এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা   দর্শন

  • বিনম্র প্রণাম 

    দীপ
    আলোচনা | দর্শন | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৬৮ বার পঠিত
  • প্রয়াত হলেন বৌদ্ধদর্শনের বিশিষ্ট পণ্ডিত ও মনীষী সুনীতিকুমার পাঠক। শতবর্ষ অতিক্রম করেও বিদ্যাচর্চায় তাঁর কোনো ক্লান্তি ছিলোনা। মহীরুহসম এই ব্যাক্তিত্বের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন তাঁর ছাত্রীসমা অহনা বিশ্বাস।
    সবার উদ্দেশ্যে নিবেদন করলাম।
    প্রণাম হে আচার্যদেব, আপনাকে সশ্রদ্ধ প্রণাম! 
    ------------------------------------------------------------------
     
    মাত্র বছর দুয়েক আগেকার ঘটনা। আমি তাঁর কাছে সেদিন প্রথম গেছি। কাছেই ছিলেন,  কিন্তু নানা সংকোচবশত তাঁর কাছে যাওয়া হয়নি। ফিরে এসেও একটা আবেশের মধ্যে ছিলাম। তখন লিখে ফেলেছিলাম এই কথোপকথন। সেই কথোপকথন এখানে নিবেদন করলাম।
    কে তিনি? অনেকেই অনুমান করতে পারবেন। কিন্তু নামে কী এসে যায়! ভাবনাই মুখ্য। সেই গুরু চলে গেলেন চিরতরে ১০০ বছর অতিক্রম করে। তাঁকে আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম।
    ************
    এক আটানব্বই বছরের পন্ডিতের কাছে গেলাম। আগে কাছে যাইনি কেন — সে কথা মনে হল। তারপর ভাবলাম, সবেরই বোধহয় সময় থাকে, মানসিক পরিণতি ও পরিবর্তন অনুযায়ী এক এক সময় এক এক জায়গায় যাওয়ার তাগিদ আমরা  অনুভব করি। 
    বয়স প্রসঙ্গে উনি বলছিলেন, আমাদের চতুরাশ্রমের কথা। বলছিলেন, এ ভাগ যথার্থ। আশ্রমের মূলে আছে শ্রম। খেটে খাও। এ ব্যাপারে এই বন্দোবস্তের ভাবনা কার্ল মার্ক্সেরও আগে।
    চব্বিশ বছর বয়সের পর থেকে আমাদের ঔৎসুক্য কমতে থাকে। তারপর গার্হস্থ্যাশ্রম।বলছিলেন বাণপ্রস্থ ও সন্ন্যাসের প্রয়োজন আছে।
    জিজ্ঞাসা করলাম, সন্ন্যাস কী? উনি হেসে বললেন, সমর্পণ। বললাম হিন্দুর সমর্পণ যদিও বা বুঝতে পারি বৌদ্ধদের সন্ন্যাস তো বুঝতে পারি না। বৌদ্ধদের তো ঈশ্বর নেই। তবে কার কাছে সমর্পণ? বললেন, নিজের কাছে। নিজেকে খোঁজাই সবচেয়ে বড় খোঁজা। 
    বললাম, সেটা কীভাবে খোঁজা যায়?
    তিনি বললেন, ভাবতে হবে। তার জন্য ধ্যান দরকার।

    আমি সাধারণ মানুষ। কোনওদিন কোনও নিয়ম, কোনও সামাজিক রীতিনীতির মধ্যে যাইনি। তাই জিজ্ঞাসা করলাম, রিচুয়ালের প্রয়োজনীয়তা কী? উনি বললেন, রিচুয়াল করতে করতে আমরা একাগ্র হই। একাগ্রতার জন্যই এই করণ। 
    আমি বললাম ওঁ এর অর্থ কী? এই মন্ত্রে তো অনেকে ধ্যান করেন।
    বললেন ওঁ হল তিনটি স্বরধ্বনির সমাহার। অ উ ই। তবে শেষ পর্যন্ত অ ধ্বনিকেই ধ্যানের মন্ত্র করতে হবে। তিনি একটি সংস্কৃত বই দেখালেন। আমি অবুঝ, অশিক্ষিত। বইএর নাম মনে রাখতে পারিনি। বললেন, বইটির অনুবাদ হয়নি। 
    বললাম, যদি ধরুন আমি বুঝতে পারি, আমার মৃত্যু আগত, তাহলে আমি কী করবো?
    উনি বললেন, মৃত্যু অনেক সময় অনুভব করা যায়। তখন কণ্ঠে অ জপ করতে হবে।
    জিজ্ঞাসা করলাম, মৃত্যু মানে কী?
    উনি বললেন, এক ঘর থেকে কেবল অন্য ঘরে যাওয়া।
    রবীন্দ্রনাথের ধর্ম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। উনি বললেন ,যিনি হৃদয় আমার নাচেরে আজিকে ময়ূরের মতো নাচেরে লিখতে পেরেছেন, তিনি এই মহাবিশ্বের লীলা কী প্রচন্ডভাবে অনুভব করতে পেরেছিলেন। আমিও একবার বেশ কিছুদিন কুমারিকায় ছিলাম। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সকাল সন্ধ্যার আলোর, রঙের পরিবর্তন দেখতাম আর মনের ওপর এই রঙের প্রভাবও অনুভব করার চেষ্টা করতাম। এখনও আমি তাই দেখে যাই। আমার বাড়ির চারদিকে তাই এত গাছ। গাছের ওপর আলো পড়ছে, বৃষ্টি পড়ছে, গাছের কী আনন্দ আমি দেখতে থাকি। একে লীলা বলাই ভালো। মহাবিশ্বের লীলা। কিছুই তো হারায় না। 
    জিজ্ঞাসা করলাম, রবীন্দ্রনাথ কি যোগী ছিলেন?
    উনি বললেন, অসম্ভব একাগ্র অনুভব না হলে কী এমন শব্দবন্ধ, এমন ছবি, এমন ভাব প্রকাশিত হয়! রবীন্দ্রনাথ কতটা ব্রাহ্ম ধর্মকে গ্রহণ করেছিলেন জানি না, তবে রবীন্দ্রনাথ ভূমা মন্ত্রে জপ করতেন।
    জিজ্ঞাসা করলাম, ভূমা মন্ত্র কী? 
    উনি বললেন, মহাবিশ্বকে নিজের মধ্যে অনুভব করা কিংবা মহাবিশ্বের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করার চেষ্টা করে যাওয়া।
    এই যে প্রায় সব ধর্মেই জপের কথা আছে। সেটা করলে কী লাভ হয়? 
    বললেন, মনে অপচিন্তা আসতে না দেওয়া।
    অপচিন্তা মানে কী? যে চিন্তায় আনন্দ নেই।
    উনি সম্মতিসূচক ঘাড় নাড়লেন।

    বললেন, বুদ্ধদেবের সবচেয়ে বড় অবদান কালের ধারণা দেওয়া। দুঃখ আছে। দুঃখের কারণ আছে। দুঃখের নিবৃত্তি আছে। সর্বোপরি দুঃখ নিবৃত্তির উপায় আছে। এই চারটি সত্যের মধ্যেই কাল নিহিত আছে। 
    বললাম, আমাদের তো প্রায় সব যোগীরাই ধ্যান করেছেন। তবে তন্ত্র কী? 
    বললেন তন্ত্রও আচার। 
    জিজ্ঞাসা করলাম, তন্ত্রের উৎপত্তি কোথায়? বললেন,সম্ভবত  মিশরে। সেখান থেকে ইহুদিরা নিয়ে এসেছে ইরানে। ইরান থেকে যারা আমাদের দেশে এসে বেদের জন্ম দিয়েছে, তারাই নিয়ে এসেছে। বললেন, আপনি উপেন দাসের বই পড়েছেন?
    আমি ঘাড় নাড়লাম। পড়িনি। উনি পড়তে বললেন। বললাম, বুঝতে পারবো? বললেন, উনি সহজ করেই লিখেছেন।
    সহসা আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি বেদান্তের ছাত্রী? আমি সজোরে মাথা নাড়লাম। বললাম, আমি সংস্কৃতর বিন্দুবিসর্গ জানিনা। বললাম, আমার মা বেদান্ত পড়েছেন। উনি বললেন , তাহলে আপনার রক্তে আছে।
    মানুষের মধ্যে নক্ষত্রের প্রভাব নিয়ে কথা হচ্ছিল। জিজ্ঞাসা করলাম, এটার কি কোনও সত্যি অস্তিত্ব আছে? 
    বললেন ,থাকাটাই তো স্বাভাবিক। নইলে একই মায়ের গর্ভের দুই সন্তান দুরকম হয় কেন? এর রশ্মির একটা প্রভাব থাকেই। 
    বললাম, এই যে লোকে পাথর ধারণ করে, তাতে কি এইসব নক্ষত্রের দোষ এড়ানো যায়? 
    উনি হেসে বললেন, সে বলতে পারবো না। ওটা বিশ্বাসের প্রসঙ্গ।
    বলছিলেন, মেডিকেল সায়েন্স কতটুকু ধরতে পারে মানুষকে? শুধু বাইরেটুকু।
    বললাম,আপনার একমাত্র পুত্র ডাক্তার, ব্রেন সার্জারি তাঁর বিষয়, তাঁর সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা হয় আপনার? 
    বললেন, হয়। তবে সে তাদের দিক থেকে বিষয়টা দেখে। আমি অন্য দিক থেকে।

    ওনার ঘরটিতে বেশ কিছু ছবি আছে। মৃত স্ত্রী এবং কন্যার, শশ্রুমাতার এবং আর একজন মহিলার, যাকে তিনি তাঁর স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এবং তাঁদের পরিবারের অতি হিতৈষী বলে উল্লেখ করলেন। আর আছে তাঁর গুরু রোয়েরিকের ছবি। রুশ মানুষটি হিমাচলে থিতু হয়েছিলেন। বিখ্যাত চিত্রশিল্পী নিকোলাস রোয়েরিকের পুত্র তিনি। বললেন সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় পাঠিয়েছিলেন তাঁর কাছে। আর আছে কলাভবনের জনৈক ছাত্রের আঁকা বুদ্ধের ছবি, আর চোখের সামনে ত্রিনয়নী দুর্গার একটা মুখের ফোটোগ্রাফ বড় করে বাঁধানো।
    বেশিক্ষণ বসতে পারেন না, শুয়ে পড়েন মাঝেমাঝে। শুয়ে শুয়ে দুর্গার ছবির দিকে তাকিয়ে বললেন, ওই যে তৃতীয় নয়নটার জন্যই এই ছবিটা সামনে রেখেছি। 
    আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এই দৃষ্টিশক্তি বা ক্ষমতার অধীশ্বরী হওয়া যায় কীভাবে?
    উনি নিজের নাসিকার চূড়ায় নিজের আঙুল রেখে বললেন প্রথমে এইখানে দৃষ্টি স্থাপন করতে হবে,তারপর আস্তে আস্তে আঙুল উঠিয়ে নিয়ে গেলেন কপালের মাঝে। তাই তো এখানেই সব। এখানেই টিপ পরার জায়গা।
    কেন জানি না চৈতন্যের কথা মনে এল। বললাম, চৈতন্য কি যোগী ছিলেন? বললেন, ছিলেন বইকী। নইলে কেন তিনি বলবেন, যেখানে যেখানে চক্ষু পড়ে, সেখানেই কৃষ্ণ দেখতে পান। তৃতীয় নয়নেই ছিল তাঁর ধ্যান।

    বললাম, আপনার যাত্রার কথাটা লিখুন। বললেন, লিখতে এখন পারব না। তবে বলে যেতে পারব। বললাম, তাই করুন।
    বললেন পূর্ব পশ্চিম দুইই পরিভ্রমণ করেছি। হিমালয়ের পাহাড়ের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত হেঁটে ঘুরেছি। মেয়েদের রান্নাঘরে বসে বসে ভাষা শিখেছি। জানেন তো মেয়েদের স্বরে যত ভালো উচ্চারণ ধরা পড়ে তেমন আর কোনওটিতে হয় না।
    জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি বৌদ্ধ হলেন কীভাবে?
    বললেন, বৌদ্ধ বইপত্র পড়ছিলাম। সঙ্গে ছিলেন নৃতাত্ত্বিক ভিরিয়ার এল্যুইন। উনি বললেন, এসব পড়ছেন, আপনি কি বৌদ্ধ! আমি বললাম, না। তা নই। বললেন, আপনি বৌদ্ধ না হয়ে বৌদ্ধ শাস্ত্র সব বুঝবেন কী করে? সম্পূর্ণ অবগাহন তো হবে না।
    আমি ভাবলাম সে কথা। পরদিন মঠে গিয়ে বৌদ্ধ গুরুকে বললাম, আমি বৌদ্ধ হতে চাই। দীক্ষা দিন।   
    উনি শুনে বললেন, তোমাকে আমি বৌদ্ধ করবো, তুমি কী দেবে আমায়? 
    আমি বললাম, যা চাইবেন তাই দেব।
    উনি বললেন তুমি কি তোমার পবিত্র সুতো অর্থাৎ পৈতে দিতে পারবে? 
    আমি ভেতরে ভেতরে একবার কেঁপে উঠলাম। তারপর বললাল, দেব। তিনি বললেন, তিন দিন পরে এসো।
    বললাম, এই তিনদিন কী করবো? গুরু বললেন আত্মশুদ্ধি করবে।
    বৃদ্ধকে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আত্মশুদ্ধি কী?উনি বললেন, নিজেকে নিয়ে চিন্তা। নিজের অনুসন্ধান নিয়ে ভাবা।
    আবার উনি বলতে শুরু করলেন, তিনদিন পর ওনার কাছে গিয়ে ওনার হাতে পৈতেটা দিলাম। উনি 'ও আচ্ছা' বলে ওটা একদিকে সরিয়ে রাখলেন। বললেন, তুমি নিশ্চয় মংক হবে। আমি বললাম, তা কী করে হবো? বাড়িতে আমার স্ত্রী, পুত্র আছে। কাজেই সন্ন্যাসী হতে আমি পারব না।
    তারপর মহাযানী মতে আমার দীক্ষা হল।

    এইসব আলাপচারিতা  তিব্বতী ভাষার বিশিষ্ট পন্ডিত সুনীতিকুমার পাঠকের সঙ্গে হয়েছিল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন