এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ভারতে বিজ্ঞান শিক্ষা : বর্তমানে দাঁড়িয়ে ঐতিহ্যকে ফিরে দেখা 

    SUSANTA GUPTA লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৮৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা মানেই  তো বিজ্ঞান মনষ্ক হওয়া নয়। বরং বিজ্ঞান পাঠের সুযোগ হয়নি বা ইচ্ছে জাগেনি এমন মানুষও দেখেছি যাঁর যুক্তিবোধ বিজ্ঞানে উচ্চশিক্ষিত অনেক মানুষের থেকেও প্রখর। দেশে সাক্ষরতা বাড়লেও বৈজ্ঞানিক সাক্ষরতার হার এখনও বেশ কম। বিজ্ঞানের সাফল্য নিয়ে আসে সমাজের উন্নতি। সঙ্গে সাহিত্য, দর্শন, ইতিহাস ও সমাজবিদ্যা চর্চা গড়ে তোলে সমাজের বৌদ্ধিক মানোন্নতি। সাধারণ মানুষের খাজনার টাকায় একজন বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করে প্রতিষ্ঠিত হলেন। তারপর বোধবুদ্ধি হারিয়ে বিজ্ঞানের মৌলিক সত্যকে আড়াল করে ধার্মিকতার ছলে যথেচ্ছ অপবিজ্ঞান ছড়ালেন। এটা কী বিজ্ঞান চেতনা !

    NCERT, বকলমে ভারত সরকারের, বিদ্যালয় স্তরে সাম্প্রতিক পাঠ্যক্রমের পরিবর্তন, ইতিহাস পুনর্লিখনের উদ্যোগ এবং ছদ্মবিজ্ঞানের জাল বিস্তার বৈজ্ঞানিক মেজাজের উপর চরম আঘাত। রাষ্ট্রীয় কাঠামো কাজে লাগিয়ে অতি-জাতীয়তাবাদী আখ্যান তৈরির মাধ্যমে কাল্পনিক প্রযুক্তিগত সাফল্য তুলে ধরার অপচেষ্টা। সরকারী, এমনকি স্বনিয়ন্ত্রিত বিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণার উৎকর্ষ কেন্দ্রে প্রধান অতিথি হিন্দু জাতীয়তাবাদী মন্ত্রী মহোদয়ের অবৈজ্ঞানিক বক্তব্য ও প্রাচীন ভারতীয় জ্ঞান ব্যবস্থা সম্পর্কে অতিরঞ্জিত ন্যারেটিভ শিক্ষাকে গেরুয়াকরণের অপকীর্তি মাত্র।

    জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সঞ্চার নিগমের ( NCSTC ) ঘোষণা অনুযায়ী ১৯৮৬ সাল থেকে প্রতিবছর ২৮ শে ফেব্রুয়ারি দিনটি আমাদের দেশে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস পালিত হয়। এই দিনে ভারতের নোবেল জয়ী বিজ্ঞানী সি ভি রমন 'রমন এফেক্ট' আবিষ্কার করেন। প্রতি বছরই বিজ্ঞান দিবস উদযাপনের একটা থিম থাকে। ২০১৪ সালে থিম ছিল "বিজ্ঞান চেতনার বিকাশ", ২০১৫ তে ছিল "জাতি গঠনে বিজ্ঞান"। এই বছরের থিম "বিকশিত ভারতের জন্য বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্বের জন্য ভারতীয় যুবদের ক্ষমতায়ন"।

    ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস সংস্থার ( ISCA ) সূচনা হয় ১৯১৪ সালে, কলকাতায়। মানুষের মধ্যে বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করা ও তরুণ বিজ্ঞানীদের উৎসাহিত করার লক্ষ্য নিয়ে ১৯১৪ সাল থেকেই প্রতি বছর হয়ে আসছে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস। ভাবলে বিস্ময় জাগে একবিংশ শতাব্দীর প্রথম পর্বের শেষ লগ্নে স্বাধীনতা উদযাপনের ৭৭তম বর্ষে বিজ্ঞান কংগ্রেস-এর ১১০তম অধিবেশন এখনও হয়ে ওঠে নি, খুব সম্ভব বাতিল হয়েছে। হয়তো মহাকুম্ভের বছর বলেই বিজ্ঞানকে নিয়ে ভাবনা চিন্তা এই বছর মুলতুবি রাখা আছে ! আসলে বিজ্ঞান শিক্ষা ও বিজ্ঞান মনস্কতা প্রচার ও প্রসারের পরিবর্তে অপবিজ্ঞানের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে তৎপর প্রশাসন।

    ভারতে, বিশেষ করে বাংলায়, বিজ্ঞান শিক্ষা চর্চার ইতিহাস বরাবরই বেশ সমৃদ্ধ। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ লগ্ন থেকেই ভারতের সামগ্রিক উন্নয়নে বিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা জাতীয় নেতারা উপলব্ধি করেছিলেন। জাতিকে কয়েক কদম এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তাগিদে সেই সময়ের অনেক প্রথিতযশা বিজ্ঞানী সজাগ ছিলেন। জগদীশ চন্দ্র বসু, মেঘনাদ সাহা, প্রফুল্লচন্দ্র চন্দ্র রায়, এস এস ভাটনগর, এইচ ভাবা, পি সি মহলানবীশ ও পরবর্তী সময়ে সত্যেন্দ্র নাথ বোস, এম এস স্বামীনাথন, সি এন আর রাও এবং অন্যান্যদের সক্রিয় ভূমিকা অনস্বীকার্য।

    ভারত তথা বাংলার মহান স্বপ্নদ্রষ্টাদের সাংস্কৃতিক, বৌদ্ধিক ও স্বদেশচেতনা জাগরণের পটভূমি তৈরি হলো। ১৮৭৬ সালের ২৯শে জুলাই ডঃ মহেন্দ্র লাল সরকার গড়লেন ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স। ভারত তথা এশিয়ার প্রাচীনতম মৌলিক বিজ্ঞান চর্চার গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

    ১৮৫৬ সালের ২৪ নভেম্বর কলকাতায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নামে শুরু হলেও ১৯২১ সালে হাওড়ার শিবপুরে তার নাম হয় বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। ২০০৫ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি ( BESU ) নামে এর উদ্বোধন করেন। এরপর ২০১০ সালের অক্টোবরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা, আনন্দকৃষ্ণন কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী, এটির নতুন নামকরণ করে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (IIEST, ভারতের প্রথম)।

    স্বদেশী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়বার অভীপ্সা দানা বাঁধছিল। উসকে দিল বঙ্গভঙ্গ। অবিভক্ত বাংলায় বিশেষ এক রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে ইতিমধ্যেই সতীশ চন্দ্র মুখোপাধ্যায় ১৯০২-এ তৈরি করেছিলেন The Dawn Society। বাংলার বহু প্রাজ্ঞ ব্যক্তিত্ব মনে করলেন সসম্মানে মাতৃভূমির স্বাধীনতা অর্জন করতে। অগ্রণীদের মধ্যে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, বিপিন চন্দ্র পাল, রাসবিহারী ঘোষ, রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী, অরবিন্দ ঘোষ, ব্রজেন্দ্রনাথ শীল, তারকনাথ পালিত, সুবোধ চন্দ্র মল্লিক, প্রমুখ। বাংলার সমাজ সচেতন চিন্তাশীল সুধীজনদের ডাকে ১৯০৫ -এর ১৬ই নভেম্বর এক সভায় জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত ঠিক হয়। ১৯০৬ -এর ১১ই মার্চ সূচনা হলো বঙ্গীয় জাতীয় শিক্ষা পরিষদ। প্রথমে বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট ও পরবর্তীতে কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, বেঙ্গল নামে আত্মপ্রকাশ করলেও ১৯৫৫ সালের ২৪শে ডিসেম্বর নতুন নাম হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।

    দেশের বিজ্ঞান ও প্রকৌশলে মৌলিক ও প্রয়োগিক গবেষণায় বিশ্বমানের সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে জামশেদজী টাটার সক্রিয় উদ্যোগে ব্যাঙ্গালোরে ১৯০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হলো ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স ( IISc )। ১৯৪৫ এ এই ক্যাম্পাসেই প্রথমে চালু হয়েছিল টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ ( TIFR ), যা পরে ১৯৬২ সালে বম্বেতে স্থানান্তরিত হয়। এই কারণেই IISc চত্বর লোকমুখে টাটা ইনস্টিটিউট নামে এখনও পরিচিত। রাশিবিজ্ঞানের হাত ধরে স্বাধীনোত্তর ভারতের প্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার রূপকার অধ্যাপক প্রশান্ত চন্দ্র মহালানোবিসের উদ্যোগে ১৯৩১-এ কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হলো ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউট।

    জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষায় কৃষিক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষায় উৎকর্ষতা প্রচারে ১৯২৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইণ্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ, নয়াদিল্লি (ICAR) যা বিশ্বের বৃহত্তম জাতীয় কৃষি ব্যবস্থাগুলির মধ্যে একটি। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR), নয়াদিল্লি ১৯১১ সালে প্রতিষ্ঠিত, এটি বিশ্বের প্রাচীনতম চিকিৎসা গবেষণা সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম।

    স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় স্যার রাসবিহারী বসু ও স্যার তারকনাথ পালিতের অনুদানে (প্রায় সাড়ে সাঁইত্রিশ লক্ষ টাকা) ১৯১৪'র ২৭ শে মার্চ শুরু হলো কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বিজ্ঞান চর্চার কেন্দ্র : রাসবিহারী শিক্ষা প্রাঙ্গণ (রাজাবাজার বিজ্ঞান কলেজ) ও তারকনাথ পালিত শিক্ষা প্রাঙ্গণ (বালিগঞ্জ বিজ্ঞান কলেজ)। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯১৫ সালের কিংবদন্তি এম.এসসি. ব্যাচে ছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু, মেঘনাদ সাহা, জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ, জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখার্জি প্রমুখ। ১৯১৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশে আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণার জনক আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বসু বিজ্ঞান মন্দির। বাংলা ভাষার বিজ্ঞান শিক্ষা প্রচার ও প্রসারের উদ্দেশ্যে জাতীয় অধ্যাপক আচার্য সত্যেন্দ্র নাথ বসুর নেতৃত্বে বাংলার সমস্ত বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ ১৯৪৮ সালে।

    আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন পূরণ করতে ১৯৪২ সালের ২৬ শে সেপ্টেম্বর স্বনিয়ন্ত্রিত সংস্থা হিসেবে গড়ে ওঠে কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (CSIR)। CSIR সরকারি অর্থানুকূল্যে পরিচালিত বিশ্বের বৃহত্তম গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম। এর প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন ডঃ শান্তি স্বরূপ ভাটনাগর। পারমাণবিক শক্তি বিভাগের স্বনিয়ন্ত্রিত একটি শীর্ষস্থানীয় গবেষণা কেন্দ্র কলকাতায় সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স স্থাপিত হলো ১৯৪০ সালে অধ্যাপক মেঘনাদ সাহার নেতৃত্বে। ১৯৭৭-এ তাত্ত্বিক এবং পরীক্ষামূলক পারমাণবিক বিজ্ঞান, উপাদান বিজ্ঞান, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে অগ্রণী গবেষণা ও উন্নয়ন পরিচালনার জন্য নিবেদিত ভারত সরকারের পারমাণবিক শক্তি বিভাগের ভেরিয়েবল এনার্জি সাইক্লোট্রন সেন্টার ( VECC )। স্বাধীনোত্তর ভারতে প্রতিষ্ঠিত হলো খড়গপুর ( ১৯৫১), বোম্বে (১৯৫৮) ও মাদ্রাজ (১৯৫৯) ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি। ১৮৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ভারতের প্রাচীনতম রুরকির ( এখনকার উত্তরাখণ্ডে ) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ১৯৪৯ সালে এর নামকরণ হয় রুরকি বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০১ থেকে এটি আইআইটি -রুরকি।

    স্কুল পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য ভারতে প্রথম উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ শুরু ১৯৪৮ সালে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের সুপারিশক্রমে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সাধারণ বিজ্ঞানকে, প্রাথমিকভাবে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং জীববিজ্ঞানের মৌলিক ধারণাগুলি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। যার ভিত্তিতে ১৯৫৩ সালে মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন বিদ্যালয় স্তরে সাধারণ বিজ্ঞানকে বাধ্যতামূলক করে।

    বিজ্ঞান হলো ক্রমশ অভিজ্ঞতালব্ধ ফলাফল। এর জন্য মানসিকতা হতে হবে মুক্তমনা, কৌতূহলী এবং ভুল প্রমাণিত হতে ইচ্ছুক। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পগুলির জন্য আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, সীমিত সরকারী তহবিল, গবেষণা ও উন্নয়ন ব্যয়ে জিডিপি অনুপাত প্রায় ০.৭%, যা এখনও বিশ্ব গড়ের ১.৮% এর চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কম।

    বিজ্ঞানের তো থেমে থাকার জো নেই। কতই না সম্ভাবনা ! পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসই কৃষিকাজ, জল পরিশোধন কৌশল, জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন প্রযুক্তি, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে জৈবপ্রযুক্তির প্রয়োগ, পুনর্নবীকরণ শক্তির খোঁজ ও আরও কত কী !

    ভারতের সংবিধান আমাদের বিজ্ঞান চেতনা জাগ্রত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ১৯৭৬ সালে ৪২তম সংশোধনীতে, মৌলিক কর্তব্যের অধীনে ৫১ ক(জ) অনুচ্ছেদ যুক্ত করা হয়েছিল যেখানে বলা হয়েছে : ভারতের প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য হবে বৈজ্ঞানিক মেজাজ, মানবতাবাদ এবং অনুসন্ধান ও সংস্কারের চেতনা বিকাশ করা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • syandi | 2402:e280:3d81:135:e5a5:abd9:bc3d:***:*** | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:২৯541218
  • NCERT-এর বইতে গেরুয়া প্রভুরা কিরকম কায়দা করে ভারতের কচিকাঁচাদের নিরামিশাষি হওয়ার ব্যাপারে ব্রেনওয়াশ করছে সেটা লক্ষ্য করুন। আমি গতবছরের ক্লাস টেনের বই-এর একটা অংশ হাইলাইট করে দিলাম। এখানে ঢালাওভাবে সমস্ত প্রাণীজ ফ্য়াটকে অস্বাস্থ্যকর আর সমস্ত উদ্ভিজ্জ ফ্য়াটকে স্বাস্থ্যকর বলা হয়েছে। ভাবখানা এমন যা বাদাম তেল, পাম তেলের মত আনহেলদি জিনিসের অস্তিত্বই নেই। আর মাছ যেন কোন প্রাণীই নয় আর ওমেগা-থ্রি ফ্য়াটি আ্যাসিড বলে কিছু হেলদি জিনিস একজিস্টই করে না।
     
  • Aditi Dasgupta | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:০১541223
  • Science ও Social science   দুই ক্ষেত্রেই এ খেলা চলছে গত কয়েক বছর ধরে।  ইচ্ছে মত চ্যাপ্টার হটাৎ ই বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
  • SUSANTA GUPTA | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪৯541244
  • একদমই ঠিক বলেছেন। প্রাণিজ ফ্যাট খাওয়া অস্বাস্থ্যকর,এমন সরলীকরণ করা যায় না। বরং কম বয়সে খুবই উপযোগী। বেশি বয়সে বেশ কিছু প্রাণিজ ফ্যাট আছে, বিশেষত বেশ কয়েকটি মাছের ফ্যাট যথেষ্টই শরীরের পক্ষে ভাল। 
     
    রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে বিজ্ঞানের ছদ্মবেশে অপবিজ্ঞান বেড়েই চলেছে , সঙ্গে চলছে অবাধ ব্যবসা। খেয়াল করলেই দেখবেন, অ্যাপ-নির্ভর বাজারে বিকোচ্ছে ১০০ মি.লি  বোতলে মহাকুম্ভের পুন্যজল। অর্ডার দিলেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাড়িতে হাতে পেয়ে যাবেন। ব্যাস, তারপর বাড়ির জলের ট্যাঙ্কে মিশিয়ে সপরিবারে পাপ ধুইয়ে নিন! 
    ধৈর্য ধরুন , আসন্ন জাতীয় বিজ্ঞান দিবসে রাষ্ট্রীয় অমৃতবানী কী দেশবাসীর জন্য অপেক্ষা করছে ! 
  • অশোক মিদ্যা | 2405:8100:8000:5ca1::3fe:***:*** | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৪:৪৯541269
  • সবই বুঝলাম , সেই নেহরুভিয়ান সাইন্টিফিক টেম্পার , পুরো ট্যাম্পার্ড হয়ে নাকি রাসভগুহ্যে গেছে , তা কবে কোন সময়কে ভারতের বিজ্ঞানচর্চার স্বর্ণযুগ বলা যাবে? তাহলে সেই ব্রিটিশ আমলকেই ধরতে হয় , সেসময় তো চারিদিকে অন্ধবিশ্বাস ,তাবিজ-কবচ-মাদুলি জলপড়ার ছড়াছড়ি ছিল , রামন বর্ণিত সেই "নেহেরু-ভাটনগর " জমানায় কোন লোমশ উন্নতি ভারত করেছে শুনি , বা ইন্দিরা /রাজীব কংগ্রেসি জমানায় ?
    বিজ্ঞান , প্রযুক্তিচর্চা নিয়ে কিঞ্চিৎ জ্ঞান অধমের আছে বলে জানবেন , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওই করেই কিঞ্চিৎ করে কর্মে খাই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন