এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ভুলে যাওয়া ইতিহাস

    Surajit Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৮ আগস্ট ২০২৪ | ২৮৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • কত ইতিহাস আমরা ভুলে গিয়েছি, কত ইতিহাস আমাদের ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। আজকের দিনের ছেলেমেয়েরা সেই কারণে অনেক কিছুই জানে না। তারা তাদের অতীত শেখেনি। আজকের দিনে অনেকেই এক পয়সা, দুই পয়সা, পাঁচ পয়সা, দশ পয়সা, কুড়ি পয়সা, পঁচিশ পয়সা, পঞ্চাশ পয়সা, এক টাকা, দুই টাকা দেখেনি কোনোদিন। তাদের কাছে এসবের অস্তিত্ব প্রশ্নমূলক। কিন্তু এসব তো ঘটমান অতীত। তাই এদের কাছে পাই, পয়সার গল্প করলে এরা চমকে ওঠে। হা-মুখ এত বড় হয়ে যায় যে অনেকগুলো মশা, মাছি একসাথে ঢুকে যেতে পারে।

    আজকে সেই পাই, পয়সার গল্প বলি। নতুন, পুরোনো দুই দলের জন্যেই এই গল্প। মানব ইতিহাসে প্রথমে বিনিময় প্রথা এসেছিল। এখনও গ্রাম বাংলায় সেই বিনিময় প্রথা কিছুটা হলেও টিকে আছে। এক কেজি বেগুন কিনলে পরিবর্তে হয়তো আধা কেজি ধান দিতে হবে সেই বিক্রেতাকে। এটাই বিনিময় প্রথা। গ্রাম বাংলায় আজকে ধান বিনিময় হয়, অতীতে অনেক কিছুই বিনিময় হতো। এর অনেক পরে শুরু হয়েছিল বাণিজ্য প্রথা। তখনও মুদ্রার প্রচলন শুরু হয়নি। তামা, লোহা, সোনা, রূপো ইত্যাদি ব্যবহৃত হতো কেনার জন্য।

    আমরা যে মুদ্রার ছবি দেখতে পাই ইতিহাসের পাতায় সেসবের প্রচলন এই পৃথিবীতে রাজা, মহারাজা, নবাবদের দ্বারা হয়েছে। তাদের সৌখিনতার অংশ বলা যেতে পারে। যে তামা, লোহা, সোনা বা রুপোর ক্ষুদ্র অংশ ব্যবহার করে বাণিজ্য প্রথা চলছিল, তাকে নিজ-সম্রাজ্যের পরিচিতি প্রদান করার ইচ্ছে থেকেই সেইসব ক্ষুদ্র অংশে রাজা বা রাণী বা রাজ্যের কোনো নিজস্ব প্রতীকের ছবি জুড়ে দেওয়া হলো। নতুন নাম হলো মোহর। স্বর্ণ মোহর, রৌপ্য মোহর। তামার মোহর বা মুদ্রার নাম ছিল ফালুসি। আর রুপোর মোহরের নাম ছিল শাহরুখি, সোনার মোহরের নাম ছিল আশরফি। বিভিন্ন রাজা বা সম্রাটদের সময়ে স্বর্ণ বা রৌপ্য মুদ্রার প্রচলন হয়েছে এবং তাদের বিভিন্ন ধরনের নাম দেওয়া হয়েছিল। শেরশাহ সুরির সময়ের প্রচলিত রৌপ্য মুদ্রার নাম ছিল রুপিয়া। সেই থেকেই আমাদের দেশের মুদ্রার নামকরণ হয়েছে রুপি।

    ভারতীয় উপমহাদেশে খ্রীষ্ট পূর্ব পঞ্চম (অনেকের মতে ষষ্ঠ) শতকে উত্তর ভারতে প্রথম মুদ্রার প্রচলন শুরু হয়েছিল। ইতিহাস থেকে সেই তথ্যই উঠে আসে। ১২৭ খ্রিস্টাব্দে কুষাণ সম্রাজ্যের সম্রাট কনিষ্কের সময়ে প্রথম স্বর্ণ মুদ্রা প্রচলিত হয়েছিল। আর ১৮৬১ সালে চার্লস ক্যানিংয়ের সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম কাগজের মুদ্রা বা টাকার প্রচলন শুরু হয়। ভারতবর্ষে বর্তমানে যে মুদ্রা ব্যবস্থা চালু আছে সেটা শুরু হয়েছিল ১৯৫৭ সালে। একে দশমিক ব্যবস্থা বলা হয়। ব্রিটিশ ভারতে বর্তমান ব্যবস্থা অথবা সম্রাটদের যুগের মোহর ব্যবস্থা, কোনোটাই ছিল না। শুরুর দিকে সম্রাটদের মোহর ব্যবস্থা চালু থাকলেও ততদিনে স্বর্ণ, রৌপ্য ইত্যাদি ধাতবখন্ড ব্যয় সাপেক্ষ হওয়ায় মুদ্রা ব্যবস্থাকে আরও ক্ষুদ্র আকারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

    বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন রকমের মুদ্রা ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। কিন্তু তখনও ব্রিটিশ আধিপত্য সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে বিস্তার লাভ করেনি। ১৮৩০ সালের প্রথমভাগে ইংরেজ ভারতের প্রভাবশালী শক্তি হিসাবে উঠে আসে। ১৮৩৫ সালে মুদ্রা আইনের জন্ম দিয়ে এটি কার্যকরী করা হয় এবং এটি সমগ্র ভারতে একক মুদ্রা ব্যবস্থার সূত্রপাত করে। মূলতঃ স্বর্ণ, রৌপ্য ব্যয়সাপেক্ষ হয়ে পড়ায় মোহর প্রথা ধীরে ধীরে উঠে যেতে থাকে এবং তার জায়গায় মুদ্রা ব্যবস্থার ক্ষুদ্র সংস্করণ জনপ্রিয়তা লাভ করতে থেকে।

    এই ক্ষুদ্র সংস্করণের নামই ছিল পাই, পয়সা। পরবর্তীতে ব্রিটিশ মুদ্রা আইনের প্রভাবে সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশে এই ব্যবস্থা চালু হয়। তবে ব্রিটিশ আমলের প্রথম বা মধ্যবর্তী সময় অব্দি সোনা, রূপো, এমনকি টিনের মুদ্রাও প্রচলিত ছিল। ব্রিটিশ আমলে সোনার মুদ্রাকে কেরোলাইনা, রুপোর মুদ্রাকে এংলিনা, তামার মুদ্রাকে কাপারূন এবং টিনের মুদ্রাকে টিনি বলা হত। পাই, পয়সা চালু হওয়ার পর সেই সময়ের এক টাকার যা মূল্য ছিল তাকে ১৬ দিয়ে ভাগ করলে যা দাঁড়ায়, তাকে বলা হতো এক আনা। অর্থাৎ ১৬ আনায় ছিল এক টাকা।

    এখানে এক টাকার মূল্য কত সেটাও উল্লেখ করতে হয়। টাকা শব্দটি এসেছে তঙ্কা থেকে। তুর্কি ভাষায় গোল টাকাকে তঙ্কা বলে। মোহর বা তার আগের ধাতব মুদ্রা প্রধানতঃ চারকোণা হতো। সেইসব মুদ্রার পরিমাণ বা মূল্যও নির্ধারিত ছিল। ব্রিটিশ আমলে এক টাকার মূল্যও সেইভাবেই নির্ধারিত হয়েছিল। এক টাকাকে ১৬ ভাগে ভাগ করার পরে এক আনাকেও আবার চার ভাগে ভাগ করা হয়। চার পয়সায় এক আনা হতো। কথাটি কিন্তু পয়সা নয়, পাইস। পাইস থেকেই অপভ্রংশ হিসেবে পয়সা কথাটির প্রচলন হয়েছে। চার পাইসে ছিল এক আনা। আবার তিন পাই-তে এক পাইস। অর্থাৎ পাই ছিল এক টাকার ১৬×৪×৩ =১৯২ অংশ বা ভাগ। সেই ব্যবস্থায় পাই ছিল মুদ্রা ব্যবস্থার ক্ষুদ্রতম অংশ।

    এরপরে ২য় বিশ্বযুদ্ধের জেরে দ্রব্যমূল্য বাড়তে থাকে।বিদেশ থেকে মুদ্রা তৈরির জন্য নিয়ে আসা তামা এবং অন্য ধাতুর দাম বাড়তে থাকে । ১৯৪২ সালে পাই তৈরি করা বন্ধ করে দেয় বৃটিশ সরকার তবে পাই বাজারে চলে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত । ১৯৪২ সালে পাই তৈরির জন্য যে ধাতু লাগতো তার মূল্য পাই এর বিনিময় মূল্য থেকে বেশ কম হয়ে যাচ্ছে । বৃটিশ সরকার পাই তৈরি বন্ধ করে দেয় । ১৯৪৭ সালে পাই এর বিমুদ্রাকরন হয় এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের জাদুঘরে ঠাঁই হয় পাই এর ।

    মৃত্যুর আগে তোর পাই পয়সার হিসেব চুকিয়ে দিয়ে যাবো, বেশ তো টু পাইস কামাচ্ছো, পাইস হোটেল, পাই পয়সার হিসেব চাই, পকেটে তো একটা ফুটো পয়সাও (ফুটো পয়সা অর্থাৎ এক পয়সা, কারণ এক পয়সার মুদ্রার মাঝখানে ফুটো থাকতো) নাই ইত্যাদি অনেকরকমের কথা এখনও আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে। সময়ের সাথে সাথে সেসব কথা হয়তো সেরকম অর্থ আর বহন করে না। এখনকার দিনে যদি কাউকে বলা যায়, "বেশ তো টু পাইস কামাচ্ছো" তাহলে নিজেরই হাসি পাবে। কারণ ১৬ আনায় এক টাকা আর চার পাইসে এক আনা হলে এখনকার টাকার হিসেবে মানে দশমিক পদ্ধতিতে সেই টু পাইসের মূল্য হয় সাড়ে বারো পয়সা। আগের হিসেবে সেটা দু পয়সা (৬৪ পয়সায় টাকা হিসেবে) ছিল। এখনকার দিনে কেউ সাড়ে বারো পয়সার জন্য নিজেকে বিক্রি করবে না। আবার আগের দিনের পাইস হোটেল যেখানে এক পয়সায় পেট পুরে খাওয়া যেত, এখনকার দিনে সাড়ে বারো পয়সা কেনো সাড়ে বারো টাকাতেও পেট পুরে খাওয়ার হোটেল খুঁজে পাওয়া যাবে না।

    এ তো গেলো পাই পয়সার হিসেব। এরপরে যদি বলা যায় দূরত্ব আর ওজনের সাথেও এই পাই পয়সার সম্পর্ক আছে তাহলে? মূল বিষয় বলার আগে শুধু একটু বলে নিতে হবে যে, আমরা শাড়ি বা গামছা কতটা লম্বা সেটা বোঝাতে এখনও হাত কথাটি ব্যবহার করি। বারো হাত শাড়ি বা দশ হাত শাড়ি বা বারো হাত শাড়িতেও কাছা নেই ইত্যাদি ধরনের কথাগুলি হামেশাই বলি আমরা। কিন্তু এই হাতের পরিমাণ কতটা সেটা আমরা জানি না। আমরা নিজেদের হাতের কনুই থেকে মধ্যমার শেষভাগ অব্দি দূরত্বটা ধরে নিই। এটা সম্পূর্ণভাবেই ভুল ধারণা।

    এখন যদি কাউকে প্রশ্ন করা হয় এক টাকা কত কিলোগ্রাম ওজনের সমান অথবা এক টাকা কত কিলোমিটার দূরত্বের সমান তাহলে প্রত্যেকেই উত্তর না দিয়ে মুখের ভঙ্গিমা এমন করবে যাতে মনে হবে হয় আমি পাগল না হয়ে গঞ্জিকা সেবন করেছি। কিন্তু এদের সম্পর্ক আছে। আপনার কোনোদিন মনে সন্দেহ হয়নি যে এক কিলোগ্রাম ওজন কি ভাবে নির্ধারিত হয়েছে? অথবা কোলকাতা থেকে বহরমপুর ১৮৯ কিলোমিটার কেনো, ২ কিলোমিটার নয় কেনো? একটা পূর্ণাঙ্গ তিমি মাছের ওজন ৪০০০ কেজি কেনো, ১ কেজি নয় কেনো?

    এবার উত্তর দিই। প্রাচীনকালের যে মোহরের আলোচনা করা হলো, সেসব মোহর হয় সমচতুষ্কোণ হতো অথবা সমষটকোণ হতো। এরপরে যদি মোহরের ওজনের কথা ধরা হয় তাহলে প্রতিটি মোহরের ওজন হতো ১৭৮ টি শস্যের ওজনের সমান। আদিকালে যখনও সিজিএস বা এমটিএস পদ্ধতি চালু হয়নি তখন শস্যের ওজনের সাথে বিভিন্ন জিনিসের ওজনের পরিমাপ করা হতো। একটি শস্য ছিল ভর পরিমাপের একটি একক, এবং অ্যাভোয়ারডুপোইস এবং এপোথেক্যারিস সিস্টেমে একটি শস্যের ওজন ধরা হতো ৬৪.৭৯৮৯১ মিলিগ্রাম। এটা অবশ্য আজকের দিনের সাথে তুলনা। কারণ তখনও মিলিগ্রাম নামক কোনো এককের জন্ম হয়নি। শেরশাহ সুরির আমলে যে রৌপ্য মোহরের প্রচলন শুরু হয় (যেখান থেকে রুপি নামের উদ্ভব হয়েছে), সেইসব রৌপ্য মোহরের ওজনও ছিল ১৭৮ টি শস্যের ওজনের সমান। এইসব রৌপ্য মোহরে বিশুদ্ধ রুপোর ব্যবহার করা হতো।

    সেইরকম চব্বিশটি মুদ্রা এক সারিতে রাখলে যত বড় দৈর্ঘ্য হত তার নাম ছিল এক হাত। সেই হাতের আশি হাতে হতো এক রশি এবং একশো রশিতে এক ক্রোশ হত। এক ক্রোশ অর্থাৎ আড়াই মাইল। আর আজকের দিনের এক কিলোমিটার মানে ০.৬২১ মাইল।  আবার সেইসব মুদ্রার একশতটির যে ওজন তারই নাম ছিল এক সের, চল্লিশ সেরে এক মণ এবং চৌষট্টি মণে এক রাশি বা পুঞ্জ হত। এভাবে সেই মুদ্রা সর্বপ্রকার তুলনার আধার ছিল বলে তাকে 'তোলা' বলা হত। সেই মুদ্রা যখন যে রাজার আমলে তৈরী হত, সেই রাজার নাম তাতে লেখা থাকত; তাঁর রাজ্যের নাম এবং শকাব্দ কিংবা সম্বৎ লেখা থাকত, কিন্তু কোন টাকায় কোন প্রতিমূর্তি থাকত না। মুদ্রা ভাঙালে এক বোঝা কড়ি মিলত, তা দ্বারাই কেনাবেচা চলত। পাঠান রাজত্বেও ঐরূপ ব্যবহারই ছিল। মোগল রাজ্যারম্ভে সর্বপ্রথম গোলাকার মুদ্রা প্রচলিত হয়। তুর্কী ভাষায় গোল টাকাকে 'তঙ্কা' বলে। সেই তঙ্কা শব্দের অপভ্রংশে বর্তমানে টাকা শব্দটি উৎপন্ন হয়েছে।

    সুতরাং টাকা শুধু যে বাণিজ্যের জন্য প্রয়োজন তা নয়, দূরত্ব এবং ওজনের সাথেও টাকা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। টাকা না থাকলে কোলকাতা থেকে বহরমপুরের দূরত্ব ১৮৯ কিলোমিটার হতো না, আবার পূর্ণাঙ্গ তিমি মাছের ওজন ৪০০০ কেজি হতো না।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • girija sankar kundu | ২৮ আগস্ট ২০২৪ ১৮:৫৭536921
  • অনেক অজানাকে জানা হোল, ধন্য্যবাদ।
  • হীরেন সিংহরায় | ২৮ আগস্ট ২০২৪ ২১:৩৩536924
  • কত অজানারে জানাইলেন আপনি ! 
     
    প্রসঙ্গত , টাকা বা রূপিয়া চালু ছিল ইরাক থেকে ইনদোনেশিয়া অবধি। বাহরেনের সুকে খুচরো ফেরত দেবার সময় আজো দোকানি বলেন এই যে আপনার টাকা । পয়সা শব্দটি আফ্রিকার পূর্ব উপকূলে সোয়াহিলি ভাষায় চালু। হাকুনা মাতাতা হাকুনা পয়সা ! ইনদোনেশিয়ার কারেনসি রূপিয়া ( গনেশের ছবি বসানো নোট )। টাকা শব্দ যতদূর মনে হয় সংস্কৃত টঙ্কা থেকে টাকা ও রৌপ্যকম হতে রূপিয়া এসেছে। 
    মূর্তি বিহীন মুদ্রার ব্যাপারটি অত্যন্ত  আগ্রহ জনক- জেরুসালেমের মন্দিরে মানি চেনজাররা দূরাগত তীর্থ যাত্রীদের রাজার ছবি ওলা মুদ্রা বদলাতে চাইতেন না বা বেশি দর হাঁকতেন! 
  • AMITABHA HALDAR | ২৮ আগস্ট ২০২৪ ২৩:০০536925
  • বা বা বা বা, এতকাল ধরে সঙ্গ করে আজ জানলাম ওদেরকে ' তোলা' বাজ কেন বলে লোকে।
  • Argha Bagchi | ২৯ আগস্ট ২০২৪ ২১:২০536966
  • মনোরম পাঠ। তথ্যসূত্র উল্লেখ করলে উপকৃত হই, নচেৎ কিছু তথ্য মেলাতে গিয়ে সংশয় হচ্ছে।
  • Surajit Dasgupta | ৩০ আগস্ট ২০২৪ ০৭:২৫536979
  • "ভারতীয় মুদ্রার ইতিহাস" আর "মোহরের ইতিহাস" বলে গুগুলে সার্চ করুন সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবেন। মুদ্রার সাথে দূরত্বের সম্পর্ক, মুদ্রার সাথে ওজনের সম্পর্ক জানতে চাইলেও গুগল সব জানিয়ে দেবে আপনাকে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন