যে লেখকের কলমের ভরকেন্দ্র হল মনস্হিতির বোধ ও উপলব্ধির, একাকীত্বের খুল্লমখুল্লা জবানবন্দি, তাঁর সামনে দাঁড়াতে অস্বস্তি হয়। প্রচলিত জনপ্রিয় সাহিত্যের ফিল-গুড ব্যাপারটা হারিয়ে যায় দুম করে, কারণ এতটা সততা তীব্র ও অসহনীয়। কিভাবে মলয় রায়চৌধুরী তাঁর লেখায় আত্মপ্রক্ষেপণ ঘটিয়েও নিরপেক্ষ হয়ে যান, সামাজিক ঘটনার দ্রষ্টা হন, নির্মম সমালোচনায় শাণিত ইস্পাত হয়ে ওঠেন, তাঁর নিজের এই বাছাই সঙ্কলনটি পড়লে টের পাওয়া যায় । কিভাবে মলয় রায়চৌধুরী তাঁর লেখায় আত্মপ্রক্ষেপণ ঘটিয়েও নিরপেক্ষ হয়ে যান, সামাজিক ঘটনার দ্রষ্টা হন, ... ...
১। এনআরসির দাবী সর রাজনৈতিক দলের । একমাত্র বিজেপি এই দাবীর সঙ্গে সহমত ছিল না।
২। সিপিআই(এম)-এর স্ট্যান্ড হল সুপ্রিম কোর্টের তত্বাবধানে ১৯৭১ সালের কাটঅফ ডেট ধরে এনআরসি হোক। কেন? কারণ এই ডি লেবেল, অনাগরিক, এই সব ইস্যু দূর হবে এতে।
৩। পার্টি যেটা নিয়ে বারবার স্ট্রং স্ট্যান্ড রাখছে সেটা হল যে এনআরসি ধর্মের ভিত্তিতে করা যাবে না। বিজেপি সেটাই করতে চাইছে। এবং এটা নীতিগত ভাবেও। কেন, সেটা পরে বলছি।
৪। ২০১২ সালের কোঝিকোড় কংগ্রেসের নেওয়া রেজোলিউশন অনুযায়ী বাঙালী শরনার্থীদের নাগর ... ...
(দক্ষিণ কলকাতা নিয়ে এই সিরিজটা শুরু হল। চলবে নিজের মর্জিমাফিক। নিয়মিত, এবং অনিয়মিত, যখন যেটা ইচ্ছে)
“ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্চে মানুষের সাজানো বাগান"
দক্ষিণ বাংলা থেকে বাঘের গর্জন ভেসে আসে। নৌকো দোলে উনিশশো সাতাত্তর সালে। ধরা যাক, এভাবেই শুরু। ধরা যাক, বাঘের হুংকার অথবা নৌকোবিলাস, এ সমস্তই একটা ছক বন্দী ক্লাসিফিকেশনের ঘেরাটোপ, যে অবয়বের মধ্যে বন্দী হয়ে ছিল এক মিথিকাল অস্তিত্ব। তার নাম দক্ষিণ কলকাতা। কেন বাঘের গর্জন? কেন না, এই ... ...
মনে রাখবেন, বুদ্ধিজীবি মানে কিন্তু সিরিয়াস বুদ্ধিজীবি। কথাটার ওজন রয়েছে। এই বাংলাতে দেব অথবা দেবশ্রী রায়কে যতজন চেনেন, তার দুশো ভাগের এক ভাগও দীপেশ চক্রবর্তীর নাম শোনেননি। কিন্তু দীপেশ বুদ্ধিজীবি। কবির সুমন বুদ্ধিজীবি। তো, বুদ্ধিজীবি হতে গেলে নিচের কয়েকটা শর্ত আবশ্যিকভাবে পূরণ করতেই হবে।
১। আপনার একটা বাম অতীত থাকা আবশ্যিক। সে নক্সাল হোক, অথবা সিপিআই(এম) বা তৃতীয় ধারা। মনে রাখবেন, তৃণমূল অথবা বিজেপি চিন্তার রাজ্যে এতই মেরুদণ্ডহীন যে এরা আনঅ্যাপোলজেটিক ভাবে কোনওই দক্ষিণপন্থী ... ...
অর্থনীতিবিদ হিসেবে পরিচিতি পেলেও, ডক্টর অশোক মিত্র মনেপ্রাণে সাহিত্যের মানুষ ছিলেন। একান্ত আলাপে বারবার বলেছেন যে উনি একজন ইকোনমিস্ট বাই মিসটেক। আরেক রকম পত্রিকায় সম্পাদনার সূত্রে ওনার সাহিত্যপ্রীতির কয়েকটা উদাহরণ পেয়েছিলাম।
আরেক রকমে মার্ক্স ও সোভিয়েত নিয়ে আমার কয়েকটা লেখা ২০১৭ সালে কিছু বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। সেই নিয়ে একদিন অশোক বাবু স্নেহ-মিশ্রিত শাসন করেছিলেন। মূলত প্রগলভতার কারণেই। তারপর বললেন, "আপনাকে একটা অন্য কাজ দিচ্ছি। অনেক তো মার্ক্স নিয়ে লিখলেন। এবারে সাহিত্যে আসুন। দীনেশ দা ... ...
টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভারসিটির এক অধ্যাপক, সর্বজয়া ভট্টাচার্য্য একটি পোস্ট করেছিলেন। তাঁর কলেজে শিক্ষকদের প্রশ্রয়ে অবাধে গণ-টোকাটুকি, শিক্ষকদের কোনও ভয়েস না থাকা, এবং সবথেকে বড় যেটা সমস্যা, শিক্ষক ও ছাত্রদের কোনও ইউনিয়ন না থাকার সমস্যা নিয়ে। এই পর্যন্ত নতুন কিছুই নেই। প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এই সমস্যাগুলো এতদিনে সকলের জানা।
এবার, সম্ভবত টেকনো ইন্ডিয়ার এক ছাত্র, সৌভিক, তার বিপরীতে একটি লেখা লিখেছে। লেখাটা খুব কাঁচা, আবেগপূর্ন, অভিযোগের উত্তর না দিয়ে পালটা অভিযোগ এসবে ভর্তি। কিন্তু যেটা ... ...
তারপর বুড়ো রিকশওয়ালা হারাণ সাঁপুই বিড়িতে টান দিয়ে বলল "তো, লালনের গায়ে ছিল বাঘের মত বল। এমনিতে বেঁটেখাটো। আমাদের রিকশ-স্ট্যান্ডেই বসে থাকত সারাদিন, টাক মাথা, মাঝে মাঝেই সর্দি কাশি জ্বরে ভুগত খুব। কিন্তু যখন রাগ করত, বা মদ খেয়ে মাতলামি, মাইরি বলছি বাবু, ওকে দেখে আমার ভয় হত। এই বুঝি কাউকে খুন করে ফেলবে, অথবা রাগের চোটে মাথার শিরা ছিঁড়েই মরবে বুঝি বা। তখন ওকে থামায় সাধ্য কার। যেন একটা সুন্দরবনের কেঁদো বাঘ সটান দাঁড়িয়ে লেজ আছড়াচ্ছে, পৃথিবী দুভাগ হল বলে!"
ছেলেটার শুনতে ইচ্ছে করছিল না এসব। ... ...
(গত এক বছর ধরে কার্ল মার্ক্সের দুশ'তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আরেকরকম পত্রিকাতে মার্ক্সের বিভিন্ন লেখাপত্রে কম আলোচিত দিকগুলো, যেমন জেন্ডার, ধর্ম, প্রাক-পুঁজিবাদী সমাজ, জাতিসত্বার আত্মনিয়ন্ত্রণ, গ্রান্দ্রিস, শেষ জীবনের নোটবুক ইত্যাদি নিয়ে একটা সিরিজ লিখছি। লেখাগুলো এক এক করে ফেসবুকে আর্কাইভ করে রাখব। নোটসে ফুটনোট দেবার অপশন এখনো আসেনি , দুর্ভাগ্যবশত। তাই ডিরেক্ট রেফারেন্স দিতে পারা গেল না, প্রাসঙ্গিক গ্রন্থনির্দেশ দিয়ে দেওয়া হল)
"কখনো বিপ্লব হলে পৃথিবীর স্বর্গরাজ্য হবে/ শ্রেণীহীন ... ...
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় লিজিয়ঁ দ্য-নর পাবার পরে কিছু বিদগ্ধ জনের আলোচনাতে প্রসঙ্গ হিসেবে এনার নামটিও উঠে এসেছে। কারণ ইনি ছিলেন আমাদের সেরিব্রাল ঐতিহ্যের অন্যতম প্রতিনিধি, যাঁর লেখা রবীন্দ্রনাথের পর সবথেকে বেশি ফরাসী ভাষায় অনুবাদ হয়েছে, এবং ইংরেজি ভাষাতে অনুবাদ না হবার দরুন অ্যাংলোসেন্ট্রিক বাঙালী তাঁকে মনে রাখেনি। অথচ তিনিও সৌমিত্র-র মতই ফরাসি সরকারের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন।
লোকনাথ ভট্টাচার্য্য (1927-2001) ছিলেন সেই বিরল হয়ে আসা সেরিব্রাল ধারাটির প্রতীক, যিনি বাংলা ভাষায় লিট ... ...
মালদা শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে পুকুরিয়া থানার অন্তগর্ত গোবরজনা এলাকায় অবস্থিত গোবরজনার প্রাচীন কালী মন্দির। অষ্টাদশ শতকে ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির বিরুদ্ধে লড়বার সময়ে এক রাতে ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরাণী কালিন্দ্রী নদী দিয়ে নৌকা করে ডাকাতি করতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় হঠাৎ এক বড় ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে তাঁদের নৌকো আটকায়। অস্থায়ী শিবির করে আস্তানা নেয় ডাকাতদল। সেখানে স্বপ্নাদেশ পান ভবানী পাঠক। স্বপ্নে তাঁকে মা কালী কালিন্দ্রী নদীর ধারে জঙ্গলের মধ্যে পূজো করতে আদেশ দিয়েছিলেন। স ... ...