এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • আক্রান্ত বিজ্ঞান : জোটবদ্ধ সজাগ চেতনা 

    SUSANTA GUPTA লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৬ মার্চ ২০২৫ | ২৭ বার পঠিত
  • বিজ্ঞান হলো এই মহাবিশ্বের যা কিছু পর্যবেক্ষণযোগ্য ও যাচাইযোগ্য এমন জ্ঞান যা পরীক্ষিত সত্য । অতিপ্রাকৃত নয় বরং প্রাকৃতিক বলে মনে করে কোনও ঘটনার ক্রমশ অভিজ্ঞতা লব্ধ ফলাফলকে বিশ্লেষণ করাই হলো বিজ্ঞান। বৈজ্ঞানিক মেজাজ হলো সেই বৌদ্ধিক চেতনা যা মুক্তমনা ও কৌতূহলী মানসিকতা এবং ভুল প্রমাণিত হতে ইচ্ছুক সহনশীলতা তৈরি করে। বর্তমান দুনিয়ায় সঠিক পথে কর্মক্ষেত্রে এবং জীবনে সাফল্যের জন্য বৈজ্ঞানিক মনোভাব একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। শুধু তাই নয়, বৈজ্ঞানিক মনোভাব মানুষের কুসংস্কার, ধর্মীয় গোঁড়ামি এবং ছদ্ম-বিজ্ঞানকে দূরে সরিয়ে রাখতে সাহায্য করে । এছাড়াও এটি ধর্মনিরপেক্ষতা, মানবতাবাদ এবং অনুসন্ধান ও সংস্কারের মনোভাব বিকাশে সহায়ক ভূমিকা নিতে পারে ।
     
    রাজনীতিতে ধর্মের অনুপ্রবেশ বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে রাজনীতির অনুপ্রবেশ সমাজে যুক্তিবাদী মানসিকতা ও শিক্ষায় কুপ্রভাব বিস্তার করে। তাই যে সমাজে যুক্তিবাদী মানসিকতা যত দুর্বল হয় , সেই সমাজের ওপর ততই নেমে আসে রাষ্ট্র দ্বারা পরিচালিত ধর্মীয় সন্ত্রাস। অন্যদিকে কোনও দেশের রাষ্ট্র-পোষিত কোনও ধর্মীয় ধ্যানধারণা জনগণের উপর চাপিয়ে দিয়ে উচ্চশিক্ষিত মানুষের মধ্যেও সেই ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করার একটা অপচেষ্টা নিরন্তর চলছে । 
     
    ভারতের সংবিধান আমাদের বিজ্ঞান চেতনা জাগ্রত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ১৯৭৬ সালে ৪২তম সংশোধনীতে, মৌলিক কর্তব্যের অধীনে ৫১ ক(জ) অনুচ্ছেদ যুক্ত করা হয়েছিল যেখানে বলা হয়েছে : ভারতের প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য হবে বৈজ্ঞানিক মেজাজ, মানবতাবাদ এবং অনুসন্ধান ও সংস্কারের চেতনা বিকাশ করা। বৈজ্ঞানিক মেজাজ হলো জীবনযাত্রার এমন একটি পদ্ধতি যার মধ্যে প্রশ্ন তোলা, পরীক্ষা করা, অনুমান করা, বিশ্লেষণ করার সুযোগ থাকে।  

    ভারতের মতো "বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান" দেশে বৈজ্ঞানিক মনোভাবের প্রচার আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। অন্ধ অনুশীলন এবং আচার-অনুষ্ঠানের গভীরে প্রোথিত কুসংস্কারাচ্ছন্ন বিশ্বাস প্রায়শই উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এই বিশ্বাসগুলিকে প্রতিরোধ করা অত্যন্ত জরুরি । শিক্ষা এখানে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। ছোটবেলা থেকেই পাঠ্যক্রমের মধ্যে বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনা অন্তর্ভুক্ত করলে বাচ্চাদের সৃজনশীল মানসিকতার বিকাশ ঘটে । 
     
    গণবিজ্ঞান আন্দোলনের শিকড় ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রোথিত। এই আন্দোলন স্পষ্টতই বিজ্ঞান ও অগ্রগতির প্রশ্নে সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। উপনিবেশবাদীদের দ্বারা আমাদের বিজ্ঞান মেধাকে শোষণ ও মুনাফার হাতিয়ার হিসেবে একসময় ব্যবহৃত হতো। সেই যুগের ভারতীয় বিজ্ঞানীরা তাদের ক্ষেত্রকে নিপীড়ন থেকে মুক্তি ও স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়ার পথের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে দেখেছিলেন। 
     
    ১৯ শতকের গোড়ার দিকে বাংলার বৌদ্ধিক জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন হেনরি ভিভিয়ান লুই ডিরোজিও। তাঁর প্রচেষ্টায় ইয়ং বেঙ্গল আন্দোলনের অনুপ্রেরণায় যুবমানসে মুক্তচিন্তা, যুক্তিবাদ এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার ধারণার বীজ রোপণ হয়েছিল। তাঁর শিক্ষা ছাত্রদের ধর্মীয় গোঁড়ামিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে, সামাজিক রীতিনীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং আরও সমতাবাদী সমাজের জন্য লড়াই করতে উৎসাহিত করেছিল। বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে অ্যানি বেসান্ত জাতিগত বৈষম্য এবং বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক কুপ্রথার বিরুদ্ধে লড়াই করার সময় জাতীয় জাগরণকে উৎসাহিত করেছিলেন।
     
    স্বাধীনোত্তর ভারতে বিভিন্ন সময়কালে চারবার বিজ্ঞান নীতি গ্রহণ করা হয়েছে : ১) বৈজ্ঞানিক নীতি নির্ধারণ ( The Science Policy Resolution, SPR 1958 ), 
    ২) প্রযুক্তি নীতি বিবৃতি ( The Technology Policy Statement ,TPS 1983) , ৩) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নীতি 2003 (Science & Technology Policy, STP 2003 ) এবং ৪) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন নীতি (Science & Technology Innovation Policy,TIP 2013 )। 
     
    আমাদের দেশে ১৩.৫ বিলিয়ন মানুষ বাস করে ( বিশ্ব জনসংখ্যার এক-ষষ্ঠাংশ ) । প্রায় ১,৬৫২টি 'মাতৃভাষা' এবং ২৫ টিরও বেশি ভিন্ন ভিন্ন লিপি ব্যবহৃত হয় ।প্রাপ্তবয়স্কদের সাক্ষরতার হার ৬৯.৩%, গড় শিক্ষার বয়স ৬.৫ বছর ( মহিলা ৪.৭ ) । তবুও প্রায় ৫০% গ্রামে মৌলিক সাক্ষরতার হার ৫০% এরও কম।
     
    দক্ষিণ ভারতে ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কেরালা শাস্ত্র সাহিত্য পরিষদ ( KSSP ) । প্রাথমিকভাবে এর লক্ষ্য ছিল মালায়ালম ভাষায় বিজ্ঞান সাহিত্য প্রকাশ করা এবং বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করা। পরবর্তীকালে এদের ধারণা হয়, কেবল সমাজের সুবিধাপ্রাপ্ত সংখ্যালঘু অংশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সুবিধাগুলি একচেটিয়াভাবে দখল করছে এবং এর ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠদের ব্যয়ে তাদের সমৃদ্ধি ঘটছে। এই উপলব্ধির ফলস্বরূপ এই গণবিজ্ঞান সংগঠন সমগ্র কেরালা রাজ্য জুড়ে ঘুরে ঘুরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছোট-বড় সকলের কাছে বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানের পদ্ধতি প্রচার শুরু করে। 
     
    ভারতে বিজ্ঞান সংগঠনগুলির জন্য একটি জাতীয় প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা ১৯৬০ এর দশকের শেষের দিকে শুরু হয়েছিল। এই সময়কালে বিশিষ্ট সমাজসচেতক সাহিত্যিক ও বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টায় পিপলস্ সায়েন্স মুভমেন্ট (PSM) নামে একটি ছাতা- সংগঠন বাস্তবায়িত হয়েছিল। এর লক্ষ্য ছিল সাধারণ জনগণের মধ্যে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান এবং যুক্তিবাদী চিন্তাভাবনা ছড়িয়ে দেওয়া। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে সামাজিক সমস্যাগুলির সমাধান করা। বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির সুফল সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। 
     
    ১৯৭০ এবং ৮০ এর দশকে দেশজুড়ে বৈজ্ঞানিক মেজাজ তৈরি এবং প্রসারে নাগরিক সমাজের বেশ কয়েকটি সংগঠন সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিল। ১৯৮৮ সালে কেরালার কান্নুরে আয়োজিত প্রথম অল ইন্ডিয়া পিপলস সায়েন্স কংগ্রেসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অল ইন্ডিয়া পিপলস সায়েন্স নেটওয়ার্ক (AIPSN)। এই ছাতার তলায় এলো বিভিন্ন জনবিজ্ঞান ক্লাব ও সংগঠন। এর মধ্যে অন্যতম ভোপাল গ্যাস আক্রান্ত কর্মজীবী মহিলা ইউনিয়ন, কেরালা শাস্ত্র সাহিত্য পরিষদ (KSSP), পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ (PBVM) , ভারত জ্ঞান বিজ্ঞান সমিতি 
    ( BGVS ) , চিপকো আন্দোলন, দিল্লি বিজ্ঞান ফোরাম, কর্ণাটক বিজ্ঞান পরিষদ, জন বিজ্ঞান বেদিকা (তেলেঙ্গানা), তামিলনাড়ু বিজ্ঞান ফোরাম, আসাম বিজ্ঞান সমিতি , পণ্ডিচেরি বিজ্ঞান ফোরাম, ত্রিপুরা বিজ্ঞান ফোরাম, FOSET (বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী এবং প্রযুক্তিবিদদের ফোরাম), মুভমেন্ট ইন ইন্ডিয়া ফর নিউক্লিয়ার ডিসআর্মামেন্ট (MIND), ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটি (BSS), একলব্য (মধ্যপ্রদেশ), ভারত জ্ঞান বিজ্ঞান সমুদয় (মহারাষ্ট্র), হরিয়ানা বিজ্ঞান মঞ্চ, হিমাচল বিজ্ঞান মঞ্চ এবং আরও অনেকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ১৯৮৬ সালের ২৯শে নভেম্বর কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ।
     
    ১৮তম অল ইন্ডিয়া পিপলস সায়েন্স কংগ্রেস (AIPSC) ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছিল কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের বেলগাছিয়া ক্যাম্পাসে। AIPSN-এর ৪৩টি সদস্য সংগঠনের দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ৫০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি ( প্রথিতযশা বিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী ও জনবিজ্ঞান কর্মী ) অংশগ্রহণ করেন এই সম্মেলনে। এই বছর জন বিজ্ঞান কংগ্রেসের থিম ছিল "আত্মনির্ভরতা এবং জলবায়ু স্থিতিশীল উন্নয়নের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি"। এই জনবিজ্ঞান কংগ্রেসের আয়োজক ছিল পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ। ১৭তম AIPSC অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২২ সালের জুন মাসে ভোপালে। ৮-১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটি আয়োজিত কেরালার তিরুবনন্তপুরমের টেগোর থিয়েটারে হয়ে গেল সর্বভারতীয় বিজ্ঞান সম্মেলন। 
     
    অতএব । মনুবাদী গোষ্ঠী যদি ভেবে থাকে সুস্থ্য চেতনাকে দুরমুশ করবে, তাদের আগ্রাসনের কবলে পড়ে হয়তো দেশের মুক্তমনা পাঁচতারা বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠান তার জাতীয় তকমা হারাবে, কিন্তু বিজ্ঞান হল সত্য ও জ্ঞানের অনুসন্ধানের একটি পদ্ধতি সেই বাস্তববাদকে কিন্তু নির্মূল করা যাবে না। বৈজ্ঞানিক মেজাজ ও মানসিকতা বিকাশের সংগ্রাম বিস্তৃত এবং বহুমাত্রিক। এই সার্বিক সন্ত্রাসের প্রেক্ষাপটে আজকের চ্যালেঞ্জ হল এর মোকাবিলা করা ও প্রতিরোধ করা । সাধারণ মানুষের মধ্যে যুক্তিবাদী চেতনা দুর্বল করার জন্য সংগঠিত বহুমুখী আক্রমণের আসন্ন ভয়াবহতা সম্পর্কে জনবিজ্ঞান কর্মীরা সচেতন। এই মনুবাদী আক্রমণ শুধুমাত্র অন্ধবিশ্বাস, যুক্তিহীনতা ও অপবিজ্ঞান ছড়িয়ে দেয় না, বরং অশিক্ষা, কুসংস্কার , বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িক বিভাজনকে উসকে দেয়। এর ফলে মানবিক মূল্যবোধগুলি সমূলে উৎপাটিত হয়। 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন