এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা   সমাজ

  • বর্তমান বাংলাদেশ 

    দীপ
    আলোচনা | সমাজ | ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ৪৬৩ বার পঠিত
  • বর্তমান বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা করলেন সৌরদীপ চট্টোপাধ্যায়। মহাপণ্ডিতদের উদ্দেশ্যে নিবেদন করলাম।
    -------------------------------------------------------------------
     
    কথাটা একটু কানে লাগতে পারে। তবে খুব একটা অতিরঞ্জন নয় বোধ হয়। বিদেশনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, কূটনীতি এগুলো খুবই গোলমেলে ব্যাপার। এগুলো নিয়ে বিস্তর পড়াশুনো করতে হয়। লাগাতার চর্চা লাগে। অভিজ্ঞতা লাগে। কিন্তু এইসবের বাইরে আছে আমাদের প্রতিবেশী বাংলাদেশ। বস্তুত, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে জানতে বা বুঝতে গেলে মোটের ওপর চোখকান খোলা রাখলেই চলে। খুব বেশি ভারি ভারি চর্চার দরকার নেই। এই যে আজ বাংলাদেশ উত্তাল—এটা কিন্তু খুব অভাবনীয় কিছু নয়। এটা হওয়ারই ছিল। আওয়ামি সরকার পড়লেই যে মোটামুটি রাজশাহী থেকে চাটগাঁ অবধি সর্বস্তরে কট্টরপন্থীরা মাথাচাড়া দেবে, এটা আন্দাজ করতে খুব বেশি ইতিহাস-ভূগোল-রাষ্ট্রবিজ্ঞানের চর্চা না থাকলেও চলে। কারণ দেশটা বাংলাদেশ। সেখানে এটাই দস্তুর। হাসিনা-সরকারকে সরিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক, যুক্তিবাদী, গণতান্ত্রিক সরকারের চিন্তা করাটা মোটামুটি আকাশকুসুমের চাইতেও এককাঠি ওপরে। হাসিনা-সরকারের আমলেই কি এগুলো ছিল? পুরোপুরি নয়। কিন্তু তাও ওই, একটু-আধটু করে ছিল। মন্দের ভাল আরকি। কিন্তু এখন যেটা হয়েছে, সেটাকে মাৎস্যন্যায়ের সঙ্গে তুলনা করলেও কম বলা হয়। সবচেয়ে বড় কথা, এই মৌলবাদীদের উত্থান ভারত সরকারের পক্ষে এবং বিশেষ করে সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গ-ত্রিপুরা-অসম-মেঘালয়ের জন্য যথেষ্ট চিন্তার। 

    অথচ তারপরেও, খুব অদ্ভুত লাগত, যখন দেখতাম, বাংলাদেশের ঐ 'ছাত্র আন্দোলন' চলার সময় কলকাতার বেশ কিছু প্রগতিশীল, শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীদের দু'হাত তুলে ওই আন্দোলনকে 'দ্বিতীয় স্বাধীনতার লড়াই' ইত্যাদি বলে নেত্য করতে। এনারা ঠিক কোন রাস্তায় চিন্তা করেন, জানতে ইচ্ছে হয়। বাংলাদেশ-সম্পর্কে খুব অল্প ধারণা থাকলেই আওয়ামি লিগের বিরুদ্ধে কারা আছে জানতে পারা যায়। তারপরেও আওয়ামির অবর্তমানে ঠিক কোন পথে, কোন রাস্তায় এই বিচিত্র 'স্বাধীনতা' আসবে, কীভাবে তা দ্বিতীয়বার স্বাধীন করবে বাংলাদেশকে, এগুলো ব্রাহ্মীশাক, পাকা পেঁপে, কাঁচকলাসেদ্ধ ও প্রচুর ফলমূল খেয়েও বোঝা মুশকিলের। কিন্তু তাও তাঁরা ভেবেছিলেন। উদ্বাহু হয়ে নিয়মিত পোস্ট করতেন। কলকাতার বুদ্ধিজীবী মহলে ওই আন্দোলন নিয়ে যথেষ্ট আবেগ ছিল। তারপরে হাসিনা-সরকারের পতন হয়েছে। বাংলাদেশ জুড়ে কী চলেছে তা শ্যামলাল থেকে যদুলাল সবাই দেখেছে। সংখ্যালঘু হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানদের অস্তিত্বটাই বিপদের মুখে। যথারীতি, এপারেও এবার পাল্টা সাম্প্রদায়িক গলা চড়ানো বাড়ছে। 

    এই ঘটনার দায় অবশ্যই আওয়ামি নেতারা এড়াতে পারেন না। এরকম বাস্তব-বিচ্ছিন্ন হয়ে, নির্বাচন না করিয়ে দিনের পর দিন ক্ষমতা কুক্ষিগত করে না রাখলে অবস্থা এতটা চিকিৎসার বাইরে যেত না। কী হত, নির্বাচন করিয়ে, ক্ষমতা হারিয়ে একটা দফা বিরোধী আসনে থাকলে? হয়ত দেখা যেত বিএনপি ক্ষমতায় এসে নিজেরাই একটা পুরো দফা শেষ করতে পারত না। উল্টে আওয়ামিই আবার ক্ষমতায় আসত। বা সেটা না হলেও, এরকম নিশ্চিহ্ন তো হয়ে যেতে হত না! কিন্তু আপাতত যা চলছে, সর্বস্তরে এর প্রতিবাদ হওয়া দরকার। ইসকনের চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে সম্পূর্ণ ভুলভাল একটা অভিযোগে দেশদ্রোহিতার মামলা দেওয়া হয়েছে। হাসিনা-সরকারের পতনের পর থেকেই সারা বাংলাদেশ জুড়ে এরকম অজস্র, জলের মত মামলা দায়ের হয়েছে। যদ্দুর যা কানে আসছে, পুলিশ-প্রশাসন বলে প্রায় কিছুই নেই। প্রায় জোর যার মুলুক তার অবস্থা। জোর কাদের অবশ্যই বলার জন্য পুরস্কার নেই। আশার কথা যে, চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পরে সারা পৃথিবী জুড়ে প্রতিবাদ হ'তে শুরু করেছে। এর সঙ্গে ইসকনের ভক্ত হওয়া বা না হওয়ার সম্পর্ক নেই। মৌলবাদের বিরুদ্ধে আর সংখ্যালঘুর অধিকারের পক্ষে থাকলে সবার আগে এই গ্রেফতারির বিরুদ্ধে গলা তোলা দরকার। একমাত্র আন্তর্জাতিক চাপ না তৈরি হলে এই অরাজকতা আর কোনওভাবেই আটকানো যাবে না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপ | 2402:3a80:198d:2e79:778:5634:1232:***:*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২:০০745737
  • ছোটবেলার কথা। এখলাসউদ্দিন আহমেদের একটা ছোট উপন্যাস পড়ছিলাম, হঠাৎ একটা লাইনে এসে চমকে উঠেছি- একটি দুরন্ত কিশোর ওর মা সম্পর্কে বলছিল, আমার মা সবার জন্যে ভাতের দাবীতে মিছিল করতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি'। আমি নিজেও তখন ঐরকমই, ১২-১৩ বছর বয়স। বাক্যটা আমার মাথায় এমনভাবে গেঁথে গিয়েছিল! আপনি বুঝতেই পারছেন আজ এতো বছর পরেও লাইনটা মনে আছে। সবার জন্যে ভাতের দাবীতে মিছিল করতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। হৃদয়ে আটকে আছে কথাটা। 

    আজ সেই কথাটা আবার মনে পড়ছে, কেননা নীলফামারীতে গতকাল বিশ বছর বয়সী যুবক মো. হাবিবুর রহমান ওর সকল শ্রমিক সহকর্মীদের জন্যে ভাতের দাবীতে গিয়ে আর ফেরেনি। যে ফ্যাক্টরিটা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, হাবিবুর সেই ফ্যাক্টরির শ্রমিক ছিল না, হাবিবু ইকু ইন্টারন্যাশনাল নামে একটা নিটিং কারখানার শ্রমিক, আর বন্ধ হয়েছে এলিগ্যান্ট নামের একটা কারখানা। হাবিবুর এলিগ্যান্টের শ্রমিকদের সাথে মিছিলে গেছে। পুলিশ আর মিলিটারি মিলে গুলি চালিয়েছে শ্রমিকদের মিছিলে, প্রাণ গেছে হাবিবুরের। 

    নীলফামারীতে উত্তরা ইপিজেডে ঘটেছে এই ঘটনা- গতকাল। হাবিবুর প্রাণ হারিয়েছে আরও অনেকে আহত হয়ে হাসপাতালে। কালের কণ্ঠ কয়েকজন আহত শ্রমিকের নাম দিয়েছে- মো. মোমিনুর রহমান (২৫), মো. শাহিন (২৬), নূর আলম (৩০), মোস্তাক আহমেদ (২৫), লিপি আক্তার (২৬) জমিলা খাতুন (৩৫)। ব্র্যাকেটে দেয়া বয়সগুলি লক্ষ্য করেছেন? এই শ্রমিকেরা সবাই তরতাজা যুবক। ওরা কীজন্যে মিছিল করতে গিয়েছিল? কাজের জন্যে জনাব। নিতান্ত কায়িক শ্রমের কাজ। ওদের দাবী ছিল, ফ্যাক্টরি বন্ধ করিস না, ফ্যাক্টরি বন্ধ হলে আমরা খাবো কি! 

    না, ওরা ঐরকম মিছিল করতে যায়নি, যে না, আমাদেরকে দিতে হবে উপরের গ্রেড, ডিপ্লোমাদের উপরের গ্রেড দেওয়া যাবে না। সেগুলি মিছিল করেন আপনারা ভদ্রলোকের ছেলেমেয়েরা। হাবিবুর তো আপনাদের বয়সীই। আপনাদেরকে দুইটা লাঠির বারি দিয়েছে বলে আপনারা কেঁদে কেটে শেষ। আর সরকারও পুলিশের কর্তাদের পাঠিয়েছে, অলে বাবু সোনারা ব্যাথা পেয়েছ, এই পুলিশ, যাও মাফ চেয়ে আসো। কিন্তু হাবিবুরকে তো গুলি করে মেরেই ফেলেছে। আপনাদের সরকার পাঠাবে পুলিশের বাবুসাহেব বা মিলিটারির জেনারেল সাহেবদের, যাও মাফ চেয়ে আসো? বলবে যে হাবিবুর হত্যার বিচার চাই? না। 

    কিসসু হবে না। বিশ বছরের তরতাজা মজুর, ওকে গুলি করে মেরে ফেললো, আয়নারা কিসসু করবেন না। আপনারা আওয়ামী লীগ-বিএনপি করবেন, হিন্দু- মুসলমান করবেন, জমাতিদের পাশে দাঁড়িয়ে ফুক্কা কুল্লে করবেন, তুমি কে আমি কে করবেন। করেন। হাবিবুরর প্রাণ দিয়েছে, সকলের জন্যে ভাতের জন্য, কাজের জন্য। হাবিবুর সেই অনন্ত কাল ধরে চলমান সংগ্রামের একজন শহীদ। এইখানে জন হেনরি আর আমাদের হাবিবুর সকলে এক, অভিন্ন।

    হাবিবুরদের এই মহান সংগ্রামে কোন জাত ধর্ম নেই, বাংলাদেশ ইন্ডিয়া পাকিস্তান নেই, হিন্দু মুসলিম ইহুদী খৃস্টান নেই। এটার নাম শ্রেণী সংগ্রাম। এইটাই লড়াই, এইটাই মুল লড়াই এইটাই আসল লড়াই এইটাই শেষ লড়াই। আপনারা ফুক্কা কুল্লে করেন, আয়নারা আমি কে তুমি কে করেন। শ্রেণী সংগ্রামটা হাবিবুররা আয়নাদের ছাড়াই অগ্রসর করে নিবে। শালা মধ্যবিত্তের দল।
     
    ইমতিয়াজ মাহমুদ 
  • দীপ | 2402:3a80:198d:2e79:778:5634:1232:***:*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২:৫৭745738
  • শুক্রবার খাওয়ানো হবে খাসি জবাই করে, রোববার ছাড়তে হবে ঘর
    বিষণ্ন মনে বাড়ির আঙিনায় বসে রয়েছেন বৃদ্ধা। ছবি: আজকের পত্রিকা
    খাসি জবাই করে সবাইকে ভরপেট খাওয়ানো হবে। তারপর মহল্লার বাসিন্দারা একদিন সময় পাবেন জিনিসপত্র গুছিয়ে নিতে। আগামী রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) তাঁদের ঘর ছাড়তে হবে। ৫৩ বছর ধরে বসবাসের পর এমন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছেন তাঁরা। আগামী শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) এ ভোজের আয়োজন হবে রাজশাহীর মোল্লাপাড়া এলাকার আদিবাসীপাড়ায়। পাড়াটির অবস্থান রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডে।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫৩ বছর আগে এখানে ১৬ কাঠা জমির ওপর বাড়ি করে পাহাড়িয়া সম্প্রদায়ের ছয়টি পরিবার। তিন প্রজন্মে ছয়টি বাড়ি এখন ১৬টি হয়েছে। পাড়াটি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে আদিবাসীপাড়া হিসেবে পরিচিত। এত দিন পর এখন এ জমির মালিকানা দাবি করছেন সাজ্জাদ আলী নামের এক ব্যক্তি। তিনি পাহাড়িয়াদের উচ্ছেদ করে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের জায়গাটি দখলের সব আয়োজন সম্পন্ন করেছেন। সাজ্জাদের চাপে ইতিমধ্যে তিনটি পরিবার জায়গা ছেড়ে চলে গেছে। এখন ১৩টি পরিবার রয়েছে। আগামী রোববার তাদেরও এ পাড়া ছেড়ে যেতে হবে।
     
    ফেসবুক 
  • দীপ | 2402:3a80:4314:59b2:678:5634:1232:***:*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:২৯745757
  • তাসনীম খলিল বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুর পর লিখেছেন,  জালিম ও জাহিলরা যার মৃত্যুতে উল্লাস করেছে তার জীবন ধন্য। উমর অমর হোক।

    তাসনীম খলিললে মনে করিয়ে দেই, বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে জামাত ইসলাম গভীর শোক প্রকাশ করেছে। রাজাকার আল বদররা যার মৃত্যুতে গভীর শোক অনুভব করে সেটা নিয়েও ধন্য হবেন।  না হলে কিন্তু বৈষম্য হয়ে যাবে!  বৈষম্য বিরোধীদের বৈষম্য তো সহ্য করা যাবে না। 

    ২০২২ সালের আগস্ট মাসে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার পর বদরুদ্দীন উমর প্রথম আলোতে একটা কলাম লিখেছিলেন। এভাবে সাম্প্রদায়িকতাকে অস্বীকার করে হিন্দুদের শাসকগোষ্ঠীর অংশ বলে যেভাবে বিশ্লেষণ করেছিলেন শুধুমাত্র এই কারণে উমারকে জান্নাতে নিলেও নিতে পারে! 

    উমারের কলাম নিয়ে এখন আর লিখলাম না। ভালো লাগছে না। মাথা ধরা। পরে এই বিষয়ে মুড থাকলে লিখতে পারি।

    ©সুষুপ্ত পাঠক
  • দীপ | 2402:3a80:198d:b4a6:778:5634:1232:***:*** | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:৫৭745806
  • আধুনিক বাংলাদেশ!
    লাথখোরদের অবশ্য কোনো লজ্জা নেই! 
    একটু পরেই তারা মনুসংহিতা গুঁজে নৃত্য পরিবেশন করবে!
     
     
    https://fb.watch/CahvJEvmey/?mibextid=Nif5oz
  • দীপ | 2402:3a80:197d:d647:878:5634:1232:***:*** | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২০:৩২745829
  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মাস্টার মশায়কে পিটিয়েছে ওর ছাত্ররা। শিক্ষকদেরকে ছাত্ররা মারধর করছে, অপমান করছে, জড় করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নিচ্ছে- সবকিছু আবার ভিডিও করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দিচ্ছে- এইরকম অনেক দৃশ্য দেখে ফেলেছি। সেই তুলনায় এই মাস্টার মশায়কে অপেক্ষাকৃত কমই মারধোর করা হয়েছে। এইটা একটা ভালো দিক। কিন্তু অন্য শিক্ষকদেরকে অপমান করা হয়েছে বলে যে কোন ছাত্রমব যখন ইচ্ছা তখন যে কোন মাস্টারকে পেটাবে সেটা কি বৈধ হয়ে যায়? না, জনাব, হয় না। 
     
    শিক্ষকদের গায়ে হাত দেওয়া একটা ঘৃণ্য অপরাধ। শিক্ষকের গায়ে হাত দেয় যে ছাত্র, সেটার কারণ যাইই হোক না কেন, সেই ছাত্রের ছাত্রত্ব বাতিল হওয়া উচিৎ। কেবল একটা প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার নয়- সে যেন এই দেশে আর কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কখনো ভর্তি না হতে পারে সেটাও নিশ্চিত করেন। ভাবছেন এটা বেশী কঠিন সাজা হয়ে যাবে? মোটেই না। এটা কোন সাজাই না। যে ছাত্র শিক্ষকের গায়ে হাত তোলে সে আসলে এঁচোড়েই পেকে গেছে। এর আর শিক্ষার দরকার নাই, এই ব্যাটাকে আর ঝুলিয়ে রেখে পচানো দরকার নাই। ওর ছাত্র জীবনে ইতি টেনে দেন। 
     
    মারধোর করার সাজা হবে ফৌজদারি আদালতে। সেটার জন্যে জেল জরিমানা যা হওয়ার হবে। কিন্তু ছাত্র থাকার আর কোন অধিকার এইসব ছেলেমেয়ের থাকে না। 
     
    এই কাজটা যদি করতে পারেন, তাইলে দেখবেন শিক্ষকের মর্যাদা খানিকটা হলেও ফেরত আসবে। একদম শুরু থেকে এই পর্যন্ত যতজন শিক্ষকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে, সেইসব ঘটনার সাথে যারা যারা জড়িত ছিল সবগুলিকে খুঁজে বের করে ওদের ছাত্রত্ব বাতিল করে দেন, আর শাস্তির জন্যে আদালতে পাঠান। বাছ বিচার করবেন না- বিবেচ্য বিষয় থাকবে শুধু একটা- শিক্ষকের সাথে বেআদবি করেছে কিনা।আর যদি এটা না করেন- আজকে রাজশাহীর প্রোভিসি মার খেয়েছেন, দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষকই বাদ যাবেন না ইনশল্লাহ। 
     
    যে জাতি মাস্টারমশায়দের মর্যাদা রক্ষা করতে পারে না, সে জাতি অভিশপ্ত। সে জাতির অনিবার্য ভবিতব্য হয় মূর্খতা। ছোট মুখে বলে দিলাম, লিখে রাখেন।
     
    ইমতিয়াজ মাহমুদ
  • দীপ | 2402:3a80:1981:5b23:178:5634:1232:***:*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:৫০745838
  • হেফাজতে ইসলাম, চরমোনাই, হিযবুত তাহরীরের উত্থানে এখন ভীত সেই অংশটি যারা সেক্যুলারিজম বিরোধী। যারা খিলাফতের সিলসিলা, ছফার মুসলমান স্বাতন্ত্র্যবোধবাদ, সুফিবাদী মুসলিম লীগ... এই শ্রেণি আজ ভীত। কারণ মাজার ভাঙছে। সুফি খানকা ভাঙছে। সেসব মানুষ মুসলমান হিসেবে বাঙালি জাতি থেকে নিজেদের স্বাতন্ত্র্য মনে করে তারা এটুকু বাদে তাদের জীবন আচার আসলে ধর্মহীন। এরা হিন্দুদের প্রশ্ন সেক্যুলারিজম বিরোধী কারণ তারা আসলে মুসলিম রাজনৈতিক আধিপত্য চায়। তাদের জীবন যৌবন আসলে হিন্দু ও ভারত বিরোধিতায়। কিন্তু হেফাজতে ইসলাম চরমোনাই হিযবুত তাহরীর আসলে তারা শাড়ি পরা সখী নিয়ে পাঞ্জাবি পরে কালচার পালন করতে পারবে কিনা তা নিয়ে ভীত। তাদের মদ, লিভ টুগেদার, প্রেমভালবাসা সংগীত এইসব বাধাপ্রাপ্ত হবে কিনা তা নিয়ে চিন্তিত। এ কারণেই ছফা বলেছিলেন একশো ভাগ মুসলমানদের দেশ হলেও সেক্যুলারিজম দরকার! বিষয়টা কিন্তু পরিস্কার। মুসলিম আধিপত্যের সেক্যুলারিজম তাদের দরকার। কিন্তু মুসলিম আধিপত্য থেকেই যে সমাজে জিহাদ খিলাফতবাদী মুসলমানদের বাড়বাড়ন্ত হয় এটা তারা জানে না...।  
     
    এরা জানে না, কট্টর জিহাদী উত্থান ঘটে লাইট মুসলিমবাদ থেকেই। এই জিহাদি উত্থানের জন্য আহমদ ছফা, সলিমুল্লাহ খান থেকে ফারুক ওয়াসিফ, আলী রিয়াজ, ব্রাত্য রাইসু, প্রথম আলো ডেইলি স্টারের কলামিস্ট গ্রুপ যারা গত ১৫ বছরে সেক্যুলারিজমকে ভারতের আধিপত্য, মুক্তিযুদ্ধের ৭২ এর সংবিধানকে ভারতের চাপিয়ে দেয়া, বেহাত বিপ্লব নাম দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করে একটা "শাউয়া" জেনারেশন জন্ম দিয়েছে যারা জামাতের বি-টিম হিসেবে বেড়ে উঠেছে, এই রুট ধরেই হিযবুত তাহরীরের মাটি শক্ত হয়েছে। বিনা বাতাসে এসব ঘটেনি।
     
    ©সুষুপ্ত পাঠক
  • দীপ | 2402:3a80:198b:707d:678:5634:1232:***:*** | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:৪২745868
  • আহাম্মকের গাধার পিঠে
    চাপলো সুদের মহাজন
    সারা জীবন চিনলো টাকা
    টাকাই যে তার আপনজন।

    আরেকটি তার আছে নেশা
    পদক এবং পুরস্কার
    দেশ বিদেশে বেড়ায় ঘুরে
    আপন দেশেই কুলাঙ্গার।

    ষড়যন্ত্রে মিট্টিকুলাস
    সঙ্গে আছে আলবদর  
    রাজাকারের নাতি পুতি
    চর্ব্বি জমা গাওগতর ।

    রিসেট বাটন পুশ করেছে
    একাত্তর আর থাকবেনা
    জয় বাংলা শ্লোগান দিলে
    মুন্ডু ঘাড়ে রাখবেনা।

    লেলিয়ে দিয়ে মব বাহিনী
    খালে বিলে ফেলছে লাশ
    গুপ্ত ঘাতক অস্ত্র হাতে
    লোকের মনে ছড়ায় ত্রাস।

    দেশটা দিল বিক্রি করে
    ঘুষের টাকা পগার পার
    বন্ধু ভারত শত্রু এখন
    চরম শত্রু মিয়ানমার।

    আমেরিকার সৈন‍্য করে
    কক্সবাজারে সূর্যস্নান
    হেফাজত আজ যাচ্ছে কাবুল
    জামাত প‍্যারা পাকিস্তান।

    ইলেকশনের ঝুলছে মূলা
    তাতেই খুশি বি এন পি
    বামেরা সব কোমর দোলায়
    সঙ্গে নাচে এন সি পি।

    ইউনুস তার হিসাব মেলায়
    লাজ লজ্জার নেইতো লেশ
    লুটে পুটে খাচ্ছে সবাই
    মলিন বদন বাংলাদেশ।

    ছড়া: তাজুল ইমাম
    ২৭-০৯-২৫
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন