কেউ হয়তো বিশ্বাস করবে না,ভাববে বানিয়ে বলছি।কিন্তু আমি এই কবিতাটা,অন্তত আমার লেখা নিরানব্বই শতাংশ কবিতা আমি কোনোদিন আগে থেকে ভেবে লিখিনি।এই কবিতাটা যেন শূন্য থেকে উদয় হল।
ব্যাপারটা হচ্ছে,আমি বসে বসে পর্ণ সার্চ করছিলাম।তখন প্রথম লাইনটা মাথায় এল। ডাউনলোডে বসিয়ে লিখতে আরম্ভ করলাম।পরপর আসতেই থাকল,লিখতেই থাকলাম।লেখা শেষ হওয়ার পরে দেখি,মোটামুটি একটা দাঁড়িয়ে গেছে। চ্যাট জিপিটি আর গ্রককে দিয়ে একটা রিভিউ করিয়ে নিলাম। ততক্ষণে একটা ফাইল ডাউনলোড হয়ে গেছে।আমার লেখাও রেডি।
কতক্ষণ ওর বাসায় কোনো আলো নেই!
কিচ্ছু না,ভবিষ্যতের আলোও না।
ওর মা শুধু গতবছর বৈশাখ মাসের তেত্রিশ তারিখে নিজের শাড়িখানার উপর আতস কাঁচ ধরেছিল,
তা রাত পর্যন্ত চলে না বলে,
ওর সমস্ত ডিগ্রির কাগজ,জমির দলিল সব দিয়েছিল একে একে।
তাও সেদিন সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে শেষ।
তারপর আর কোনো আলো নেই,
কোনো আশা নেই।
যে শরীর শুধু ওর বাবা দেখেছিল এতদিন,
সেদিন ও দেখেছিল।
ভুল বলা হল,
এরা আগে আরও কুড়িজন দেখেছিল,
তারা সবাই মিলে গণধর্ষণ করেছিল ওর মাকে।
তখন ও খুব ছোট।
ওর ইচ্ছা হয় মাঝে মাঝে,
সেদিন কিরকমভাবে ওরা ওর মায়ের কাপড় ফালাফালা করেছিল দেখতে।
কিন্তু ভেতর থেকে কে একজন ধমক দেয়,"মা হয়!"
ও কিল সুইচটা টিপে দেয়।
ওর বাবার খুব বিড়ির নেশা,
সেই বিড়ি খাওয়া কিন্তু বন্ধ হয়নি,
কিন্তু তাকে ঠিক আগুন বলা যায় না,
গাজর বলা চলে যদিও।
মালটাও টেঁসে গেল শেষ পর্যন্ত গতকাল।
কি কাশাই না কেশেছিল শুয়োরের বাচ্চাটা।
ওর মনে হয়,
ওর বাবা কি কাপুরুষ?
কিন্তু ওই অবস্থানে থেকে ও নিজেও কি পারত
-প্রতিবাদ করতে,খাটতে,নিজেকে সমাজের উঁচু মহলে নিয়ে যেতে,
নিজের স্ত্রীকে ধর্ষিত হওয়া থেকে বাঁচাতে?
প্রতিবারে একটা বসে যাওয়া জরাজর্জরিত কন্ঠ অস্পষ্ট স্বরে কী বলেছে,
ও শুনতে পায়নি।
কিন্তু ও নিজেকে বলেছে,ওটা বলছে,"পারতে।"
মেনে নিয়েছে।
এখন সামনে শুধু অন্ধকার,
ওর বাবার মৃতদেহ যখন সৎকার করা হল,
সেটাও অন্ধকারেই,
সেখানে কে একজন ওর কানে কানে বলল,"এখন তো তুই ঘরের কর্তা?
তোর মাকে পাঠাবি,আলো দেব একঘন্টা।"
ও কালক্ষেপ না করেই বলল,"পাঠাব,দুঘন্টা দিতে হবে।"
সে বলল,"বুড়ি মাল,দুঘন্টা হবে না।তবে তোকে চিনি,অমুক মারানীর ছেলে,তোর মুখ চেয়ে দেড়ঘণ্টা দেব।"
ও হ্যাঁ বলে দিয়েছে।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।