এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বনাঞ্চল, হকার, ডিজিট্যাল নেটিভ: কিছু ভাবনা

    Samir Karmakar লেখকের গ্রাহক হোন
    ১০ আগস্ট ২০২৪ | ৪২৬ বার পঠিত
  • (যদিও তরাই গণ্ডারের জন্য তবুও রইলো এখানেও)

    এই লেখা বনাঞ্চল, হকার, আর ডিজিটাল নেটিভদের নিয়ে। আপাতভাবে সম্পর্কহীন এই তিনটি বিষয় যা আমাকে এই মুহূর্তে আলোড়িত করছে। আমি বুঝতে চাইছি ক্রমশ কমতে থাকা বনাঞ্চল, উচ্ছেদ হওয়া হকার, আর ডিজিটাল প্রযুক্তিতে ক্রমশ অভ্যস্ত হয়ে ওঠা নেটিভদের সাথে উন্নয়নের সম্পর্কটা কিরকম? 

    সাম্প্রতিক সময়ে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার সাক্ষী আমরা সকলেই। তীব্র দাবদাহ, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি, ধ্বংসাত্মক বন্যা, আচমকা বজ্রপাত - এ যেন এখন নিত্য নৈমিত্যিকার বিষয়। খুব স্বাভাবিকভাবেই পত্র পত্রিকায় সামাজিক মাধ্যমে প্রকৃতির খেয়াল নিয়ে কথাবার্তা আগের তুলনায় বেড়েছে বই কমে নি। পেশা আর নেশা নিরপেক্ষভাবে প্রকৃতি নিয়ে প্রত্যেকেই  চিন্তিত। কারণ, প্রাকৃতিক খামখেয়ালিপনার সবচেয়ে দুর্বল বা ক্ষুদ্র কোন নিদর্শনেরও যে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব তার সাথে মোকাবিলা করা মানুষের ক্ষমতার বাইরে। বাতানুকূল যন্ত্রের সাহায্যে বাড়ি গাড়ির মতো সংকীর্ণ পরিসর হয়তো শীতল করা যায়, কিন্তু পঞ্চাশ কোটি ছিয়ানব্বই লক্ষ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে ব্যাপ্ত যে ভূপৃষ্ঠ তার উষ্ণায়নরোধের উপযোগী কিছু খুঁজে পাওয়া সুদূর ভবিষ্যতেও সম্ভব নয়। আমাদের আকাশ জোড়া প্রতিরোধী ব্যবস্থাগুলি খুব বেশি হলে কিছু হাউই থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারলেও আদপে তা কতোটা বজ্ররোধী বা মেঘ-ভাঙা বৃষ্টিরোধী সে নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। কৃত্রিম মেঘের বৃষ্টি সংক্রান্ত যে প্রযুক্তি, তা একটা বিস্তীর্ণ ভূপৃষ্ঠের নিরিখে নেহাতই বামন স্বরূপ। ফলত, প্রকৃতির মাঝে মানুষই একমাত্র শক্তিশালী এবং বুদ্ধিমান একটি প্রজাতি - এই ভাবনাকে প্রশ্ন করার একটা বাস্তব প্রেক্ষাপট আজ আমাদের সামনে উপস্থিত। 

    এমন একটা সময় ছিল যখন আমরা এই ভেবে গর্বিত হতাম যে প্রকৃতিকে তার মতো করে নয়, বরং আমাদের নিজের মতো করে গ্রহণ করতে পারার যে দক্ষতা আমরা অর্জন করেছি তাই আমাদের নিজেদেরকে বুদ্ধিমান প্রজাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করেছে। প্রকৃতিকে প্রকৃতির মতো করে নয় বরং আমাদের নিজেদের মতো করে দেখার ও ব্যবহার করার এই ব্যাপারটা আমাদের বৌদ্ধিক করেছে ঠিকই - আবার, একই সাথে প্রকৃতির থেকে বিচ্ছিন্নও করেছে। আমাদের যা কিছু স্বাবলম্বন তার পুরোটাই বিচ্ছিন্নতার বিনিময়ে: আমরা কাঠেতে কয়লা, আর কয়লায় শক্তি দেখেছি। আমরা হাওয়াতে শক্তি, শক্তিতে গতি আর গতিতে বিদ্যুৎ দেখেছি। আমরা বস্তুতে পরমাণু আর পরমাণুতে শক্তির আধার দেখেছি। আমাদের এই অন্যতর দেখার যে ইতিবৃত্ত তাই সভ্য হওয়ার একমাত্র মানক হয়ে উঠেছে ক্রমে ক্রমে। আমরা আমাদের উন্নয়নকে টেকসই করতে চেয়েছি। লাভজনক করতে চেয়েছি। সভ্যতার দম্ভে উন্নয়নগর্বী হয়ে আমরা মেতে উঠেছি এক অসুস্থ দৌড়াদৌড়িতে। সভ্যতার অন্যান্য ধরনগুলিকে আমরা এক অভূতপূর্ব প্রতিস্পর্ধিতায় উন্নয়নের নামে নস্যাৎ করেছি এবং করেও চলেছি। 

    আমাদের জ্ঞানের বিশিষ্টতা আমাদের বিযুক্ত করেছে। আমাদের প্রযুক্তি আমাদের বিচ্যুত করেছে।  জ্ঞান আর প্রযুক্তি দিয়ে আমরা এমন এক স্থান আর সময়ের রচনা করেছি যা ব্যাপক ও ব্যাপ্ত ঠিকই - কিন্তু স্বতত ভঙ্গুর। অথচ, প্রকৃতির থেকে এই মানবীয় অপ্রাকৃত রচনাই বড়ো বেশি সত্য বলে মনে হয়। ব্যক্তির থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে তার ভোটার আইডি, আধার নম্বর, ড্রাইভিং লাইসেন্স, প্যান নম্বরের মতো আরোপিত বিষয়গুলি। ভূখণ্ডের বাস্তবতার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে আরোপিত দাগ, মৌজা, খাতিয়ানেরা। ভূখণ্ড নয়, হিসেব নিকেশের খতিয়ান স্বরূপ মানচিত্র এখন একটি অন্যতম জরুরি বিষয়। উদ্বৃত্তের বিনিময় নয়। এমনকি মুদ্রা দিয়ে কেনাবেচাও নয়। ডিজিটাল ট্রান্সাকসনের সময় এখন। একে ওকে জিজ্ঞেস করে বার কয়েক রাস্তা ভুল করে দোকানদার, ফুটপাতবাসি বা ট্রাফিক পুলিশকে জিজ্ঞেস করে গন্তব্যে পৌঁছনো নয়। গুগলের মানচিত্র আমাকে আপনাকে নির্ভুল ঠিকানায় নিখুঁতভাবে পৌঁছে দেবে। আপনি এমন এক প্রতিবেশের বাসিন্দা যেখানে প্রতিবেশ থাকলেও পরিবেশ নেই, প্রতিবেশী নেই। ডিজিটালে আপনি স্থানিক অথচ আপনার স্থান নেই। আপনি কালিক কিনতু আপনার কাল নেই।  

    এহেন এক পরিস্থিতিতে বন পাহাড় জঙ্গল যে সম্পদের মতো দেখাবে তাতে আর আশ্চর্যের কি! রাতারাতি সবকিছুই সম্পদ হয়ে উঠেছে। জল, বায়ু, আলো, ফুটপাথ - সবকিছুই। মানুষও সম্পদ। সম্পদ হিসেবে এদের ব্যবহারমূল্য আছে। ব্যবহারমুল্যের নিরিখে বুঝতে বা দেখতে শিখছি বা শিখেছি বলে এদের বাজারমূল্যও তৈরি হয়েছে। প্রকৃতির থেকে বিযুক্ত এবং বিচ্যুত এক বাজার বিমূর্তনের  বিশিষ্ট সব মুহূর্তের মধ্যে দিয়ে এমন একটা জগতের প্রতিভাসকে সত্য বলে চালিয়ে যেতে চাইছে - আদতে যা মিথ্যের উপর দাঁড়িয়ে। উন্নয়নের ধারণা থেকে শুরু করে নগর পরিকল্পনা, ভাষা সংরক্ষণ থেকে শুরু করে প্রাদেশিকতা, সবুজায়ন থেকে নদী-পরিকল্পনা সর্বত্রই একই বিযুক্তি আর বিচ্যুতির চাষবাস। 

    কয়েকটা আপাতভাবে পারস্পরিক সম্পর্কহীন উদাহরণ দিয়ে আলোচনার বিষয়গুলো একটু বুঝে নেবো। উদাহরণগুলি আপাতভাবে সম্পর্কহীন হলেও এদের মধ্যে প্রচ্ছন্ন রয়েছে বিমূর্তন এবং বিচ্যুতির সেই সে লজিক যা উন্নয়নের কথা বলে।   

    প্রথম উদাহরণ: সাম্প্রতিক কালের এক সরকারি সমীক্ষায় ভারতে বনাঞ্চলের পরিমান বেড়েছে বলে দেখানো হয়েছে অথচ গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যে যে দেশগুলি সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ তার মধ্যে ভারতকে অন্যতম বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ধরণের পরস্পর বিরোধী তথ্যের উত্তর লুকিয়ে আছে তথ্য সংগ্রহ ও তথ্য বিশ্লেষণ করার জন্যে যে পদ্ধতিটি গ্রহণ করা হয়েছে তার মধ্যে। উল্লিখিত বনাঞ্চল সমীক্ষার কাজটি প্রাথমিক ভাবে উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রের প্রসেসিং করার উপর নির্ভরশীল। হাইরেজোলিউশান মাল্টিস্পেকট্রাল রিমোট সেন্সিং সিস্টেম এই দৃশ্যপটের নিখুঁত দৃশ্যগত বর্ণনা তৈরি করতে সক্ষম হলেও, প্রাকৃতিক বনাঞ্চল, সংরক্ষিত বনাঞ্চল, কৃত্রিমভাবে নির্মিত বনাঞ্চল, ফলের বাগান, উদ্যান ইত্যাদিকে আলাদা আলাদা করে চিহ্নিত করতে পারে না। আর এখানেই লুকিয়ে আছে বনাঞ্চল সংক্রান্ত সভ্য নাগরিক জীবনের কারচুপি। সংরক্ষিত বনাঞ্চল, বাগান, উদ্যানের থেকে প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের জীববৈচিত্র্য কেবলমাত্র পরিসংখ্যানগত দিক দিয়েই আলাদা তেমনটা নয় - চরিত্রগত দিক থেকেও আলাদা। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা বনাঞ্চলের কার্বন ধারণ ক্ষমতা কৃত্রিম ভাবে গড়ে তোলা বা সংরক্ষিত বনাঞ্চল বা উদ্যানগুলির থেকে বহুলাংশে বেশি। ব্যয়বহুল বাজার সর্বস্ব উচ্চমানের প্রযুক্তির প্রয়োগে যে বিষয়টাকে সন্তর্পণে এড়িয়ে যাওয়া হয় সেটা হল প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের বিপরীতে ব্যবসায়িক স্বার্থে বৃহৎ পূঁজির বিনিয়োগের মধ্যে দিয়ে লাভজনক বনের প্রসার। ফল স্বরূপ, ইন্ডিয়া স্টেট অফ ফরেস্ট রিপোর্ট, গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স, সেন্টার অফ সায়েন্স অ্যান্ড এনভাইরনমেনটের রিপোর্টে ও বিশ্লেষণে গরমিল খুঁজে পাই আমরা। সামাজিক বনসৃজন ভালো, তবে প্রাকৃতিক বনের বিকল্প হয়ে উঠতে তার ঢের বাকি।  
    দ্বিতীয় উদাহরণ: এমনিতে হকারি বিষয়টিকে মনে করা হয় উন্নয়ন বিরোধী। হকাররা দখলদার। সরকারকে তাদের ব্যবসার জন্যে ট্যাক্স দেয় না। ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করায় যাতায়াতে অসুবিধে তৈরি করে। বড়ো ব্যবসায়ীদের বিজনেসে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে ইত্যাদি ইত্যাদি। বোঝায় যাচ্ছে হকারি একটা "ভীষণ বাজে ব্যাপার"। ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স অফ স্ট্রীট ভেন্ডরস অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্ট থেকে প্রাপ্ত এই তথ্যের উপর এবার যদি একটু দৃষ্টি আকর্ষণ করি:  "over the past few decades we can observe that there is substantial increase in the number of hawkers in the major Indian cities. Mumbai has the largest number of hawkers numbering around 200,000. Calcutta has more than 100,000 hawkers. Ahmedabad and Patna have around 80,000 each and Indore, Bangalore and Bhubaneshwar have around 30,000 hawkers"। বলার অপেক্ষা রাখে না, মূলধারার বিপরীতে হকারির মতো বেআইনি বলে দেগে দেওয়া একটা পেশা এখনো পর্যন্ত দেশের বৃহত্তম কর্মের সংস্থান। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের একটি রিপোর্টে ন্যাশনাল স্টাটিস্টিক্যাল অফিসের  ডেপুটি ডিরেকটার মূর্তি তাঁর Measuring Informal Economy in India _ Indian Experience শীর্ষক প্রবন্ধে বলছেন: "The share of informal unorganised sector is more than 50%"। কেন্দ্রীভূত ফর্মাল অর্থনীতির বিপ্রতীপে বিকেন্দ্রীভূত অসংগঠিত এই রকমই এক ব্যবস্থার অংশভাক হকারি। আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠনের হিসেব অনুযায়ী ভারতীয় শ্রমের ৮৮% যুক্ত হকারির মতো ইনফরম্যাল অর্থনীতির সাথে। সাম্প্রতিককালের ভারতীয় অর্থনীতির আয়তন নিয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্ব যতই আস্ফালন করুন না কেন এই বিপুল পরিমান বিকেন্দ্রীভূত অসংগঠিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অর্থ ব্যবস্থার অবদানকে অস্বীকার করার ক্ষমতা রাখেন না। হকার উচ্ছেদের মধ্যে দিয়ে মূলধারার অর্থনীতিকে যত মজবুত করার চেষ্টা করা হবে ততোই তা ভঙ্গুর হয়ে পড়বে বিমূর্তন আর বিচ্যুতির অনিবার্যতার মধ্যে দিয়ে। পুনর্বাসনের পরিকল্পনা বিহীন উচ্ছেদ আসলে প্রাণ ও প্রকৃতির পরস্পর নির্ভরতার ক্ষেত্রে ক্ষতিকর। 

    তৃতীয় উদাহরণ: ইদানীং "ডিজিটাল নেটিভ" বলে একটি ধারণার চল হয়েছে। ডিজিটাল নেটিভ আসলে এমন একজন ব্যক্তি যিনি অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে ডিজিটাল মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতে সক্ষম ও স্বচ্ছন্দ। মুখোমুখি কথা নয়, সামাজিক পরিসরে ভিড়ের মধ্যে কুশল বিনিময় নয় - ডিজিটাল নেটিভরা একে অপরের সাথে যুক্ত থাকেন বৈদ্যুতিন মাধ্যমের দ্বারা। দুটো সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিসরের অংশ হয়েও বৈদ্যুতিন মাধ্যমের দ্বারা এমন একটি তৃতীয় পরিসরের তারা অংশ হয়ে ওঠে যা বৈদ্যুতিন প্রযুক্তি সাপেক্ষ বিষয়। ডিজিটাল বিশ্বে যোগাযোগের যে বিপ্লব প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে তারও বহুবিধ প্রভাবের কথা আমরা শুনে থাকি। মজার বিষয় হলো, বাস্তবের পরিসরে নেটিভরা যেভাবে নিয়ন্ত্রিত হন বা নজরে থাকেন তার থেকে কয়েকগুণ বেশি নিয়ন্ত্রণ বা নজরদারী চলে ডিজিট্যালের জগতে। অথচ সেটিকেই ব্যক্তি স্বাধীনতার মোড়কে মোলায়েম করে পেশ করা হয়। এই আলোচনা বিশদে করার যথেষ্ট অবকাশ থাকলেও ফিরে আসা প্রয়োজন মূল আলোচনায়।

    একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে এই তিনটি বিচ্ছিন্ন উদাহরণের একটি ক্ষেত্রে মিল আছে: প্রকৃতিকে একটি মানবীয় রূপরেখা দেওয়ার নামে আসলে উন্নয়নের আর প্রগতির একটি আগ্রাসী রূপকে অনিবার্য করে তুলতে চাওয়া হচ্ছে। বনাঞ্চলের সংরক্ষণের নামে, হকার উচ্ছেদের মধ্যে গিয়ে, এবং ডিজিট্যাল নেটিভ তৈরির মধ্যে এমন এক বাজারি মানসিকতার ব্যাপক আয়োজন করার চেষ্টা হচ্ছে যার মূল লক্ষ্য মুনাফা। সংরক্ষিত এলাকায় পর্যটনের ব্যবস্থা, অর্থকরী বৃক্ষসৃজন, বা ফুটপাথের কেনাবেচাকে রাষ্ট্রের নজরদারিতে অর্থনীতির মূলধারায় নিয়ে আসা, বা যোগাযোগের সহজ চলতি বিষয়গুলিকে প্রযুক্তি নির্ভর দুর্মূল্য করে তোলা - এই সবই আধুনিক সময়ের অবক্ষয়ী উন্নয়ন ভাবনা ছাড়া অন্য কিছু কি?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন