এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • রহস্য গল্প: অন্তর্বাহী

    Tim
    অন্যান্য | ১৭ জুলাই ২০০৯ | ৪১১৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Tim | 71.62.***.*** | ৩১ আগস্ট ২০০৯ ১২:৪৩415996
  • ১৯

    - ড: ডিসুজা মনে হয় বলতে চাননা কিভাবে উনি খুন হওয়া মানুষগুলোকে চিনলেন। ড: ব্যানার্জি, আপনি কি আমাদের সাহায্য করতে পারেন?

    - আজ্ঞে না মি: সেন।
    মণিদার দৃষ্টি একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গেল।
    - মি: রায়? আপনি?
    একসময়ের ডাকাবুকো নাবিক, বহু ঝড়ঝাপ্টা পেরিয়ে আসা মি: রায়ের গলা তখন কান পেতেও ভালো করে শোনা যাচ্ছিলো না।
    - বেশ, তবে আমিই বলি। খুন হওয়া তিন ব্যক্তিই কোনো না কোনো সময় মানসিক অবসাদে ভুগেছিলেন এবং ড: ব্যানার্জিকে কনসাল্ট করেন। যদিও এই খবরটা আমরা ড: ব্যানার্জির থেকে পাইনি। কেন, সেটা আমাদের একটু বুঝিয়ে বলবেন ড: ব্যানার্জি?

    - আ-আমার কিন্তু কোনো অসদুদ্দেশ্য ছিলোনা বিশ্বাস করুন। আমি জাস্ট আমার প্রোফাইলটা পরিষ্কার রাখতেই ব্যাপারটা চেপে যাই। আর ওঁরা আমার কাছে বেশিদিন আসেনও নি।

    - সে আমরা জানি। ইন ফ্যাক্ট অন্বেষার সাথে আপনার খানিকটা কথা কাটাকাটিও হয়, সেকথাও আপনি চেপে গেছেন।
    ড: ব্যানার্জি মাথা নিচু করলেন।
    - হ্যাঁ, সেটাও আমার একটা ব্যর্থতাই। খুবই ডিপ্রেসড ছিলেন উনি, আমার চিকিৎসায় তেমন কাজ হচ্ছিলোনা।
    - তারপর ?
    - এছাড়া আমি আর কিছুই জানিনা। বিশ্বাস করুন, আমি কোনোভাবেই এরপর আর ওঁদের ট্রেস করিনি।
    - কিন্তু আপনি না করলেও আরেকজন করেছিলো। কি, মি: রায়, আপনি কি এবার কিছু বলবেন?
    একটা কাঁপাকাঁপা ম্লান গলা ভেসে এলো উত্তরে।
    - হ্যাঁ, বলবো। আমিই ওঁদের কথা ডিসুজাকে বলেছিলাম। ডিসুজাকে আমি চিনতাম আগে থেকেই। চাকরিসূত্রেই পরিচয় হয়, পন্ডিত লোক বলে খুব অনুরক্ত হয়ে পড়ি। গোয়ায় বেড়াতে গেলেই ওঁর ওখানে উঠতাম।
    এই পর্যন্ত বলেই মি: রায় হাঁফিয়ে উঠলেন। কেমন যেন মনে হলো ওঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। অগত্যা মণিদাই আবার হাল ধরলো।

    - বেশ, বাকিটা আমিই বলি। খুন হওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে মি: রায় ড: ব্যানার্জির কাছে শুনেছিলেন। অন্বেষার কথা তো আগেই বলেছি। অর্কপ্রভর ব্যাপারটা আরোই অন্যরকম ছিলো। সে অবসাদের চিকিৎসা করাতে এসে ড: ব্যানার্জির চিকিৎসার ত্রুটি ধরে ফেলে। বেচারা দীর্ঘদিন ধরে জার্নাল আর নেট ঘাঁটাঘাঁটি করে অনেক জেনে ফেলেছিলো, আর সেটাই ওর কাল হয়। সুশান্তবাবুর ব্যাপারটা অবিশ্যি নিতান্তই কাকতালীয়। ডাক্তার দেখাতে এসে চেম্বারে আড্ডারত মি: রায়ের সাথে ওঁর পরিচয় হয়। পরে যোগাযোগ নিয়মিত হয় এবং রীতিমত বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এই তিনজনের সম্পর্কে মি: রায় মারফৎ ডিসুজা খবর পান। সেটা আপনার প্ল্যানিং এর শুরুর দিক, তাই তো ড: ডিসুজা?

    ডিসুজা উত্তর দিলেন না। তখনও ওঁর মুখে ম্লান হাসি। চোখ যদিও জ্বলছে রাগে। ভদ্রলোকের মধ্যে কি একটা যেন আছে, একবার তাকালে চোখ ফেরানো যায়না।
  • Tim | 71.62.***.*** | ৩১ আগস্ট ২০০৯ ১৩:৩৯415997
  • ২০

    মণিদা আবার কথা শুরু করার আগেই আমার একটা প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হলো।

    - ড: ডিসুজা কি কলকাতাতেই থাকতেন?
    - সব সময় না, তবে প্রতি দু-তিন মাসে একবার আসতেন ব্যবসার কাজে। এখানে ওঁর বেশ বড়ো নেটওয়ার্ক, অনেক হোমরা-চোমড়া লোকের কনট্যাক্ট পাওয়া গেছে ওঁর ডায়রি থেকে। হয়ত সবাই বন্ধুস্থানীয়। ডিসুজার পুরো পরিচয়টা বলা হয়নি। উনি সাতবছর আমেরিকায় ছিলেন। সেখানেই ডক্টরেট করেন। বিষয় ক্রিস্‌চিয়ান স্টাডিস। ফিরে এসে পারিবারিক ব্যবসা দেখতে শুরু করলেও পড়াশুনো থামাননি।

    এইখানে ডিসুজা দাঁতে দাঁত চেপে অদ্ভুৎভাবে বললেন, "" উই কল ইট প্রেয়ার মাই সান। ইট'স নট লাইক রিডিং এনি আদার বুক।""

    মণিদা ঘাড় নেড়ে বলে চললো....
    - মি: রায়ের থেকে খবর পেয়ে ডিসুজা যাচাই করতে এলেন কলকাতায়। এমনিতেই আসতে হতো, এখন আরো একটা কাজ বাড়লো। একজন ফিউচার ভিক্টিমকে চাক্ষুস দেখে গেলেন। নির্বাচন সম্পূর্ণ হলো।
    - মণিদা, একটু গুলিয়ে যাচ্ছে। কিসের নির্বাচন? মি: রায়ের স্বার্থই বা কি?
    - মি: রায়ের অন্য কোনো স্বার্থ ছিলোনা। খানিকটা কৌতূহল, খানিকটা বন্ধুকৃত্য, আর বাকিটা অ্যাডভেঞ্চার। আমার ভুল হলে শুধরে দেবেন মি: রায়।
    - ও আবার কি শুধরাবে। আমি বলছি শুনুন। আই হ্যাভ পেইড হিম। টেন থাউজেন্ড রুপিজ পার কনট্যাক্ট।

    ডিসুজার কথা শুনে রায়ের মাথাটা আও ঝুলে পড়লো। মণিদা এক মুহূর্ত থেমে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতে শুরু করলো আবার.....

    - আগেই বলেছি, মোট তিনটে ক্লু আসে আমাদের কাছে। দ্বিতীয়টা হলো একটা টেন্ডার। ঐ টেন্ডার ডাকার সূত্রেই ডিসুজা সুশান্তর ঘনিষ্ট হয়, তার বাড়িতে অবাধে গিয়ে পৌঁছায় এবং অত্যন্ত সহজে, প্রায় বিনা বাধায় তাকে খুন করে। তৃতীয় ক্লুটা একটা নেট সার্চের লগ ঘেঁটে পাওয়া যায়। কলকাতা ও শহরতলির ম্যাপ ডাউনলোডিং ট্র্যাক করা হচ্ছিলো বেশ কয়েকদিন থেকেই। দ্বিতীয় খুনটা করার আগে বা অব্যবহিত পরেই ডিসুজা কলকাতায় একটা পাকাপাকি ঘাঁটি বানায়। এখানকার আপিস কাছারি ঘুরে ওর মনে হয়েছিলো যে ওর এখানে আরো বেশি সময় কাটানো উচিত। আমি এখনই খুনগুলোর মোটিভ সম্পর্কে কিছু বলিনি। তবে একথা সবাই আশাকরি বুঝতে পেরেছে যে এই সিরিয়াল কিলিং সুস্থ মস্তিষ্কের কাজ নয়, টাকাপয়সা বা ঐ জাতীয় কোনো মেটেরিয়ালিস্টিক লোভ এর পেছনে নেই। যে কারণে এই খুনগুলো করা হয়েছে, এক কথায় তা নিতান্তই একজন অসুস্থ বুজরুকের খেয়াল। বহুদিন ধরে লালিত একটা ইচ্ছে জলহাওয়া পেয়ে তখন ডালপালা মেলছে ডিসুজার মনে। ব্যবসায়িক ব্যর্থতা, রেড টেপ, করাপশান আর স্নব কলকাতাবাসীকে শিক্ষা দেওয়ার, প্রিচ করার, ঈশ্বরের পথে আনার ইচ্ছে তার বিকৃতিকে ইন্ধন দেয় এইসময়। শুরু হয় নতুন বুজরুকি। অধ:পতিত মানুষকে মুক্তি দেওয়ার শপথ নেয় সে। তার প্রথম শিকার হয় ঘুষখোর সরকারী কর্মচারী সুশান্ত ভাদুড়ি। দ্বিতীয় শিকার বোহেমিয়ান, আদ্যন্ত এলিট, স্বেচ্ছাচারী অন্বেষা। তৃতীয় শিকার অর্কপ্রভ : ঘোর নাস্তিক, উন্নাসিক ছিন্নমূল ও উদ্ধত এক যুবক। এই তিন ক্ষেত্রেই কয়েকটা গ্রীক অক্ষর লিখে ডিসুজা নিজের সিগনেচার ক্রিয়েট করে। আলফা আর ওমেগার মাধ্যমে কি আপনি ওল্ড টেস্টামেন্টের কথা মনে করিয়ে দিতে চেয়েছিলেন,ড: ডিসুজা?
    ডিসুজার মাথা তখনও উঁচু। ওঁর ঘাড়টা একদিকে কাত হলো আলতোভাবে।

    - অর্কপ্রভর কেসটা আরোই ইন্টেরেস্টিং। ওকে জলে সম্পূর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় পাওয়া যায়। যেন ব্যাপ্টিজম করা হয়েছে। আমরা এই সময় নি:সন্দেহ হই যে একজন মারাত্মক অসুস্থ ও ধর্মোন্মাদ ব্যক্তি এই হত্যাকান্ডের পেছনে আছে।

    মণিদা থামা মাত্রই আমি প্রায় চেঁচিয়ে উঠলাম, আর WASIM?
    - ওটা ডিসুজার আরো একটা খেয়াল। একটা হেঁয়ালি তৈরী করার চেষ্টা। আসলে শব্দটা IMWAS, তাইনা ফাদার ডিসুজা?

    ডিসুজা চুপ। মণীদা ফিনিশিং টাচ দিলো-

    - বলা হয়নি, বিদেশ থেকে ফিরে কিছুদিন ডিসুজা গোয়ায় পাদ্রীগিরি করেন, চার্চের ফাদার তখন অসুস্থ ছিলেন।
  • Tim | 71.62.***.*** | ৩১ আগস্ট ২০০৯ ২১:৫৫415998
  • ২১

    আমরা বাড়ি ফিরছিলাম। মণিদার কাজ অনেকক্ষণ আগেই শেষ হয়েছে, খানিকটা বিয়োগান্তভাবে। আমরা তিনজন একটা ট্যাক্সি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। মণিদা গম্ভীর, খানিক আগের চনমনে ভাবটা উধাও হয়েছে আবার। পিকু আর আমি একটা মিশ্র ভাবের মধে ডুবে আছি। মনে হচ্ছে একটা দু:স্বপ্নের ইতি হলো, আবার মনটাও ভালো নেই।

    -মণিদা, কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর এখনও জানা হয়নি।
    -বল!
    - এক, ডিসুজা ড: ব্যানার্জির কার্ডের পেছনে কেন চিঠি লিখলো?
    - মনে হয় একটু কনফিউজ্‌ড করে দিতে চেয়েছিলো। মজা করতেও চাইতে পারে। ভুলে যাসনা, আগাগোড়া ও জানতো যে ওর অপরাধ প্রমাণ করতে আমাদের যথেষ্ট বেগ পেতে হবে। আর ও চাইছিলো যে আমরা জানতে পারি কেন এই খুনগুলো করা হচ্ছে। কাগজে লেখালিখি হোক, ওর একটা নিকনেম তৈরী হোক-- মানে বেশিরভাগ সিরিয়াল কিলাররা যেরকম ভাবে আরকি।
    - পিকুকে বারবার টার্গেট করা হচ্ছিলো কেন?
    - এটা ঠিক টার্গেট করা নয়। কিছুটা কোয়েন্সিডেন্স বলতে পারিস। খেয়াল করে দ্যাখ, ওকে ইচ্ছে করলেই প্রথমবার ওরা খুন করতে পারতো, কিন্তু করেনি।
    - ওর সাথে কে দেখা করেছিলো সেদিন রাতে? তপন?
    - সম্ভবত। ওর কাজই ছিলো এইসব খুচরো কাজগুলো করে আমাদের ব্যস্ত রাখা বা ভয় দেখানো।
    এরপর আমি একটা বোকার মত প্রশ্ন করলাম।
    - প্রথম খুনের দিন রাতে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে আমি কি ডিসুজাকেই দেখেছিলাম?
    - সেটাও তপনই ছিলো। বাড়ির ভেতরে ছিলো ডিসুজা।
    - মি: রায়ের কি কোনো শাস্তি হবে?
    - কঠিন, খুব কঠিন। এইসব উনি ডিনাই করবেন কোর্টে। দেখা যাক কি হয়।
    - অন্বেষার বাড়ির লোকেরা পরষ্পরকে সন্দেহ করছিলো কেন?
    - খুব স্বাভাবিক। সবাই নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে অন্যদের দিকে বন্দুকের নলটা ঘুরিয়ে দিচ্ছিলো।
    -IMWAS টা কি?
    - প্যালেস্টাইনের একটা গ্রাম। প্রচলিত মত হলো, ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার দুদিন পরে যিশু এই গ্রামে দেখা দিয়েছিলেন। ডিসুজা এই শব্দটাকেও সংকেত হিসেবে ব্যবহার করছিলো। ধর্মের শাসনের পুন:প্রতিষ্ঠা বলতে পারিস। মারার আগে কষ্ট দিয়ে পাপস্খালন, মৃত্যুর পরে অনন্ত স্বর্গলাভ। আরো কতদিন এরকম চলতো কে জানে। আমরা খবর নিয়েছি ডিসুজার ব্যাপারে। ওর স্ত্রীকে ওঁদের একমাত্র ছেলে খুন করে ফেরার হয় আজ থেকে কুড়ি বছর আগে। তখন তার বয়স পনেরো। সেই ছেলের আর কখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। একা হয়ে গিয়ে দিনরাত বাইবেলে ডুবে থাকতে শুরু করে ডিসুজা। তারপর একসময় নিজের অজান্তেই মানসিক ভারসাম্য হারায়। নিজেকে প্রফেট ভাবতে শুরু করে। তবে একথা স্বীকার করতেই হবে, খুবই ঠান্ডা মাথায় ও প্রত্যেকটা খুন করেছে। একবারও অনুতাপে ভোগেনি, কারণ ওর বিশ্বাস ছিলো যে ও অসম্ভব পুণ্যের কাজ করছে। শেষের দিকে বেশ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলো, বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলো যে ডিভাইন কোনো পাওয়ার ওকে রক্ষা করছে। তাই একটু অসাবধানী হয়েছিলো হয়ত। নইলে ওকে ধরা আরো কঠিন হতো।

    এইরকম আরো নানান সাতপাঁচ কথার মাঝেই রাস্তা শেষ হলো। আমরা যে যার বাড়ি ফিরে গেলাম। মণিদার এই কেসটা একটু অন্যরকমভাবে শেষ হলো। কাগজে কলমে ওর কাজ শেষ। খুনী ধরা পড়ার সাথে সাথেই গোয়েন্দার কাজ শেষ হয়। কিন্তু ও জানতো যে ডিসুজার মত শক্ত মানুষ কিছুতেই হাল ছাড়বে না। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়ে যাবে, মিথ্যে বলবে, আপিল করবে। তাই ওর নিজের বাড়িতেই ওকে এনে ফেলা হয়েছিলো। আলোচনার পরেই ওর সাথে রূদ্ধদ্বার ঘরে মণিদা আর মি: সোমের কিছু কথা হয়। তাতে নাকি কাজও হয়। উনি স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হন। তারপরই অসুস্থ বোধ করায় ওঁকে দুজন কনস্টেবলের সাথে ছাদে পাঠানো হয়, একটু শান্ত হওয়ার জন্য। মাত্র মিনিট পাঁচেকের জন্য।
    ডিসুজা এখন কোমায়। কনস্টেবলদের ক্ষণিকের অসাবধানতার সুযোগে রাত নটা নাগাদ দ: আলবার্তো ডিসুজা ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন।

    (শেষ)

  • Tim | 198.82.***.*** | ৩১ আগস্ট ২০০৯ ২২:৫৮415999
  • যাঁরা আমার ল্যাদ ও টালবাহানা উপেক্ষা করে অসীম ধৈর্য্য নিয়ে পড়লেন ও তাগাদা দিলেন, তাঁদের অসংখ্য ধন্যবাদ। :-)
  • Du | 65.124.***.*** | ৩১ আগস্ট ২০০৯ ২৩:১০416000
  • ঐ হিপোক্র্যাটিসের সিম্বল টা কেন ছিল?
  • Tim | 198.82.***.*** | ৩১ আগস্ট ২০০৯ ২৩:১৭416001
  • ওহ ওটা বলা হয়নি না? হিলিং। :)
  • anon | 202.3.***.*** | ৩১ আগস্ট ২০০৯ ২৩:২২416002
  • টিমের লেখার স্বত:স্ফূর্ত আর সাবলীল ভাবটা খুব ভালো লাগলেও একটা কথা বলতে ইচ্ছে করছে যেটা হয়তো একটু সমালোচনার মতো শোনাবে তবে তা আসলে পাঠক হিসেবে একটা ব্যক্তিগত আর্জি বা অভিযোগ বলা যেতে পারে। গল্পের শুরু থেকে শেষ অব্দি পড়ার সময় এর-পরে-কি-হবে গোছের আগ্রহ তৈরী হলেও আর বিশেষ কিছু চিন্তার জায়গা থাকেনা কারণ মণিদার দুই সহকারীর মতোই পাঠকও পুরোপুরি অন্ধকারে থেকে যায়। ব্যোমকেশ, ফেলুদা, কিরীটী, পোয়ারো, ইত্যাদিরা বোধায় কাজের ফাঁকে ফাঁকে তদন্তের ব্যাপারে বা যুক্ত চরিত্রগুলোর সম্পর্কে আরেকটু বেশী জানাতেন যাতে অন্যদের খানিকটা ভাবনা চিন্তার জায়গা থাকতো।
  • Dummy | 206.202.***.*** | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:২৫416003
  • ঠিক, ঠিক...
    anon কে সমর্থন করলাম।
    কাজের ফাঁকে ফাঁকে যুক্ত চরিত্রগুলোর সাথে বা সত্যান্বেষীর কাজের ধারার সাথে পাঠকদের আরো একটু পরিচিত হওয়ার সুযোগ দিলে বোধহয় তাদের একটু ভাবনা চিন্তার জায়গা থাকতো।
    এরকম গল্প আরো পাওয়ার আশা থাকল ভবিষ্যতে... তবে আরএকটু তাড়াতাড়ি লিখতে হবে, নহলে বড্ড খেই হারিয়ে যায়।

    টিমকে ধন্যবাদ।

  • Blank | 59.93.***.*** | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:৪২416004
  • আমার মনে হয় টিম শেষ টা তাড়াতাড়ি করেছে। সেই জন্যই এই সমস্যা। যে ভাবে এগোচ্ছিলো তাতে আরো ডিটেলস আশা করছিলাম।
    তবে ছেলেটা বড় হয়ে ড্যান ব্রাউন হবে। নেক্সট লেখাটা আরো ডিটেলসে চাই।
    দেখ পাঠকের ইচ্ছে থাকে যে গোয়েন্দার সাথে সাথে সুত্র ধরে ধরে সেও একটু চিন্তা করবে। ভাববে, অবাক হবে ....
    তুই সেই জায়গাটা দিস নি লাস্ট কয়েকটা পর্বে।

  • Blank | 59.93.***.*** | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:৪৪416006
  • আর যা বল্লুম, পরেরটা ড্যান ব্রাউন।
  • pinaki | 131.15.***.*** | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:৫৩416007
  • টিম্ভাই হলেন বিরলতম প্রতিভাদের মধ্যে একজন। একই সাথে রহস্য গল্প আর কবিতা লিখতে পারেন - টিম্ভাই ছাড়া এমন কারুর কথা আমার জানা নেই। তাও আবার দুটো-ই রীতিমতো ভালো স্ট্যান্ডার্ড এর। এমনিতে এই দুধরণের লেখার জন্য দুরকম মেন্টাল স্টেট লাগে বলে আমার ধারণা। টিম্ভাই সেই দুয়ের মধ্যে অবাধে বিচরণ করতে পারেন। দুর্লভ ক্ষমতা।
  • Du | 65.124.***.*** | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০২:০৪416008
  • ঠিক। এবং তাছাড়াও। তিমিসদৃশ প্রতিভা যাকে বলে :)
  • Tim | 198.82.***.*** | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০২:২৩416009
  • এইখানে আমার একখান কথা কওনের আসে। এই গল্পটা লেখা শুরু করেছিলাম বেশ কিছুদিন বিরতি দিয়ে। ইচ্ছে ছিলো যে খুব আস্তে আস্তে লিখবো, আরো অনেক ডালপালা মেলে গল্পটা এগোবে ( এইরকম দাবি এর আগে অনেকে করেছিলেন আগের গল্পগুলো করে)। কিন্তু এতে সময় লাগে। সপ্তাহে একটা পর্ব করে লেখা যায়, গুছিয়ে, সময় নিয়ে, পারম্পর্য রেখে, এবং খানিক রিসার্চ করে। এবার পরের দিকে সবাই এমন তাড়াহুড়ো কল্লো যে আম্মো জলদি করে শেষ করলাম। এইডা অজুহাত না, অক্ষমতা। ডেডলাইন খুব খারাপ জিনিস। নেক্সটবার সবটা অফলাইনে লিখবো ভাবছি। ;-)

    সবাইকে আবারো থ্যাংকু।
  • Shuchismita | 98.228.***.*** | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৪:০০416010
  • চমৎকার হয়েছে। সমালোচকদের সাথে একমত যদিও। ক্লুগুলো আরেকটু ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখলে ভালো হত। এই নয় যে ক্লু পেলেই সলভ করে ফেলতাম। তবে পাঠক হিসেবে ইনভলভমেন্টটা বাড়তো আরেকটু।

    পিনাকির যুক্তিটা কিন্তু ভুল। দেখছেন না ওদিকে ভাঙা প্রেমের থ্রেডেও কেমন সাসপেন্স থ্রীলার লেখা হচ্ছে! এদিকে ধর্মোন্মাদ পাগলের সাসপেন্স, ওদিকে তেকোনার "হু-নোস-হাউ-মেনি"-কোনা প্রেমের সাসপেন্স - টেনশনের চোটে পেটের মধ্যে গো-ভুতেরা ডাকাডাকি শুরু করে দিয়েছে!!
  • d | 117.195.***.*** | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৮:৫১416011
  • ব্ল্যাংকি বলেই দিয়েছে এবং তিমি মেনেও নিয়েছে যে শেষটা বড় তাড়াহুড়োয় শেষ। তো, ঐটাই দূর্বলতা। ঐ সপ্তাহে ১টা কি ২টো করে পর্ব লিখলে, চরিত্রগুলোকে আরেকটু সময় দিলে ব্যপক জমে যেত। আরে লোকে তাড়া দিচ্ছে দিক না। তুমি বিচলিত হও কেন? তুমি তোমার মত করে লিখে যাও। জনমতের চাপে এত তাড়াতাড়ি নুয়ে পড়লে বড় নেতা হবে কী করে অ্যাঁ ?

    এগিয়ে চলো (এখানে একটা বুড়ো আঙুল উঁচু করা ইমোটিকন রইলো)
    :)

  • tkn | 122.16.***.*** | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৯:২৬416012
  • কালকে আমি মোটেই লিখিনি তার কারণ এই গল্পটা :-) আমি তো কালই সবটা পড়েছি। বেশ বেশ ভালো ভালো লেগেছে আমার। খুবস ভালো (অনেকগুলো খুব)
  • Blank | 170.153.***.*** | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৪:৫৮416013
  • টীম টা মনে হয় ভয় পেয়েছিলো যে সত্যি যদি আমি খেয়ে ফেলি।
    আরে অত ভয় পাস নে। খাওয়ার সাথে তো গপ্পের কোনো সম্পর্ক নাই। ইচ্ছে হলে তো আমি এমনি তেই খেয়ে নেবো, রান্না করে।
  • shrabani | 59.94.***.*** | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২১:০০416014
  • টিম, ভাল হয়েছে। ব্ল্যাঙ্কি ঠিক কইছে, পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল বেশ একটা গাকাঁটা দেওয়া থ্রিলারের দিকে যাতিছে। সেই হিসেবে হয়ত একটু সোজাসাপটা হয়ে গেল বটে, কিন্তু টানটান।

    গোয়েন্দা গল্পের প্লট ভাবা চাট্টিখানি কথা নাকি! কবে থেকে একটা শহুরে রহস্য গল্প লিখব ভাবছি, হচ্ছেইনা।:(
  • d | 117.195.***.*** | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২১:০৭416015
  • আমাকে না দিয়ে খাস না ব্ল্যাঙ্কি। ঠাকুর পাপ দেবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন