ভারতের স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে এই ধরণের লাভজনককারী সংস্থার কাজের সুবাদে ভারতের জনস্বাস্থ্যের কতটা উন্নতি বা অবনতি হয়েছে, তার একটা খতিয়ান দেখে নেওয়া যাক। আমরা আমাদের পাঠ শুরু করব ২০২২ সালের WHOর একটি প্রকাশনা দিয়ে, সেটি লিখেছিলেন শক্তিভেল সেলভারাজ | লেখাটি এখানে পাবেন,
প্রকাশনার সময় ২০২২ সাল। লেখাটা পড়ার সময় মনে রাখতে হবে যে এর মধ্যে তিন বছর ইলেকটোরাল বণ্ড এর সময় পেরিয়ে গেছে, তাতে বহু রাজনৈতিক দল লাভবান হয়েছেন, কোভিডের মতন ভয়ঙ্কর অতিমারীর কবলে ভারত পড়েছে, এবং ভারত সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তখনই প্রায় ৫ লক্ষের ওপর মানুষ কোভিডের কারণে মারা গেছেন। এ সংখ্যাটি নেহাৎ কম নয়।
এই যে প্রায় ৬০০ কোটির ওপর টাকা চিকিৎসা এবং ল্যাব সংক্রান্ত ব্যবসা রাজনৈতিক দলগুলোর পেছনে খরচা করেছে, এ টাকাগুলোর উৎস কিন্তু আমার আপনার মতন সাধারণ মানুষ, কারণ ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম, কনস্ট্রাকশন কোমপানীগুলো সরকারী প্রোজেক্টের কাজ করে টাকা রোজগার করতে পারে, সে রকম ধরনের কাজ হাসপাতাল করে না, সেক্ষেত্র একটি হাসপাতাল রাজনৈতিক দলদের ১২০ কোটি টাকা বণ্ড দিচ্ছে, এই ব্যাপারটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে এই বিপুল অর্থ ভারতের মতন দেশে এরা পেল কি করে?
সেলভারাজরা লিখছেন,
although polio has been eliminated and
the human immunodeficiency virus infection and acquired immune deficiency
syndrome (HIV/AIDS) epidemic contained, significant disease burden from
tuberculosis remains, with rising numbers of multidrug-resistant variants.
Dengue and Chikungunya have posed a regular threat to urban health
planners. Noncommunicable diseases (NCDs) are increasingly emerging as
a challenge, with NCDs and injuries together accounting for over half the
disease burden
Multidrug resistant tuberculosis এখানে একটা বড় সমস্যা, কারণ এর কারণ অনিয়ন্ত্রিত ভাবে চিকিৎসকদের যথেচ্ছ অ্যানটিবায়োটিকের প্রয়োগ। এই ধরণের কাজে কাদের সবচেয়ে বেশী লাভ এ প্রশ্নের উত্তর বোঝা যাচ্ছে আশা করা যায়। এরা যদি ভারতের প্রধান রাজনৈতিক দল, যারা লোকসভায় বসে আছে, তাদের টাকা দিয়ে "বণ্ড" কিনে পৃষ্ঠপোষকতা করে, তাহলে multidrug resistance এর সমস্যা যে দিনকে দিন বাড়বে, এ নিয়ে সন্দেহ নেই |
সেখানেই শেষ নয়।
আরো দেখুন,
"Did India’s health system demonstrate its ability to address these
challenges? Sustained government underfunding and growth of private
providers have contributed significantly to the rising medical treatment cost
by households. Household out-of-pocket (OOP) spending on health services
accounts for nearly two thirds of all health spending, especially on medicines.
The resulting financial burden continues to push over 55 million people into
poverty every year, with over 17% of Indian households incurring catastrophic
levels of health expenditures annually"
দিনের পর দিন সরকারী খাতে কেন underfunding? কেন প্রাইভেট প্রোভাইডারদের রমরমা? '
এবং দিনের পর দিন তার খেসারত কারা দিচ্ছেন? বুঝতে অসুবিধে হয়?
এখানে প্রশ্ন তোলা যাক যে ২০১৯ এর পর কোভিডের অমন মর্মান্তিক অতিমারীর পরেও সরকারী তরফে বা লোকসভায় প্রতিনিধিদের তরফে চৈতন্যোদয় হয় না কেন? কাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য?
In 2018, a new national scheme –
the Pradhan Mantri Jan Aarogya Yojana (PM-JAY replaced the earlier
Rashtriya Swasthya Bima Yojana [RSSY] and integrated health insurance
schemes of several state governments under one umbrella). The PM-JAY
seeks to cover 500 million people with a benefit package entitlement of INR
500 000 annually to a household, involving over 1500 packages provided
free to patients from poor, and economically and socially disadvantaged
groups ... PM-JAY covers inpatient services and appears to have
increased access to inpatient care at hospitals, however it is too early to
judge if there has been any significant reduction in households’ OOP – a
primary goal of the scheme, especially since 70% of OOPs are derived from
ambulatory care"
এখানেও দেখুন, সরকারের লক্ষ্য "inpatient services and appears to have
increased access to inpatient care at hospitals", যার একটা বড় অংশ প্রাইভেট সেকটরের হাতে, এতে কাদের লাভ "করিয়ে দেয়া" হচ্ছে এবং কাদের স্বার্থে?
"India’s present drug regulatory system
at the subnational level is characterized by poor infrastructure, lack of skilled
personnel, confusing legislation and multiple authorities, contributing to the
poor implementation of rules and regulations. Moreover, the current price
ceiling mechanisms of medicines is geared towards balancing the interests
of both drug makers and patients. As a result, the coverage of number of
medicines and price reduction of key essential drugs in the private market
has been rather subdued since its implementation from 2013"
যে সময় ধরে ফারমাসিউটিকাল কোমপানী এবং প্রাইভেট কোমপানীগুলোর রমরমা এবং যখন ভারতের আইন প্রণয়ণকারীদের পেছনে অর্থ ব্যয় করেছে, সে পয়সা তারা ভারতের সাধারণ মানুষের ঘাড় ভেঙে তুলেও নিয়েছে, তুলনায় সরকারী চিকিৎসা এবং জনস্বাস্থ্য মার খেয়েছে |
পরে বরং অঙ্ক কষেই দেখানো যাবে যে এর ফল কি সুদূরপ্রসারী এবং না হলে কত মানুষের জীবন বাঁচানো যেত।