়ালা না হলে কোনো লাভ নেই। যদি কালো হও তাহলে তাহলে হয় দুরন্ত বিপাশা বসু টাইপ হও, নাহলে কেউ পাত্তা দেয়না গোছের মনখারাপ করতে নেই। কোনো লাভ নেই।
"ওরকম দেখতে হলে কি হবে, ওর কিন্তু অনেক গুণ", অর্থাৎ গুণ হলো সেকেণ্ডারি। সেই আদ্যিকালের শ্লোকেও তার স্বাক্ষ্য বহন করছে, নাহলে রূপে লক্ষী গুণে সরস্বতী বলা হতোনা। আগে বাগদেবী স্থান পেতেন। আর বিষয়টা অগ্রাহ্য করে কোনো লাভ নেই। মিথ্যা বলা হবে। নিয্যস খাঁটি মিথ্যে বলা হবে। নাহলে চার্লস শোভরাজের ফ্যান ফলোয়িং থাকতোন ... ...
শ্রীজাত শাসকদলের হয়ে লিখেছেন ও সেটাকে বলেছেন প্রোফেশনাল কাজ। এর ফলে যা যা হলো......
বিতর্কলিস্টিঃ
১ স্বঘোষিত জ্যাক কেরোয়াকের দল বলতে শুরু করলেন - "দেখলে তো! সব আসলে স্টান্ট! আরি বাওয়া যেটা প্র্যাক্টিস করি সেইটেই লিখি, এ জিনিস রোইন্দোনাত ছাড়া আর কে আছে বল দিনি"
২ পাছা থেকে স্কুল বেঞ্চের দাগ না যাওয়ারা অব্দি অ্যানালিসিস করতে বসলেন "দূর শ্রীজাত নাকি আবার লেখক! তরল লেখা সমস্ত। খাপছাড়া ইমেজারি, আনন্দবাজার অব্দি ঠিক আছে, তার বেশি অ্যালাউ করা উচিত না।"
আদর্শ নারীঃ
ইহা তৈয়ার করিতে দশটি উপায় গ্রহণ করিতে হয়।
১ শাসন- ছোট থেকেই তাকে বুঝিয়ে দিতে হবে তুমি মেয়ে। তুমি একটা এমন প্রানী যার সমস্ত স্বাভাবিকতা আসলে ভীষন গোপনীয় ও না হলেই ভালো হত। স্বাধীনতা মানে হলো পনেরোই আগস্ট।
২ আদর- অন্য কোনো অপশন না দিয়ে আগেই পুতুল, রান্নাবাটি, ইত্যাদি এনে দেওয়া। তাছাড়া সেই ছোট বয়সেই “ভালোবেসে” তাকে সংসার সংসার খেলায় অনুপ্রেরণা দেওয়া, বউ সাজিয়ে ছবি, যা মিষ্টি লাগছিলো!
৩ আরও শাসন- এবার একেবারে গেঁড়ে মাথার ভেতর ঢুকিয়ে দিতে হবে, যে ... ...
ফোন- সদ্য প্রেমে পড়াদের চুমু খাওয়ার যন্ত্র।
প্রেম- সালমান খানের ডাকনাম
ডাকনাম- চন্দ্রবিন্দুর যে কাজের জন্য মার্কেটিং এর দরকার পড়েনি।
মার্কেটিং- সারা বছর কর্পোরেট ও সেক্টর ফাইভ, পুজোর সময় মধ্যবিত্ত ও গড়িয়াহাট।
গড়িয়াহাট- যে জায়গাটা বাংলা অভিধান কে “হাল্কা বিপরীত”- এর মত শব্দ দিয়েছে।
বাংলা- যেটা ইউনিয়নে চলে কিন্তু রি-ইউনিয়নে চলেনা
ইউনিয়ন- যে ভদ্রলোকের ছেলে হলে আপনি কলেজে যা খুশি তাই করতে পারেন।
কলেজ- আপনি খারাপ রেজাল্ট করলে আপ ... ...
"STD বুথ পেয়েছিস?" বর্তমানে এটা ব্যালেন্সওয়ালা বন্ধুর হতাশা প্রকাশের ভাষা হলেও এককালে ছিলো বেসিক নিডগুলোর একটা। ছোট্ট ঘর, হালকা কাঁচ আর, ডায়ালটোন। এখন যেমন প্রতি দু-ম্যানহোল-ঢাকনার দুরত্বে একটা করে টপআপ-মোমোর দোকান, তখন ছিলো STD বুথ। এখন যেমন কয়েন খোঁজা হয় কার্ড স্ক্র্যাচ করতে, তখন কয়েন খোঁজা হতো তা ফেলে মিনিটখানেক কথা বলবার জন্যে। কিন্তু এতেই বাগবানের রাজ মালহোত্রা সাতমিনিটের গান গেয়ে বিশ্বরের্কড করেছেন।
একটা পাড়াকে কেন্দ্র করে এক বা একধিক বুথ গড়ে উঠতো। কোনোটা ছোট কোনোটা বড়। অফ ... ...
গত শনিবার একজনের সাথে বেজায় তর্ক হয়েছে। বিষয় নেট নিউট্রালিটি। তর্ক বলা ভুল কারন আমি কোনো কথা বলবার সুযোগ পাইনি। প্রথমেই আমায় জিজ্ঞেস করা হলো বল ব্যান্ডউইথ কি? আমি তার উত্তরে একটা চা চাইলাম। কারন আমার কাছে ইন্টারনেট মানে ফ্যালো কড়ি মাখো থ্রিজি। নেটওয়ার্ক স্লো থাকলে খিস্তি, কল ড্রপ হলে আরও খিস্তি। সালা ইয়ের নেটওয়ার্ক বলা ছাড়া এগুলো ক্যানো হচ্ছে তার কোনো কারন আমার জানা নেই। কখনও রুচিও হয়নি জানার। তো যা বলছিলাম, সেই তর্ক থেকে এই সিদ্ধান্তে আসি যে এতদিন শুধু পড়েছি, জেনেছি, বোঝার চেষ্টা করেছি বিপ ... ...