এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • পুণ্যস্নানের পর্ব -- একটু অন্য চোখে 

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ | ৩৭২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • পুণ্যস্নানের পর্ব – একটু অন্য চোখে

    কুম্ভমেলা। প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে এই মুহূর্তে চলছে বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো মাপের ধর্মীয় জমায়েত। দেশের নানা প্রান্ত থেকে তো বটেই, প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো থেকে এমন কি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষজন সমবেত হয়েছেন তিথি নক্ষত্রের শুভ যোগ অনুসারে পুণ্যস্নানের মাধ্যমে পাপ ধুয়ে নিয়ে পরম ঈপ্সিত মোক্ষ লাভ করতে। সমুদ্র মন্থনের সময় পূত পবিত্র কুম্ভ থেকে চলকে পড়া অমৃত এসে পড়েছিল এই তিন নদীর মিলন স্থলে। তাই লোকবিশ্বাস, নির্দিষ্ট তিথিতে গঙ্গা, যমুনা ও অন্ত সলিলা সরস্বতী নদীর সঙ্গমের জলে ডুব দিলেই অমৃতের পরশে জীবন ধন্য যাবে। এই বিশ্বাসকে আগলে রেখেই এই দেশের বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর দিন যাপন।

    আমার আজকের এই নিবন্ধের আলোচনা অবশ্য এই বৃহত্তম ধর্মীয় জমায়েত নিয়ে নয় বরং অগণিত সংখ্যক শ্রদ্ধালু ভক্ত সমাগমে ত্রিবেণী সঙ্গমের বিপন্ন নদী বাস্তুতন্ত্র নিয়ে। এই মহান আয়োজনের প্রতি বিশ্বস্ত থেকেই বলছি যে অমৃত লাভ হোক বা না হোক এই মেলায় হাজির হবার সুবাদে গণ স্নানোৎসবে অংশ গ্রহণ করা তো হলো! পরিমিত পরিসরে লক্ষ লক্ষ মানুষ জলে ডুব দিয়ে শরীর ভেজালে তার পরিণতি কী হতে পারে তা আন্দাজ করতে খুব বড়ো পরিবেশবিদ বা নদীবিজ্ঞানী হবার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এমন গণ স্নানোৎসবে অকল্পনীয় সংখ্যক মানুষ অংশ নিলে জলের গুণগত মানের ওপর তথা নদী বাস্তুতন্ত্রের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে ? সাধারণ বিচার বুদ্ধি দিয়েই বলা যায় যে এরফলে সঙ্গমের জল দূষণের মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যাবে - বাড়বে জৈব পদার্থের পরিমাণ, বাড়বে ব্যাকটেরিয়াদের সংখ্যা, বেড়ে যাবে জলের সঙ্গে মিশে যাওয়া ক্ষতিকর ডিটারজেন্টের পরিমাণ, জলের সঙ্গে মিশে যাবে বিপুল পরিমাণ মনুষ্য বর্জ্য ; এইসব অবাঞ্ছিত উপাদানের উপস্থিতির কারণে কমবে জলের গুণগত মান, এরফলে নদীর জল হয়ে উঠবে পান ও স্নানের অযোগ্য, বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে বিপুল সংখ্যক জলজ প্রাণ। এমন সমস্যা একান্ত ভাবেই এবারের কুম্ভমেলার সাথে জড়িয়ে আছে তেমন নয়। নানান তিথি নক্ষত্রের হিসেব নিকেষ যোগ মিলিয়ে সারা বছর ধরেই এমন স্নান পর্ব দেশের কোনো না কোনো নদীর জলে। এমনি সব স্নানের মধ্য দিয়ে স্নানার্থী মানুষের দেহ মন আত্মা কতটা পরিশুদ্ধ হয় তা বলতে পারবোনা, তবে নদীর জল যে বিলকুল পূতিগন্ধময় হয়ে ওঠে তা বিলকুল বলতে পারি। বিষয়গুলোকে একটু খতিয়ে দেখা যাক।

    একসঙ্গে অগণিত সংখ্যক শ্রদ্ধালু মানুষ‌‌‌ পুণ্য স্নানের উদ্দেশ্যে জলে নামার ফলে নদীর জলে মিশে যায় সাবানের ক্ষার, ডিটারজেন্টের গুরু রাসায়নিক পদার্থ, শরীরের ময়লা ও অন্যান্য দূষিত পদার্থ। এইসব পদার্থের অবাঞ্ছিত মিশ্রণ জলের BOD বা বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেনের চাহিদা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয় ফলে জলজ প্রাণিদের পক্ষে জলে বাস করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। পুণ্য অর্জনের ভাবনায় বিভোর মানুষজন এই বিষয়ে মোটেই সজাগ নন। গঙ্গার জল পূত পবিত্র - এই বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে রাখা ভারতবাসী তাদের কৃতকর্মের ফলে বিষিয়ে ওঠা নদীর জলের কথা কখনো মেনে নিতে পারে?

    গণ স্নানোৎসবের কারণে জলের সঙ্গে মিশে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসরা অনেকটাই সক্রিয় হয়ে ওঠে। জলের মধ্যে প্যাথোজেন বা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ায় সেই জল পানের জন্য দূরস্থ, স্নানের জন্য‌ও উপযুক্ত নয়। অথচ এই জলেই স্নান করছে কয়েক কোটি মানুষ। এরপরে যদি নানান ধরনের শরীরী সমস্যার বাড়বাড়ন্ত হয় তাহলে তার দায় কার ওপর বর্তাবে? পুণ্য অর্জনের খেসারত এভাবে দেওয়ার জন্য এই বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থী প্রস্তুত তো?

    নদীর জলে স্নান মানে তো আর মগ দিয়ে বালতি থেকে জল তুলে মাথায় ঢালা নয়, খানিক দাপিয়ে জলে শরীর ও মন ভেজানো। এই প্রক্রিয়া চলবে প্রায় দেড় মাসের‌ও বেশি সময় ধরে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে এবারের পূর্ণ কুম্ভমেলায় প্রায় ৩০-৩৫ কোটি মানুষের জমায়েত হবে। এই সংখ্যার অর্ধেক মানুষ‌ও যদি ওখানে হাজির হয় তাহলে জল ঘুলিয়ে যেতে কতক্ষণ? এমনিতেই গঙ্গা নদীকে আমরা দেশের সবথেকে দীর্ঘ পয়: প্রণালীতে পরিণত করে ফেলেছি সেই কোন্ কালে! এখন এই অবসরে তার হাল নতুন করে কি বিগড়োবে? সেই ছট্ পুজোর সময় থেকে যমুনা নদীর দূষণ নিয়ে তুলকালাম সবমহল, তার ওপর এই পুণ্যস্নানের পর্ব! যমুনার জল আর নতুন করে কি দূষিত হবে ! শুধু এবারের পূর্ণ কুম্ভমেলায় নয় পূর্ববর্তী অর্ধ কুম্ভমেলার সময়‌ও গবেষণায় উঠে এসেছে গণ স্নানোৎসবের কারণে জলের গুণগত মানের চরম অবনতির বিষয়টি। পরবর্তীতে পরিস্থিতির লক্ষণীয় উন্নতি হয়েছে এমনটা ভাবার সুযোগ কোথায়?

    কুম্ভমেলার ফলে সবথেকে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে এই নদী সঙ্গমের জলজ বাস্তুতন্ত্রকে। বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্যের বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল। সংশ্লিষ্ট এককগুলোর যে কোনো একটির পরিবর্তন সমগ্র ব্যবস্থাকেই বিপর্যস্ত, বিশৃঙ্খল করে তোলে। গঙ্গা ও যমুনা নদীর উজানে গড়ে ওঠা শহর নগর শিল্প কারখানার দাপটে এমনিতেই এই দুই নদীর একান্ত জীবনধারা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার ওপর গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো এই গণ স্নানোৎসব জলীয় বাস্তুতন্ত্রকে যে আরও বিপন্ন করতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।

    সব মিলিয়ে কি আমরা তাহলে এতো বড়ো আয়োজনের ফলে এক নতুন বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে চলেছি? মাথায় রাখতে হবে যে এই নদীর জলের ওপর‌ই নির্ভর করে দেশের উত্তরাংশের রাজ্যগুলোর বিপুল সংখ্যক মানুষের পেয় জলের জোগান, সেচের জন্য প্রয়োজনীয় জল সরবরাহ। এই গণ স্নানের ফলে জলের গুণগত মানের এতটাই অবনমনের আশঙ্কা রয়েছে যে আগামী দিনে বিভিন্ন জল ঘটিত রোগের প্রাদুর্ভাবের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই ধর্মীয় ভাবনাগুলো জন্ম থেকেই আপামর ভারতবাসীর ভেতরে গেঁথে দেওয়ার কাজ চলে জন্ম ইস্তক। এগুলো নিয়ে আমরা সরব হ‌ইনি এতোকাল। আজ সত্যিই এসব নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করার সময় এসেছে। গঙ্গা তথা ভারতের নদীগুলোর অবক্ষয়ের জন্য আমরাই দায়ী। নদীগুলোর স্বাস্থ্যোদ্ধারের নামে একদিকে বিপুল অর্থব্যয়ের প্রস্তাবনা, অন্যদিকে আরও আরও অর্থের বিনিময়ে প্রচার সর্বস্ব উন্মাদনা সৃষ্টি। এই দুয়ের মিলন ঘটানো কি আদৌ সম্ভব? প্রশ্ন র‌ইলো।
     
    সংযোজিত অংশ 
    পুণ্যস্নানের পর্ব নিয়ে কিছু আশঙ্কার কথা নিবন্ধের শেষ পর্যায়ে উল্লেখ করা হয়েছিল। সেই আশঙ্কা যে একেবারেই অমূলক ছিলনা তা গতকালের ন্যাশনাল গ্রীন ট্রাইব্যুনালের পদক্ষেপের মধ্য দিয়েই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পুণ্য অর্জনের এমন সুলভ সুযোগ কেউই হাতছাড়া করতে রাজি নয়। ফলে বাকি সব কাজকে লাটে উঠিয়ে লোকজন ঝেঁটিয়ে ছুটছে প্রয়াগরাজের উদ্দেশ্যে। এক ডুবেই মোক্ষ লাভ? কিন্তু ডুব দেবেন কোথায়? সঙ্গমের জলে এই মুহূর্তে ব্যাকটেরিয়ার রমরমা উপস্থিতি। বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেনের মাত্রা সহনীয় নয়। এই জল নদীপথে ছড়িয়ে পড়ছে উজান ভাটির খাতে। ফলে এই জল থেকে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে নানান জলবাহিত রোগের। প্রতিদিন ১০থেকে ১২ টনের মতো আবর্জনা সাফ করার কথা জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের প্রশাসন । পূণ্যার্থীদের মল মূত্রে পয়মাল নদী জল। পূতিগন্ধময় এই কালো জলে হাঁটু মুড়ে একবার দুবার কোনোরকমে গা ভিজিয়েই উঠে পড়া একরাশ পুণ্য গায়ে জড়িয়ে। কুম্ভের জলে নাইতে না পারলে বোতল ভরা পুণ্য বারি ছিটিয়ে পুণ্য বিতরণে নেমে পড়েছেন বেশ কিছু মানুষ। বিনিময়ে প্রণামী জমা করছেন একালের মোক্ষদা ও মৈত্র মশাইরা। ধন্য ভারতবর্ষ।  বিশ্বাস ভাঙিয়ে বেওসা। জয়গুরু। 
     
     কী বলছেন?
    https://x.com/PTI_News/status/1891804114843205660?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1891804114843205660%7Ctwgr%5Ecb83313da69f52284239a32f6482f501540acfed%7Ctwcon%5Es1_c10&ref_url=https%3A%2F%2Fd-36251196652542685913.ampproject.net%2F2502032353000%2Fframe.html
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সৌমেন রায় | 202.142.***.*** | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:৫০540877
  • কে কার কথা শুনে! জলদূষণ নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের তাগড়াই রচনা লিখে দেওয়া শিক্ষককে নিয়মিত তার বাড়ির পূজার ফুল নদীতে ফেলতে দেখি।
  • সাথী সেনগুপ্ত | 2405:201:801f:33:771c:fddb:af94:***:*** | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:২৩540879
  • এগুলোকে আর ভাবে,সব তো হুজুকের দাস। অত্যন্ত সময়োপযোগী লেখা।
  • #:+ | 2405:201:8000:b11b:10f:9127:43c3:***:*** | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:২৫540880
  • কুম্ভমেলার মর্মান্তিক মৃত্যু মিছিল চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে সব কিছুকে অগ্রাহ্য করে কেবল আখের গোছানোর আর ঢাক পেটানোর উদ্যোগ নিলে ফল কি ভয়ঙ্কর হয়। তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষা যেখানে উপেক্ষিত হয়েছে সেখানে জলের কথা, নদীর কথা নিয়ে ভাবতে বয়ে গেছে প্রশাসনের।
    প্রয়োজনীয় আলোচনা, তবে কার‌ও কানে ঢুকবে?? লেখা চলুক এভাবেই।
  • পৌলমী | 2405:201:8000:b11b:10f:9127:43c3:***:*** | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৩৯540885
  • কেউ আমাদের কথা শুনুক বা না শুনুক,বলে যেতে হবে অনর্গলভাবে। বলাটা খুব জরুরি। এই ভাবনা ছড়িয়ে পড়ুক। 
  • Somnath mukhopadhyay | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৩০540906
  • পৌলমীর সঙ্গে আমি সহমত। বলে যেতে হবে। এক স্বর থেকে দ্বৈত স্বর ,তার থেকে আরও আরও বহু স্বরের অনুরণন একদিন নিশ্চয়ই জনমনে ঢেউ তুলবে। এই স্বপ্ন নিয়েই পথচলা।
  • kk | 172.58.***.*** | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:২৩540911
  • পরিবেশ নিয়ে আপনার সচেতনতা দেখে আমার খুব ভালো লাগে। এই অ্যাওয়ারনেসটা খুব দরকার আজকের দিনে।
  • Somnath mukhopadhyay | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:২৬541061
  • এই অ্যাওয়ারনেস বা সচেতনতা যাতে সকলের মধ্যে জেগে ওঠে সেই জন্যই কলম ধরা। সর্বস্তরেই পরিবেশ নিয়ে উদাসীনতা সত্যিই উদ্বেগজনক। এই লেখার মাধ্যমে নাগরিক সমাজ কিছুটা সচেতন হলেই জানবো আমার প্রচেষ্টা সফল। ভাবনাগুলো ছড়িয়ে পড়ুক পাঠকদের মাধ্যমে।
  • DrSouravM | 2401:4900:3bf1:798f:c515:291d:90e8:***:*** | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:৪৬541235
  • Religious belief can take a man anywhere 
  • SUSANTA GUPTA | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:২২541243
  • রাষ্ট্র - নিয়ন্ত্রিত পুণ্য ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই নেমে পড়েছে অ্যাপ-নির্ভর বাজার। অর্ডার দিলে বাড়িতে বসেই পেয়ে যাবেন ১০০ মিলি বোতলে কুম্ভের পুণ্যজল । তারপর ঐ জল বাড়ির জলের ট্যাংকে ঢেলে দিলেই হলো, সপরিবারে পাপ ধুইয়ে নেওয়া যাবে ! 
  • Somnath mukhopadhyay | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:২৯541252
  •  আলোচ্য নিবন্ধে এই বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এই নিবন্ধটি লেখার সময় অবধি জলের গুণগত মান নিয়ে কন্ট্রোল বোর্ডের রিপোর্ট পেশ করা হয়নি। এখন বিস্তর হৈ চৈ হচ্ছে। এই রিপোর্ট প্রসঙ্গে একটি পূর্ণাঙ্গ আলোচনা আগামীকাল প্রকাশিত হবে অন্য একটি পত্রিকায়। ধন্যবাদ মতামতের জন্য।
    লেখাটা ছড়িয়ে পড়ুক সচেতনতার জন্য।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন