এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বিচকে - ৩

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৮ মার্চ ২০২৫ | ৮২ বার পঠিত
  • | |
    ( ৩ )

    সে বিচকের শরীরের দোলা দেখে ভেবে নিল নিশ্চিতভাবে আউটসাইড ডজ করবে এবং প্রতিবর্তী প্রতিক্রিয়ায় সেই দিকেই হেলে গেল তার শরীর কারণ বিচকের বাঁ পায়ে ছিল বল। তাই স্টপারটার মনে হল নিশ্চয়ই বাইরে দিয়ে বেরোবার চেষ্টা করবে বিচকে। বিচকে কিন্তু ডান পায়ে বল নিল না। বাঁ পা দিয়েই ইনসাইড ডজ মারল। তারপর চার পা ঢুকতেই ছ গজের বক্সের মাথায় ....। গোলকিপারের কোনদিকেই যাবার নেই।সে লাইনের মাঝামাঝি জায়গায় দাঁড়িয়ে শটটা আসার প্রতীক্ষা করছে। শরীর ছোঁড়ার জন্য তৈরি। কিন্তু বিচকের নাচাবার নেশা লেগেছে। সে কোন শট নিল না। সে গোলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। গোলকিপার এবার বল লক্ষ্য করে ঝাঁপ মারল। বিচকে আবার সরীসৃপের মতো পিছলে গেল মাটিতে পড়ে থাকা গোলকিপারের পাশ দিয়ে ডান পায়ে ছোট্ট ইনসাইড করে। সামনে শুধু গোলের জাল। বিচকে বলে টোকা মারল না। পায়ে বল নিয়ে গোলের মধ্যে ঢুকে গেল। পুরো ঘটনাটা ঘটতে লাগল মাত্র ষোল সেকেন্ড।
    মাঠে প্রায় তিনশো লোক জমেছে। তারা ওইটুকু ছেলের স্কিল দেখে হাঁ হয়ে গেল। তুমুল হাততালি দিতে দিতে নানারকম হর্ষধ্বনি করতে লাগল।

    বাহরিনের ছেলেগুলো এবার বিপদের গন্ধ পেয়ে মরীয়া হয়ে পা চালিয়ে খেলতে শুরু করল।পাঁচ মিনিটের মধ্যে ওদের তিনজন হলুদ কার্ড দেখল। খেলা শেষ হতে আর তিন মিনিট বাকি। বিচকে ঠিক একই জায়গায় আবার একটা বল পেল আঠারো গজের মধ্যে। একজনকে ছোট একটা ড্রিবল করল। দ্বিতীয় ডিফেন্ডার ভুক্তভোগী। সে এবারে আর কোন ঝুঁকি নিল না। বিচকের গোড়ালিতে পা চালাল। বিচকে মুখ থুবড়ে পড়ে গেল। ভাবার কিছু ছিল না। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টি দিয়ে দিলেন।
    ওই দক্ষিণদিকে, আগে যেখানে রামপার্ট ছিল সেদিকে বাহরিনের গোলপোস্ট। পশ্চিম দিকে আকাশ লাল করে সূর্য অস্তাচলে যাচ্ছে।
    তপনজ্যোতি দত্তর বুকের ভিতর মাদল বাজতে লাগল।
    বল বসানো হচ্ছে পেনাল্টি স্পটে।
    তপনবাবু ভাবলেন, জীবনবৃত্তের লাস্ট ল্যাপ চলছে তার। চকিতে একটা বিদ্যুৎগতির স্প্রিন্ট টেনে সবার আগে ফিনিশিং লাইন ছুঁয়ে ফেলার একটা গোধূলি মায়ার মতো ধোঁয়াটে স্বপ্ন আচ্ছন্ন করে ফেলল তপনজ্যোতিকে। বুকের মধ্যে গুরুগুরু মেঘের ডমরু কেঁপে কেঁপে উঠতে লাগল। শেষের দিনে সব পাওয়া আর রিক্ত হাতে নতমস্তকে হারিয়ে যাওয়া এ দুইয়ের মাঝখানে একটা পেনাল্টি শট।
    তপনজ্যোতি চেঁচিয়ে নির্দেশ দিলেন — ‘ সুখবীর কিক নে ....সুখবীর....। বিচকে ...তুই মারিস না।’
    তপনবাবু জানেন তার দলে সবচেয়ে দক্ষ পেনাল্টি শুটার পাঞ্জাবি ছেলে সুখবীর সিং। তিনি জানেন বল প্লেয়াররা সাধারণত ভাল পেনাল্টি শুটার হয় না। তাই বিচকেকে নিতে দিলেন না।
    সুখবীর বল বসিয়ে একবার আকাশের দিকে তাকাল। মনে মনে বিড়বিড় করে কি বলল। তারপর তিন পা হেঁটে, চার পা ছুটে ডান পায়ে শট নিল — উঁচু শট, গোলপোস্টের ডানদিকের কোণে।গোলকিপার ঝাঁপাল উল্টোদিকে।

    খেলা শেষ হতে আর এক মিনিট বাকি। তাছাড়া সংযুক্ত সময় কিছু হতে পারে। সেটাও হয়ত মিনিট তিনেক হবে। তপনবাবু জানেন এই সময়টায় বাহরিন মরণপণ ঝাঁপাবে। তিনি সবাইকে নীচে নামিয়ে টিম আল্ট্রা ডিফেনসিভ করে দিলেন। আক্রমণের ঝড় আছড়ে পড়তে লাগল অতিরিক্ত সময়ে। অ্যাডেড টাইম শেষ হতে আর চল্লিশ সেকেন্ডের মতো বাকি। ইয়োলোর ছেলেগুলো ক্লান্তিতে নুয়ে পড়ছে। শরীর আর বইছে না। বাহরিন এই মোক্ষম সময়ে একটা কর্নার কিক পেল। তপনজ্যোতির বুকের ভেতর কে হাতুড়ি পিটতে লাগল।জীবন আর মৃত্যুর মধ্যরেখায় দাঁড়িয়ে থাকা কোন দুর্গম পর্বত অভিযাত্রীর যেমন ঘটে।

    ওদের যে ছেলেটা কর্নার নিচ্ছিল সে যে ভীষন স্নায়ুচাপে কাতর ছিল সেটা তার শটটা দেখেই বোঝা গেল। কর্নারটা হল বিরাট লম্বা এবং আউটসুয়িং করে গোললাইনের বাইরে বেরিয়ে গেল। অতিরিক্ত উত্তেজনার ফল। তপনবাবুর বুক থেকে পাথর নেমে গেল।
    গোলকিক নেবার সঙ্গে সঙ্গে রেফারি খেলা শেষ করে দিলেন।

    আলো ঝলমলে মাঠ।চারদিকে নানা রঙের পতাকা সান্ধ্য হাওয়ায় পতপত করে উড়ছে। যে কজন দর্শক খেলা দেখার টানে এসেছিল তারা অনেকে মাঠ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে।কেউ কেউ এখনও দাঁড়িয়ে
    ‘ বেঁটে মতো ছেলেটা’র ‘পায়ের কাজ’-এর তারিফ করছে। ছেলেরা ক্লান্তির ভারে মাঠে বসে পড়েছে। কেউ কেউ শুয়ে পড়েছে। তপনজ্যোতি দত্ত মাঠের মধ্যে গিয়ে দাঁড়ালেন। তারাভরা আকাশের দিকে নির্নিমেষে তাকিয়ে রইলেন বুড়ো তপন দত্ত। জীবনের শেষ পাক দৌড়তে থাকা একটা জীর্ণ মানুষ সামনে সম্মানজনক আলোকোজ্জ্বল ফিনিশিং পয়েন্ট দেখতে পাচ্ছেন।

    সুভাষনগরের বস্তীতে পৌঁছতে পৌঁছতে সেই রাত নটা বাজল।অন্য ছেলেদের রায়পাড়ার মাঠে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।ওখান থেকে যে যার বাড়ি চলে গেল। সুভাষনগর কলোনিতে ঢোকার মুখে তপনজ্যোতির মোবাইল বেজে উঠল। তপনবাবু ফোন তুললে ওদিক থেকে সিদ্ধার্থর গলা ভেসে এল — ‘ তপনদা কনগ্র্যাচুলেশান .... খবর পেয়ে গেছি .... ব্যস এবারে আর চিন্তা কি ? এবার কনসেনট্রেট করুন টুর্নামেন্টটা জেতার জন্য।আপনি একটা দারুন অ্যাসেট পেয়েছেন সত্যি..... ওই যে বিচকে না কি নাম .... ঠি ক আছে .... কাল দেখা হবে .... আপনার বাড়ি যাব....’

    বিচকের মা সন্ধ্যামণি বিষণ্ণ মুখে বলল, ‘ মুখার্জী বৌদি অন্য লোক রেখে নিয়েছে। এতদিন কামাই হয়ে গেল..... এখন ওইরকম মোটা টাকার কাজ এখন কোথায় পাই। ‘ তারপর বিচকের বাবা সিদ্ধেশ্বরের দিকে দেখিয়ে বলল, ‘ এ লোকটা তো একেবারে অকর্মন্য। আমি বসে গেলে গোটা সংসার না খেয়ে মরবে।
    তপনবাবু বলললেন, ‘ না দিদি, আমরা কজন আর না খেয়ে মরব না .... বিচকে আমাদের খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেছে শক্ত জমিতে। মুখার্জি বৌদিকে আর দরকার নেই।’
    সন্ধ্যামণি বলল, ‘ বিচকে ভাল খেলেছে বাবু ? ‘
    তপনজ্যোতি মৃদু হেসে বললেন, ‘আমি কোন বাবু নই দিদি .... আপনি রত্নগর্ভা।বিচকে আমার অন্ধকার রাস্তায় একটা বাতি জ্বেলে দিল।’
    সন্ধ্যা জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তপনজ্যোতির দিকে তাকিয়ে রইল। বলল, ‘ মানে ? ‘
    তপনবাবু বললেন, ‘ মানেটা তো আমিও খুঁজছি।’
    সিদ্ধেশ্বর যথারীতি ভ্যাবলামুখে তাকিয়ে রইল।
    রাস্তায় নেমে বাড়ির দিকে হাঁটতে লাগলেন তপনজ্যোতি। তার মনের গভীরে একটা ফোন কলের প্রতীক্ষা জেগে বসে আছে। কলারের নাম মাথার চুলে রূপোলি ঝিলিক পড়া নন্দিতা চৌধুরি। তারপর তপনজ্যোতি হাঁটতে হাঁটতেই ভাবেন, তিনি সেই বোকাই থেকে গেলেন। তিনি কি এমন মহাকার্য করে ফেলেছেন যে নন্দিতা তাকে ফোন করবে ! তার স্বভাব আর বদলালো না।

    ( সমাপ্ত )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | |
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 2601:84:4600:5410:4d2:a8ea:2d3a:***:*** | ১৮ মার্চ ২০২৫ ০৩:৪৩541763
  • বাঃ 
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ১৮ মার্চ ২০২৫ ০৪:১৯541764
  • সমাপ্তির পর্ব আসার অপেক্ষায় ছিলাম। একসাথে পড়ে ফেললাম। ভালো লাগল খুব। আর, গল্প শেষ করাটা হয়েছে একেবারে কোন-কথা-হবেনা রকমের ভালো। আরও অনেক এমন গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম। 
     
    কয়েকটি টাইপো আছে। বই বের হওয়ার আগে ঠিক করে নেওয়া যাবে নিশ্চয়ই।
  • . | ১৮ মার্চ ২০২৫ ০৫:৩১541765
  • দারুণ হয়েছে।
  • Anjan Banerjee | ১৮ মার্চ ২০২৫ ০৮:২৪541769
  • সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই 
  • SKM | 2607:fb91:1a31:49ad:ad2:5157:5037:***:*** | ১৯ মার্চ ২০২৫ ২০:৪৯541787
  • Anjan নিশ্চয় ভালো স্পোর্টসম্যান 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন