এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কোলকাতার রাস্তায়-কিছু ভিখারীদের সাথে

    Blank
    অন্যান্য | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ | ১২৬০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Blank | 203.99.***.*** | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ১৫:২৫406617
  • আমার এক ব্যাঙ্গালোর বাসী বন্ধু, কিছুদিনের জন্য এসেছিল কোলকাতায়। ওরা কয়েকজন ওখানকার কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাথে যুক্ত। তো ওদের একটা প্ল্যান ছিল। ওরা ভেবেছিল একদিন কোলকাতায় রাস্তায় হাঁটবে ওরা। আর কিছু ভিখারী কে ডেকে জিজ্ঞাসা করবে সে কি চায়? মানে তার কোনো স্বপ্ন আছে কিনা, ভালো কিছু খাবার। ভালো কোনো জামা কাপড়ের। কিন্তু টাকা দেবে না হাতে। এই নিয়ে ওর সাথে আমার আগেও তর্ক হয়েছে। এমন কিছু করাও উচিৎ কিনা, তাই নিয়ে।
    সেসব বাদ দিচ্ছি। ও আমাকে মেলে জানিয়েছে পুরো অভিজ্ঞতা টা। সেটাই আমি লিখে দিচ্ছি এখানে।
  • r | 125.18.***.*** | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ১৫:৩৯406628
  • এখানে শালতি রিসার্চ গ্রুপ রাস্তার ভিখারিদের নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে। যোগাযোগ না হয়ে থাকলে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
  • Blank | 203.99.***.*** | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ১৭:২২406635
  • এট্টু বাদে বাকি টুকু লিখচি। শালতি রিসার্চ গ্রুপ এর ব্যপারে আর একটু ডিটেলস চাই।
  • Blank | 203.99.***.*** | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ১৮:১৫406636
  • ভিখারী প্রোগ্রামে আমরা শুরু কোরেছিলাম হাওড়া স্টেশান থেকে। স্বপ্ন, খাওয়া দাওয়া গুলো কতটা সম্ভব হবে জানতাম না আমরা।
    তাই সাথে রেখে দিয়েছিলাম অনেক গুলো কেক, কিছু না হলে একটা করে কেক দিয়ে দেবো-'সান্তনা পুরস্কার'।

    লঞ্চ ঘাটে গিয়ে এক দিদিমার দেখা পেলাম। কে কেমন ভাবে অ্যাপ্রোচ করবে সেই নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল ..
    শেষে আমি পাশে গিয়ে বসলাম, এক টা কেক দিলাম। তারপর প্রশ্ন করলাম কয়েক টা ...

    কোথায় বাড়ি ?
    আমার আবার বাড়ি .. এখানেই অছি ১৭ বছর হয়ে গেল

    কেউ নেই অপ্নর ?
    স্বামি তো অনেক দিন মরেছে, মেয়ে উত্তর প্রদেশে থাকে, আমি এখানেই থাকি ..

    কিছু খেতে চান ?
    টাকা দাও
    না, আমরা খাওয়াতেই চাই। বা অন্য কিছু যদি চান ...
    জানিনা, যা খাওয়াবে খাওয়াও। তবে টাকাই দাও।

    এর পরে উনি কোথায় কি শাড়ি পেয়েছেন তার কথা বলছিলেন। ওখানে এক জন অন্য বুড়ি ও চলে এলেন। উনিও ভিখারি,
    তাকেও আমি কেক দিলাম, তারপর দুই বুড়ি নিজেদের মধ্যে প্রানের গল্প করতে শুরু করলেন। আমাদের আর তেমন পাত্তা দিলেন না।
    ইতি মধ্যে এসে গেলেন এক বুড়ো। ইনি পেন বিক্রেতা। তবে খুব গরীব। ১-২ টাকার পেন বিক্রি করার জন্য জোরাজোরি করছিলেন। সকাল থেকে একটাও পেন বিক্রি হয় নি বলছিলেন। আর বুড়ি যেহেতু শাড়ির কথা বলছিলেন তাই উনি বললেন আচ্ছা তোমরা কি শাড়ি দিচ্ছো?
    আচ্ছা লুঙ্গি আছে ? ইনি ভিখারী নন, কিন্তু খুব কাছা কাছি টাইপ। কিন্তু একে কেক অফার করার একটু কঠিন। আমরা সবাই পেন কিনলাম ওনার থেকে।

    এর পর আমরা ফের এগোলাম ...
  • Blank | 203.99.***.*** | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ১৯:০৭406637
  • লঞ্চ ঘাটের বাইরে এক জন পাগল কে দেখা গেল। পাগল তো রাস্তায় থাকে, ক্ষিদে পেলে ভিক্ষাও চায়, কিন্তু এদের ভিখারী বলা যায় কি?
    এই পাগল একটা 'performance' দেখাচ্ছিল। মানে রাস্তায় নানা ভঙ্গিমায় গড়া গড়ি, কিছু লোক ঘিরে ধরে দেখছিল। আমরা হাওড়া ব্রীজ ধরে এগোতে থাকলাম। রাস্তায় গাদা গাদা লোক, শনিবারেও একটা স্রোতের মতন - কেউ দাড়িয়ে থাকতে পারবে না। স্রোত এগিয়ে নিয়ে যাবে। রেলিং এর ফাঁক দিয়ে ইতি উতি গঙ্গা, কিন্তু কোথাও কোনো ভিখারী নেই।
    তার পর স্ট্র্যান্ড ধোঅরে এগোলাম আমরা। রাস্তায় ভিখারীর মতন দেখতে অনেকেই, কিন্তু কেউ ই ঠিক ভিখারী নয়। বেশির ভাগ কাগজ কুড়ুনে। রাস্তার ধারে ধারে কত ঘর সংসার। ফুটপাথে টল মল ঘুরে বেড়াচ্ছে বাচ্ছা। অস্থায়ী তেরপল থেকে মুখ বাড়াচ্ছে কচি মেয়ে কিন্তু কোথও ভিখারী নেই। শহর কি তবে ভিখারী শুন্য হয়ে গেলো? আমরা ভাবলাম মিলেনিয়াম পার্কের কাছে কাউকে হয়তো পাব, ফেয়ারলি প্লেস বা বাবু ঘাটে, কিন্তু কোথাও কেউ নেই। আমরা এবার ধর্মতলার দিকে এগোলাম। পাওয়া গেছে। একজন ভিখারী - পুরুষ, সম্ভবত মুসলিম, পঙ্গু, হুইল চেয়ারে বসে দোকানে দোকানে ভিক্ষা করছে। আমরা তার কাছে গেলাম। কেক টা বেশ কমিউনিকেশান স্টার্টার হয়। এবারে আমার একজন বন্ধু অ্যাপ্রোচ করলো।
    আপনি খেয়েছেন ?
    না
    আমরা আপ্নাকে খাওয়াতে চাই, আপনি কি খাবেন?
    তোমরা টাকা দিয়ে দাও
    কিন্তু আমরা শুধু খাওয়াতেই চাইছি। এখন তো সড়ে এগারোটা বাজে। খেয়ে নিন না
    দুপুর বেলা খেয়ে দেয়ে রোদে ঘুড়ে বেড়ানো কঠিন। তোমরা খাওয়ালেও তো টাকা খরচ হবে। সেটা আমাকে দাও। আমি এখন খাবো না। ক্ষিদে নেই।
    আমাদের টাকা দেওয়া উদ্দেশ্য ছিলো না। ইনিও টুক টুক দোকানে দোকানে এগোলেন। আমার কেনো জানি না মনে হোলো ইনি বেশ গরীব বোতে। কিন্তু ভিক্ষা করেন টাকা উপর্জনের জন্য। লক্ষ্য করার কথা আগের দুই বুড়ি বা ইনি কেউ ই কেক টা আমাদের সামনে খায় নি, প্রত্যেকে যত্ন করে রেখে দিয়েছে পরে খাবে বলে ...

    দু ঘন্টা রোদে হেঁটে তিনটে কেক খরচ করে ক্লান্ত আমরা ধর্মতলায় একটা হোটেল এ খেতে ঢুকে পরলাম। লাঞ্চ ব্রেক ...
  • Blank | 203.99.***.*** | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ১৯:৩০406638
  • খেয়ে দেয়ে চাঙ্গা হয়ে আমরা আবার পথে বেড়োলাম। ধর্মতলা থেকে যে রাস্তা টা ইডেন গার্ডেনের দিকে চলে যায়, যে খানটায় বড় বাস স্টপ সেখানে লম্বা চুল দাড়ি ওলা পরের ক্যারেক্টার কে পেলাম আমরা। ইনি ফুট পাথ থেকে রাস্তায় পা ছরিয়ে আয়েস করে বসেছিলেন। সাথে একটা বড় প্লাস্টিকের ব্যাগ। তাতে পাচ মেশালি খাবার - একটা পেয়ারা, একটু ভাত এসব। আমি দেখে টেখে ভাবলাম পাগল। কিন্তু কেক দেওয়ার একটা চেষ্টা করাই যাক। আমি এগিয়ে গিয়ে সামনে গিয়ে হাসলাম। উনিও হাসলেন। সেই হাসিটা দারুন সুন্দর একটা হাসি। আমি ভরসা পেয়ে কেক দিলাম। উনি নিয়ে নিলেন, আবার সুন্দর একটা হাসি উপহার দিলেন। উনি কেক টার দিকে তেমন একটা দেখছিলেন ই না। শুধু আমার দিকে তাকিয়ে দারুন একটা হাসি। অনেক টা সেই গুজরাটের বন্যায় সেই সেলাই মেশিন হাতে বুড়োর মতন (ছবিটা কেউ দেখেছেন?)। আমার মনে হচ্ছিলো ইনি বেশ রসিক পাগল। কাউকে বিরক্ত করেন না। বরং দু চোখ ভরে জীবনের হরেক মজা ফুটপাথে বসে বসে দিব্যি দেখে চলেন। লোকে খাবার দিলে খান বা বড় প্লাস্টিকের ব্যাগে জমিয়ে রাখেন।
    দুর থেকে দেখলাম আমাদের দেওয়া কেকটা আশ্রয় নিল সেই বিরাট ব্যাগ টায়।

    ধুর, কেউ আমাদের কেক খাচ্ছে না। সব জমিয়ে রাখছে .. :(
  • Blank | 203.99.***.*** | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ১৯:৫৩406640
  • (আরো একটা কিস্তি আছে। সেটা এখনো লিখে পাঠায় নি আমাকে। পাঠালে এখানে লিখে দিচ্চি)
  • Blank | 203.99.***.*** | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ১৯:৫৩406639
  • এবার আমরা গেলাম দুর পাল্লর বাস স্ট্যান্ডটায়। সেখানে অনেক ভাতের ছোট খাট হোটেল। অনেকে খচ্ছে দাচ্ছে। আমরা এগিয়ে যেতে যেতে আবার এক জন কে পেলাম। এক যুবক। খুব ময়লা জামা গায়ে। মাথায় বিশাল জটা। পাশে একটা খুব ময়লা ব্যগ। কে ইনি? ভিক্ষুক নাকি পাগল নাকি কোন রাস্তায় যাবে ঠিক করতে পারেনি বলে পথ কেই ঘর দোর করেছে এমন কেউ। আমি কেক দিতে চাইলাম। লোক টা নিয়ে নিলো। একটু দুরে গিয়ে দেখলাম ছেলে টা প্যাকেট খুলে তখন ই খেতে শুরু করেছে। খুব তাড়াহুড়োয় খাচ্ছে। আমরা বুঝলাম যে এ খেতে চায়। এর খিদে আছে পেটে অনেক। আমাদের দলের একটি ছেলে এগিয়ে গেলো খুব উৎসাহ নিয়ে,

    ভাত খাবেন ?
    হ্যা

    আমরা কিনতে যাচ্ছিলাম, আবার ফিরে এলাম পচ্ছন্দ জানতে।

    আপনি কি খেতে ভালোবাসেন ?
    ভালবাসি মানে ?
    খুব অবাক ছেলেটা। ভলোবসার কতো গুলো মানে হয় তাই না!!! হয়ত ঐ রাস্তায় পরে থাকা যুবকের কাছে ভালবাসার মানে নেই আর কোনো।
    কি দিয়ে ভাত খেতে চান ?
    মাছ

    আমরা ভাতের দোকানে ফিরে এলাম। ভাত ,ডাল ,তরকারি ,রুই মাছের ঝোল আর স্যালাড একটা বাক্সে ভরে নিলাম দোকান থেকে। ১৬ টাকা।
    আমরা সেটা নিয়ে ফিরে আসি্‌ছলাম। আমি ভাবছিলাম ঐ ছেলেটা কি অপেক্ষা করছে নাকি নিজের খেয়ালে কোথাও চলে গেছে। নাহ আছে। আমাদের আসতে দেখে অনেক দুর থেকেই বেশ গুছিয়ে বাবু হয়ে বসলো। অনেক অগ্রহ নিয়ে ভাত এর বাক্স খুলে খেতে লাগলো। মনে হয় অনেক দিন এভাবে খায় নি। আমরা জল লাগবে কিনা জানতে চইলাম। ছেলে টার কাছে একটা পুরনো ময়্‌লা প্লাস্টিকের খালি বোতল ছিল। সে বললো কোথায় একটা কল আছে। নিজে নিয়ে নেবে জল।
    আমাদের বসতে বললো, কেন বললো জানি না। ভেবে পেলাম না।
    গাছের তলায় বসলাম আমরা। দেখলাম ছেলে টার পুরনো ব্যাগের কোন কোনা থেকে বেড়িয়ে এলো একটু ড্যালা ড্যালা নুন। কিন্তু এ ভাবে কাউকে খেতে দেখা টাও কেমন কেমন অস্বস্তিকর।

    আমরা তাকে বিদায় জানিয়ে এগিয়ে চললাম। আমি ভাবছিলাম ছেলে টাকে নিয়ে। কথা বর্তায় তো বেশ ভদ্র। মার্জিত। পাগল ও তো নয়। আবার টাকা দাও টাকা দাও বোলে নি। কে এ ? প্রশ্ন টার উত্তর কোনো ও দিনও জানা হবে না আমার। এগিয়ে চললাম ...
  • ranjan roy | 122.168.***.*** | ১৯ অক্টোবর ২০০৮ ০০:৪৫406641
  • দারুণ লাগছে ব্ল্যাংকি! তোমার বন্ধুটিকে রিমাইন্ডার দাও।
  • bitoshok | 98.24.***.*** | ১৯ অক্টোবর ২০০৮ ১১:৩০406618
  • শালতি গ্রুপের কাজটার রেফারেন্স আমিও চাই। অনলাইন আছে কি? না থাকলে কিভাবে পাওয়া যেতে পারে যদি জানান।
  • Blank | 59.93.***.*** | ১৯ অক্টোবর ২০০৮ ২১:০২406619
  • এবরে আমাদের প্ল্যান ধর্মতলা থেকে রবীন্দ্রসদন , সেই একই গল্প। যাকেই ভিখারি ভেবে এগোতে চাই সেই হয়ে যায় কাগজ কুড়ুনে ওলা। দেহাতী বৌ, মাঠে বসে থাকা ক্লান্ত মানুষ ...
    আমরা অফিস পাড়া গুলোয় যাই, টিফিন টাইম, অনেক লোক খেয়ে চলেছে নানা রকম খাবার। সব ব্যস্ত লোক জন ..
    আমরা ভাবলাম আশে পাশে কাউকে পাবো, কিন্তু কেউ ই নেই। তারপর ঝুপ ঝুপ বৃষ্টি নামল। আমি আর একজন বন্ধু ছাতা মাথায় দিয়ে আর একটি বাচ্চা বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে কোনো রকমে এগিয়ে চললাম। শেষ মেশ বৃষ্টি বাড়ায় একটা বড় অফিস বাড়ির তলায় দাঁড়ালাম। ওখানে বৃষ্টি থেকে বাঁচতে অনেক মানুষের ভিড় ..
    সেখানেই আমরা ঐ লোক টাকে দেখতে পেলাম। মাঝ বয়সী , মাথায় তিলক কাটা , ধোপ দুরস্ত গেরুয়া পোষাক , বোষ্টম টাইপ ... গান গেয়ে ভিক্ষা করছেন। অর্থাৎ কিনা আমাদের সাবজেক্ট। কিন্তু আমাদের দলের একটি মেয়ে বলে উঠল এ তো কাপ্তান টাইপ, রীতি মত বাবু। একে ও তাই কেক অফার করা হল না ..

    আমরা আবার হাঁটতে শুরু করব ভাবছি, আমার মনে পড়ল ছোটবেলায় শুনেছি 'বাবা তারক নাথের চরণে সেবা লাগে, মহাদে এ এ ব' , মুসলমান ফকির, বোষ্টম, বোষ্টুমী .. এরা ধর্ম বেস করে ভিক্ষা করে .. তবে আমি নিজে, কেউ গান গেয়ে ভিক্ষা করলে সেটাকে একটু অন্য চোখে দেখি। একজন পারফর্ম করছে, তার বিনিময়ে টাকা চাইছে। এই লোকটার নেগেটিভ পয়েন্ট কি ওর পরিষ্কার জামা কাপড় হয়ে গেলো?
    কিন্তু আবার এমনও ভাবলাম, এ তো জোয়ান লোক, সুস্থ সবল, এ কেন অন্য কাজে যায় না, গান গেয়েই ভিক্ষা করে বেড়ায়। যদিও পোষাক আশাক হাব ভাব ই বলে দেয় এর অর্থনৈতিক অবস্থা সাধাদর্ন ভিখারীদের চেয়ে অনেকটাই ভালো।
    বিড়লা প্ল্যানেটরিয়াম, নন্দন, রবীন্দ্র সদন সব নিষ্ফল গেল আমাদের। তারপর আমরা অ্যাকাডেমি তে নাটক দেখতে ঢুকে পড়লাম, অ্যাকাডেমি-র বাইরে ছোট ছোট চায়ের দোকান। হেঁকে হেঁকে 'মোমো খাবেন' বলে মোমো বিক্কিরি হচ্ছে। দেখে শুনে মজা পেলাম..
    ওখানে এক জন পাগল উপস্থিত। তবে ইনি রসিক টাইপ নন। বেশ উচ্চাঙ্গের, রাগ প্রধান। কে জানে কার বিরুদ্ধে অনেক অনেক অভিযোগ করে চলেছেন , চোপ চোপ বলে শাসাচ্ছেন। এদিক ওদিক জোরে জোরে হাঁটা হাঁটি করছেন। আমি ভাবলাম আমার কেক যখন খরচ ই হচ্ছে না একটু ট্রাই করা যাক। আমি ওনার যাওয়া আসার রাস্তায় কেক টা একটু বাড়িয়ে ধরলাম। এই পাগল সেটা দেখলেন, কিন্তু এক্‌দম ই পাত্তা না দিয়ে
    বক বক করতে করতে নিজের মত এগিয়ে গেলেন। আমার ই ভুল, যাঁর কাঁধে এত দায়িত্ব বদমাস লোকেদের শায়েস্তা করার তিনি কেন আমার কেক দেখে আকৃষ্ট হতে যাবেন !
    পায়ে পায়ে সন্ধ্যে আসব আসব করছে। আমরা ভিক্টোরিয়ার সামনে গেলাম। একটু খুঁজে খুঁজে দেখলাম। নাহ কেউ ই নেই ..
    আমাদের জানাই হল না ওদের স্বপ্নগুলো .. ইচ্ছা গুলো ..
    আমরা খরচের লিমিট রেখেছিলাম ১৫০০ টাকা। এই দামেই কিনবো ভেবেছিলাম অন্তত দুজন ভিখারির স্বপ্ন, ইচ্ছে, ভালো মন্দ গুলোকে ..
    সেখানে খরচ হল ৩১ টাকা মোট। আমাদের ৪ঠা অক্টো-র ভিখারি অভিযান ওখানেই শেষ ।
  • Blank | 59.93.***.*** | ১৯ অক্টোবর ২০০৮ ২১:০৩406620
  • শেষ
  • shrabani | 59.94.***.*** | ১৯ অক্টোবর ২০০৮ ২২:০৭406621
  • একটাই কথা ব্ল্যাঙ্ক ইচ্ছে করে ভুল বানান লেখে!
  • Blank | 59.93.***.*** | ১৯ অক্টোবর ২০০৮ ২২:৪৮406622
  • বানান ভুল কোথায় হলো?
  • Blank | 59.93.***.*** | ১৯ অক্টোবর ২০০৮ ২৩:০৪406623
  • আচ্ছা, কয়েকটা ছোট্ট সংশোধন
    ১) পেন বিক্রেতার সঙ্গে যে ছেলেটি কথ বোলেছে, সেই পেন কেনে। বাকিরা নয়। পরে সে বাকিদেরকে বুড়োর তরফের কথা গুলো জনয়।
    ২) অফিস পাড়ায় যখন বৃষ্টি নামে তখন আমার বন্ধুটি এঅবং দলের অন্য একজন ছাতা মাথায় দেয়। তৃতীয়জন, বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে যাচ্ছিলো। সে বৃষ্টি বিলাসি, ভিজতে ভালবাসে।
    ৩) 'আমাদের দলের একজন মেয়ে বলে উঠলো, এতো কাপ্তান টাইপ', এটা মেয়ে নয় ছেলে হবে।
  • shyamal | 24.119.***.*** | ২০ অক্টোবর ২০০৮ ০০:৫৩406624
  • এবার দেশে গিয়ে শান্তিনিকেতন বেড়াতে গিয়েছিলাম। ট্রেন যখন বোলপুরের কাছাকাছি গেছে , দেখি একজন ভিখারি উঠেছেন আর গান গেয়ে ভিক্ষা করছেন। গান হল রবীন্দ্রসঙ্গীত। এর আগে ভক্তিগীতি গেয়ে ভিক্ষা করতে দেখেছি। কিন্তু রবীন্দ্রসঙ্গীত এই প্রথম। আর লোকটির গলা বেশ ভাল।
  • bitoshok | 98.24.***.*** | ২০ অক্টোবর ২০০৮ ০৭:৪০406625
  • শ্যামলবাবু কি শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেসে বোলপুর যাচ্ছিলেন? আপনি যার কথা বলছেন, সম্ভবত উনি কিছুদিন আগে কলকাতার একটি FM চ্যানেলে গান গাইবার সুযোগ পেয়েছিলেন। ওঁর গান শুনে কোনো একজন মুগ্‌ধ শ্রোতা সংবাদপত্রে চিঠি লেখেন, এই ভাবে যোগাযোগটি হয়। তারপর অবশ্য যথাপূর্বম।

    বর্ধমান-রামপুরহাট এই লাইনে বেশি চলে বাউল গান। অনেকেই বেশ ভালো গান। তবে ঐ যা হয় -- হাল্কা কিছু গান ঘুরে ফিরে চলে।
  • siki | 203.122.***.*** | ২০ অক্টোবর ২০০৮ ১১:০১406626
  • রবীন্দ্রসঙ্গীত চলত তো! অন্তত আজ থেকে দশ বছর আগেও ব্যান্ডেল লোকালে শুনেছি। রেয়ার হলেও, দু একজন গাইতেন।
  • santanu | 82.112.***.*** | ২০ অক্টোবর ২০০৮ ১২:৩৭406627
  • ঐ রবীন্দ্রসংগীত গায়ক শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেসের AC কামরাটাতে ওঠেন (আমি যে কবার দেখেছি)।

    প্রথমবার ওনাকে আসতে দেখে আমি একটা ৫ টাকার কয়েন পার্স থেকে বার করে বসে আছি। তাই দেখে বউএর কি ঝাড়, "৫ টাকা দিচ্ছ, উনি কি ভিখারি?"

    আমার প্রায় মুখ দিয়ে বেড়িয়ে গেসল, "ভিখারি নয়?" - কপ করে গিলে ফেলেছিলাম।

    পুরোনো কথা মনে পড়ে গেল।
  • lcm | 71.132.***.*** | ২০ অক্টোবর ২০০৮ ১২:৫৫406629
  • অমি শুনেছিলাম একবার, 'পুরানো সেই দিনের কথা' - বারাসাত লোকালে বোধহয়।
  • ranjan roy | 122.168.***.*** | ২২ অক্টোবর ২০০৮ ২০:৫৭406630
  • শ্যামল এবং শান্তনু,
    ঐ ভদ্রলোকের নাম তমালচন্দ্র দাস। উনি রোজ কোলকাতা- শান্তিনিকেতন রুটে ট্রেনে গান গেয়ে থাকেন, হ্যাঁ, এসি কোচে ও ওঠেন। শুনেছি একবার নাকি সুচিত্রা মিত্র ওর গান শুনে একশ' টাকা দিয়েছিলেন।
    কালো, লম্বা একহারা চেহারা, থাকেন বোলপুরের কাছেই।
    আমি অন্য গানের মধ্যে দু'তিন বার ওনাকে যে গান বেশি গাইতে শুনেছি তা হল "" না চাহিলে যারে পাওয়া যায়''।
    ভদ্রলোককে কিন্তু লোকের সামনে গিয়ে বাটি ধরে চাইতে দেখিনি। গান শুনে যাত্রীরা দেয়। আর্থিক অবস্থা আদৌ ভাল নয়। এঁকে কি ভিখারি বলব? জানি নে।
  • debu | 206.49.***.*** | ২৪ অক্টোবর ২০০৮ ২৩:২৫406631
  • নন্দন চত্তরে এক্‌জন গায় সেও হাফ পাগল গান টা ভাল ই গায়
    পয়্‌সা নিলোনা বল্লো চা খাইয়ে দাও
    শুনেছি প্রেমে ঝার খেয়েছিলো
    ওম শান্তিঁ ওঁ
  • bitoshok | 128.***.*** | ২৫ অক্টোবর ২০০৮ ০২:৫৯406632
  • শোভাবাজার মেট্রো স্টেশনে একদিন ১২-১৪ বছরের একটি ছেলেকে গাইতে শুনেছিলাম। খুব একটা ভালো হয়তো নয়, কিন্তু ঐ পরিবেশে খুব মুভড হয়েছিলাম।
  • r | 121.245.***.*** | ২৫ অক্টোবর ২০০৮ ০৯:৪৪406633
  • শালতি রিসার্চ গ্রুপ বেহালার একটি সংস্থা। এদের ফিল্ড স্টাডি নিয়ে ক্যাম্প প্রকাশ করেছে "ভিখারি: একটি অনুসন্ধান"।
  • name | 69.114.***.*** | ০১ নভেম্বর ২০০৮ ০৮:০৪406634
  • #২৪৭৬;#২৪৯৪;#২৪৩৪;#২৪৮২;#২৪৯৪;#২৫২৭; #২৪৭৪;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৪৭৯;#২৪৯৭;#২৪৫৩;#২৫০৯;#২৪৬৮;#২৪৯৫; - #২৪৬৩;#২৫০৩;#২৪৫৩;#২৪৭৬;#২৪৯৪;#২৪৩৪;#২৪৮২;#২৪৯৪; #২৪৬৫;#২৪৬৩; #২৪৭২;#২৫০৩;#২৪৬৩;
    হ্‌ত্‌ত্‌প://তেচ্‌বন্‌গ্‌ল।নেত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন