এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • প্রতিভা | 116.203.***.*** | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৬:০৫373979
  • এই ত্যাড়া ব্যাঁকা ছোট ছোট আলুগুলো খেতে দারুণ ভালো। উত্তর বঙ্গের কৃষিজ সম্পদ।

    লালচে ত্বক ওদের, একটু মাখা মাখা স্বাদ। মুখের ভেতরটাকে যেন জড়িয়ে ধরতে চায়, মাখামাখি হয়ে থাকতে চায় জিভ, টাগরা, দাঁতে, আরো কিছুক্ষণ! এগুলো আমার ভাই সংগ্রহ করে দিয়েছে কোচবিহার এয়ার পোর্টের পাশে এমন এক বাজার থেকে, যেখানে দোকানী ক্রেতার ব্যাগে সবজির সঙ্গে রান্নার রেসিপিও ঢুকিয়ে দেয়।

    এই আলুবিক্রেতার নাম অবনী । সে আলু কিনতে গেলে সোৎসাহে বলে, দাদা, বৌদিরে কয়েন আলুগুলারে মাঝখান দিয়া কাইট্যা ত্যালে ভাজতে। তারপর সেই আলুভাজা মসুরির ডাইল দিয়া খান। বা গরম ভাতে একটু ঘি ছিটাইয়া ভাজা দিয়া খান। পুরা একথালা খাইয়া ফ্যালবেন, সারাদিন আইর খাইতে লাগবে না

    আমার ভাই আম্যাজনের মাধ্যমে সাউথ আফ্রিকান ফুলের বীজ আনিয়ে টবে চাষ করেছে। ওদের সেই টবশুদ্ধ ছাদ দুলে দুলে সারাদিন পাহারা দেয় লিকলিকে কতগুলো সুপুরি গাছ। মায়ের ঘরে অনেক রোদ আসে এই সময়, আর কখনো আমের বউলের জান্তব গন্ধ।

    কিন্তু এগুলো দ্রুত ভ্যানিশ হয়ে যাচ্ছে। বনধুঁধুলের গাছে ভরা সব জমি প্লটে ভাগ করে বিক্রি হয়ে গেছে বাড়ি তৈরি হবে বলে।উন্নয়নের ভারে উত্তর বঙ্গের সবুজ ধুঁকছে। অজানা স্টেশনে ভোর ভোর দেখি অজস্র গাছের বিকৃত শবদেহ।

    ব্রাজিলের বিশাল জলপ্রপাত বিক্রি হয়ে যাচ্ছে কোক আর নেসলের কাছে। আজ Arijit Hazraর শেয়ার করা লিনক পড়ে জানলাম। সত্যিই তো পৃথিবীর শেষ গন্ডুষ জল পান হয়ে গেলে, শেষ ফল আর মৎস্য ভক্ষণের পর আমরা মুদ্রারাক্ষসে পরিণত হয়ে কি মুঠো মুঠো মুদ্রা চেবাবো ?
  • pi | 57.29.***.*** | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৭:০৮373981
  • এসবের দিকে তাকানোর সময় কই আমাদের, আর পরিবেশ আর কবে তেমন গুরুত্বপূর্ণ হল! এই শুনছিলাম, গত দশ বছরে ইম্ফল আর মণিপুরের বহু অংশের হাল এই হয়েছে। আর কিস্স্য নাকি নেই!
  • pi | 57.29.***.*** | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৭:০৯373982
  • Aparajita Sengupta লিখেছেন।

    "একই কথা, আবার বলবো, এবং আবার, এবং আবার...(কাল দেখলাম অমর্ত্য সেনের বাড়ির সামনে প্লাস্টিকের স্তূপ পোড়ানো হচ্ছে, গলগল করে ধোঁওয়া উঠছে। নোবেল কেমন হয় চোখে দেখিনি, ধোঁওয়াটা নাকে গলায় জ্বালা ধরায় জানি)...
    যারা যারা ভাবছেন দোলে শান্তিনিকেতন না এলে আপনাদের বসন্ত পরিপূর্ণ হবে না, তাদের উদ্দেশ্যে কিছু অযাচিত অনুরোধ করতে চাই। আপনাদের উপস্থিতি নিশ্চয়ই কিছু মানুষের রুজি নিশ্চিত করে, কিন্তু আপনারা যখন প্রচুর প্লাস্টিক এবং গাড়ির ধোঁওয়া ছড়িয়ে ফিরে যান, তখন বেশ কিছুদিন এই ছোট শহরটি বিড়ম্বিত হয়ে থাকে। শান্তিনিকেতনে কোন municipal waste removal system নেই। ফলে যাবতীয় প্লাস্টিক পুড়িয়ে, বিষাক্ত dioxin gas চারদিকে ছড়িয়ে এর প্রতিকার হয় (বা হয় না, কারণ বায়ুমণ্ডলে কোনও চিমনি নেই, যা পোড়ে, তাতেই আমরা নিঃশ্বাস নিয়ে থাকি)। যদি মানুষের রোজগারই এই উৎসবগুলির মূল উদ্দেশ্য হয়, তবে কিছু অভ্যেস বদলানর কথা ভাবতে পারেন। যা প্লাস্টিক নিয়ে আসছেন, সেটা ফিরিয়ে নিয়ে যান। এখানে প্লাস্টিক কিনবেন না। জল সঙ্গে নিয়ে বেড়বেন। পেপসির বদলে ডাবের জল খেতে পারেন (সামান্য দামি হতে পারে, কিন্তু আপনি তো রুজি নিশ্চিত করতেই এসেছেন! আর এতে গরিব ছোট ব্যবসায়ী টাকা পাবে, পেপসিকোর বদলে), প্লাস্টিকের কাপে চা একেবারেই না খেতে পারেন। হাঁটতে, সাইকেল চড়তে, বা রিকশা চড়তে পারেন। টোটো সামান্য দূষণ কম করলেও, বিদ্যুৎ তৈরি করতে কোথাও না কোথাও কয়লা পুড়ছে মনে রাখবেন। আর অবশ্যই, শহরের আয়তন অনুপাতে অত্যাচার এখানে এতো বেশি হয়ে পড়ছে, যে সম্ভব হলে অন্য কোথাও যেতে পারেন। কে জানে নিজের নিজের পরিবেশের দিকে আমরা তাকালে হয়ত বসন্ত কলকাতাতেও আসবে! লাগাবেন নাকি কয়েকটা পলাশ আপনার বাড়ির সামনের ফুটপাথে এবার বর্ষায়? একদিন হয়ত আপনার নাতনিকে বসন্ত দেখতে এতদূর আসতে হবে না!"

    *ছবিটি কয়েক সপ্তাহ আগে সুন্দরবনে ঝিঙ্গেখালি বিটের কাছে তোলা। খুঁটিয়ে দেখুন, গাছের গায়ে ওগুলি প্লাস্টিক আবর্জনা। ভাঁটায় জল নেমে যাবার পর আটকে রয়েছে। এ হল সুন্দরবনের দুর্গম বাফার এরিয়া। এর থেকে ভেতরে পর্যটকদের যাবার নিয়ম নেই। তবে প্লাস্টিকের ক্ষেত্রে সে নিষেধ নেই, তারা জোয়ারে ভেসে ভেসে কোর এরিয়ায় চলে যায়।
  • প্রতিভা | 213.163.***.*** | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৭:৪৭373983
  • শিলং থেকে চেরাপুঞ্জির রাস্তায় বেশিরভাগ পাহাড়ে চলে র‍্যাট হোল মাইনিং। ধবধবে নরম বালির জন্য মূলত। দূর থেকে দেখলে পাহাড় ঠিকঠাক দাঁড়িয়ে, কাছে যাও, পাহাড়ের ভেতরে অজস্র ইঁদুর-সুড়ঙ্গ। স্যান্ডস্টোন পাহাড়ে আঙুল বসে যায় নরম বালির দেওয়ালে। এ ক্লাস। বড়লোকের প্রাসাদ তৈরি হবে তো। ভেতরের মাল সব খুঁড়ে নিয়ে গেছে।
    ফাঁপা পাহাড়গুলো দাঁড়িয়ে। তবে বেশিদিন নেই। একটা ভূমিকম্প হোক। হুড়মুড়িয়ে ধ্বস নামবে। আর পাহাড় তো অন্তঃসলিলা। ঝোড়া ছিল, বা প্রপাত। সেই জল ফাঁপা ছাদ থেকে চুইয়ে চুইয়ে পড়েই যাচ্ছে। ঠিক মনে হয় কাঁদছে।
    মুকুল সাংমা গেল কি মলো, তাতে এ পরিস্থিতি পাল্টাবে না। বিশাল লুঠ চলছে উন্নয়নের বাহানায়।
    মার্কসবাদীদের আবার পরিবেশ নিয়ে ভাবতে মানা নাকি। এতো লোক খেয়েপড়ে বাঁচছে, এই যারা বালি সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত। অতএব...
  • শেসে | 52.***.*** | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৮:০০373984
  • যে শহরে ঘুরতে গিয়ে আপনি জলপাই আলুর স্বাদে মুগ্ধ হলেন, সেই শহরটা ছিল আমার বেড়ে ওঠার সময়ের চারণভূমি | প্রায় একান্ন বছর আগে শহরটা ছেড়ে কলকাতায় চলে এসেছি, কিন্তু এক অমোঘ টানে সুযোগ পেলেই বার বার ছুটে যাই শহরটার মাটির ঘ্রাণ নিতে, শৈশব ও কৈশোরের সাথীদের সাথে জমিয়ে আড্ডা দিতে | কিন্তু প্রতিবারই ফিরে আসি একবুক বিষণ্ণতা নিয়ে | আগের সেই ছোট্ট অথচ সবুজে মোড়া শহরটা আকারে অনেক বেড়েছে | টিনের চালের ঘরদোরের জায়গায় বহুতল মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, রাস্তার পাশের বাতিস্তগুলোতে টিমটিমে আলোর পরিবর্তে সোডিয়াম ভেপার কিংবা হ্যালোজেন বাতির ছড়াছড়ি | কিন্তু হারিয়ে গেছে কুচবিহার ক্লাবের খেলার মাঠটা যেখানে বর্ষাকালে কাদার মধ্যে ফুটবল খেলা সাঙ্গ হলে মনের আনন্দে ঝাঁপ দিতাম লাগোয়া বৈরাগী দীঘিতে | ঐ দীঘিতেই আমার সাঁতার শেখা কিংবা ছিপ ফেলে মাছ ধরার অনাবিল আনন্দ উপভোগ | আর খেলার মাঠটায় তো এখন রীতিমত বাজার বসে | একসময় ঐ ছোট্ট শহরটা দীঘি আর পুকুরে মোড়া ছিল | আমাদের স্কুল যাওয়ার রাস্তার একপাশ জুড়ে ছিল বড় বড় কাঁঠালগাছ | উন্নয়নের জাদুকাঠিতে রাস্তা আগের চেয়ে অনেকটাই চওড়া হয়েছে (ফলতঃ কাঁঠাল গাছেরা উধাউ) | হতশ্রী রূপ তার আর নেই, ম্যাস্টিক অ্যাসফল্টে সে সর্বাঙ্গ মুড়ে নিয়েছে | ক্রমবর্ধমান জনভারে আর প্রোমোটারদের বিষাক্ত নিঃশ্বাসে শহরে ফাঁকা জমি নেই বললেই চলে | আমার শৈশব ও কৈশোরর সেই প্রিয় শহরটার এই রূপ দেখে যদিও কষ্ট পাই তবুও সুযোগ পেলেই ফিরে যাই তার কাছে ঐ দলপাই আলু, বরৌলি মাছের স্বাদ নিতে আর ওখানকার মানুষজনের অকৃত্রিম ভালবাসার স্পর্শ পেতে |
  • রুকু | 212.142.***.*** | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৮:৪৫373985
  • অপরাজিতার প্রয়াস সত্যিই ভালো লাগে আমার
  • প্রতিভা | 213.163.***.*** | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৪:২৯373986
  • শেসে ঠিকই বলেছেন। ওখানে মানুষ জন খুব সরল ও ভালো। পরিবেশের প্রভাব চরিত্রের ওপর!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন