এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • টাকার বন্যা – একটি ২০১৭ ডয়চে ভেলে তথ্যচিত্র

    বকলম -এ অরিত্র লেখকের গ্রাহক হোন
    ৩০ মার্চ ২০২৪ | ৪০১ বার পঠিত
  • তথ্যচিত্র লিংক


     
    যদিও এইধরণের ভিডিওতে একটা বিশেষ উদ্দেশ্য বা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কোনো বিষয়কে দেখানো বা ব্যাখ্যা করার প্রবণতা থাকে, কিন্তু সেটা হয়ে থাকার ঝুঁকি নিয়েও ভিডিওটা দেখা ও আলোচনা করার মতন। এতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা রয়েছে যা ভাবাবে। ডকুমেন্টারিটা খুব নতুন নয়, ২০১৭ এর। পৃথিবীময় টাকার যে বন্যা বয়ে চলেছে তার উৎস ও উৎপত্তি এবং তার ফলে উৎপন্ন জল্পনাভিত্তিক অর্থনীতি ও অর্থনৈতিক বুদবুদ এবং এর সম্ভাব্য বিপদ ও সাধারণ মানুষের ওপর এর প্রভাব, যেমন অর্থনৈতিক অসাম্য, অস্থিরতার বৃদ্ধি - ইত্যাদির আশেপাশেই তথিচিত্রের আলোচনাটি ঘোরাফেরা করেছে। এবারে নিচের সারাংশ না পড়ে সরাসরি ভিডিওটাই দেখা যেতে পারে, তবে নিচে "গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড ব্যবস্থা ও ফিয়াট ব্যবস্থা" নিয়ে ছোট টিকা লিখেছি, একেবারেই না জানা থাকলে পড়ে নিতে অনুরোধ করবো।

    সারসংক্ষেপ:

    (সম্ভবত মন্দা পরিস্থিতিতে) জিনিসপত্রের মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক (যেমন ভারতের আরবিআই) রেপো/বেস রেট কমিয়ে দিয়ে থাকে। এতে জমা টাকায় সুদ কমতে (আমেরিকা জার্মানি ইংলন্ডে এখন ১% এর কাছে) কিন্তু ঋণ সস্তা হয় ফলে প্রচুর পরিমাণে সস্তার টাকার যোগান তৈরী করে যা বাজারে আসে ও লগ্নি হয় শেয়ারে ও রিয়েল এস্টেটে - যাদের মূল্য দ্রুত বাড়তে থাকে। যেহেতু ধনী শ্রেণীর মধ্যেই শেয়ার ও জমিতে লগ্নি সিংহভাগ, তাই এর ফলে ধনীরা খুব দ্রুত আরো ধনী হয়। যারা মূলত টাকা জমান তাদের জমা টাকার মূল্য কমে যায় তারা ক্ষতিগ্রস্থ হন। একটা উল্টো-পুনর্বণ্টন ব্যবস্থা যেখানে সম্পদ দরিদ্র শ্রেণী থেকে উপরের ধনী শ্রেণীর দিকে যায়। এই ঋণ অর্থনীতি বা ডেট ইকোনোমিতে প্রকৃত অর্থনীতির থেকে স্পেকুলেটিভ ইকোনোমি বা জল্পনাভিত্তিক অর্থনীতির ভাগ বাড়তে থাকে এবং এই জল্পনা (সম্পদের মূল্য সম্পর্কে, যেমন রিয়েল এস্টেট) জন্ম দেয় "বুদবুদের" যা অর্থনীতির আতঙ্ক।

    লন্ডনের রিয়েল এস্টেটের অকল্পনীয় মূল্যবৃদ্ধির দৃষ্টান্ত দেওয়া হয়েছে, যেখানে শহরের অসাধারণ বসত বাড়িগুলোর মালিকরা কেউ সেখানে থাকেন না, থাকার জন্যে কেনেন নি, সেগুলো তাদের ইনভেস্টমেন্ট অবজেক্ট। বাড়িগুলোর অকল্পনীয় দাম বেড়েছে। এছাড়া এই সস্তার ঋণের অঢেল যোগানের ফলে কোম্পানিগুলোর বেচাকেনা করে স্পেকুলেটিভ মূল্যবৃদ্ধির সুযোগে প্রচুর লাভ তুলে নেওয়ার চল শুরু হয়েছে। এই ব্যাপারটার ফলে উৎপাদন বা পরিষেবার মধ্যে দিয়ে (রিয়েল ইকোনোমি) লাভ করার বদলে এই স্পেকুলেটিভ কেনা-বেচার মধ্যে দিয়ে লাভ করার প্রবণতা প্রধান হয়েছে আর তার ফলে চাকরি গুলো এই কেনা ও বেচার খেলার মাঝে "দাবার বোরে" হয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ছে দিন দিন।

    এই অঢেল টাকার উৎপত্তি হয়েছিল যখন সরকারের সেন্ট্রাল ব্যাংকগুলো (যেমন আরবিআই) ইচ্ছে মতন টাকা ছাপানোর সুযোগ পেয়ে যায় - অর্থাৎ ফিয়াট মুদ্রা ব্যবস্থা শুরু হয়। এই ফিয়াট ব্যবস্থায় আমেরিকান প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রয়োজনে প্রচুর পরিমানে টাকা ছাপাতে শুরু করেন এবং এই টাকা যায় আরব দুনিয়ার তেল বিক্রেতাদের কাছে। টাকার প্রাচুর্য্য লোন দেওয়ায় উৎসাহ আনে ক্রেডিট কার্ড এর মতন নতুন ইনভেস্টমেন্ট মডেল হাজির হয়।
    এইখানে একটা খুব ইন্টারেষ্টিং কথা বলা হয়েছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে তাহলে আসলে টাকা তৈরী হচ্ছে কোথায় ও কিভাবে? উত্তর এলো যে টাকা "তৈরী" করছে আসলে ব্যাংকগুলো। না সরকারের সেন্ট্রাল ব্যাংক, যেমন আরবিআইদের কথা বলা হচ্ছে না, বলা হচ্ছে সাধারণ ব্যাঙ্ক গুলোর কথা। এরাই অর্থনীতির বেশির ভাগ টাকা তৈরী করছে। কিভাবে? বলছে এই টাকা তৈরী হয় যখন কেউ ব্যাঙ্কে গিয়ে লোন নেয়। আমরা টেস্কট বুক ব্যাঙ্কিং বলতে যা বুঝি তা হলো যে যাদের অতিরিক্ত টাকা থেকে যায় তারা তা ব্যাঙ্কে জমা রাখে আর সেই জমা টাকা থেকে ব্যাঙ্ক লোন দেয় তাদের যাদের দরকার। কিন্তু আসলে আধুনিক ব্যাংকিংয়ে এরকমটা হয় না (এখানে হয়তো সরলীকরণ করা হয়ে থাকতে পারে)- ব্যাঙ্কের হাতে থাকা জমা টাকা ও ব্যাঙ্কের লোন দেওয়ার মধ্যে তেমন সরাসরি সম্পর্ক নেই। বলা হচ্ছে নিয়ম হলো দেওয়া লোনের মোট পরিমানের ১-৩% তাদেরকে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক (যেমন আরবিআই) এর কাছে জমা রাখতে হবে মাত্র। অর্থাৎ কোনো ব্যাঙ্ক ৩০ লক্ষ টাকা আরবিআইতে জমা রাখলে সে ১০ কোটি টাকা ঋণ দিতে পারবে। এই অতিরিক্ত ৯কোটি ৭০লক্ষ টাকা কিন্তু তার কাছে নেই, কিন্তু তাও সে লোন দিচ্ছ। লোন পরিশোধ হলে সুদের অংশটা (কারণ আসলটা ফেরত ব্যালান্স হয়ে যায়) ব্যাঙ্কের প্রফিট। অর্থাৎ যখন ঋণ দেওয়া হচ্ছে, ব্যাঙ্ক আসলে টাকা তৈরী করে নিচ্ছে।

    যাই হোক এইসবের ফলে যে অস্বাভাবিক সস্তার টাকার যোগান এবং স্পেকুলেটিভ ইকোনোমি তৈরী হয়েছে তার ফলে তৈরী হয়েছে "বুদবুদ" - মানে কল্পনার মূল্য যা একটা বিপজ্জনক আর্থিক অবস্থা এবং বলা হচ্ছে এই বুদবুদ ফাটলে অর্থাৎ কাল্পনিক (বা জল্পনাপ্রসূত) বর্ধিত দামের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে উপলব্ধি ঘটলে অর্থনীতিতে বিপর্যয় নামতে পারে। তবে এই ডকুমেন্টারিটি কোভিড-কালের আগের।

    ফিয়াট মুদ্রা ও গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড: (আমার জ্ঞান অনুযায়ী)

    আগে টাকা ছাপানোর জন্য কোনো দেশকে সমমূল্যের সোনা দেখাতে হতো। মানে আরবিআই যদি ৫০,০০০ টাকার মূল্যের নোট (ধরা যাক ১০০টা ৫০০টাকার নোট) ছেপে বাজারে ছাড়তে চায় তাহলে এই মূল্যের জমানো সোনা (ধরা যাক ১০ গ্রাম) তার কাছে থাকতে হতো। একে বলা হতো "গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড ব্যবস্থা"। এই ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে ফিয়াট মুদ্রায় ঢুকলে টাকা ছাপানোর জন্য সোনা থাকার দরকার হয় না, সরকারের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ইচ্ছে হলেই ছাপায়। কিন্তু তাতে টাকার দাম আর স্থির থাকে না, দাম ঠিক হয় চাহিদা-যোগানের ওপর। এই ব্যাবস্থায় ভারত ঢোকে বোধহয় ১৯৭১, ব্রেটন উডস চুক্তি রূপায়ণ করে। ফিয়াট মুদ্রা ব্যবস্থায় টাকার দাম ওঠানামা করে প্রতিনিয়ত এবং মুদ্রাস্ফীতি (ইনফ্লেশন) হয়। সরকার ইচ্ছে মতন টাকা ছাপায় (আর টাকার যোগান বাড়ে) আর তাই টাকার পরিমাণ বেড়ে গিয়ে টাকার মূল্য হ্রাস বা মুদ্রাস্ফীতি/ইনফ্লেশন হয়। অর্থাৎ যখন সরকার টাকা ছাপিয়ে বাজারে অর্থনীতি চাঙ্গা করার জন্যে ঢালে এবং নতুন লগ্নির ফলে কাজ তৈরী হয় - তখন এই টাকাটা আসে আসলে আমাদের পকেট থেকেই। নতুন টাকা ছাপানোর ফলে আমাদের হাতে ও ব্যাংকে থাকা টাকার মূল্য কমে গেলো এবং এই মূল্যে কমে যাওয়ার ব্যাবধানটাই সমষ্টিগত ভাবে সরকারের কাছে এলো নতুন ছাপানো নোটের মধ্যে দিয়ে যা লগ্নি করা হলো। আমি অর্থনীতি পড়িনি তবে আশা করছি যে ভুল বলছি না।
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | ৩১ মার্চ ২০২৪ ০০:০০530017
  • ভয়েচে ভেলে
  • যোষিতা | ৩১ মার্চ ২০২৪ ০০:০১530018
  • ভয়েচে  ডয়েচে ভেলে
  • বকলম -এ অরিত্র | ৩১ মার্চ ২০২৪ ১১:০৫530049
  • ওরা নিজেরা দেখলাম "ডয়চে ভেলে" লিখছে, তাই করে দিলাম।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:94d4:8114:20a9:***:*** | ৩১ মার্চ ২০২৪ ১১:৩২530052
  • অরিত্র, এই ভিডিওটা ২০১৭ সালের, যখন সেন্ট্রাল ব্যাংক গুলো কোয়ান্টিটেটিভ ইজিং মোডে ছিল। আর কোভিডজনিত লকডাউন শুরু হওয়ার পর, সাধারন মানুষদের যাতে সরকার সরাসরি সাহায্য দিতে পারে আর যাতে ইকোনমি সচল থাকে সেজন্য ফেড ও অন্যান্য সেন্ট্রাল ব্যাংকগুলো ইন্টারেস্ট রেট আরও কমাতে থাকে আর আরও বেশী বেশী করে টাকা ছাপাতে থাকে। এর কুফল সম্বন্ধে অনেক ইকোনমিস্টই তখন বলেছিলেন, কিন্তু গ্লোবাল প্যান্ডেমিকের মুখে দাঁড়িয়ে অনেক সরকারই বোধায় ভেবেছিল আগে তো নিজের নিজের পপুলেশান সারভাইভ করুক, তারপর ইনফ্লেশান নিয়ে ভাবা যাবে। আর ২০২২-২৩ এর পর যখন ইনফ্লেশান বাড়তে শুরু করে তখন ফেডও ইন্টারেস্ট রেট বাড়াতে শুরু করেছিল, অনেকে ভেবেছিল এর ফলে রিসেশান শুরু হবে, কিন্তু তা হয়নি। এখনো অবধি ফেড মোটামুটি ঠিকই সামলাচ্ছে। কাজেই ২০১৭ এর ভিডিও না, আরও আপডেটেড ভিডিও নিয়ে আলোচনা করার অনুরোধ করলাম। 
     
    আর গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড মোটামুটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়েই শেষ হয়ে গেছিল, তারপর শুরু হয় ব্রেটন উডস সিস্টেম। সেও শেষ হয় ১৯৭৭ সালে, বেশ কিছু কারনে, যার মধ্যে একটা ছিল অয়েল শক। ১৯৭৭ থেকে ফিয়াট সিস্টেম শুরু হয়, যা আমাদের মডার্ন ইকোনমিক সিস্টেম এর একটা অংশ। ফিয়াট সিস্টেম চালু না হলে, বা গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড এই থেকে গেলে, আজকের পৃথিবীর ইকোনমিক গ্রোথ হতো না, সাধারন মানুষের কাছে এতো বেশী ইকোনমিক অপর্চুনিটি আসতো না, ইত্যাদি। এ নিয়ে আরও লিখবো। 
     
    কেউ কেউ মনে করেন ক্রিপ্টোকারেন্সি, যা কিনা ডিসেন্ট্রালাইজড আর পিটুপি বেসড, ভবিষ্যতে ফিয়াট সিস্টেমের পরের ধাপ হতে পারে। এটা ভারি ইন্টারেস্টিং ব্যাপার, এটা নিয়েও সময় পেলে লিখবো।  
  • হীরেন সিংহরায় | ০২ এপ্রিল ২০২৪ ১১:২৫530140
  • ব্রেটন উডস (১৯৪৪) চুক্তির অন্তিম ঘন্টা বাজে ১৫ আগস্ট ১৯৭১ যখন নিকসন সরকার এক আউনস সোনার বিনিময় মূল্য ৩৫ ডলার মানতে অরাজি হলেন। যে ভিত্তির ওপর পারস্পরিক মুদ্রা মূল্য নির্ধারিত ছিল সেটি শেষ হলো - শুরু হলো এফ এক্স মার্কেটের খেলা - ফাটকা। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:4d65:442c:3acd:***:*** | ০২ এপ্রিল ২০২৪ ১২:২১530145
  • ঠিক, গুগল করে দেখলাম ব্রেটন উড বাতিল হয়েছিল ১৯৭১ এ। খেয়াল ছিল না। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন