এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • সুইডেন থেকে শিক্ষা.....?

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ | ৪৪২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • সুইডেন থেকে শিক্ষা …..?

    পৃথিবীর যে সব দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের পক্ষে আদর্শ , গ্রহণীয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা স্ক্যান্ডিনেভিয়ান উপদ্বীপের অন্যতম দেশ সুইডেন তাদের মধ্যে অন্যতম। প্রি স্কুল স্তর থেকেই ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য এক অন্য ধরনের তালিমের পর্ব শুরু হয়ে যায় একদম খোলামেলা পরিবেশে। খেলতে খেলতে শেখার আনন্দে বিভোর হয়ে যায় নবীন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তী স্তরের শিক্ষাও যে এই আনন্দময় ধারার‌ই অনুসারী তা বোধহয় বুঝিয়ে বলার অপেক্ষা রাখেনা।

    এহেন সুইডেন থেকে এক উলট পুরাণের কাহিনি নজরে এল খুব সম্প্রতি। একটু পিছিয়ে যাই। ২০০৯ সালে স্কুল পড়ুয়াদের কম্পিউটার নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তন করে এই দেশ। লক্ষ্য ছিল উন্নত যান্ত্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার হাত ধরে দেশের নয়া প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের অন্যদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। কম্পিউটার এসে গেলে ব‌ইয়ের আর প্রয়োজন কি ? ব‌ইপত্র সব বেঁধেছেদে তুলে রাখা হলো। ব‌ইয়ের বদলে কম্পিউটার বগলদাবা করে স্কুলে যেতে একটু একটু করে অভ্যস্ত হয়ে উঠলো সুইডিশ শিক্ষার্থীরা। সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। গোল বাঁধলো পনের বছর পর ২০২৪ সালে। খুব সম্প্রতি সুইডিশ সরকারের পক্ষ থেকে ১০৪ মিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ করা হয়েছে পাঠ্যপুস্তক ছাপিয়ে প্রকাশ করার জন্য। কেন এমন সিদ্ধান্ত? কেন এমন তরতরিয়ে এগিয়ে গিয়ে আবার পুরনো ব্যবস্থাকে সাদরে আহ্বান জানানো? একটু সুলুক সন্ধান করে দেখা যাক্।

    দুনিয়া জুড়েই এখন টেক্ লার্নিং এর অভাবিত সাফল্যের জয়গান গাইছে শিক্ষাবিদ থেকে আমজনতা। ব‌ইয়ের বাঁধা শব্দবন্ধের মধ্যে মনকে বন্দি করে না রেখে টেকনোলজির ডানায় ভর করে মুক্ত বিহঙ্গের মতো শিক্ষাকাশে উড়ে বেড়ানোর পক্ষেই বিশ্বময় স‌ওয়াল চলছে। এমন এক বিশ্বময় প্রচারের মধ্যে ফিরে চল ব‌ইয়ের টানের মতো সিদ্ধান্ত কেন? কেন এক দুরন্ত গতিতে ছুটে চলা ব্যবস্থাপনাকে হঠাৎ ব্রেক কষে থামিয়ে দেওয়া? কী বলছেন সেই দেশের শিক্ষাবিদ এবং শিক্ষা প্রশাসকরা?তাঁদের মতে যন্ত্র শিক্ষার্থীদের দিয়েছে বেগ,
    কেড়ে নিচ্ছে আবেগ।এক গভীর মানসিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে তাদের শেখা ও জীবনবোধ বিকাশের মধ্যে। ফলে অর্থহীন হয়ে পড়ছে শিক্ষা কেন্দ্রিক এতো বিপুল আয়োজন। শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতা ও বিকাশ এই যান্ত্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার দরুণ ব্যাহত হচ্ছে। গোটা ব্যাপারটাকেই একটু আতশ কাঁচের তলায় ফেলে দেখে নেওয়া যাক্।

    আমাদের ফিরে যেতে হবে ২০০৯ সালে। চেনা পরিচিত ছন্দ ছেড়ে নতুন কিছু করতে চাওয়ায় অন্তর্লীন তাগিদ থেকেই সুইডেনের শিক্ষা ব্যবস্থার ভোল পাল্টে ফেলার আয়োজন করা হলো। এমন ভাবনার অঙ্গ হিসেবে সবার আগে বাতিল করে দেওয়া হলো ব‌ইপত্রগুলোকে। তার পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের হাতে উঠলো ডিজিটাল বুক – কম্পিউটার। সুইডিশ শিক্ষার্থীরা যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবে, পৃথিবীর অগ্রগণ্য দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যখন পুরোদস্তুর ডিজিটালাইজড হতে চলেছে তখন সুইডেন পিছিয়ে যাবে কেন? সুতরাং সবার হাতে হাতে কম্পিউটার অথবা ট্যাবলেট। সরকারি শিক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তারা ভেবেছিলেন যন্ত্র এসে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা যাপনকে অনেক আনন্দময় করে তুলবে। তারা আগের তুলনায় অনেক তাড়াতাড়ি সব কিছুকে রপ্ত করতে পারবে। রাজপ্রাসাদে সোহাগী সুয়োরাণী আসার ফলে বহু দিনের চেনা জানা বিশ্বস্ত বড় রাণী যেমন দূরে সরে গিয়ে দুয়োরাণী হয়ে যায়, সাবেকি ব‌ইপত্তরের হলো তেমন দশা। ছেলেমেয়েদের এখন আর পিঠে করে গুচ্ছের ব‌ইপত্র বয়ে নিয়ে যেতে হয়না, সরকারি ব্যবস্থাপনার সৌজন্যে এখন হালকা হাতে স্কুলে যেতে পারছে সবাই। ভবিষ্যতে তো বিশ্বময় এমন শিক্ষাব্যবস্থা কায়েম হতে চলেছে ! তাই এখন থেকেই সুইডিশ ছানাপোনারা সেই অনাগত ছন্দ রপ্ত করুক। প্রাগদর্শী সুইডিশ সরকারের ব্যবস্থাপনার প্রশংসায় দেশে বিদেশে বিস্তর মানুষজন গদগদ হয়ে উঠলেন।

    লক্ষ্য ছিল একেবারে স্ফটিক স্বচ্ছ - Crystal Clear – “আমরা ভাবি সবার আগে,কে আমাদের রুখবে? আগামীর প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার জয়ধ্বজা বহন করবে সুইডেনের নবীন শিক্ষার্থীরা। আমরা সেই অনাগত ভবিষ্যতের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিলাম।” আমরাই অগ্রদূত।

    বেশ কিছুদিন গোটা ব্যবস্থাপনাই বেশ মোহিত করে রাখলো এই স্ক্যান্ডিনেভিয়ান উপদ্বীপের দেশের মানুষজনকে, বিশেষ করে যারা প্রত্যক্ষভাবে শিক্ষা বাস্তুতন্ত্রের অংশ তাদের সকলকে, কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে সকলেই টের পেলেন “ডাল মে কুছ কালা হ্যায়।” হেঁচকি তোলার মত আর কি! খেতে খেতে হেঁচকি ওঠা শুরু হলে যেমন খাওয়ার আনন্দটাই মাঠে মারা যায় এক্ষেত্রেও ব্যাপারটা সেই রকমই হলো। যন্ত্রকে ছাপিয়ে যন্ত্রণা বড়ো হয়ে উঠলো। আর সেই কারণেই সুইডিশ সরকার এতোদিন পরে তাঁদের দ্বিতীয় পরিকল্পনার কথা,যা আদপে সেই পুরনো ব্যবস্থার‌ই প্রতিরূপ, আবার সামনে নিয়ে এসেছে।

    কেন বুলেট ট্রেন ছেড়ে চিরদিনের বিশ্বস্ত বনগাঁ লোকালে ওঠার কথা বলা? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে ডিজিটাল শিক্ষার হাত ধরে অনেক নতুন সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। গবেষণার সূত্রে জানা গেছে যে আমাদের এই স্ক্রিন টাইম বেড়ে যাওয়ায় চোখের সমস্যা ক্রমশই বাড়ছে, পর্দায় ভেসে ওঠা ছবির স্থায়িত্ব স্বল্প সময়ের জন্য, ফলে শিক্ষার্থীরা পাঠ্য বিষয়ের সঙ্গে নিজেদের যথাযথভাবে যুক্ত করতে পারছে না। মন উড়ু উড়ু হয়ে যাচ্ছে খানিকটা সময় বাদেই। কম্পিউটারের পর্দায় ভেসে ওঠা বিষয়টিকে আত্মস্থ করা দূরে থাক, বারংবার দ্রুত গতিতে বদলে যাওয়া দৃশ্যপট তাদের স্মৃতি ও মনকে কিছুতেই ছুঁতে পারছেনা।

    এখানেই শেষ নয়। অমন এক সর্ব দর্শনের সুযোগ করে দেওয়া যন্ত্র হাতে পেলে যা হবার তাই হয়েছে। সুইডিশ শিক্ষার্থীরা তো আর নতুন ধাতুতে তৈরি নয়, তাই ফাঁক পেলেই তাদের মন উধাও হয়ে যাচ্ছে বিশ্বরূপ দর্শনের কাজে। তাই কেউ মজে থাকছে ডিজিটাল গেমসে ,কেউ বা সাইট খুলে দেখছে নানান কিসিমের কাণ্ড কারখানা। পড়ায় ডুবে থাকা? আরে রামো রামো ! ওসবে সময় নষ্ট করে কেউ?

    এই যে সারাদিন যন্ত্রের মধ্যে ডুবে থাকা,এর সামাজিক প্রতিফল‌ও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। শিক্ষার্থীরা চারপাশের সমাজ পরিবেশ নিয়ে একদমই আগ্রহী নয়। কেবল কম্পিউটার আর নিজেকে ছাড়া আর সব কিছুতেই তারা উদাসীন। বিষয়টি শিক্ষক এবং অভিভাবকদের কাছেও উদ্বেগের হয়ে উঠেছে। কেননা তাঁরাই পরিস্থিতির সবথেকে বড়ো ভূক্তভোগী। অভিভাবকদের অভিযোগ ছেলেমেয়েরা পড়াশোনার বদলে অন্য বিনোদনেই ডুবে থাকছে সর্বক্ষণ। খাচ্ছিল তাঁতী তাঁত বুনে ,কাল হলো এঁড়ে গরু কিনে।

    সমস্যার গভীরতা আঁচ করেই সুইডিশ সরকার ১০৪ মিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ করেছেন নতুন করে ব‌ই ছাপিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেবার জন্য। গত ২০২২ সাল থেকে এই কাজটা ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে। সরকারের আশা এই বছরের মধ্যে এই কাজ সমাপ্ত হয়ে যাবে। সরকারের লক্ষ্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীর হাতে কাগজে ছাপা বই তুলে দেওয়া যাতে স্কুলের পড়াটাকে বাড়িতে তারা পড়ে দেখে নিতে পারে। ব‌ই ছাপার পর যে অর্থ বাঁচবে তা ব্যয় করা হবে স্কুলগুলোতে চলতি ব্যবস্থার পুনরায় ফিরিয়ে আনতে। সরকারের তরফে প্রয়োজনে আরও অর্থ বরাদ্দ হবে বলে আশ্বাস মিলেছে। একথাও বলা হয়েছে যে ডিজিটাল ব্যবস্থাকে কখনোই পরিপূর্ণভাবে নির্বাসনে পাঠানো হচ্ছে না। সুইডিশ সরকার এই দুই ব্যবস্থার মধ্যে একটি কার্যকর মেলবন্ধন ঘটানোর চেষ্টা চলছে যাতে এই দুই প্রচলিত ব্যবস্থা একে অন্যের যথাযথ পরিপূরক হয়ে উঠতে পারে।

    প্রশ্নটা এখানেই। শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো একজন মানবকের সুপ্ত অন্তর্নিহিত সম্ভাবনাকে পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হতে সর্বতোভাবে সাহায্য করা। মানুষের শিক্ষার সবচেয়ে বড়ো দিক হলো এই যে মানুষকে সবকিছু শিখে নিতে হয় একটু একটু করে। একদম ছোটো বেলা হলো এই নিরবচ্ছিন্ন নির্মাণের সবথেকে আদর্শ সময়। এই সময়টাতে বিকাশমান মনের খোরাক সে সংগ্রহ করে তার পারিবারিক আবহ থেকে, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ থেকে। সেই সময়টাতে যদি আয়তাকার পর্দায় চোখ মন বোধ হৃদয় সব বন্দি হয়ে যায় তাহলে আন্তর সত্ত্বার বিকাশ ব্যাহত না হয়ে পারে? সুইডিশ সরকার এখন স্বীকার করছে যে বিকশিত হবার লক্ষ্যে বড্ড তাড়াতাড়ি পা বাড়ানো হয়ে গিয়েছিল। এটুলির মতো স্ক্রিনে শিক্ষার্থীদের মন আর মস্তিষ্ক এভাবে আটকে যাবার বিষয়টি আগেভাগে টের পায়নি সুইডিশ সরকারের শিক্ষা পরিকল্পকরা। তবে এবার থেকে আরও সতর্ক হতে হবে সব পক্ষকেই যাতে সংঘাতের পথ এড়িয়ে সৃজনের পথে পা বাড়াতে পারে আমাদের শিক্ষার্থীরা।

    আসলে সুইডেনের এই “দুই পা এগিয়ে তিন পা পিছিয়ে আসার” ঘটনা আমাদের একটা বড়ো শিক্ষা দিয়ে গেল। টেক বুভুক্ষু আমাদের দেশে এক শ্রেণির মানুষজনের ধারণা টেকনোলজি ছাড়া কখনোই একালের শিক্ষা পরিপূর্ণ হবে না। এমন প্রচারের সুযোগ নিয়ে আমাদের দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে ঢালাও মনোলোভা প্রচার। সেই দিকে পতঙ্গের মতো পিলপিল করে ছুটছেন অভিভাবকরা। সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাভিশ্বাস উঠে গেছে কবেই।কোভিডকালীন বিচ্ছিন্নতা আমাদের সব চেনা ব্যবস্থাকে এককথায় ঘেঁটে দিয়ে গেছে। আমরা সচেতন হতে পারিনি। তাই কখনো এদিক, কখনো ওদিকে ছোটাছুটি করে বেদম হয়ে পড়েছি আমরা। এখন সময় সচেতন হবার। সুইডেন ভেবেছে। আমরা কী করবো??
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রবীন্দ্রনাথ পাখিরা। | 42.***.*** | ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:৩০540658
  • অতিরিক্ত যন্ত্র নির্ভরতা মনুষ্যত্বের ক্ষয় ঘটায় । মানুষকে যান্ত্রিক করে তোলে। যন্ত্রের ভালো দিকটা নিয়ে আমরা আহ্লাদিত হ‌ই , কিন্তু ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে আমরা ভাবছি না। যন্ত্র ব্যাবহারের সীমারেখাটা আমাদের অনেক সচেতন ভাবে নির্ণয় করতে হবে।
  • পৌলমী | 2409:4060:2dc9:ee33:1526:d31d:7f78:***:*** | ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:৫১540668
  • সুইডেন বা অন্যান্য পশ্চিমা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিকাঠামো অনেক উন্নত সন্দেহ নেই, তবে অতিরিক্ত যন্ত্র নির্ভরতা নিশ্চয়ই কোনো কোনো ক্ষেত্রে মানসিক প্রগতির অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাবেক পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়া হয়তো তার‌ই ইঙ্গিতবাহী। সুইডেন থেকে আমরা শিক্ষা নিলাম। 
    লেখাটির জন্য লেখককে ধন্যবাদ জানাই।
  • রাজীব দাশ | 202.142.***.*** | ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:০৪540669
  • খুব  ভালো লাগল দাদা. অনুপ্রেরণা নেওয়া উচিত। 
  • বহ্নি ভট্টাচার্য | 2401:4900:3d33:4fb5:fe22:6a1f:2b80:***:*** | ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:২৬540675
  • খুবই সুন্দর ও সময়োপযোগী লেখা...ছোটোবেলায় একটি রচনা পড়তাম, "বিজ্ঞান -আশীর্বাদ না অভিশাপ", লেখাটা পড়ে সেই কথা মনে পড়ে গেলো...
  • Ritabrata Gupta | 2401:4900:775c:fc58:1792:1863:4e7b:***:*** | ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:৫৮540683
  • একদম  সত্যি  এবং  অত্যন্ত  প্রাসঙ্গিক .  আজও  বইয়ের  কোনো  বিকল্প  নেই !  অসাধারণ  লেখা !
  • Somnath mukhopadhyay | ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৪৩540702
  • শেখাটাই শেষ কথা। এটা মনে রাখতে হবে। সুইডেনের শিক্ষা পরিকাঠামো অনেক উন্নত। ওখানে সরকার পরিচালিত স্কুলগুলোতেই শিক্ষার্থীদের ভিড়। ফলে সরকার তাঁর সিদ্ধান্ত বদল করে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে কুণ্ঠিত হয়না। এখন প্রয়োজন ব‌ই ও ডিজিটাল ব্যবস্থার কাঙ্ক্ষিত মেলবন্ধন।
  • সৌমেন রায় | 202.142.***.*** | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ০৭:২৫540711
  • চিরন্তন পদ্ধতির কখনো পরিবর্তন হয় না ।সম্পূর্ণ পাল্টে দিতে গেলেই সমস্যা আসবে। শুধু টেকনোলজি নয়। সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী নিয়ে এখন এত বাড়াবাড়ি হচ্ছে মনে হচ্ছে ওটাই শিক্ষা শিক্ষা  ,বাকিটা সহ -পাঠ। পড়াশোনা নিবিষ্ট সাধনার বিষয় ,সেটি হারিয়ে যাচ্ছে। এসব বললে আবার সবাই অনেক তত্ত্ব কথা শুনিয়ে দেয়।তাই চুপ থাকাই শ্রেয়।
  • পলি মুখার্জি | 2405:201:8000:b11b:34e7:3bbb:6851:***:*** | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:৫০540726
  • প্রযুক্তি বুভুক্ষু ভারতবর্ষ - কথাটা কানে বাজলো। আমাদের দেশে এতো গভীর শূন্যতা শিক্ষাকে ঘিরে যে আমাদের দেশের পড়ুয়ারা ডিজিটাল শিক্ষার কথা কল্পনাতেও ঠাঁই দিতে পারে না। ব‌ইকে আগলে রেখেই তাদের পথ চলা। সবটাই ডিজিটাল হয়ে গেলে এমন পরিণতি অনিবার্য। বিলম্বিত বোধোদয়ের জন্য সুইডিশ শিক্ষা পরিচালকদের ধন্যবাদ জানাই।
  • অসীম ভট্টাচার্য | 117.233.***.*** | ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:০৫540744
  • সারা পৃথিবীর কাছেই শিক্ষনীয় বিষয়... 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন