এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বাম দলগুলির থেকে ডান দলগুলির পার্থক্য ক্রমেই কমে আসছে

    Bhutanoya লেখকের গ্রাহক হোন
    ২২ এপ্রিল ২০২৫ | ৭৮৪ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • কেন্দ্র-রাজ্যে দুই ডানপন্থী দলের উৎপাতে রাজ্যের লোকের নাভিশ্বাস। এসময়ে বামেরা কী করছেন?

    কলকাতা শহরে পর পর কয়েকটি বড় আন্দোলন হয়েছে - এস এস সি পরীক্ষার্থীদের আন্দোলন, এন আর এসে জুনিয়র ডাক্তারদের মার খাওয়ার পরে ডাক্তার ধর্মঘট, এন আর সি বিরোধী আন্দোলন, তিলোত্তমা ধর্ষণ ও হত্যার পর জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন, এবং বর্তমানে কর্মচ্যুত শিক্ষকদের আন্দোলনও দানা বাঁধছে। এর মধ্যের প্রতিটিতেই বিভিন্ন বাম সংগঠন যুক্ত ছিলেন। কিন্তু, এই আন্দোলনগুলির চরিত্র, এবং বাম দলগুলির এই আন্দোলনগুলিতে ভূমিকা নিয়ে কয়েকটা জিনিস লক্ষ্যণীয় - এক, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছোটবড় নীতিহীনতা, এবং দুই, আর্থসামাজিকভাবে দুর্বল অংশের দাবিদাওয়াকে আন্দোলনে একেবারেই তুলে না ধরা।

    পশ্চিমবঙ্গে এন আর সি বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থাকলেও, আসামে এন আর সি নিয়ে বাম দলগুলির কিন্তু অন্য অবস্থান ছিল। সেখানে সম্ভবত পিসিসি-সিপিআইএমএল বাদ দিলে সিপিএম-সিপিআই-সিপিআই এম এল লিবারেশন-নিউ ডেমোক্র্যাসি ইত্যাদি প্রায় সব বাম দলই ঘোষণা করেছিল, তারা একটি 'শুদ্ধ এন আর সির' পক্ষে। 'এন আর সি চাই না' - এই অবস্থান আসামে জোরগলায় অধিকাংশ দলই নেন নি। এক্ষেত্রে তাঁদের অবস্থানের সাথে ডানপন্থী অবস্থানের বিশেষ পার্থক্য নেই, ডানপন্থীরাও কিছু ভ্যাজাল এন আর সি দাবি করেনি। কিন্তু এন আর সি প্রক্রিয়ায় যে অসংখ্য লোক বাদ যাবেন, এতে কোনও সন্দেহ শুরু থেকেই থাকার কোনও কারণ ছিল না। এবং দেশভাগের দুর্ভাগারা শুধু নন, এতে আসামের বিপুল বন্যাকবলিত অংশ, যাঁদের ঘরদোর (এবং কাগজপত্র) প্রতি বছর বন্যায় ভেসে যায়, তাঁরাও যে বাদ পড়বেন, এটাই প্রত্যাশিত। আসামের কুখ্যাত ডি-ভোটার হিসেবে দেগে দিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর প্রক্রিয়ার ভুক্তভোগী আসামের নিম্নবর্গ। তার পরেও, একটি এন আর সি প্রস্তুতির পাশে থাকবেন বলে এই দলগুলি ঘোষণা করেছিলেন। রাজনৈতিক সুবিধাবাদের জন্য ঠিক কতবড় নিষ্ঠুর একটি প্রক্রিয়াতে জেনেশুনে অনুমোদন দিল এই দলগুলি, সেটা এন আর সি প্রস্তুতি এবং তার ফলাফল যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা জানেন।

    ২০১৯ সালে এন আর এসে জুনিয়র ডাক্তার ও পেশেন্টের আত্মীয়-পরিচিতদের মধ্যে মারামারির পর জুনিয়র ডাক্তাররা নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন করেন। ডাক্তাররা ধর্মঘট করেন, শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রীর সাথে এক বৈঠকের পর সেই ধর্মঘট ওঠে। মারামারির সূত্রপাত নিয়ে দুজন জুনিয়র ডাক্তার একটি ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, তাঁদের সাথে পেশেন্টের বাড়ির লোকেরা দুর্ব্যবহার করেছিল পেশেন্টের মৃত্যুর পর, তাই তাঁরা বলেছিলেন, যারা দুর্ব্যবহার করেছেন তাঁরা যতক্ষণ না ক্ষমা চাইছেন, ততক্ষণ তাঁরা মৃত পেশেন্টের বডি ছাড়বেন না। বিকেল ৫-৬টায় শুরু হওয়া এই ঝামেলা চলে প্রায় রাত ১১টা পর্যন্ত, তারপর দুপক্ষে মারামারি। এবার, মারামারি নিশ্চয়ই কাম্য নয়। কিন্তু এভাবে বডি আটকে রাখাটাও যে একটা বড়সড় অপরাধ, চাইলেই যে এসব করা যায় না, সেব্যাপারটা এই আন্দোলনকারীরা বেমালুম চেপে গেলেন। আন্দোলনকারীদের একাংশ মিথ্যা প্রচার করলেন এই বলে, যে তাঁরা পোস্টমর্টেম করার জন্য বডি রেখেছিলেন। পেশেন্টের পরিবার শুরু থেকেই বলে আসছিলেন, ডাক্তাররা বডি আটকেছিলেন, কিন্তু গরীব মুসলমানের কথার দাম বাম দলগুলির কাছেও নেই। পেশেন্টের পরিবারের লোকজনের জেল হল, তাঁদের পাশে একটি বাম দলও দাঁড়ালো না। যে ডাক্তাররা এই কাজ করেছিলেন, তাঁদের শাস্তির দাবি একটি দলও তুলল না।
     
    ওপরের দুটি ঘটনা একসাথে নীতিহীনতা এবং আর্থসামাজিকভাবে দুর্বল অংশটির বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর উদাহরণ। তার সাথে রয়েছে একটি বিচিত্র ঘটনা - শিক্ষা-স্বাস্থ্যের সার্বজনীন অধিকার এবং অ্যাক্সেস এতদিন বামেদের একটা বাঁধা অ্যাজেন্ডা ছিল। সেই অ্যাজেন্ডা বামেদের আন্দোলন থেকে উধাও। এস এস সি পরীক্ষার্থীদের চাকরির আন্দোলনে বহু মানুষের উদাসীনতার একটা কারণ কান পাতলে প্রায়ই শোনা যায়, সরকারী শিক্ষার মান যেখানে, তাতে ও দিয়ে কারও কোনও লাভ হয় না। সেখানে লোকের চাকরি হল কি না হল তাতে বাকীদের কী আসে যায়? খামোখা পয়সা দিয়ে শিক্ষক পুষে কী হবে, যে শিক্ষকরা নিজেরাই নিজেদের ছেলেপুলেকে নিজেদের স্কুলে পাঠাবেন না? এবং, এই অভিযোগ অসত্য নয়, যে একটু পয়সা থাকলেই আর কেউ সরকারী স্কুলে বাচ্চাকে পড়াতে চান না। কিন্তু তার পরেও একটা বিপুল সংখ্যায় ছাত্রছাত্রী সরকারী শিক্ষাব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল, কারণ তাদের বেশীরভাগের বাড়ির লোকেরই বেসরকারী শিক্ষাদানের সামর্থ্য নেই। এই ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার মানোন্নয়ন নিয়ে এদের শিক্ষক-শিক্ষিকারা একটি আন্দোলনও করেননি। সরকারী স্কুলে পরিকাঠামোগত ঘাটতি নিয়ে একটি আন্দোলনও হয়নি। শিক্ষার মান নিরপেক্ষভাবে ছাত্রকে বয়স অনুযায়ী ক্লাসে পড়তে হবে, সে ওই ক্লাসের পড়া বুঝুক বা না বুঝুক - এই সরকারী নিয়ম বহু ছাত্রের সাক্ষর হওয়ার সুযোগটুকু নষ্ট করে দিয়েছে। শিক্ষকশিক্ষিকারা দেখেছেন, কিছু বলেননি। নিরক্ষর বাবা-মায়ের পক্ষেও কী কী পাওয়া উচিত তা জানা মুশকিল। তাঁরাও সংগঠিত নন। বাম দলগুলির শিক্ষকদের মধ্যে সংগঠন আছে। অভিভাবকদের সংগঠিত করেও শিক্ষার মানোন্নয়নের দাবিতে আন্দোলন তৈরি করার চেষ্টা করতে পারত দলগুলি। সেসব চেষ্টা দেখা যায়নি। যে শিক্ষাব্যবস্থার ওপর সামাজিক নির্ভরশীলতাই কমে আসছে, সেখানে শিক্ষকনিয়োগের আন্দোলনে সামাজিক অংশগ্রহণের অভাব মেটাবার একটাই উপায়, সেই নির্ভরশীলতার জায়গা যাতে ফিরে আসে তার ব্যবস্থা করা, শিক্ষাব্যবস্থাকে ফ্লেক্সিবল করা, পরিকাঠামোর উন্নতির দাবি করা, এলাকায় এলাকায় ভাল লাইব্রেরি তৈরির দাবি করা, স্কুলে পড়াশোনার মান অনুযায়ী ক্লাসে ভর্তি হতে দেওয়া, পুষ্টিকর মিড-ডে মিলের ব্যবস্থার দাবি করা। এই দাবিগুলোর ওপরে ভিত্তি করে কোনও ব্যাপক প্রচার বা আন্দোলনের অস্তিত্ব নেই বাম দলগুলির আন্দোলনের মধ্যে।

    বামেদের জনভিত্তির আর্থসামাজিকভাবে দুর্বল অংশটি তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন হামলার মুখে পড়েন। তাঁদের মধ্যে অনেকে খুন হয়েছেন। সদ্য সামশেরগঞ্জে সিপিএম করতেন এরকম এক বাবা ও ছেলে খুন হয়েছেন। সিপিএমের একাংশ প্রচার করছেন, তাঁরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা রোখার চেষ্টা করেছিলেন বলে খুন হয়েছেন। যদি তা নাও হয়, এরকম একটি বীভৎস ঘটনায় ওই বাবা-ছেলে যে দল করতেন তারা একটি বিবৃতি দিয়েই কাজ সারবে? তারা প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের দলের মৃত এবং অত্যাচারিতদের নিয়ে ক্যাম্পেন করবে না কেন, মিটিং-মিছিল ডেকে জনমত গঠন করার চেষ্টা করবে না কেন, এ আমার বোধের অগম্য। দল বাঁধার একটা উদ্দেশ্যই হল আক্রান্ত হলে পাশে পাওয়ার লোক থাকবে। সেক্ষেত্রে এই উদাসীনতার কারণ হিসেবে একটাই মনে হয় - আর্থসামাজিকভাবে দুর্বল জীবনের দাম দলটির কাছে অল্প, সে জীবন দলটির সদস্যের হলেও। মৃতদের পরিবারটি সরকারী সাহায্য প্রত্যাখ্যান করেছেন। সিপিএমের অনেকে সেটাকে গর্বের সাথে প্রচার করছেন। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন সাধারণভাবে আক্রান্তের পরিবারের জন্য সরকারী সাহায্যের দাবি করে এসেছেন এইজন্যই, যে আক্রান্তের পক্ষের আইনী লড়াই খরচসাপেক্ষ, এবং যদি কেউ ক্ষমতাশালীর বিরুদ্ধে যান, তাঁদের আর্থসামাজিকভাবে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। সেখানে সিপিএমের অনেকে এরকম হাবভাব করছেন, যেন সরকারী সাহায্য নেওয়ার অর্থ বিকিয়ে যাওয়া। এঁরা ঠিক কতটা বাস্তববিচ্ছিন্ন?

    একইরকম কথা বলা যায় তিলোত্তমা ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে আন্দোলনটির ব্যাপারে। ঘটনাটি বীভৎস, আন্দোলনের দাবিটি ন্যায্য। কিন্তু, বাম দলগুলির থেকে যেটা প্রত্যাশিত, সেটা হল কোনও আন্দোলনকে তার ইমিডিয়েট লক্ষ্যের সাথেও তার বৃহত্তর বাস্তবতার সাথে জোড়া। এবং এখানে একটি বৃহত্তর বাস্তবতা হল, সরকারী স্বাস্থ্যব্যবস্থার ভগ্নদশা, রোগীদের সাথে হেনস্থার নর্মালাইজেশন, এবং ওষুধ থেকে শুরু করে বেড পাওয়া, দেখভাল ইত্যাদি প্রতি স্তরে দুর্নীতি। হাসপাতালে দুর্নীতির সবচেয়ে বড় শিকার রোগীরাই। শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য - দুইক্ষেত্রেই বাম দলগুলি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য যাঁদের জন্য, সেই উপভোক্তাদের কথাটি মাথায় রাখতে সচেতনভাবে ভুলে গেছেন। এই ভুলে যাওয়া শিক্ষক সংগঠন বা ডাক্তার সংগঠনের থেকে অপ্রত্যাশিত নয়, কারণ উপভোক্তা সচেতন বা সংগঠিত হলে এঁদের মধ্যে যাঁরা দুর্নীতিগ্রস্ত তাঁদের সমস্যা। কিন্তু বামেদের থেকে আরেকটু বেশী প্রত্যাশা থাকে - তাঁরা বাম বলেই। সম্ভবত এটাই বুঝে নেওয়ার এই মুহূর্তে, যে এ শহরে বাম বলে কিছু আর নেই।

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাপাঙ্গুল | 103.87.***.*** | ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ০১:০৩542575
  • yes
  • কৌতূহলী | 115.187.***.*** | ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ২১:৩৯542628
  • একদম একমত। সমস্যা হচ্ছে , বামদলগুলোর মধ্যবিত্তসুলভ লিডারশিপ। সিপিএমে শ্রমিক কৃষক সংগঠন ভাল আছে , কিন্তু সেগুলোর লিডার হয়ে বসে আছে মধ্যবিত্তরা। গোটা পার্টি পলিটব্যুরোতেও ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা লোকেই বেশি। শ্রমিক কৃষকরা লিডারশিপে না এলে মধ্যবিত্ত ঝোঁক বাড়বেই। যার ফলশ্রুতি আপনি যেগুলো লিখেছেন সেগুলো। আর এখন বাম পরিবৃত্ত শুধু মধ্যবিত্ত না , উচ্চশিক্ষিত এবং সফল মধ্যবিত্তের দাপট। ফলে যা হয়। আর সিপিএম বাদে বাকি যে বামদলগুলো আছে , তাঁরা স্টুডেন্ট পলিটিক্স দিয়ে শুরু করে আর সিপিএমকে কাঠি করে শেষ করে। কাজেই তাঁদের থেকে আশাও নেই , তাঁদের নিয়ে আশঙ্কাও নেই
  • চন্দন প্রামানিক | 2405:201:8010:7902:556f:7ccb:56f6:***:*** | ৩০ জুলাই ২০২৫ ১০:১৫732831
  • লেখায় আসামে এন আর সি প্রসঙ্গে সিপিআই (এম-এল) নিউ ডেমোক্রেসির যে অবস্থানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা একেবারেই মিথ্যা, ভুলভাল। যদি না হয় তাহলে নির্দিষ্ট তথ্যসূত্র দিন।
  • Bhutanoya | ৩০ জুলাই ২০২৫ ১৪:৩৬732834
  • @চন্দন প্রামানিক,
     
    পশ্চিমবঙ্গে বড়সড় এন আর সি আন্দোলন শুরু হওয়ার আগে আপনার দলের অবস্থান শুদ্ধ এন আর সির পক্ষেই ছিল। এন আর সি আন্দোলন পশ্চিমবঙ্গে বড় করে শুরু হয় ২০১৯শের ডিসেম্বরের শুরুতে। তার আগে পর্যন্ত আপনাদের যা যা স্টেটমেন্ট বেরিয়েছে, তাতে কোথাও লেখা নেই, এন আর সি প্রক্রিয়াটাই বাতিলযোগ্য। বরং কি লেখা আছে সেটা আমি এখানে তুলে দিচ্ছি লিঙ্কসহ, পাঠকরা পড়ে বিচার করে নেবেন।

    "Supreme Court which had mandated the updating of NRC must rise to the occasion to ensure that poor sections are not harassed. People should not be asked to again submit the documents, they have done so at great pains. The officials should be instructed to verify these documents by visiting them in their homes and villages. Moreover, nobody should be allowed to be harassed. *Supreme Court should set aside the final draft and instruct the officials to prepare the new list settling all claims and objections*. Even those who are not included in the NRC should not only be given fullest opportunity to prove their case, they should be afforded an opportunity to pursue their vocations. It is the duty to treat them in humane manner and respect their democratic rights." (highlights mine)

    https://www.cpimlnd.org/nrc-assam-communal-drive-of-fascists-feeds-on-linguistic-and-ethnic-divide/

    "CPI(ML)-New Democracy demands that human and legal rights of those not included in the final NRC be protected while Supreme Court should devise appropriate mechanism to give them proper opportunity to make their claims. Supreme Court should ensure that these people are not harassed or subjected to any ill-treatment and their rights to their means of livelihood and habitat are protected."

    https://www.cpimlnd.org/statement-on-publication-of-final-nrc/
  • Bhutanoya | ৩০ জুলাই ২০২৫ ১৪:৫২732835
  • For the Tl;dr people, the most illustrative sentence in the quoted part is "Supreme Court should set aside the final draft and instruct the officials to prepare the new list settling all claims and objections", which translates as "prepare a better list, but prepare a list nonetheless".
  • Ranjan Roy | ৩০ জুলাই ২০২৫ ২২:৩৭732843
  • Bhutanaya 
    আপনার বক্তব্যের সঙ্গে একমত l
  • চন্দন প্রামানিক | 2409:4088:9cc6:3691:7055:53f9:f011:***:*** | ৩১ জুলাই ২০২৫ ১২:৫৪732857
  • লেখক কি জানেন না যে Assam NRC( নাগরিক  পন্জী)রবিষয়টি ১৯৮৫ সালে 
    রাজীব গান্ধীর সঙ্গে AASU র 'অসম চুক্তি'র সঙ্গে জড়িত ছিল।সেই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ র লেখাটি এসেছে। অসম চুক্তির মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে লেখক পাশ কাটিয়ে আসাম NRC আন্দোলন সম্পর্কে মত দিচ্ছেন!২০১৮ সালে নিউ ডেমোক্রেসির অবস্থান সে পরিপ্রেক্ষিতে এসেছে।
    এরপরে রাজ‍্যসভায় অমিত শাহ দেশজুড়ে NRCর ঘোষণা করলে পরে 2019 নভেম্বরে আমরা NRC র বাতিলের দাবি তুলি। 
    পরিপ্রেক্ষিতহীন উদ্ধৃতিকে ভুলভাবে ব্যবহার না করাই ভালো।
  • Bhutanoya | ৩১ জুলাই ২০২৫ ১৮:২৫732864
  • @চন্দন প্রামানিক
     
    তা আপনিও তো স্বীকার করছেন, যে আসামে আপনাদের অবস্থান আমি যা লিখেছি তাই-ই ছিল। শুধু আপনি সেটাকে জাস্টিফাই করছেন আসাম চুক্তির কথা তুলে। আসাম চুক্তির বিল আসামের বাঙালী এবং দরিদ্র অংশকে ধরানোকে যার বামপন্থা মনে হয়, তার সাথে আমি আর কথা বাড়াতে চাই না।
  • Ranjan Roy | ৩১ জুলাই ২০২৫ ১৮:৫৩732865
  • সঠিক, রাজীব গান্ধী ওই চুক্তিতে সই করেছিলেন তাই সেটা পবিত্র হয়ে গেল? 
  • চন্দন প্রামানিক | 2409:4088:9cc6:3691:2468:3ac2:13ad:***:*** | ৩১ জুলাই ২০২৫ ২৩:২৫732873
  • ঠিকই বলেছেন কথা না বাড়ানোই ভাল । আপনি পরিপ্রেক্ষিতহীন উদ্ধৃতি দিয়ে  আর সেই সঙ্গে বিকৃত ব‍্যাখ‍্যার টিপ্পনি সহ আপনার বক্তব্য জাস্টিফাই করার চেষ্টা করছেন । চালিয়ে যান।
  • চন্দন প্রামানিক | 2409:4088:9cc6:3691:2468:3ac2:13ad:***:*** | ৩১ জুলাই ২০২৫ ২৩:২৭732874
  • রাজীব গান্ধী চুক্তি করেছে বলে আসাম চুক্তি পবিত্র হয় নি। ৮০ র আসামের আন্দোলন আসাম চুক্তির ভিত্তিতে স্থগিত হয়েছিল সেখাতে নাগরিক পন্জীর প্রসঙ্গ এসেছিল তার Assam NRC র প্রেক্ষাপট এটাই।দেশজুড়ে CAA NRC র সঙ্গে তার সম্পর্ক আছে আবার বিশিষ্টতাও আছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন