এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • নদী:বন্যা:বাঁধ: জলসভ্যতা


    অন্যান্য | ০৫ আগস্ট ২০১৭ | ৮১২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 52.***.*** | ০৫ আগস্ট ২০১৭ ০১:০৪368359
  • নদী,নদীবাঁধ,বন্যা,ড্রেজিং ইত্যাদির নানা সমস্যা এবং পরিস্থিতি,দুর্যোগ নিয়ে নানা আলোচনা সব এক জায়গায় রাখার প্রচেষ্টা।
    যে যা প্রাসঙ্গিক মনে করবেন এখানে পোস্ট করতে থাকবেন।
    কোনো ফেবু পোস্ট দিতে চাইলে,কন্টেন্টের সাথে পোস্টের লিঙ্কও দেবেন।তাহলে তার নিচের আলোচনাটাও পাওয়া যায়।
  • কৌশিক মাইতি:২৯ জুলাই ২০১৭ | 52.***.*** | ০৫ আগস্ট ২০১৭ ০১:০৭368366
  • https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=266161310543670&id=208580332968435

    #পশ্চিমবঙ্গ #বন্যা
    বন্যা রোধে প্রয়োজন উপযুক্ত পরিকল্পনার!!

    হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর ও আমতা, হুগলীর খানাকূল কিমবা পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল- বন্যার দুর্ভোগ প্রতিবছরই, বর্ষাকাল এলেই শুরু জল-যন্ত্রণার প্রহর গোনা। ধান চাষের সময়, প্রতিবছরই একরাশ আশা নিয়ে ধান রোয়া, আবার কদিন পরেই নিরাশ করে সব নষ্ট হয়ে যাওয়া!

    নীচু এই অঞ্চলগুলোতে সহজেই জল জমে যায়, এখানকার মাটিও এঁটেল। জমা জল বের হওয়ার সম্ভবনাই থাকে না। আর দুঃস্বপ্ন বয়ে আনে নানা ব্যারেজ থেকে ছাড়া জল। বন্যার প্রধান কারন দামোদর, মুণ্ডেশ্বরী, দারকেশ্বর ও রূপনারায়ণ। ফি বছর বাঁধ ভাঙে, সেটা না হলেও সহজেই ছাপিয়ে যায় দুকূল।

    এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে সরকারের ভূমিকা কি?? বন্যার আগের দিন পর্যন্ত কোথায় থাকে প্রশাসন??

    সমস্যা অনেক পুরানো, স্বাধীনতার পর ৭০ বছর অতিবাহিত!! কিছুই হয়নি। সেদিনও যা ছিলো, আজও অনেকটাই তাই! ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথা বহু বছর শুনছে মানুষ ভোটের সময়, আবারও শুনবে, এটা সন্দেহাতীত।

    ডিভিসি দায়ী, অধিকাংশ বন্যাই "ম্যান মেড"। এই তত্ত্ব খাড়া করে গলা ফাটায় কেউ কেউ। হ্যাঁ, মানছি। খানিকটা হলেও এই বক্তব্য সত্য। খেয়ালখুশি মত না জল ছেড়ে পরিকল্পনা মাফিক জল ছাড়লে সমস্যা কিছুটা কমবে। কিন্তু বাস্তব কথা হলো ডিভিসির উপর রাজ্য সরকারের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন নেই। ডিভিসিকে বাগে আনতে গেলে কেন্দ্র সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। তার জন্য অন্য পদ্ধতি আছে, ক্যামেরার সামনে দুচারটে গা গরম করা কথায় সমাধান হবে না। শুধু দায় ঝাড়া হয়। বন্যার সময় মেকি কান্না না কেঁদে, সারাবছর প্রচেষ্টা দরকার, প্রয়োজনে দরকার আন্দোলনের। ঝাড়খন্ড সরকারের সাথে বোঝাপড়া থাকা দরকার। কারন ঝাড়খন্ডে বৃষ্টিই পশ্চিমবঙ্গের মাথাব্যথার কারণ।

    রাজ্য সরকারের হাতে কি কি আছে?? নদী বাঁধের রক্ষণাবেক্ষণ, নদী সংস্কার। সেগুলো কি সরকার আদৌ করে? হুগলী ও হাওড়ায় দামোদর নদীর হাল দেখলে সহজেই বন্যার কারন বোঝা যাবে, মেরে কেটে ৬০-৭০ ফুট চওড়া, মজে গেছে পুরো। মুণ্ডেশ্বরী, দারকেশ্বর কিমবা রূপনারায়ণের হাল একই। নদী গুলো সংস্কারে সরকারের কোনো হেলদোল নেই। নদীর চড় দখল করে চাষবাস চলছে রমরমিয়ে, সেদিকেও কারোর লক্ষ্য নেই। নদীবাঁধ গুলোরও বেহাল দশা! বন্যা হয়ে গেলে দু কেজি চাল, চিঁড়ে-গুড়, ত্রিপল আর যৎসামান্য অর্থ নিয়ে জনতা জনার্দনের দোয়ারে পৌঁছে গেলেই কেল্লাফতে, ভোটে জেতা পাকা! কারন সাধারন মানুষের মন ভেজানো খুব সোজা!! চৌত্রিশ বছর কিমবা চৌত্রিশ বছরের গল্প শোনানো শেষ ছ বছর- সেই এক কাহিনী।

    ঘাটাল, খানাকূল, উদয়নারায়ণপুর কিমবা আমতার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা খুব জরুরী। নতুন কোনো চওড়া খাল কেটে জল নামানোর বিকল্প ব্যবস্থা করা সময়ের দাবী। কিন্তু, সরকারের যুক্তি সাজানোই আছে, অর্থাভাব। আসলে অর্থ নয় প্রাধান্যই আসল। কোটি কোটি ব্যয়ে কোলকাতা গেট তৈরি হয়, নীল-সাদা রঙে শহর সাজে, আলোকিত রাস্তায় নতুন করে সুসজ্জিত আলোকবাতি বসানো হয়। ক্লাব গুলোকে দান-খয়রাতিতে যায় হাজার হাজার কোটি। কোনটা জরুরী, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আসলে গ্রামের অসহায় মানুষকে বোকা বানানো অনেক সোজা! ভোট আসে ভোট যায়, জল-যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মেলে না!

    এই বছরের বন্যার অভিজ্ঞতা থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার, আবহাওয়া দফতরের ব্যর্থতা। আসলে এই দফতরের সফলতা আদৌ আছে কিনা তা সন্দেহের। এই অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস তারা দিতে পারেনি, আর বৃষ্টি কবে থামবে তাও জানাতে পারেনি। আবহাওয়ার কথা নির্ভুল ভাবে আগে থেকে বলা যায়না, কিন্তু উন্নত পরিকাঠামোর মাধ্যমে আর একটু ভালো পরিষেবা তো দেওয়া যায়। পূর্বাভাস ঠিক থাকলে ব্যারেজগুলো থেকে জল ছাড়াও সহজ হয়। আগে থেকে সতর্কও হওয়া যায়। তাই রাজ্য সরকারের উচিত কেন্দ্র সরকারের সাথে আলোচনা করে আবহাওয়া দপ্তরের পরিকাঠামোর উন্নয়নের দাবী জানানো।

    পশ্চিমবঙ্গের বিরোধীদেরও এ ব্যাপারে ভাবার সময় নেই। কেউ কেউ ক্ষয়িষ্ণু, তাই ক্ষয় রোধে ব্যস্ত। আর যাদের সামর্থ আছে কেন্দ্র সরকারকে বলে পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী জোগাড় করা বা দায়িত্ব নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়ার, সে কথা তাদের মাথাতেই আসে না। পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতার স্বপ্ন দেখে, উন্নয়নের রাস্তা বেয়ে না, ধর্মের সিঁড়ি বেয়ে। তাই বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর আসলে কেউ নেই।

    সংস্কার হোক নদীগুলোর, নদীবাঁধের রক্ষণাবেক্ষণ চলুক আর নতুন কোনো দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া হোক। তাহলে মানুষ অন্তত রেহাই পাবে। ফাটা ঢোলের কান্না শুনতে শুনতে মানুষ তিতিবিরক্ত।

    লেখক- কৌশিক মাইতি
  • স্বর্ণেন্দু শীল:৩০ জুলাই ২০১৭ | 52.***.*** | ০৫ আগস্ট ২০১৭ ০১:১০368367
  • ঘটনাচক্রে নিজের স্ট্যাটাসে এই আর্টিকলটা:
    https://sandrp.wordpress.com/2014/11/25/lessons-from-farakka-as-we-plan-more-barrages-on-ganga/

    শেয়ার করার কিছু পড়েই গুরুর গ্রুপে ডিভিসির বাঁধ ও নিম্নবঙ্গে বন্যা নিয়ে Kausik Maiti র একটা লেখা চোখে পড়ল... তাই এইটা এখানেও থাক। মূল সমস্যা আসলে বাঁধের জন্য নদীগুলোর গতিরোধ ও সেইজন্যে পলি জমে জমে নদীগুলোর ধারণক্ষমতা কমে যাওয়া, যে পলি ড্রেজিং করে পরিষ্কার করা প্রায় অসম্ভব, আর আদৌ সম্ভব হলেও তার ব্যয়, শুধু অর্থমূল্যে নয়, শ্রমের মূল্যেও, আদৌ করে চলা, দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে আদৌ যুক্তিযুক্ত নয়।

    https://m.facebook.com/groups/175129282505026?view=permalink&id=1796240617060543

    ** ওপরের ফেবু পোস্টে বড় আলোচনা রয়েছে
  • হিরণ্ময় মাইতি: ২৭ জুলাই ২০১৭: | 52.***.*** | ০৫ আগস্ট ২০১৭ ০১:২৭368368


  • * হিরণ্ময় জল জঙ্গলের কথা পত্রিকার সম্পাদক।
  • জয়া মিত্র: আবাপ সম্পাদকীয় : ৪ | 52.***.*** | ০৫ আগস্ট ২০১৭ ০১:৩৬368369
  • আনন্দবাজার সম্পাদকীয়

    নদীকে মেরেছি, তাই মরছি

    জয়া মিত্র

    ৪ অগস্ট, ২০১৭

    ২০১৬ সালের ৩ অগস্ট বর্ধমানের কাছে মেমারিতে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগের দুদিন ধরে বৃষ্টি পড়ছিল। আগের দিন বর্ধমান পৌঁছেছি। তেসরা সকাল সাতটায় বিপন্ন ফোন, ‘আসবেন না। স্টেশন প্লাটফর্মের বাইরে সব জায়গা জলে ডুবে আছে, জল ছাড়া দাঁড়াবার কোনও জায়গা নেই’। সে কী! মেমারি বেশ পুরনো, বর্ধিষ্ণু গ্রাম অঞ্চল বলেই তো জানি।

    ২০১৫ সালে বাঁকুড়ায় বড়জোড়ার কাছাকাছি একটি গ্রামে গিয়েছিলাম। সম্পন্ন গ্রাম। দামোদরের ও পারেই দুর্গাপুর স্টিল কারখানা, গ্রামের অধিকাংশ পরিবারের এক-দুজন সদস্য সেখানে কাজ করেন। গ্রামের বসত অঞ্চলে প্রতিটি বাড়ি পাকা— দোতলা-তিনতলা এবং কোনও বাড়ির সঙ্গে পাশের বাড়ির মাঝখানে এতটুকু ফাঁক নেই। একটিও গাছ নেই। এবং মোটামুটি বৃষ্টি পড়লেও সে জল বেরিয়ে যাওয়ার কোনও পথ নেই। উন্নত গ্রামগুলির এক বড় অংশেরই এই অবস্থা।

    পুরসভা বা পঞ্চায়েতসমূহ বিল্ডিং প্ল্যান যে খতিয়ে দেখেন না, সেটা বোঝা যায় এই বর্ষায় জলজমার সমস্যা দেখলে। বর্ষা পৃথিবীতে নতুন নয়। মানুষের মাথা কেন একশো আশি ডিগ্রি ঘোরে না, এ-কথা নিয়ে রাগ বা বিস্ময়ের যেমন কোনও মানে নেই, আমাদের মৌসুমি জলবায়ুর দেশে বৃষ্টির প্রধান অংশই বর্ষার তিন মাসে ঝরে পড়ে, এই প্রাকৃতিক নিয়মকে সমস্যা ভাবাও সেরকমই অর্থহীন। অন্তত দু’হাজার বছর ধরে এ দেশের লোকেরা বৃষ্টিজল সংরক্ষণের ব্যবস্থা সম্পর্কে মনোযোগী থাকতেন। ভিন্ন ভিন্ন বৃষ্টি অঞ্চল ও বিভিন্ন ভূমিরূপের এই দেশে জলের ক্ষেত্রে কর্তব্য ও অকর্তব্যের যেন এক সম্পূর্ণ শাস্ত্র গড়ে উঠেছিল।

    ‘সম্ভবপরের জন্য প্রস্তুত থাকাই সভ্যতা’, এই আর্ষবাক্য মেনে নিলে বিশ্বাস করতেই হয় যে অন্তত বর্ষাজল বা সাধারণভাবে জল বিষয়ে ভারতে, আরও নির্দিষ্টভাবে বললে পূর্বভারতে, এমনকী সাধারণ মানুষরাও ‘জলসভ্য’ ছিলেন। ছোট নদীর কাছ ঘেঁষে বসত, বড় নদীর কাছে খেত, বসত কিন্তু দূরে। কথায় বলত চাষবাস। বড় নদীর ধারে নগর বন্দর, পল্লি ছোট নদীর পাড়ে। আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগেও সমাজে যেমন, সে-রকমই সরকারি ব্যবস্থাতেও জলস্থলের এই বিন্যাসকে মান্য করার একটা ধরন ছিল। আরও পুরনো আমলে, যখন সুরক্ষার কারণে শহর বা দুর্গ প্রাকারে ঘেরা থাকত, তখন সে সব প্রাকারের মধ্যে জলাশয় এবং বাইরে পরিখা থাকত, যাতে জল সরবরাহের পাশাপাশি জল না-জমার সুরক্ষা হয়।

    কোটি বছর ধরে আমাদের বাসভূমি এই মৃত্তিকাপিণ্ডটি যে লক্ষকোটি ছোটবড় ঘটনার সমাপতনের ফলে প্রাণের ধারক হয়েছে, তা কার্যকারণের শৃঙ্খলায় আবদ্ধ। সেখানে প্রতিটি বস্তুর নিজস্ব চলন আছে এবং তা ছোটবড় অন্য বিস্তর প্রত্যক্ষ-অপ্রত্যক্ষ চলনের সঙ্গে জড়ানো। সে বাঁধন এত সূক্ষ্ম, এমন জটিল, সেখানে একটি ছোট সূত্র ছিঁড়ে গেলে ক্রমে সমস্ত নকশাটি টাল খায়। আর, যদি সে লঙ্ঘন চলতে থাকে বছরের পর বছর ধরে? তা হলে যা হয় সেটাই ইদানীং প্রায় প্রতি বর্ষায় ঘটছে।

    সৃষ্টির শুরু থেকে বর্ষাজল আদিম জমির ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ঢালের দিকে। উঁচুনিচু সেই জমির নিম্নতম অংশ দিয়ে জল গড়িয়ে যাবার সেই পথগুলোই নদী। নদী এক দিকে তার বয়ে-আনা পলি ফেলে ফেলে উর্বর মাটি তৈরি করে তুলেছে, অন্য দিকে ছোটবড় নদীগুলিই ছিল অববাহিকায় ঝরে পড়া বৃষ্টিজলের স্বাভাবিক নিকাশিপথ। বর্ষার মাঝামাঝি থেকে স্ফীত হয়ে ওঠা নদী কূল ছাপিয়ে দুপাশের অনেকখানি অঞ্চল জুড়ে বইত, কিন্তু তার স্থায়িত্ব ছিল অনেক কম দিন। বন্যাকালীন পলিমাটি দুপাশের খেত উর্বর করে তুলত আর মাটি বসে যাওয়া হালকা জলধারা বিপুল স্রোতে খাতকে আরও গভীর কেটে বয়ে চলে যেত। এই স্বাভাবিক শৃঙ্খলাটিকে মান্য করে মানুষ নিজের জীবন চালাত। জলস্থল সংস্থানের এই প্রাথমিক নিয়মগুলো তারা আয়ত্ত করেছিল। পারতপক্ষে সেগুলিকে লঙ্ঘন না করাই ছিল সর্বজনমান্য সামাজিক অনুশাসন।

    চার-পাঁচ দশক আগেও বন্যাকে একটি সাময়িক সমস্যা বলে ধরা হত এবং তার শেষে থাকত খেতভরা পলিমাটির প্রসাদ। সত্তরের দশক থেকে জলমাটির এই স্থিতিশীল প্রাথমিক সম্পর্কে ভাঙন দেখা দেয়। তার আগে থেকেই দেশের স্রোতবতী নদীগুলিতে একের পর এক বাঁধ নদীজলের, অর্থাৎ তার অববাহিকা অঞ্চলে ঝরে পড়া জলের, স্বাভাবিক নিকাশপথকে বন্ধ করছিল। নদীর নিম্নপ্রবাহে পৌঁছে নতুন জমি তৈরি করার বদলে বয়ে আসা মাটি জমা হচ্ছিল বাঁধের পিছনের রিজার্ভারে। ডুয়ার্সের পর বাংলায় সবচেয়ে বেশি নদী ছিল বীরভূম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায়। তার কারণ, এই সব জায়গার মাটি গাঙ্গেয় উপত্যকার মতো আঠালো পলি নয়, কাঁকুরে ল্যাটেরাইট সয়েল, যার মধ্যে দিয়ে জল দ্রুত নীচে চলে যায়। এ দিকে এই পুরো এলাকার মাটির নীচে আছে ব্যাসল্ট, গ্রানাইট বা নিস-এর মতো আদিম কঠিন পাথর। জল তাকে সহজে ভেদ করতে পারে না। সুতরাং ভূপৃষ্ঠের অল্প নীচে জমা জল যে কোনও চ্যুতি দিয়ে ছোট নদী কি জলধারা রূপে বেরিয়ে আসত। ১৯৭৮ সালের আগের একশো বছরে
    এ সব জেলার লোকের কখনও বন্যার অভিজ্ঞতা ছিল না। আশির মাঝামাঝি থেকে ‘নয়া কৃষি’ উন্নয়নকল্পে ‘জমিন চৌরস করা’ কর্মসূচি অনুযায়ী সমস্ত উঁচুনিচু কেটে এই এলাকাগুলিকে গঙ্গাক্ষেত্রের মতো সমান করে দেওয়া হল। সঙ্গে যোগ হল প্রায় প্রতিটি নদীর ওপরের বাঁধ। স্বাভাবিকভাবেই তিন-চার বছরের মধ্যে এখানকার মাঠের আলগা হয়ে যাওয়া মাটি সাধারণ বৃষ্টিতেও দ্রুত নেমে এসে নদীখাত ভরে ফেলল। হড়পা বানের স্বাধীনতা রইল না নদীর খাত পরিষ্কার করে ফেলার।

    ঘাটাল, ময়না, আমতা, উদয়নারায়ণপুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা নিম্ন দামোদর অববাহিকার অংশ। ডিভিসির বাঁধের পরে বাঁধের দরুন দামোদর আজ এক মৃত নদী। গঙ্গার সঙ্গে মিলিত হওয়ার আগেই দামোদরের প্রবাহ মরে যায়। সেই বদ্ধস্রোত জলার ওপর চার দিক থেকে গড়িয়ে আসা জলের সঙ্গে যখন যোগ হয় ডিভিসির ছাড়া জল, তখন কোন ব্লটিং পেপার ওই বিরাট অঞ্চলকে রক্ষা করবে! হেলিকপ্টার সদিচ্ছার প্রতীক। তা সমস্যার সমাধান করতে পারে না। ১৯৭৮-এর পর ২০০০, ২০০২-এর জলপ্রলয়ে এই প্রত্যেকটি সমস্যা বর্তমান ছিল। এ বারে সেই কালো মেঘে তিলমাত্র পরিত্রাণ ছিল শুধু এইটুকু যে সরকারের নিরলস সতর্কতায় ডিভিসির বাঁধগুলি আগের অনেক বারের মতো এক এক রাত্রে অঘোষিত ভাবে আড়াই লক্ষ কিউসেক জল ছাড়েনি। কিন্তু বাঁধ তৈরির সময়েই এই জল ছাড়ার কথা জানা থাকে। জানা থাকে এ কথাও যে, বাস্তবে প্রকৃতির স্বাভাবিক ব্যবস্থা ছাড়া নদী বা বাঁধ কার্যকর ভাবে ড্রেজিংয়ের অন্য উপায় নেই।

    যা হয়েছে, যতই দুঃখপ্রদ হোক, তা অবশ্যম্ভাবী ছিল এবং ছিল একমাত্র সম্ভাবনা। যদি দু-এক বছর পর পর লক্ষ লক্ষ মানুষের কল্পনাতীত দুর্গতি এড়িয়ে যাওয়া প্রকৃতই আকাঙ্ক্ষিত হয়, তা হলে গোড়া থেকে ভাববার দায়িত্ব নিতে হবে। তা কঠিন হলেও অসম্ভব নয় হয়তো, কিন্তু আমাদের ঠিক করতে হবে, কী আমাদের কাছে অগ্রাধিকার পাবে।

    http://www.anandabazar.com/editorial/we-are-responsible-for-this-sufferings-due-to-flood-1.652568?ref=editorial-new-stry
  • জয়া মিত্র: ৪ অগাস্ট ২০১৭ | 52.***.*** | ০৫ আগস্ট ২০১৭ ০১:৩৭368370
  • https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=10211920290755473&id=1617854580

    গঙ্গাকে যখন বাঁধা হচ্ছিল তার শৈশবের ঘরে, সেখানকার মানুষরা, আশপাশ এলাকার মানুষরা, দিল্লির যুবছাত্রদের এক বর অংশ ব্যাকুল আবেদন জানিয়েছিলেন তার বিরোধিতায় আওয়াজ তোলার জন্য। দেড়মাস অনশন করে মৃত্যুবরণ করেন চল্লিশবছরের যুবক সন্ন্যাসী নিগমানন্দ। হিমাংশু ঠক্করদের অসামান্য জার্ন্যাল Dams Rivers and People (DRP) ১৯১২ সালের জুন সংখ্যায় নিশ্চিত বিপদ সংকেত দেয় যে হিমালয় জুড়ে বাঁধ ও রাস্তা তৈরির যে যথেচ্ছাচার চলছে তা বন্ধ না হলে অলকানন্দা অববাহিকার চেয়েও বড় বিপর্যয় ঘটবে মন্দাকিনী অববাহিকায়। কেউ গ্রাহ্য করেন নি, যাঁদের গ্রাহ্য করার কথা ছিল। ঠিক একবছর পর ১৪ই জুন কেদারনাথ সহ মন্দাকিনীর প্রকান্ড অংশ ধ্বসে গেলে দেশবাসী শুনলেন ক্লাউড বার্স্ট, অস্বাভাবিক অলস্ফীতির অনুতাপবিহীন নির্দয় গল্প। বাইরে থেকে যাঁরা গিয়েছিলেন তাঁদের উদ্ধারের ব্যবস্থা হল উচিৎমত। হবারই কথা। কিন্তু আড়ালে রয়ে গেল সেই কয়েকশ গ্রামের হাজার শিশুবৃদ্দধ্মারী সহ পরিবারগুলোর কথা যাদের বসতি ছিল ফাড়ের নীচদিকে, নদীর কিনার ঘেঁষে। সর্বোপরি শীর্ষনেতাদের আলোচনায় একবারও ঠাঁই পেল না হিমালয় পর্বতের বিপন্নতার কথা। যে হিমালয় এদেশের ক্ষেত্রে সত্যই 'বিধাতার মানদন্ড'। তাঁরা আব্র খুলে দিয়েছেন সেই ভঙ্গুর পথ। আবার পাহাড়ে পাহাড়ে ধাক্কা দিচ্ছে হেলিকপ্টারের ডানার স্পন্দন।

    তারপর এই চার বছরে বিশ্বের সব জায়গা থেকে পরিবেশকর্মীরা মিনতি করেছেন, অনুরোধ জানিয়েছেন, সতর্কবাণি শোনাচ্ছেন ভারত সরকারকে হিমালয়ে নদীদের বাধাহীন রাখতে। কোন কথাই তাঁদের কানে যাচ্ছে না। কর্পোরেটদের স্বার্থ আর বিদেশী মুদ্রা অনেক বেশী জরুরী তাঁদের কাছে, গঙ্গা যমুনা বা এমনকি হিমালয়ের চেয়ে।
    আমাদের কাছাকাছি পরিবেশ সচেতন শুভবুদ্ধি মানুষের সংখ্যা এখন অনেক বেশি কুড়িবছর আগের চেয়ে। নিজেদের অঞ্চলের নদীগুলোর কথা ভাবুন। নদী ও মাটির নিজস্ব নিয়ম না মানলে কী হয় আমরা এবছর কয়েকদিনের বৃষ্টিতে প্রত্যক্ষ করলাম। ভাবুন এটা যদি হিমালয়ে নদীদের জন্মঘরে হয়, তার ফলাফল কত ভয়ানক হতে পারে। কুমায়ুনে নতুন করে বড় নদীবাঁধের বিরোধিতা করা আমাদের কর্তব্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে। শুধু ওখানকার মানুষদের জন্য নয়, আমাদের নিজেদের স্বার্থে। হিমালয় ধ্বংস হলে, বৃহৎভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমরা বাঁচিনা।
    সমস্ত গণতান্ত্রিক উপায়কে কাজে লাগিয়ে আমাদের নদী ও পাহাড়কে রক্ষা করতে হবে।
    কুমায়ুনের নদীদের পাশে দাঁড়ানো, তাদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া দরকার।
  • স্বর্ণেন্দু শীল: ১৫ অগাস্ট ২০১৭ | 52.***.*** | ১৫ আগস্ট ২০১৭ ১৯:১৪368371
  • জলস্ফীতি ও বন্যা একই শব্দের প্রতিশব্দ নয়। বাচ্চার বাড় যেমন তার সুস্থতার লক্ষণ, অসুস্থতার নয়, তেমনি বর্ষায় নদীর জলস্ফীতিও তাই। তাকে গায়ের জোরে রুখব ভাবলে সেই খোঁয়ারি কাটলে দেখা যায় পড়ে আছে ভাঙ্গনে নদীগর্ভে বাস্তুভিটে, বন্যায় ভেসে যাওয়া চরাচর।

    নদীর প্লাবনভুমি নদীর, কারোর বাপের তালুক নয়। তাতে চাষ করা যায়, এমনকি প্লিন্থ খানিক উঁচু করে বানালে বাস ও করা যায়, তবে নদীর আশ্রিত হয়েই, যেভাবে মহীরুহে বাস করে পাখি। এ জমি আমার ভাবলে দিনের শেষে নদী আপনাকে কড়ায়-গণ্ডায় বুঝিয়ে দিয়ে যাবে যে সেক্ষেত্রে আপনার জান-মাল ও নদীরই, কোন 'মাস্টার প্ল্যান' ই তা ঠেকাতে পারে নি, পারবেও না কখনো।

    রিভার লিঙ্কিং প্রোজেক্টের খোয়াব কাটবে সেদিনই যেদিন মানুষ বুঝবে নদী পাইপলাইন নয়, লাইফলাইন।
  • স্বর্ণেন্দু শীল: ১৫ অগাস্ট ২০১৭ | 52.***.*** | ১৫ আগস্ট ২০১৭ ১৯:১৫368372
  • জলস্ফীতি ও বন্যা একই শব্দের প্রতিশব্দ নয়। বাচ্চার বাড় যেমন তার সুস্থতার লক্ষণ, অসুস্থতার নয়, তেমনি বর্ষায় নদীর জলস্ফীতিও তাই। তাকে গায়ের জোরে রুখব ভাবলে সেই খোঁয়ারি কাটলে দেখা যায় পড়ে আছে ভাঙ্গনে নদীগর্ভে বাস্তুভিটে, বন্যায় ভেসে যাওয়া চরাচর।

    নদীর প্লাবনভুমি নদীর, কারোর বাপের তালুক নয়। তাতে চাষ করা যায়, এমনকি প্লিন্থ খানিক উঁচু করে বানালে বাস ও করা যায়, তবে নদীর আশ্রিত হয়েই, যেভাবে মহীরুহে বাস করে পাখি। এ জমি আমার ভাবলে দিনের শেষে নদী আপনাকে কড়ায়-গণ্ডায় বুঝিয়ে দিয়ে যাবে যে সেক্ষেত্রে আপনার জান-মাল ও নদীরই, কোন 'মাস্টার প্ল্যান' ই তা ঠেকাতে পারে নি, পারবেও না কখনো।

    রিভার লিঙ্কিং প্রোজেক্টের খোয়াব কাটবে সেদিনই যেদিন মানুষ বুঝবে নদী পাইপলাইন নয়, লাইফলাইন।
  • বিশ্বেন্দু নন্দ: ১৬ অগাস্ট ২০১৭ | 52.***.*** | ১৬ আগস্ট ২০১৭ ১৩:৫২368373
  • বাঁধ মানুষের সমাজের সৃষ্টি - বাংলার, তামিলনাড়ুর, রাজস্থানের বা মধ্যপ্রদেশের রাজা ভোজের ব্রিটিশ আমলের বহুপূর্বের - এগুলি সাধারণ সেচের আর জলপানের জন্য কাজে লাগত। বিশাল বাঁধ ছিল এদের অনেকগুলি, কিন্তু বাণিজ্যিক নয় - সামাজিক প্রয়োজনে তৈরি হয়েছিল।

    প্রাথমিকভাবে বিদ্যুৎ তৈরির জন্য বড় বাঁধ বড় পুঁজির তৈরি। নির্বিশেষে বাঁধ ভাঙ্গার ডাক না দিয়ে বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং জল নিয়ন্ত্রণের জন্য তৈরি বড় বাঁধের বিলয়ের ডাক দিন।

    https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=10213741393439954&id=1559416012
  • স্বর্ণেন্দু শীল ১৬ অগাস্ট ২০১৭ | 52.***.*** | ১৬ আগস্ট ২০১৭ ১৫:৪৪368360
  • বিশ্বেন্দু নন্দের ঠিক ওপরের পোস্ট নিয়ে:

    এখানে টার্মিনোলজির পার্থক্য হচ্ছে মনে হয়। সামাজিক প্রয়োজনে তৈরি যে সব 'বাঁধ'-এর কথা নন্দবাবু বলছেন, সম্ভবত উনি ভালোই জানেন যে সেগুলো 'কাঁচা বাঁধ', অর্থাৎ মাটির তৈরি বাঁধ, পাকা বা বাঁধিয়ে ফেলা কিছু নয়। বাঁধ-এর শুধুই সাইজ নয় (সেটাও অতি অবশ্যই জরুরী বিষয়), কি দিয়ে তৈরি সেটাও জরুরী। উনি সেগুলোকেই ছোট বাঁধ বা সামাজিক প্রয়োজনে তৈরি বাঁধ বলছেন মনে হল। আর আমি বাঁধ বলতে পাকা জিনিসের কথা বলছি, বড়-ছোট যাই হোক।

    পুকুরের যেমন জল ব্যবহারের জন্য দুএকটা ঘাট বাধিয়ে নিতে সমস্যা নেই, কিন্তু পারটা গোটাটা বাঁধিয়ে ফেলা বোকামো, নদীরও সেরকমই।
  • অর্ণব গাঙ্গুলি ১৩ অগাস্ট ২০১৭ | 52.***.*** | ১৬ আগস্ট ২০১৭ ২৩:৫৫368361
  • || #রাজ্যে_বন্যা_পরিস্থিতি_ও_গণশক্তি ||

    (আমি এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে একটাও রাজনীতির কথা বলতে চাই নি। কিন্তু একটা লেখা দেখে মনে হলো, মানুষকে দাঙ্গার জন্যে উৎসাহিত করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে কিছু লেখা উচিত। গণশক্তিতে একটা প্রতিবেদন বেরিয়েছে ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে। একজন (Arun Majhi - https://www.facebook.com/Arun-Maji-1538964466421426/) দেখলাম ঢালাও করে লিখেছে - তার লেখার ১০% ঘাটাল ও ৯০% সিপিম, বিজেপি ও রাজনীতি। একটা ছোট্ট উত্তর দিলাম)

    আমি না ছোট থেকেই গণশক্তি পড়তে খুব ভালো বাসতাম। পেট পরিষ্কার না হলে, মন খারাপ থাকলে, প্রেমিকা ঢোকা দিলে বা কারুর উপর রাগ হলে - গণশক্তি পড়তাম ও মন ভালো হয়ে যেত।

    এহেন গণশক্তি একটা প্রতিবেদন দিয়েছে ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতে সরকারের ব্যার্থতা ও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে। ভালো কথা ... আমি নিচে সব লিংক দিচ্ছি কিন্তু এখানে আগে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে গণশক্তির কিছু অংশ কোট করি --

    "পশ্চিমবাংলায় ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার গঠিত হয়। ১৯৭৮ সালে বিধ্বংসী বন্যা হয়। ফলে বন্যার বিষয়টি আবার সামনে চলে আসে। ১৯৫৯ সালে গঠিত মান সিং কমিশনের ভিত্তিতেই আবার পরিকল্পনা তৈরি হয়। তার নাম দেওয়া হয় ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’। এই পরিকল্পনাটি কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা কমিশনের কাছে প্রেরণও করা হয়। ১৯৮০ সালের ৯ই জুন‍‌ কেন্দ্রীয় বন্যা নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা কমিশন ১২(৪৭)৮৮ আই অ্যান্ড সি নং মেমোর মাধ্যমে ঘাটাল ও সংলগ্ন এলাকার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কিছু নির্দেশ দেয়। কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্পটি অনুমোদন করবে ধরে নিয়ে রাজ্য সরকার ১৯৮১ সালের বাজেটে কিছু অর্থ বরাদ্দ করে এবং ১৯৮২ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারি প্রকল্পটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। প্রকল্পটির আর্থিক ব্যয় ৫০ কোটি টাকা ঠিক হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের তৎকালীন রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে প্রকল্পটিতে আর্থিক অনুমোদন করলেন না। কারণ যেহেতু পশ্চিমবাংলায় বামফ্রন্ট সরকার, তাকে জনগণের সামনে হেয় করাই ছিলো উদ্দেশ্য।"
    "২০০৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, পূর্বতন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান প্রকল্পটি পর্যালোচনা করে এলাকার সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে ও এই এলাকা নদী প্রণালীর উপর সরাসরিভাবে নির্ভরশীল মানুষের প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে একটি সার্বিক পরিকল্পনা তৈরির কাজে হাত দেয়। WAPCOS Limited নামক একটি কেন্দ্রীয় সরকারি পরামর্শদাতা সংস্থাকে এই প্রকল্পটি তৈরির দায়িত্ব দেয়। সংস্থাটি প্রায় এক বছর সরেজমিনে সার্ভে করে একটি প্রকল্প তৈরি করে রাজ্য সরকারের কাছে জমা দেন। রাজ্য সরকারও ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য পাঠায়। এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয় ১৪৬০ কোটি টাকা।"
    "উক্ত প্রজেক্টটি বামফ্রন্ট সরকার অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ২০১০ সালে প্রেরণ করে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্প অনুমোদনের প্রশ্নে কয়েকটি টেকনিক্যাল প্রশ্ন তুলে রাজ্য সরকারের কাছে প্রশ্নের উত্তর চায়। এই সময়ের মধ্যেই ২০১১ সালে বামফ্রন্ট সরকারের পতন হয়।"

    বেশ বেশ .... তালে আমরা কি দেখলাম? বামফ্রন্ট ক্ষমতায় এলো ১৯৭৭ সালে। ২০১১ সালে হলো পতন। মানে ৩৪ বছর এর রাজত্ব। এই ৩৪ বছরে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে অনেক কপচানো হলেও তা বাস্তবায়িত হলো না। কেন? বোকা নাকি? সবাই জানে - কেন্দ্রীয় সরকারের ষড়যন্ত্র। চুর চুর ... কেন্দ্র সরকার চুর, আমেরিকা চুর, পুঁজিপতি চুর, সব চুর। তা কংগ্রেস চোর ... তারা বাংলাকে বঞ্চিত করেছে - চলুন মেনে নিলাম। এবার আসি এই ৩৪ বছরের মধ্যে কত বছর এমন সরকার কেন্দ্রে রাজত্ব করেছে যাদের সাথে বামেদের সদ্ভাব ছিল। দেখা যাক -

    ১৯৭৭-১৯৮০ -------- মোরারজি দেশাই, চরণ সিং ........... = ৩ বছর
    ১৯৮৯-১৯৯১ ------- ভি পি সিং, চদ্রশেখর .................... = ২ বছর
    ১৯৯৬ - ২০০৪ ------ বাজপেয়ী, দেবেগৌড়া, গুজরাল ....... = ৮ বছর
    ২০০৪ - ২০০৯ ------- মনমোহন সিং (ইউপিএ ১ ) ............ = ৫ বছর

    তার মানে, ১৮ বছরের মধ্যে একবার ও বামেরা এই 'ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান' কে বাস্তবে রূপায়িত করতে পারেনি কেন্দ্রে বন্ধু সরকার থাকা সত্বেও। একটা লোক, বিনা কাজে দুটি দশক ধরে রাজত্ব করে গেলো ও লিজেন্ড হয়ে গেলো। তার পরে আসা ড্যাস টাও কি ড্যাস করেছে সেটা আজকের ছিঃপিএম হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।

    এবার গণশক্তি লিখছে - "প্রায় ৬ বছর অতিক্রান্ত হতে চলেছে প্রকল্পটি অনুমোদন হওয়ার পরেও রাজ্য সরকার এক টাকাও ‘‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’’-র জন্য দিলেন না। এ হলো নির্মম পরিহাস। তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার আগে স্লোগান ছিল ‘‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’’ হচ্ছে না কেন? বাম সরকার জবাব দাও। আর সরকারে আসার পর স্লোগান ও এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কোন বক্তব্য নেই। কথায় আর কাজে শুধু ভাঁওতা। সমস্ত সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সংস্থার কাছে আবেদন স্বাধীনতার ৬৭ বছর পরেও ‘‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’’ কেন কার্যকরী হলো না এবং ঘাটাল মহকুমায় কেন এক ইঞ্চিও রেললাইন স্থাপন হলো না — এর বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে গর্জে উঠা ও আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানাই।"

    ঠিক কথা ... মমতা ব্যানাজী বাধা না দিলে গর্জে ওঠা যেত ২০১১ তেই। তা এবার এই আবেদন শুনে, এ লেখার তথ্য যদি ভুল না হয়, তাহলে মানুষের সত্যি গর্জে ওঠা উচিত - এই ড্যাস দের পার্টি অফিস, নেতা, কর্মী, সমর্থকদের ওপরে ... তারপর কৈফিয়ত চাওয়া উচিত বর্তমান সরকারের থেকে।

    এই লেখা যাতে জাস্ট একটা নেগেটিভ হেট স্পিচ না হয় ... তার জন্যে 'ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান' এর ব্যাপারে উদ্যোগ, বর্তমান অবস্থা ও সারাভারতের বন্যা পরিস্থিতির লিংক দিলাম। অবশ্যই নিন্দা করুন সরকারের ... কিন্তু ভালো হয় সম+আলোচনা করলে আর তারা করতে পারে যারা ১৮ বছর ধরে ড্যাস ছেড়েনি !!

    (আমি রাজনৈতিক পোস্ট সাধারণত করি না ... আগেও চেষ্টা করবো কম করতে)

    http://ganashakti.com/bengali/news_details.php?newsid=৯৩৪৩২
    এক্জাপাকেজস

    https://ebela.in/state/dev-gives-his-first-speech-in-parliament-dgtl-1.৪৪৭৬৯৩
    https://indiankanoon.org/doc/29300521/
    http://www.thehindu.com/news/cities/kolkata/uma-bharati-lauds-irrigation-department-work-in-bengal/article7830068.এসে
    http://www.business-standard.com/article/pti-stories/dev-to-take-up-in-ls-ghatal-flood-issue-117073000426_1.html
    http://www.india.com/news/india/monsoon-2017-rains-wreak-havoc-in-gujarat-assam-flood-situation-improves-2345458/

    মূল পোস্ট
    https://m.facebook.com/groups/175129282505026?view=permalink&id=1814856158532322
  • নীলাঞ্জন সৈইদ: ১৭ অগাস্ট | 52.***.*** | ১৭ আগস্ট ২০১৭ ১০:১২368362
  • জলের অপর নাম জীবন আবার জলের অপর নাম মৃত্যুও।এরা মৃত্যুকে এত কাছে দেখে যে এ সম্পর্কে ভয় টা উবে যায়।জল টা তখন সামান্যই মনে হয়।
    প্রকৃতির আঘাতে জর্জরিত হয়েও আবার মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে ,আবার লড়াই করে ।
    আমি এই মুহূর্তে বন্যা প্রবণ এলাকায় একটি বাড়ি তে আছি।
    'আমাদের সয়ে গেছে গো।ওসব বন্যা টন্যাকে ক্যারাই না।
    আমরা সকাল থেকে সন্ধে খাটতে পারি।বন্যা হল তো কি হল,কত দিন থাকবে ,একমাস বড় জোর দুই মাস।এখন প্রতিটা বাড়ি পাকা।আমরা ছাদে থাকব।ডোঙা করে যাতায়াত করব।'এক বৃদ্ধ বলছিলেন।..
    আমাদের এখানে যে নদী পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তার নাম দ্বারকা নদী।দুই পাড়ে সারি সারি বাড়ি।মধ্যে দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।
    নদীর জল তীর কে ক্রমশ খেয়ে নিচ্ছে।একটা বিশাল বট গাছ রয়েছে ,অদ্ভুত লাগে দেখতে ,যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেখানে কোন মাটি নেই।একেবারে তলাটা ফাঁকা।গাছের নীচের অংশ দেখার কোন দিন সৌভাগ্য হয় নি।কিন্ত নদীর জলের সৌজন্যে সেটাও দেখলাম। তীরের পায়ের তলার মাটি সরিয়ে দিয়েছে।অজস্র শিকড় ও তার শাখা প্রশাখা নিয়ে গাছ টি দাঁড়িয়ে।মনে হচ্ছে যেন গাছের পরনের পোষাক খুলে দিয়েছে কেউ।খারাপ লাগছিল খুব,গাছের ব্যক্তিত্ব হারিয়ে গেছিল।(এখন অবশ্য এই গাছ টি নেই ভেঙে গেছে।)
    আর একদিন নদীর এপারে আছি।একটি লোক একটি গরু নিয়ে এপারে দাঁড়াল।ওপার যাবে।কোন নৌকা নেই।লোক টা গরু টাকে নদীর জলে নামাল।গরু ভেসে ভেসে যাচ্ছে নদীর মধ্য দিয়ে।লোকটি করল কি,গরুর লেজ ধরল ,ধরে ও ও ভেসে ভেসে চলতে লাগল।ও ওপার যাবে এভাবে।
    যেদিন প্রচণ্ড বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দেয়,,ক্লাশ সিক্স সেভেনে পড়া ছেলেরা রাতে মাঠে চলে যায়,জমিতে 'বিত্তি'রেখে দেয়।বাইরের জলের সাথে মাছ গুলো এসে ঐ 'বিত্তি'তে আটকা পড়ে।
    খুব ভোরে উঠে ছেলে রা যায়,দেখে প্রচুর মাছ আটকা পড়ে আছে।
    একটা অন্য রকমের আনন্দ।
    এই ধরনের জীবন বাকি পৃথিবীর সঙ্গে মিলবে না।

    https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=730339080478331&id=100005067364647
  • অর্ণব রায়:১৬ অগাস্ট ২০১৭ | 52.***.*** | ১৭ আগস্ট ২০১৭ ১৬:২২368363
  • বন্যায় যে পানি আসছে তার ৯৫ শতাংশ ভারত,নেপাল
    ,ভুটান ,চীন থেকে আসা পানি।
    আমাদের বেস্ট ফ্রেন্ড ইন্ডিয়া তিস্তার ৫৪ টি গেটের
    সব গেট খুলে দিছে তাদের বন্যা পরিস্থিতি লাঘবের
    জন্য। সমবন্টন মাই ফুট।
    আমাদের অবশ্য বোরিং ব্যপার নিয়ে আলোচনার সময়
    নাই। আমাদের কাছে বিয়েতে কে কি পড়ছে ,কে কারে
    কালো বন্দুক ঠেকাইছে সেইসব অনেক বেশী আকর্ষণীয়
    এবং ইম্পরটেন্ট।
    শুকনো মৌসুমে অধিকাংশ পানি আটকে রেখে আর বর্ষা
    মৌসুমে অধিকাংশ পানি ছেড়ে দিয়ে ভারত আমাদের
    সাথে বছরের পর বছর যে অন্যায় করছে সেটার প্রতিবাদ
    করার মত ঠেকা বা সময় কোনটাই আমার নাই।
    কারণ আমরা বন্যা আক্রান্ত না। আমরা উচু উচু বিল্ডিং এ
    থেকে উচু উচু বিষয়ে আলোচনা করি। সমাজতন্ত্র
    ,সামাজিক সংস্কার ,নারীমুক্তি ,পুরুষতন্ত্র ,নারীদের
    পোশাক ইত্যাদি হাইপোথেটিকাল আলোচনার মাঝে
    তিস্তা কিংবা ফারাক্কা নিয়ে আমাদের মধ্যে কোন
    আলোচনা হয়না।
    নেপালের অভ্যন্তরীন বিষয়ে ভারত হস্তক্ষেপ করায়
    নেপালের সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল।
    ইন্ডিয়ান চ্যানেল দেখানো বন্ধ করে দিয়েছিল
    নেপালের কেবল অপারেটররা। পলিটিশিয়ানরাও এক
    হয়ে গিয়েছিল।
    এইসব আমাদের মধ্যে কখনো দেখবেননা। আমরা
    ইন্ডিয়াকে গালি দিব। কি নিয়া? ক্রিকেট নিয়া।
    যেটার আসলে কোন গুরুত্বই নাই।
    আসলে আমাদের পেছনের মেরুদন্ডটা নাই হইয়া গেছে।
    আমাদের মেরুদন্ডটা রাবারের মত ফ্লেক্সিবল হইয়া
    গেছে।
    এমন ফ্লেক্সিবল মেরুদন্ড নিয়া ভারতের মত বিরাট দেশ
    কি, মায়ানমাররেও কিছু বলার হ্যাডম আমাদের নাই।
    বাই দা ওয়ে একটা দেশ ততদিনই স্বাধীন থাকে যতদিন
    তার পেছনে মেরুদন্ডটা শক্ত থাকে।
    https://m.facebook.com/groups/175129282505026?view=permalink&id=1819252651426006
  • সিকি | 158.168.***.*** | ১৭ আগস্ট ২০১৭ ১৬:৪৫368364
  • এটা কি টই না প্রফেশর শঙ্কুর ডায়েরি?
  • | 52.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০১৭ ২২:৪১368365
  • :-)
    আসলে তাড়াহুড়োর মধ্যে ঠেসে দেওয়া, চোখে পড়া লেখার সংকলন কিনা। তাই এতো অগোছালো ঠেকছে। কেউ যদি আর্কাইভিংএর একটা বেটার পন্থা বলতে চান বলুননা। পরে গুছিয়ে প্রকাশ করার সময়, যদি করা হয় আর কি,তাহলে তখন সুবিধে হবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন