এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • তিতলি | ***:*** | ০৮ জুন ২০১৮ ১৯:০৬377417
  • ||রেজাল্ট ||

    মা,
    এই চিঠিটা তোমরা পেয়েছো মানে এতক্ষণে বেশ খানিকটা খোঁজাখুঁজি শুরু হয়ে গেছে। প্রথমত আমি ভালো আছি। কাল উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরিয়েছে এবং যথারীতি আমি ছড়িয়েছি। জানি তোমরা কোনো অভিযোগ করোনি হয়তো করবেও না। বাবা কেও শুনলাম অনিলকাকুকে ফোন করে জিজ্ঞেস করছে ম্যানেজমেন্ট কোটায় কোথায় সহজে চান্স পাওয়া যায়..

    আমি হাঁসখালি যাচ্ছি মা , ওখানে এক পালমশাইয়ের সাথে কথা হয়েছে আমার - থাকা খাওয়ার বিনিময়ে মূর্তিগড়া শিখবো। সামনেই তো দুর্গাপুজো আর ওনারও মাটিছানার লোক দরকার , তাই চান্স টা পেয়েই গেলাম- অন্নপূর্ণা মৃৎশিল্পালয়,হাঁসখালি, বি ডি অফিস রোড, নদীয়া ৭৪১৫২৪ তে। তোমরা চাইলে দেখা করতে এস , ছুটিছাটায় আমিও আসব। মনখারাপ করোনা মা, এও তো একধরণের কলেজই হলো , ধরে নাওনা আমি হোস্টেলে আছি। আমি চাইলে বাবা হয়তো কোনো ভালো আর্ট কলেজে ভর্তি করে দিতো। কিন্তু সেখানেও তো শেখার বদলে আবার দৌড়োবো মা ! কনসেপ্ট চুরির ভয়ে সারাদিন মেপে মেপে কথা বলবো - নিজের মনন কে প্রশ্রয় না দিয়ে দুর্বোধ্য ছবি আঁকবো যাতে চড়াদামে বিক্রি হয় - মাথার ভেতর দৌড়োতে থাকা ইঁদুরটার কথা শুনে সাতরঙা দূর্গা বানিয়ে রাজনৈতিক দলের পদলেহন করে নিজের শিল্পীসত্বা কে এশিয়ান পেন্ট শারদ সম্মানে অসম্মানিত করবো আর তারপর ধীরে ধীরে বাণিজ্যিক চিন্তা আমার ভেতরের শিল্পী টা কে চির ঘুমে পাঠিয়ে দিলে খ্যাতনামা শিল্পী হয়ে উদ্বোধনের ফিতে কেটে বেড়াবো। ভুলে যাবো দর্শন-শিক্ষা -ভালোবাসা, ভুলে যাবো শিল্পীকে ফিতে কাটতে নেই , তাকে হারিয়ে যেতে হয়, কখনো কল্পনায় কখনো বাস্তবে কখনো বা জন অরণ্যে কিংবা শুকনো পাতার জঙ্গলে ....

    আসলে মা আমার মান -সম্মান- টাকা- পয়সা-নাম- ডাক কিচ্ছু চাইনা !আঠারোটা বছর ওগুলোর পেছনে দৌড়ে এখন শুধু চারপাশটা প্রাণভরে দেখতে চাই। মানে ধরো একটা শীতের সকালে শুধু পাতাঝরা গাছের আধোবাদামি ডালটাই দেখলাম। আমার ইচ্ছে করলোনা সোনালী রোদ দেখে একটি শীতের সকাল রচনা লিখে দশে আটের বদলে সাড়ে নয় পেতে। মা আমি ভাবতে ভুলে যাচ্ছি আমি ভালোবাসতে ভুলে যাচ্ছি ভুলে যাচ্ছি মানবিক হতে। আমার এই দৌড়োনোর ইচ্ছেটা বহুদিন হলো কমে আসছে.. ক্লাস ইলেভেনে সুগত ফিজিক্সে নাইন্টি পেলো আর আমি সিক্সটি সিক্স। সুগত বাথরুমে গেছিলো , কেমন যেন একটা ইনস্টিংক্ট এর মতো কাজ করলো , জানলা গলিয়ে বইটা সোজা ফেলে দিলাম স্কুলের পেছনের নর্দমায়। সুগত প্রথমে খেয়াল করেনি , তারপর পাগলের মতো বইটা খুঁজছিলো যে বইটার প্রতিটা পাতায় ওর নিজের হাতে লেখা এক্সপ্লানেশন আছে, আর ভেতরে ভেতরে এক অদ্ভুত পৈশাচিক উল্লাস অনুভব করছিলাম আমি। হঠাৎই একরাশ হতাশ আর কষ্ট নিয়ে সুগত বলে উঠেছিল - "ভাই বইটা কে নিলো বলতো ?" আর সাথে সাথে আমার মনে হয়েছিল যেন কর্নেটো আইসক্রিমে কাঁচা রসুনের গন্ধ পেলাম। এক অদ্ভুত বিষাদের মধ্যে লটপট করছিলাম আমি। সুগত। আমার জীবনের প্রথম বন্ধু সুগত। মিত্র স্যারের মার খেয়ে জ্বর এসে গেলেও আমার নাম না বলা সুগত। এস্টেরিক্স থেকে সিগারেট ভাগ করে নেওয়া সুগত। আর সেই সুগত যার প্রাণ ঢালা পরিশ্রম এখন নর্দমায় ডুবে যাচ্ছে আর একই সাথে আরো বেশি পাঁক ওয়ালা আরেকটি নর্দমায় ডুবে যাচ্ছিলাম আমি।

    সেদিনের পর থেকে আমার মাথার ভেতরের ইঁদুরটা আর দৌড়োতে চাইছিলনা। কখনো শুয়ে কখনো বসে কখনো বা ডিগবাজি খেয়ে দিন কাটাচ্ছিল। বিনয় স্যার প্রায়ই বলতেন - "কম্পিটিশনে না দৌড়লে বেদের মেয়ে জোৎস্না জুটবে !" আচ্ছা মা বেদের মেয়ে জোৎস্না জোটা ঠিক কত টা খারাপ ? বিনয় কাকিমার গায়ের বেল্টের দাগ গুলোর চেয়েও বেশি? জানো আমি যেদিন পাল মশাইয়ের কাছে গেছিলাম , বিশুও গেছিলো। মা-মরা ছেলে, পাশের গ্রামে বাড়ি আর দুর্দান্ত হাতের কাজ। এই বয়সেই দেড় হাতের দূর্গা বানায়। ওকে দেখা মাত্রই আমার বদ্ধমূল ধারণা হলো - কম্পিটিশনে আমি ছিটকে যাবো ! একে মা নেই , সিম্প্যাথি তেই ফিফটিপার্সেন্ট পাবে আর তারপর অমন সুক্ষ কাজ.. মাথার ইঁদুর টা যেই আবার ঘুম থেকে উঠে ট্রেডমিলে পা দিতে যাবে, অমনি আমাকে অবাক করে পালমশাই বলে উঠেছিলেন সামনের হপ্তা থেকে দুজনকেই আসতে। বিশুর যেমন দক্ষতা আছে আমার তেমনি কল্পনা আছে , আর কে না জানে কল্পনা ছাড়া মা দূর্গার তিন নম্বর চোখ টা মোটেই আঁকা যায়না..! আসলে যত দিন যাচ্ছে আমার মই বেয়ে ওঠার ইচ্ছেটা তত চলে যাচ্ছে । অঙ্কটা বড্ড ভালোবাসতাম ,মাধ্যমিকে একশো পেয়েছিলাম, ওটাই কাল হলো। সবাই যেন ধরেই নিলো ইঞ্জিনিয়ারিং ছাড়া আমার আর কিচ্ছু পড়ার দরকার নেই ! আমিও তখন রঙিন গগলসে চোখ রেখেছি -ইঞ্জিনিয়ারিং -মাসে লাখটাকার চাকরি- একটা ভালো গাড়ি -মাস গেলে আউটিং - বছরে একটা ফরেন ট্যুর... এসবের মাঝখানে চাকরি পেয়ে টিনটিনের সবকটা সিরিজ কিনতে চাওয়া ছেলেটা কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছিলো , তাই বৈভবের প্রত্যাশায় তলিয়ে যেতে যেতে তার একবারও মনে পড়লনা অঙ্কটা ভালো পারলেও ফিজিক্স কেমিস্ট্রি কোনোটাই তার ভালো লাগেনা। অংকের পরেই তার ভালো লাগে সাহিত্য।তাই তো ছেলেটা পরিমিতির নিখুঁত ক্যালকুলেশনে থার্মোকলের তাজমহল বানিয়েছিল। তাই একটা ঘুম ঘুম শীতের বিকেলে ফ্রান্সিসের পার্টনার হতে গেছিল সে। ভেবেছিল মাঠ পেরলেই সমুদ্র আর ভাইকিং দের দেখতে পাবে। ঠিক একই রকম আরেকটা ঘুম ঘুম শীতের বিকেলে কোচিং ক্লাসে অঙ্কে ঊনআশি পেয়ে শুনতে হয়েছিল - "অধোঃপতন"! একটা সরল প্রশ্ন করেছিলাম জানো- 'আচ্ছা স্যার কোনটা জরুরী ? কম সময় চেনা অঙ্ক ঝড়ের বেগে করতে পারা, নাকি অঙ্ক করতে পারা ?' উত্তর মেলেনি , ক্লাস শুদ্ধ সবাই হেসেছিল , স্যার বলেছিলেন -" কাব্যি করে ভাত জোটেনা !" আচ্ছা মা সত্যিই কি কাব্যি করে ভাত জোটেনা ? নাকি ভাতের পাশে মাটনকষা আর প্রতিবেশীর ঈর্ষা মাখা গন্ধ জোটেনা? ভাতের জন্য তো অল্পস্বল্প হাতের কাজ জানলেও চলে ,এই যেমন পাল মশাই আমাকে ভর্তি নিলেন। আমার কিন্তু বেশ লাগছে। যখন ওনাকে বললাম আমার জমানো হাজার দশেক টাকা আছে , উনি বললেন-" লাগবেনা। উত্সাহ নিয়ে শিখতে এলে ওসব আমি নিইনা।"কেমন একটা গর্ব হলো জানো, এও তো স্কলারশিপ , কি বলো? মলিমাসী এবার যদি ওর ছেলের কানপুরের হোস্টেলের গল্প শোনায় তুমিও কিন্তু বলতে পারো তোমার ছেলেও এখন হোস্টেলে থাকে। সেদিন আমি সুগতদের বাড়ি যাইনি , গেছিলাম এই নতুন কলেজটায় এডমিশন নিতে। আসলে দিনদশেক আগে আমাদের স্কুলের গোল্ড- মেডেলিস্ট অর্জুন দা যখন সুইসাইড করলো সব কেমন আরোও বেশি করে অর্থহীন হয়ে যাচ্ছিল, কেউ জানেনা কেন এমন করলো, কিন্তু আমার শুধু মনে হচ্ছিল অর্জুন দা পালিয়ে গেল। পালিয়ে গেল কোনো ব্যর্থতা থেকে। হোক সে প্রেম , কেরিয়ার , চাকরি কিংবা অন্য কিছু।আসলে মা আমি পালিয়ে যেতে চাইনি , মরে গিয়ে বা বেঁচে থেকে কোনো অবস্থাতেই আমি পালাতে চাইনা।
    ও তোমাকে তো বলাই হয়নি, ক্যাম্পাসিং আমার বাঁধা ! যতদিন বাঙালি থাকবে , পালা-পার্বণ-দুর্গাপুজো থাকবে ততদিন আমার চাকরি কাড়ে কার সাধ্যি ! মাথার ইঁদুরটা একবার কুড়কুড় করে বলতে চাইছিলো গার্লফ্রেন্ড জোটাতে পারবো কিনা ,এক ধাক্কায় ব্যাটাকে ট্রেডমিল থেকে ফেলে দিয়েছি ! যা হবে দেখা যাবে! বেদের মেয়ে জোৎস্নাই সই , আমি আর কিছুতেই দৌড়োবো না !
    ফ্রান্সিস নৌকোয় পাল তুলছে মা , কিছুটা গেলেই নোতোরদাম চার্চ আর তার পাশেই আহ্লাদীদের বাড়ি, সে দরজা দিয়ে ঢুকে স্বর্গছেঁড়া পেরিয়ে পড়বে হাটচন্দ্রা, যেখানে মেনহির বইলেই বুনো শুওরের রোস্ট পাওয়া যায়.. আর এই সব কটা রাস্তা গিয়ে শেষ হয়েছে অন্নপূর্ণা মৃৎশিল্পালয়ের সদর দরজায়। ভোর হতে চললো, আমি আসি মা, দেখা হবে, ভালো থেকো। আর হ্যাঁ ঠিকানা টা ভুলোনা যেন-অন্নপূর্ণা মৃৎশিল্পালয়, হাঁসখালি, বি ডি অফিস রোড, নদীয়া ৭৪১৫২৪ শিল্পী মহাদেব পাল....

    (আমার ইচ্ছাসত্বেও বাংলা ফন্টে অনেক বানান সঠিক লিখতে পারিনি, মার্জনা করবেন; উপরের ঠিকানাটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক , কারোর সাথে মিলে গেলে একান্ত ক্ষমাপ্রার্থী )
  • | ০৯ জুন ২০১৮ ১৩:৩৫377428
  • পড়তে ভালই লাগল।

    কথা হল চারিদিকে সবাই দেখছি নম্বর তেমন কোনও ব্যপার নয়, মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকে যে যাই পাক কিচ্ছু এসে যায় না, অতিরিক্ত চাপের কোনও দরকার নেই ইত্যাদি লিখে চলেছেন।
    তাহলে চাপটা দেয় কারা? মোটামুটি সকলেই সচেতন যখন তখন খুব বেহ্সী চাপ তো ছাত্রছাত্রীদের উপর থাকার কথা নয়।
  • এলেবেলে | ***:*** | ০৯ জুন ২০১৮ ১৫:৫৩377432
  • @দ, ভালো বলেছেন। চারিদিকেই সচেতন মানুষজন গিজগিজ করছেন। তাঁদের কাছে নম্বরটা কোনো ব্যাপারই না। অথচ প্রথম হচ্ছে ওই নম্বরের ভিত্তিতেই। দ্বিতীয় যে হচ্ছে হয়তো সব বিষয়ে তার গ্রেড ওই প্রথমের মতোই। তবুও তাকে বুক চিতিয়ে বলতে হচ্ছে এক নম্বরের জন্য দ্বিতীয় হওয়ায় কোনো আফশোস নেই! আসলে আমরা প্রত্যেকে এই কবিতাটার মতোই অভিভাবককুল।

    তোমাকে পেতেই হবে শতকরা অন্তত নব্বই (বা নব্বইয়ের বেশি)
    তোমাকে হতেই হবে একদম প্রথম
    তার বদলে মাত্র পঁচাশি!
    পাঁচটা নম্বর কম কেন? কেন কম?
    এই জন্য আমি রোজ মুখে রক্ত তুলে খেটে আসি?
    এই জন্যে তোমার মা কাক ভোরে উঠে সব কাজকর্ম সেরে
    ছোটবেলা থেকে যেতো তোমাকে ইস্কুলে পৌঁছে দিতে?
    এই জন্য কাঠফাটা রোদ্দুরে কি প্যাচপ্যাচে বর্ষায়
    সারাদিন বসে থাকতো বাড়ির রোয়াকে কিংবা পার্কের বেঞ্চিতে?
    তারপর ছুটি হতে, ভিড় বাঁচাতে মিনিবাস ছেড়ে
    অটো-অলাদের ঐ খারাপ মেজাজ সহ্য করে
    বাড়ি এসে, না হাঁপিয়ে, আবার তোমার পড়া নিয়ে
    বসে পড়তো, যতক্ষণ না আমি বাড়ি ফিরে
    তোমার হোমটাস্ক দেখছি, তারপরে আঁচলে মুখ মুছে
    ঢুলতো গিয়ে ভ্যাপসা রান্নাঘরে?

    এই জন্যে? এই জন্যে হাড়ভাঙা ওভারটাইম করে
    তোমার জন্য আন্টি রাখতাম?
    মোটা মাইনে, ভদ্রতার চা-জলখাবার
    হপ্তায় তিনদিন, তাতে কত খরচা হয় রে রাস্কেল?
    বুদ্ধি আছে সে হিসেব করবার?
    শুধু ছোটকালে নয়, এখনো যে টিউটোরিয়ালে
    পাঠিয়েছি, জানিস না, কিরকম খরচাপাতি তার?
    ওখানে একবার ঢুকলে সবাই প্রথম হয়। প্রথম, প্রথম!
    কারো অধিকার নেই দ্বিতীয় হওয়ার।
    রোজ যে যাস, দেখিস না কত সব বড় বড়
    বাড়ি ও পাড়ায়
    কত সব গাড়ি আসে, কত বড় আড়ি করে
    বাবা মা-রা ছেলেমেয়েদের নিতে যায়?
    আর ঐ গাড়ির পাশে, পাশে না পিছনে-
    ঐ অন্ধকারটায়
    রোজ দাঁড়াতে দেখিস না নিজের বাবাকে?
    হাতে অফিসের ব্যাগ, গোপন টিফিন বাক্স, ঘেমো জামা, ভাঙা মুখ –
    দেখতে পাসনা? মন কোথায় থাকে?
    ঐ মেয়েগুলোর দিকে? যারা তোর সঙ্গে পড়তে আসে?
    ওরা তোকে পাত্তা দেবে? ভুলেও ভাবিস না!
    ওরা কত বড়লোক!

    তোকে পাত্তা পেতে হলে থাকতে হবে বিদেশে, ফরেনে
    এন আর আই হতে হবে! এন আর আই, এন আর আই!
    তবেই ম্যাজিক দেখবি
    কবিসাহিত্যিক থেকে মন্ত্রী অব্দি একডাকে চেনে
    আমাদেরও নিয়ে যাবি, তোর মাকে, আমাকে
    মাঝে মাঝে রাখবি নিজের কাছে এনে
    তার জন্য প্রথম হওয়া দরকার প্রথমে
    তাহলেই ছবি ছাপবে খবর কাগজ
    আরো দরজা খুলে যাবে, আরো পাঁচ আরো পাঁচ
    আরো আরো পাঁচ
    পাঁচ পাঁচ করেই বাড়বে, অন্য দিকে মন দিস না,
    বাঁচবি তো বাঁচার মত বাঁচ!

    না বাপী না, না না বাপী, আমি মন দিই না কোনোদিকে
    না বাপী না, না না আমি তাকাই না মেয়েদের দিকে
    ওরা তো পাশেই বসে, কেমন সুগন্ধ আসে, কথা বলে, না না বাপী পড়ার কথাই
    দেখি না, উত্তর দিই, নোট দিই নোট নিই
    যেতে আসতে পথে ঘাটে
    কত ছেলে মেয়ে গল্প করে
    না বাপী না, আমি মেয়েদের সঙ্গে মিশতে যাই না কখোনো
    যেতে আসতে দেখতে পাই কাদা মেখে কত ছেলে বল খেলছে মাঠে
    কত সব দুষ্টু ছেলে পার্কে প্রজাপতি ধরছে
    চাকা বা ডাঙ্গুলি খেলছে কত ছোটোলোক
    না, আমি খেলতে যাই না কখনো
    খেলতে যাইনি। না আমার বন্ধু নেই
    না বাপী না, একজন আছে, অপু, একক্লাসে পড়ে
    ও বলে যে ওর বাবাও বলেছে প্রথম হতে
    বলেছে, কাগজে ছবি, ওর বাবা, ওকে ….
    হ্যাঁ বাপী হ্যা, না না বাপী, অপু বলেছে পড়াশোনা হয়নি একদম
    বলেছে ও ব্যাক পাবে, ব্যাক পেলে ও বলেছে, বাড়িতে কোথায়
    বাথরুম সাফ করার অ্যাসিড আছে ও জানে,
    হ্যাঁ বাপী হ্যা, ও বলেছে,
    উঠে যাবে কাগজের প্রথম পাতায় …

    'টিউটোরিয়াল', জয় গোস্বামী
  • PT | ***:*** | ০৯ জুন ২০১৮ ১৭:২৩377433
  • গত দশ, কুড়ি বছর ধরে ফার্স্ট হওয়া ছেলে মেয়েরা কে কি করছে এখন তার কোন সন্ধান রাখে কেউ?
  • তিতলি | ***:*** | ১০ জুন ২০১৮ ২৩:৪৫377434
  • নাহঃপিটি , শুধুতাই নয় আমি এমন অনেক ছেলে মেয়ে কে চিনি যারা স্কুলে একদম পেছনের সারিতে থাকলেও এখন পড়াশোনায় যথেষ্ট উন্নতি করছে
  • তিতলি | ***:*** | ১০ জুন ২০১৮ ২৩:৪৯377435
  • দ, সচেতন মানুষ প্রকৃত অর্থে খুব কম এ আছেন, সর্বহারাদের জন্য বাইরে গলা ফাটিয়ে বাড়িতে এসে বাচ্চা শেখায় -"স্কুলে কাউকে টিফিন দিবিনা !" এমন মানুষ কিন্তু প্রচুর আছে , অথবা আমরা বাচ্চা কে কক্ষনো পড়তে বলিনা - বলা মানুষজনও পরোক্ষে বাচ্চার মনে চাপ সৃষ্টি করে
  • Atoz | ***:*** | ১২ জুন ২০১৮ ২৩:০৯377436
  • কোনো ফলো-আপ হয়? এই সফল-তালিকায় যারা থাকে তাদের কী হল তাই নিয়ে? ধরুন বছর পঁচিশ আগে যারা মাধ্যমিকের টপ টেন লিস্টে ছিল, তারা এখন কে কোথায় কেন কী --এসব নিয়ে কিছু কাজ হয় কোনো পত্রিকার তরফ থেকে বা অন্য কোনো ইন্স্টিটুটের তরফ থেকে?
  • তিতলি | ***:*** | ১৪ জুন ২০১৮ ০৬:১২377437
  • atoz কিচ্ছু হয়নি, হয়না, হবেনা , এইটা আসলে ইঁদুর দৌড়ের একটা সুন্দর পরিকল্পনা । না হলে যে শিক্ষার নাম ব্যাবসা চালানো যাবেনা
  • Atoz | ***:*** | ১৪ জুন ২০১৮ ০৬:২৬377438
  • শিক্ষার নামে শাঁখের করাতের কল। একইসঙ্গে টাকা বানানো আর দাস তৈরীর ব্যবসা। যেতেও কাটে আসতেও কাটে। সন্ত্রস্ত অভিভাবকের সর্বস্ব যায় সন্তানের কেরিয়ারটি কিনতে আর যার কেরিয়ার তাঁরা কিনলেন, সেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মেশিনে জুতে যাওয়া দাস হয়ে যায় নিরুপায় হয়ে।
    ভাবা যায়, জাস্ট জয়েন্ট আইআইটি কোচিং এর নামে বছরে ৬ থেকে ১২ লাখ নিচ্ছে এক একটা নামী ইনস্টিটুট ? একধরণের সূক্ষ্ম ডাকাতি এইসব।
    তার মানে মেরিট লিস্ট একটা জোক!
  • বাঙাল | ***:*** | ১৪ জুন ২০১৮ ০৭:২৫377418
  • জোক কেন হবে নামী জায়গার ছাগলেও দেখি দামী চাকরি করে।
  • DP | ***:*** | ১৫ জুন ২০১৮ ১৮:৩৭377419
  • মজার ব্যাপার হল এসব কোচিং সেন্টারে যারা পড়ান তারা প্রায় সবাই আর কিছু না পেয়ে এখানে। এসব প্রতিষ্ঠানের ব্রেন হল ম্যানেজমেন্ট ও পিআর এর তুখোর কিছু লোকজন। এদের মোডাস অপারেন্ডি মূখ্যত 'টুপি পড়ানো'। এসব জায়গা থেকে যারা ভাল ফল করে তারা নিজের জোরেই করে, আর তার কৃতিত্ব এসব প্রতিষ্ঠান নেয়। এদের পাল্লায় পরে বহু ছেলেমেয়ের জাস্ট ইয়ে মারা হয়ে যেতে দেখেছি।
  • pi | ***:*** | ১৫ জুন ২০১৮ ১৯:১৮377420
  • কিন্তু তিতলির পোস্টের প্রথমেই আটকে গেলাম। দুর্গাপুজোর এই নানা থিম মূর্তি আর প্যাণ্ডেল যাঁরা করেন , আর্ট কলেজের ছাত্রট্র, তাঁরা ঠিক আর্টিস্ট নন বা শিল্পীসত্ত বিকিয়ে দিয়েছেন, কম্প্রোমাইজ করেছেন আর পালমশায়ের কাছে শিক্ষানবিশ করা কারিগর যাঁরা সাবেকি প্রতিমা গড়বেন, তাঁরাই প্রকৃত শিল্পী ? তাঁরা চাহিদা অনুযায়ী ঠাকুর গড়বেন না, গড়ে পয়সা নেবেন না ?
  • | ***:*** | ১৫ জুন ২০১৮ ২০:১৬377421
  • এইটা এখানে থাকুক।
  • r2h | ***:*** | ১৫ জুন ২০১৮ ২০:৩৪377422
  • আর্ট কলেজের ছেলে মেয়েরা যে করে কম্মে খাচ্ছে এ আমার মতে খুবই ভালো কথা। আত্মধ্বংসী গরীব উপেক্ষিত শিল্পী রোমান্টিক বটে, কিন্তু, সে তুমি শ্রমিক কিংবা তাধিনধিনা/ পেটে চাই খাবার নয়তো দিন চলে না।

    আইটিতে চাকরী করা আর্ট কলেজের ছেলেমেয়েদের খুবই আনন্দিত দেখি, যা কাজ করতে হয় তা তাদের কাছে মোটামুটি ছেলেখেলা, নিজেদের রেলায় থাকে, নিজেদের ইচ্ছে মত কাজ করে যদি চায়।
    সবাই নিশ্চয় এত সুখে নেই, তবে আমি যে কজনকে দেখেছি আরকি।

    আজকাল তো ঠাকুর গড়াতে আর্ট কলেজের পাশ করাদেরই কদর বেশী।

    নিজের জীবন, ক্যারিয়ার দিয়ে বুঝি, অতি প্রতিভাবান না হলে প্রথাগত কারিকুলাম, প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার বিকল্প হয় না।
    খুব প্রতিভাবানরা কোথাও আটকায় না হয়তো, কিন্তু সে আর ক'জন হয়।

    লেখার উদ্দেশ্য অবশ্য ঠিক এই কাহিনী নির্দিষ্ট নয়, ইঁদুর দৌড় ইত্যাদি সমস্যা তো বটেই।
    সুস্থ প্রতিযোগিতা থাকুক, প্রতিযোগিতা মানে পেছন থেকে ছুরি মারা নয় (আমার সীমিত ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতায় কিন্তু খুব প্রতিযোগী মনোভাবাপন্ন ছাত্র ছাত্রীদেরও ঠিক এরকম দেখিনি, তবে সেসব অন্য দিনকাল ছিল, কে জানে গত পঁচিশ বছরে হয়তো পাল্টে গেছে খুব) সেই বোধটা থাকুক, কার কিসে বিকাশ, আগ্রহ সেটা চিনে নেওয়া হোক, এইতো।

    এইবার শিল্পে আগ্রহ দেখে যদি কোন মা বাবা সন্তানকে পালমশাইয়ের বদলে আর্ট কলেজে পাঠাতে চান, তাতে দোষ দেওয়ার খুব একটাকিছু দেখিনা, জোর করে জয়েট এন্ট্রান্সে না বসানোটাকেই সচেতনতা বলে মনে করবো।
  • π | ১৫ জুন ২০১৮ ২০:৪৩377423
  • একেবারেই।
  • Du | ***:*** | ১৫ জুন ২০১৮ ২০:৫৫377424
  • আন্দ্রেই বোচেলির বাবাও বলেছিলেন বাবা তুমি ডিগ্রীটা করে নাও ঃ)। মানে চুলোয় যাক সম্মান বাড়ানো কিন্তু পুরোপুরি পড়াটা না ছেড়ে দেওয়াই মনে হয় বাস্তবসম্মত।এক্সট্রীম ব্যবহারই অবশ্য এক্সট্রীম পথে যেতে বাধ্য করে।

    কবিতাটা পড়ে খুব কষ্ট হলো।
  • DP | ***:*** | ১৬ জুন ২০১৮ ১৫:৩৯377425
  • "নিজের জীবন, ক্যারিয়ার দিয়ে বুঝি, অতি প্রতিভাবান না হলে প্রথাগত কারিকুলাম, প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার বিকল্প হয় না।
    খুব প্রতিভাবানরা কোথাও আটকায় না হয়তো, কিন্তু সে আর ক'জন হয়।"

    প্রতিভার বিচার করবে কে? প্রতিভাবান মানেই কি তাকে সবাই সমাদর করবে? জীবনানন্দ, কাফকা ইত্যাদীরদের সমাদর বেঁচে থাকতে কেউ করেছিল কি? নিকোলা টেসলা, ড. সুভাষ মুখোপাধ্যায়, এমনকি সত্যেন্দ্রনাথ বসুর নামও করা যায়। প্রথাগত পদ্ধতিতে যাওয়া মানেই তো সেই অন্ের চোখে নিজেকে দেখা। একজন শীল্পী তার সৃষ্টি সম্পর্কে অন্যের মতামত নিয়ে ভাবিত হবেই বা কেন? কোন কিছুর বিচার করতে যাওয়া মানেই তো তাকে কিছুর সাথে তুলনা করা। এখন একটা সৃষ্টির তুলনা হবে কার সাপেক্ষে? আর করবেই বা কে? যার সাপেক্ষে তুলনা করব তাকেই তো তাহলে সুপ্রিম বলে মেনে নিতে হয়।
  • বাঙাল | ***:*** | ১৬ জুন ২০১৮ ১৮:০৪377426
  • প্রথাগত কারিকুলাম বোধহয় ক্ষমতাসীনের লাইনের কারিকুলাম। সে যেভাবে বাকিদের চালাতে চায়। আর কে না জানে যে মসনদের লাইনে চলাই নিরাপদ।
  • r2h | ***:*** | ১৬ জুন ২০১৮ ১৮:৫৪377427
  • হুম। বিচার না হলে তো চমৎকার হয়।

    এখানে অন্যান্যদের ব্যাকগ্রাউন্ড তো জানিনা, কিন্তু আমি তিনবার কলেজ ড্রপ`আউট (ইঞ্জিনিয়ারিং, শিল্পকলা, সাহিত্য, কিছু বাদ দিই নি, উহ)। তো কত ধানে কত চাল হয় মধ্যবিত্ত মিডিওকারের অ্যাডভেঞ্চারে সেই নিয়ে বিস্তারিত অভিজ্ঞতা আছে।

    অবশ্য অভিজ্ঞতা না থাকলে মত দেওয়া যাবে না তা কোন মতেই সত্যি নয়, কিন্তু মতের সপক্ষে যাঁদের নাম আসে তাঁরা জীবৎকালে বা তার পরে হলেও 'প্রথাগত সাফল্য'ই পেয়েছেন, তাঁরা প্রথাগত জ্ঞানচর্চাকেই এগিয়ে নিয়ে গেছেন, সময়ের থেকে এগিয়ে থাকা ও পেশাগত ঈর্ষা ইত্যাদির কারনে কেস খেয়ে গেছেন; তাঁদের উদাহরণ ছাড়া আমরা এমনকি প্রথা ভাঙারও উৎসাহ পাইনাঃ) (হেরে যাওয়া মানুষের টইতে জনগণ লিখবে বলেছিল, তা কেই বা কথা রাখে)।

    অন্যদিকে, জীবনানন্দের ব্যাক্তিগত অ্যাগোনির মধ্যে দিয়ে কাউকে না যেতে হলেই ভালো। ভ্যন গখের যন্ত্রনা বা মাণিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত মৃত্যু - এগুলি আমি চাই না। এতে যদি আমার শিল্প সাহিত্যের অ্যাপেটাইট উপোসী থাকে তবুও চাই না।
    লোকজন হাসিখুশি বেঁচে বর্তে থাকুক। পরের প্রজন্ম তো আরোই।

    এবার এই আকাঙ্খা থেকেই অনেক অভিভাবক বাচ্চাদের আরো যন্ত্রনার দিকে ঠেলে দেন, সেটা ভয়ানক খারাপ, তাঁদের এই অশিক্ষা দূর হওয়া উচিত।

    এইবার কথা হলো আমার কথায় আর কি হবে, সব প্রজন্মেই কিছু বদের বাসা থাকে যারা গুরুজনের কথায় কান দেয় না, আমি নিজে যখন এসব করছিলাম তখন আমাকেও কি আর লোকে না করেনি? তো সেসব ঠিক আছে। কিন্তু এখন রেসপন্সিবল মধ্য বয়সে এইসব পরামর্শ কাউকে দেবোনা, তারপরও পোলাপান অনেক কিছু করবে, অপ্রকাশ্য সস্নেহ প্রশ্রয় থাকবে হয়তো। কিন্তু এসব বড় বিপজ্জনক পথ।
  • r2h | ***:*** | ১৬ জুন ২০১৮ ১৯:৩০377429
  • আর হ্যাঁ, আমি নিরাপদ পথের কথাই বলছি। এই সময়ে অন্তত, নিজে যখন নিরাপদ জায়গাতে আছি, বিপদের পথে কি করে উৎসাহ দিই। চ্যালেঞ্জ নিতে উৎসাহ দেওয়া যায়, কিন্তু নিশ্চিত বিপদের দিকে, নিজে ময়দানে না থাকলে আমি মনে করি, নিরুৎসাহিত না করি, অন্তত বিপদের সম্ভাবনাগুলি জানিয়ে দেওয়া ভালো, বিশেষ করে এটা যেহেতু আমার আবছা রোমান্টিক ইউটোপিয়া নয়, নিজের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাই আছে।

    জীবনপণ ইঁদুর দৌড়, অন্যদের থেকে এগোতেই হবে - এ যেমন একটা অনাকাঙ্খিত চরম, এর উল্টো দিকেও, চরমপন্থা কিছু, আমি ঠিক নিশ্চিত নই।

    একটা প্রস্তুতি তো লাগেই। এবার সেটা পালমশাইয়ের কাছে হলে ভালো। সমস্যা হলো, হওয়ার আগে বোঝা যাবে না হচ্ছে কিনা, আর না হলে, সেটা বোঝা যাওয়ার পর আর কিছু করার থাকবে না।
  • শিবাংশু | ১৭ জুন ২০১৮ ০১:০৪377430
  • জীবনে অর্থকরী সাফল্যের সূচকগুলো খুব প্রতারক। নম্বর বা টাকা। সমানভাবেই অস্পষ্ট ইষ্টদেবতা খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারটা। আর্টকলেজ বা পালমশাই, কারোরই ইষ্টদেবতা হয়ে ওঠার ধক নেই। এই লেখায় হয়তো পালমশাই শ্রমজীবী মানুষের প্লেসহোল্ডার। তাই পবিত্রতর। আর্টকলেজ পরজীবী মধ্যবিত্তের পাপের ভাগী। এদের ইষ্টদেবতা ভেবে বসলে পদে পদে ধাক্কা খেতে হবে।

    r2h ঠিকই বলেছে। এলেমদার লোকেরা নিজেরাই নিজেদের সূচকটা গড়ে নেয়। বাকি মধ্যমেধার দল আজ এর, কাল তার যাপনছাঁচটা নকল করতে করতে ক্লান্ত হয়, ক্ষুব্ধ হয়,ধ্বস্ত হয়। আমরা যে শহরের লোক, সেখানে দেখেছি কতো সহজে লোকে তেলতেলে মুখ, ঘেমো জামা, টিফিনডাব্বা হাতে 'বাবু' থেকে মস্তো গাড়ি চড়া, সোনালি চশমা, বিলিতি সুগন্ধমাখা, সুইজারল্যান্ডে ছুটি কাটাতে যাওয়া 'সাহেব' হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখে। নিজে না পারলে ছেলেমেয়ে আছে। আজকের নম্বর কালকের টাকা। হয়তো সবাই বোঝে প্রতারণার গল্পটি। একেবারেই কঠিন নয় তা। কিন্তু এই 'ভুল' বোঝার 'তৃপ্তি' কত প্রজন্ম ধরে তাদের বার বার বঙ্কিমের কাছে নিয়ে যায়।

    "এই জীবন লইয়া কী করিব?"
  • r2h | ***:*** | ১৭ জুন ২০১৮ ১২:২৭377431
  • লেখিকার অনুমতি নিয়ে এই কবিতাটা তুললাম এখানে-

    দ্বাদশশ্রেণী
    ————
    চিরশ্রী দেবনাথ
    ——————
    জয়েন্টর রেজাল্ট বেরুলে
    কিছু তরুণের মাথা ঝুঁকে যায়
    ঘর অন্ধকার করে তাদের বাবারা বসে থাকে
    বিপর্যস্ত মার্কশীট অজস্র রিংকলস এঁকে দেয় মায়ের চোখের নীচে একরাতেই
    ছেলেটি কিন্তু জানতো কেমিস্ট্রি তার নয়, সে তো অন্য ফুলের মালী
    কিংবা ফিজিক্স, তার কাছে রেখে গেছে শুধু না ভালো লাগার কোচিং ক্লাস
    ম্যাথ ডুবিয়েছে তাকে, আসলে বাজতে চেয়েছিলো অন্য সেতার হৃদয় কেটে
    এই তরুণেরা অসময়ে নির্ভুল ভালোবেসেছিল কাউকে
    হারিয়েছে সময় বাই সাইকেলে আর খাতার পেছনে,
    দ্বাদশশ্রেণী বড়ো ভুল করে, প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসে আনমনে শুধু অ্যাসিড ঢালে ...

    কেয়া দিদিমণি তুমি সবুজ শাড়ি পরে আর এসো না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন