এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Izhikevich | ***:*** | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৩:৪৬380166
  • ভোর চারটেতে অ্যালার্ম দিয়ে উঠে তৈরী হয়ে নিলাম। পাঁচটায় গাড়ি আসবে, তার আগে যতটা সম্ভব কাজ এগিয়ে রাখলে সাফারি থেকে ফিরে ব্রেকফাস্ট সেরেই বেরিয়ে পড়া যাবে। সেদিন অনেক দূর যাওয়া - সেই মালদা অবধি। গোছগাছ সব সারা। গাড়ি (মাথাখোলা জিপসি) এসে গেলো ঠিক পাঁচটায়। সওয়া পাঁচটার মধ্যে আটজন জঙ্গলপিপাসুকে নিয়ে গাড়ি রওনা দিলো চিলাপাতা ফরেস্ট অফিসের দিকে - পারমিট নিতে হবে। মেন্ডাবাড়ি থেকে বেরিয়ে জঙ্গলের মধ্যে দিয়েই কিছুদূর গিয়ে একবার বড় রাস্তায় উঠতে হয় - সেখান দিয়ে অল্প দূরে গিয়েই ফরেস্ট অফিস। ফরেস্ট অফিসের আশেপাশে সব বাড়িই একটু উঁচুতে - থামের ওপরে তোলা। দুটো কারণে - (এক) বর্ষায় জল তলা দিয়ে বেরিয়ে যায়, আর (দুই) ছোটখাটো জন্তুজানোয়ার এলে বাড়িতে ধাক্কা মারতে পারে না।

    পারমিট নিতে মিনিট দশেক, তারপর আবার জঙ্গলের রাস্তা। রাস্তার কথা আগেই বলেছি - শুধু চোখ বন্ধ করে একবার ভেবে নিন - ভারতের দ্বিতীয় ঘন জঙ্গল, সুন্দরবনের পরেই - তার চেহারা কেমন হতে পারে। সূর্য্য তখনো পুরো ওঠেনি, অল্প আলো ফুটেছে। পাশের জঙ্গলে তখনো আলোআঁধারির খেলা। রাস্তাটা চলে গেছে দূরে কোন গভীরের দিকে জানি না। শুধু দূরে দেখা যায় আবছা আলোয় টানেলের মত গাছের আড়ালে ঘুরে গেছে রাস্তাটা...অল্প কুয়াশা নেমেছে সেখানে...বাঁকের পরে কোন রহস্য লুকিয়ে রয়েছে কে বলতে পারে। চাপড়ামারির মত গাড়ির ভিড় নেই, সেই মুহুর্তে শুধু একটাই গাড়ি শুকনো পাতার ওপর অল্প আওয়াজ করে এগিয়ে চলেছে। পাশের জঙ্গলে খড়মড় করে অল্প আওয়াজ, তাকিয়ে দেখবেন দুটো হরিণ অবাক চোখে তাকিয়ে রয়েছে - গাড়িটা দেখেই উল্টোদিকে ঘুরে দৌড়। ফিসফিসিয়ে কথা বলুন, আশেপাশে পাখি রয়েছে অনেক - কান খাড়া করে রাখলে তাদের কথা বলা শুনতে পাবেন। গাছের মাথা থেকে হুউউউউট হুউউউট করে আওয়াজ শুনে তাকিয়ে দেখুন - পেঁচা বসে রয়েছে একটা। গাছের ডালে খড়খড় ঝাপটা - তাকিয়ে দেখুন কয়েকটা বাঁদর ডাল বদলে বসলো...







    আস্তে আস্তে গাড়ি চলছে, সূর্য্য উঠলো বুঝতে পারছি - গাছের ফাঁকে ফাঁকে আলো দেখা যাচ্ছে। অক্টোবরের ভোরে অল্প ঠান্ডা হাওয়া দিচ্ছে...হাওয়ায় ঝিরঝির করে সাড়া দিচ্ছে চিলাপাতা...আমাদের নজর দুদিকের জঙ্গলে...। মিনিট কয়েকের মধ্যে গাড়িটা দাঁড়িয়ে পড়লো। সামনে দেখলাম আরো দুটো জিপসি রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে। আমাদের গাড়ির ড্রাইভার ফিসফিস করে বললেন - হাতি। ডানপাশের জঙ্গলে, হার্ডলি তিরিশ ফুট দূরে তিনটে হাতির একটা পরিবার পাতা খেতে ব্যস্ত। ক্যামেরা তুলে তাক করে দাঁড়িয়ে রইলাম, যদি সুযোগ পাই একটা। কিন্তু সামনের দিকে না এসে একটা হাতি আরেকটু দূরে গিয়ে রাস্তা পেরিয়ে উল্টোদিকের জঙ্গলে ঢুকে গেলো...একটা মাঝারি সাইজের দাঁতাল। তার বউটা তখ্নও বাচ্চাটাকে নিয়ে ডানদিকের জঙ্গলেই রয়েছে। আমরাও দাঁড়িয়ে রয়েছি। এর মধ্যে আমাদের গাড়িটা রিভার্স করে আরো ফুট দশেক জঙ্গলের ভিতরে ঢুকে পড়লো, আরো কাছে - খুব বেশি হলে কুড়ি ফুট দূরে, একটা বড় ঝোপের আড়ালে দেখতে পাচ্ছি মা হাতিটার শরীরের ওপরের দিকটা, আর তার সামনেই বাচ্চাটাও রয়েছে, একদম পাহাড়া দিয়ে রেখেছে যেন। একদম চুপ করে দাঁড়িয়ে আছি আমরা কজন, নিঃশ্বাসও ফেলছি না প্রায়...ওদিকে হাতি দুটোও তাই। কতক্ষণ হবে? মিনিট দশেক প্রায়? তারপর খস খস করে আওয়াজ পেলাম, ক্রমশ সেটা দূরে মিলিয়ে গেলো। বুঝলাম মা হাতিটা বাচ্চাটাকে নিয়ে আরো গভীরে ঢুকে গেছে। ভেবেছিলাম আরো কিছুক্ষণ দাঁড়াই, কিন্তু গাইড যিনি, তিনি বললেন যে দাঁতালটা রাস্তা পেরিয়ে উল্টোদিকে গেছে, সেটা পরিচিত হাতি, আর তার খানিক ইতিহাসও আছে ফিরে আসার, আর সেটা সুখকর নয়, না দাঁড়ানোই ভালো।

    [গল্প (বা ঘটনাটা) পরে শুনেছিলাম দেবাশিসের কাছে। ঠিক গোধূলির মুখে, জঙ্গলের মধ্যে রাস্তায় হাতি প্রায় ব্যাকগ্রাউন্ডের সাথে মিশে যায়, ভালো বোঝা যায় না। এই কিছুদিন আগেই - মাস দুয়েক হবে হয়তো - দুটি ছেলে চিলাপাতার গেটের কাছেই পিচরাস্তায় বাইক নিয়ে যাচ্ছিলো একটু জোরেই। এই দাঁতালটাই একটা বাঁকের মুখে বসে ছিলো। ছেলেদুটো বাঁক ঘুরেই হাতিটাকে ধাক্কা মারে। বাইক ছিটকে পড়ে যায়, ছেলে দুটোও উল্টে গিয়ে পড়ে - একজন বাইকের পাশেই, আরেকজন বাইক থেকে অল্প দূরে জঙ্গলের পাশে। হাতিটা প্রথমে বাইকের পাশের ছেলেটাকে আছড়ে আছড়ে মারে, তারপর বাইকটাকে পা দিয়ে থ্যাঁতলায়। তারপর উল্টোদিকে ঘুরে হাঁটা দেয়। এর মধ্যে অন্য ছেলেটা এইসব দেখে হামাগুড়ি দিয়ে সরে যাচ্ছিলো - এর মধ্যে তার মোবাইলটা বেজে ওঠে। হাতিটা ফিরে যেতে গিয়েও ঘুরে আসে, ছেলেটাকে শুঁড়ে তুলে আছড়ে ফেলে পা দিয়ে থেঁতলে মাংসপিন্ড বানিয়ে তারপর আবার জঙ্গলে ঢুকে যায়।]

    গাইডের বারণ শুনে আর দাঁড়াইনি। ছবি পেলাম না ঠিকই, কিন্তু ওই দশটা মিনিট প্রায় নিশ্বাস বন্ধ করে অপেক্ষার মুহুর্তগুলো সেই যে সিন্দুকটা থাকে যেখানে বিশেষ বিশেষ কিছু ছবি/কথা জমানো থাকে, সেখানে ঢুকে গেছে।

    চিলাপাতার ক্লাইম্যাক্স এইটাই। এর পরেও জঙ্গলের মধ্যে ঘুরে বেড়ালাম প্রায় সাড়ে সাতটা অবধি। টুকটাক পাখি, খরগোশ, হরিণ চোখে পড়লেও আর সেরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। মাঝে একটা গড় চোখে পড়লো - পুরনো কেল্লার ধ্বংসাবশেষ - বলে নলরাজা গড়, গুপ্ত যুগের সময়কার নল রাজাদের কেল্লা। তার সামনের গেটটা এখনো দেখা যায় মাটির ওপর কিছুটা জেগে রয়েছে। আগে ভিতরে ঘুরে বেড়ানো যেত, কিন্তু এখন জঙ্গল এতটাই ঘন যে আর ওদিকে যেতে দেয় না।



    আরো এদিক সেদিক কিছুক্ষণ ঘুরে একটা ওয়াচটাওয়ারের পাশ দিয়ে প্রায় সাড়ে সাতটা নাগাদ ফিরে এলাম ফের মেন্ডাবাড়িতে। সাফারি শেষ। আমাদের বেড়ানোও। এবার ফেরার পালা।

    ব্রেকফাস্ট সেরে নিয়ে সব জিনিসপত্র গাড়িতে তুলে রওনা দিলাম। দেবাশিস আগে কালজানি বলে একটা নদীর ধারে ঘোরাতে নিয়ে গেল - এমনিই বেশ সুন্দর জায়গা। তারপর টিপিক্যাল হাইওয়েতে না উঠে ফালাকাটা-ধূপগুড়ি-ময়নাগুড়ির রাস্তা ধরলাম - কারণ চা-বাগানের মধ্যে দিয়ে এই রাস্তাটা অসম্ভব সুন্দর, এবং তাড়াতাড়ি ফুলবাড়ি বাইপাস হয়ে ন্যাশনাল হাইওয়েতে ওঠা যাবে। এতে এবারের মত মালবাজারে বাপীদার হোটেলে বোরোলি বা অন্যান্য মাছ খাওয়া হল না বটে, কিন্তু সন্ধ্যের মধ্যে মালদা পৌঁছনোর প্ল্যানটা ঠিকই রইলো। বাপিদার হোটেলে খাওয়া শুরু হয় বারোটার পর - ততক্ষণ অপেক্ষা করতে গেলে দেরি হয়ে যেত।

    এরপর আর সেরকম ঘটনা নেই। ফুলবাড়ি বাইপাস ধরে এনএইচ ১২ এ উঠলাম, হাইওয়ের ধারে একটা রেস্তোরাঁয় ছেলেমেয়ের শখ মিটিয়ে চীনে খাবার প্যাক করানো হল। আমার খেতে সময় লাগে না বলে আমি পার্কিংএই দাঁড়িয়ে পটাপট খেয়ে গাড়িতে স্টার্ট দিলুম, বাকিরা গাড়িতে খেতে খেতে চললো।

    ইসলামপুর ছাড়িয়ে ফের বোতলবাড়ি-রসখোয়া রোড। দুপাশে গ্রামের পর গ্রাম ফেলে রেখে রায়গঞ্জ হয়ে মালদা। মালদা টাউনে ঢোকার আগে গোল্ডেন পার্ক বলে একটা হোটেল/রিসর্ট আছে - যেখানে আগে থেকেছিলাম মালদায় বেড়াতে আসার সময়ে - সেখানেই উঠলাম সেদিন রাতের মত।

    পরের দিন সকালে টোস্ট-অমলেটের ব্রেকফাস্ট সেরে মালদা পেরিয়ে ফারাক্কা হয়ে বহরমপুরের একটু আগে মোরগ্রামে এনএইচ ১২/৩৪ ছেড়ে ধরলাম স্টেট হাইওয়ে ৭ - যেটা মুর্শিদাবাদের মধ্যে দিয়ে আসে বর্ধমান অবধি। এনএইচ ৩৪ এর ট্রাফিক যদি এড়াতে চান তাহলে এই রাস্তাটাই নেওয়া ভালো - মুশকিলের মধ্যে খাবার জায়গা পাবেন না বিশেষ - ছোটখাটো ভাতের হোটেলের বাইরে বিশেষ কিছুই নেই। সেদিন বেকারি বন্ধ বলে কোথাও পাঁউরুটিও পাওয়া যায়নি। শেষে খড়গ্রামের কাছে একটা ভাতের হোটেলেই বিরিয়ানি পাওয়া গেল - মোটের ওপর মন্দ নয়, শুধু মিষ্টতাটা বেশি। বিকেল নাগাদ বর্ধমান - সেখানে একটা মিষ্টির দোকান থেকে সীতাভোগ/মিহিদানা কিনে সোওওজা দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে। শক্তিগড়ে দাঁড়িয়ে ল্যাংচামহলের ল্যাংচা, আর পাশের চায়ের দোকানে চা খেয়ে ফের রওনা। অবশেষে রাত আটটা নাগাদ গাড়ি পার্ক করলাম বাড়িতে। ট্রিপমিটার তখন দেখাচ্ছে ১৮৩১.৯ কিমি।



    বেড়ানো শেষ আবার বছর দেড়েকের জন্যে। ২০২০তে ঋকের উচ্চমাধ্যমিক - তাই এর মধ্যে আর সবাই মিলে বড়্সড় বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ হবে না। শুরুতেই লিখেছিলাম - স্কুলের ছুটির চেয়ে বড় টিউশন থেকে ফাঁক পাওয়া - সেটা ওই পুজোর কয়েকটা দিন ছাড়া সম্ভব নয়। যদি পারি, পরের বছর পুজোর ছোটো করে একটা রোডট্রিপ সেরে নেবো, আর নয়তো একটা গ্র্যান্ড প্ল্যান রয়েছে ২০২০ সালের জন্যে। ফের একটা ট্র্যাভেলগ নিয়ে আসবো তখন।

    এই ট্রিপে দুটো পার্সোনাল রেকর্ড হল -

    (১) একটানা ১৮ ঘন্টা গাড়ি চালানো, একদিনে
    (২) স্কটিশ হাইল্যান্ডস বা লেক ডিস্ট্রিক্ট ছাড়া, এখানকার পাহাড়ি রাস্তায় গাড়ি চালানো

    দেখা যাক, পরের প্ল্যানটা নামাতে পারি কিনা।

    আমার কথাটি ফুরলো
    নটেগাছটি মুড়লো।
  • | ***:*** | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৪:২০380167
  • আচ্ছা।
  • de | ***:*** | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৫:০২380168
  • বাঃ - জঙ্গলের ছবিগুলো খুব সুন্দর!
    কোন গাড়ি চালিয়ে গেলেন?
  • Izhikevich | ***:*** | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৫:১০380169
  • হন্ডা বিআর-ভি
  • aranya | ***:*** | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৭:৪৩380170
  • ভাল লাগল খুব। বহু আগে চিলাপাতা জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যাওয়ার কথা মনে পড়ছিল
  • Izhikevich | ***:*** | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১:২৭380171
  • আমি জঙ্গলে বিশেষ ঘুরিনি। স্কুল থেকে আন্নামালাই রিজার্ভ ফরেস্টে নিয়ে গেছিলো, WWF স্পনসরড নেচার ক্যাম্পে। তারপর গাড়ি নিয়ে সাতকোশিয়া। কিন্তু চিলাপাতা বা চাপড়ামারি অন্যরকম। কেমন একটা ভিজে ভিজে নিঝ্ঝুম ধাঁচের - যেটা সাতকোশিয়া একেবারেই নয়। ভালো লেগেছে। শুধু কোথাও থেকে ধার করে একটা ভালো টেলিলেন্স নিয়ে যাওয়া উচিৎ ছিলো। অনেক মিস করলাম।

    আর আমার কাছে জার্নিটাই ছিলো আসল। এইটা এখনো অবধি বাড়িতে বোঝাতেই পারলাম না। সবাই বলছে ট্রেনে গেলেই তো হত। গ্র্যান্ড প্ল্যানটার জন্যে অনেক লড়তে হবে বোঝা যাচ্ছেঃ-(
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন