এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • যখন সাহায্য দরকার হয়

    Blank
    অন্যান্য | ০৮ মার্চ ২০০৮ | ৪৩২৫৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • b | 14.139.***.*** | ০১ জুন ২০২০ ১২:৪৪731768
  • অসীমের আরো পোস্ট। নিজে সাগরের ছেলে
    মাস্টারমানুষ, একটু গুছিয়ে লেখে।
    *************
    কলকাতা থেকে সুন্দরবনে ঢোকার মূলত পাঁচটি প্রধান প্রবেশপথ রয়েছে যা সড়ক ও রেল যোগাযোগের মাধ্যমে স্থাপিত। ভারতের সুন্দরবনের যে অংশ পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে সেটি ১৫৭ খানা দ্বীপ সম্বলিত যার মধ্যে ৫৪ টিতে মানুষ বসবাস করেন। এই দ্বীপগুলোও আবার ভেতর ভেতর ছোট ছোট নদী ও খাঁড়ি দ্বারা বিচ্ছিন্ন। এযেন দ্বীপের পেটের ভেতর আরো ছোটো ছোটো দ্বীপ। বিশে মে এর বিষাক্ত ঝড় আমফানের ছোবলে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে সুন্দরবনবাসীর ঘরবাড়ি, জীবন জীবিকা। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে দ্বীপগুলি তৈরির আগে মানুষের বসবাস শুরু কি মারাত্মক বিষময় ফল ডেকে আনতে পারে। যথেচ্ছভাবে ম্যানগ্রোভ নিধন, সে কাঠের চোরা চালানকারী হোক,স্থানীয় মানুষের স্বাভাবিক অধিকারবোধ কিংবা মীন ধরার সময় পায়ের তলায় ম্যানগ্রোভ এর বীজের অঙ্কুরোদগমে বাধা সবটাই একটা জটিল আকার ধারণ করেছে সুন্দরবনের আগামীতে টিকে থাকার পক্ষে। তাছাড়া সুন্দরবনের human settlement এর যে চিত্র চোখে পড়ে, তা সম্পূর্ণ পরিকল্পনাহীন ও ভালোবাসারহিত। এখানে কারা বসবাস করে!সুন্দরবনের ভারতীয় ভাগের পূবদিকে ওপার বাংলার প্রান্তিক মানুষ যারা দেশভাগের সময় সামাজিক, আর্থিক ও ধর্মীয়ভাবে নিচু ও পিছিয়ে পড়ার কারণে পশ্চিমবঙ্গে স্থান না পেয়ে দণ্ডকারণ্য কিংবা কর্ণাটকের রায়চুর প্রভৃতি স্থানে শরণার্থী হিসেবে ঠাঁই পায় তারা। উদ্বাস্তু ভিটে মাটিহীন সর্বস্বান্ত মানুষ। পরবর্তীতে তাদের ফিরিয়ে এনে ঠাঁই দেওয়া হয় সুন্দরবনের দ্বীপ অঞ্চলে। আর সুন্দরবনের পশ্চিমদিক যেটি পূর্ব মেদিনীপুর লাগুয়া সেখানে বসবাস শুরুকরে অবিভক্ত মেদিনীপুর, বর্ধমান, হাওড়ার জমিদারী দেখাশোনা করার জন্য নায়েব গোমাস্তা ও তার লোক লস্কর। তাই ইতিহাসিকভাবেই এই জনপদ আর্থিকভাবে পিছিয়ে। এই ঝড় তাদের এই অবস্থানকে আরো সঙ্গীন করেছে। সুন্দরবনের শিরদাঁড়াটা ভেঙে গেছে।

    পূর্বদিকের প্রবেশপথ হাসনাবাদ, ইছামতীর উপরে সদ্য ব্রিজ হওয়ার কারণে যারা সাহায্য নিয়ে যেতে চান তারা ইছামতী পেরিয়ে, বরুনহাট , হিঙ্গলগঞ্জ হয়ে লেবুখালী পর্যন্ত গাড়িতে যেতে পারেন। এই যাওয়ার পথে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা বরুনহাটের আদিবাসী গ্রাম বাইলানি, হিঙ্গলগঞ্জ, সিতুলিয়া, খোঁজ নিলে আরো অনেক। কিছুদিন হলো নদীতে ভেসেলে গাড়ি পেরিয়ে ওপরে দুলদুলি যোগেশগঞ্জ, মাধবকাটি, গোবিন্দকাটি, কালিতলা হয়ে একদম শেষতম প্রান্ত সামসেরনগর, কালিন্দী নদীর পশ্চিমপাড়, আর ওপারে বাংলাদেশ। আর এখান থেকেই শুরু কাঁটাতার ঘেরা,জীবনমৃত্যুর নিয়ত হাতছানি দেওয়া ঘন রহস্যময়ী সুন্দরবন। নদী বাঁধ ভেঙেছে, সাহেবখালী, উত্তরমালেকানাঘুমটি, কালিতলা , হেমনগর, যোগেশগঞ্জ প্রভৃতি জায়গায়।
    দ্বিতীয় প্রবেশপথ সায়েন্সসিটির পাশ দিয়ে বাসন্তী হাইওয়ে ধরে ভাঙড়, মালঞ্চ , মিনাখা। এখানে একটি পথ গেছে ন্যাজাট, কালিনগর ভেবিয়া বসিরহাটের দিক আর একটি পথ ধামাখালী। এখানেই সড়ক যোগাযোগ শেষ। এরপর নদীপথে, দ্বীপের মধ্যে মেশিনভ্যানে করে সন্দেশখালী, পার খুলনা, ভান্ডারখালী, ছোটো মোল্লাখালী, কোরাকাটি প্রভৃতি জায়গায় পৌছতে হবে ত্রাণ নিয়ে। এই নদীপথে যাওয়া যায় ধামাখালী থেকে যোগেশগঞ্জ এর সরদার পাড়া ঘাট । সময় লাগে পৌনে দুঘন্টা কমবেশি জোয়ার ভাঁটার উপর নির্ভর করে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জন্য কোনো বিশেষনই যথেষ্ট নয়। ন্যাজাট ,কালিনগর, বিশপুর, আতাপুর, আমতলী, হারিদাসপুর আরো অনেক এখনো জলের নীচে। এখন ত্রাণকাজ ডিঙি নৌকো কিংবা ভেলায় চেপে করতে হবে। মানুষের ঠাঁই হয়েছে ভেঙে যাওয়া কাঁচা নদী বাঁধ, ঘেরী বাঁধ নয়তো জলকরের বাঁধের উপর। আকাশে বর্ষার কালো মেঘের চোখ রাঙানি যেকোনো সময় কেড়ে নিতে পারে বাঁচার শেষ সম্বলটুকু।
    তৃতীয় প্রবেশ পথ ক্যানিং। এখন যেহেতু lockdown চলছে। ট্রেন চলাচল নেই। তাই আপনাকে বারুইপুর ক্যানিং রোডে যেতে হবে। ক্যানিং এ মাতলার উপর ব্রীজ পেরিয়ে বাসন্তী এলাকা যেটি আবার ওই বাসন্তী হাইওয়ে দিয়ে আগারহাটি হয়ে আসা যায়। এই রাস্তায় আপনাকে নিয়ে যাবে বাসন্তী ব্রিজ পার করে একদম গোসাবার গদখালী পর্যন্ত। বাঁধ ভেঙেছে ভাঙ্গনখালী, পাঠানখালী ঝড়খালী, অনেক জায়গায়।গদখালী পেরিয়ে ওপারের দ্বীপগুলোর অবস্থা বড়ো সঙ্গীন। গ্রামের পর গ্রাম প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। নোনা জলে সব শেষ হয়ে গেছে। সাধের বসতি শ্রীহীন, বিবর্ণ সাদা হয়ে গেছে। রাঙাবেলিয়া, বালি, সাতজেলিয়া, আনপুর সর্বত্র ধ্বংসের চিহ্ন স্পষ্ট।
    চতুর্থ প্রবেশ পথ বারুইপুর জয়নগর লক্ষীকান্তপুর ঢোলা হয়ে রামগঙ্গা, পাথরপ্রতিমা আবার ডায়মন্ড হারবার কূল্পী হয়ে রামগঙ্গা আসা যায়। পথের মাঝে মথুরাপুর, রায়দিঘি,কঙ্কনদীঘি,কুলতলি জয়নগর, কইখালী সব ভেঙে পড়েছে। আমফানের প্রভাব এই অঞ্চলেই সর্বাধিক।রামগঙ্গা , পাথর প্রতিমা থেকে নদী পথে ভুটভুটি করে যেতে হবে জোয়ার ভাঁটার উপর ভরসা করে প্রায় কমবেশি দুঘন্টা বঙ্গোপসাগরের বুকে ভেসে থাকা ছোট ছোট দ্বীপ সমূহে। আই প্লট, জি প্লট, বুড়াবুড়ির তট, গোবর্ধনপুর, দক্ষিণ সুরেন্দ্রগঞ্জ, উত্তর সুরেন্দ্রগঞ্জ প্রভৃতি জায়গা কার্যত ভেসে গেছে ঝড় আর বাঁধ ভাঙা নোনা জলের দাপটে। কিছু নেই। কোথাও কিছু নেই। কত কম প্রয়োজন ও চাহিদা নিয়ে মানুষ আনন্দে বাঁচতে পারে এখানে না এলে আপনি ভাবতে পারবেন না। ত্রাণ নিয়ে অনেক কষ্টে অনেক মনের জোরে এখানে পৌঁছতে হবে। যাতায়াতে অনেক খরচ। যারা চেয়ে চিনতে ত্রাণ সংগ্রহ করছেন তাদের কাছে সত্যি খুব বেদনার এই যাত্রা। কিন্তু সেবা করার, ভালোবাসায় বাঁধা পড়ার এমন সুযোগ আর পাবেন না। তাই বেরিয়ে পড়ুন। তথাকথিত শহুরে NGO দের মতো তেলা মাথায় তেল না দিয়ে, কয়েকটি ছবি এর ওর পোস্ট থেকে কপি পেস্ট না করে চলুন সত্যিকার সত্যের সামনে দাঁড়াই।
    প্রধান পাঁচটি প্রবেশপথের শেষতম পথ হলো১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক, ডায়মন্ড হারবার কাকদ্বীপ নামখানা রোড। বেহালা ডায়মন্ড হারবার কূল্পী কাকদ্বীপ ,নামখানা হয়ে যা বকখালী গেছে। ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ধোসা, কূল্পী, ঢোলা, জুমাইনস্করের হাট, কামারহাট তোক্তিপূর, কাকদ্বীপ, চন্দনপিঁড়ি, নারায়নপুর, দেবনগর, সাতমাইল, দশমাইল ,বকখালী। আমফান ঝড়ের চোখ বয়ে গেছে এই সব জায়গার উপর দিয়ে। তাই ক্ষতচিহ্ন বড়ো গভীর ও হৃদয় বিদারক। এই রাস্তায় ওঠা যায় বারুইপুর আমতলা উস্থি হয়ে হটুগঞ্জ দিয়ে। ডায়মন্ড হারবার কাকদ্বীপ রোডে কামারহাট এর পর নতুন রাস্তার মোড় থেকে ডানদিকে বেঁকে চার কিলোমিটার গেলে গঙ্গাসাগর যাওয়ার ভেসেলঘাট লট নম্বর আট বা হারউড পয়েন্ট। ওখান থেকে লঞ্চ বা ভুটভুটিতে BDO এর সাথে যোগাযোগ করে যাওয়া যায় সাগরদ্বীপ। করোনাকালে ভেসেল সার্ভিস বন্ধ তাই যাতায়াতের এটিই উপায়। ঝড়ের চোখ প্রথম ভূমি স্পর্শ করে সাগরদ্বীপের দক্ষিণতম প্রান্ত কপিলমুনির মন্দিরের পূর্বদিক ও মৌসুনি দ্বীপের পশ্চিমদিকের মাঝামাঝি জায়গায়। তাণ্ডবলীলার ছাপ সহজে মেটবার নয়। সাগরদ্বীপরে পূর্বদিক শীলপাড়া, গোবিন্দপুর, শিকারপুর, কয়লাপাড়া, সুমতিনগর, বঙ্কিমনগর , চেমাগুড়ি, বিশালক্ষ্মীপুর, মনসাদ্বীপ, ধবলাট শিবপুর, শ্রীদাম গঙ্গাসাগর, লাইট হাউস এলাকা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। সারা দ্বীপের জীবন জীবিকার বড়ো অংশ নির্ভরশীল পানের বরোজের উপর। প্রায় বারো হাজার পানের বরোজ ভেঙে পড়েছে শুধু সাগরদ্বীপই।

    আসুন একটু কষ্ট স্বীকার করে সাগরদ্বীপ, মৌসুনিদ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ এইসব এলাকায় ত্রাণের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করি। আগামী তে এক ইতিহাসের সাক্ষী হোন। আবেগে ত্রাণ করবেন না। সঠিকভাবে স্থান নির্বাচন করে, আগে থেকে অগোচরে সার্ভে করে ত্রাণের আগের দিন কূপন বিলি করুন। সঠিক ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের হাত ত্রাণ তুলে দিন। নিজেকে সাহায্য করার এমন সুযোগ জীবনে হয়তো নাও আসতে পারে। আসুন সবাই মিলে নতুন সুন্দরবন গড়ায় ব্রতী হই। সুন্দরবন বাঁচলে শহর বাঁচবে। আমি আপনি সবাই বাঁচবো।
  • i | 110.174.***.*** | ১২ জুন ২০২০ ১৬:১৯732086
  • গত তেইশে মে সবুজ পাঠশালার জন্য একটি পোস্ট করি।
    পড়ার জন্য, সাড়া দেওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

    বকখালির পশ্চিম অমরাবতী, সুন্দরবনের দুয়ারির জঙ্গল, পুইঁজালি, মিনাখার মোহনপুর, সোনাখালির নাপিতখালি, মরিচঝাঁপি জঙ্গলের উল্টোদিকে ছোটো মোল্লাখালি, হাসনাবাদ হিঙ্গলগঞ্জের শুলকুনি, ঘেরিপাড়া, খলসেখালি, আদ্যাচক থেকে থেকে ফিরে সবুজ পাঠশালা একটি পিডিএফ ও দুটি ভিডিওর মাধ্যমে ওঁদের ওখানকার কাজকর্ম সম্পর্কে জানিয়েছেন; আনুষ্ঠানিক ধন্যবাদজ্ঞাপনও করেছেন।
    যাঁরা টাকা বা অন্য সামগ্রী নিয়ে ওঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, এবং যাঁদের ফোন বা ইমেইলের বিশদ সবুজ পাঠশালার কাছে রয়েছে, তাঁদের সবার কাছেই এই ভিডিও ও পিডিএফ পৌঁছে যাওয়ার কথা।

    ২৩শে মে র আবেদন পড়ে ওঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, অথচ ভিডিও, পিডিএফ পান নি, তাঁরা এখানে জানালে, পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।

    ইন্দ্রাণী (সিডনি)
  • Abhyu | 47.39.***.*** | ২২ মার্চ ২০২১ ১৯:৫১733767
  • এক গুরুবোন আমাকে এটা লিখলেন। আর কেউ কিছু ভাবছেন?

    অভ্যু, দুদিন আগে আনন্দবাজারে একটা খবর বেরিয়েছিল, তোমার চোখে পড়েছে কিনা জানিনা। লিঙ্ক -

    https://www.anandabazar.com/west-bengal/kolkata/who-will-take-care-of-orphan-girl-laxmi/cid/1271880

    আমি আর xx মেয়েটাকে হেল্প করতে চাই। কয়েক জায়গা থেকে খবর নিয়ে যেটা জেনেছি তা খুব একটা প্রমিসিং না। লোকাল থানার মাধ্যমে যোগাযোগ করার কথা কয়েকজন বলেছে। yy কি কোন ভাবে আমাদের একটু হেল্প করতে পারবে?

  • π | ২২ মার্চ ২০২১ ২০:৪১733769
  • আমার স্কুলের এক বন্ধু গত হপ্তায় হঠাত  চলে গেল। আমরা ওর বন্ধুরা মিলে ওর নাম করে কিছু ছাত্রীকে তাদের প্রয়োজনমত কিছু সাহায্যের কথা ভেবেছিলাম বলে নানা জায়গায় খোঁজখবর চলছিল। এই লক্ষ্মীর কথাও উঠেছিল, এক বন্ধু খোঁজ নেয়। মেয়েটির কাছে নাকি এখন এতজন সাহায্য দিতে চেয়েছেন আর এতই ভিড় যে প্রোটেকশন দিতে হয়েছে শুনলাম।  যা শুনলাম,জানালাম। অভ্যু বা কেউ আলাদা করে খোঁজ নিয়ে নিলে ভাল আর প্রয়োজন আছে কিনা। 

  • Abhyu | 198.137.***.*** | ২২ মার্চ ২০২১ ২২:০৫733770
  • হ্যাঁ সাংবাদিক ও খুব রিলায়েবল NGOর সাহায্যে খোঁজ নিচ্ছি।

  • Abhyu | 47.39.***.*** | ২৩ মার্চ ২০২১ ১১:২৯733771
  • π | ২৫ এপ্রিল ২০২১ ২১:৪৪734083
  • "হোয়াটসঅ্যাপ, ফোন ভরে যাচ্ছে, কোনো বন্ধু বলছে তাদের প্লাজমা চাই, কেউ অক্সিজেনের, কারু বাড়িতে দুজনের কোভিড, তাকে চাকরি বাচাতেই হবে নাহলে খাবে কি? এই অবস্থায় অনলাইন/অফলাইন ভলেন্টিয়ার লাগবে। পিং করুন ৯৮০৪৮৮৯২৪৩"
    Chhandak Chatterjee 

     
  • π | ১৩ মে ২০২১ ১৩:৪২734381
  • একটা জরুরি আবেদন


    -------------------------------


    অনেকের মিলিত উদ্যোগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা ইন্টারিম অক্সিজেন ফেসিলিটেটেড সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে, যেখানে কোন হাস্পাতালে বেড না পাওয়া অব্দি ডাক্তারদের দ্বারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের তত্ত্বাবধানে অক্সিজেন ও আনুষঙ্গিক চিকিতসা দেওয়া হবে।  এধরণের সেন্টার তৈরির নানাবিধ নিয়মবিধি মেনে। এর আগে শুরু হয়েছে পাটুলিতেও


    এই মডেল সফল হলে এভাবেই তৈরি করা সম্ভব আরো অনেক এরকম সেন্টার তৈরি করা সম্ভব।


    সব অনুমতিপর্ব পেরিয়ে, নতুন পুরানো ছাত্রছাত্রী, ছাত্র উনিয়ন,  ডাক্তার, নানা সংগঠন,  নাগরিকদের উদ্যোগে এই সেন্টার এবার শুরুর পথে । কিছু সিলিন্ডার এসেও গেছে। এবারে এই সিলিন্ডার কিন্তু ছোট সিলিন্ডার নয়, বড়, D টাইপ, ৪৫ লিটারের।


    এই সিলিন্ডার আরো লাগবে।


     ছোট B টাইপ নয়, এই বড়, ডি টাইপ। ৪৫ লিটার।


    এছাড়াও লাগবে ফ্লো মিটার।


    যত যোগান পাওয়া যায়, ভাল।  এই ব্যাপারে যেকোন সাহায্য পেলে খুব ভাল হয়।  


    আগাম ধন্যবাদ।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন