এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ছোটগল্প ঃ সুখের লাগিয়া যে ঘর বাঁধিনু….

    Sagarmay Mandal লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৮ মার্চ ২০২৫ | ২৭৪ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • সুখের লাগিয়া যে ঘর বাঁধিনু….

    সাগরময় মন্ডল

    দুপুর থেকে শরীরটা ভালো নেই। মাথাটা ভারি ভারি ঠেকছে। তাই অন্য দিনের মতো বিকেল বেলা ব্যালকোনিতে না বসে ব্যালকোনি লাগোয়া ঘরের জানালটা খুলে দিয়ে বালিশে হেলান দিয়ে খাটের উপর আধশোয়া সঙ্গীতা। ডান পা-টা বালিশে হেলানো। সঙ্গীতা রায়। কমলেশ রায়ের সহধর্মিনী আর পিনাকশঙ্কর রায়ের মা। কমলেশ বেসরকারি অফিসের উচ্চ পদের মোটা মাইনের চাকরি থেকে স্বেচ্ছা অবসর নিয়েছেন। বাড়িতেই থাকেন। না থেকে উপায়ও নেই, বিশেষ করে মাস ছয়েক আগে সঙ্গীতার সঙ্গে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার পর। আধশোয়া অবস্থায় সঙ্গীতা বলল
    -- হ্যাঁ গো, কি করছো?
    -- একটু অপেক্ষা করো, চা হয়ে গেছে। আমি নিয়ে আসছি।
    রান্না ঘর থেকে কমলেশ উত্তর দিল।
    -- আচ্ছা, ঠিক আছে।

    সঙ্গীতা চুপ করে যায়। ভাবে তার আজকের এই অবস্থার জন্য দায়ী কে? কে আবার! দায়ী সে তো নিজেই। তার উচ্চাকাঙ্খার জন্যই তো... চোখ ছলছল করে সঙ্গীতার।
    কমলেশ একটা ট্রেতে দুকাপ চা আর দুটো বিস্কুট নিয়ে রান্নাঘর থেকে বেড়িয়ে এলো। সযত্নে ট্রে টা সঙ্গীতার পাশে রেখে মৃদু স্বরে বললো-
    -- এই নাও চা। সঙ্গের বিস্কুট দুটোও খাও। একটু পরেই তো আবার ওষুধ খেতে হবে। মনে আছে?
    -- মনে থাকবে না আবার! তুমি ভুলতে দিলে তো।
    -- ভুলতে তো আমরা সবাই চাই। জীবনের ভুল গুলো ভুলতে পারলে তো বাকি পথ চলা আনন্দের হয়। অন্তত ভুলের আক্ষেপটা থাকে না।
    মৃদু তিরস্কারের ছলে সঙ্গীতা বলল
    -- আবার শুরু করলে!
    -- সরি। চা খেয়ে নাও।
    -- তোমার আর দোষ কি বলো। ছেলেকে মানুষ করে বিদেশে পাঠিয়েছি, লোকের কাছে, সমাজের কাছে কত মান সম্মান পেয়েছি। মায়েরা তাদের ছোটছোটো ছেলেমেয়েদেরকে বলত দেখ দেখ ওনারা পিনাকশঙ্করের মা, বাবা। পিনাকশঙ্কর কত ভালো ছেলে, ক্লাসে ফার্স্ট ছাড়া সেকেন্ড হতো না। সে নাম করা সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ার। পড়া শেষ হবার আগেই আমেরিকার বড় কোম্পানি অনেক টাকা মাইনেতে তাকে সেখানে নিয়ে গেছে। তোকেও বড় হয়ে পিনাকশঙ্করের মতো হতে হবে।
    -- চুপ করো তো। ওসব কথা থাক না।
    -- না, থাকবে না।
    সঙ্গীতা ফোঁস করে ওঠে। আরও বলে
    -- আজ আমি শয্যাশায়ী। তোমার ওই মোটা মাইনের উঁচু পদের চাকরি ছেড়ে ভি.আর. নিয়ে বড়িতে বসে থাকা, লোকের সামনে মুখ দেখাতে না পারা আর সহ্য হয় না। মাঝে মাঝে মনে হয়-
    -- কি মনে হয়? বিয়ে থা করে সংসার না করলেই ভালো হতো?
    পরিবেশটা হালকা করতে কমলেশ বলল।
    -- না।
    -- তবে ছেলেকে মানুষ করে বিদেশে না পাঠালে ভালো হতো?
    -- মানুষ আর করতে পারলাম কই! ওদেরকেতো আমরা টাকা কমানোর মেসিন বানিয়েছি। টাকা চাই টাকা, অনেক অনেক টাকা।
    সঙ্গীতার বুক থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো।
    -- আচ্ছা কমলেশ বলতে পারো, কেন এমন হলো?
    উত্তেজনার বশে সঙ্গীতার পা বালিশের পাশে নেমে এসেছিল, সেটা ঠিক করতে করতে কমলেশ বলল
    -- সঠিক কারণ না জানলেও অনুমান করতে পারি।
    -- যেমন?
    -- সেতো চেয়েছিল জার্নালিজিম পড়ে সাংবাদিক হবে।
    -- ওটা কোনো পেশা হলো? কটা টাকার জন্য টিভি চ্যানেলের বুম হাতে নিয়ে মাঠে ঘাটে দৌড়ে দৌড়ে ওই চোর ছ্যাঁচোরদের ইন্টারভিউ করা! নয়তো নিজের বোধ-বুদ্ধি, বিবেচনা বিসর্জন দিয়ে সম্পাদকের পছন্দ মতো রিপোর্ট লেখা।
    -- আর তাইতো নিজের পছন্দ বিসর্জন দিয়ে, আমাদের ইচ্ছে পূরণের জন্য ভর্তি হলো সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে। ভালো ছাত্র, সবেতেই সোনা ফলাতে পারে। ক্যাম্পাসিংয়েই চাকরি পেয়ে গেল। বিদেশে থাকা। মাস গেলে মোটা টাকা মাইনে, ডলারে পেমেন্ট। যত কাজ তত টাকা। টাকা কামানোর মেসিন, যেমনটি আমরা চেয়েছিলাম। কিন্তু, আমরা তার ইচ্ছের দাম দিতে পারি নি। আজ আমরা ভুলের মাসুল চোকাচ্ছি।
    -- আমাকে চুপ করতে বলে, তুমিও তো শুধু শুধু মাথা খারাপ করছো। চুপ করে বসো তো আমার পাশে।

    কমলেশ কি করবে বা কি বলবে বুঝে উঠতে পারে না।সে সুবোধ বালকের মতো সঙ্গীতার পাশে গিয়ে বসলো। বললো-
    -- কেন জানি না, শুধু মনে হচ্ছে আমরা যা করছি তা ঠিক নয়। ছেলে মেয়েদের কথা আমরা ঠিক মতো ভাবি নি। ভাবছি না। তাদের পছন্দ অপছন্দ…আমরা মূল্যই দিই না। সেতো নাবালক! জীবনের কি বোঝে! অথচ দেখ, সে বাবা মার থেকে বুদ্ধিতে কয়েক যোজন এগিয়ে। তবু সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক সে নয়। সে ক্ষেত্রে আমি গার্জেন, আমি সব জানি। নিজে সিদ্ধান্ত না নিতে পারলে অন্য লোকের কাছে যাই, কিন্তু যার উপরে সিদ্ধান্ত বলবৎ হবে, তার মতামতের কোনো গুরুত্ব নেই।
    সঙ্গীতা বাধা দিয়ে বলে
    -- কেন, তুমিই তো বলতে তোমার ছেলে কত সুন্দর প্রোগ্রাম লেখে, সে বড় হয়ে খুব বড় প্রোগ্রামার হবে।
    -- হ্যাঁ, সেটাই তো কাল হোল। ক্যাম্পাসিং এ সিলেক্ট হয়ে একটা আমেরিকান বড় কোম্পানিতে জয়েন করলো। আর তারপর আমাদের আদরের ছেলে, বংশের মুখ উজ্জ্বল করা প্রোগ্রামার ছেলে, শেষে কিনা প্রোগ্রাম লিখে ব্যাঙ্ক ডাকাতির কেসে ধরা পড়লো। রাতারাতি বড়লোক হতে গিয়ে...
    সঙ্গীতা কমলেশের মুখটা হাত দিয়ে চাপা দিয়ে বলল
    -- আর ও কথা বোলো না গো। আমি আর সহ্য করতে পারবো না।
    কমলেশের মুখ থেকে হাত সরিয়ে নিয়ে সঙ্গীতা নিজের মাথা চেপে ধরে। সে স্থির থাকতে পারে না। কমলেশ বুঝতে পারে এ ভাবে বলাটা ঠিক হয় নি। দুঃখ প্রকাশ করে বলে-
    -- সরি সঙ্গীতা! রাগটা লুকিয়ে রাখতে পারলাম না। অনেক চেষ্টা করি তুমি আঘাত পাবে এমন কথা না বলতে, কিন্তু আজ পারলাম না। মনের ভিতরে একটা বিষধর সাপ তার বিষাক্ত ফণা তুলে বারবার দংশন করছে। সকাল থেকেই মন মেজাজ যেন কেমন হয়ে আছে। কিছুই আমার কন্ট্রোলে নাই।
    কমলেশ সঙ্গীতার গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। সঙ্গীতা চোখ বন্ধ করে থাকে। হয়তো বা কমলেশের অন্তরের জ্বালাটা অনুভব করার চেয্টা করে। কিন্তু পারে না। তার ভিতরেও তো একই জ্বালা দাউ দাউ করে জ্বলছে। বহুশ্রুত সেই গানের লাইন “আমি সুখের লাগিয়া যে ঘর বাঁধিনু, অনলে পুড়িয়া গেল” তার মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। তার থেকে মুক্তি পাবার আশায় কমলেশকে বললো-
    -- আমাকে একটু বারান্দায় নিয়ে যাবে?
    -- বারান্দায় যাবে? চলো। বারান্দার আলো বাতাস একটু স্বস্তি দেবে।
    সঙ্গীতা উঠে বসে। তারপর কমলেশের ঘাড়ে ভর দিয়ে বারান্দায় রাখা চেয়ারে এসে বসে। কমলেশ ওষুধ এনে সঙ্গীতার হাতে দিয়ে খেয়ে নিতে বলে। সঙ্গীতা ওযুধ হাতে নিয়ে বলে-
    -- একটু পরে খাচ্ছি। তুমি শুধু শুধু মাথা গরম করো না লক্ষিটি।
    মাথা ঠান্ডা করে কমলেশও নরম সুরে বলে-
    -- সেদিনের কথা মনে পড়ে তোমার? তুমি বাড়িতে ছিল না। তোমার ছেলের জন্য মানত করে মন্দিরে গিয়েছিলে পুজো দিতে। হঠাৎ আমেরিকা থেকে একটা ফোন এলো। ঘরে থাকলে ফোন তো তুমিই ধরতে। তোমার অনুপস্থিতিতে আমিই ফোনটা ধরি। ফোন ধরে হ্যালো বলতেই ওপার থেকে খুব রুক্ষ স্বরে প্রশ্ন এলো-
    -- হ্যালো, আর ইউ মিস্টার রয়?
    -- ইয়েস, স্পিকং।
    -- স্যার! আই এম ফ্রম নিউ ইয়র্ক পোলিশ।
    -- পোলিশ! হোয়াট হ্যাপেন্ড স্যার? এনিথিং রং?
    -- ইজ মিস্টার পি কে রয় ইয়োর সন?
    -- ইয়েস স্যার। হোয়াট হ্যাপেন্ড? প্লীজ টেল মি।
    -- হি হ্যাজ বিন ডিটেইন্ড বাই আস। হি ইজ ইনভল্ভড ইন ইল্লিগ্যাল মানি ট্রান্সফারিং।
    -- ইল্লিগ্যাল মানি ট্রান্সফারিং!! হোয়াট ডু ইউ মিন স্যার?
    -- ব্যাঙ্ক রবারি স্যার। বাই হ্যাকিং সার্ভার।
    -- হোয়াট!! ব্যাঙ্ক রবারি!!

    কখন তুমি দরজা খুলে উপরে এসে সিঁড়ির রেলিং ধরে দাঁড়িয়েছিলে খেয়াল করি নি। ফোনটা রাখতে গিয়ে কিছু একটা পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনে, পিছন ফিরে চেয়ে দেখি তুমি সিঁড়ি দিয়ে গড়িয়ে নীচে পড়ে যাচ্ছ। দৌড়ে গিয়ে সিঁড়ির চাতাল থেকে তোমাকে তুলে বসালাম। দেখলাম তুমি অজ্ঞান হয়ে গেছ। পাড়ার লোকজন ডেকে তোমাকে পাড়ার নার্সিংহোমে নিয়ে গেলাম। ডাক্তারবাবু দেখে বললেন সেরিব্রাল। ঠিক সময়ে এনেছেন, দেরি হলে বাঁচানো যেত না।
    -- আর সেই থেকে আজ ছ'মাস ধরে তোমার বোঝা হয়ে রয়ে গেছি।
    -- আবার এক কথা। বোঝা হতে যাবে কেন? তোমার কিছু হল আমি দেখবো, আমার কিছু হলে তুমি দেখবে, এটাই তো স্বাভাবিক।
    -- এখন তোমার কিছু হলে আমি কি করবো? আমি তো নিজেই..
    সঙ্গীতা কথা শেষ করার আগেই কমলেশ বলল
    -- আমার কিছু হবে না। দেখে নিও। আমাকে ভালো থাকতেই হবে। নইলে তোমাকে কে দেখবে?
    -- হ্যাঁ যার দেখার কথা, সেতো এখন গৃহবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে। এমনকি পাসপোর্ট ভিসা পর্যন্ত আটকে রেখেছে। হ্যাঁ গো, কবে যেন শুনানির ডেট আছে? আজকেই না?
    এই ভয়টায় কমলেশ সকাল থেকে করছিল। আজকেই পিনাকশঙ্করকে কোর্টে তোলা হবে। কথাটা সঙ্গীতাকে আর মনে করাতে চায় নি। এত সাবধানে থেকেও শেষরক্ষা হলো না। কমলেশ কিছু বলতে যাবে এমন সময় ঘরের ভিতরে বিছানায় ফেলে আসা মোবাইল ফোনটা বেজে উঠলো।
    -- এমন সময় কে আবার ফোন করছে?
    কমলেশ সঙ্গীতাকে বারান্দায় বসিয়ে রেখে তাড়াতাড়ি ঘরে গিয়ে ফোনটা উঠিয়ে নিল। দেখল পিনাকীর বন্ধু সুবিমলের ফোন। আমেরিকা থেকে।
    -- হ্যাঁ সুবিমল বলো, সব খবর ঠিক আছে তো?.. এ্যাঁ.. কি বলছো? সুইসাইড! কবে? আজ সকালে? বেডরুমে? পুলিশ কোর্টে নিয়ে যাবার জন্য ওর ফ্ল্যাটে গিয় দেখে! ও! ভগবান! পোস্ট মর্টেম হলে জানা যাবে ..
    ফোনের কথা গুলো সব সঙ্গীতার কানে আসছিল। সে নিজেকে আর স্থির রাখতে পারলো না। মনে হচ্ছে পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। সে অতল গহ্বরের মধ্যে দ্রূত তলিয়ে যাচ্ছে। তার দম বন্ধ হয়ে আসছে। সে লাফিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠতে গিয়ে ধপ করে বারান্দার মেঝেতে পড়ে গেল।
    কমলেশ লাইনটা কেটে দিয়ে ফোনটাকে বুকে জড়িয়ে ধরে স্থানুর মতো ঘরের মেঝেতে বসে রইলো। কতক্ষণ বসে ছিল তার ঠিক নেই। সম্বিত ফিরে আসতেই তার সঙ্গীতার কথা মনে পড়লো। তাকে সে বারান্দার চেয়ারে বসিয়ে রেখে এসেছে। সে এসব কথা শুনে ফেলেনি তো? শুনে ফেললে সর্বনাশ হয়ে যাবে। সে উদ্ভ্রান্তের মতো দৌড়ে বারান্দায় এলো। সঙ্গীতার কাছে। দেখলো সঙ্গীতা চেয়ারের পায়ার কাছে পড়ে আছে। নিথর দেহ। হাতের মুঠোয় ধরা ওযুধ। মুখের কষ বেয়ে রক্তের ধারা নেমে এসেছে। তবু মনে হচ্ছে মুখে যেন এক চিলতে হাসি লেগে আছে। সে হাসি ব্যাঙ্গের হাসি। বিদ্রুপের হাসি।

    সমাপ্ত
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • চিন্তাহরণ মন্ডল | 2409:4060:2d49:16dc::e349:***:*** | ০৮ মার্চ ২০২৫ ১৭:৫০541529
  • সুখের লাগিয়া যে ঘর বাঁধিনু.... ছোট গল্প টি খুব ভাল লাগল
  • নিরঞ্জন চক্রবর্তী। | 2409:40e0:a:6b9f:54af:4ff:fe95:***:*** | ০৮ মার্চ ২০২৫ ১৯:২৫541533
  • উপস্থাপনা বেশ সুন্দর। তবে শেষটা একটু অন্য রকম হলে ভালো হতো। 
  • swapan kumar mondal | ০৮ মার্চ ২০২৫ ২০:১১541536
  • এটা আর গল্প থাকেনি সত্যি হয়ে গেছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন