এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  সিনেমা

  • দীপাবলীর সিনেমা ঃ গার্লফ্রেণ্ড , রেটিং ২/৫

    Tollywood Reporter
    সিনেমা | ০৬ নভেম্বর ২০১৮ | ২২৪০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Tollywood Reporter | ***:*** | ০৬ নভেম্বর ২০১৮ ১২:০৬380025
  • https://twitter.com/SurinderFilms/status/1049898366505762816/photo/1
    পুজোর ছ ছটা ছবি রিলিজের পর ৪ সপ্তাহ পুরো ফাঁকা মাঠ । বড় কোন হিন্দি ছবি নেই, এই ৪ সপ্তাহে কে কত ব্যবসা করল সেই হিসাব যখন চলছে তখনই খুব ছোটো ছবি " বাধাই হো" সব বাংলা ছবির হিসেব্নিকেশ উল্টে দিল, যখন মাল্টিপ্লেক্স কর্তারা এই সুজোগে বাংলা ছবিকে প্রোমোট করার চেষ্টা করল তখন ঐ "বাধাই হো" র জন্য অনেক বাংলা ছবির শো কমাতে বাধ্য হয়েছে, আর এই ৪ সপ্তাহের পর সব খেল খতম, সেই সময় কড়া নাড়াছে এক বিশাল ছবি " ঠগস অফ হিন্দাস্থান " ।
    আর এই দীপাবলীতে চুপিসারে ঢুকে পড়ল একমাত্র বাংলা ছবি "গার্লফ্রেণ্ড" । এই ছবি হয়তো তথাকথিত শহুরে বা প্রায় এলিটবর্গের সিনেমা বলতে যা বোঝায় তার ব্যবসায় তেমন কিছু আঁচড় বসাতে পারবে না, কিন্তু সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে যে ব্যবসা দিতে পারবে এই ছবি সেটা ঐ "ব্যোমকেশ " বা " এক যে ছিল রাজা"র মত ছবি পাত্তাও পাবে না ।
    শুরুতেই বলে রাখা ভালো এই ছবি তেলেগু ছবি " চুপিস্থা মাবা " নামে ছবির রিমেক, অনেকেই একে হয়তে কপি ছবি বা টোকা ছবি বলে গাল পাড়বে, এই ছবি দেখা বা এই ছবির সংক্রান্ত কোন লেখা তাদের জন্য নয় ।
    মূল ছবি আমার দেখা নেই । তাই ঐ সব ভ্যানতেরা ছেড়ে একটু ছবির দিকে তাকাই ।
    পরিচালক রাজা চন্দ প্রথমেই একটা অন্যায় করেছেন, পোস্টার বা সিনেমার কোন অংশে উনি ঋণস্বীকার করেননি যে এ ছবির মূল লেখক কে ?
    শুরুতেই হাসপাতালে টেনশনরত কাউকে দেখতে পেয়ে মনে হলে ভদ্রলোক খুব চাপে আছেন । হয়তো উনার কারো অবস্থা আশঙ্কাজনক । ভদ্রলোক এগোতে থাকে হাসপাতালে কেবিনের কাছে, না, ইনি সরকারী স্বাস্থ্য দপ্তরের এক হোমরা চোমরা লোক । চিকিৎসায় কেউ গাফিলতি করছে কিনা সরজমীনে দেখতে এসেছেন । এক ডাক্তার একই সূচ দিয়ে দুজন রোগীকে ইনজেক্শন দিতে গিয়ে ঐ হোমরা চোমরা লোকটি হাতে নাতে ধরে । তৎক্ষনাৎ ঐ ডাক্তারকে সাসপেণ্ড করে । তা ব্যাপরাটা শুনে যতই সিরিয়াস কেস মনে হোক, আসলে ব্যাপরটা পুরো ভাঁড়ামো ছাড়া আর কিছু না । সেই ডাক্তার সাসপেণ্ড হয়ে কোথায় হাত পা ধরবে তা না করে ইয়ার্কি ফাজলামো মারতে শুরু করল আর শেষে কিনা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বসল । কি চ্যালেঞ্জ সেটা ছবির শেষে গিয়ে জানা যাবে ।
    এর পর বোঝাই গেলে এ ছবি পুরো মাত্রায় কমেডির দাওয়াই । যথা সময়ে নায়ক নায়িকার প্রবেশ । ছিটেল বাবার ( শঙ্কর চক্রবর্তী ) বছর বছর ফেল করা ছেলে ( বনি সেনগুপ্ত ) নায়িকাকে ( কৌশানী ) দেখে প্রেমে পড়ে, নায়িকা তো প্রথমে কথাই বলে না, প্রথমে মনে হল নায়িকা বোবা নয়তো ? একটা সময়ে নায়ক নায়িকার বাবাকে সটান গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেয় । নায়িকার রাগী বাবা হবু জামাইকে অনেক শর্ত চাপিয়ে দেয় । নায়কও রাজী হয় আর শর্ত মানতে রাজী হয় ।
    খুব সাধারণ গল্প , আর অন্তত গল্পের টানে এ ছবি কোন মাত্রায় খুব একটা উচু স্থানে যেতে পারবে না । এ ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন এন কে সলিল । আঁতেল সিনেমা বা প্যারালাল সিনেমা , যে নামেই ডাকা হোক, এই ভদ্রলোক ঠিক তার উল্টোপথে হাঁটেন । " মারবো এখানে , লাশ পড়বে শ্বসানে" এর মত অনেক জনপ্রিয় সংলাপ আছে । তাই এন কে সলিল এর চিত্রনাট্যতে কিছু না কিছু অভিনবত্ব থাকে ।
    খুব সাধারন আর সাদা মাটা ছবিতে ভালো লাগলো প্রত্যেকটা চরিত্রের নামকরণ । নায়কের নাম "উত্তম " আর নায়িকার নাম " সুচিত্রা " । তেমনি নায়িকার রাগী বাবার চরিত্রের নাম " কমল মিত্র " ( ভরত কল ), নায়কের মজাদার বাবার নাম " ভানু " আর মায়ের নাম " সন্ধ্যা রায় " । কমেডি চরিত্রের নাম " জহর রায় " ( কাঞ্চণ মল্লিক ), হাফ ছিটেল ডাক্তারের চরিত্রের নাম " উৎপল দত্ত " ( বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী ) , নায়িকার বন্ধুদের নাম হয় সুলতা চৌধুরী বা সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় ।
    পুরো ছবিতে চরিত্রের নামগুলো ই মজার । জিৎ গাঙ্গুলীর সুরে দু একটা গান মন্দ নয় ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন