এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ।। সত্য - অর্ধসত্য - মিথ্যা - বিশ্বাস ।।

    Amitava Sen লেখকের গ্রাহক হোন
    ১০ অক্টোবর ২০২৪ | ২০৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • যখনই আমরা কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হই, তার পিছনে থাকে কিছু তথ্য। সে তথ্য - সত্যি, মিথ্যে বা সত্যি-মিথ্যে মিশ্রিত - হতে পারে। তথ্যের সূত্র - সমাজ মাধ্যম, খবরের কাগজ, টিভি আর অতি অবশ্যই লোকমুখে শোনা কথা। আমাদের সাধারণ ট্রেন্ড, একবার একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছে গেলে, তারপর শুধু সেই তথ্যই আমরা পড়ি, দেখি, যা ওই সিদ্ধান্তকে আরো পাকাপোক্ত করে। পরবর্তীতে যদি নতুন নতুন তথ্যের আলোকে দেখা যায়, প্রাথমিক ভাবে আমরা যে তথ্যগুলোর ওপর দাঁড়িয়ে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলাম, সেগুলো মিথ্যা বা অর্ধসত্য, তাহলে আমাদের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হলো, নতুন তথ্যগুলো কে একদম পাত্তা না দেওয়া। একবার সিদ্ধান্তে পৌঁছে গেলে সেটার পরিবর্তন সুকঠিন কাজ। তার চেয়ে নতুন সেই তথ্যই খুঁজবো আর মানব যা আমার সিদ্ধান্তের পক্ষে, এমনকি যদি একনজর দেখেই বোঝা যায় যে  সেই তথ্য সর্বৈব মিথ্যা, তাহলেও।

    আর জি করে ঘটে যাওয়া নারকীয় খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পর প্রথমদিকে সমাজমাধ্যম, টিভি, খবরের কাগজ ভরে গিয়েছিল বিভিন্ন খবরে। কেউ টিভিতে বাইট দিচ্ছেন, কোনো সংবাদ পাঠক মোক্ষম জায়গায় লঙ্কা বাটা লাগলে মানুষ যেরকম করে, সেইভাবে চিৎকার করতে করতে দৌড়াচ্ছেন, আনন্দ নাড়ু দেদার বিকোচ্ছে অন্তর্তদন্ত আর বিশ্বস্ত সূত্রের জোরে, ফিসফিস করে কথা বলে যাওয়া "ডাক্তার" এর ফোনের অডিও রেকর্ডিং (যেন স্বাভাবিক গলায় কথা বললে ঘ্যাঁঘাসুর এসে খপ করে ধরবে) এবং অবশ্যই অসংখ্য পোস্ট ফেস বুক আর WA জুড়ে। মূলত একটাই বক্তব্য - নির্যাতিতা অনেক কিছু জেনে ফেলেছিলেন, সেজন্য পূর্বপরিকল্পনা মত সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ট কয়েকজন ডাক্তার মিলে, ওনাকে নৃশংস ভাবে ধর্ষণ, অত্যাচার ও খুন করে। তারপর পুরো প্রশাসন উঠে পড়ে লাগে প্রমাণ লোপ করতে। সন্দীপ ঘোষ এন্ড কোম্পানির সর্বব্যাপী চুরি, লুম্পেনগিরি, লোককে ভয় দেখান, তদুপরি সব অপরাধ প্রায় প্রকাশ্যে করার পরও সর্বোচ্চ স্তর থেকে সুরক্ষা পাওয়ায়, চক্রান্তের তত্ত্ব দিনে দিনে আরো জোরদার হয়ে ওঠে। 

    লেখক কোনো ব্যতিক্রম নয়। আমিও প্রথমে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেছি পূর্বপরিকল্পিত চক্রান্ত এবং একাধিক ব্যক্তির জড়িয়ে থাকার তত্ত্বে। কিছুদিন পরে যখন দেখলাম বেশ কিছু ডাহা মিথ্যে কথাকে তথ্য বলে চালান হচ্ছে, তখন যেটুকু তথ্যের ওপর দাঁড়িয়ে আমার প্রথম সিদ্ধান্ত ছিলো, সেই তথ্যগুলোর একটা মার্কিং করি ১৮ই আগস্ট - কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যে। যদি কোনো পাঠক এই অব্দি পড়ে থাকেন, তাহলে তাঁর জন্য ঐসময় করা মার্কিং নীচে দিলাম, পড়তে পারেন সময় আর ধৈর্য থাকলে। সেই সময় শুধু কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাথেই শেয়ার করেছিলাম এই মার্কিং। WA এ ইংরেজিতে লেখা ছিল, এখানে সেটার বাংলা অনুবাদ নীচে:

    ১। ময়না তদন্ত তাড়াহুড়ো করে সেইদিন করা হয়েছে - সত্যি।

    ২। নির্যাতিতার শরীরে প্রচুর আঘাত ও কামড়ের চিহ্ন ছিলো - সত্যি।

    ৩। সর্বস্তর থেকে সন্দীপ ঘোষকে বাঁচানোর চেষ্টা হয়েছে - সত্যি।

    ৪। সর্বব্যাপী চুরি, অনৈতিক ও বেআইনি কাজকর্মের আখড়া আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, পালের গোদা সন্দীপ ঘোষ - সত্যি।

    ৫। অপরাধ যেখানে হয়েছে তার খুব কাছের ঘর ভাঙ্গা হয় - সত্যি।

    ৬। অপরাধ ঘটার অনেক পরে সকাল ৯.৩০ মিনিটে মৃতদেহ আবিষ্কার হয় - সত্যি।

    ৭। মৃতদেহ আবিষ্কারের পর সঠিক ভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, অপরাধের জায়গাটি secure করেন নি - সত্যি।

    ৮। নির্মল মাঝি, কুকুরের ডায়ালিসিস বিশেষজ্ঞ এবং আরো অনেক ঘোষ ঘনিষ্ঠ ডাক্তার দৌড়ে গিয়েছিলেন অকুস্থলে - সত্যি।

    ৯। হাসপাতালের আসিস্যান্ট সুপার নির্যাতিতার বাবাকে ফোনে জানিয়েছিলেন মেয়ে আত্মহত্যা করেছে - সত্যি।

    ১০। নির্যাতিতার বাবা মাকে অনেক্ষন অপেক্ষা করতে হয় মেয়েকে দেখার জন্য - সত্যি।

    ১১। পুলিশ নির্যাতিতার বাবা মাকে বুঝিয়েছিল / চাপ দিয়েছিল দ্রুত মৃতদেহ দাহ করার জন্য - সত্যি।

    ১২। ৯ই আগস্টের কিছুদিন আগে আর জি করেই নির্যাতিতার গাড়ি ভাঙচুর করা হয় - সত্যি না মিথ্যে জানা নেই।

    ১৩। ময়না তদন্ত চলাকালীনই বোঝা গিয়েছিল একাধিক ধর্ষকের বীর্য নির্যাতিতার শরীরে - মিথ্যা।

    ১৪। নির্যাতিতার কোমরের হাড় ভাঙ্গা ছিল - মিথ্যে।

    ১৫। নির্যাতিতার পা ১৮০ ডিগ্রিতে ছিল - মিথ্যে।

    ১৬। ডাক্তার, ইন্টার্ন, নার্সদের আগে থেকে বলা ছিলো যাতে ৮ই আগস্ট রাত্রে কেউ সেমিনার রুমের দিকে না যায় - মিথ্যে।

    ১৭। সেমিনার রুম থেকে চিৎকার করলে নার্স স্টেশন থেকে শুনতে পাওয়ার কথা - মিথ্যে।

    ১৮। সঞ্জয়ের গায়ে কোনো ক্ষত চিন্হ ছিল না - মিথ্যে।

    ১৯। অপরাধের অকুস্থল ভেঙ্গে ফেলা হয় - মিথ্যে।

    ২০। ৯ই আগস্টের পর হোস্টেল থেকে কয়েকজন ইন্টার্ন, জুনিয়র ডাক্তার গায়েব হয়ে যান, তাদের মধ্যে একজন মন্ত্রিপুত্র - মিথ্যে।

    ২১। ১৫০ গ্রাম বীর্য ও তার ব্যাখ্যা - মিথ্যে।

    ২২। ময়নাতদন্ত ও তার ভিডিও ঠিকঠাক ভাবে হয় নি - মিথ্যে।

    ২৩। ময়নাতদন্ত না করেই মৃতদেহ দাহ করার জন্য রওয়ানা হয়েছিল পুলিশ - মিথ্যে।

    এর পর টানা মাথায় ঘুরছে বহু প্রশ্ন। ৯ই সেপ্টেম্বরে আবার ঘনিষ্ট বন্ধুদের গ্রুপে শেয়ার করেছিলাম তার কয়েকটা। সেগুলো সমকালীন করে নীচে দিলাম:

    ১। নির্যাতিতা কী জেনে ফেলেছিলেন যা বাকিরা জানতেন না এবং যার পরিণাম এরকম মৃত্যু?  এখনতো দেখা যাচ্ছে সবাই সব কিছুই জানত। 

    ২। সন্দীপ ঘোষ এন্ড কোম্পানির হাতে প্রচুর পয়সা, ক্ষমতা, যোগাযোগ এবং এর বোকা নয়। এরা তো নির্যাতিতাকে আলোচনার নাম করে, ওই হাসপাতালের সিসিটিভির নজরদারীর বাইরে রয়েছে এরকম কোন বিল্ডিং এর ছাদে নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে ফেলে দিতে পারত। সেটা না করে চেস্ট ডিপার্টমেন্টের মধ্যে এই ভাবে খুন করলো? এই রকম প্রভাবশালী অপরাধীরা সাধারণত পেশাদার খুনির সাহায্য নেয়। এরা কেন নিলো না? নিলে তো আর জি করের মধ্যে কিছুই ঘটত না।

    ৩। তিন জন পুরুষ ডাক্তার আর একজন মহিলা ডাক্তার মিলে এমন একটা ঘরে এই নারকীয় ঘটনা ঘটাল যেটা সাউন্ডপ্রুফ নয় এবং নার্সদের ঘরের খুব কাছে। তারপরে সবই মিলে ঘাড়ে করে করিডোর দিয়ে মৃতদেহ নিয়ে গেল সাউন্ডপ্রুফ সেমিনার রুমে। ওই করিডোরে তারা মুখোমুখি পড়তে পারত কোনো ডাক্তার, নার্স বা কোনো গ্রুপ ডি কর্মীর। কেন এই ঝুঁকি চার খুনি নিলো? কারণ তারা আগেই জানত তিনদিন পরে জুনিয়র ডাক্তার ও নার্সদের সম্মতি নিয়ে যে ঘরে তারা খুন করেছিল, সেই ঘরটা সন্দীপ ঘোষ ভেঙ্গে দেবে? এই ভাবনা কতটা যুক্তিসঙ্গত?

    ৪। এর পর "নেক্রোফিলিয়ায় আক্রান্ত" সঞ্জয় রায় কে পাঠান হলো সেমিনার রুমে, ধর্ষণের গল্প বানানোর জন্য। নির্যাতিতার প্রতিরোধের চেষ্টার সাথে সঞ্জয় রায়ের গায়ের ক্ষতচিহ্ন গুলো মিলে গেছে - medico legal বিশেষজ্ঞরা তাই বলছেন।  মৃতদেহ কি ধর্ষণে বাধা দিতে পারে?

    ৫। নেক্রোফিলিয়ার গল্প কি টিকবে শেষ পর্যন্ত? ফরেন্সিক রিপোর্ট কিন্তু বলছে যখন ধর্ষণ হয়েছে তখন নির্যাতিতা জীবিত ছিলেন। 

     ৬। ৯ তারিখ যখন ফরেন্সিক অফিসাররা সেমিনার রুমের মধ্যে থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন, তখন যে চারজন আসল খুনি তাদের চুলের টুকরো, আঙ্গুলের ছাপ সযত্নে এড়িয়ে গেলেন, আর সেই নমুনাগুলো নিলেন যেগুলো সঞ্জয় রায়ের। অর্থাৎ সঞ্জয় গ্রেফতার হবার অনেক আগে, এমনকি সঞ্জয় রায়ের ওপর সন্দেহ উদ্রেক হবারও আগে ফরেন্সিক অফিসাররা জানতেন কাকে ফাঁসাতে হবে। আর এই অফিসারদের অলৌকিক ক্ষমতা আছে। কাজেই চুল, আঙ্গুলের ছাপ এসব সাদা চোখে দেখেই এনারা বুঝতে পেরেছিলেন কোনটা সঞ্জয় রায়ের আর কোনটা অপরাধী চার ডাক্তারের। কোনটা নেবেন কোনটা ধ্বংস করবেন। যৌক্তিক?

    ৭। নির্যাতিতার দেহে পাওয়া বীর্য ও লালারসের নমুনার সাথে সঞ্জয়ের DNA মিলে গেছে, নিজের প্যান্ট জুতোয় পাওয়া রক্তের নমুনার সাথে নির্যাতিতার DNA মিলে গেছে, নির্যাতিতার নখে পাওয়া চামড়া/রক্তের নমুনার সাথে সঞ্জয়ের শরীরে পাওয়া ক্ষত মিলে গেছে, অকুস্থলে ধর্ষন ও হত্যার সময় সঞ্জয়ের উপস্থিতি প্রমাণিত, অকুস্থলে সঞ্জয় ছাড়া আর কারো উপস্থিতির কোনো সূত্র নেই, সমস্ত  ফরেন্সিক পরীক্ষায় অন্য কোনো ব্যক্তির অকুস্থলে উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায় নি - এইরকম অবস্থায় যদি অন্য কেউ জড়িত থাকে সঞ্জয়কে তার নাম বলবে না? ৩২ পাটি বার করে ফাঁসির মঞ্চে একাই উঠে যাবে? সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্টেও অন্য ব্যক্তির নাম পাওয়া যায় নি। এর মানে কি দাঁড়ায়?

    ৮। যাঁরা ফিসফিস করে সর্বত্র বলে বেড়াচ্ছেন তাঁরা জানেন কোন চারজন ডাক্তার খুনি, তাঁরা কেন সেই চারজনের নাম গোপনে সিবিআই কে বলছেন না?

    যতক্ষণ না প্রমাণ লোপের জন্য মন্ডল এবং ঘোষের বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পুর্ন হচ্ছে ততক্ষণ অব্দি কোনো স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছান যাবে না। স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য এই লেখা নয়। এই লেখার উদ্দেশ্য তিনটি। 

    ১। যাঁরা গভীর চক্রান্তের তত্ত্বে অনড়, তাঁরা ইচ্ছে করলে, নিজেদের সিদ্ধান্ত ওপরের অনুচ্ছেদগুলোর প্রেক্ষিতে ঝালিয়ে নিতে পারেন। যদিও আন্দাজ করি, যাঁরা বহুদিন ধরে দোষী কারা সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে আছেন, তাঁদের মধ্যে একটা অংশের মানুষ, প্রথম অনুচ্ছেদের পরে সোজা এই শেষ অনুচ্ছেদে এসে গেছেন, মাঝেরগুলো না পড়েই, ভুরু কুঁচকে ভাবছেন "কি বলতে চাইছে? এই ব্যাটা কোন দলের?" দিনের শেষে অনেক মানুষের কাছে "বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর"। কারও বিশ্বাসের উপর কথা চলে না, ওটা blasphemy! 

    ২। সর্বব্যাপী চুরি, মেডিক্যাল কলেজ ও তার সাথে সমস্ত শিক্ষা ব্যবস্থার সম্পুর্ন অরাজক অবস্থা, লুম্পেনবাহিনী ও সিন্ডিকেটের, বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা জনমতের পক্ষে আমিও। কিন্তু এর ভিত কোনো ভুল ভাল তত্ত্ব বা অন্ধ বিশ্বাসের ওপর দাঁড়িয়ে থাকলে খুব মুশকিল। একটা বাড়ি ৮ টা স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে আছে। এবার যদি ওই স্তম্ভগুলো সরে যায় বাড়িটা হুড়মুড় করে পড়ে যাবে। মানুষের বিশ্বাসের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ঠিক এরকম নয়। বিশ্বাসের স্তম্ভগুলো হাওয়ায় মিলিয়ে গেলেও, বিশ্বাস টিকে থাকে কিছু দিন, কিন্তু বেশি দিন নয়। মিথ্যে ভিত্তির ওপর মানুষের বিশ্বাস তৈরি করেই ফ্যাসিবাদ, মৌলবাদ, একনায়কতন্ত্রগুলো উঠে আসে, টিকে থাকে। আবার একসময় তাদের পতনও হয়, যখন বেশ কিছু সময় পরে মানুষ মূল প্রশ্ন গুলো করতে শুরু করে। নিজেকে বার বার প্রশ্ন না করে কোনো তত্ত্বের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস, নিজেকে ছোট করা, মানুষের জনমতকে দুর্বল করা।

    ৩। কিছু মানুষ বলছেন, হয় তুমি আমার প্রতিটা কথাকে সমর্থন কর, নাহলে তোমায় দাগিয়ে দেব, তুমি মানুষের বিরোধী, তুমি খুনি ধর্ষকদের দলে। তাঁদের আন্তরিকতার প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধা রেখেই বলি, সব মানুষ মগজ বন্ধক রেখে সমর্থন দেবেন না। সমর্থন মানে সব ব্যাপারে ১০০% সহমত, এটা হয় না। একজন ডাক্তারবাবু আমার প্রাণ বাঁচালেন, তাঁর প্রতি আমার আজীবন কৃতজ্ঞতা, কিন্তু প্লিজ আমায় বলবেন না, সেজন্য তাঁর হাতের পলা, গোমেদ পাথরের আংটির ক্ষমতাতেও আমাকে বিশ্বাস করতে হবে। 

    যদি চান নির্দ্বিধায় আপনার মন্তব্য কমেন্টে লিখতে পারেন, আমি সমৃদ্ধ হব,কৃতজ্ঞ থাকব।

    বিদ্র: গুরুচন্ডালিতেই সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়, এই ইস্যুর ওপর, গত দুই মাস ধরে অসাধারণ তথ্য ভিত্তিক লেখা, টানা লিখে যাচ্ছেন। আগ্রহ থাকলে পাঠক, একবার উঁকি ঝুঁকি মারতে পারেন, সময় নষ্ট হবে না, সমৃদ্ধ হবেন এটা বলতে পারি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 2601:84:4600:5410:59f:8f47:a8fc:***:*** | ১০ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:৫৯538411
  • ভাল লেখা 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন