এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে বিমান পথে এক বর্ষীয়ান দম্পতির দুঃস্বপ্ন যাত্রা

    অর্জুন
    অন্যান্য | ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ৯৭০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অর্জুন | ***:*** | ০১ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:১০388432
  • কলকাতায় রাত বারোটা। ফোন বেজে উঠল।

    একটি অচেনা নম্বর থেকে বাবা’র ফোন ইস্তানবুল বিমানবন্দর থেকে। ‘আমাদের এখানে আটকে দেওয়া হয়েছে। প্লেনে উঠতে দিল না। বলছে আমাদের টিকিট ইনভ্যালিড’। ‘কিন্তু কেন? এয়ারলাইন থেকে পারচেজ করা টিকিট ইনভ্যালিড হয় কি করে?’ বলে উঠল ছেলে । ‘জানিনা। ওরা বলছে সান ফ্রান্সিকো থেকে রিরুট করা টিকিট চলবে না’।বলল বাবা । এবার মা বলে উঠল ‘ কি করব জানিনা। এখানে আমাদের কথা কেউ শুনছে না। বলছে দেশে ফিরতে হলে নূতন টিকিট কেটে ফিরতে হবে? আমরা কি করব জানিনা’। ‘টিকিট ইনভ্যালিড আবার কি? ওরা বললেই হল নাকি? কি ভাবে টিকিট ইনভ্যালিড সেটা জানতে চাও’। ‘বাবা তোমার কাছে কিরকম ক্যাশ আছে?’ উত্তর পাওয়ার আগেই কেটে গেল ফোন।

    ইংরেজিতে একটা কথা আছে, with heart in my mouth। বাংলায় এর অনুবাদ কি হয় জানিনা। এই খবর পাওয়ার পরে ছেলের কলকাতায় ঠিক সেরকম অবস্থা। সঙ্গে সঙ্গে সাগরপাড়ে টেক্সাসে ফোন লাগায় বোন, ভগ্নীপতিকে। শুনে তারাও যতটা তাজ্জব, ততটাই আতঙ্কিত। বৃদ্ধ বাবা, মা এক অচেনা, অজানা দেশে আটক হয়ে আছেন এবং সম্পূর্ণ ভাবে তাদের থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, সেই সময় নিজের দেশে বসে সন্তানের উদ্বেগ কিরকম হয় সেটা বোঝানোর মত ভাষা আছে কিনা জানিনা। থাকলেও আমি জানিনা।

    বাস্তবিক সেই যে পুত্র ও বাবা, মা পরস্পরের থেকে বিচ্ছিন্ন হলেন তারপরে তাদের আবার দেখা হল কলকাতা বিমানবন্দরে দুদিন বাদে।

    কি হয়ে ছিল সেদিন এই বর্ষীয়ান দম্পতির? তারা তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চার মাস পঁচিশ দিনের মত মেয়ে, জামাইয়ের কাছে বেড়িয়ে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে ফিরছিলেন ভারতে, তাদের শহর কলকাতায়। হঠাৎ তুরস্কের রাজধানী শহরে গিয়ে হাজির হলেন কি করে?

    এই ছেলেটি আমি আর বর্ষীয়ান দম্পতি আমার বাবা , মা।

    আমার বাবা অমিত কুমার রায় (৭৪) ও মা শ্রীমতী মল্লিকা রায় (৬৭) সাড়ে চার মাসের জন্যে আমার বোন অনুসূয়া ও ভগ্নীপতি ডঃ সৌরজিৎ মিত্র মুস্তাফির কাছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ড্যালাসে বেড়াতে গেছিলেন। তাঁদের ফেরার টিকিট ছিল সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে। টিকিট কাটা হয়েছিল মেক মাই ট্রিপ ডট কম নামে এক অনলাইন সংস্থা থেকে। ২৪ সেপ্টেম্বর টিকিটের যাত্রাপথ ছিল ড্যালাস- লস এঞ্জেলেস- সিঙ্গাপুর- কলকাতা। ড্যালাস বিমান বন্দরে ওরা পৌঁছে জানায় ফ্লাইট প্রথমে ড্যালাসে না গিয়ে সান ফ্রান্সিস্কোয় যাবে। ব্যাপারটা দুই বর্ষীয়ান যাত্রীকে অবাক করলেও তারা সেই ফ্লাইটে চড়ে সান ফ্রান্সিকোয় পৌঁছন। সান ফ্রান্সিকো বিমান বন্দরে ওঁদের চার ঘণ্টার ওপর অপেক্ষার পরে যখন ফ্লাইটে বসেন লস এঞ্জেলেসের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন তখন পাইলট জানায় যে কিছু যান্ত্রিক গোলযোগের জন্যে প্লেন উড়তে পারবেনা। সব যাত্রী নেমে পড়ে, সঙ্গে আমার বাবা, মা’ও। সান ফ্রান্সিকো বিমানবন্দরে লাউঞ্জে ওঁদের অ্যালাস্কান এয়ারলাইনের অফিসার প্রায় জোর করেই টিকিট রিরুট করে টার্কিশ এয়ারলাইন্সে করে দেয়। ওঁদের সেই রুটে টিকিট হয় সান ফ্রান্সিকো- ইস্তানবুল- ঢাকা- কলকাতা। সান ফ্রান্সিকো- ইস্তানবুল- ঢাকা- টার্কিশ এয়ারলাইন্সে, ঢাকা- কলকাতা বাংলাদেশ বিমানে। বাবা, মা মৃদু আপত্তি করেছিলেন এই রুটে আসতে। ওঁরা চেয়েছিলেন এমিরেটস বা কাতার যা সরাসরি কলকাতা আসে। কিন্তু ওখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী সেসব উহ্য করে এই রিরুট করে দেয় এবং এই বর্ষীয়ান দম্পতির সঙ্গে বেশ রুঢ় ভাবেই কথা বলে। সান ফ্রান্সিকোয় আমার সঙ্গে বাবা, মা’র ফেসবুক মেসেঞ্জারে কয়েকবার যোগাযোগ হওয়ায় আমিও দেখেছি একজন কর্মীকে বেশ চেঁচিয়ে কথা বলতে বাবা, মা’র সঙ্গে।

    আসল ঘটনা এখান থেকেই শুরু। ইস্তানবুলে পৌঁছে ঢাকার ফ্লাইট ধরতে যাবেন যখন, সেই সময়ে ওঁদের আটকে দিয়ে বলা হয় যে ওঁদের বাকী টিকিট অবৈধ। ইস্তানবুল বিমানবন্দর থেকে বাবা আমার এই ঘটনা যখন জানান তখন কলকাতায় সময় ঠিক রাত বারোটা। বাবা, সাত, আট মিনিটের কথোপকথনে আমায় ঘটনাটা জানান আর বলেন তাঁকে বলা হয়েছে দেশে ফিরতে গেলে তাঁকে নিজের টাকায় টিকিট কিনে ফিরতে হবে। ইস্তানবুল বিমানবন্দরে ওয়াইফাই আন্তর্জাতিক ভিজিটরদের জন্যে এক ঘণ্টার জন্যে দেওয়া হয়। বাবা, পাসওয়ার্ড চাইতে গেলে তাঁকে বলা হয় তিনি এক ঘণ্টার বেশী সময়ে বিমানবন্দরে রয়েছেন। বাবা, মা ইস্তানবুলে মোট ৩৪ ঘণ্টা আতঙ্কে, অনিশ্চয়তায় প্রতি প্রহর কাটান। ঐ ৩৪ ঘণ্টায় দুজন এক বোতল জল ও একটা কেক ভাগ করে খান। কলকাতায় আমি আর ড্যালাস বোন ও ভগ্নীপতি সম্পূর্ণ অন্ধকারে রইলাম। সহায় ছিল দুশ্চিন্তা আর আতঙ্ক। আমারা সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনের সঙ্গে কোনোরকম যোগাযোগ করতে পারিনি।

    এমনকি আজ অবধিও তাদের একটাও হেল্পলাইন নম্বর কাজ করছেনা। অ্যালাস্কান এয়ারলাইনে আমার ভগ্নীপতি বারবার যোগাযোগ করলে বলা হয় ঢাকার ফ্লাইট তাঁরা ধরতে পারেনি বলে তাদের টিকিট পুনর্বার রিরুট করে কাতার এয়ারওয়েজে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কনফারেন্স কল ছিল বলে আমিও শুনতে পেলাম।
    এই কল সেন্টারে কর্মরত ব্যক্তিরা এত ভাল গল্প ফাঁদতে জানে। তাদের এই সৃষ্টিশীলতা সাহিত্যে দিতে পারে।

    বাবা, মা এবার ইস্তানবুল- দোহা হয়ে কলকাতা ফিরবেন। পরের দিন কলকাতার কাতার হেল্পলাইনে ফোন করে জানতে পারি অ্যালাস্কান এয়ারলাইনের দেওয়া তথ্য তাদের সঙ্গে মিলছেনা। ঐ দুজন নামের যাত্রী সেদিনের দোহা- কলকাতাগামী কাতার ফ্লাইটে নেই। কলসেন্টার পরিষেবার ওপর কতটা আর ভরসা? ঠিকানাস্থ অফিসে এর চাইতে সদুত্তর মিলবে নিশ্চয়। ওয়েবসাইটে উল্লেখ কলকাতায় কাতার অফিসের ঠিকানা তপ্সিয়ায়। সদুত্তর! সেখানে গিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজির পরে জানতে পারলাম কাতার এয়ারলাইনের অফিস তিন মাস আগেই উঠে গেছে।

    এই ঘটনাটায় পুরো পরিবারের জন্যে তাড়া করছিল ‘আতঙ্ক’, অপেক্ষা করছিল ‘সারপ্রাইজ’ টা ঠিক শব্দ ব্যবহার নয়।

    তবুও অনেক আশা নিয়ে কাতার ফ্লাইট কলকাতায় আসার নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই আমি কলকাতা বিমান বন্দরে পৌঁছে গেলাম। কাতারের ফ্লাইট এল আড়াইটেতে। তার আগে দুবাইয়ের এয়ার ইণ্ডিয়া, পরে আবুধাবি থেকে এতিহাদ। ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত যখন তাঁরা বেরলেননা তখন আমি কলকাতা বিমানবন্দরের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজারের ঘরে গেলাম। তিনি একজন মহিলা। তিনি আমার সমস্যা শুনলেন এবং সিঙ্গাপুর ও কাতার এয়ারলাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো সদ্দুত্তর দিতে পারলেন না, বলা ভাল পেলেন না ।

    এর মধ্যে ইস্তানবুল থেকে বাবার ওই ক্ষণিকের ফোন পাওয়া মাত্র আমি ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তরের হেল্পলাইনে কল করি। ঘুমু ঘুমু গলায় একজন আমায় জানান ইস্তানবুলের ভারতীয় দূতাবাসে যোগাযোগ করতে যার নম্বর আমি ওয়েবসাইটে পেয়ে যাব। কোনোভাবে যদি কেউ সেই সময় অন্তরজাল থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে, তাহলে তার সেটাও জানা হবেনা। এটা এখন ধরে নেওয়াই হয় বা মেনডেটরি যে internet is always at your finger tips।

    ওয়েবসাইটে আমি যতগুলো ইমেল পাই সবকটায় ইমেলে বাবা, মা’র আটক হবার খবর জানিয়ে দিই। পরের দিন সন্ধ্যাবেলা ইস্তানবুলের ভারতীয় দূতাবাসের এক অফিসর যোগাযোগ করে বাবা, মা’র পাসপোর্ট নম্বর নেন ও কিছু পরে আবার ফোন করে জানান, ইস্তানবুল বিমানবন্দর তাকে জানিয়েছে যে ওই পাসপোর্ট নম্বরের যাত্রী বিমানবন্দরে নেই। তিনি আমাকে বেশ অবাক করে দিয়ে এও জানান যে আর পাঁচজন সাধারণ ভিজিটরের মত দূতাবাসের কর্মীদের নাকি প্রবেশ নিষেধ। উনি আন্তরিক ভাবে কথা বললেও বেশী কথাই ছিল অপ্রাসঙ্গিক যেমন বৃদ্ধ বাবা, মা’কে কেন এইরকম টিকিট কিনে দিয়েছি! তাদের কেন একা ছেড়ে দেওয়া হল, টিকিট কাটার জন্যে পর্যাপ্ত অর্থ নেই। ইউরোপ, অ্যামেরিকায় যাওয়ার সময় ব্যাগে করে লাখ টাকার মত ক্যাশ তাহলে রাখতে হবে আজকাল।

    যাইহোক, বিমানবন্দরে যখন অসহায় হয়ে বসে আছি, কূলকিনারা পাচ্ছিনা কি করব। বোন এর পর সত্যিই ভেঙে পড়েছিল। সারারাত আমরা মেসেঞ্জারে অনলাইন ছিলাম। বোনকে সামলানো মুশকিলের হিয়ে দাঁড়িয়েছিল।

    প্রায় তিন রাত্রি জেগে। সেই রাতে পুরো দাঁড়িয়ে। চেয়ারে এলিয়ে পড়েছি তখন বাবা’র ফোন দিল্লী থেকে। সম্বিত আসতে সময় লেগেছিল।

    তিনি সম্পূর্ণ নিজের টাকায় অর্থাৎ ডেবিট কার্ডে টিকিট কেটে টার্কিশ এয়ারলাইনে দিল্লীতে পৌঁছেছেন। তখন সকাল সাতটা। এর পরে দিল্লী থেকে ইণ্ডিগোর ফ্লাইটে কলকাতায় বিধ্বস্ত অবস্থায় দুজনে পৌঁছলেন কলকাতায় সোয়া বারোটায়।

    আমার এই লেখার মূল কারণ সকলকে অবগত করা যে নিজ অর্থে বিখ্যাত ভ্রমণ ও বিমান সংস্থা থেকে টিকিট কেটেও তাদের দায়িত্ব জ্ঞানহীন নির্মম ব্যবহারের জন্যে ক্রেতারা কি ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে, বর্ষীয়ান মানুষ হলে তো আরো দুর্ভোগ। বর্তমান কালে বিদেশে কর্মরত সন্তানদের কাছে পিতা, মাতাদের যাওয়া নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। আমার বাবা, মা যে চরম অবস্থার মধ্যে পড়েছিলেন অন্তত আমি চাইনা আর কারো সঙ্গে সেরকম ঘটনা ঘটুক।
  • Amit | ***:*** | ০২ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:১৬388443
  • এতো ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। এতটা খারাপ অবস্থা বুঝতেই পারিনি। ওনাদের কাছে আলাস্কান এয়ারলাইন্স এর রিরুট করে দেওয়া টিকেট (যেটা ইনভ্যালিড বলেছিলো ) তার কপি আছে ? অথবা টার্কি তে কি টিকেট এ কিছু স্ট্যাম্প মেরে দিয়েছে ইনভ্যালিড বলে- ? আপনার বাবা মা র অবস্থা বুঝতে পারছি, এতটা ভোগান্তি অচেনা দেশে। জাস্ট হরিবল।

    আপনি সেগুলো স্ক্যান করে ইমমেডিয়েটলি একটা কমপ্লেন করুন যে সাইট টা আগে দিয়েছিলাম। বেটার আপনার বোন কে বলুন কমপ্লেন করতে, যেহেতু উনি স্টেটস এ আছেন। লোকাল ফোন হলে সুবিধা হয়।
  • অর্জুন | ***:*** | ০২ অক্টোবর ২০১৯ ০৮:১০388447
  • @Amit এতটাই ভয়াবহ! এই ভয়াবহতার রেশ এখনো কাটেনি।

    ওয়াইফাই কানেকশন না থাকায় ওঁদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়াটা সবচেয়ে ভয়ংকর হয়েছিল।

    এই খবরটা একটা পত্রিকাতেও প্রকাশ করা হয়েছে।

    ইস্তানবুলে ভাষা সমস্যা আরেকটি সমস্যা। ওরা তুর্কি ভাষা ছাড়া কথা বলতে চায়না। বাবা ওদের আলাস্কান এয়ারলাইন্স এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছিল কিন্তু ওরা সেসবে কর্ণপাতও করেনি। আর বুঝতেই পারছেন বয়স্ক অনভিজ্ঞ মানুষরা এসব ব্যাপারে চটজলদি আমাদের মধ্যে কিছু করে উঠতেও পারেন না।

    মেক.মাই.ট্রিপে সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যোগাযোগ করার কথা তাদের, করেনি। কলকাতার সিঙ্গাপুর এয়ারলান্সের অফিসে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তারা দু হপ্তা সময় নিয়েছে। শুধু রিইম্বার্সমেন্ট নয়, এই হ্যারাসমেন্টের জন্যে ক্ষতিপূরণ দিতেও তারা বাধ্য। ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরে অবশ্যই যাব।

    টিকিট ডিটেলস সব আছে। বাবার কাছে ডেবিট কার্ড না থাকলে কি যে হত, জানিনা!

    ইস্তানবুল এয়ারপোর্টের একটা ষ্ট্যাম্প আছে টিকিটে।

    সবচেয়ে অবাক একটা ব্যাপার কি জানেন? যে ভারতীয় দূতাবাসে যোগাযোগ করলাম সহায়তার জন্যে উল্টে সেখানকার অফিসর অনেকবার ফোন করে আমার থেকেই বাবা, মা'র খোঁজ খবর জানতে চাইলেন!

    আপনি সাইটের লিঙ্কটা আরেকবার পাঠান।
  • Amit | ***:*** | ০২ অক্টোবর ২০১৯ ০৯:১১388448
  • অন্তত সুষমা স্বরাজ যখন বিদেশমন্ত্রী ছিলেন, আপদে বিপদে হেল্প করতেন লোক কে, ওনার রাজনীতি যাই হোক। অন্য সময়ে ইন্ডিয়ান এম্বেসী গুলোর কথা যত কম বলা যায়, ততই ভালো।

    এবারে টাইমিং টাও খুব বাজে হয়ে গেছে ওনাদের জন্যে, নেহাত ই কপাল খারাপহলে যা হয় আর কি। টমাস কুক বসে যাওয়াতে সব ফ্লাইট ওলোট পালট হয়ে গেছে। কিন্তু তাও বয়স্ক লোক দের অতি অবশ্যি সাহায্য করা উচিত ছিল। অদ্ভুত লাগলো যে টার্কি তে ওনাদেরকে একটু সামান্য ওয়াই ফি বা ইন্টারনেট দিতে চাইলো না, যাতে অন্তত ওনারা কারোর থেকে সাহায্য চাইতে পারেন। ওনাদের তো শরীর ও খারাপ হতে পারতো। এতটা বাজে ব্যবহার জাস্ট আশা করা যায়না। ওদের এগেইনস্ট ও কমপ্লেইন করা উচিত।

    আলাস্কান এয়ারলাইন্স এর এগেইনস্ট এ এখানে কমপ্লেন ঠুকতে পারেন, তবে আপনার বোন করলে হয়তো বেশি কাজ হবে যেহেতু উনি ওখানেই আছেন। শুধু ফ্লাইট ডিলে র জন্যে বেটারা কম্পেন্সেশন দেয়না, ওটাকে ভুলভাল বা ইনভ্যালিড টিকেট গছানোর জন্যে কমপ্লেন করুন।

    https://www.transportation.gov/airconsumer/file-consumer-complaint

    এ ছাড়াও তুর্কিশ এয়ারলাইন্স আর আলাস্কান এয়ারলাইন্স এর টুইটের আর ফেবু পেজ এ গিয়ে ওপেন কমপ্লেন করে দিন, দেখেন যদি একটু পাবলিক হয় পোস্ট গুলো, সব ডিটেলস দিয়ে দ্যান, তবে এরা জলদি রিএক্ট করতে ও পারে। আজকাল টুইটের পোস্ট গুলো কাজে আসে বেশ। তবে তুর্কিশ এয়ারলাইন্স কে কিছু ক্লেম করা যাবে কি না একটু মুশকিল, যদি অরিজিনাল টিকেট টাই ভুল থাকে। দেখেন কি হয়, তবে ওই যে বেটারা টিকেট এ স্ট্যাম্প মেরে দিয়েছে, ওটা দরকারি ডকুমেন্ট। আলাস্কান এয়ারলাইন্স কে ওটা নিয়ে চাপ দেওয়া যেতে পারে।

    https://twitter.com/TK_HelpDesk
    https://www.facebook.com/TurkishAirlines/

    https://www.alaskaair.com/content/about-us/contact-us/phone-numbers

    https://www.facebook.com/alaskaairlines/
    https://twitter.com/AlaskaAir
  • sm | ***:*** | ০২ অক্টোবর ২০১৯ ০৯:৪২388449
  • পুরোটাই আলাস্কা এয়ার লাইন্স এর গাফিলতি।মোদ্দা ব্যাপার হলো,ওঁরা টিকেট রিরুট করেছে কিন্তু টারকিশ এয়ার লাইন্সের কাছে খবর দেয় নি,বা তাঁদের কনফার্মেশন এর অপেক্ষা করে নি।
    কোন বুদ্ধিমান অফিসার হলে ওই টিকিটে ইনভ্যালিড স্ট্যাম্প মারবে না।মুখে বলে দেবে ইনভ্যালিড,কারণ আমাদের যাত্রী তালিকায় সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের নাম নেই।
    যাই হোক এই দুই বয়স্ক লোকেদের হেনস্থা, ডিলে,আর্থিক ক্ষতপূরণ ও মানসিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে আম্রিকা থেকেই উকিল এর চিঠি পাঠান।
    কাজ হবেই হবে।এটা ছেলে খেলা নয়।
  • Amit | ***:*** | ০২ অক্টোবর ২০১৯ ১০:১৫388450
  • হ্যা, ইটা ঠিক। আপনার বোন যদি ওখানে কোনো ভালো উকিল কে দিয়ে একটা কেস করতে পারেন হার্রাসমেন্ট চার্জ লাগিয়ে, তাহলে এয়ারলাইন্স র হাল টেইট হয়ে যাবে। তবে আগে ওদের কে ডাইরেক্ট কমপ্লেন করে দেখুন কি হয়। উত্তর না দিলে সেটাও কেস এ ঢোকানো যাবে।

    আমি শুধু ভাবছি যদি ওনার বাবার কাছে টাকা না থাকতো, তাহলে কি কি হতে পারতো ? এসব কেস এ এমব্যাসি কোনো হেল্প করতে পারে না-? এতে তো প্যাসেঞ্জার -র কোনো ফল্ট ই নেই। ওনারা জাস্ট ফেঁসে গেছেন।
  • S | ***:*** | ০২ অক্টোবর ২০১৯ ১০:২২388451
  • ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইটে এই নিয়ে গন্ডগোল লেগেই রয়েছে। একবার ডেনভার থেকে প্লেন নেওয়ার কথা। আমি আমার শহর থেকে ডেনভারে যাচ্ছি, ফাইট ডিলে। আমার কাছে মেসেজ এলো যে তোমার পরের ফ্লাইট চলে গেছে। অথচ ডেনভারে গিয়ে দেখি বোর্ডিং হচ্ছে। আমি ওসবের মেসেজের তোয়াক্কা না করে সোজা প্লেনে উঠে গেলাম। তবে লাগেজ পরে এসেছিলো, বাড়িতে দিয়ে গেছিলো।
  • Amit | ***:*** | ০২ অক্টোবর ২০১৯ ১০:৩৭388452
  • আরো অদ্ভূত যে ওনারা যখন স্টেটস থেকে তুর্কিশ এয়ারলাইন্স র প্লেন এ উঠলেন, তখন তুর্কিশ এয়ারলাইন্স চেক ইন কাউন্টার এ ওনাদের কাননেকটিং ফ্লাইট এর টিকেট ভ্যালিডিটি চেক করে নি ? অনেক সময় তো ট্রানসিট পেসেঞ্জার দের এক সাথেই দুটো বোর্ডিং কার্ড ই দিয়ে দেয় , পরের ফ্লাইট ধরার সময় জাস্ট ওটাকে দেখিয়ে নিতে হয়। অথবা নতুন সিট্ নম্বর আলোকেট করে দেয়।

    ওনাদের কাছে তুর্কির ভিসা নিশ্চয় ছিল না, তাহলে কানেকটিং ফ্লাইট ছাড়া ওনাদের স্টেটস থেকে প্লেন এ উঠতে দেওয়ারই কথা নয়। পুরোটাই দুটো এয়ারলাইন্স এর চূড়ান্ত গাফিলতি।

    তুর্কিশ এয়ারলাইন্স র দের এগেইনস্ট ও কেস করা উচিত। তবে কতটা কি হবে জানিনা , এর থেকে আলাস্কান এয়ারলাইন্স US জুরিসডিসিশন এর আওতায় পড়ে, কিছু হলেও হতে পারে।

    দুজন বুড়ো মানুষের পক্ষে এতো খবর জানার কথাই নয়। ওনাদের মাঝের থেকে যত ভোগান্তি।
  • S | ***:*** | ০২ অক্টোবর ২০১৯ ১০:৪২388453
  • হ্যাঁ ইন্ডিয়ান এম্বাসির সাহায্য করার কথা। মেক মাই ট্রিপ থেকে টিকিট না কেটে ডাইরেক্ট এয়ারলাইন্সের সাইট থেকে টিকিট কাটবেন। তাতে খুব বেশি লাভ হবেই, এমন কোনও গ্যারান্টি নেই। তবে কাকে ধরতে হবে, অন্তত সেটা জানবেন। এইতো শীতকাল আসছে, পুরো পস্চিমী দুনিয়ার সব এয়ারপোর্টে এক বিশাল সংখ্যক মানুষ ক্রিসমাস কাটায়। কারণ ফ্লাইট ডিলে, ক্যান্সেল এসব লেগেই থাকে। ইন্সিওরেন্স করা থাকলে কিছু পয়সা ফেরত পেতে পারেন, নইলে এয়ারলাইন্স কিছুই করেনা।
  • অর্জুন | ***:*** | ০২ অক্টোবর ২০১৯ ১২:১১388433
  • @Amit, @sm @S

    আইনের দ্বারস্থ তো হবই কিন্তু ব্যাপারটা হল টিকিট কাটা অর্থাৎ ট্রানজ্যাক্সন হয়েছে ভারতে। কাজেই দুই দেশের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরেই মামলা করতে হবে বলেই মনে হয়!!

    অ্যালাস্কান এয়ারলাইন সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনের কেরিয়ার এয়ারলাইন। টিকিট ক্রয়ের সময় বলা হয়েছিল ড্যালাসে যেহেতু সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন ওপারেট করেনা তাই সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনের সঙ্গে যুক্ত কোনো মার্কিনী বিমান সংস্থা যাত্রী দুজনকে ড্যালাস থেকে লস এঞ্জেলেস পৌঁছে দেবে। কিন্তু কোন বিমান সংস্থা সেটা জানানো হয়নি।ড্যালাস বিমানবন্দরে পৌঁছে জানা যায় বিমান সংস্থাটি অ্যালাস্কান এয়ারলাইন।

    সান ফ্রান্সিস্কো যাওয়ারই কথা নয়। মূল টিকিট অনুযায়ী লস এঞ্জেলেসে সাড়ে সাত ঘণ্টা লে-ওভার। অ্যালাস্কান এয়ারলাইন সেটা জানা সত্ত্বেও সান ফ্রান্সিস্কো নিয়ে যায় ও সেখানে চার ঘণ্টার ওপর বসিয়ে রাখে। যান্ত্রিক গোলযোগের জন্যে বা অজুহাতে তারা সেই টিকিট যখন টার্কিশ এয়ারোয়েজে রিরুট যা তাদের কেরিয়ার এয়ারলাইনই হয়ত নয়।

    তুর্কি এ যাত্রায় আসারই কথা নয়, ভিসা তো দূর অস্ত, অদ্ভুত ব্যাপার হল টার্কিশ এয়ারওয়েজ মূল টিকিট থেকে জানার কথা Istanbul is simply a stop over of the rerouted ticket। তাহলেvalid invalid র প্রশ্ন আসছে কি করে?

    আরেকটা ব্যাপার বোর্ডিং পাস ঢাকা অবধি দেওয়া হয়েছিল।

    এত খুঁটিনাটি ব্যাপারগুলো ওই মুহূর্তে দুজন বয়স্ক মানুষের জানা সম্ভবই নয়। কোনো সাধারণ যাত্রীরই নয়।

    আমার মা'র অ্যাকিউট স্পণ্ডলাইটিস যেটা কিউরেবেল নয়। ওটার অ্যাটাক হলে এত ভমিট করতে থাকেন যে সঙ্গে সঙ্গে হসপিটালে না নিলে জীবন সংশয় হয়।

    ইস্তানবুলে আরেকটা সমস্যা ভাষা। ওরা তুর্কি বিনা ইংরেজি বলতে একদম আগ্রহী নয়। কিছু জানতে চাইলেও উত্তর দেয়না। নেই কোনো ইন্টারপ্রিটর।
  • Amit | ***:*** | ০২ অক্টোবর ২০১৯ ১২:৩৮388434
  • নিজেরাই বোর্ডিং পাস দেওয়ার পরে যদি টার্কি এয়ার নেক্সট টিকিট কে ইনভ্যালিড বলে , তাহলে এদের কে নেহাত শুবা ছাড়া আর কিছু বলার নেই। এমারজেনসি তে অনেক সময়েই কেরিয়ার এয়ার লাইন না হলেও অন্য টিকেট কাটা যায়।
  • অর্জুন | ***:*** | ০৩ অক্টোবর ২০১৯ ১০:৪৬388435
  • @Amit বাবু, তিনটে এয়ারলাইন্স পুরো ব্যাপারটা জুড়ে খুব কমপ্লিকেটেড হতে গেছে ব্যাপারটা।

    আইনী পদক্ষেপ নিচ্ছি।
  • . | ***:*** | ০৩ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:০৭388436
  • আইনি পদক্ষেপ বোনের দিক থেকে নিন, আমেরিকার উকিলের চিঠি কাজ করবে বেশি
  • সে | ***:*** | ০৪ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:১৪388437
  • এই পুরো ব্যাপারটাকে দুঃস্বপ্ন মনে করে ভুলে যাবার চেষ্টা করুন। আইনি পদক্ষেপ অবশ্যই নিতে পারেন, তবে তাতে কতটা সুরাহা হবে তা নিয়ে আশাবাদি নই। বরং আইনি চিঠিপত্রের যেসব উত্তর পাবেন সেসবে আরও উত্তেজনা বাড়বে মনে, মনের ওপর চাপ পড়বে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সুবিচার মেলে না— এটুকু মনে রাখবেন। উপদেশ নয়, এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত।
  • অর্জুন | ***:*** | ১০ অক্টোবর ২০১৯ ১০:৫১388438
  • আজকের আনন্দবাজার পত্রিকার (১০/১০/২০১৯) 'সম্পাদক সমীপেষু' বিভাগে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার একটি চিঠি প্রকাশিত হল।

    @সে, দুঃস্বপ্ন নিঃসন্দেহে এবং আইনী পদক্ষেপ অবশ্যই নেওয়া হবে। সুরাহা হবে কি হবে না, তা নিয়ে এখনি নৈরাশ্যে ভুগতে চাইনা।
  • অর্জুন | ***:*** | ১০ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:৩৬388440
  • অনেক ধন্যবাদ @এলেবেলে

    পত্রিকার অনলাইন ভারশনের ব্যাপারে বেশ আনাড়ি সন্দেহ নাস্তি।
  • Kaju | ***:*** | ১০ অক্টোবর ২০১৯ ১৮:০৪388441
  • বিদেশে গিয়ে অনেককেই এমন বিপদে পড়তে হয় শুনেছি। তার ওপর এতবার ফ্লাইট বদল করে আসা, ইউয়েস থেকে তুর্কি, বাবা ভেবেই তো পিলে চমকে যায় জোয়ান লোকেরই, সেখানে এত বয়স্ক দুই মানুষ। এসব জায়গায় ধরেই নিতে হবে যে কিছু গন্ডগোল তো হবেই, সঙ্গে আগলে নিয়ে আসার কেউ না থাকলে আমি অন্ততঃ ছাড়ব না এভাবে। দূরপাল্লার ট্রেনেই ছাড়ি না। এপ্রিলে গেল, আমার চিন্তায় খাওয়া ঘুম ছুটে গেছিল। বাড়ি ফিরল তবে স্বস্তি। আপনার সুযোগ ছিল না সেটা মেনে নিয়েই বলছি। আর এটাও বলি আমার বাবা মা-র বয়েস ঠিক ১ বছর করে কম জেঠু জেঠিমার থেকে। কাজেই আপনার ১ম লাইন থেকেই বুঝতে পেরেছি নিজেকে সেই পজিশনে বসিয়ে। সামন্য দেশের বাড়ি থেকে ফিরতেই লোকাল ট্রেনে ব্যতিব্যস্ত প্যাসেঞ্জারদের হুড়ুমদাড়ুম উঠে পড়া থেকেই যেভাবে বাঁচিয়ে আনতে হল ওনাদের, তাতে এসব তো অনেক অনেক ভয়াবহ ব্যাপার।
  • Prashna | ***:*** | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:১৮388442
  • সেদিন ডালাস বা এল এ থেকে কলকাতাওঁরা দুজনেই আসছিলেন? একই রুটের আর কোন যাত্রী ছিল না? থাকলে তাদের কী হল?
  • অর্জুন | ***:*** | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ১৮:৩৪388444
  • @কাজু সব চাইতে দুঃসময়টা ছিল যখন ইস্তানবুল বিমানবন্দরে বসে বাবা, মা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেনা এবং আমিও তাঁদের নয়। অ্যালাস্কান এয়ার দুদিন ধরে খালি ভুল্ভাল তথ্য দিয়ে গেল যা অন্য এয়ারলাইনের সঙ্গে মিলল না।

    @ Prashna পুরোটা পড়লেই জানতে পারবেন। ড্যালাস থেকে লস এঞ্জেলেস সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন অপারেট করেনা তাই একটি অ্যামেরিকান এয়ারলাইন ড্যালাস থেকে লস এঞ্জেলেস পৌঁছে দেবে জানিয়েছিল। কিন্তু কোন অ্যামেরিকান এয়ারলাইন সেটা তারা বলেনি।ড্যালাস থেকে লস এঞ্জেলেস র লভফিল্ডে পৌঁছে জানা যায় ফ্লাইট প্রথমে সান ফ্রান্সিসকো যাবে, তারপর এল এ। এল এ'তে পৌঁছলে হয়ত মেন রুটের (এল এ- সিঙ্গাপুর- কলকাতা) অন্য যাত্রীদের দেখা হত। ড্যালাস থেকে এই রুটের অন্য যাত্রীদের কোনো খোঁজ বাবা, মা পাননি, সন্ধান করেছিলেন সান ফ্রান্সিসকোতে।
  • প্রবলেমটা সম্ভবতঃ | ***:*** | ১৪ অক্টোবর ২০১৯ ০০:১১388445
  • মেক মাই ট্রিপের। সরাসরি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের (বা অন্য কোনো এয়ারলাইনের) ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কাটলে হয় তো দাম বেশি পড়ত কিন্তু এই ঝামেলা হত না। দেখা যাচ্ছে ট্রাভেলারা জানতেনই না তাঁরা কোন অ্যামেরিকান এয়ারলাইনে চড়বেন। কোডশেয়ারের কোনো ব্যাপার ছিল না সম্ভবতঃ, জাস্ট আলাদা আলাদা এয়ারলাইনে টিকিট কেটেছে বোধ হয় সস্তা করার জন্যে। তার ফলে কানেকশন মিস করলে সবাই হাত ঝেড়ে ফেলছে। সরাসরি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন থেকে টিকিট কাটলে বলে দিত কাদের সাথে কোডশেয়ার করছে (টিকিটে লেখা থাকত অপারেটেড বাই অমুক)। আর হোটেল দিত এক দিন লস অ্যাঞ্জেলেসে বা সান ফ্রানসিস্কোতে থেকে পরের দিনের ফ্লাইট ধরতে। থার্ড পার্টি থেকে টিকিট কাটা খুব একটা রেকমেণ্ডেড নয় ইন জেনেরাল।
  • নো-জাস্টিফিকেশন | ***:*** | ১৪ অক্টোবর ২০১৯ ০০:৩৪388446
  • 'এয়ারলাইনে টিকিট কেটেছে বোধ হয় সস্তা করার জন্যে। তার ফলে কানেকশন মিস করলে সবাই হাত ঝেড়ে ফেলছে।' 'জাত ঝেড়ে ফেলছে' এটা কোনো জাস্টিফিকেশন হতে পারেনা।

    অনলাইনে একটি নামী এয়ারলাইন সংস্থা টিকিট বিক্রি করছে এবং সে কার সঙ্গে কোড শেয়ার করেছে সে মাথা ব্যথা যাত্রীরা নিতে পারেনা। তারা টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছে এবং নির্দিষ্ট ফ্লাইটে যাত্রা করবে। কোড শেয়ার এয়ারলাইন টিকিট এমন ভাবে রিরুট করছে যা রিরুটেড এয়ারলাইনের হেডকোয়ার্টারে গিয়ে ইনভ্যালিড। এটা আইনত ক্রিমিনাল অফেন্স।

    এয়ারলাইনের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে গেছে।
  • রমিত | 202.8.***.*** | ২২ অক্টোবর ২০২০ ২১:৩৭733050
  • with heart in my mouth এর বাংলা অনুবাদ ওষ্ঠাগত প্রাণ

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন