এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ওড়না পরে এলে তবে প্রাইজ

    Parvej Khan লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ০২ অক্টোবর ২০১৭ | ২৯৩৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Parvej Khan | ০২ অক্টোবর ২০১৭ ০৯:২০368763
  • শেষ উনিশ বছর ধরে মোটামুটি মহরম কে মহরম হিসেবে জেনে মহরম উদযাপন দেখছি এলাকায়।বেসিক্যালি আমি প্রচন্ড লাজুক এবং ভীতু প্রকৃতির মানুষ প্রথম থেকেই।তখন ক্লাস 'টু' প্রথমবার দেখেছিলাম বাড়ির থেকে একটু দূরে একটা মাঠের খালি যায়গায়,যেখানে সবুজ ঘাসের বিন্দু নেই,শুধু ধুলো, কিছু লোকজন লাঠি খেলছে,নিজেদের পিঠে মারছে, আওয়াজ হচ্ছে,ধুলো উড়ছে,চোখেমুখে যাচ্ছে, আর তা দেখতে লোকজন গোল করে ঘিরে ধরেছে,তারা বেশ উচ্ছ্বাসিতই শুধু আমারই কিনা চোখের পলক বারবার পড়ছিল, আর একটু সরে সরে আসছিলাম প্রত্যেক শব্দে শব্দে।ওই যে বললাম ভীতু মানুষ।মায়ের কথায় 'তালপাতার সেপাই '! দাদিকে এখনো 'কুমোর পাড়ার গরুর গাড়ি ' বলতে দিলে কয়েক মিনিটে বলে দেবে, তেমনি মায়ের মুখেও প্রত্যেকবার একই কথাই শুনতাম "মহরম শোকের মাস" এবং শোকের বহিঃপ্রকাশ ওরকমভাবে মানে নিজেকে আঘাত করে, রক্তাক্ত করে, হতে পারেনা।মায়েরও একই মত।ক্লাস টু থ্রি পার করে এখন আমি পুরো ক্লাসলেস, ধীরে ধীরে নিজের বিশ্বাস, অনুভূতি, ধারণা পাল্টেছে,পাল্টাচ্ছে। ধর্ম-বিশ্বাস,তার রীতিনীতির সঙ্গে আজ আমার তেমন ঘনিষ্ঠতা নেই এবং এটা অনেকদিন থেকেই বলা ভাল তেমন চর্চাও নেই খুব একটা আর তেমন আগ্রহও নেই।তবে ভালো কথা ওই একবারই দেখেছিলাম লাঠিখেলা, তার পরের বছর থেকেই অদ্ভুত ভাবে ম্যজিকের মত সেটি উধাও আমাদের এলাকায়,হয়ত কোনো এক বা একাধিক মানুষ ওই মানুষগুলোকে বোঝাতে পেরেছিলেন যে এগুলো ঠিক নয়,যাই হোক না কেন সে ডিটেলস আমার জানা নেই তবে ফলের দিকে তাকালে সেটি অবশ্যই ভাল।গোটা বাংলা,দেশ,বিশ্ব এই ফলের স্বাদ পেলে ভালোলাগবে। একটু গুগল ঘাটছিলাম কারণ আমি আরবি পড়তে পারিনা, বাড়ির বাকি তিনজন কোর-আন শরিফ পড়তে পারলেও আমি পারিনা, যাই হোক গুগলসার্চ বলছে আরবি একটি শব্দের বহু অর্থ,তাই বহু প্রত্যেক অধ্যায়ের বহুরকম ইন্টারপ্রেটেশন। এবং আরও বলছে কোরান এলাও ইউ টু আস্ক।এই দুটোকে মিলিয়ে আমি যেটা পেলাম সেটি হল এটি স্ট্যাটিক নয়,চেঞ্জেবেল অথবা এমন ভাবে ইন্টাপ্রেটেবল যেটা ভালোর জন্য, মানুষের জন্য।মায়ের বাপের বাড়ি মানে আমার মামার বাড়িতে দেখে আসছি নানু - নানী এই দিনটিতে উপোষ করেন, অস্ত্র নিয়ে মিছিল বার করে, নিজেকে আঘাত করে শোকপ্রকাশ করা কে পছন্দ করেন না (যদিও আমি যা খাই তাতে অনেকে সেটাকেই উপোষ বলে তবু উপোষ এর বিরোধী)।পরিবর্তন তা যদি ভলোর জন্যে হয় সে ভালো।

    এখন অনেক পরিবর্তনের মধ্যে দেখছি মহরম উপলক্ষে এলাকাতে ধর্মসভা এবং তাতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা(প্রথমত সারা শীতকাল জুড়ে এরকম ধর্মসভা লেগেই থাকে,চারপাশে মাইক,আওয়াজ, সত্যি বলছি খুব বিরক্ত করে)।যাই হোক বিষয়ে আসি,না চাহিলেও এরকম আওয়াজ কানে এসেই যায়,তো এরকম ই প্রতিযোগিতা তে ক্যুইজ,কোরান পাঠ, আর হিন্দি গানের সুর নকল করে অন্য কথা বসিয়ে গান (যেটাকে গজল বলে চালানো হয়,কিন্তু সেগুলো একেবারেই তা নয়) ইত্যাদি ইভেন্ট থাকে।তো এরকমই একটি ক্যুইজে প্রশ্নকর্তা জিজ্ঞেস করছেন "ইসলামে নারীরা কি ইমাম হতে পারেন?কারণসহ বল" উত্তরদাতা একটি বাচ্চা মেয়ে "না,কারণ, মেয়েদের শব্দ করে নামাজ পড়তে নেই"... প্রশ্নকর্তা জানালেন "হ্যা, সঠিক উত্তর"!প্রশ্ন টা এখানেই, যেখানে ধর্মপালন অঞ্চলভিত্তিক আলাদা, যেখানে প্রশ্ন করা এলাউড, যেখানে কোরানের প্রত্যেক অধ্যায়ের অনেকরকম বিশ্লেষণ সম্ভব সেখানে কেন থাকবে এই বৈষম্য!কাল থেকে যদি বলা হয় একটি ছেলে যদি শব্দ করে নামাজ পড়তে ও পড়াতে পারে, একটি মেয়েও পারে,তাহলে তো কিছুটা হলেও সামনের দিকে এগোনো যাবে,না কি ইশ্বর পুরুষ, পুরুষতান্ত্রিক এবং সেকারণেই ইংরাজিতে ইশ্বরকে 'হিজ' 'হিজ' করে লেখা.. একই অনুষ্ঠানের পুরস্কার বিতরণী,কোরান পাঠে প্রথম স্থান অধিকারিণী নাম ঘোষনার সাথে সাথে মঞ্চে উঠতে যাচ্ছে.. তখনই মঞ্চ থেকে "যা ভাল করে ওড়না টোরনা পরে আয়,তারপর প্রাইয নিবি"! সঞ্চালক তাকে উঠতে দিলেন না, কাকে না একটা ১২-১৩ বছরের মেয়েকে। সে হয়ত কিছুই বুঝলনা, প্রাইজ পেয়েছে তাই বাড়ি গেল ঠিক করে সেজে আসতে যেমন করে বাকিরা তাকে দেখতে চায়,তার মত করে কিন্তু সমস্যা টা রয়ে গেল সেই গভীরেই।মানসিকতার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

    আঠেরো-উনিশ বছর ধরে মহরম উদযাপনের চেহারা পাল্টেছে, লোকদেখানো ও নাদেখানো পাল্টেছে, কাছে টেনে নেওয়া, দূরে সরিয়ে দেওয়ার ধরণ পাল্টেছে।মানসিকতার কোনো বদল হয়নি।চাকচিক্যময় এল ই ডি টিভি আর স্মার্টফোনের যুগে বহিরাবরণ পাল্টেছে, তাই মেসেজ বক্সে "হ্যাপি মহরম" পাঠানোটা যেন নিজেকে সেকুলার প্রমাণ করার এক দায়বদ্ধতা,কে বোঝাবে সে যে হ্যাপি নয় বরং শোকের।
  • সিকি | ০২ অক্টোবর ২০১৭ ০৯:৫৮368766
  • ...
  • প্রতিভা | 37.5.***.*** | ০২ অক্টোবর ২০১৭ ১০:০৩368767
  • এবার মহরমকে কেন্দ্র করে এতো ভালো ভালো লেখা পড়লাম গুরুতে !
    জারিফা, জিনত ( ফেসবুকে), পারভেজ, সাহেবুল এদের লেখা পরিবর্তনের আভাস দেয়। হবে সেটা আমি নিশ্চিত, সৌদিতে মেয়েরা গাড়িচালানোর অধিকার পেল, কাল শৌভিকের দেওয়া লিংকে দেখলাম সম্ভবত ইমাম হবার দিকেই এগোচ্ছে তারা। ধর্মীয় পরিবর্তন সামাজিক পরিবর্তন আসছে। সম্প্রদায়ের ভেতর থেকেই আসছে। বাঙালী মুসলমানরা ভারতে এই পরিবর্তনের মুখ হয়ে উঠুক।!
  • সিকি | ০২ অক্টোবর ২০১৭ ১০:০৮368768
  • গড়ি চালানোর অধিকার পাওয়াটা অর্ধসত্য। অধিকার দেওয়া হচ্ছে যাতে বাচ্চাকে স্কুলে ড্রপিং পিকাপ, শপিং ইত্যাদি সমস্ত কাজ পুরুষদের না করতে হয়। এই সমস্ত কাজ করতে পারার জন্যেই মেয়েদের ড্রাইভিংয়ের অধিকার দেওয়া হচ্ছে।
  • π | ০২ অক্টোবর ২০১৭ ১০:২৭368769
  • হ্যাঁ, এই ভয়েসগুলো আরো ছড়ালে ভাল হয়।
  • PM | 127.194.***.*** | ০২ অক্টোবর ২০১৭ ১৪:০৬368770
  • সিকি , পশ্চিমী মহিলারা ব্যপক ভাবে শ্রমে অংশ নিয়েছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে। সম্পুর্ন অর্থনৈতিক কারনে। সে সৌদির জন্য যে কারনগুলো বল্লেন সেগুলো পশ্চীম দুনিয়াতেও ছিলো সেকালে। ড্রাভিং ফোর্স যাই হোক , ১০০ বছর বাদে হলেও পরিবর্ত্তন হচ্ছে সৌদিতেও-- সেটা স্বাগত ঃ)

    http://www.bbc.co.uk/guides/z9bf9j6

    সৌদির লোকসংখ্যা কম--সেই হিসেবে মহিলাদের অর্থনীতিতে সক্রিয় অংশ নেবার কথা। অর্ধেক জনসংখ্যাকে অর্থনীতি থেকে দুরে রেখে কি ভাবে চলতো? সিম্পল, বিদেশী শ্রমীক দিয়ে। দোকান , ট্যাক্সি সব চালতো বিদেশী রা। তাদের বিপুল পয়সা দিয়ে রাখা হতো--এখনো হয়। এদের শ্রম ই সৌদি চালাতো। সৌদি মেয়ে তো ছেড়েই দিন সৌদি পুরুষরাও উচ্চমার্গের (ঃ)) কাজ ছড়া কাজকম্মো কমই করতো। এক্সপ্যাট-রা ২০১৬ তে ১৫৬ বিলিয়ন রিয়েল (৪২ বিলিয়ন ডলার) --- খুব ই কস্টলি খেসারত মেয়েদের ওয়ার্ক ফোর্স এর বাইরে রাখতে। তেলের পয়্সার ফ্লো অফুরান ছিলো-- তাই এই বিলাসিতা গায়ে লাগতো না।

    https://www.argaam.com/en/article/articledetail/id/407889

    গোল বাঁধলো তেলের দাম সাংঘাতিক ভাবে পড়ে যাওয়ায়। সৌদির পকেটে এই বিলাসিতা আর সাপোর্ট করতে পারছে না। গোদের ওপোর বিষফোরা হলো খুব শিগ্গির তেলচালিত গাড়ী অবসলিট হতে চলেছে--- ভারতের মতো দেশও ২০৩০ কে পাখির চোখ করছে। এর ওপোর আছে আমেরিকান তেল রপ্তানি। মোদ্দা কথা তেল ভিত্তিক অর্থনীতির তেল শেষ হয়ে আসছে। আর সৌদিও সেই সিদুরে মেঘ চিনতে ভুল করে নি। তারা অর্থনীতিকে ডাইভারসিফাই করার নানা পলিসি আনছে।

    কদিন আগে সৌদি এক্সপ্যাট দের প্রতি ফ্যামিলি মেম্বারদের জন্য মাথা পিছু ট্যাক্স ধার্য্য করেছে বাৎসরিক ওয়ার্ক পারমিট রিনিউ করার জন্য। মানে সৌদি এক্সপ্যাট ওয়ার্কারদের ডিস্কারেজ করছে পলিসি গত ভাবে। ফল ও মিলছে দ্রুত-

    http://saudigazette.com.sa/article/516053/SAUDI-ARABIA/Remittances

    তো সেক্ষেত্রে , ওয়ার্ক ফোর্স এ যে সরটেজ হবে তা মিটবে কি করে? শুধু সৌদি পুরুষ ওয়ার্কফোর্স দিয়ে উৎপাদন করতে হলে তেল বা অন্য কিছুর যা উৎঅপাদনের খরচ হবে তা দিয়ে কেউ কিনবে না। একটা উপায় হলো মেয়েদের ওয়ার্কফোর্সে আনা।।

    তাই বলা যায়, সৌদিতে সামাজিক যে পরিবর্তন গুলো আসছে সেটার পেছনে আছে অর্থনৈতিক বাধ্যতা যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ইউরোপ আমেরিকা বা ২য় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ভারতেও ছিলো।

    এখন দেখার হলো সৌদি এস্ট্যব্লিশ্মেন্ট ওয়াহাবিসম এর নমে যে কট্টরপন্থী ইসলাম দেশে আর বিদেশে রপ্তানী করেছে এতোকাল তেলের জোরে সেটা হঠাৎ রিভার্স গিয়ারে আনলে দেশে বিদেশে কি প্রতিক্রিয়া হয়।
  • সিকি | ০২ অক্টোবর ২০১৭ ২০:৫০368771
  • ইয়ে - সবই ঠিক আছে। আমি এগুলোর কোনওটাই অস্বীকার করছি না। আমি বলতে চাইছি ঠিক উইমেন লিবারেলাইজেশন উইমেন এমপাওয়ারমেন্টের কথা মাথায় রেখে এই ড্রাইভিংয়ের অনুমতি দেয় নি সৌদি সরকার। সে সব এখনও সে দেশে দূর অস্ত। জাস্ট ইকোনমি সৌদি সরকারকে এই কাজটা করতে বাধ্য করেছে। তাই ড্রাইভিংয়ের অনুমতি পেলেই যে সেটা নারীস্বাধীনতার সমার্থক, সেটা বলার সময় এখনও আসে নি।

    হ্যাঁ, প্রথম ধাপ তো বটেই। সেটুকু অস্বীকার করি না।
  • PM | 55.124.***.*** | ০২ অক্টোবর ২০১৭ ২২:৫৮368772
  • একমত--- শুধু একটা যোগ ঃ) দুর্জনে বলে পশ্চিমেও নারী স্বাধিনতা, কাজের সমানাধীকার ইত্যাদি এসেছে অর্থনৈতিক প্রয়োজনেই, বিশ্বযুদ্ধের গুতোয় ঃ) নাহলে সেই ১৭৯১ তে ফরাসীদের লেখা নারী স্বাধীনতার চার্টার তো আলমারী বন্দী-ই ছিলো সোয়াশো বচ্ছর।

    যাক গে, গাড়ী চালানোর অধীকার ছাড়া সৌদী নারী রা কি কি করতে পারবেন এই নতুন আইনে আর নতুন আইন সত্ত্বেও কি কি করতে পারবেন না এখনো তার একটা রোমহর্ষক বিবরন এখানে আছে-

    What they can do now

    1. Last week, women were allowed to enter a sports stadium in Riyadh for Saudi National Day — in a family section, away from single men
    2. They no longer require a guardian's permission to work
    3. This year, government allowed girls in public schools to play sports, have access to physical education
    4. In May, government offices were told to allow women to obtain services without permission from a guardian
    5. Expatriate women, once obliged to veil, now get away with only an abaya

    What they still can't do

    1. They can't marry, divorce, get a passport, travel, open a bank account or have a medical procedure without permission from their male guardians

    2. Women can't socialise with males outside their immediate families, can be imprisoned for such an offence

    3. They can't even eat at restaurants that don't have a separate family section

    4. They must wear an abaya (cloak) and veil in public places. However, in Riyadh, some women have started showing their faces

    5. Islamic restriction prevents Muslim women from marrying non-Muslims. Also, Sunni women can't marry a Shia man or a communist (atheist)

    6. They cannot conduct certain business, need at least two men who can testify to her character before she can be granted a loan or a licence

    7. In case of divorce, they can't retain custody of their children after they reach the age of seven for boys and nine for girls

    8. They can't get a fair hearing in court, where 'the testimony of one man equals that of two women.' The legal position in Saudi Arabia of a woman is equal to that of a minor, and therefore she has little authority over her own life

    9. She cannot receive an equal inheritance. Under Sharia inheritance laws, daughters receive half what is awarded to their brothers

    http://timesofindia.indiatimes.com/world/middle-east/saudi-arabia-women-still-cant-do-these-things/articleshow/60865869.cms

    সিকির কথামতো --সত্যি খুব অল্পই হইলো ঃ) কিন্তু প্রতিকী হলেও কিছু তো হলো ঃ) পরিবর্ত্তনের দিকটা অন্তত পরিস্কার হলো তাই বা কম কি?

    ওয়াহাবি মত দুর্বল হলে, তেলের টাকা ছড়ানো সীমিত হলে এখানকার মাদ্রাসা, মসজিদের ইমামরাও হয়তো আরবী প্রভাবমুক্ত হয়ে নিজেদের মতো করে ভাববেন--- ইসলামের স্থানীয়করন করবেন--সুফি মতের প্রভাব বাড়বে--- এই গুলই আশা ঃ)

  • aranya | 172.118.***.*** | ০৩ অক্টোবর ২০১৭ ০৬:৫৫368773
  • 'এবং আরও বলছে কোরান এলাও ইউ টু আস্ক'

    - এটা যদি সত্যি হয়, জাস্ট বিরাট ব্যাপার। আমি এ পর্যন্ত যতজনের সাথে কথা বলেছি - কোরান আশমানী কিতাব, তাহা অপরিবর্তনীয়, তার একটি শব্দ নিয়েও কোন প্রশ্ন তোলা যাবে না, একটি শব্দ-ও বদলানো যাবে না - এমন মতই পেয়েছি
  • aranya | 172.118.***.*** | ০৩ অক্টোবর ২০১৭ ০৬:৫৫368764
  • পারভেজ-এর লেখাটা ভাল লাগল, বলাই বাহুল্য
  • aranya | 172.118.***.*** | ০৩ অক্টোবর ২০১৭ ০৭:৪১368765
  • অফ কোর্স, ধর্ম ব্যাপারটাই যদি কাটানো যেত, আল্লা/ রাম/ গড ইঃ সবই কাল্পনিক সত্ত্বা, এদের অস্তিত্বের কোন প্রমাণ নেই, এটা মানুষ বুঝত এবং বেদ-কে দর্শন/কাব্য হিসাবে, কোরান-কে ঐতিহাসিক দলিল হিসাবে পড়ত, ধর্মগ্রন্থ হিসাবে না পড়ে, তবে সবচেয়ে ভাল হত।

    সুদূর ভবিষ্যতেও তার যখন কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না, অন্তত ধর্মগ্রন্থের কনটেন্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলা গেলে ভাল
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন