এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • পর্ণমোচীঃ  বিভ্রান্ত যৌনতা ও সহিংসতার ব্যবচ্ছেদ

    Sandipan Majumder লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৩ আগস্ট ২০২৪ | ১৯৯ বার পঠিত
  • আমি আসলে একটি ফিল্মের কথা বলছি। ফিরে দেখছি আজ থেকে ছয় বছর আগে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি চলচ্চিত্রকে যার থীম নিয়ে পরিচালক কৌশিক কর ছবি করার আগে একটি মঞ্চসফল নাটক সৃষ্টি করেছিল। মনে হতেই পারে এমন একটা সময়ে ফিল্ম রিভিউ নিয়ে পড়লাম কেন যখন আর জি করে ইনটার্নড চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিক্রিয়া আমাদের আচ্ছন্ন করেছে। আমার মনে হয়েছে এই ছবিটি ঠিক এই সময়েই আরো প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে যখন শুধু অপরাধীর শনাক্তকরণ ও শাস্তিবিধানের দাবিতে সোচ্চার হওয়াই নয় — আমাদের ভাবতে হচ্ছে কী সেই সমাজব্যবস্থা এবং সংস্কৃতি যা এই ধরণের ধর্ষকামীদের জন্ম দিতে পারে।

    কৌশিকের ছবিটির বিষয় প্রাথমিক ভাবে পর্ণগ্রাফি আসক্ত এক কিশোরের বিভ্রান্ত যৌনতা, আত্মক্ষয় এবং তার সঙ্গে বোঝাপড়ার গল্প। পর্ণগ্রাফি ভারতের মত স্ববিরোধী যৌন সংস্কৃতি এবং যৌনশিক্ষাহীন দেশে ভয়ংকর অভিঘাত আনতে পারে। তবে এমন নয় যে পর্ণগ্রাফি আসার আগে ধর্ষণ, অ্যাসিড নিক্ষেপ, বৌ পেটানো, বাসে ট্রামে গ্রোপিং - এসব ছিল না। থাকবে না কেন, মূল তো সেই যৌন অশিক্ষা, পৌরুষ সম্পর্কে বিভ্রান্ত ধারণা, আরো কত কিছু। পর্ণগ্রাফি সেই দুর্বল অথচ লোলুপ, অসুস্থ হজমপ্রক্রিয়ার সামনে মশলাদার খাবারের মত। তাই ছবিটি এই সময়ের কথা বলে, আবার হিসেব করলে তার আগের প্রজন্মের মানুষদের এই যৌন ভ্রান্তির কথাও বলে । প্লটে সেই জায়গাটাও আছে।

    ছবিতে বয়ঃসন্ধির কিশোর অনল (ঋতব্রত) মোবাইলে পর্ণগ্রাফি ডাউনলোড করে ধরা পড়ার পর স্কুলের টিচারের কাছে অপদস্থ হয়। বাড়িতেও মায়ের কাছে তিরস্কৃত হয় সে। যদিও তার বাবা তাকে বুঝতে এবং বোঝাতে চেষ্টা করে। কিন্তু আচমকা দুর্ঘটনায় বাবার মৃত্যুর পর অনলের মায়ের সঙ্গে দূরত্ব আরো বেড়ে যায় । সে শুধু পর্ণগ্রাফি নয়, আরো অনেক নেশায় তলিয়ে যেতে থাকে। মৃত বাবার জিনিসপত্র ঘাঁটতে গিয়ে সে একজন বান্ধবীর সঙ্গে তার বাবার এমন একটি ভিডিও ক্লিপ পায় যা তাকে একদিকে বাবার প্রতি অশ্রদ্ধায় ভরিয়ে তোলে আবার সেই ভিডিওর মহিলার প্রতি যৌন ফ্যান্টাসিতে বেঁধে ফেলে। ছবিতে এক স্যাডিস্ট পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ঋতব্রতর বাস্তব জীবনের বাবা শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়। পুলিশটি তার স্ত্রীকে (কনিনীকা) একেবারেই ভোগ্যবস্তুর মত ব্যবহার করে। ল্যাপটপ খুলে পর্ণ দেখতে দেখতে রাশিয়ান মডেলদের ফিগারের সঙ্গে তুলনা করে স্ত্রীকে খোঁটা দেয়। আবার তার ঘরের আয়নার মধ্যেই এইসময় দেখা দেয় থানার লক আপ। সেখানে বন্দীদের ওপর যথেচ্ছ থার্ড ডিগ্রী প্রয়োগ করার ফ্যানটাসিতে ভোগে সে। একদিন যখন তার স্ত্রী তার অবর্তমানে ওই পর্ণগুলি কিছু দেখে বলে, ছেলেগুলির স্ট্যামিনা কিন্তু দারুণ তখন পুলিস অফিসারের পৌরুষে লাগে। সে স্ত্রীর গালে থাপ্পড় বসিয়ে দেয়। পৌরুষের সক্ষমতা সম্পর্কিত নিরাপত্তাহীনতাকে তুলে ধরার পাশাপাশি কৌশিক যৌনতা নিয়ে আমাদের ভণ্ডামিকেও দেখায় যখন টিচার্স রুমে পর্ণগ্রাফিকে বিকৃতি বলেও টিচাররা সেই বাজেয়াপ্ত পর্ণ নিজেদের মধ্যে শেয়ার করে ।

    ছবির শেষভাগে প্লটের মধ্যে রয়েছে এক চমক যার মাধ্যমে অনলের বাবার প্রতি ভুল ধারণা কেটে যায়। কিন্তু যে ফ্যানটাসি তাকে শেষ করে দিচ্ছিল তার থেকে মুক্তি চায় সে । শেষ দৃশ্যে সমুদ্রের মোহনার ধারে বেঞ্চে বসে থাকা অনলের পাশে এসে বসে তার মৃত বাবা। বাবা আবার মনে করিয়ে দেয় জীবনের কিছু গোপনতাকে লালন করার কথা যা সে প্রথমদিন পর্ণের জন্য ধরা পড়ার পরও বলেছিল। বাবা তাকে বলে জীবনটাকে পর্ণমোচী গাছের মত করার কথা যাতে জীবনের রাগ, দুঃখ, অভিমানকে পুরোনো পাতার মত ঝরিয়ে ফেলে নতুন পাতায় সাজিয়ে নেওয়া যায়। বাবা চলে যায়। বেঞ্চে শুয়ে থাকা অনলের গায়ে চাদর বিছিয়ে দেয় তার মা। কপালে হাত বুলিয়ে দেয়। অনল মাকে আঁকড়ে ধরে। আসন্ন অন্ধকার চিরে আলোগুলি জ্বলে ওঠে।

    এই ছবিতে যে যৌনকাতরতার দৃশ্যায়ন আছে, যে ফ্যান্টাসি আর রিয়েলিটির গতায়াত দেখানো আছে , তা যথেষ্ট শিল্পসম্মত। তবু এটি কেন্দ্রীয় থীম হওয়ায় কখনো কখনো দর্শকের মনোযোগ একটু শিথিল হতে পারে। দেখছিলাম কোনো কোনো রিভিউওতে একটু একঘেয়েমির অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু বিষয়ের গুরুত্ব বিবেচনায় আমাদের এসব ঘাটতি নিয়ে বড় কোনো অভিযোগ থাকার কথা নয়, বিশেষত ছবির শেষভাগ নিয়ে অনেকেই উচ্ছসিত হয়েছেন এবং সেটা সঙ্গত। কিন্তু যৌনতা, পর্ণগ্রাফি, স্যাডিজম – এসব নিয়ে কৌশিকের রাজনীতিটা কিন্তু সঠিক। পর্ণগ্রাফি রিয়েলিটিকে কিভাবে ভুল ফ্যানটাসি দ্বারা প্রতিস্থাপিত করে, কীভাবে উগ্র পুরুষবাদ, ভায়োলেন্স আর অপূর্ণ যৌন গুঢ়ৈষা মিলে মিশে থাকে ভারতীয় পুরুষের যৌনতায় -- তাকে তুলে ধরার আন্তরিক চেষ্টা করেছে কৌশিক। আর অনলের বাবার যে কথা, জীবনের কিছু গোপন দিককে হাটের দশজনের সামনে মেলে না ধরার উপদেশ--- সেটা কৌশিক যেভাবে বলেছে পর্ণগ্রাফি নিয়ে সেটাই বলার। এই যুক্তি কোনো নৈতিক যুক্তি নয়, নান্দনিক যুক্তি, দার্শনিক যুক্তি।

    প্রাচীন ভারতের সমাজে ও সাহিত্যে যৌনতা ছিল অনাবিল, ক্লেদমুক্ত, সাবলীল – জীবনেরই অঙ্গ। কিন্তু পর্ণগ্রাফি পাশ্চাত্য সভ্যতার সৃষ্টি। পর্ণগ্রাফি মানে যৌনতা থেকে সব মোহ, মুগ্ধতা, প্রতীকের অপসারণ। পাশ্চাত্যের দার্শনিক বদ্রিয়ার প্রতীকী মূল্যের (Symbolic Value) অবসান, মোহমুগ্ধতার অবসান (Disenchantment) প্রভৃতি বিষয়ে সর্বদাই সোচ্চার ছিলেন। আধুনিক বাজার নিয়ন্ত্রিত যান্ত্রিক সভ্যতায় যেখানে সবকিছুকেই হাটের পণ্য করে ফেলা হয় সেখানে বদ্রিয়ারের পর্ণগ্রাফি সম্বন্ধে বক্তব্যও এই লাইনেই। কৌশিক কী করে যেন সেই জায়গাটাকেই, কিছুটা হলেও ছুঁয়েছে।

    ইউটিউবে ভালো প্রিন্ট রয়েছে । শুধু দেখা নয়, ছবিটিকে সামনে রেখে আমরা বয়ঃসন্ধি, যৌনশিক্ষা, পর্ণগ্রাফি, সমাজে নারী পুরুষ সম্পর্কের মূল্যায়ন – সবকিছু নিয়েই ভাবতে পারি, আলোচনা করতে পারি। এটা দরকার, নয়ত সমাজে ঘটে চলা ধর্ষণ এবং অন্যান্য যৌন অপরাধের ক্ষতমুখের চিহ্নিতকরণের কাজ অসমাপ্ত থাকবে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কৌশিক সাহা | 103.27.***.*** | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৩৪537145
  • মান্যবর,
    ১) "প্রাচীন ভারতের সমাজে ও সাহিত্যে যৌনতা ছিল অনাবিল, ক্লেদমুক্ত, সাবলীল – জীবনেরই অঙ্গ। কিন্তু পর্ণগ্রাফি পাশ্চাত্য সভ্যতার সৃষ্টি।"
    অতএব প্রাচীন মন্দিরগাত্রে খোদাই সঙ্গমদৃশ্যাবলি এক "অনাবিল, ক্লেদমুক্ত, সাবলীল জীবনের" চিত্র। কিন্ত আমি মূঢ়মতি যদি বলি যে এই সকল ভাস্কর্য প্রাচীন কালের porn theatreএর সমতুল্য এবং মন্দিরের প্রবেশমূল্য দেওয়া porn theatreএর টিকিট কাটার মত, তবে কি আমার পাপ হবে? 

    আমরা ভালই জানি যে roman সাম্রাজ্যের নানা নগরে বহু সুপ্রতিষ্ঠিত বেশ্যালয় ছিল যেগুলির দেয়ালে বিশাল আকারের যৌনচিত্রের mural আঁকা থাকত, যার উপযোগিতা স্পষ্ট।  বস্তুত pornography শব্দটির greek ভাষায় প্রকৃতি প্রত্যয় করলে "বেশ্যার ছবি" দাঁড়ায়। 
    অতএব, আপনার মতানুযায়ি প্রাচীন ভারতে বেশ্যা, বেশ্যালয় বা বেশ্যাচিত্র/যৌনচিত্রের অস্তিত্ব ছিলনা। ঐতিহাসিক তথ্য কিন্তু তা বলেনা।  

    ২) YouTubeএ পর্ণমোচী ছবিটির romanised নামে বানান ভুল আছে। এই সামান্য যত্নটুকুও বোধকরি অধুনা লুপ্ত।
    ভবদীয়
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন