এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • সাদা চোখে দেখা

    Amitava Sen লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৬ অক্টোবর ২০২৪ | ১৭০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • অনেকের মত আমার চোখেও একসময় একটা গাঢ় রঙ্গিন চশমা ছিল। তাতে দুনিয়াটা দেখতাম একমাত্রিক। সে দেখায় বড় আরাম থাকলেও, সেই চশমাটা খোলার একটা চেষ্টাও ছিল নিরন্তর, যাতে সাদা চোখে দুনিয়ার রূপ উপভোগ করতে পারি, দুনিয়ার কুৎসিত দিকগুলো দেখে যন্ত্রণা পেতে পারি। ভুল হতে পারে, কিন্তু আমার ধারণা পুরোপুরি চশমা খুলে ফেলতে না পারলেও (চশমা ছাড়া তো কিছুই দেখতে পাব না), ধীরে ধীরে চশমার কাঁচটার অস্বচ্ছতা অনেকটাই কমাতে পেরেছি। এই টালমাটাল সময়ে সেই প্রায় সাদা চোখে দেখে যা মনে হয়েছে বা হচ্ছে তা লিপিবদ্ধ করার প্রয়াস এটা। যারা এই লেখার সাথে দ্বিমত, দয়া করে তাঁদের মত নির্দ্বিধায় দেবেন। দ্বিমত, এমনকি তীব্র দ্বিমত হলেই রেগে আগুন হব বা আনফ্রেন্ড করে দেব, সে পথ আমার নয়। বরঞ্চ অন্য মত পেলে আমার চশমার কাঁচের অস্বচ্ছতা হয়ত আরও একটু কমবে।
     
    গত ১২/১৩ বছরে এ রাজ্যে কিছু কি উন্নতি হয়েছে? সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা, গ্রামের রাস্তা, পানীয় জল, শহরগুলোর হত দরিদ্র রূপ থেকে কিছু উন্নতি, অন্যান্য রাজ্যের নিরিখে Human Development Index এ অনেক ভালো অবস্থান ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রবাহ সত্যি চোখে পড়ে, জাতীয় স্তরের পরিসংখ্যান ও সেটাই দেখায়।  মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের লিস্টে শহর কলকাতার অবস্থান পর পর তিন বছর দেশের মধ্যে এক নম্বরে আছে, অর্থাৎ NCRB র তথ্য অনুসারে এখনও কলকাতা ভারতের মধ্যে মেয়েদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ শহর। দেশের ৩১ টি রাজ্যের মধ্যে এই রাজ্যের অবস্থান ১৯ নম্বরে। অর্থাৎ আমাদের চেয়ে ভাল অবস্থায় আছে ১২ টি রাজ্য। ১৮ টি রাজ্যে মহিলাদের অবস্থা  বাংলার চেয়ে খারাপ – তার মধ্যে অগ্রগণ্য হরিয়ানা, দিল্লী, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ  ইত্যাদি [তথ্যসুত্র: NCRB]। মানুষের আন্দোলনে গুলি চালানোর ঘটনা এই রাজ্যে প্রায় নেই। বুলডোজার বিচার এখানে আমরা দেখিনি। “এনকাউন্টার” এ মৃত্যুর সংখ্যা একটি। যদিও জেল বা পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা বেশ কিছু আছে।  

    একটা কিনলে চারটে ফ্রী, এই স্কীমে কিছু জায়গায় উন্নতির সাথে সাথে রাজ্য পেয়েছে বেশ কিছু মরণ যন্ত্রণা। শিক্ষা ব্যাবস্থা প্রায় ডকে উঠেছে। কোভিড লকডাউনের সময় প্রায় দুই বছর সরকারি স্কুল বন্ধ রাখা, বেসরকারি স্কুল খুলতে বাধা দেওয়া, তার পর থেকে যে কোন ছুতোয় স্কুল বন্ধ রাখার ফল ভুগছে এবং ভুগবে আগামি প্রজন্ম, তার সাথে গোটা রাজ্য। এর সাথে আছে শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি, ফাঁকা খাতা জমা দিয়েও জায়গা মত পূজা চড়িয়ে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে কতজনের নিয়োগ হয়েছে, আমরা এখনও জানিনা। সঠিক সংখ্যা কোনোদিন জানা যাবে কিনা তাও কেউ বলতে পারবে না। ভারতের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ হয়, প্রার্থীর যোগ্যতার নিরিখে নয়, সুখী দম্পতির অন্য জোড়াটি কোন উচ্চপদে আসীন তার নিরিখে। সেইখান থেকে বেরোবে আমাদের ভবিষ্যতের গবেষকেরা! এখন তো প্রকাশ্যে আসছে কিভাবে টুকে, ঘুষ দেখিয়ে, ভয় দেখিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষায় ছাত্র ছাত্রীরা পাস করছে, অনার্স পাচ্ছে। আগামিদিনে এই শিক্ষকদের কাছে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পড়াশোনা করবে, এই ডাক্তাররা আমাদের চিকিৎসা করবে। 

    এই ভয়ঙ্কর দুর্নীতি কি শুধু শিক্ষক নিয়োগেই, যেটা আজ প্রকাশ্যে এসেছে? এরকম নয় তো যে এ জিনিষ উই পোকার মত ছড়িয়ে আছে সব নিয়োগের ক্ষেত্রেই, এখনও অব্দি তা প্রকাশ্যে আসেনি? হয়ত অন্য যে কোনো নিয়োগের ওপরের খোলোশটা ছাড়ালেই দেখা যাবে ভিতরটা পুরো ঝাঁজরা হয়ে গেছে, আর থিক থিক করছে উই। হতেই পারে, পারে কেন সেটার সম্ভাবনাই কিন্তু ভীষণ রকম বেশি।

    এর সাথেই আছে সর্বস্তরে লুম্পেনদের বাড় বাড়ন্ত। আবার বিশেষ ধর্মের লুম্পেন হলে তার জন্য বিশেষ তোষণের বন্দোবস্ত। এদের সহায়তায় দুর্নীতির যে সর্বব্যাপী ব্যাপ্তি হয়েছে তার সমতুল্য কিছু এ রাজ্য আগে দেখে নি। নতুন শিল্পের 'শ' এর দেখা মেলেনি, বরঞ্চ যারা ছিল তারাও একে একে পাততাড়ি গুটিয়েছে। স্বভাবতই প্রান্তিক পরিবারের শ্রমজীবী মানুষ থেকে উচ্চ শিক্ষিত পেশাদার, সবাই যাযাবর হয়ে রাজ্যের বাইরে কাজের খোঁজে। 

    এই নবাব কিনলে আরাম ফ্রীর গুঁতোয় মানুষের ক্ষোভ জমছিল আসতে আসতে। কিন্তু তার কোনো বহিঃপ্রকাশ হচ্ছিল না। সুটিয়া, বাগটুই, কামুদিনী, সন্দেশখালী, সারদা, নারদা, স্কুল সার্ভিস কমিশন, গ্রামে গঞ্জে প্রতিদিন লুম্পেন আর সিন্ডিকেটের উপদ্রব ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি যা পারেনি, আর জি করে এক তরুণীর ওপর পৈশাচিক অত্যাচার সেটা করতে পারলো। জমে থাকা বারুদের স্তূপে আগুন লাগলো!

    We Want Justice - দাবি নিয়ে সাধারণ মানুষ যাঁরা রাস্তায় নেবেছিলেন সম্পুর্ন শান্তিপূর্ণ ভাবে, সেখানে শুধু আর জি করের নারকীয় ঘটনাই একমাত্র উদ্দীপক ছিল না। মানুষ এই ব্যাপক লুম্পেনরাজ ও চৌর্যবৃত্তির প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাওয়ার বিরুদ্ধেও নেমেছিলেন। শুরুর সময়ে মানুষ মানুষকে খবর দিয়েছেন, নিজেরাই সংঘবদ্ধ হয়েছেন, শান্তিপূর্ণ ভাবে রাস্তায় নেমেছেন। জুনিয়ার ডাক্তাররা আন্দোলনের মধ্যমনি হলেও পুরো আন্দোলনের একটা অংশ ছিলেন তাঁরা। গণ জাগরণের বিস্তৃতি ছিল স্বতঃস্ফূর্ত ও সর্বব্যাপী।

    সময় বয়ে গেছে সময়ের নিয়মে। এই মুহূর্তে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনটা তাঁদের নিজস্ব দাবি নিয়েই এগিয়ে চলেছে। তাঁদের সাথে নাগরিক সমাজের মূলত মধ্যবিত্ত এবং উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বেশ কিছু মানুষ আছেন। এই মুহূর্তে জেলা শহর বা গ্রামে আন্দোলনের প্রত্যক্ষ প্ৰভাব সেভাবে আর চোখে পড়ছে না। শহর কলকাতাতেও সমাজের তলার দিকের মানুষদের অংশগ্রহণ এখন খুবই কম। সোজা কথায়, দিনের শেষে মানুষ সেই আন্দোলনেই মাটি কামড়ে পরে থাকবে যে আন্দোলন তাঁর দাবি নিয়ে সোচ্চার। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে, সারাদিন কলকাতায় কাজ করে শেষ লোকাল ট্রেনে যে মেয়েটি দূর শহরতলিতে ফেরে, তার সুরক্ষার কোনো দাবি নেই। বঞ্চিত শিক্ষকদের দাবি নেই। বস্তির মেয়েটি আর নিজেকে খুঁজে পাবে না এই মিছিলে। মেডিক্যাল কলেজের বাইরের লুম্পেন রাজের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক নেই। এটাই স্বাভাবিক। ডাক্তাররা লড়বেন তাঁদের দাবি নিয়ে, বিশ্ব সংসারের ঠিকা তো তাঁরা নেন নি। কিন্তু তাঁদের লড়াকু আন্দোলন, মাটি কামড়ে পরে থাকা - অনুপ্রাণিত অসুরদের আত্মবিশ্বাস তলানিতে পৌঁছে দিয়েছে, অন্তত এই মুহূর্তে। আর ঠিক তার সাথেই সারা বাংলা জুড়ে সমস্ত শ্রেণীর মানুষকে নীরব সাহস দিয়েছে, আত্মবিশ্বাস দিয়েছে - যে কোনো প্রতিবাদে মুখর হবার।

    সর্বস্তরের মানুষের মনের গভীরে প্রতিবাদের সাহসের যে প্রদীপ জ্বেলে দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা, তার সদ্ব্যবহার করার দায় সমাজের অন্যান্য স্তরের মানুষদের। তাঁদের বিরুদ্ধে ঘটে চলা অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে জনমত গঠনের প্রক্রিয়াটা তাঁদেরকেই নিজেদের মত করে চালু রাখতে হবে। গত দুই মাসে এটা পরিষ্কার যে লুম্পেন বাহিনী গর্তে লুকিয়েছে। সেটা হয়েছে অভূতপূর্ব জনজাগরণের জন্যই। শুরুতে এই জাগরণে সব শ্রেণীর মানুষ ছিলেন, যেমন থাকেন। দেখবেন রাস্তায় একটি সাইকেল আরোহী বস্তির ছেলের দুর্ঘটনা ঘটলে, দামি গাড়ি পাশ কাটিয়ে চলে যায়। কিন্তু যখন দামি গাড়ির একসিডেন্ট হয় বস্তির ছেলেটি সাইকেল ফেলে লাফ দিয়ে আসে সাহায্য করতে। একই কারণে সন্দেশখালীর পর কলকাতার মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তের বিশেষ হেল দোল আমার অন্তত চোখে পড়েনি। আর জি করে ঘটে যাওয়া নারকীয় ঘটনা কলকাতার উচ্চ শ্রেণীকে কান ধরে দেখিয়ে দিয়েছে এবার "দুয়ারে বিপদ"। সুদূর কোনো ইঁট ভাটা বা কাছের বস্তি ছেড়ে বিপদ এখন উচ্চ শ্রেণীর দরজায় কড়া নাড়ছে। ঘটনার প্রতিঘাতে, আর এতদিনের জমা বিভিন্ন ক্ষোভে এই শ্রেণীর মানুষ তো রাস্তায় নামলেন, তার সাথে ওই সাইকেল চালকের মত প্রান্তিক পরিবারের মানুষরাও নামলেন রাস্তায়। বড় মানুষের বিপদে তাঁর পাশে দাঁড়ান, প্রান্তিক মানুষের রক্তে। আজ আন্দোলনে প্রান্তিক মানুষদের উপস্থিতি কমে গেলেও সারা বাংলা জুড়ে একটা জিনিষ আপামর মানুষ বুঝেছেন। বিশাল জনমত অতীব ক্ষমতাশালীকেও বাধ্য করে ঠিক রাস্তায় হাঁটতে। এই জনমত, সম্পুর্ন শান্তিপূর্ণ জমায়েত, হিংসাহীন জন জীবন বিপর্যস্ত না করা মিছিল, সাংবিধানিক অধিকারের প্রত্যাশা - ইঁট, বোমা, গুলি, ব্যারিকেড ভাঙ্গা বা আগুন দিয়ে “জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও” আন্দোলনের চেয়ে - বহু বহু বহু গুণ বেশি শক্তিশালী। গত দুই মাসের ঘটনাপ্রবাহ আবার প্রমাণ করলো, মহাত্মা গান্ধীর তত্ত্ব কত সঠিক ছিল এবং আজও আছে। হিংসা যে কোন আন্দোলনের শেষের ঘন্টা বাজায়, এটা মাথায় রাখলে আখেরে লাভ এই রাজ্যের।

    এই অবস্থায় জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁদের আন্দোলন চালিয়ে যান,তাঁদের নিরাপত্তার ইস্যু নিয়ে, আমাদের সবার সমর্থন থাক। কিন্তু যখন শহরের রাস্তা প্রতিদিন বেশি বেশি করে দোকানে ভরে যায়, বিনিময়ে অনুপ্রাণিত দাদার গলার সোনার চেন আরো মোটা হয়, আর স্কুলের শিশু মায়ের হাত ধরে গাড়ির ফাঁক গলে জীবন হাতে রাস্তায় হাঁটে, তখন তার বিরুদ্ধে জনমত স্থানীয় মানুষকেই গড়তে হবে। রাতের শেষ লোকালে যে মেয়েরা সুদূর শহরতলির স্টেশনে নেমে এক বুক আতঙ্ক নিয়ে বাড়ি ফেরেন, তাঁদের সুরক্ষার দাবি তাঁদেরই তুলতে হবে। সাধারণ ডিগ্রী কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন এবং থ্রেট কালচারের সমাপ্তি ওই সাধারণ কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের ছিনিয়ে আনতে হবে। কোনো কল মিস্ত্রিকে, বহু বছর জুড়ে তিল তিল করে গড়ে তোলা বাড়িতে ছাদ ঢালাই করার সময় যখন অনুপ্রেরণার চেলা চামুন্ডাকে নজরানা দিতে হয়, তখন সেই পাড়ার সাধারণ মানুষকেই সংঘবদ্ধ হতে হবে। চাকরির পাবার পূর্বশর্ত যখন ঘুষ দেওয়া হয়, তখন চাকুরী প্রার্থীকেই গর্জন করে উঠতে হবে। লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে সাধারণ মানুষকেই। একটা মৃত্যু, তার ফলশ্রুতিতে জনজাগরন,  একটা জায়গা তৈরি করেছে গোটা রাজ্যে। এখন মানুষ ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ালে, অশুভর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে নেকড়ের দল দাঁত নখ বার করতে পারবে না। শুধু পুরো প্রতিবাদ হতে হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। যখন সারদা নারদা হয়েছিলো শিক্ষা দফতরের চোরেরা তাদের চুরি এক গতিতেই চালিয়ে গেছে। যখন শিক্ষা দফতরের মাফিয়ারা জেলে গেলো তখন ঘোষ ও তার দলবল তাদের ডাকাতি মস্তানি কমাল না। ঘোষের পো যখন বেকায়দায় পড়ল তখন “স্কোয়ার ফুট সেন” মুখে আগুন ছোটানর পাশা পাশি “স্কোয়ার ফুট” প্রতি তোলা আদায় চালিয়ে যাবে বলেই ঠিক করেছিল। কিন্তু তারপরেই সব ঘেঁটে ঘ, মানুষ সোচ্চার - "দিকে দিকে ওঠে অবাধ্যতার ঢেউ।" অসুরের দল থমকে গেছে। এটাই সুযোগ। যেই সরকারে থাক তাকে বুঝিয়ে দেওয়া এই রাজ্যে আর এই দুরাচার চলবে না, কারো আমলেই চলবে না। অন্য সময়ে প্রতিবাদ করতে ভয়ের যে বাতাবরণ ছিল, তা কিন্তু এই মুহূর্তে প্রায় নেই।

    অশুভ শক্তি কোণঠাসা হয়ে আছে। তাকে পূর্ণভাবে সংযত না করতে পারলে কিন্তু বড় বিপদ। শেষ মেষ তারা যদি দেখে স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষা দিয়েই আন্দোলন শেষ তাহলে তারা ফিরে আসবে দ্বিগুন শক্তি আর মনোবল নিয়ে। এমনিতেই ওদের লম্ফ ঝম্প শুরু হবে, যদি দিনের শেষে দেখা যায়, বাজারে আনন্দ নাড়ুর মত যে চক্রান্তের তত্ত্ব চলেছে সেটা আদতে ডাঁহা মিথ্যা (যা হবার সম্ভাবনা প্রবল)। দুই কারণ মিলিয়ে যদি অশুভ আত্মবিশ্বাস ফিরে পায়, তাহলে তো অনুপ্রেরনার চাপে এই রাজ্যে টেকাই মুশকিল হয়ে যাবে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:ac03:d68:cf7f:***:*** | ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৫২538283
  • শিক্ষা গোল্লায়, স্বাস্থ্য গোল্লায় অথচ এইচ ডি আই হাই? হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট কি এই দুটো ছাড়া হয়? 
     
    NCRB কি রাজ্য পুলিশের দেওয়া ক্রাইম ডাটার ওপর নির্ভর করে? নাকি ওদের ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডাটা কালেকশনের ব্যবস্থা আছে?
  • PRABIRJIT SARKAR | ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ০৬:৩৫538295
  • এইসব ইনডেক্স অনেকটা মিউচুয়াল ফান্ডের কি সব ইন্ডেক্স আছে তার মত। আমি বহুকাল আগে ট্যাক্স বাঁচাতে দশ হাজার টাকার ওরকম কিছু কিনে বেচে পেলাম আট হাজার। সম্প্রতি এরকম আরো একটা কিনে আয় পেলাম দু শতাংশ হারে। পশ্চিম বঙ্গ ওইসব ইন্ডেক্স থেকে স্বর্গ রাজ্য বা 'রাম' রাজ্য মনে হতেই পারে! 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন