এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর  জীবনানন্দ

  • জীবনানন্দ ও সঞ্জয় ভট্টাচার্য: ভূমেন্দ্র গুহ

    I
    বইপত্তর | ২৬ ডিসেম্বর ২০০৮ | ৬৭৯০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r.h | 117.194.***.*** | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ২২:১৪403908
  • ভাটে পাখি প্রসঙ্গ দেখে এইটা মনে পড়ে গেলো।
  • তাপস | 233.29.***.*** | ১৬ জুলাই ২০১৪ ১২:৩৬403909
  • এইটা দু বছরের বেশি সময় ধরে পড়ে আছে? ধুলো মাখা? ট্রাঙ্কের মধ্যে? একটু পরিষ্কার করা যাক - পাঠ উদ্ধার প্রবণতায় ।
  • pharida | 192.68.***.*** | ১৬ জুলাই ২০১৪ ২২:৩০403910
  • গুপ্তধন পাওয়ার মতো খুশি দিল এই লেখাগুলো. যে সময়ে লেখা সেই সময়টায় ঠিকঠাক দেখা হত না গুরু.

    তাপস কে ধন্যবাদ. গুপ্তধন পাওয়ার মতো খুশি দিল এই লেখাগুলো. যে সময়ে লেখা সেই সময়টায় ঠিকঠাক দেখা হত না গুরু.

    তাপস কে ধন্যবাদ.
  • nina | 78.37.***.*** | ১৮ জুলাই ২০১৪ ০৪:২৮403911
  • ফরিদাকে ডিট্টো---
    তাপস কে অনেক ধন্যবাদ--একসঙ্গে বসে এমন একটা লেখা পড়তে পারার সুযোগের জন্যে----
    ডগদার আজকাল আর লিখছে না কেন
    :-(
  • তাপস | 233.29.***.*** | ১৮ জুলাই ২০১৪ ১৫:৫৩403912
  • ইন্দোকে লেখার জন্যে নানা ভাবে প্ররোচিত করুন । ফোনে বলুন, ফেবুতে মেসেজ করুন । তবেই না উদ্ধারের সার্থকতা !
  • nina | 78.37.***.*** | ২০ জুলাই ২০১৪ ০২:১১403913
  • সত্যি সিরিঞ্জে শুধুই আজকাল শরীরের ওষুধ--

    আর মনের জন্যে কিস্যু নেই -- এ কেমন ডাক্তারি ডাক্তার ?!
  • ফারুক মঈনউদ্দীন | 130.6.***.*** | ২০ জুলাই ২০১৪ ১৯:১৬403914
  • ভাতৃবধু নলিনীকে লেখা জীবনানন্দের চিঠির অংশ :
    "অধ্যাপনা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সে সবের বর্তমান অবস্হা সম্পর্কে আপনি যা লিখেছেন ঠিকই । তবে অধ্যাপনা জিনিষটা কোনো দিনই আমার তেমন ভালো লাগেনি । যে সব জিনিষ যাদের কাছে যেরকম ভাবে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে তাতে আমার বিশেষ আস্হা নেই । এ কাজে মন তেমন জাগে না ; তবু সময় বিশেষে অন্য কোনো কোনো প্রেরণার চেয়ে বেশি জাগে তা' স্বীকার করি ।"
    ( পৃষ্ঠা ২২৮, ক্লিন্টন বি সিলি লিখিত বইটি থেকে । 'অনন্য জীবনানন্দ' শিরোনামে অনুদিত, ঢাকার প্রথমা কর্তৃক প্রকাশিত )
  • Rabaahuta | 233.186.***.*** | ০২ ডিসেম্বর ২০১৭ ২১:০৫403915
  • গুরুচণ্ডা৯ ফেসবুকে দীপক ঘোষ লিখেছেন-

    তিসিডোর
    কেতকী কুশারী ডাইসন
    প্রকাশক ঃ আনন্দ

    বুদ্ধদেব বসুর তিথিডোর নামে একটি বহু পরিচিত উপন্যাস আছে । এই উপন্যাসটির নামকরণ মনে হয় তারই সঙ্গে সাযুজ্য রেখে । কারণ কেতকীর এই বিশাল কাহিনিটির অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্রও লেখক বুদ্ধদেব । উপন্যাসটির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য এই যে এটি ফিল্ম উইদিন ফিল্মের মতো নভেল উইদিন নভেল । এই উপন্যাসের কেন্দ্রে আছে অন্য একটি উপন্যাস ।

    জীবনানন্দ দাশের মৃত্যুর পর তাঁর জীবৎকালে লেখা অনেকগুলি উপন্যাসের সন্ধান পাওয়া যায় । একথা আমরা অনেকেই জানি । এবং সেগুলির অধিকাংশই আবিষ্কার করে জনসমক্ষে আনার কৃতিত্ব ছিল ভূমেন্দ্র গুহর । এমনই একটি উপন্যাস হলো ' সফলতা-নিষ্ফলতা ' । এই নাম কবির দেওয়া নয় । সম্ভবত নামহীন ছিল । সম্পাদক ভূমেন্দ্র গুহ এই নামকরণ করেছিলেন । লেখার পরে জীবনানন্দের বাকি উপন্যাসগুলির যে নিয়তি হয়েছিল , এই উপন্যাসটিরও একইরকম পরিণতি হয়েছিল । সেই বাক্সবন্দী অবস্থা । ১৯৩২ সালে লেখা এই রচনাটি শেষ পর্যন্ত মুক্তির আলো দেখে ভূমেন্দ্র গুহর সৌজন্যে । সম্ভবত ২০০২-২০০৩ সালে ।

    যাইহোক , জীবনানন্দ দাশের উপন্যাসে মূল চরিত্র দুটি । এরা হলো নিখিল এবং বানেশ্বর । নিখিল হতাশাগ্ৰস্ত , নিজেকে নিষ্ফল মনে করে । কিন্তু আকাঙ্খা করে জাগতিক যাবতীয় সাফল্য , কবি হিসেবে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি । প্রকৃত অর্থে সে নিষ্ফলতারই মূর্ত প্রতীক । অন্যদিকে , বানেশ্বর আত্মস্থ করে যৌবনকে । সে বহির্মুখী , ফিকশন লিখে উপার্জন করে প্রচুর । ব্রেকফাস্টে ডিম খায় (৩ এর দশকে ব্রেকফাস্টে ডিম খাওয়া ছিল স্ট্যাটাস সিম্বল ) । সম্পাদক ভূমেন্দ্রর ধারণা , এখানে নিখিল হলেন স্বয়ং জীবনানন্দ এবং বানেশ্বর চরিত্রটি আঁকা হয়েছে বুদ্ধদেব বসু অবলম্বনে । বানেশ্বর বাস্তবিকই ক্ষুদ্রতার প্রতিমূর্তি যে কিনা সফলতার জন্য সবকিছু করতে পারে । তার আত্মবিশ্বাসও প্রবল ।

    আমাদের মনে রাখতে হবে নিখিল ও বানেশ্বর চরিত্রদুটির ইন্টারপ্রিটেশন সম্পাদক ভূমেন্দ্রর নিজস্ব । এরপর আসে আরো একটি ব্যাখ্যা । এবার সমীর সেনগুপ্তর থেকে । অনুষ্টুপ পত্রিকায় একটি প্রবন্ধে তিনি লেখেন , বানেশ্বর আসলে জীবনানন্দেরই অল্টার ইগো বা দ্বিতীয় সত্ত্বা । বানেশ্বর মোটেই বুদ্ধদেব নন ।

    নিখিল ও বানেশ্বরের এই সূত্র ধরেই বাস্তবের জীবনানন্দ ও বুদ্ধদেবকে 'তিসিডোর' উপন্যাসে (প্রকাশকাল ২০০৮ অর্থাৎ ভূমেন্দ্র কৃত সম্পাদিত উপন্যাসটি আবিষ্কারের পাঁচ ছ' বছর পর ) নিয়ে আসেন কেতকী । এই দুজন মানুষের চরিত্র প্রতিভা মনস্তত্ব উপস্থাপন করলেন তুলনামূলক ধারায় এবং বিস্তারিতভাবে । এই কাহিনিটির প্রেক্ষাপট অক্সফোর্ড সন্নিকট এক মফস্বল শহর । এখানে হাজির আরো অনেক বিদেশি চরিত্র । তাদের নিজস্ব সমস্যাও কিছু কম নয় । কিন্তু উপন্যাসের অভিমুখ নির্দিষ্ট থাকে বুদ্ধদেব বসু ও জীবনানন্দ দাশের প্রতি । জীবনানন্দের মনস্তত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কেতকী ব্যবহার করেছেন গুস্তাভ ইউংএর থেওর‌্য ওফ শদো বা ছায়াতত্ব । এমনকি বইতে ছায়া শীর্ষক একটি পর্বও রয়েছে ।

    এখন এই ছায়াতত্ব বিষয়টা কিরকম ? অনেকটা এইভাবে বলা যায় ---- আমাদের বিকাশ যে বৃত্তি বা মূল ধারায় হয়েছে তার বাইরেও কিছু সম্ভাবনা ছিল যা আমরা হতে পারতাম । কিন্তু শেষ পর্যন্ত হইনি । তাহলে এই সম্ভাবনাগুলো যায় কোথায় ? আসলে সেইসব সম্ভাবনা অবচেতনে ছায়া হয়ে আমাদের সঙ্গেই ঘোরে ফেরে । সেগুলো দিয়েই তাঁর বানেশ্বরকে সাজিয়েছেন জীবনানন্দ । আর তাঁর নিখিল অন্তর্মুখী,আত্মমগ্ন, হীনমন্য ,লাজুক । ছোটজগতের বাসিন্দা । তার পক্ষে সম্ভব নয় মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করা । তার মধ্যে নেই জীবনের আনন্দকে , যৌবনকে উপভোগ করার উদ্যম । সে তো আসলে গ্রাম্য, চিরবিষাদগ্রস্ত , হয়ত আত্মহননের অভীপ্সাও তাকে তাড়া করে বেড়ায় । অন্যদিকে বানেশ্বর বা বুদ্ধদেব সমাহিত , মানসিক ভারসাম্যের অধিকারী । সে প্রাণচঞ্চল , অকপট,সহাস্য , বিশ্বনাগরিকতার ভাবনা দ্বারা প্রভাবিত । নিখিল বা জীবনানন্দের প্রতি তার লেশমাত্র ঈর্ষা নেই ।

    ভূমেন্দ্র গুহ কৃত জীবনানন্দের ' সফলতা নিষ্ফলতা' উপন্যাসের সম্পাদনা কেতকীর আদৌ পছন্দ হয়নি । বরং বলা যায় , তিনি সম্পাদনাকর্মটিকে প্রভূত নিন্দাই করেছেন । তিনি মনে করেছেন, এই সম্পাদনার নেপথ্যে আছে রাজনীতি । বুদ্ধদেব বসুকে ছোট করা হয়েছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে । বলা বাহুল্য কেতকীর এই পর্যবেক্ষণ সমীর সেনগুপ্তর মতের বিপরীত । সামাজিক অবস্থান সম্পর্কে জীবনানন্দের উদ্বেগ ছিল । অর্থাৎ সমাজের উপরিতল তাঁর আকাঙ্খার বিষয় ছিল । কিন্তু সেখানে পৌঁছতে পারার সম্ভাবনা নিয়ে তাঁর উদ্বেগ ছিল । সেকারণেই তিনি সর্বদা উদ্বেগরোগ বা নিউরোসিসে ভুগতেন । কেতকীর মতে, জীবনানন্দের থেকে সাহিত্যকৃতি এমন কী মৌলিক কবিতা সৃষ্টিতেও তাঁর থেকে এগিয়ে বুদ্ধদেব । অথচ এরকম জানা গেছে আর্থিক দিক দিয়ে বুদ্ধদেব খুব স্বচ্ছল ছিলেন না । কন্যা দময়ন্তী বসু সিংকে লেখা চিঠি থেকে প্রকাশ পায় যে বই কেনার জন্য বুদ্ধদেবকে মেয়ের কাছে হাত পাততে হয়েছে । পেশাগত দিক দিয়েও কি তিনি খুব স্বস্তিতে ছিলেন ? আমরা জানিনা , কোন কারণে তিনি নিজের তৈরি যাদবপুরে তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগ থেকে ১৯৬৩ সালে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন ।

    আনন্দ প্রকশনার সাড়ে আটশো পৃষ্ঠার এই দীর্ঘ উপন্যাসটি মাঝে মাঝে ক্লান্তিকর লাগে । ধৈর্যশীল পাঠক অবশ্যই ঋদ্ধ হবেন । অনুষঙ্গ হিসেবে এসেছে রাজনীতি,ঈশ্বর,সমকাল ইত্যাদি নানান প্রসঙ্গ । সম্পূর্ণ উপন্যাসটি ইংল্যান্ডে ভারতীয় অভিবাসী তিসির জবানবন্দিতে উত্তম পুরুষে লেখা । একে কেউ কেউ দীর্ঘ প্রবন্ধ বললেও বলতে পারেন । রাগসঙ্গীতের শিল্পীর মতো আলাপ থেকে বিস্তারে গেছেন কেতকী । তিসি চরিত্রের মধ্যে নিশ্চিতভাবে বিরাজ করছেন স্বয়ং লেখিকা ।

    বাংলা সাহিত্যপ্রেমীদের এই উপন্যাস ধাক্কা দিতে পারে দুটি কারণে । ট্র্যাজিক-হিরো সাহিত্য-শহীদ জীবনানন্দের কবিতা বাঙালিমানসকে যেভাবে আপ্লুত বা গ্রাস করে রেখেছে সেদিক দিয়ে বিচার করলে কেতকীর এই উপন্যাস তাতে একটি মোক্ষম আঘাত । দ্বিতীয়ত পরীক্ষামূলক উপন্যাসটির অনির্ণেয় ‌গেন্রে । রচনাকর্মটি শিল্পসম্মত হয়েছে কিনা এ বিষয়ে স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছানো মুশকিল । আর একটি উল্লেখ করার মতো কথা । এখানে নানাভাবে এসেছেন রবীন্দ্রনাথ। উপন্যাসটি শেষ হচ্ছে এইভাবে ঃ লেখিকা স্বামীর সঙ্গে মিউজিযামে দেখছেন ডেডুলাস ও ইক্কারুসএর ভাস্কর্য । আর তাঁর মনে পড়ছে এই প্রসঙ্গে বুদ্ধদেব বসুর অবিস্মরণীয় কবিতাটি ।

    ইক্কারুসএর মোমের ডানা সূর্যের আগুনে গলে গিয়েছিল । আমাদের মনে হয় সাহিত্য ও শিল্পের আগুনে পুড়ে জীবনানন্দ ও বুদ্ধদেব দুজনেই খাঁটি সোনা । সুতরাং খাদ খুঁজে লাভ কী ?

    ( এই রিভিউ আমার বন্ধু সুবীর সরকারের লেখা )
  • I | 57.15.***.*** | ০২ ডিসেম্বর ২০১৭ ২৩:২৭403917
  • এই টইটা ভালোই হচ্ছিল, পড়ে দেখলাম এত বছর পরে আবার। আট বছর হয়ে গেল !!!

    শেষ করা আর হোলো না। থাগ্গে,অশেষ হয়ে। মানুষের কত সাধই তো অপূর্ণ থেকে যায়।
  • rabaahuta | 132.166.***.*** | ০২ ডিসেম্বর ২০১৭ ২৩:২৯403918
  • হ্যাঁ এই টইটা খুবই ভালো হচ্ছিল, আমি মাঝে মাঝে পড়ি।
  • b | ***:*** | ১৬ আগস্ট ২০১৯ ১৫:৩১403919
  • আর আমি তো এমনি এমনি পড়ি।
    ডাক্তারবাবু আর লেখেন না? কেন?
  • অর্জুন | ***:*** | ১৭ আগস্ট ২০১৯ ০১:২৮403920
  • Rabaahuta সুবীর সরকারের যে লেখাটা শেয়ার করেছেন তা পড়ে ভাল লাগল কিন্তু কিঞ্চিৎ অসম্পূর্ণ মনে হল।

    ভূমেন্দ্র গুহ এক নিষ্ঠ ভাবে আজীবন জীবনানন্দ দাশকে অন্বেষণ করে গেছেন। সম্ভবত ট্রামের ধাক্কার পরে উনি যখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সেই সময় শ্রী গুহ সেই হাসপাতালে ইন্টার্ন করছিলেন এবং কবিকে তার মৃত্যুর আগে শেষ কদিন দেখার সুযোগ পান। নব্বই দশকের শেষ থেকে জীবনানন্দের বিভিন্ন অপ্রকাশিত লেখা তিনি সম্পাদনা করে প্রকাশ করেছেন। তার মধ্যে বেশ কিছু উপন্যাস। উপন্যাসটির নাম যে ' সফলতা নিষ্ফলতা' তা এই প্রথম জানলাম। এই উপন্যাসের দুটি চরিত্র নিখিল ও বানেশ্বর। 'নিখিল হলেন স্বয়ং জীবনানন্দ এবং বানেশ্বর চরিত্রটি আঁকা হয়েছে বুদ্ধদেব বসু অবলম্বনে' এটা প্রায় অধিকাংশ সমালোচক ধারণা করে নেন এবং এ নিয়ে প্রভূত বিতর্ক হয়। বিশেষত বুদ্ধদেব বসুর দুই স্পর্শকাতর কন্যা মীনাক্ষী দত্ত ও দময়ন্তী বসু সিংহ ভূমেন্দ্র গুহ'কে না হলেও জীবনানন্দকে আক্রমণ করেন। মীনাক্ষী সরাসরি দাবী করেন বুদ্ধদেবের সাকল্যে জীবনানন্দ সারাজীবন ফুঁসেছেন এবং কবি হিসেবে জীবনানন্দ যেটুকু কৃতিত্ব পেয়েছেন তা তাদের পিতৃদেবের হেতু।

    কেতকী কুশারী ডাইসন এই দুই কন্যার বিশেষ বন্ধু স্থানীয়া এবং নিজেও প্রতিভাময়ী সুলেখিকা, গবেষিকা ও অনুবাদিকা হয়েও অনেক সময়েই বিশেষ স্পর্শকাতর।
  • অর্জুন | ***:*** | ১৭ আগস্ট ২০১৯ ০১:৩২403921
  • 'জীবনানন্দ দাশের মৃত্যুর পর তাঁর জীবৎকালে লেখা অনেকগুলি উপন্যাসের সন্ধান পাওয়া যায় । একথা আমরা অনেকেই জানি । এবং সেগুলির অধিকাংশই আবিষ্কার করে জনসমক্ষে আনার কৃতিত্ব ছিল ভূমেন্দ্র গুহর ।'

    জীবনানন্দের গদ্য নিয়ে এখানে আলোচনা হলে সমৃদ্ধ হব।
  • অর্জুন | ***:*** | ১৭ আগস্ট ২০১৯ ০২:২৪403922
  • 'এরপর আসে আরো একটি ব্যাখ্যা । এবার সমীর সেনগুপ্তর থেকে । অনুষ্টুপ পত্রিকায় একটি প্রবন্ধে তিনি লেখেন , বানেশ্বর আসলে জীবনানন্দেরই অল্টার ইগো বা দ্বিতীয় সত্ত্বা।'

    এই ব্যাখ্যাটা খুব ইন্টারেস্টিং যেটা আরও এক্সপ্লোর করা যায়। সাইকোলজিক্যাল এক্সপ্লোরেশন । 'চিরবিষাদগ্রস্ত' একটা মানুষের
    অলটার 'প্রাণচঞ্চল' সত্ত্বা ।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম বুদ্ধদেব বসু সন ১৯৩১ এ কলকাতায় আসেন সম্পূর্ণ বেকার হয়ে। দুটি টিউশানির প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলেন এক বিশেষ পরিচিতের কাছে। তাঁর প্রথম ছাত্রটি দিলীপকুমার গুপ্ত-
    ডি কে পরবর্তীকালের বাংলা প্রকাশনা জগতের এক কিংবদন্তী । রানু সোমকে বিবাহ করার ঠিক আগেই রিপন কলেজের ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপনার চাকরি জুটে যায়। এর পরে দীর্ঘ ১৫ বছর ঐ কলেজেই তিনি অধ্যাপনা করেন । ১৯৪৯ এ পূর্ণ ভাবে সাহিত্যচর্চা করার অভিপ্রায়ে তিনি কলেজের অধ্যাপনায় ইস্তফা দেন। এর পরে পঞ্চাশের দশকের শুরুতে ফুলব্রাইট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান বুদ্ধদেব বছর খানেকের জন্যে এবং এর ঠিক আগে বা পরে দিল্লী ও মহীশুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং পদ পান। এই সব গুলোর যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর বিশেষ বন্ধু হুমায়ুন কবীর তখন কেন্দ্রে মন্ত্রী। ১৯৫৬ তে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে সেখানেই অধ্যাপনা শুরু করেন বুদ্ধদেব। ১৯৬৩ পর্যন্ত সেখানেই অধ্যাপনা করছিলেন মাঝে ১৯৬১- '৬২ যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং অধ্যাপনা পান। '৬৩ তে পুনর্বার যখন সেখান থেকে আমন্ত্রণ পান তখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপক্ষ তার ছুটি নামঞ্জুর করলে তিনি সেখান থেকে ইস্তাফা দেন ও সস্ত্রীক যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান বছর আড়াই তিনের জন্যে।
  • . | 192.139.***.*** | ১৭ অক্টোবর ২০২২ ০০:১৭738610
  • .
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ০৭ জুলাই ২০২৪ ১৪:৫৭743379
  • কল্যাণী উপন্যাসটা নিয়ে বক্তব্যগুলো অজানাই রয়ে গেল।  যাঁরা এত সুন্দর আলোচনাটা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, আবার যদি শুরু করেন খুব ভালো লাগবে।
  • কৌতূহলী | 103.249.***.*** | ০৭ জুলাই ২০২৪ ১৭:৪৯743380
  • সঞ্জয় ভট্টাচার্যের কার্ল মার্ক্স এর ওপর লেখা একটা প্রবন্ধ ছিল। ওই প্রবন্ধটা , বা ওঁর রাজনৈতিক ভাবনার ওপর কোন প্রবন্ধ থাকলে কেউ রেফার করবেন কাইন্ডলি , খুব উপকৃত হব।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন