এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মাধবীলতা-রাজকন্যা এবং সমানাধিকার

    Titli Pramanik লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ১৮ মার্চ ২০১৮ | ২৯৩৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Titli Pramanik | ১৮ মার্চ ২০১৮ ০৯:১৩372977
  • আমার বন্ধুদের মধ্যে সবার আগে চাকরি পেয়েছিল আকাশ, সঙ্গে জবরদস্ত প্রেমিকা অনুভা। বিন্দাস মেয়ে; অনাদির মোগলাই মোজিতো দিয়ে খায়, - নলবনে বসে নবারুণ পড়ে আর হেব্বি গান গায়। সব মিলিয়ে হান্ড্রেড পার্সেন্ট স্বপ্নের নায়িকা। দুই বাড়ির মধ্যে অবাধ গতিবিধি মানে পুরো হাম আপকে হ্যায় কৌন কেস। এমনই এক ফাল্গুনের বিকেলে সপরিবার অনুভার সাথে বসে আকাশ যখন মাংসের চপ সাটাচ্ছে অনুভার বাবা হঠাত জিজ্ঞাসা করলেন -
    “অনুভা কে কি খাওয়াবে ঠিক করেছ?”
    মাংসের চপে ধনে পাতার চাটনি মাখাতে মাখাতে আকাশ বলল -
    “বিরিয়ানি বলে দি কাকু, আর তুমি আর কাকিমা কি খাবে?”
    - “সে তো সামনের বছর হবে”
    - “কেন? বিরিয়ানি এক্সপ্রেস উঠে গেল নাকি?”
    - “না কালই তো খাওয়ালে, মাসে পঁচিশ হাজার পেলে বছরে একবারই বিরিয়ানি হয়!”
    চার দুগুনে আট খানা সেমিস্টার ভাইভা দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা আকাশ বুঝলো তার অনুপম খের এর মত হবু শ্বশুর ওমপুরী হয়ে সারপ্রাইজ টেস্ট নিচ্ছেন।
    - “কাকু আর একটা বছর অপেক্ষা কর। অনুভা একটা চাকরি পেয়ে গেলেই দেখবে মাইনে পঞ্চাশ।
    - “মানে তুমি অনু কে খাওয়াতে পারবে না তো”
    আধখাওয়া মাংসের চপ হাতে আকাশের মনে হল অনুভার বাবা অধ্যাপক না হয়ে অ্যাকশন মুভির ডিরেক্টর হতে পারতেন। দিব্যি পারিবারিক আড্ডা চলছিল হঠাত গ্যাংস অফ ওয়াসিপুরের মত এনকাউন্টার শুরু হয়ে গেল। যাই হোক ওমপুরী পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন স্যালারি পঞ্চাশ না হলে সিমরনকে তিনি ট্রেনের পেছনে ছুটতে দেবেন না আর অনুভার সন্ধ্যা রায়ের মত মা অনামিকা সাহার মত মুখ করে বললেন মেয়ের জন্য তিনি শিবের মত বর আনবেন।
    তবে আকাশও জানে – প্রেমিকা তার মাধবীলতা। অনিমেষের কনফিডেন্স আর নবারুণের তেজ নিয়ে সোওওজা অনুভা কে প্রশ্ন করলো –
    “অনু তোর কি মত?”
    - “বাপি তো ঠিকই বলছে রে, হয়ত একটু কড়া করে বলছে কিন্তু পঁচিশ হাজারে কিইবা হয়!”
    শালা ধনেখালি থেকে পুরো জার্দৌসী! এত পিসির ভাইঝি! আকাশের মনে হলো কালই অনুভা বলছিল কবিতা দিয়ে ভাত খেলে নাকি লবনও লাগে না!
    তাও আকাশ বলল -
    “দুজনে চাকরি করব দিব্ব্যি চলে যাবে”
    - “অনু আমার একমাত্র রাজকন্যা” ওমপুরীর কথা শুনে রাতারাতি মাধবীলতা রাজ চক্রবর্তীর নায়িকা হয়ে লাজুক হাসলো।
    - “আচ্ছা কাকু দু বছর সময় দাও, কথা দিলাম অনুকে রাজকন্যার মত রাখব”
    গোফের আড়ালে ঝিলিক খেলে গেল। মোগাম্বো খুশ হলেন –
    “এই তো পুরুষ মানুষের মত কথা। তবে রান্নার লোক মাস্ট। অনু কিন্ত রাধতে পারে না।”
    জানি কাকু, কোনো চিন্তা কোরো না। কিরে অনু থাকবি তো রাজকন্যা হয়ে?”
    রাজ চক্রবর্তী থেকে সৃজিত মুখুজ্যে তে উত্তীর্ণ হয়ে নায়িকা বলল
    - “আমি জানতাম তুই হেরে যাবি না”
    হরনাথ চক্রবর্তীর সিনেমার শেষ পাঁচ মিনিট চলছে অনামিকা সাহা আর ওমপুরী আবার সন্ধ্যা রায় আর অনুপম খের হয়ে গেছেন, সব দেখে আকাশ বলল -
    “তবে কাকু কয়েকটা কথা একটু ক্লিয়ারলি বলে নিতে চাই -
    প্রথমত, বিয়ের পর অনুভা কোথাও একা বেরোতে পারবে না, সবসময় সঙ্গে কেউ না কেউ থাকবে, দ্বিতীয়ত চাকরি করা চলবে না তবে পারিবারিক ব্যবসার অংশীদার নিশ্চই হতে পারে, তৃতীয়ত সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো একাউন্ট রাখা চলবে না। বাকি আরো তিন-চারটে পয়েন্ট আছে পরে মনে করে বলব।”
    “কিইই!”
    “এত জোরে চেঁচাসনা অনু জানলার কাঁচ ফেটে যাবে! খোঁজ নিয়ে দেখ রাজস্থান থেকে লন্ডন সব জায়গার রাজকন্যারাই এই নিয়মগুলোর মধ্যে থাকে। তুই রাজকন্যা হবি ত পুরোদমে রাজকন্যা হ”
    - “আশ্চর্য অনু কি তোমার হাতের পুতুল চাকরি করবে না একা বেরোবে না কি ভাবছ নিজেকে?” আকাশের হঠাত মনে পড়ল সন্ধ্যা রায় ইলেকশনেও দাড়িয়েছিলেন।
    - “ওসব ত আধুনিক স্বাবলম্বী মেয়েরা করে কাকিমা”
    - “আমার মেয়ে কি গাইয়া?”
    - “আমি এভাবে বলিনি কাকিমা। গাইয়া মেয়েরা তো ধান রুয়ে এসে রান্না করেন, ওটা অনু পারবে না”
    - “তুই যে এতটা মেল শভিনিস্ট আমি জানতাম না”
    - “শোন অনু মুকুট মাথায় মিছিলে হাঁটা যায় না। তোরা সব ব্যাপারে সমানাধিকার চাস অথচ বিয়ের কথা উঠলেই কি নির্লজ্জ ভাবে পরনির্ভরশীল হয়ে উঠিস। বেশ মানলাম তাই তোর পছন্দ। তবে সমানাধিকার আর স্বাধীনতা দাবি করিস না। তুই ডাল-ভাত রান্না করতে পারিস না কিন্ত জয়েন্ট বানাতে পারিস, আজ অবধি পাড়াপ্রতিবেশির বিপদে রাত জাগিস নি কিন্তু পাজামা পার্টি করিস। আমিও মাস্টার শেফ নই তবে হোস্টেলের লেভেলে রাধতে পারি। কিন্তু পারি।
    যদি অধিকার চাস তবে দায়িত্বও নিতে হবে। তুই চাকরি করবি আমি ঘর সামলাবো কিংবা উল্টোটা কিংবা দুজনেই চাকরি করব, বল রাজি? জানি পারবি না। তোর সামাজিক সম্মান-ইগো আর আলস্যে বাধবে। অনেক তো নায়িকা হলি এবার একটু গাইয়া হ। যে মেয়েটা সেলাই মেশিন চালিয়ে রোজগার করে পারলে তার মত হ। সম্মান চেয়ে পাওয়া যায় না অনু অর্জন করতে হয়। চলি রে, রাজকন্যা হবি তো জানাস; তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি ঘুটেকুড়ুনিদেরই ভালোবাসি।”

    ঘটনাসহ সব চরিত্র কাল্পনিক। তবে বাস্তবে আকাশরা হেরে যায়। কখনো সাধের গ্রুপ থিয়েটার ছেড়ে দিয়ে কখনো শেয়ার মার্কেটে নেমে আবার কখনো বা উদয়স্ত পরিশ্রম করে নিজেকে প্রমাণ হয়ত করে কিন্ত আকরিকটা পরিবর্তিত হয়ে যায়। ছেড়ে চলে যায় গান-কবিতা-বিপ্লব আর হ্যাঁ সহধর্মিনীকে সম্মানের ইচ্ছেটা।

    (আমার ইচ্ছাসত্বেও বাংলা ফন্টে অনেক বানান সঠিক লিখতে পারিনি, মার্জনা করবেন)

    - তিতলি
  • রৌহিন | 37.63.***.*** | ১৮ মার্চ ২০১৮ ১২:৩২372988
  • এই তো লেখাটা - খুব ভাল। এবং লেখাটার বিষয়ে - সাম্প্রতিককালে অনেক নামকরা ছোটগল্পের চেয়ে বেশী ভাল লাগল। স্পষ্ট এবং সুচিন্তিত বক্তব্য। কাহিনীর মূল সসুরের সাথে সুন্দর রিলেট করতে পারলাম। লেখককে অনেক ধন্যবাদ
  • sswarnendu | 41.164.***.*** | ১৮ মার্চ ২০১৮ ২০:১১372999
  • হ্যাঁ, সেইটা দেখে বেশ অবাকই হলাম। এই লেখাটা নিয়ে এত আলোচনা ও তর্ক দেখে।

    লিফলেটের লেখাও এর চেয়ে কম খাজা হয়। যা বক্তব্য গল্প-টল্প দিয়ে মোড়ার চেষ্টা না করে এমনি প্রবন্ধ লিখলে তবু আলোচনার থাকত হয়ত।

    যে বসে বসে আগের দিন বিরিয়ানি খাওয়াচ্ছিল ও সেদিনও মাংসের চপে ধনেপাতার চাটনি মাখাচ্ছিল তার হঠাৎ "ব্যক্তিগতভাবে আমি ঘুটেকুড়ুনিদেরই ভালোবাসি" পড়ে হাসব না কাঁদব বুঝে উঠতে পারলাম না। আসলে উচ্চমধ্যবিত্তের অ্যাস্পিরেশন জিনিসটাই এমন, শুধুই বুলি। তাই জীবনের সাথে জীবনবোধের তুমুল বৈপরীত্য নজরে পড়ে না কখনোই। দামী স্কচ নিয়ে সাজানো লিভিং রুমে বসে সশস্ত্র বিপ্লবের স্বপক্ষে জোর তর্ক করে :)

    এ তো গেল গল্পের মোড়কটার কথা, যাতে সিনেমার ভাষায় যাকে 'ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট' বলে সেইতে কিস্যু হয়নি, তাই প্রোটাগনিস্ট ক্যারেক্টারটা ক্যারেক্টার না হয়ে ক্যারিকেচার হয়েছে --- কিন্তু অ্যাজেন্ডা হিসেবেও বহু বক্তব্য আছে। কিন্তু আবারো, প্রবন্ধ লিখলে হয়ত সে নিয়ে আলোচনা করা যেত যে কেন কারোর অর্থনৈতিক পরনির্ভরতা থাকলেই তার স্বাধীনতার দাবী হাস্যকর হয়ে যায় না, কেন এমনকি 'পটের বিবি' গৃহবধূদের ক্ষেত্রেও একটা পরিমাণে hidden labor থেকেই যায়, যাকে আজকের সমাজ এমনিই downplay করে, এসব লেখা লিখে আরও তাইতে ধুনো না দিলেও চলত ইত্যাদি প্রভৃতি।
  • রিভু | 117.***.*** | ১৮ মার্চ ২০১৮ ২০:৫৩373000
  • "কেন কারোর অর্থনৈতিক পরনির্ভরতা থাকলেই তার স্বাধীনতার দাবী হাস্যকর হয়ে যায় না, কেন এমনকি 'পটের বিবি' গৃহবধূদের ক্ষেত্রেও একটা পরিমাণে hidden labor থেকেই যায়, যাকে আজকের সমাজ এমনিই downplay করে" এইটার সাথে সহমত। এ নিয়ে বিস্তর কথা বার্তা হয়েছে এখানে আগে।
  • r2h | 132.167.***.*** | ১৮ মার্চ ২০১৮ ২১:০৭373002
  • দ্বিতীয় লিংক প্রথম পাতা থেকে পড়তে হবে, ওপরে 'এই সুতোর পাতাগুলি'তে ১ এ ক্লিক করে।
  • | 116.2.***.*** | ১৯ মার্চ ২০১৮ ১২:৫৭373003
  • লেখাটা একেবারেই পোষাল না।

    কিন্তু হিডেন এফোর্ট স্বীকৃতি না পওয়া সম্পর্কে , 'ঘরকন্যাদের বেতনক্রম' বেশী অ্যাপট হয় না? অবশ্য শ্যামাপোকার অন্য কোন উদ্দেশ্য থাকতে পারে যা আমি আমি বুঝিনি।
  • pi | 57.29.***.*** | ১৯ মার্চ ২০১৮ ১৩:২১373004
  • এই লেখা প্রসঙ্গে হিডন এফর্ট আসছে কোন দিক দিয়ে? মানে আমার কাছে ক্লিয়ার না। যেমন এটাও ক্লিয়ার না, প্রেম করার সময় আকাশ চাকরি পেয়েছিল, তো অনুভা তখন নিজের চাকরি করা বিষয়ে কী বলেছিল? মানে ও যে চাকরি করবেনা, সেটা এই অমরীশ পুরী বলার আগে জানা যায়নি?
  • R2h | 233.186.***.*** | ১৯ মার্চ ২০১৮ ১৩:৫৪372978
  • ও, না, আমি হিডেন এফর্ট এসব ভাবিইনি, প্রবল মিনিময় প্রসঙ্গে প্রথমেই শ্যামাপোকা মনে হলো, স্বাবলম্বন চাকরী এইসবও ছিল ওখানে তাই।

    এই লেখাতে, মাইনের খোঁটা দিচ্ছিল তাই ছেলেটি দু’কথা শুনিয়ে দিয়ে এসেছে, বেশ হয়েছে এই ভাবলাম, এসব জিনিস নিজেরা কথা বলে সিদ্ধান্ত নিলেই হয়, আদারোয়াইজ সানি ইত্যাদি বিষয়ে কোন বক্তব্যই নেই।
  • sswarnendu | 41.164.***.*** | ১৯ মার্চ ২০১৮ ১৪:০৩372979
  • পাই,

    "খোঁজ নিয়ে দেখ রাজস্থান থেকে লন্ডন সব জায়গার রাজকন্যারাই এই নিয়মগুলোর মধ্যে থাকে| তুই রাজকন্যা হবি ত পুরোদমে রাজকন্যা হ|”
    এই লাইনে কি বলতে চাওয়া হল মনে হল তোমার পাই?
    হ্যাঁ, একটা গল্পে কি বলতে চাওয়া হল নিয়ে তার পলিটিকাল কারেক্টনেস নিয়ে মাথা ঘামাতে হবেই এমন কিছুর আমি পক্ষপাতী নই, কিন্তু এইটা গল্প তো হয়নি বলেই আমার মনে হয়েছে। কেন সেটা লিখেওছি। যা হয়েছে সেইটা খাজা লিফলেট, যাতে অ্যাজেন্ডাটা ভীষণ মোটাদাগের ভঙ্গিতেই বলা হয়েছে। তো লিফলেটের বক্তব্য সম্পর্কে আলোচনা তো হয়ই।

    আমি ওই লাইনে বুঝলাম যে 'পটের বিবি' ( 'রাজকন্যে' র বদলে অন্য শব্দ ব্যবহার করলাম মাত্র ) হয়ে থাকতে চাইলে স্বাধীনতার দাবী করা যায়না। তার যুক্তি হিসেবে দাবী করা হল রাজস্থান থেকে লন্ডন সর্বত্র তাইই হয়। আমার মনে হয় এরপর মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।

    এইটা নিয়ে আলোচনার ইচ্ছে বিশেষ ছিল না, এখনো খুব নেই। কিন্তু তবু তোমার কি মনে হয়েছে তুমি যদি লেখ আমিও বোঝাতে চেষ্টা করব কেন হার্শ কথাগুলো লিখলাম।
  • pi | 57.29.***.*** | ১৯ মার্চ ২০১৮ ১৫:৩৮372980
  • আরে আগের পোস্টের পরেই লিখতে লিক্গতে ফোন গেল। পুরোপোস্ট জলে।
    স্বাধীনতার জায়গাটা আমার খুব গোলমেলে লেগেছে, পরে লিখছি।
  • kaktarua | 106.45.***.*** | ১৯ মার্চ ২০১৮ ২০:৩৮372981
  • এহেম একখানি কতা ছেল. তা অমন বিয়ের আগে আগে সব ছেলে মেয়েরাই একটু রাজপুত্তর, রাজকন্যা হয়ে যায়. ময়দানে ঘাস খেতে খেতে অনেক ছেলেই আকাশের চাঁদ তারা পেরে নিয়ে আসে আর অনেক মেয়েই বলে থাকে " আমি না কাজ টাজ কিছু করবো না জানতো, শুধুই ভালোবাসবো আর ভালোবাসবো " ইত্যাদি, প্রভৃতি। সেসব শুনতে জনগণের সেই সময় ভালো লাগে বলেই জানা ছিল। সিনেমা থেটারে সেরকম ই দেখিয়ে থাকে। তবে বিয়ে টিয়ে মিটে যাওয়ার পর কোনো মেয়ে হেঁশেল একদম কোনোদিন না ঠেলে পার পেয়েছে বলে তো শুনিনি তা সে যতবড় বাবার ই রাজকন্যে হন না কেন. মেয়েরাও সে নিজের টাকাই হোক আর বরের টাকা হিসেবে কষতে লেগে যায়. রাধুনিকে মাসের শেষে ২০০০ টাকা দিলে (লুরু হলে ৫০০০-৭০০০ যা খুশি হতে পারে) ফেসিয়াল টা মিস হয়ে যাবে বা ব্যাংকক এ বেড়ানোর প্ল্যান টা বানচাল হয়ে যেতে পারে। তখন লোকজন রাঁধুনি, কেয়ারটেকার, janitor মায় চাকুরিরতা মহিলা সব বনে যেতে পারে। বিয়ের আগে মেয়ে, ছেলে আর মেয়ের বাপের বাওয়াল এ বেশি কান না দেওয়াই ভালো। আমার বাবাও ওই একই ডায়ালগ ঝেড়েছিলো। রান্না করতে ভীষণ বাজে লাগলেও শিখতে ২ হপ্তা লেগেছিলো। তারপর আরি বাপ্ !!! ভাগ্যিস চাকরি টা ছিল. অফিস পৌঁছে তবে একটু দম ফেলার, facebook টা একটু খোলার টাইম পেতাম। বেঁচে থাক চাকরি, আল্লাদ করে বাড়ি থাকলে এতদিনে হার মাস সব এক হয়ে যেত।
  • Titli Pramanik | ২০ মার্চ ২০১৮ ০২:২০372982
  • ধন্যবাদ রৌহিন
  • Titli Pramanik | ২০ মার্চ ২০১৮ ০২:৩০372983
  • পাই ,
    অনুভা চাকরি করতেই পারে কিন্তু সংসার চালানোর সমান দায়িত্ব পাশ কাটিয়ে যেতে চায় | যদিও সংসার দুজনের কিন্তু ওমরীশ পুরি কাঙ্খিত বেতন পাওয়ার দায়িত্ব একা আকাশের | সমস্যাটি হলো আধুনিক হওয়ার ইচ্ছায় বা চাপে অনেক সময়ই সম্পর্কের শুরুতে প্রেমিক অথবা প্রেমিকা অথবা দুজনেই বিশেষ ধরনের মানসিকতা দেখালেও পরে জটিল পরিস্থিতি তে আসল "আমি" টা প্রকাশ পেয়ে যায়|
  • S | 194.167.***.*** | ২০ মার্চ ২০১৮ ০৯:৪১372984
  • বিয়ে সংক্রান্ত সব সমস্যার একটাই ইসে মানে সলিউশন। বিয়ে ব্যাপারটাই উঠিয়ে দেওয়া উচিৎ। আর বিয়ে টিয়ে করা চলবে না। ইল্লিগাল। কেউ করলে কোর্ট গুছিয়ে গাল পেরে ছাড়াছাড়ি করিয়ে দেবে।
  • de | 69.185.***.*** | ২০ মার্চ ২০১৮ ১১:১৬372985
  • আমিও বিয়ে উঠিয়ে দেবার পক্ষে - এতো হ্যাপার কোন মানে হয় না - একটা ওভারহাইপড ব্যাপার -ঃ)
    এই শ্যামাপোকা ফিলিয়াটা বেশ - সব টইতে, সব বিতর্কে এটা টেনে আনাটাও বেশ মজাদার!

    তিতলির কন্সার্নটা বোঝা গেছে লেখাটায় - তবে কিনা স্বাধীনতার ধারণা যার যার কাছে তার তার মতো, সেটাকেও অন্য কেউ ডিফাইন করে দিলে ভাল্লাগে না-
  • Titli Pramanik | ২১ মার্চ ২০১৮ ০১:৪৪372986
  • বিয়ে উঠিয়ে দেওয়ার পক্ষে আমিও | মেজাজ- সময়-সম্পর্ক-টাকা- অনেক কিছুই বহাল তবিয়তে দীর্ঘজীবি হবে |
  • Atoz | 161.14.***.*** | ২১ মার্চ ২০১৮ ০২:০১372987
  • উকিলেরা পুলিশেরা ইত্যাদিরা চাইবে না। কর্পোরেট জগত ও চাইবে না। বিয়ের মতন ইন্ডাস্ট্রি আর কটা? এক তো অনুষ্ঠানেই অজস্র ব্যবসা সম্ভাবনা, সাজপোশাক খাবার যৌতুক নাচগান ভিডিও তোলাইত্যাদি ইত্যাদি, তারপরে আছে পরবর্তীকালের ডিভোর্স সম্ভাবনা ও আরো নানা ঝামেলার সম্ভাবনা যা আরো বিপুল বিজনেস দেবে। ঃ-) এ জিনিস লোপ পেলে বিশাল লস।
  • rabaahuta | 132.167.***.*** | ২১ মার্চ ২০১৮ ০২:২২372989
  • দেদি, শ্যামাপোকাফিলিয়ার ব্যাপারটা কি? আর কোন কোন বিতর্কে এটা টেনে আনা হয়েছে? মানে, বেশ নিয়মিতই গুরুতে আসি কিনা, খুব বেশী বিতর্কে এতা টেনে আনা তো মনে করতে পারছিনা, তাই জিজ্ঞেস করলাম, আর যেহেতু আমিই এনেছি।
    সোজাসুজিই বললামঃ)
  • S | 202.156.***.*** | ২১ মার্চ ২০১৮ ০৪:৫৬372990
  • দেখুন বিয়ের মুলতঃ দুটো সামাজিক উপকারিতা আছে।

    ১) বিয়ে করলে এটা এক্সপেক্টেড যে লোকে একটু মানে ভদ্র হয়ে থাকবে। আসল মানেটা তো বুঝতেই পারছেন। মানে জিন্দেগি একটু কমই এন্ঝয় করবে আরকি। তাতে সোসাইটিকে কন্ট্রোল করতে সুবিধা হয়। তা সেগুড়ে তো বালি। যেসব দেশে বিবাহ বিচ্ছেদ কম সেখানে ডোমেস্টিক সমস্যাগুলো বেশি, আর যেসব দেশে বিচ্ছেদ বেশি সেখানে তো বিয়েই থাকছে না। অতেব। লিন্ক বা কোনও পাবলিশড পেপার না দেখে নিজের মনের ডাকে সারা দিয়ে লিখলাম।

    ২) সেকেন্ড হলো রাষ্ট্র চায় বিয়ে হোক। তাইলে বাচ্চা হবে, মানুষ হবে। নেক্স্ট জেনারেশন লেবার তৈরী হবে। তারা ইকনমিক অ্যাক্টিভিটি করবে। সরকার ট্যাক্সো পাবে। আর তাছাড়া সৈনীক হয়ে সীমান্তে দাঁড়িয়ে পা ব্যাথা করে দেশকে পাহাড়া দেবে। কিন্তু কে না জানে বিয়ের হওয়ার সঙ্গে বাচ্চা হওয়ার কোনও সম্পক্কই নেই। অতেব।

    আসল ক্ষতি হবে রোবিন্দোনাথের। উনার লেখা ন্যাকামার্কা কবতে আর গানগুলো স্রেফ আউটডেটেড হয়ে যাবে। লোকে আর স্যাড সঙ্গ গাইবেনা। আর সুইসাইড রেটও কমবে।
  • Atoz | 161.14.***.*** | ২১ মার্চ ২০১৮ ০৫:০৪372991
  • নৈরাজ্যদার স্বপ্নের সেই নৈরাজ্য ধরুন এসে গেল। তখন তো আর বিয়ে ফিয়ে দূরের কথা টাকা কড়িও থাকবে না, উকিল ফুকিল সব লোপ পাবে। পুলিশও থাকবে বলে মনে হয় না। সেই সময়ে ও দেখবেন লোকে রবিদাদুর গান গাইছে ঝাড়া হাতপা হয়ে। ওরকম "মরি মরি এ কী অপূর্ব " ভাব হল জাতির নিজস্ব বৈশিষ্ট, ও কি যাবার? ঃ-)
  • Atoz | 161.14.***.*** | ২১ মার্চ ২০১৮ ০৫:০৭372992
  • তারপরে ধরুন এইসব মেগা সিরিয়াল , চলছে তো চলছেই বিয়ে ডিভোর্স আবার বিয়ে আবার ডিভোর্স , সিমপল হারমোনিক মোশনের মতন একটার পর আর একটা চলছে। এই জিনিস কি হত বিয়ে না থাকলে? ঃ-)
  • S | 202.156.***.*** | ২১ মার্চ ২০১৮ ০৫:০৯372993
  • আমার একটা দুস্টু কথা মনে এসেছে। কিন্তু কইবো না। আমি না ভদ্দরলোক।
  • aka | 79.73.***.*** | ২১ মার্চ ২০১৮ ০৭:২২372994
  • এই তো তিতলি বেশ খাসা গপ্পো লিখেছে। এমনটাও তো হয়। সেটা অ্যাকনলেজ করলেই হল। সব্দিকেই এক্সট্রিম আছে। সবই বউয়ের দায়িত্ব, অন্যদিকে সবই বরের দায়িত্ব। পরশুরামের গপ্পো ছিল তো।
  • pi | 57.29.***.*** | ২১ মার্চ ২০১৮ ০৭:৫৮372995
  • দুস্টু নিক দিয়ে লিখে ফেলুন!
  • S | 194.167.***.*** | ২১ মার্চ ২০১৮ ০৮:১২372996
  • বলছিলাম যে বিয়ে ডিভোর্স ছাড়া কি আর সিম্পল হারমোনিক মোশন দেখানো যায়্না? কত্ত কিছু আছে জগতে। সেইসব নিয়ে সিরিয়াল করলেই হয়।
  • avi | 57.***.*** | ২১ মার্চ ২০১৮ ০৮:৫৩372997
  • গুরুর হীরাভ টই নিয়ে একটা সিরিয়াল বানাতে পারেন তো। পেন্ডুলাম মোশন আছে, বছরের পর বছর চলার পোটেন্সিয়াল আছে, মূল সুর বাঁধা থাকলেও নিত্যনতুন থ্রিল আছে, প্রগতির বুলি আছে, ঠাকুমার ঝুলি আছে... আর ছাগল হায়না নেকড়ে ভরা চিড়িয়াখানা আছে - বাচ্চাদের নিয়ে দেখা যাবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন