এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সিনেমা নিয়ে

    Dyuti Mustafi লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ১৯ মার্চ ২০১৯ | ৩৩৬৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Dyuti Mustafi | ১৯ মার্চ ২০১৯ ২৩:০০383005
  • কদিন নানা আড্ডায় সিনেমার গল্প ঘুরছে, তাই একটু নিজের স্মৃতি রোমন্থনে বসলাম। সবার ই রূপোলী জগত নিয়ে আরো অনেক কিছু বলার থাকে, সেরকম ই কিছু আর কি

    সিনেমা নিয়ে

    আজকাল তো সিনেমা দেখা প্রায় হয় ই না, আগে যে টা আমাদের অন্যতম বিনোদন ছিল। তা এই একাল সেকাল সিনেমা দেখা নিয়ে একটু গপ্প করতে এলাম। আমার ছোটবেলা হাওড়া রামকৃষ্ণপুরে কাটে। বাড়িটা এমন এক জায়গায় মোটামুটি সব হলেই চাইলে আধ ঘন্টায় পৌঁছে যাবে। সে সময় হলগুলোর একটা স্ট্যান্ডার্ড ছিল। ভালো হল, মাঝারি ভালো, খারাপ, ছারপোকা হল, এ মার্কাদের হল ইত্যাদি।একদম ছোটতে অত বুঝতে শিখিনি। আমাদের বাড়িতে অনেক সদস্য। পালা করে এক সিনেমা এ একবার সে একবার দেখে আসতো। সবাই একসাথে খুব কমই যেত। মা, ছোটপিসি দুপুরে ম্যাটিনি শোতে, ওরা ফিরতে ঠাকুমা, তারাদি, বড়পিসির শাশুড়ি এই টাইপ গ্রুপ যেত ইভনিং এ, রাতে ওই সিনেমাই কোনোদিন মা আর বাবা, কাকারা নিজেদের ফুরসৎ করে যে যখন পারতো দেখে আসতো। কাকাদের মধ্যে ছোটকা অনেকদিন বেকার ছিল, সেই বিখ্যাত সাহেবের ভূমিকায়। তাই সব টিকিট ছোটকাই কাটতো প্রায়। আমরা যেতাম ঠাকুমাদের সাথে। ওই ছোটকা কমন। সিনেমা যাওয়া টা একটা দারুণ মজার ব্যাপার আমাদের কাছে। পাড়ার দু তিন টে রিক্সাওলা, বুদো দা আর পাগলার রিক্সা কমন। বুদো দা মানে আমাদের বুদো জ্যেঠু বাড়ির সামনেই থাকতেন। এদের নিয়েও বিস্তর বলা যায়। বুদো দা ছাপোষা পরিবার, অনেক ছেলে মেয়ে, বৌ এ বাড়ি সে বাড়ি কাজ করতেন কিন্তু কি সুন্দর দেখতে তাঁকে, সিঁদুর শাঁখা, ছাপা শাড়ি পরে এদিক সেদিক নানা কাজ করতেন, সকাল বিকেল লোকের বাড়ি, সন্ধ্যের দিকে সামনের গুল কারখানায় এইসব খুব কাছ থেকে দেখেছি। বুদো জ্যেঠুর ছেলেদের কথাও মনে আছে। এসব নিয়ে না হয় আরেকদিন হবে, যা হোক এই হল বুদো দা। আমাদের জ্যেঠু। ওনার রিক্সা খালি পেলে উঠতাম। বুদো জ্যেঠুর শরীরে কিছু নেই, রাতে একটু বাংলাও চড়াতেন হবে, কিন্তু আমাদের খুব যত্ন করে নিয়ে যেতেন। সেই আশির দশকে পাড়ার রাস্তায় এক একটা খানাখন্দ মারাত্মক টাইপ থাকবেই। সেই খন্দগুলো নেমে টেনে পার করতেন। পাশে সাইকেলে ছোট কা। নাতি নাতনির দল বেশি হলে এক আধটা ছোটকার সাইকেলের রডে চড়তাম। ওই খন্দের জায়গাটা ছোটকা নেমে পেছন থেকে ঠেলবে, রিক্সাটা একবার এদিকে একবার ওদিকে হেলে দুলে খন্দের ও পারে যেত। এক আধবার ছিটকে পড়েওছি, ওদিক থেকে সাইকেল এরকম কত কি। যা আজ শুধুই স্মৃতি, শুধুই মজা দেয়। বুকে একটা সেই পড়ে যাবার ভয় ওদিকে সিনেমা শুরু হবার দামামা বাজছে বুকে, খন্দ পেরিয়ে বুদো কে আদেশ ঠাকুমার, 'চলো বাবা, তাড়াতাড়ি চলো।' বুদো দা সারা শরীরের জোড় দিয়ে রিক্সা টানতেন। পরনে লুঙ্গি আর চিটে গেঞ্জি। ভিজে বাতাসে ঘামের গন্ধ এসে ঠেকতো প্রায় ই। ঘড়ি আর বুকের লাবডাব লম্ফঝম্প করতো। আমরা প্রায়ই যেতাম শ্যামাশ্রী হলে। ওই সময় সব থেকে ভালো পরিপাটি হলগুলোর একটি। শ্যামাশ্রী আমাদের সব থেকে কাছের হল। এছাড়া ওদিকে আরেকটু এগিয়ে ছিল পার্বতী আর যোগমায়া হল। ওই দুটো যেতে হলে বেশ খানিকটা করে বাস রাস্তা দিয়ে রিক্সা চালাতে হত। একটু রিস্ক ফ্যাক্টর। তবে ভালো সিনেমা হলে কি ছাড়া যায়! বেশিরভাগ ঠাকুর দেবতার বই ওই যোগমায়াতে হত। ছোটতে এরকম দেখা সিনেমাগুলোর নাম সাবিত্রি সত্যবান, হরিশচন্দ্র শৈব্যা, দক্ষযজ্ঞ, সিংহদুয়ার, বাবা তারকনাথ। সিনেমা হল মানেই অন্ধকার বড় ঘর, দূর থেকে অন্ধকার ভেদ করে দূরে ইংলিশে লেখা এক্সিট চোখে ঠিকড়ে লাগে, এক দুজন থাকতেন টর্চ হাতে টিকিট অনুযায়ী বসাতেন দর্শকদের। ছোটকা সাইকেল রাখতে যেত, আর বুদো দা কে ভুলে যেতাম, ছুট দিতাম হলে। সেই খোসা সুদ্ধ বাদামের গন্ধ ভেসে আসতো নাকে। খুব ছোটবেলার স্মৃতি। সিংহদুয়ার এ খুব কেঁদে ভাসিয়েছিলাম সেই চাবুক পেটার দৃশ্যে। এই সিনেমার ই গান মনে হয় 'টুকটুকে বৌ আনবে আমার ভাই'।একটু সামনে সীট পেয়েছিলাম সেবার। তাই চাবুকের ঘা বেশি লেগেছিল হবে। আর দক্ষযজ্ঞ তে সেই শিবের নাচ ওটাও খুব মনে চাপ ফেলেছিল। সিনেমার গল্পের সাথে এভাবে মিশে যেতাম। সাবিত্রী সত্যবান, হরিশচন্দ্র শৈব্যা কিম্বা বাবা তারকনাথে সেই দুখ ভরি কাহানি, আর আমার ভেউ ভেউ কান্না সব মিলেমিশে একাকার। কান্নার নোনা জল চাটছি অন্ধকারে হঠাত সেই ক্রিং আওয়াজ। ইন্টারভ্যাল পরে জেনেছি সে সময় জানতাম হাফ টাইম। বাংলায় বিরতি। সেই বাদামওয়ালা, সবুজ পুদিনার চাটনি দেওয়া নুন সাথে। ঠাকুমারা পান, চা যে যেমন পারে খেলো। আবার অন্ধকার।আবার ক্রিং শব্দ হল জুড়ে, আবার সেই কিছু সরকারি তথ্যচিত্র, তখন টিবি নিয়ে বেশি বলা হত, সেই চেনা চেনা গলা, এক রীল দু রীল মানে এটা সিনেমা নয়। ততক্ষণে ওই যারা টয়লেট ফিরতি তাদের ঢোকা বেরোনোর তাড়া। আরেকটু পর সিনেমার বাকিটুকু। শুরুতে সুখ এবার দুখ কিম্বা ঝাড়পিট কিম্বা স্ট্রাগলের প্যানপ্যানানি। আমাদের বাদাম চিবিয়ে এসব কচকচানি আর পোষায় না। এত চাপ ছোটতে নেওয়া যায় না। তাই ঘুমিয়ে যেতাম। হঠাত আলো জ্বলে উঠতো,ঘুমন্ত চোখ দুটো খুলতো, কেমন সেই জ্বালা জ্বালা করতো, হল ভর্তি লোক বেরিয়ে যাচ্ছে, ঠাকুমা,তারাদিরাও উঠেছে। অন্ধকার থেকে বাইরে এলে কেমন লাগে, কখনো দেখতাম এক পশলা হয়ে গেছে, সব ভিজে ভিজে, ছোটকা আগে বেরিয়ে সাইকেল নিতে গেছে, টিকিটঘরের দিকে সাইকেল স্ট্যান্ড, সেই বিচ্ছিরি পেচ্ছাবের গন্ধ, যাইহোক ফিরতি পথে পাড়ার পাগলাকে বলা আছে। বুদো জ্যেঠুর সন্ধ্যেতে অসুবিধা হয়। পাগলার কথাও একটু হোক, পাগলা আর ওর রিক্সা মারকাটারি ব্যাপার। পাগলার রিক্সা পুরো ঢরঢরে। উঠতে নামতে মচ মচ, ক্যাঁচকোঁচ আওয়াজ। হাতল ধরে উঠতে গেলে হাতল হায়ে এসে গেল টাইপ। পাগলাকে দেখতে কেমন ছিলো? একটু ট্যাঁড়া ছিলো। সামনের বড় এবড়োখেবড়ো দাঁত, কালো মুখে হাসি লেগেই আছে। বেশি হাসলে নাল পড়বে টাইপ। বেশি কথা বললে থুতু ছিটকাবে। পাগলা বাঙালী নয়। ওর কি যেন নাম ছিল একটা। ঠাকুমা মোটেও পাগলা বলতো না। ওর সেই বাপ মায়ের দেওয়া নামেই ডাকতো। পাগলাকে যে কেন পাগলা বলতো ঠিক জানা হয় নি। ওই সরল হাসি, পয়সার হিসেব জানতো না, জানলেও কষতো না, আর এমন সব হলেই তো পাড়ার লোকের পোয়া বারো। উতসবের দিনে পাগলাকে একটু বাংলা চুমুক দেওয়ালে বাংলা নিজের ভোজপুরি গান নাচ সব ই দেখাতো। এসব আরো যা যা করানোর ওকে দিয়ে করতো পাড়ার রকবাজরা। এসব আমি বড় হতে হতে বুঝেছি। এই পাড়া আমায় কত কি শিখিয়েছে, বুঝিয়েছে। যা হোক, কিন্তু পাগলার রিক্সাতেই বহু মায়েরা ছোটদের স্কুলে পাঠাতেন। এক হলো ও ওদের ঠিক দেখভাল করবে এই ভরসা ছিল, আর ওই সস্তার ব্যাপারটা তো ফেলে দেবার নয়। ওর রিক্সা এই পাড়ার ছেলেরাই ভাংচুর করতো, তাই ওমন দশা। যা হোক পাগলার এই দুখ ভরি কাহানি আমি পড়তে পেরেছিলাম। পাগলাই ছোটপিসিকে এদিক সেদিক নিয়ে যেত, পাগলাই অনেক রাতে বাস স্ট্যান্ড থেকে নামলে একটি বড় বেলায় আমায় ঘর পৌঁছে দিত। আমি হাঁটবো বললেও পাগলা জোড় করতো কারণ সেই রাত ওই রাস্তা কে কেমন এসব পাগলা জানতো। আমি পাগলাকে পড়তাম, পাগলাও আমাকে পড়তো বৈ কি। যা হোক, সেই পাগলার রিক্সায় টপাটপ আমরা চড়তাম। ফিরতি পথে ঠাকুমার কখনো ফুচকা, আলুকাবলির সাধ জাগতো। সেসব সাঁটিয়ে, কোনো মন্দিরে আরতি ফারতি দেখে বাড়ি ঢুকতাম। আর সেই খন্দ, তায় পাগলার রিক্সা। পাগলা ঠেলে ঠুলে পার করে সেই হাসি দিত, 'মাজি কো কুছ হোনে নাহি দুংগা'। ছোটকা ওই খন্দের কাছে আমাদের ত্রাতা বিধাতা হয়ে দাঁড়াতো। ওটা পেরোলে আবার এগিয়ে যেত। এই ছিল ছোটবেলার সিনেমা দেখা পর্ব। বাড়ি এসে তার রেশ থাকতো, আলাপ আলোচনা চলতো। ভালো হলে আবার একদল মাততো যাবার জন্য।

    এরপর একটু বড় হয়েছি, একটু দুনিয়াও বেড়েছে। মা কলকাতার মেয়ে। বাড়িতে নাকি রেনেসাঁ এনেছিল। তাই মা এবার এটা ওটা সিনেমা দেখানো শুরু করে। মা বাবার সাথে আমি ভাই কতবার বর্ন ফ্রি দেখেছি বলা যাবেনা। এসব সিনেমা দেখতে কলকাতা যেতে হত। গ্লোব, নিউ এম্পেয়ার, এলিট এসব তখন হাই ফাই হল ধর্মতলার। হাওড়াটা যত চিনতাম এই জায়গাগুলো যেন একটু অচেনা। বাবা মায়ের হাত ধরে যেতে হয়। বেশ ভিড় চারদিকে, কত মানুষ কত পসরা। কি আনন্দ হত এই রকম আউটিং এ। বর্ন ফ্রি যতবার দেখেছি কেমন দলা পাকিয়ে থাকতো গলায়, খুব যেন চেনা হয়ে গেছিল সব দৃশ্য। সেই ছোট ছোট শাবক,এলসা সেই দুধের বোতল, সাথে মা মায়ের মত করে বোঝাতো। বুঁদ হয়ে যেতাম। আরেকটা সিনেমা মা অনেক খোঁজ নিয়ে শেষে দেখাতে পেরেছিল, সেটা হল বেন হূর। কতদিন মায়ের কাছে সেই ঘোড়া দৌড়ানোর গল্প শুনেছি। আজ একসাথে সেসব দেখায় যে কি সুখ। মা তৃপ্ত মানেই আমরা খুশ। ফিরতি পথে অনাদির মোগলাই, নয় ইন্দ্রমহলের কুল্ফি, আর নইলে সাবিরের তন্দুরি রুটি আর রেজালা বাঁধা। এসব দিন বড় লোভের ছিল। এরপর টিভির প্রকোপ ঘরে ঘরে। রবিবারের ছায়াছবি, আমাদের টিভি আসেনি, দাদুর সাথে মহেশ্বর দাদুর বাড়ি গিয়ে সেই লালু ভুলু, দুষ্টু মিষ্টি এসব দেখে আসতাম। সেই সময়ে বাজার মাতালো তেজাব। মা আমাকে ভাইকে দেখাতে নিয়ে গেল ওই শ্যামাশ্রীতে। নিজে দেখে এসে এই সিনেমা মা দেখিয়েছিল। এর আগে সেই হিন্দী সিনেমা গান এসবে আগল ছিলো। বাবা একটু সেকেলে, যাই হোক, এমন কি মা তাড়াতাড়ি নিয়ে যেতে চেয়েছিল যাতে মাধুরীর ওই শুরুর নাচটা মিস না করি। হলের পর্দা জুড়ে মাধুরীর সেই ছোট স্কার্ট টাইপ ড্রেস পরে নমস্কার চোখ মারা সব কেমন তালগোল পাকিয়ে গেছিল। যে মা এত দাপুটে এত রাগী সেই মা এই সিনেমা এসব মেলানোর ক্ষমতা ছিলো না। ডুবে গেছিলাম একের পর এক গানে। 'ক্যায় দো গে তুম ', 'শো গায়া' সব গান সারা শরীরে মেখে বিভোর হয়ে ফিরেছিলাম। তেজাব মানে কি? অনিল কাপুর কি করে, মাধুরী ডাক্তারি ছেড়ে সিনেমায় এলো ছ্যা ছ্যা এসব চর্চা চারদিকে। সে সময় ভিডিও, সিডি এসবের চল শুরু হয়। ভাই কোথা থেকে তেরী মেহেরবানিয়া দেখে এসেছিল। তারপর খুব কুকুর প্রেমী হয়ে উঠলো আর আমি ক্যায়ামত সে ক্যায়ামত তক। আমায় পায় কে। আমি আমীর কে পেয়েছি। ওই মেয়েটা ওর আসল বৌ কিন্তু সিনেমায় অন্য নায়িকা নিয়ে এক্টিং করছে এসব হজম করছি, গান গুলো টেপ রেকর্ডারে রাত দিন শুনে শুনে পচিয়ে ফেলার জোগাড়। আর ভাই বেসুরে তেরি মেহেরবানিয়া গাইতো। রাস্তার নেড়িদের ঠ্যাং জুড়তো, ঘরে আনতো। আর আমি আমীরের ছবি কাটছি, কিনছি, ঠিক করে ফেলেছি এর সব সিনেমা আমায় দেখতেই হবে। আমার বয়ফ্রেন্ড যেন এমন দেখতে হয় আরো কত কি। ওদিকে বাংলা সিনেমায় তাপস পাল, প্রসেঞ্জিতের জামানা, মহুয়া, স্মিতা পাটিল দের মৃত্যু রহস্য নিয়ে আনন্দলোক মাতোয়ারা। সাহেব,দাদার কীর্তি হিট এসব পেরোচ্ছে, দু একটা ওই ফেলুদা সিরিজ, ফটিকচাঁদ এই টাইপ সিনেমা এলে হলে নিয়ে যেত বড়রা। আমীরের পরের সিনেমা সব ফ্লপ, খুব রাগ, আমার আমীর তোমার এমন পড়তি বাজার অসহ্য বলে প্রেম পত্তর নামাবো এই সময় এলো 'ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া'। সেও মা দেখে এসে নিয়ে গেছিল কলকাতার হলে, নিউ এম্পেয়ারে মনে হয়। সেই ডলবি সাউন্ড, কানের পাশ দিয়ে আই লাভ ইউ, উউউফফ আমার পুরো বেহোশ দশা। তার আগে ভাগ্যশ্রীর টিভি সিরিয়াল গিলেছি, কচ্চি ধূপ। এই বয়সটাই ফ্যান হয়ে ঝোলার। আমি আমীর থেকে ভাগ্যশ্রীর তে সিফট করলাম। নিজেকে ওর মত সাজাতাম। পায়রা দেখলে আর পায়রা মনে হত না, কবুতর লাগতো। চূড়ান্ত পাগল হয়ে গেছিলাম। দিন রাত আতে যাতে গুন গুন করতাম আর বাবা সামনে এসে যেত..

    জি টি রোডের উপর অনেক সিনেমা হল ছিল। ময়দানে বংগবাসী, দুটো স্টপেজ পর নবভারত। এই দুটো পেরোলে আমার গন্তব্য ফজির বাজার। এই দুটো হলের অন্য রকম গল্প। আমি ফাইভ থেকে কলকাতার স্কুলে পড়েছি। তাই এই বংগবাসী নবভারত টপকে যাতায়াত করতে হত। তাই সব বুঝতাম। এই দুটোতেই হিন্দী সিনেমা চলতো। আগে বংগবাসীতে তাও কিছু ঠিকঠাক সিনেমা দিতো কিন্তু পরের দিকে একদম রদ্দি সিনেমাই লাগতো। আর রদ্দি সব পোস্টার। সিনেমা মানেই এসব গল্প আসবেই। আর তাই এ হলগুলোতে ভিড়টাও এক টাইপ লোকের ছিল। আমাদের এসব হলে কেউ দেখলে বিপদ ছিল। তবু আবছা মনে পড়ে নবভারতে একবার কিছু একটা দেখতে গেছি কিন্তু বংগবাসীতে যাওয়া হয়নি। আর এই হলগুলোই ওই ছারপোকা মার্কা। বংগবাসীর সামনে সারাক্ষণ ভিড়। আর বাস পার হলেই একদল লোক জানলা দরজা দিয়ে হুমড়ি খেত ওই পোস্টার দেখার জন্য। যারা সোজা দেখতে পেত না তারা আড়চোখে দেখতো। জামানাটা আশির দশক, এখনকার মত হাতে মোবাইলের নয়। অনেক কষ্টে কেষ্ট মিলতো। আর নবভারত নিয়েও অনেক গল্প ছিল। সেখানে ড্রাগখোরদের আড্ডা, রিক্সাওয়ালাদের হল ইত্যাদি ইত্যাদি। জ্যাম ট্যাম থাকলে ওখান দিয়ে হাঁটতেও কেমন লাগতো আর সেই অদৃশ্য নিষেধ যেন ছড়ি ঘোরাতো। এরপর কিছুটা গেলে ছিল শিবপুর বাজারের কাছে অলকা। এটাও সে সময়ে খুব স্ট্যান্ডার্ড হল ছিল, সীট ভালো, পরিস্কার টাইপ। অনেক পারিবারিক সিনেমা দেখতে আসা হত। আর পরের দিকে প্রেম করার সময় এক আধবার গেছি। এরপর আরো এগিয়ে দীবনবন্ধু কলেজের দিকে মায়াপুরী, আরো গেলে বি ই কলেজের দিকে দুটো হল লিপি আর ঝর্ণা। লিপি এককালে খুব হাই ফাই হলের মধ্যে পড়তো, খুব ভালো সিনেমা চলতো, অনেকদিন ধরে, সেসব এক আধটা দেখতে আসা হত আমাদের। তবে আমরা উঠতি বয়সে বুঝেছি কলেজের সামনে হল থাকা জরুরি, তাই এসব হল মোটামুটি ওই কলেজ পড়ুয়াদের জন্যই ছিল। তাই সাধারণ বাড়ির কেউ চট করে যেত না। আর ঝর্ণা মানেই এ মার্কা ছবি বা বি গ্রেড কিছু, আমরা তখন এসব কালচার অত করতাম না, এ মার্কা শুনলেই কানে হাত দিলে ছ্যাঁকা লাগতো। হলগুলোর নামও বেশ মজার, সব যেন বাড়ির মা বৌমাদের নাম। এসব নিয়েও প্রচুর ইতিহাস আছে হবে, অত জানা নেই। যা হোক, এ ছাড়া ছিল কদমতলা, শালকের দিকের হল। আমাদের ওদিকে তেমন যাওয়া হত না। তবে সারা হাওড়ায় কদমতলার পুষ্পশ্রীতে মনে হয় এসি ছিল। আমার হবু কত্তার ঘাড় ভেঙে বিয়ের আগে আমার সব বান্ধবীদের নিয়ে ওই পুষ্পশ্রীতে একবার গেছিলাম। মণিরত্নমের বম্বে দেখতে। পুরো একটা লাইন শুধু আমার মেয়ে বন্ধুরা আর উনি মাঝে পাশে আমি। এসব দিন এক একটা ইতিহাস।
    এক মজার দিনের গল্প বলি। সে সময় ওই গুরুদক্ষিণা চলছে চুটিয়ে। আমরা বাড়ির ছেলে মেয়েরা বড় হয়েছি আর ঠাকুমা ফাকুমা পোষায় না। হুজুগ হল ভাই বোনেরা সিনেমা যাবো। আমার জ্যেঠুর ছেলে পিসির ছেলেদের সাথে আমার খুব ভাব। তো দাদাদের পটিয়ে সবাই মিলে বাড়িতে বলেই দুপুরের শোতে বেড়িয়েছি। ভেবেছিলাম গুরুদক্ষিণা দেখবো। কিন্তু কিছু কারণবশত গিয়ে দেখি অন্য একটা সিনেমা চলছে। দোলনচাঁপা। যে দাদা গার্জেন গিরি করে নিয়ে এসেছে সে কিছুতেই টিকিট কাটবে না। কারণগুলো খুব সাধাসিধে। লিখে বোঝানো মুস্কিল। তাই বিস্তারে যেতেই হবে। এই দাদাদের সাথে আমার বন্ধুদের বাড়া মেশামিশি ছিল কিন্তু ওদের নিজের বোন আমার দিদির সাথে ওদের সেই স্বচ্ছতা ছিল না। আমার ওই দিদি একটু চিরকাল এ বাবা এটা দেখছিস টাইপ ছিল। আর নিজের দাদা বোন আর তুতো দাদা বোনে কোথাও এসব ফারাক থাকতো। আমরা যেগুলোতে পাপ বোধ করতাম না, দিদি ভালোমানুষ তাই সেসবে পাপ পুণ্য বুঝতো আর গিয়ে সোজা, 'ও মা, জানোতো ' টাইপ বালখিল্যপনা করতো। তাই দিদিকে একটু দলছুট করাও হত। দাদারা ষোলো তো আমরা বারো ফারাক তো এটুকুই। যা হোক, সেই দোলনচাঁপা শেষ মেস টিকিট কেটে ঢোকা হল। আমি তখন পোস্টার পড়তে শিখেছি। আর এসব অভিযান পন্ড হতে দিতে নেই। তাই দাদাকে প্রায় নাছোড়বান্দা করে হলে ঢোকাই। পাতি বাংলা সিনেমা, কিছু দর্শক টানতে ধর্ষক আছে ছবিতে। শুরুতে ননীগোপাল পুজোপাট দেখিয়ে মা মাসিদের খুশ করা, তারপর প্রেম হিরো হিরোইন তারপর জীবনের ঘোরঘটা, এই ভিলেন টিনেন সাবার করতে হবে আর কি তবেই একটা সুন্দরী টাইপ মেয়েকে তুলতে পারবে। হ্যাঁ, তখন এই ছিল মধ্যবিত্ত জীবনের লক্ষ্য। যাইহোক সিনেমাটা আমরা ভাইবোন মিলে পাশে বসে সেই যুগে হজম করতে পারছিলাম না। দাদার ওই দাদাসুলভ বীরত্বে খুব টান পড়ছিলো। তাই হাফ টাইমে আর আমার কথার আবদারের তোয়াক্কা করেনি দাদা। সোজা বাড়ির পথে হাঁটা দিয়েছিল। অগত্যা আমাদেরো পিছু নিতে হল। বাড়ি অসময়ে এসে যাওয়াতে সে এক বিপদ। কোথায় গেছিলি, কি হল, কেন হল বাড়ির জনে জনে ইন্টার্ভিউ নিতে থাকলো। সেই দোলন চাঁপা সিনেমার কথা জীবনে ভুলবো না। এরকম সিনেমা নিয়ে আরো সব মজার গল্প, একবার ম্যাথ টিউশন থেকে টুয়েলভ এ সবাই প্ল্যান হল বেসিক ইন্সটিনক্ট দেখবো। এই ব্যাচে হায়ার সেকেন্ডারিতে যে প্রথম হয়েছিল সেই ছেলেটিও ছিল। আর আমিও ছিলাম কি কম্বো, যা হোক, আমরা সব নন্দনে সেই সিনেমা দেখে অনেক বোদ্ধা হয়ে ফিরলাম। আমি খুব বেশি কলেজ কেটে সিনেমায় যাই নি। অথচ কলেজ ছিল পুরো হাটের মাঝে, মৌলানা আজাদ, থার্ড ইয়ারে সবাই ছেড়ে যাবার আগে ওই কলেজের সামনের হলটায় আমীর খানের আকেলে হাম আকেলে তুম দেখলাম। তবে কলেজ লাইফ প্রেম পর্বে প্রচুর সিনেমা দেখতাম। ওর এক অদ্ভুত কিছু চয়েস ছিলো, তাতে সেই অমিতাভের পুরানো সিনেমাগুলো দেখতে ঢোকা হত। গানগুলো সব জানতাম,কিছু ভালো লাগত কিছুতে ঘুম পেতো, সাথে প্রায় ই দু এক বন্ধু থাকতো। এরকম প্রচুর ভালো খারাপ ওং বং সিনেমা দেখেছি ওই সময়, সে সময় ফিল্ম উতসব শুরু হলো কলকাতায় সে সময় কিছু সিনেমা দেখতাম এদিকে সেদিকে গিয়ে, সেই সময়ের দু একটা মজার গল্পের কথা না বললেই নয়। তখন সব জায়গাতেই ওই ভালো হল খারাপ দাগা থাকতো, এরকম দুটো অগা হল ছিল ওই মেট্রো সিনেমার উলটো পারে, এখন নাম ভুলছি, ওগুলোর একটায় একদিন ঢুকেছিলাম নিরুপায় হয়ে। সেদিন হঠাত খুব বৃষ্টি, সেই বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে ভেজার থেকে হলে ঢোকা শ্রেয় ছিল। তাই আমরা হাম সে হ্যায় মোকাবলা দেখতে গেলাম প্রভু দেবার। আজ ওই গান গুলো আমার হেব্বি লাগে, কিন্তু সে সময় হলে বসে ওই সিনেমা দেখতে পারিনি, আর যত দূর মনে হয় সিনেমাটা মাঝপথেই ঢুকেছিলাম মাঝেই বেরিয়েছিলাম, তবে নাগমা আর প্রভু দেবার নাচ গান, সেই প্রভু দেবার আবার ফিরে আসা এসব সত্যি একটা জার্নি। আরেকটা ঘটনা হল, তখন ও চাকরি পেয়েছে, ধানবাদে থাকে, আসলে দেখা হত, আমি ফ্রি বার্ড হয়ে ঘুরতাম, সেই সময় আমি ব্ল্যাকে ১০০ টাকা দিয়ে মনে হয় ডিডিএলজে র টিকিট কেটে রেখেছিলাম। এটা জীবনের বেশ এচিভমেন্ট লাগে, মেট্রোর মত হলে ব্ল্যাকে টিকিট কাটা, বাবা শুনলে সে সময় কেস খেতাম। যাক, সে সময় কোনো ভালো সিনেমা বাদ দিতাম না।শেষের দিকে নন্দনে মোটামুটি পরেই থাকতাম। কিন্তু এ জীবনে বড় ছেদ পরলো বিয়ের পর। আরেকটা মজার দিনের কথা বলি, আমার আরেক ঠেক ছিল মামার বাড়ি। মাইমা প্রায় বন্ধু ছিল। মাইমার সাথে গেছিলাম এক দুপুরে আশিকী দেখতে ওই ফরিয়াপুকুরের হলটায়। আমার অবস্থা খুব খারাপ, এগুলোর নাম কেন ভুলে যাচ্ছি কে জানে। মাইমাতে আমাতে ব্যালকনির একদম উপরে বসেছি। দুজনে পা তুলে বাবু হয়ে বসে পুরো সিনেমা দেখেছিলাম বাদাম চিবোতে চিবোতে।

    এই জীবন মোটামুটি পুরো বন্ধ হয়ে গেল। বিয়ের পর মেয়ের মামার বাড়ির ভাতে মানে প্রায় দু বছর পর সবাই মিলে চাচি ৪২০ দেখেছিলাম। আর তারপর আবার ক্রিশ দেখেছিলাম। তাও একটা তাপ্পি মারা হলে আমাদের কোলিয়ারি এলাকার। এরপর ধানবাদে শপিং মল, ফেম হল। ফেমে আসতে হলে ২২ কিমি আসতে হত, তবে আবার শুরু হল সিনেমা দেখা। এখন যেখানে থাকি সেখান থেকে আধ ঘন্টার পথ, মাঝে মাঝেই যাই বা বলা ভালো চাইলেই যেতে পারি। আর শুরুর জীবনে বাবা ফারাক্কা, আমতলায় থাকতো, ওসব জায়গায় সাদা কাপড় ঝুলিয়ে মাঠের মাঝে সিনেমা হত সে সময়। আমার মা পিসি খুব উত্তম সুচিত্রার ফ্যান, আর পিছন দিকেই রাত দিন পথে হল দেরী, হারানো সুর,সপ্তপদীর ডায়লগ শুনে শুনে ওদের সব মুখস্থ ছিল।

    যাক, রূপোলী পর্দা এভাবে আমাদের সবার জীবনে জড়িয়ে, কত আবেগ কত কি জড়িয়ে, আরো গল্প হবে, হলের নামগুলো কেন যে ভুললাম, এই হলগুলোর বেশির ভাগ আর নেই, পোড়ো বাড়ির মত অবস্থা, এসব নিয়েই আজকের সিনেমাওয়ালা সিনেমাটা। একটা যুগ তো বটেই।

    দ্যুতি
  • rabaahuta | ***:*** | ২০ মার্চ ২০১৯ ১২:৫৭383016
  • মাল্টিপ্লেক্সের বহুমূল্য ভাল্লাগেনা, অদ্ভুত টাইপ। মনে আছে একবার সে বছর পনেরো আগে হবে কলকাতা থেকে বেশ দূরে কোথায় একটা গেছি, পথে জনগনের বাথরুম যাওয়া দরকার, দেখা গেল একটা সিনেমাহল, সেখানেই নামা হল, সেখানে যুবক অমিতাভ বচ্চনের কি সিনেমা চলছে। মফস্বল গঞ্জে মিটমিটে সিনেমাহলে রাগী যুবক যেন টাইম মেশিন।

    আমাদের পাড়ায় পদ্মশ্রী এখনো চলছে, রংচং হয়না, বড় বড় দাগধরা আয়না, তবে চলছে তো যা হোক।

    আগরতলায় সব্চে ভদ্রস্থ হল ছিল রূপসী - শিশু চলচ্চিত্র এইসব হতো, রবিনহুড, উড়নছু এইসব আসতো, পথের পাঁচালী গুগাবাবা এইসব - ঐগুলি সব সরকারী বদান্যতায় হতো, বক্স অফিসের পাস পাওয়ার সুযোগ ছিল, এমনিতেও ভিড় হোতোনা। বাকি সব হল টিপিক্যাল বাণিজ্যিক, ওদিকে সূর্যঘরে শুরু হলো রাতের শো-তে হাফ পানু, সূর্য চৌমুনীতে সন্ধ্যের পর ছেলেছোকরাদের দেখা যাওয়া মানেই সন্দেহজনক।

    সলমন খানের কি যেন সিনেমা এল, ম্যায়নে পেয়ার কিয়া নয়, অন্য কিছু, আরো পরে, যেটা ডলবি ডিজিটাল ছাড়া রিলিজ হোতো না? সেই নিয়ে লোকজনের খুব দুঃখ হলো, আগরতলার কোন হলে ডলবি নেই। যারা পবঙ্গ জয়েন্ট দিতে কলকাতা গেছিল তারা গিয়ে দেখে এসে গল্প করলো সব। খুব সম্ভবত দক্ষিনে কোথাও সিট পড়েছিল, আমি প্রিয়া সিনেমা হলের গল্প শুনলাম!

    তারপর আস্তে আস্তে হল সব বন্ধ হয়ে উঠে গেল, সূর্যঘর বোধয় এখন জামাকাপড়ের দোকান, রুপসী মাল্টিপ্লেক্স হয়ে খুললো, সদ্য শুনে এলাম আগুন দপ্তরের ছাড়পত্র নেই বলে কেস খেয়েছে।
    রুপসী সিনেমাহল ছিল আমাদের স্কুলের কাছে, তাই অনেকেই ব্যাগের ভেতর বা স্কুলের শার্টের ভেতর অন্য জামা নিয়ে যেত! মেয়েদের অবশ্য অত সাহস ছিলনা, ছোট শহর তো।
    রঙ্গ দারোগা নামে এক পুলিশ ছিলেন যাঁর খ্যাতি ছিল সিনেমাহল থেকে স্কুল পড়ুয়াদের সনাক্ত করে বের করে দেওয়া (আর ব্ল্যাকার দমন)।
  • S | ***:*** | ২০ মার্চ ২০১৯ ১৩:১৩383022
  • পদ্মশ্রীতে আগের গরমকালে একটা সিনেমা দেখলাম। হলটার অবস্থা সত্যিই খুব খারাপ। তবুও চলছে। ঐ অন্চলে বাকিসব হল তো উঠেই গেছে। মহুয়া, বান্টি, মধুবন, মালন্চ। মালন্চ বোধয় ছোটো করে চালাচ্ছিল, এখনো চলছে? ফলে কাউকে একটা সিনেমা দেখতে গেলে, পদ্মশ্রী বাদ দিলে, হাইল্যান্ড পার্ক অবধি যেতে হবে। সে অনেক ঝক্কি।

    মুম্বাইতে যখন প্রথম যাই তখন কোলাবাতে একটা হলে শনিবার রাত্রের শোতে যেতাম আমরা তিন বন্ধু। ফিরতে ফিরতে রাত ২টো বেজে যেতো। সাউথ মুম্বাইয়ের লোকজনকে দেখতে পেতাম। অ্যালেক্স পদমসীকে সকন্যা দেখেছিলাম। সঙ্গে ডলি ঠাকোরও ছিলেন। সবাই মিলে আইসক্রীম খাচ্ছিলেন। যাইহোক। সেখানে এক একটা টিকিটের দাম ৩০০ টাকা। প্লাস ট্যাক্সি ভাড়া। প্লাস খাওয়ার মারাত্মক দাম। বেশিরভাগই ফালতু সিনেমা দেখেছিলাম।

    এর পরে ঔরঙ্গবাদ ঘুড়তে গেছি দুই বন্ধু। অজন্তা ইলোরা দেখে শেষদিনে হোটেল ছেড়ে দিয়েছি, এদিকে বাস চলতে অনেক দেরি। একটা সিনেমা দেখবো ঠিক হলো। যব উই মেট। টিকিট কাটতে গেছি। বললাম একদম পিছনের রোতে দুটো টিকিট দাও। বলে ৯০ টাকা। আমি বললাম একএকজনের? বললো না, দুজনের। ৯০ টাকা দিলাম। দুটো ড্রেস সার্কলের টিকিট আর ১০ টাকার ফুড কুপন ধড়িয়ে দিলো। আমি হিসাব করেছিলাম যে মুম্বাই থেকে প্রতি উইকেন্ডে ওখানে গিয়ে খেয়ে দেয়ে সিনেমা দেখে ফিরে এলে কম খরচ হবে।
  • a | ***:*** | ২০ মার্চ ২০১৯ ১৩:৪০383023
  • ফড়েপুকুরের হলটির নাম টকি শো হাউজ। ঐ গলি দিয়ে এগিয়ে গিয়ে বিধান সরণিতে মিত্রা, আমার পছন্দের হল।
    বন্ধুদের কারণে লেক টাউনের জয়াতে যেতাম প্রায়ই। মিনি জয়াতেও। জয়াতে আকেলে হাম বোধ্হয় কয়েক হাজার বছর ধরে চলেছিল
  • Dyuti Mustafi | ২০ মার্চ ২০১৯ ১৬:১৩383024
  • থ্যাংকু কমেন্টগুলোর জন্য। সত্যি এই ফেম কালচার নিয়েও অনেক গল্প এখন, পরে হবে না হয়।
  • কল্লোল | ***:*** | ২১ মার্চ ২০১৯ ১৯:৩২383025
  • আমাদের ছিলো প্রদীপ, দিপ্তী আর ভবানী। একটু পুরোনো হিন্দি সিনেমা(বছর দুই তিনেকের পুরোনো) এইথের সব হলে আনতো। আমরা হুলিয়ে দেখতাম।
  • র২হ | ***:*** | ২১ মার্চ ২০১৯ ১৯:৫৭383026
  • নব্বইয়ের শেষে প্রদীপ পুরোপুরি আর ভবানী হাফ পানু হল। কিন্তু সত্তরের দশকের কাগজে প্রদীপে হিট হিন্দী সিনেমার বিজ্ঞাপন দেখেছি। ভবানীতে তো নব্বইয়েও এমনি সিনেমা আসতো।
    ওই হলগুলি আছে কিনা কিজানি এখনো।
  • b | ***:*** | ২১ মার্চ ২০১৯ ২০:১১383027
  • প্রদীপ মানে টালিগঞ্জ? যেখানে আদিগঙ্গার জোয়ার এলে চটিশুদ্ধু পা চেয়ারে তুলে রাখতে হত?
    যাই হোক, উজ্জ্বলা সিনেমা নাই (কি সব বিউটি পার্লার হয়েচে), কিন্তু উজ্জ্বলার চানাচুর এখনো আছে।
  • অর্জুন অভিষেক | ***:*** | ২২ মার্চ ২০১৯ ০০:১০383028
  • প্রদীপ সিনেমা হল টালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে। ব্রিজটার পাশেই। ওটা তো বেশ কুখ্যাত। আমি বার চার পাঁচ গেছিলাম কোচিংয়ের বখা বন্ধুদের সঙ্গে ১১ ক্লাসে (১৯৯৭- '৯৮)। তখন ইন্টারনেট আমাদের আওতায় আসেনি। পর্ণ টর্ণতকতটা বুঝতাম জানিনা। কিন্তু নিষিদ্ধ ছবি খুব আকর্ষণীয় ব্যাপার। দক্ষিণী ছবিই আসত।

    ওই রাস্তায় একটু এগোলেই নিউ আলীপুর। সেখানে আবার আমাদের বেশ কিছু আত্মীয়। প্রদীপের সামনে গিয়ে টিকিট কেটে ঢোকা অবধি বেশ নার্ভাস লাগত, কে না জানি দেখে ফেলে! এখনও মনে হয় আছে প্রদীপ।
  • S | ***:*** | ২২ মার্চ ২০১৯ ০১:১৫383006
  • প্রদীপের সামনে কাউকে দেখা গেছে এটা ইস্কুল জীবনে রেজিউমেতে লেখার মতন জিনিস ছিলো। এটিকে বখে যাওয়ার অন্যতম ক্রাইটেরিয়া বলে ধরা হতো।

    হায় তখন যদি জনগণ জানতো যে হাই স্পীড ইন্টারনেট আসিতেছে।
  • lcm | ***:*** | ২২ মার্চ ২০১৯ ০১:২১383007
  • ধর্মতলায় নিউ এম্পায়ার, হলের মেইন গেট দিয়ে নয়, ডান দিকের দেওয়াল ঘেঁষে ছিল খাঁচা ঘেরা জায়গা, সেখানে সিনেমা শুরুর আগে লাইন দিয়ে দাঁড়াতে হত, ৯০ পয়্সা টিকিট, সিনেমা শুরুর আগে কাউন্টার খুলত, টিকিট কেটে ভিতরে সরু সিঁড়ি দিয়ে পেঁচিয়ে তিনতলায় ওঠা, গ্যালারি স্টাইলে কাঠের সিট, একটু খাড়া স্লোপ।
    এবার দেখলাম হলটা বোধহয় জামাকাপড়ের দোকান হয়েছে, যেখানে টিকিট কাউন্টার ছিল ওখানে ডোমিনোজ পিজ্জা-র দোকান, রাস্তাটায় ভিড় সেই একইরকম আছে, নাকি একটু বেশিই মনে হল, উল্টো দিকে একটা বই-এর দোকান ছিল, সেটা এখনও আছে দেখলাম।
  • S | ***:*** | ২২ মার্চ ২০১৯ ০২:০৬383008
  • গ্লোবও তো উঠে গেছে। আগের গরম কালে ওখানে গিয়ে কিছুতেই আর সিনেমা হলের এন্ট্রান্স খুঁজে পাইনা। একজন বয়স্ক লোককের কাছে জানতে চাইলাম গ্লোব বলে একটা হল ছিলোনা এখানে? বললেন সেতো উঠে গেছে অনেকদিন হলো, এখন মল হয়েছে।

    যদুপুরের সেইসব সুন্দর দিনগুলো এক নিমেষে মুছে গেছে শহর থেকে।
  • কল্লোল | ***:*** | ২২ মার্চ ২০১৯ ০৬:৩৮383009
  • গ্লোবে ক্লিওপেট্রা দেখতে গেছি এক কোমর জল পেরিয়ে। আর লাইন দেবার আগে একটু এগিয়ে সদর স্ট্রিটে ব্ভবের ঠেক থেকে মাথা পিছু একটা পুরিয়া গ্রাস বা দুজনে ভাগ করে এক গুলি চরস। সিনেমা দেখাই পাল্টে যেতো। আজকাল লোকে কিসব বলে না ম্যাজিক রিয়ালিটি? আমরা কব্বেই সেসব জানতাম।
    ভালো কথা আমরা ৬৫ পয়সার লাইন মারতাম। নিউ এম্পায়ারে খাঁচায় ঢুকে গেলে নিশ্চিন্তি। আহা কিসব সিনেমা! ভয়ুর, বোকাচ্চিও 70, অ্যামাঅর্কর্ড। ওফ!
  • কল্লোল | ***:*** | ২২ মার্চ ২০১৯ ১২:১৮383010
  • এট্টা সিনিমা দেখেছিলাম গ্লোবে। ডাস্টিন হফম্যান অভিনীত সাইফাই। নামটা কিছুতেই মনে পড়ছে না।
    কেউ কি ডাস্টিন হফম্যান অভিনীত সাইফাই/সাইফাইগুলোর নাম জানে?
  • lcm | ***:*** | ২২ মার্চ ২০১৯ ১২:২৫383012
  • সরি ! ভুল জায়গায় পোস্ট
  • lcm | ***:*** | ২২ মার্চ ২০১৯ ১২:২৫383011
  • এসেম,

    আপনি আবার গুলিয়ে ফেলছেন --- ক্যাপিট্যালিজ্‌ম, আর, পাবলিক পলিসি এই দুটো-তে, এক্কেবারে ঘেঁটে গেছে।

    আমেরিকায় এক্জন ব্যক্তি আইনিভাবে প্রচুর ব্যক্তিগত টাকা/অ্যাসেট/সম্পত্তি করতে পারে যা কিনা আরও লক্ষ লোকের অ্যাসেটের থেকে বেশি।

    আমেরিকায় একটি সরকারি পাবলিক পলিসি হল যে বৃদ্ধরা বিনে পয়সায় চিকিৎসা পাবে।

    এই দুটো আলাদা জিনিস।
  • S | ***:*** | ২২ মার্চ ২০১৯ ১২:২৮383013
  • কবে নাগাদ দেখেছিলেন সেটা বললে উইকি দেখে বলা যায়। গল্পটা কি ছিলো? আউটব্রেক?
  • lcm | ***:*** | ২২ মার্চ ২০১৯ ১২:৩১383014
  • ডাস্টিন হফম্যান --- বেশি সিনেমা দেখি নি, ঐ যে -- ক্র্যামার ভার্সেস ক্র্যামার, তারপরে রেইনম্যান --- আর পরের দিকে -- ওয়্যাগ দ্য ডগ, মিট দ্য ফকার্স --- এই তো মনে পড়ছে।
    আর একটা পুরোনো সিনেমা দেখেছিলাম - গ্র্যাজুয়েট
  • lcm | ***:*** | ২২ মার্চ ২০১৯ ১২:৩৫383015
  • যাই হোক, সিনেমা হলের কথায় --- গ্লোব তো ছিল,
    আর কাছেই ছিল টাইগার --- ওখানে জস দেখেছিলাম - -
    আর, এস এন ব্যানার্জি রোডে ছিল - জ্যোতি --- তাতে নাকি কি সব হাই ফাই সাউন্ড আর স্ক্রিন ছিল --- ৩৫ মিমি স্ক্রিন, নাকি এরকম কিছু -- ঐ হলে শোলে দেখা এক দারুণ অভিজ্ঞতা --- আমার অবশ্য শোলে (গান বাদে) বা জ্যোতি সিনেমা হল কোনোটাই পছন্দের ছিল না
  • b | ***:*** | ২২ মার্চ ২০১৯ ১৫:৫০383017
  • আর শ্যালদা না কোথায় যেন ছিল বা আছে, জগৎ? সেখানে সব সিনেমার নামের সাথেই জ, হলের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে। জওয়ানী দিয়ানি, জওয়ানী সোলহা সাল কি, জ্বলতি হুই জওয়ানি ইত্যাদি। রেটিং-এ বোধ হয় প্রদীপ+।

    আমাদের জেলা শহরে চারটে সিনেমা হল ছিলো। তার মধ্যে রূপালী গেলো, অরো ( পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বেশি সিট আছে, অরণ্যের প্রাচীন প্রবাদ) গেলো, কৈরী টিমটিম করে চলছে। আর মিলন সিনেমা বহুদিন বন্ধ থাকার পরে হৈ হৈ করে চলছে এখনো। কু লোকে বলে মালিকের ব্ল্যাক মানি শাদা করার উপায়।
  • কল্লোল | ***:*** | ২২ মার্চ ২০১৯ ১৬:২৪383018
  • ডস্টিন হফম্যানের সাইফাই দেখেছিলাম ৭৩-৭৬এর মধ্যে।
    তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে। পৃথিবী একটাই দেশ - জোন নাম্বার দিয়ে ভাগ করা। ডাস্টিন হফম্যান তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগেকার মানুষ, হাইবারনেশনে ছিলো। জেগে উঠে ভেগে গেছে। তকে ধরার জন্য খোঁজা নিয়ে সিনেমাটা।
  • অর্জুন অভিষেক | ***:*** | ২২ মার্চ ২০১৯ ২১:০৮383019
  • @S
    আমি একদম বখাটে ছিলাম না, হতেও পারিনি। কিন্তু ক্লাস নাইন থেকে স্কুল কাটা, কোচিং কাটা শুরু করি। যেতাম ন্যাশনল লাইব্রেরী, কলেজ স্ট্রীট, সেখান থেকে বাগবাজার, চক্র রেলের লাইন ধরে হাঁটতাম, নীম তলা শ্মশান, গড়ের মাঠ এসব ...... ওই ভাবে কলকাতাও চিনেছিলাম আর বেশীটাই হেঁটে।

    হলিউডের ছবি বলতে মনে পড়ল TNT নামে একটা চ্যানেল ছিল তখন। লেট নাইটে সব ছবি দিত। ওখানেই পুরো হিচকক এবং অন্যান্য বিখ্যাত সব ক্লাসিক্স গুলো দেখেছিলাম।
  • Dyuti Mustafi | ২৪ মার্চ ২০১৯ ০০:৫০383020
  • সবার কমেন্ট বেশ উপভোগ করলাম, একটি ভুল পোস্ট ও হা হা। সবার ই কত স্মৃতি।
  • Auro | ***:*** | ২৪ মার্চ ২০১৯ ০৯:১৩383021
  • অরোতে এসেছিল Gold শন কনরি র মুভি - ভাব্লুম তার মানে বন্ড। স্কুল কেটে সেই প্রথম সিনেমা দেখা।
    আর একবার, গঙ্গা পেরিয়ে নৈহাটি সিনেমায় অ্যাটেনবর র গান্ধি দেখতে গিয়ে ফিরোজ খান আর মুমতাজ এর আগ দেখে হাফ টাইমে উঠে পড়ি। ফেরার লন্চ এ উঠে খেয়াল হয়- আজ শুক্কুরবার, হপ্তা পাল্টে গ্যাছে মুভি পাল্টে গ্যাচে! সেও স্কুল কেটে!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন