এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • উমাদাস ভট্টাচার্য-এর 'মায়াসফর' এবং 'জোছনাচলন' (পাঠ-প্রতিক্রিয়া)

    শুভ রায়চৌধুরী লেখকের গ্রাহক হোন
    ১১ মার্চ ২০২৫ | ১২৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • লেখক উমাদাস ভট্টাচার্য-এর লেখালিখির সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলাম 'শিকড়ের অলিগলি'-র (শারদ নির্মুখোশ, ১৪৩১) মাধ্যমে। কোনওরকম ভণিতা ছাড়াই আমার সরাসরি স্বীকারোক্তি: আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। এ-ব্যাপারে আমার কোনও নিরপেক্ষ অবস্থান নেই। ছোট-ছোট বাক্য, শব্দ প্রয়োগের ক্ষেত্রে রিপিটেশন, ছোট-ছোট সংলাপ দিয়ে তিনি যে-গদ্যটি বুনেছিলেন তাতে ছিল সময়ের মধ্যে দিয়ে চরিত্রদের বাধাহীন যাতায়াত। অতীত কখন যেন এসে বর্তমান সময়ের মধ্যে প্রবেশ করে। স্বপ্নের আবেশ তৈরি করে। ঠিক ম্যাজিক রিয়ালিজম বলব না; কিন্তু দৃশ্যগুলো ম্যাজিকের মতো আমাকে আবিষ্ট করেছিল। অত্যন্ত সাধারণ একটা পরিসর—বাজার—তার মধ্যে 'সময়'-কে ঘিরে চরিত্ররা ডালপালা মেলেছে। স্বপ্নের মতো অদ্ভুত এক মায়া লেখক অনায়াসে নির্মাণ করেছিলেন কাহিনিকে একপাশে রেখে। এই নভলেট-এর শুরুর অংশটুকু তুলে দিচ্ছি:
              "গোটা বাজারটা যখন চুপ করে থাকে, এইসব সময়ে নাকি নীলোৎপল বধির হয়ে যায়। নীলোৎপল রোজ চক্কর খায় এই বাজারে জন্ম ইস্তক নাকি আরো আগে থেকে! নীলোৎপলের ভ্রূণ অবস্থা থেকে চক্কর এই বাজারে। তরলের মধ্যে থেকে নীলোৎপল এই বাজারের অন্তর্লীন শব্দ শুনে আসছে। নীলোৎপল কখনো কখনো সেই তরলের মধ্যে ফিরে যায় আর গোটা বাজারটা নিজের নিয়মে চলতে থাকে। শব্দ হয়। নীলোৎপল শুনতে পায় না। সেই সময় নীলোৎপল শব্দ দেখতে পায়। তরলেরা ঘিরে থাকে ওকে। ও দেখতে পায় সবাইকে। সবাই হাত বাড়িয়ে নিতে থাকে। সবাই হাত বাড়িয়ে দিতে থাকে। বিনিময় আর বিনিময়। সবার ঠোঁট নড়ে। বেশি নড়ে। কম নড়ে। কোনো হাত এগোয় কোনো হাত পেছোয়। বাজারের থলিরা কথা বলে। কখনও মুখোমুখি কখনও পাশাপাশি। নীলোৎপল ঘোরে। জিনিস হাতে নেয়। কখনো কেনে কখনো কেনে না। চক্কর খেতে খেতে একসময় বসে। কোনো চায়ের দোকানে। কোনো পেপার স্টলে। [...] কথারা একমুখ থেকে আর একমুখে ভেসে যায়। ছোটো ছোটো বড়ো বড়ো ডিঙি হয়ে। বেঁকেচুরে দুমড়ে মুচড়ে মানুষের চাহিদা পৌঁছে যায় অন্যের ঘাটে। সেসব শব্দ এক একরকম। চাহিদার। ভোগের। ইচ্ছের। নীলোৎপল শুনে আসছে ভ্রূণ অবস্থা থেকে। তরলের মধ্যে আলতো দুলতে দুলতে।" (বানান অপরিবর্তিত; পৃ: ৩৪-৩৫)

    এত বড় একটা অংশ উদ্ধৃতি করলাম আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে। সময়, মুহূর্ত, চিত্রপ্রতিমার যে-খেলা উমাদাস ভট্টাচার্য বুনে চলেন স্বতঃস্ফূর্ত ভঙ্গিতে, এবং সেটা যে তাঁর একেবারেই নিজস্ব স্টাইল, তা আরও ভালো বুঝতে পারলাম লেখকের অন্য দুটি কৃশতনু গ্রন্থ 'মায়াসফর' (২০২১) ও 'জোছনাচলন' (২০২৩) পড়ার পর।
              পরিচিত সাহিত্যরূপ—উপন্যাস, ছোটগল্প, কবিতা—সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে সামান্য বিবর্তিত হলেও তার আখ্যানের চলন বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু এমন বহু অপ্রচলিত রূপ রয়েছে, যা লেখকেরা যুগ-যুগ পেরিয়ে লেখার মধ্যে ধারণ করেছেন। এ-ধরনের সাহিত্যরূপকে নির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা কঠিন। তারা তুলনামূলকভাবে বিরল। কখনও-বা এই রূপগুলো পরিচিত রূপের পরিবর্তিত রূপ, যেমন অতিক্ষুদ্র গল্প (অণুগল্প, ঝুরোগল্প কিংবা ইংরেজি ফ্যাশনের ফ্ল্যাশ ফিকশন, মাইক্রোফিকশন ইত্যাদি), আবার কখনও ইন্টারজেনেরিক—যেখানে কবিতা ও গদ্যের, রূপকথা ও বাস্তবধর্মী বর্ণনার, কিংবা প্রবন্ধ ও কল্পকাহিনির সীমারেখা মিলেমিশে যায় (ঠিক মুক্তগদ্য বা গদ্যকবিতা-ও নয়)। 'মায়াসফর' এবং 'জোছনাচলন'-এর অধিকাংশ টেক্সট-কে এভাবে দেখা যেতে পারে।
              উমাদাস ভট্টাচার্যের এই দুটি বইয়ের লেখাকে যদি অন্য কোনও সাহিত্যিকের সাহিত্যকর্মের সঙ্গে বিন্দুমাত্র তুলনা করা যায়, তবে অবশ্যই আমি আমার জানার মধ্যে মার্কিন লেখক লিডিয়া ডেভিসের নাম নেব। দৈনন্দিন জীবনের টুকরো-টুকরো ঘটনা, কথা, আমার-আপনার গল্প উঠে এসেছে এই দু'জনের লেখাতেই। যেগুলোকে বলতে পারি মুহূর্তের সংলাপ কিংবা কেবলই ফ্র‍্যাগমেন্টস্‌। আকারে ছোট টেক্সট, বড়জোর এক পাতা কি দু'পাতা, কখনও তারও কম, তাতে ধরা রয়েছে এক-একটা বড় গল্প কিংবা উপন্যাসের সম্পূর্ণ কাহিনি। এখানেই লেখকের 'মায়াসফর' ও 'জোছনাচলন' গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। বেশ কয়েকটি টেক্সট (আমি সচেতনভাবেই 'গল্প' বলছি না; নির্দিষ্ট কোনও সংজ্ঞায় লেখাগুলোকে ধরা যায় না বলে আমার মনে হয়েছে) পড়তে গিয়ে দেখেছি, লেখক মাত্র একটা প্যারাগ্রাফ ব্যবহার করে একটা চরিত্রের সম্পূর্ণ জীবন লিখে ফেলছেন। যেমন, 'মায়াসফর'-এর 'কুয়াশাকাহন' শিরোনামের লেখাটিতে, সুভদ্রাদি ও রাধাকান্তদা, এই দুই চরিত্রের গল্প আমরা মাত্র একটা প্যারাগ্রাফেই পেয়ে যাই। সেই গল্প শেষ হতে-না-হতেই, ঠিক যেন সিনেম্যাটিক ফ্ল্যাশকাট-এর মাধ্যমে তিনি চলে যান অন্য একটি চরিত্রের (বড় মানিক) গল্পে, সেই গল্পটাও তিনি মাত্র ওই একটা প্যারাগ্রাফেই সম্পূর্ণতা দিয়েছেন। উদাহরণের এই বিশেষ অংশটা তুলে দিচ্ছি:
              "[...] কুয়াশা ঘেরা ট্রাক থেমেছিল সুভদ্রাদির গুমটি দোকানের সামনে। খুলে গিয়েছিল ট্রাকের কেবিনের দরজা। সুভদ্রাদি কোনদিন চটি পড়ত না। সেদিন উনুনের পাশ থেকে চটি নিয়ে পড়েছিল। তারপর শান্তভাবে ট্রাকের খোলা দরজা দিয়ে উঠে বসেছিল। কুয়াশাঢাকা রাস্তায় ট্রাক চোখের আড়ালে চলে যেতেই রাধাকান্তদা বেরিয়ে এসেছিল। এক বালতি জল নিয়ে ঢেলে দিয়েছিল চুলায়। সেদিন প্রথমবারের মতো অত ভোরে রাধাকান্তদাকে কেউ দোকানে দেখেছিল। তারপর রাধাকান্তদা গুয়াই নদির ধার ধরে হেঁটে গিয়েছিল। ফিরে আসেনি আর। সুভদ্রাদির বাসনকোসন লকড়ি উনুনেরা কুয়াশার ভিতর অপেক্ষা করেছিল হয়তো কিছুদিন।
     — বড় মানিক এলি? এলি মানিক?
     যখনই দুয়ারের আওয়াজ পেত প্রলম্বিত লয়ে চিত্রাপিসি জিজ্ঞাসা করেই যেত। আজ টানা পঁয়তাল্লিশ বছর। (...)" (বানান অপরিবর্তিত; পৃ: ১৬-১৭)

    পাঠক হিসেবে হঠাৎ ধাক্কা খেতে হয়, সাময়িক বিমূর্ততার আবেশ ছাড়িয়ে মূর্ত বাস্তবের সামনে আছড়ে পড়তে আমাদের বেশি সময় লাগে না—"বড়মামা দেখেছিল বড় মানিক ওপারে নেই। নেই মানে আজ পঁয়তাল্লিশ বছর নেই। এপারে বড় মামা ছিল। মাঝখানে ট্রাম ছিল। ওপারে বড় মানিক ছিল কিনা কেউ জানেনা। শুধু নিশ্চিত কুয়াশা ছিল।  (..)" (বানান অপরিবর্তিত; পৃ: ১৮)
              সময় ও মুহূর্ত—এই দুটো ডিভাইস টেক্সটগুলোতে প্রধান। সঙ্গে ফ্ল্যাশকাট-মন্তাজে মুহূর্তগুলো একে-অপরের সঙ্গে জুড়ে যায়। শুধুমাত্র এই বিশেষ শৈলী দিয়েই আমরা উমাদাসের গদ্যকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে পারি।
              প্রশ্ন হল, এই মুহূর্ত আর স্মৃতিগুলোর বাহক কে? লিডিয়া ডেভিসের ক্ষেত্রে আমরা দেখি, তাঁর একাধিক চরিত্রের সঙ্গে বসবাস। উমাদাস ভট্টাচার্যের ক্ষেত্রে আছে একটি বিশেষ চরিত্র—অলোকনাথ—যে-চরিত্রটি মূলত একজন দ্রষ্টা (seer)। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তিনি শুধু দেখেন, কিন্তু আমরা তার থেকে কোনও বিশেষ প্রতিক্রিয়া পাই না। (আমরা যারা সিনেমা বা আধুনিক উপন্যাসের সঙ্গে পরিচিত, তারা জানি চরিত্রগুলো কখন এরকম আচরণ করে।) অলোকনাথ যেমন বর্তমানকে প্রত্যক্ষ করেন, আবার বর্তমানের কোনও মুহূর্ত ধরে ফিরে যান স্মৃতিতে, যেটাকে আমরা খানিক 'রিকালেকশন' বলতে পারি। কখনও কখনও চলচ্চিত্রীয় ক্রিস্টাল-ইমেজের মতো, অলোকনাথ একই সঙ্গে অতীত ও বর্তমানে অবস্থান করেন। আবার অলোকনাথকে আমরা একজন কার্টোগ্রাফার বলতে পারি, যিনি আমাদের সামনে একটা ম্যাপ তৈরি করেন—যার মাধ্যমে আমরা আমাদের নিজেদের ব্যক্তিগত স্মৃতিতে ফিরে যেতে পারি। অলোকনাথ আবার অনেকটা দেবদূতের মতো, তিনি তার চারপাশের হারিয়ে যাওয়া মানুষের গল্প আমাদের শোনানোর জন্যই যেন প্রতিটি পরিসর, সময়ের বিভিন্ন স্তরে অবাধে যাতায়াত করতে পারেন।
              'মায়াসফর' পড়ার সময়, আমি লেখকের লেখাগুলোর রচনাকাল খেয়াল করছিলাম। বোঝার চেষ্টা করছিলাম অলোকনাথকে একটা রৈখিক কাঠামোয়। কিন্তু লেখাগুলো রচনাকালের ক্রমবিন্যাসে সাজানো হয়নি। পড়ার পর মনে হয়েছে, সেটা থাকলেও অলোকনাথকে রৈখিক একটা গল্পের চরিত্র হিসেবে পড়া যেত না। আমরা অলোকনাথের নিজের ইতিহাস, নিজের পরিচয়, বয়স—এসব কিছুই পাই না। এই কারণেই ওপরের অংশে, চরিত্রটির এরকম একটা ব্যাখ্যা রেখেছি। তবে, 'জোছনাচলন'-এর লেখাগুলোর রচনাকাল দেওয়া নেই। কিন্তু দরকার ছিল। রচনাকালের সঙ্গে অলোকনাথের চরিত্রের সরাসরি সম্পর্ক না-থাকলেও, আমাদের কাটানো সময়ের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। যেমন অতিমারীর সময়ের কুয়াশাচ্ছন্ন শীত। নিজের সময় ও অতীতের সঙ্গে মিলিয়ে কোথাও যেন আমারও অলোকনাথের পাশে বসতে ইচ্ছে হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায়। মালদা থেকে রায়গঞ্জের পথে সেই ভয়াবহ কুয়াশার স্মৃতি, শীতের হাইরোড, গভীর রাতের বাসস্ট্যান্ড, ট্রেনের জানালা, মালদা স্টেশন কিংবা বাইপাস, সেই ভীড় ট্রেন যেখানে আমিও দেখেছি সাধারণ কামরায় কত মানুষ গাদাগাদি করে দূরের পথ পারি দেয় ছুটিতে, বিস্কুট-বুড়ি, জলসারাত—যা-কিছু অলোকনাথের, তা তো আমারও। আপনাদেরও।
              লেখকের নতুন বই 'অবেলার মাছ ও অন্যান্য গল্প' পড়ছি। তাঁর নিজস্ব শৈলীর ছাপ এখানেও স্পষ্ট।
              যাঁরা এখনও উমাদাস ভট্টাচার্য-এর লেখার সঙ্গে পরিচিত নন, তাঁরা পড়ে দেখতে পারেন।
    ------------------------------------------------
    বই: 'মায়াসফর' ও 'জোছনাচলন'
    প্রকাশক: উড়ান
    মুদ্রিত মূল্য: ১৭০/-, ১৮০/-

    যদি কেউ 'অবেলার মাছ ও অন্যান্য গল্প' পড়তে চান—
    প্রকাশক: সোপান
    মুদ্রিত মূল্য: ২৫০/-

    প্রতিটি বইয়ের প্রচ্ছদ শিল্পী: দেবাশীষ সাহা
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ১১ মার্চ ২০২৫ ১১:৪৪541611
  • ধন্যবাদ। পড়ে দেখবো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন