এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সুকান্ত ঘোষ | ***:*** | ২৭ জানুয়ারি ২০১৯ ১০:৫৯382380
  • “বুঝলি, যতই আমরা এই মালগুলোকে গালাগাল দিই না, এদের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। এদের দেশগুলো তো আর এমনি এমনি উন্নত হয় নি!” একটা পার্টিতে গিয়ে বাকি সবাই যখন কোন স্কচ তার বেষ্ট লাগে, ইংলিশ ফুটবল ইন জেনারেল, সামারে কোথায় ক্যাম্পিং এর যাওয়া যায় এই সব নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছিল, দেবজিতদা আমাকে পাশে ডেকে নিয়ে গিয়ে তার এই সিদ্ধান্ত জানালো।

    দেবজিতদার সাথে আমার প্রায়শই ফিলোসফিক্যাল আলোচনা হয় – অফিসে চা খেতে খেতে বা অফিসের বাইরে দেখা হলেও। সেই আলোচনা আবার শপিংমলে ২০-৩০ মিনিট বা সুপারমার্কেটের ভিতরেও ২-৩ মিনিটের জন্যও হত – যখন আমাদের উভয়ের বউরা কি কিনবে কনফিউজড হয়ে এদিক এদিক ছোটাছুটি করছে আর আমরা কোনায় প্রচন্ড বিরক্ত কিন্তু হাসি হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছি – তখন এই সব আলোচনা খুব কাজ দিত। যাই হোক, দেবজিতদা যা বলল তার সারমর্ম দাঁড়াচ্ছে, গত সপ্তাহে দেবজিতদা আর তার কলিগ পল বিজনেস ট্রিপ-এ গিয়েছিল। তা আমাদের ব্রুনাই খুব ছোট্ট দেশ হওয়াতে সেখান থেকে অনেক সময় কানেক্টিং ফ্লাইট পাওয়া যেত না – তাই আমরা মাঝে মাঝে দেশের সীমানা পেরিয়ে পাশের দেশ মালয়েশিয়ার মিরি নামক শহর থেকে ফ্লাইট ধরতাম। মিরি থেকে ফ্লাইট ছিল খুব সকালে, তাই দেবজিতদা আর পল রাতের দিকে মিরি গিয়ে হোটেলে চেক ইন করে পরের দিন খুব সকালের ফ্লাইট ধরবে বলে। চেক ইন করার পর, দেবজিতদা পল-কে প্রস্তাব দেয় যে তাহলে দুপাত্তর হয়ে যাক বার-এ গিয়ে! কিন্তু পল জবাব দেয় যে আগে সে ম্যাসাজ করাতে যাবে। কারণ পাব তো রাত দুটো পর্যন্ত খোলা, ম্যাসাজ রাত ১১টার দিকে বন্ধ হয়ে যায়।

    আমি এই পর্যন্ত শুনে খুব খুশী হলাম – যাক তাহলে আর একজনকে পাওয়া গেছে, যে মাল খাবার থেকেও ম্যাসাজকে বেশী প্রাধান্য দেয়! অফিস গিয়ে পল-এর সাথে দেখা করব। কিন্তু এই ম্যাসাজের সাথে আমাদের ওদের কাছ থেকে শেখার কি আছে সেটাই বুঝতে পারছিলাম না! সেটা দেবজিতদাকে জিজ্ঞেস করলাম। ঘটনা এর পর – প্রায় ঘন্টা খানেক পর ফিরে পল দেবজিতদাকে নিয়ে মদ খেতে বেরোয়। পুলের পাশে খুব রিল্যাক্স হয়ে পল মদের গ্লাস নিয়ে দেবজিতদাকে বলে, “এই হ্যাণ্ডজব-টা নিয়ে এসে, খুব রিল্যাক্সিং লাগছে। অফিসে খুব চাপ চলছিল!” ব্যাপার এই বার বোঝা গেল – পল-এর ম্যাসাজ এর থেকেও বেশী দরকার ছিল হ্যান্ডজব। তবুও আমি দেবজিতদার কমেন্ট ঠিক অনুধাবন করতে পারলাম না – দেবজিতদাকে বললাম, “তা এর থেকে ওদের কাছ থেকে আমাদের কি শেখার আছে? তুমিও পারতে যেতে হ্যান্ডজব নিতে!” দেবজিতদা বলল, “তোর মাথাটা দিন দিন মোটা হয়ে যাচ্ছে, তুই বিগার পিকচারটা মিস করছিস। ব্যাপার ওই হ্যান্ডজব নেওয়া বা না-নেওয়া নয়। এর মধ্যে থেকে যেটা শেখার সেটা হল, এক) লাইফে প্রাইয়োরিটি সেট করা, দুই) নিজের দরকারের প্রতি নজর দেওয়া এবং সেটা মিট করা, তিন) সত্যি কথা বলতে অযথা হেজিটেট না করা – এই অন্য কেউ কি ভেবে ফেলবে”। আমি ভেবে দেখলাম, সত্যি ব্যাপার ভাবার মতনই। দেবজিতদা আবার বলল, “তুই দ্যাখ, পল থাকে আমার পাশের বাড়িতে। আসার আগে ওর বউ আর ছোট ছেলে-মেয়ে গুলো সি-অফ করে দিয়ে গেল, আমি ওদের ভালো মত চিনি। কিন্তু এই যে নিজের স্ট্রেস থেকে রিল্যাক্স করার জন্য একটা হ্যাণ্ডজব নেওয়া দরকার এবং সেটা বিনা কুন্ঠায় আমার সাথে শেয়ার করা – এটাকেই বলে ওপেন-নেস। আমাদের ভারতে যবে থেকে আমরা এমন ওপেন না হতে পারব, ততদিন কিভাবে আমরা ওদের সাথে কম্পিট করব বলতে পারিস?” দেবজিতদার বেশির ভাগ কথায় যুক্তি থাকে – আমি ভেবে দেখলাম এর মধ্যেও আছে।

    এবার আমাদের সেই সময়ের থাকার দেশ ব্রুনাই-য়ের ভৌগলিক ব্যাপারটা একটু ক্লিয়ার করে নেওয়া যাক। দেশের লোকসংখ্যা সাকুল্যে ৩ লক্ষ মত। ব্রুনাইয়ের সাথে সীমানা লগ্ন দেশ হল মালয়েশিয়া। আমরা সবাই থাকতাম ব্রুনাইয়ের ‘সিরিয়া’ নামক একটা শহরে যে শহরের স্থাপন-ই হয়েছিল তেল ব্যবসা সংক্রান্ত পাবলিকদের থাকার জন্য। অনুরূপ ভাবে বর্ডার এর কাছে মালয়েশিয়ার শহরও ছিল ‘মিরি’ – সেও ছিল তেল ব্যবসার শহর। সিরিয়া শহর থেকে মিরি-র দূরত্ব ছিল সাকুল্যে ৩০ কিলোমিটার – তাই আমরা প্রায় সবাই কারণে অকারণে মিরি যেতাম শপিং বা নানাবিধ কারণে। ব্রুনাই এক মুসলিম দেশ – তার পর এখন আজকাল আবার ‘শারিয়ত’ আইন চালু হয়েছে। বেশ কনজারভেটিভ। এখানে ম্যাসাজ পাওয়া যায় – তবে খুবই কম জায়গায় এবং কোন বিপরীত লিঙ্গের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা নেই সেই সব পার্লারে। ছেলে – মেয়ে আলাদা আলাদা। তার থেকো বড় কথা ব্রুনাই হল গিয়ে অ্যালকোহল ফ্রী। মানে পাব বলে কোন বস্তু নেই এবং কোন পাবলিক প্লেসে মদ সার্ভ করা হয় না। অ-মুসলমান জনতা স্পেশাল পার্মিট নিয়ে মদ বাড়িতে রাখতে এবং খেতে পারবে। ফলে ব্রুনাই অনেক বিদেশীর কাছে উইক-এন্ড রিল্যাক্সের জন্য খুব একটা আকর্ষনীয় ছিল না। শনিবার – রবিবার হলেই জনতা দলে দলে বর্ডার পেরিয়ে মিরি যেত, যেখানে প্রায় সব কিছুই মুক্ত বলা যেতে পারে – মদ, ম্যাসাজ, মেয়েছেলে ইত্যাদি ইত্যাদি।

    ব্রুনাইয়ে এক বিশাল ওয়ার্কার শ্রেনী ছিল ফিলিপিনো এবং থাইল্যান্ডের। তা এরা ব্রুনাইয়ে থাকল সিঙ্গল স্যাটাসে – বউ বাচ্ছা সব দেশে। এখন ঘটনা হলে তাহলে মানুষের জৈবিক চাহিদা মেটাবে কে? আর তার পর যারা ফিলিপিনোদের সাথে মিশেছে তারাই জানেন যে ওরা একটু হুল্লোড়ে জাত। ফলে ব্রুনাই-য়ে ইনকাম করে সেই পাবলিকরা খরচ করত মিরি গিয়ে – মালয়েশিয়ার ইকনমি স্ট্রং হত এবং সেই জন্য মালয়েশিয়া সরকার অনেক কিছু জেনে শুনেও চুপ চাপ থাকত। তবে আমষ্টারডামের মত ওপেন পতিতালয় চলু হয় নি – যা কিছু কাজ কর্ম সব ওই ম্যাসাজ সেন্টার নামেই চলত।

    এবার প্রশ্ন হল, তাহলে আপনি যদি সত্যি ম্যাসাজ চান – তাহলে কোথায় যাবেন মিরিতে। আর আগে যেমন বলেছি, শনি রবিবার মিরি গিজ গিজ করত চেনা শোনা ভারতীয় লোকেতে। এবার যদি কেউ আপনাকে দেখে ফ্যালে ম্যাসাজ সেন্টার থেকে বেরোতে, ব্যাস তা হলেও তো হয়ে গেল আর কি! মার্কেটে গুজব ছড়াতে কিছু দেরী হবে না। আর দেবজিতদা তো বলেই দিয়েছে যে জাত হিসাবে আমরা এখনো কেন উন্নত হতে পারি নি! আমি তাহলে এবার স্ট্রাটিজি ঠিক করতে বসলাম – কি ভাবে মিরিতে গিয়ে ম্যাসাজ নেওয়া যায় যাতে করে সামাজিক সম্মান-ও অক্ষুণ্ণ থাকে। নিজের পয়েন্টগুলো ভেবে বের করলামঃ

    এক) বউ-কে নিয়ে একসাথে ম্যাসাজে যেতে হবে। শুধু বউ-কে নিয়ে গেলিই হবে না, যেটা মোষ্ট ইমপরটেন্ট সেটা হল, বউ-কে সাথে করে ম্যাসাজ সেন্টারে ইনট্রান্স এবং ডিপারচার। বউ সাথে কেউ দেখে ফেললে, সেটা ফেল সেফ।

    দুই) যা কিছু ম্যাসাজ নেবার ব্যাপার স্যাপার, সব দিনের বেলায় সারতে হবে। মিরি-র রাস্তা রাতের বেলায় মোহময়ী হয়ে ওঠে।

    তিন) একা একা গেলে মেন-রাস্তার উপর যে দোকান, মানে যাদের সামনে দিয়ে সর্বদা লোক চলাচল করছে, তেমন ম্যাসাজ সেন্টার চুজ করতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় ম্যাসাজ-এর দোকান নীচের তলাতেই হলে। গলির ভিতর ম্যাসাজ-সেণ্টারে কদাপি ঢোকা নয়, সে তার জন্য মূল রাস্তার দোকানে প্রিমিয়াম দোকানে ঢুকতে হলেও

    চার) দোকানের হোর্ডিং এ ম্যাসাজ এর সাথে ‘ফ্যামিলি’ এবং ‘স্পা’ কথা দুটি লেখা থাকলে খুবই ভালো হয়।

    পাঁচ) যে বোর্ডে শুধু ‘থাই’ ম্যাসাজ লেখা আছে, এবং যেখানে একজন খুব সুন্দরী থাই মেয়ের নমস্কার করা ছবি দেওয়া আছে – সেই সব ম্যাসাজ সেন্টার অ্যাভোয়েড করাই ভালো। অবশ্য যদি না আপনি এক্সর্টা কিছু চান।

    প্রথমবার মিরি-তে ম্যাসাজ করাতে গেছি ওই উপরের শর্ত গুলি পরিপুর্ণ করে যে দোকানের খোঁজ পেলাম সেখানে। ভিতরে ঢুকতেই বেশ গরম জলের গামলায় পা-টা ধুয়ে পাথর ইত্যাদি দিয়ে ঘষে আমেজ এনে দিল। তার পর বউ গেল অন্যদিকে, আমি এলাম এদিকে ফুল-বডি ম্যাসাজ নিতে – সে এক ফ্যামিলি ম্যাসাজ সেন্টার। আমি ভিতরে ঢুকলাম ছোট্ট ঘরের, দেখলাম দেওয়ালে নোটিশ দেওয়া আছে ইংরাজী ভাষায় যার ভাবার্থ হল, “দুম করে প্যান্ট খুলে ল্যাঙটো হয়ে শোবেন না – জাঙিয়া পরণে রাখুন”। আমার টেনশন কমল – বুঝলাম, ঠিক জায়গাতেই এসেছি – এ মনে হচ্ছে ফ্যামিলি ম্যাসাজই! এবার প্রবলেম হল, যে ম্যাসাজ করতে এসেছে তাকে নিয়ে – সে মাল চাইনীজ – কিন্তু বোঝে না ইংরাজী! মালয়েশিয়া সহ তামাম সাউথ-ইষ্ট এশিয়ায় এই ম্যাসাজ সেন্টার গুলি চালানো হয় লো-কষ্ট লেবার এক্সপ্লোয়েট করে। চীন, থাইল্যান্ড, ফিলিপিন্স থেকে অত্যন্ত কম পয়সা দিয়ে মেয়ে নিয়ে আসা হয় এবং তাদের দিয়ে দিন রাত ম্যাসাজ সেন্টার চালানো হয়। এবার এদের অনেকেই এক্সর্টা ইনকামের জন্য ম্যাসাজের পরে ‘এক্সর্টা’ কিছু করতে পিছপা হয় না বাড়তি কিছু ইনকামের জন্য – তা সে ম্যাসাজ সেণ্টারের গায়ে যতই লেখা থাকুক না কেন ‘প্যান্ট খুলবেন না” – ওই ছোট অন্ধকার ঘরে আর কে দেখতে যাচ্ছে!

    মিরি-তে এর পর প্রায় ছয় বছর ধরে নিয়মিত ম্যাসাজ নিয়েছি – অনেক সময় ফ্যামিলি সহ আবার অনেক সময় একা একা – বউ শপিং মলে, আমি টুক করে গিয়ে ম্যাসাজ করিয়ে নিয়ে চলে এলাম। উইন-উইন স্যিচুয়েশন, আমার ম্যাসাজের মাঝে বউ তখনো একটা ড্রেস-ও পছন্দ করে উঠতে পারে নি। আবার সময় কম থাকলে হাতে, অনেক সময় ফুল বডি-তে না গিয়ে শুধু ফুট-ম্যাসাজটা করে নিয়ে চলে এলাম। ফুট-ম্যাসাজ হচ্ছে সেফেষ্ট বেট – কারণ ফুট ম্যাসাজে কোন আড়াল নেই – আপনারা যারা থাইল্যান্ড ইত্যাদি জায়গায় বেড়াতে গেছেন, তারা নিশ্চয়ই দেখেছেন যে সারি দিয়ে কেমন চেয়ার পাতা থাকে – ফ্রী ওয়াই-ফাই – ব্যাস জুতো খুলে পা ধুয়ে বসে পড়েলেই হল! বাইরের সবাই আপনাকে দেখছে, আপনিও সবাইকে – নো-টেনশন বদনাম হবার! মিরি-তে প্রায় সব শপিং-মলেই এমন ফুট ম্যাসাজ আছে। বলতে নেই বউ এর সাথে শপিং করতে বেরোলে, শপিং এর মাঝে বা শেষে এই ফুট ম্যাসাজ খুব এই আবেশ নিয়ে আসে। প্রথমে তো এক ক্রীম দিয়ে ডলাই-মালাই চলে পায়ের পাতা থেকে পেশীর উপর দিয়ে – তারপর যখন একটা পা শেষ হয়ে যায়, তখন সেই পা এক গরম তোয়ালে দিয়ে মুড়ে অন্য পায়ে চলে যায় ম্যাসাজ করতে – এর এক স্বর্গীয় আনন্দ – এমন অনেক বার হয়েছে, আমি পা ম্যাসাজের আবেশেই ঘুমিয়ে পড়েছি। প্রথম বার যখন যাই, তখন বুঝতে পারি নি যে পা ম্যাসাজের সাথে শেষের দশ মিনিট মত মাথা এবং ব্যাক ম্যাসাজও ইনক্লুড থাকে! সেবার পা-দুটি ম্যাসাজ শেষ হয়ে গ্যাছে, আমি ভেবেছি খেলা শেষ – উঠতে যাব – তখন বলে কি, না – না, উঠছেন কেন, এবার চেয়ার থেকে উঠে এসে এই টুলটায় বসুন ওদিকে ঘুরে। দিয়ে এবার ব্যাক ম্যাসাজ শুরু হল – সাথে মাথা মাথা এবং ঘাড়। ভাই বলব কি, কিছু কিছু মেয়ে এত ভালো মাথা ম্যাসাজ করে দেয় না – তেমন আমি ভারতে কোন দিন পাই নি।

    এই মাথা ম্যাসাজের জিনিসটা একটু বুঝতে পারার পর – আমি অনেক নেগোশিয়েট করতাম দোকানে গিয়ে – জিজ্ঞেস করতাম, আচ্ছা তোমাদের এই ফুট-ম্যাসাজের প্যাকেজের শেষে যে মাথা ম্যাসাজ থাকে, সেটাই আমি শুধু চাই – আমার ফুট ম্যাসাজ চাই না! অনেকে আমার প্রস্তাব ঠিক বুঝতে পারত না – একে তো ভাষার সমস্যা – আবার যারা বুঝতে পারত, তারা বেশ অবাক হয়ে যেত শুধু মাথা ম্যাসাজের দাবী শুনে। আমার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, ভারতেই মনে হয় এই হেড-ম্যাসাজ জিনিসটা এতো ব্যাপক চালু। অন্য দেশে এত নয়। তো যাই হোক এমন ভাবে নেগোশিয়েট করে আমি অনেক জায়গায় মাথা ম্যাসেজ করিয়েছি। সেবার তো মিরি-তে পার্কসন মলে ঘুরতে ঘুরতে দেখি নীচের তলায় এক চাইনীজ ম্যাসাজের দোকানে “হেড-ম্যাসাজ” বলে ডাইরেক্ট বিজ্ঞাপন রয়েছে! ব্যাস আমাকে আর পায় কে – হাতের কাজ ফেলে আমি ঢুকে পরলাম ম্যাসাজ নিতে। তবে সেবার ম্যাসাজ খেয়ে ফিরে এসে আমি বউয়ের কাছে খুব বকা খেয়েছিলাম। হয়েছিল কি – আমি সেবার একা গেছি ওই মিরি-তে বাজার করতে – সামনে ছেলের জন্মদিন, কিছু রিটার্ণ গিফট এবং কিছু ডেকোরেশনের জিনিস কেনার কথা ছিল। বউ আমাকে পই পই বলে দিয়েছিল তাড়াতাড়ি ফিরতে এবং কি কি কিনতে হবে সেই কথা। কিন্তু ওই যে, মাথা ম্যাসাজ পেয়ে আমার সব কিছু ঘুলিয়ে গিয়েছিল – অনেক জিনিস না কিনেই ফিরে এসেছিলাম! আমি তো তখন এক অপার্থিব জগতে!

    মিরিতে ফেমাস ম্যাসাজ বলতে ছিল ওই থাই ম্যাসাজ – কিছু জায়গায় বালিনীজ, এবং ওই সুমাত্রা – জাভা সহ যাবতীয় বোর্ণিও দ্বীপের নামের অ্যাসোসিয়েটেড ম্যাসাজ! কি যে পার্থক্য আমি ঠিক ঠাওড় করতে পারতাম না – কেবল কিছু ম্যাসাজ প্রবল চাপ দিয়ে হত, কিছু ম্যাসাজ খুব আলতো। একবার আমার নর্মাল ম্যাসাজ রুটিন থেকে ডিভিয়েট করে কি এক জাভা ম্যাসাজ নিয়েছি – তো দেখি সে মেয়ে হাতে তেল নিয়ে খালি গায়ে বুলাচ্ছে – তা বুলাচ্ছে ঠিক আছে – কিন্তু কোন প্রেসার নেই! দাদুর গায়ে হাত বুলাবার মত জিনিস চলছে – আমার তো প্রায় কাতুকুতু লেগে যাবার অবস্থা। আরাম তো প্রায় কিছু হচ্ছেই না – বরং প্রবল অস্বস্তি! আমি আর থাকতে না পেরে বললাম – একটু প্রসার দিয়ে হোক না! সে ত প্রথমে কিছুই বুঝতে পারে না কি বলছি। আমি চিৎ হয়ে ঘুরে হাতের দুই বুড়ো আঙুল-কে সামনের দিকে চাপার ভঙ্গি করলাম, সাথে মুখটা কুঁচকে – মানে বেশ চাপ দিতে বোঝাতে আর কি। তা সে মেয়ে কনফিউজড হয়ে গেল – বাইরে বেরিয়ে রেসেপশনের মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে এল। তাকে জানালাম আমার প্রেসারের প্রতি পক্ষপাতের কথা। সে মেয়ে বলে, “তা হলে তো আপনাকে ওই ম্যাসাজ নেওয়ার ছিল, এটা নয়”! আমি বললাম, “বালিকে, যা হয়ে গ্যাছে তা তো আমি আর পাল্টাতে পারি না, এবার বাকি সময় যেটুকউ আছে তুমি আমায় কোন একটা প্রেসারের ম্যাসাজ দাও। নাম নিয়ে আমার মাথাব্যাথা নেই। তা ছাড়া শেক্সপিয়ার তো বলেই গ্যাছেন, হোয়াটস -” আমার কোটেশন শেষ হল না, মেয়ে বলে ওঠে, “নো সেক্স, হিয়ার নো সেক্স”। আমি বুঝতে পারলাম, বেশী কথা বলা খুব একটা ভালো অভ্যাস নয়!

    মিরি যেহেতু বোর্ণিও এর জঙ্গলের মাঝখানে, তাই সেখান থেকে বেশ সুন্দর সুন্দর গুহা (কেভ) এ যাওয়া যায়। সেবার গিয়েছিলাম মিরি থেকে প্রায় আশি কিলোমিটার দূরে “নিয়া – কেভস্‌” নামক এক জায়গায়। সারাদিন ঘুরে এসে মিরিতে হোটেলে উঠেছি – পা এবং শরীর খুবই ক্লান্ত লাগছে। একটা ম্যাসাজের কথা ভাবলাম – বউকে বললাম চলো ম্যাসাজ নিয়ে আসি। বউ এতো ক্লান্ত যে যেতে চাইলো না। আমি বললাম তাহলে আমি একাই ম্যাসাজ নিয়ে আসছি। বউ বলে রাত হয়ে গ্যাছে তুমি তা হলে হোটেলের ম্যাসাজ সেন্টারেই যাও। ব্যাপার হয়েছে কি, আমি যে ধরণের ম্যাসাজ চাই, সেই ম্যাসাজ ফাইভ স্টার হোটেলে নিয়ে পোষায় না। ফালতু কেতের ব্যাপার স্যাপার – আর তা ছাড়া শুধু তো ম্যাসাজ নয় – স্পা বলে সেই ততোধিক ফালতু জিনিস নিতে হবে। বডি স্ক্রাব করাতে – গোলাপের পাপড়ি ছড়ানো বাথটবে চান করাবে – সে এক যাচ্ছে তাই ব্যাপার। আর ওই যে গায়ে কি এক চিটেল টাইপের জিনিস মাখায়, যা শুকানোর পরে গিয়ে বাথটবে চান করতে হবে – এই পুরো জিনিসটা আমার বিলকুল না পসন্দ। আমার কাছে ম্যাসাজ হচ্ছে পিওর ক্যাসিক্যাল – কোন পোষ্টমর্ডান থিওরী এর মধ্যে আমি ঢুকাতে চাই না। অবশ্য আপনি বলতে পারেন সেই গায়ে কাদা মাখার মধ্যে মর্ডান কিছু নেই – ক্লিওপেট্রা থেকে পদ্মাবতী – সবাই সুগন্ধী কাদা মেখে চান করত – তবুও আমি বলব, মেয়েদের জন্য ঠিক আছে, ছেলেদের এর মধ্যে ঢোকানোর মধ্যে আমি কোথাও যেন এক মার্কেটিং এবং ক্যাপিটালিষ্ট গন্ধ পাই!

    তা অনেক বলে কয়ে বউকে বোঝালাম – সে এই পাশের গলিতেই একটা ম্যাসাজ সেন্টার রয়েছে। বড় ফাইভ স্টার হোটেলের ফাঁকেই যখন, তখন কি আর খারাপ জিনিস হবে! বউ পারমিশন দিল – এক ঘন্টা টাইম, আমাকে চাঙ্গা দ্যাখে যেন ম্যাসাজ করে আসার পর। আমি গেলাম সেই গোলাপী আলো জ্বলা ম্যাসাজ সেন্টারে। প্রচন্ড বিজি তখন সেই সেন্টার – আমাকে বসতে হবে একটু বলল। আমি সামনে ঝুলানো রেট কার্ড থেকে এক ঘন্টায় ১০০ রিঙ্গেট একটা ম্যাসাজ চ্যুজ করলাম। রিসেপশনের লোকটি আমাকে বলল, “এমনি, নাকি স্পেশাল?”। আমি বুঝতে পারলাম না এর মধ্যে স্পেশাল কি আছে – তেলের ব্যবহার কি? আমাকে সিম্পল ব্যাখ্যা করে সে বলল, স্পেশাল মানে হচ্ছে ম্যাসাজের শেষে হ্যান্ডজব। আমার সেই পল-এর কথা মনে পড়ে গেল। খুবই টেম্পটিং প্রস্তাব! কিন্তু পলের সাথে তার বউ ছিল না – আর তাছাড়া বউ চাঙ্গা অবস্থায় ফিরে আসতে বলেছে, কেলিয়ে ল্যাদ খেয়ে ফিরতে নয়! আমি বললাম, আর ভাই, আমার স্পেশাল দরকার নেই। সে বলে, তা হলে তো এক্ষুণি টার্ণ চলে আসবে। স্পেশাল ম্যাসাজের কাষ্টমারই বেশী!

    আমার টার্ণ চলে এল খুব তাড়াতাড়িই – আমি এক মেয়েকে ফলো করে ঢুকে পড়লাম ম্যাসাজ রুমে। সাধারণত এমন অবস্থায় মেয়েটি একটা পাতলা কাপড়ের লেঙটি হাতে দিয়ে চেঞ্জ করার সময় দিয়ে খানিক পরে ঘুরে আসে। কিন্তু সেই দিন ম্যাসাজ সেন্টারে এতো ভিড় যে ওই সব ফর্মালিটি মেনে চলার ওদের কোন টাইম নেই। আমাকে সেই মেয়ে বা বললো ভাঙা ইংরাজীতে তা হল, “দেরী করছ কেন, প্যান্ট খুলে টেবিলে শুয়ে পড়”! আমি বললাম লেংটি কৈ? মেয়েটি জানালো লেঙটি আউট- অব – স্টক! আমি আর কি করি, প্যান্ট খুলে জাঙ্গিয়া পড়ে শুয়ে পড়তে গেলাম – মেয়ে জানালো – এই ভাবে হয় নাকি? জাঙ্গিয়া পড়ে ম্যাসাজ হয় নাকি ভালো? তেল লেগে যাবে জাঙ্গিয়াতে। আমি ভাবলাম শালা লাগুক তেল, বরং তাতে বউ এর কাছে প্রমাণ হবে যে কিছু একটা পরে ম্যাসাজ নিয়েছে! বলতে নেই, সে মেয়ে ভালোই ম্যাসাজ দিল। বিশেষ করে ওই যে কুনুই আর হাতের পিছন দিয়ে তেলটা রগড়ে দেয় – আহঃ কি দারুন। আমার মন ভরে গেল – ম্যাসজের শেষে বলে হ্যান্ডজব হবে নাকি? আমি বললাম, স্পেশাল তো নিই নি। আমাকে জানালো – সে ম্যাসেজ হবে যাবে! টেম্পটিং ব্যাপার স্যাপার – আমি মেয়েটিকে ভালো করে দেখলাম – দিয়ে এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে প্যান্টটা পড়ে নিলুম।

    হোটেলে ফিরতে ফিরতে ভাবছিলাম, দেবজিতদাই ঠিক এই সব ব্যাপারে শুধু গোরাদের কাছ থেকে নয়, সেমি-গোরা, মানে ফিলিপিনোদের কাছ থেকেও আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। যারা ফিলিপিনো-দের সাথে মেলামেশা করেছেন তারা হয়ত লক্ষ্য করেছেন যেন, আমরা যেই অর্থে ‘মরালিটি’ নিয়ে ভাবি এবং সেই মানদন্ড প্রয়োগ করি, সেই দিক থেকে বিচার করলে সেক্স জাতীয় জিনিস নিয়ে ফিলিপিনো-দের মধ্যে আমাদের মাপকাঠিতে মরালিটি তুলনামূলক কম। আমি অনেক অনেক ফিলিপিনো ওয়ার্কার-কে জানি যারা ব্রুনাই-তে কাজ করে এবং সেক্সের চাহিদা মেটায় এই সব ম্যাসাজ সেন্টারে এসে বা অন্য যে ফিলিপিনো মেয়েগুলি ব্রুনাই-য়ে কাজ করতে আসে তাদের সাথে সেক্সের সম্পর্ক স্থাপন করে। এবং এটা নিয়ে ওরা খুব একটা মাথা ঘামায়ও না – অনুরূপ ভাবে তাদের দেশে ছেড়ে আসা বউরা যদি অন্য কারো সাথে জৈবিক চাহিদা অনুযায়ী যৌন-সংসর্গ করে, তা নিয়েও ওরা খারাপ কিছু ভাবে না। এটা যে এক জীবনের স্বাভাবিক অংশ। আমাদের বাড়িতে যে ফিলিপিনো মেয়েটি কাজ করত সে আমার বউকে প্রথম দিকে বলেছিল, “ম্যাম, আপনাদের বর গুলো বেশ শান্ত টাইপের – এই যে তুমি মাঝে মাঝে একা একা দেশে যাও, তখন স্যার বাড়িতে অন্য কোন মেয়ে আনে না”! আমি কি বলব বুঝতে পারছিলাম না! কেস হল বউ দেশে ফিরলেও সেই কাজের মেয়ে তো আমার বাড়িতেই থাকে, নীচের মেড কোয়ার্টারে! আমার কাজের মেয়েটি আবার ভালো ম্যাসাজ দিতে পারত, কারণ সে বাইরে চাকুরী করতে আসার জন্য অনেক চেষ্টা করছিল, তাই ম্যাসাজের একটা শর্ট কোর্সও করে রেখেছিল আমার কাছে চাকুরীতে ঢোকার আগে। মাঝে মাঝে দেখতাম বউ-কে ম্যাসাজ করে দিচ্ছে – বউ খুশী হয়ে ওকে বকশীস দিত। আমাকে একদিন বউ বলল, “এ্যাই, তুমি ওর কাছে একটা ম্যাসাজ নেবে? ভালো পারে ও ম্যাসাজ”? ততদিনে বউ আমার সাথে থেকে থেকে ম্যাসাজের প্রকারভেদ বুঝতে শিখে গ্যাছে দুনিয়ার নানা প্রান্তে ম্যাসাজ নিয়ে। আমি বললাম, “দ্যাখো, খুবই ভালো কথা – ম্যাসাজ দিক। তুমি যখন দেশে যাও, তখন তো ওর বিশেষ কোন কাজ থাকে না বাড়িতে, তখনও আমি বরং মাঝে মাঝে ম্যাসাজ নেব ওর কাছ থেকে!”

    ব্যাস যা হবার হল – আরো একবার বুঝলাম দেবজিতদা কতটা ঠিক। আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে এদের কাছ থেকে!
  • Amit | ***:*** | ২৭ জানুয়ারি ২০১৯ ১১:৪৯382381
  • এই টপিকটা জব্বর , কিন্তু আমার কিছু বলা উচিত হবে না। কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কি বেরোবে কে জানে ?
  • সুকি | ***:*** | ২৭ জানুয়ারি ২০১৯ ১৮:১৬382382
  • আরে অমিতাভদা, বলে ফেল ইতস্তত না করে - এখানে তুমি আর আমি ছাড়া ব্রুনাই-য়ের কেউ নেই :)
  • dc | ***:*** | ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ ১১:২২382383
  • থাইল্যান্ডে গিয়ে থাই ম্যাসাজ আমিও নিয়েছি, সে অতি উত্তম জিনিষ। অবশ্য থাই এর আশেপাশে নেওয়া হয়নি, পিঠ আর কোমরেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বৌএর বকুনির ভয়ে ঃ(

    তবে লেখক এক্কেবারে ঠিক বলেছেন, ভারতীয়দের এই এক বিচিত্র ভিক্টোরিয়ান ধারনা হয়ে আছে মরালিটি আর সেক্সুয়ালিটি নিয়ে। ব্রিটিশরা কবে দেশ ছেড়ে চলে গেছে, অথচ আমরা এখনও ওদের মরাল ব্যাগেজ বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি। একেবারে যাতা।
  • সুকি | ***:*** | ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:২৬382384
  • dc,
    আপনি ভালো পয়েণ্ট আউট করেছেন। অবশ্য এই নিয়ে অনেক আলোচনা হয়ে গ্যাছে, কিন্তু আমিও এর মূল কারণ জানি না। আমষ্টারডাম শহরের রেডলাইট ডিস্ট্রিক্টের সামনের ভারতীয় পাবলিকদের অদ্ভূত আচরণও মনে সেই একই কারণে।
  • debu | ***:*** | ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০৮:৪৫382385
  • বোল্লে হোবে
    খর্চা আছে !
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন