এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • হেমন্তে, কোন বসন্তেরি বাণী

    h
    অন্যান্য | ১০ মার্চ ২০০৯ | ১২৪৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • bitoshok | 128.***.*** | ১১ মার্চ ২০০৯ ০২:৩০407436
  • দীপ জ্বেলে যাই তে উত্তম নেই। ফোরগ্রাউন্ড, ব্যাকগ্রাউন্ড কোথাও নেই।
  • arjo | 168.26.***.*** | ১১ মার্চ ২০০৯ ০২:৩৪407437
  • না থাকলেও কোনো ক্ষতি নেই।
  • bitoshok | 128.***.*** | ১১ মার্চ ২০০৯ ০২:৩৮407438
  • কিন্তু, শান্তিনিকেতনের বসন্তোৎসব কোথায় গেল?
  • siki | 122.16.***.*** | ১১ মার্চ ২০০৯ ০২:৪৩407439
  • সিনেমার সিডিটা আমার কাছেই আছে। নেমকাস্টিংয়েও উকু নেই।
  • Ri | 122.169.***.*** | ১১ মার্চ ২০০৯ ১০:৫৫407440
  • আজ আর নেই কোন ভাবনা -র সুর টা বেশ ভালো,লতার গাওয়া। ওটায় কিন্তু সুচিত্রা লিপ দেয় নি, লিপ দিয়েছিলো বসন্ত কে ছেড়ে যাওয়া প্রেমিকার ভুমিকায় অভিনেত্রী ( নাম জানিনা , ইনি হারানো সুর এও উত্তমের বাগদত্তা হয়েছিলেন)
  • bb | 117.195.***.*** | ১১ মার্চ ২০০৯ ১৪:৪৯407441
  • ইউ টিউবে গানটির লিন্‌ক

  • h | 61.95.***.*** | ১১ মার্চ ২০০৯ ২০:১৩407442
  • ভাবলে আশ্চর্য্য লাগে, এই সেদিনের কথা মনে হয়, তাহলেও নয় নয় করে প্রায় বছর তিরিশেক আগে, মা আর দিদির শখেই সম্ভবত: আমি প্রথম বার বসন্তোৎসবে নাচতে গেছিলাম। হলদে ধুতি, হলদে পাঞ্জাবী, হলদে বাটিকের কোমরবন্ধ, মাথায় সাদা ফেট্টি, বান্ডানা শব্দ টা তখনো শ্রীনিকেতনে আসেনি বা এলেও এসেছে সুদু বাবাদের পড়ার টেবিল পর্যন্ত অথবা হয়তো কোনকালে গাঁজায় নিমজ্জিত পরে সমাজিক ভাবে উদ্ধারপ্রাপ্ত এবং আপাতত: সুখী গৃহকোণে অধিষ্টিত স্মৃতিভ্রষ্ট কোনকালের মার্লে প্রেমী যুবকের কাছে এসে কলকে প্রাপ্তির ঘন ঘন যতিতে দিশেহারা হয়ে মানে মানে ক্যারিবিয়ানে ফিরে গ্যাছে।

    হীরে চিনে নিতে যেহেতু জহুরীরা সাধারণত: ভুল করেন না সেহেতু সেবারের পরেই মা আর দিদির উৎসাহে আকস্মিক ভাবে বেশ চিরন্তন একটি ভাঁটা পড়ে যায়। পরের দিকে শেষ মুহুর্তে প্রসেশনে নাচার সঙ্গীর অভাবে বিভ্রান্ত বন্ধুরা আমাকে ধরে নাচতে নিয়ে যেতে চাইলে মা আমাকে যে ঠিক বারণ করতেন তা নয়, শুধু বলতেন, দ্যাখো, তুমি বরং সকলের সঙ্গে গান গাও। বাবার কাছাকাছি বা একটু ঘরের কথা খোলসা করে বলতে গেলে, বলতে হয়, বাবার নাকডাকার কাছাকাছি, দীর্ঘ সুখময় দাম্পত্যে বা সাধারণ ভাবে রক্ষনাত্মক যান্ত্রিকতায় (ডিফেন্সিভ মেকানিজম) মার শ্রবণশক্তির দিক থেকে অন্তত: উন্নতির অবকাশ, বলতে নেই, খানিকটা বেশি ই ছিল।

    গান বলতে - যা হয়, সেই বিগত বিংশশতকে রবীন্দ্রকীর্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গৃহপালিত হলে, মূলত: একেকটা আকাশ বা রোদ বা গাছের পাতার বা ফুলের বা ঘাসের বা ক্ষেতের রঙের মানে হয়ে যায় একেকটা গান বা একেকটা পংক্তি। ধরুন সকাল এগারোটা থেকে, সেটা যদি বীরভূমী ফাল্গুনের সকাল হয়, তাহলে একটা কড়া মত রোদ হয়। জেনে রাখবেন, তার রংএর আলাদা নাম নেই। শুধু এটুকু বল্লেই চলে, এই তো ভালো লেগেছিল। যদি ভোর ভোর উঠতেই হয়, কেঁড়ি বকের বাচ্চার দেখভাল তো আর সোজা কথা নয়, তার নাওয়া খাওয়া র একটা সময় ক্ষণ আছে, তাহলে দেখবেন এই ধরুন ঠিক পাঁচটার থেকে আমবাগানে কিম্বা কাঁঠালীচাপা গাছে টুনটুনি লুকোনো জায়্‌গা কমিয়ে ফ্যালার জন্য একেবারে হাতে গড়া যে আলোটা এসে পড়ে তার নাম টাও একটু অল্প ন্যাকা করে ঘোরানো আর প্যাঁচানো। আলোকের এই ঝরণা ধারায়। ধুইয়ে দাও থেকে গানটা বড়দের গান হয়ে যাচ্ছে, ওটা মনে না রাখলেও চলবে।

    সম্পূর্ণ বেসুরে গান গাইতে গাইতে, চিৎকার করে গাইতে গাইতেই বড় হয়ে গেলাম। এবং একটা বয়সে মাঝে মাঝে , শান্তিনিকেতনের যে কোন ছেলে মেয়ের মত মোটামুটি সুরে চিৎকার করার একটা অভ্যেস হল। পরে হর্মোন এবং জ্যোৎস্নায় আক্রান্ত পঞ্চমীতে উই শ্যাল ওভারকামের পরে পরেই ও আমার চাঁদের আলো গাইতে গাইতে সাঁওতাল পাড়ার পাশ দিয়ে ফিরলে হঠাৎ পাশ থেকে বিড়ি মুখে হয়তো কোনো অন্ধকার বলেছে, মিলান বাবুর উই ছেলেটো-ই বটে।

    তো সেইদিন , এই এখনকার সেইদিন, মোটামুটি গান সুরহীন হেমন্ত যখন শরীর মনে ও পকেটে সমাগতপ্রায় বা দু চারটে সিডিতে সাজানো লাঞ্ছনা মাত্র হয়ে রয়েছে হুইস্কিকে বিনীত অতি ব্যবহৃত বয়স্ক বাঈ এর মত একটু ক্লান্তিকর , সঙ্গত দেবে বলে, সেই ইদানীংকার একটা দুপুর বেলায় শান্তিনিকেতন যেতে হল। সেই চেনা রাস্তা, সেই অসংখ্য বাইক বাহিত বেকার তথা গেঁয়ো ডন হুয়ান গণ, সেই পুরোনো আশ্রমিকদের রঙ ওঠা বাড়ি, সম্পূর্ণ অযত্নের বিরাত বাগানে হয়তো ঝোপের মধ্যেই পড়ে আছে কয়েকটা নাগ কেশর ফুল, ঘাড় তুলে দেখতে গিয়ে গাছটাকেও অতি পরিচিত আর অতি ক্লান্ত মনে হল। সেই ডান দিকে রাবণ মার্ডির রিক্সা স্ট্যান্ড, সেইখানে সেই বিড়ি আর গুলতানির রোগা কালো শরীর আর মুখ আর চোখে কখনো কখনো গরমের কখনো পৌরুষের আলসেমী। সেই নোংরা জলের হাতিপুকুর। সেই গুটিকয় সোনাঝুরির তলায় কোন নতুন অপর্ণা আর জয়সিংহ বা রঘুপতি, ক্লান্তিকর ভাবে গত তিরিশ বছর ধরে বিভিন্ন চেহারায় চাপা গলায় টিপিন ভাগ করে খাচ্ছে কারণ চুমু সকলেই জানে দিনের বেলায় ভাগ হওয়া মুশকিল।
    এহেন ফাল্গুনী ক্লান্তিতে হঠাত , একেবারে মনে ছিল না, জায়্‌গাটা, পুকুরটার ঠিক উপরে, একটা একেবারে নিজেকে নি:শেষ করে দিয়ে , সর্বশক্তি দিয়ে ফুটে ওঠা , আত্মপ্রকাশে নুইয়ে পড়া, সমস্ত পাতাকে রসসংগ্রহের প্রতিযোগিতায় হারিয়ে দিয়ে, বিলকুল জমি দখল করে, প্রায় নেড়া ডালের মধ্যে ঘন হয়ে ফুটে আছে হলুদ পলাশ। গাছটা এমনিতে প্যাঁকাটি, মাইলো গমের আমলে ক্যাম্প পোলাদের মত। কিন্তু ফুলের চেহারায় আর সংখ্যায় স্পর্ধা ছাড়া আর কিছু টের পাওয়ার যো নেই।
  • Blank | 59.93.***.*** | ১১ মার্চ ২০০৯ ২১:৩৯407443
  • এইটে কি সত্যি হানু দা লিখেছে? নাকি অন্য কেউ হানুদার নামে লিখে দিয়েছে। প্রতিটা কথার মানে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে !! তাও প্রথমবার পড়েই!!!!!!!
    যাগ্গে, বেশ ভাল্লাগছে পড়তে
  • bitoshok | 128.***.*** | ১১ মার্চ ২০০৯ ২২:০৮407444
  • h-এর গদ্য চিত্রময়। অনেক স্মৃতি আর বিষণ্নতা মনে এনে দিলেন।
  • i | 202.128.***.*** | ১৫ মার্চ ২০০৯ ১৩:১৮407446
  • বাকিটা?
    হনুজী,
    মন মজায়ে লুকালি কোথায়?
  • I | 59.93.***.*** | ১৫ মার্চ ২০০৯ ২১:৪৫407447
  • ব্যাপক হচ্ছে।
  • pi | 69.255.***.*** | ১৬ মার্চ ২০০৯ ১১:২৫407448
  • বাণী কোথায় ধাইলো ? আর আসেনা ক্যানো ?
  • Tim | 198.82.***.*** | ৩০ মার্চ ২০০৯ ০০:৪৭407449
  • বোধিদা, সময় করে লিখো। বসে আছি।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন