এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ‘বিজ্ঞান’-শিক্ষার কাম্যতর বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা-ভিত্তিক তেত্রিশ বছর আগেকার একটা লেখা

    সুভাষ গাঙ্গুলী
    অন্যান্য | ২৪ জুন ২০১৯ | ৭৭৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সুভাষ গাঙ্গুলী | ***:*** | ২৪ জুন ২০১৯ ১৯:০৬383236
  • ‘বিজ্ঞান’-শিক্ষার কাম্যতর বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা-ভিত্তিক তেত্রিশ বছর আগেকার একটা লেখা

    সুভাষ গাঙ্গুলী
    (subhasganguly@rediffmail.com)

    ‘করকে দেখা সমঝ গয়া’, এই হিন্দী শিরোনামায় একটা বাংলা লেখা তেত্রিশ বছর আগে (1986) ‘বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানকর্মী’ (সংক্ষেপে ‘বি-ও-বি’) নামে একটি অ-বাণিজ্যিক পত্রিকায় (‘লিট্ল ম্যাগাজিন’ ) দুই কিস্তিতে প্রকাশিত হয়েছিল । লেখাটা স্কুল স্তরে বিজ্ঞানশিক্ষার বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে । প্রথম কিস্তিতে রয়েছে বিজ্ঞানশিক্ষার পাঠক্রমের অঙ্গ হিসেবে মুর্গীর ডিম থেকে বাচ্চা বেরুন’র গোটা প্রক্রিয়াটা’র হাতে-কলমে পরীক্ষার — যাতে ক্লাস-এর শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সবাই মিলে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও আলোচনার মাধ্যমে প্রাণের বিকাশ সম্পর্কিত ধারণায় পৌঁছাচ্ছেন — একটা প্রত্যক্ষদর্শী-র বিবরণ । দ্বিতীয় কিস্তিতে রয়েছে এই বিবরণ থেকে বেরিয়ে আসা ‘বিজ্ঞান’ শেখান’র কাম্য পদ্ধতি সম্পর্কিত আলোচনা । সংশ্লিষ্ট ওয়েব-সাইটের নিচে দেওয়া প্রথম Link -এগেলে দু’ কিস্তি মিলে এই মূল বাংলা লেখাটা এবং দ্বিতীয় Link -এ গেলে তার ইংরেজী অনুবাদ (মূল বাংলা’র লেখকেরই করা) পাওয়া যাবে । চরিত্রগত ভাবে লেখাটাকে স্কুল শিক্ষকদের জন্য পরিচালিত এক প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত এক জন বহিরাগত দর্শক-তথা-অংশগ্রহণকারীর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার (প্রথমাংশে) এবং সেই অভিজ্ঞতা-কেন্দ্রিক কিছু ধারণা ও অনুভবের (দ্বিতীয়াংশে) প্রতিফলন বলা চলে।

    মধ্যপ্রদেশের হোশাঙ্গাবাদসহ আরও কিছু কিছু জেলার স্কুলগুলিতে প্রাক মাধ্যমিক স্তরে তখন (এখন আর নেই) ‘একলব্য’ নামে এক বেসরকারী সংস্থার পরিচালনায় ‘হোশাঙ্গাবাদ সায়েন্স টিচিং প্রোগ্রাম’ (‘Hoshangsabad Science Teaching Programme’ – HSTP) নামে এক শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের ‘বিজ্ঞান’ পঠন-পাঠন চলত । 2002 সালের 3রা জুলাই মধ্য প্রদেশে কংগ্রেস চালিত তৎকালীন রাজ্য সরকারের তরফে জারী করা এক সরকারী হুকুমানুসারে শিক্ষাক্রমের এই কর্মসূচী বন্ধ হয়ে যায়। উপরোক্ত প্রশিক্ষণ শিবিরের ‘শিক্ষার্থীরা’ ছিলেন এই শিক্ষাক্রমের আওতাধীন স্কুল গুলির শিক্ষক ।আর প্রশিক্ষণ শিবিরের ‘শিক্ষক’রা ছিলেন উপরোল্লেখিত ‘একলব্য’ নামের সংস্থার সদস্যরা ।

    এই প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা এই লেখার রচনাকারীর মনকে খুবই নাড়া দিয়েছিল । তা থেকেই এই লেখার জন্ম । এই নাড়া দেওয়ার প্রধান কারণ হল, যে পদ্ধতিতে সেখানে বিজ্ঞানের নানা দিক শেখান হত তা আনুষ্ঠানিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রচলিত পদ্ধতি থেকে কাম্যতর অর্থে মৌলিকভাবে আলাদা । অতি সংক্ষেপে এই পদ্ধতি হ’ল বেছে নেওয়া প্রাকৃতিক ঘটনা’র ক্ষেত্রে আগে থেকে সংশ্লিষ্ট ধারণা বা ধারণাগুলির বিমূর্ত কোন সংজ্ঞা (সূত্রাকারে বা অন্য কোনও ভাবে) আগাম দেওয়ার (যা প্রচলিত প্রাতিষ্ঠানিক ‘বিজ্ঞান’ – শিক্ষাক্রমে দেওয়া হয়ে থাকে) বদলে পাঠদান শুরু হচ্ছে পরিবেশ থেকে কিছু উপকরণ নিয়ে প্রায় খেলার ভঙ্গীতে নাড়াচাড়ার (অন্য কথায় ‘পরীক্ষা’র) মাধ্যমে । সেই পরীক্ষার প্রতিটি স্তরে আলোচনা করতে করতে অবশেষে সংশ্লিষ্ট ‘বৈজ্ঞানিক” ধারণায় বা সূত্রে শিক্ষার্থীরাই সম্মিলিতভাবে পৌঁছাচ্ছেন বা অন্য কথায় সেগুলি ‘আবিষ্কার’ করেছেন ।

    লেখাটা কিছু সম্ভাব্য আগ্রহী পাঠকের কাছে (সব পাঠকেরই এই লেখার বিষয়-বস্তুতে আগ্রহ থাকবে এমনটা আমি ধরে নিচ্ছি না) পৌঁছে দেবার জন্য এই ‘টই’–টা খুলছি । লেখাটা পড়ে পাঠকরা তাঁদের মতামত এবং সমালোচনা খোলাখুলি এই ‘টই’-তে জানালে উপকৃত বোধ করব।

    মূল বাংলা লেখাটার Link: https://sites.google.com/site/subhascganguly/writings/KarkeDekhaa-Bengali-1986.pdf?attredirects=0

    ইংরেজী অনুবাদের Link https://sites.google.com/site/subhascganguly/writings/SubhasGanguly-2010a.pdf?attredirects=0
  • কল্লোল | ***:*** | ২৫ জুন ২০১৯ ১৩:২৬383237
  • লিংকে কিছু দেখাচ্ছে না।
  • সুভাষ গাঙ্গুলী | ***:*** | ০১ জুলাই ২০১৯ ০০:১২383238
  • ঐ দুটি লিংকে ক্লিক করলে যে পাতা আসবে তাতে

    দেখবেন রয়েচ্ছে ঃ
    Download Attachment
    Click here to download your attachment

    সেখানে here' শব্দটা নীল রঙে আছে , সেখানে ক্লিক করলেই লেখাটা (43 পৃষ্ঠার) চলে আসবে । সেখানে একেবারে মাথায়/ডান দিকে
    গেলে download করার জায়গা একটা তীর (arrow) দিয়ে চিহ্নিত করা আছে যেখানে ক্লিক করলে লেখাটা
    downloaded হবে ও আপনাকে সেটা save করতে হবে ।

    এর বিকল্পে নিচের ওয়েব-সাইটে গেলে সংক্ষিপ্ত পরিচিতি সহ আমার আরও অন্যান্য লেখার সাথে 'করকে দেখো' লেখা দুটিরও (ইংরজী ও বাংলায়) লিংক পাবেন । বাংলাটা এই বিভাগের নিচে ঃ "WRITINGS IN BENGALI" এবং ইংরেজীটা এই বিভাগের নিচে 'WRITINGS IN ENGLISH'

    https://sites.google.com/site/subhascganguly/writings
  • অঞ্জন মজুমদার | ***:*** | ২৫ জুলাই ২০১৯ ২১:০০383239
  • আশির দশকে মধ্যপ্রদেশের ‘একলব্য সংস্থা ‘হোশাঙ্গাবাদ সায়েন্স টিচিং প্রোগ্রাম – নামে যে উদ্যোগ শুরু করেছিল সেটি বিজ্ঞান শিক্ষা তথা বিজ্ঞান আন্দোলনের সাথে যুক্ত বহু মানুষের কাছেই এক প্রেরণা হিসেবে দেখা দিয়ে ছিল। একলব্য বুঝেছিল, মানুষের স্বাভাবিক বোধের সাথে – সাধারণ পর্যবেক্ষণের সাথে – যুক্ত করে বিজ্ঞান শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারলে একসময়ে তা জীবন বোধ হিসেবে গড়ে উঠবে। প্রচলিত শিক্ষার পরিসরে অবশ্য সেই প্রয়াস উল্লেখযোগ্য কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি। এরপর অনেকটা সময় আমরা পেরিয়ে এসেছি। দেশের বিজ্ঞান শিক্ষা আজ একেবারেই উল্টো পথে চলেছে। শ্রদ্ধেয় সুভাষ গাঙ্গুলির লেখাটি আশির দশকে প্রাসঙ্গিক ছিল। বর্তমান সময়ে লেখাটি যেন আরও বেশি করে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে বলে মনে হয়েছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন