এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • প্রসঙ্গ – ভারতের শ্রমশক্তি ও নারীসমাজ

    দীপালোক ভট্টাচার্য লেখকের গ্রাহক হোন
    ২০ আগস্ট ২০২৩ | ৪৩০ বার পঠিত
  • ঘটনা ১ –
    সামনের মাসে বিয়ে বেরুবাড়ীর মেয়ে রামেলার (নাম পরিবর্তিত)। পাত্র ভিনরাজ্যে বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। কিন্তু রামেলার মন ভালো নেই। বেসরকারি নার্সিং ট্রেনিং এর কোর্স করে একটা নার্সিং হোমে কাজ করে সে। বিয়ের পর চলে যেতে হবে বরের কর্মস্থলে। শ্বশুরবাড়ির ইচ্ছে নেই বউ চাকরি করুক।

    ঘটনা ২ –
    হাওড়ার জরি কারখানায় বেশ নামডাক রুপালী অধিকারীর (নাম পরিবর্তিত)। বছর চল্লিশের রুপালী দুই সন্তানের মা। অনেক বছর থেকে কাজ করছে এখানে। কিন্তু কাজটা ছাড়তে হবে। মেয়েরা বড় হচ্ছে। বাড়ীতে দেখার মত তেমন কেউ নেই। স্কুল থাকলে তবুও চলে যায়। কিন্তু ছুটির সময় বড্ড চিন্তা হয় সারাটা দিন। অসুবিধে হলেও কাজটা ছাড়তেই হচ্ছে রুপালীকে।

    ঘটনা ৩ –
    কোলকাতার বিপিও কর্মী নেহা (নাম পরিবর্তিত) আর সামনের মাস থেকে কাজে যাবে না। আদতে শিলিগুড়ির মেয়ে নেহা। কমার্সে স্নাতক হবার পর ক্যাম্পাসিং এ চাকরি হয় এই বহুজাতিক সংস্থায়। কিন্তু সমস্যা একটাই। রাতের শিফটে কাজ। মাঝরাতে কাজ শেষে মেসে ফেরার ঝক্কি অনেক। বাবা-মার প্রতিনিয়ত ফোন, আর উৎকন্ঠায় জেরবার হয়ে অবশেষে বাড়ি ফেরার ভাবনা। সেখানে বসেই সরকারী চাকরীর প্রস্তুতি নেবে সে।

    ওপরের সবকটি ঘটনা আপাতদৃষ্টিতে একে অপরের সাথে আলাদা হলেও কোথাও একটা যোগসূত্র রয়েই গেছে, তাই না? রামেলা, রূপালী, নেহা তিনটে আলাদা পরিবার, আরো সহজভাবে বললে আলাদা আর্থ-সামাজিক অবস্থান থেকে উঠে এসেছে। কিন্তু কারন যাই হোক, স্বনির্ভরতার রাস্তা থেকে তাদেরকে একটা ইউ টার্ন নিতে হয়েছে কিছুটা বাধ্য হয়েই। আর আমাদের আশেপাশে কান পাতলে এদের মত আরো হাজারটা গল্প, মানে বাধ্য হয়ে মেয়েদের কাজ ছাড়ার গল্প আমরা শুনতে পাব। আর এই গা সওয়া গল্পগুলো শুনে আমরা হয়ত তেমনভাবে রিঅ্যাক্ট করতে ভুলে যাব। কিন্তু এরকম হাজার হাজার বাস্তবতার প্রতিফলন যখন উঠে আসে ম্যাককিনসে নামক আন্তর্জাতিক সংস্থার বার্ষিক রিপোর্টে, তখন চোখ কপালে ওঠে বৈকি।

    দেশের শ্রমশক্তিতে মহিলাদের অংশগ্রহণ এবং দেশের জিডিপি তে মহিলারদের অবদান – মূলত এসব সূচকের ভিত্তিতে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সামীক্ষা চালায় এই প্রতিযশা সংস্থা। জিডিপি র দূরন্ত গতি, বিকাশের হার বৃদ্ধি – এসব যখন দেশের গর্বের কারন হয়, তখন এক মুহূর্তে বেলুন চুপসে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটে তিনটি মাত্র তথ্যে – এক, আমাদের দেশের জিডিপি তে মহিলাদের অংশগ্রহণ মাত্র ১৮ শতাংশ এবং দেশের শ্রমশক্তিতে মহিলাদের অংশীদারিত্ব মাত্র ২৫ শতাংশ। দুই, ২০০৫ থেকে ২০১২ এই সাত বছরে আমাদের দেশের ৫০ মিলিয়ন মহিলা কাজ ছেড়েছে অথবা কাজ ছাড়ছে বাধ্য হয়েছে। তিন, বিশ্ব ব্যাংক প্রতি বছর পৃথিবীর নানান দেশ জুড়ে রাষ্ট্রের শ্রম-শক্তিতে মহিলাদের অংশগ্রহণ নিয়ে একটি সামীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করে থাকে। পৃথিবীর ১৩১ টি দেশের মধ্যে নানান সূচকের মধ্য দিয়ে যে নম্বর দেওয়া হয়েছে, সেখানে আমাদের দেশ ১২০ নম্বর স্থানের অধিকারী। প্রতিবেশী দেশগুলোর অনেকেই আমাদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।

    তাহলে উপরের তিনটে আলাদা আলাদা ঘটনাই যেন উঠে এসেছে এই সামীক্ষা রিপোর্টে। এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত একটি তথ্য উল্লেখ না করলেই নয়। প্রতি ১০০ জন ভারতীয় মহিলার মধ্যে মাত্র ২৭ জন কোনো কাজের সাথে যুক্ত অথবা কাজ খুঁজছে। আর পুরুষদের বেলায় এই সংখ্যা ৭৯ শতাংশ। প্রতি ১০০ জনের এই ২৭ জন কি ধরনের পেশায় যুক্ত, যদি সে খবর নেওয়া যায়, তাহলে দেখা যাবে অধিকাংশই অসংগঠিত ক্ষেত্রে গায়ে গতরে খেঁটে খাওয়ার দলে। কেউ গার্হস্থ কর্মী, কেউবা নির্মান শ্রমিক কিংবা বিড়ি শ্রমিক। সেখানেও মজুরির বেলায় অনেক ক্ষেত্রেই পুরুষদের তুলনায় কম। আবার অনেককেই সাংসারিক প্রয়োজন, মাতৃত্ব, মেয়েদের বাইরে কাজ করার ব্যাপারে পরিবারের অস্মমতি, কর্মক্ষেত্রে নারী বান্ধব পরিবেশের অপ্রতুলতা, রাস্তায় তথা কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির আশংকা এসব কারনে নিরাপদ পারিবারিক ঘেরাটোপেই বন্দি থাকছেন স্বেচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায়।

    তাই বলে ব্যাপারটা এমন নয় যে, রামেলা কিংবা রুপালীর মত যারা কাজ ছেড়েছেন বা বাদবাকীদের মত স্বনির্ভরতার পথে সওয়ারী হওয়ার সুযোগ হয়নি – এরা সকলেই দিব্বি আছেন বাড়ীতে। এরা সকলেই গৃহস্থালীর কাজকর্ম, শিশু কিংবা পরিবারের অসুস্থ সদস্যের ফেখাশোনা করা, গ্রামাঞ্চলে রান্নার জ্বালানী যোগাড় করা – এরকম নানান কাজ তাদের করতে হচ্ছে বিনা পারিশ্রমিকে। অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোপারশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট নামক সংস্থার বার্ষিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে আরো একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য – ভারতীয় নারীরা প্রতিদিন ৩৫২ ঘণ্টা গার্হস্থ্য শ্রমে সময় দেয়, যেখানে পুরুষেরা এ কাজে সময় দেয় দিনে মাত্র ৫২ মিনিট। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সাথে এ ব্যাপারে আমাদের দেশের তুলনা টানলে চোখ কপালে ওঠার যোগাড় হবে। প্রথম বিশ্বের দেশগুলোর কথা ছেড়েই দিন। চীন এবং দক্ষিন আফ্রিকার মেয়েদের তুলনায় আমাদের দেশের মেয়েরা ৪০ শতাংশ বেশী সময় দেয় এই বিনাপারিশ্রমিকের গৃহস্থালীর কাজে।

    তবে এই হতাশাজনক ছবির মধ্যেও আলোর দিশা দেখাচ্ছে ম্যাককিনসে গ্লোবাল ইন্সটিটিউট এর হিসাব। এই সামীক্ষা সংস্থার মতে ভারত ২০২৫ সালের মধ্যে জিডিপি ১৮ শতাংশ বাড়াতে পারে শুধুমাত্র একটিমাত্র কাজ করে – কাজের বাজারে মেয়েদের সমান অংশগ্রহণ। এতে করে দেশের আয়বৃদ্ধি হবে ৭৭০ বিলিয়ন ডলার। দেশের আর্থিক বৃদ্ধির জন্য, এই সংস্থার মতে, দাওয়াই একটাই – শ্রম-শক্তিতে মহিলাদের অংশগ্রহণ, উৎপাদন ক্ষেত্রের সাথে যুক্ত সংস্থায় তাদের আরো বেশী যোগদান এবং মহিলাদের কাজের সময় বৃদ্ধি।

    বিশ্ব ব্যাঙ্ক প্রকাশিত রিপোর্টও একই সুরে কথা বলেছে – মহিলাদের আর্থিক ক্ষমতায়ন প্রবলভাবে দারিদ্র দূরীকরণের সাথে সম্পর্কিত। সামীক্ষায় দেখা গেছে, আর্থিকভাবে সবল মেয়েরা তাদের উপার্জিত অর্থের একটা বড় অংশ ব্যায় করে সন্তানদের পুষ্টি, শিক্ষা, চিকিৎসা – এসব কাজে। হয়ত একারনেই আমাদের বিশ্বব্যাংক বিগত পনের বছরে ৩ মিলিয়ন অর্থরাশি বিনিয়োগ করেছে। এই বিনিয়োগ হয়েছে রাজ্যসরকারের মাধ্যমে। বিভিন্ন স্বনির্ভর দলের মধ্য দিয়ে গ্রামাঞ্চলের প্রান্তবাসী নারীদের আর্থিক ক্ষমতায়নের বিভিন্ন প্রকল্পে। তাদের হিসাব অনুযায়ী ৪৫ মিলিয়ন একেবারে দরিদ্রতম অংশের নারীরা বিভিন্ন দক্ষতা বৃদ্ধির কর্মশালার মাধ্যমে উপকৃত হয়ে এখন স্বাধীনভাবে রোজগার করছে এবং প্রতিবেশীদের উৎসাহিত করছে।

    তবে এ ধরনের ধরনের প্রকল্প এবং বিনিয়োগ – কোনোটাই সফল হবে না, যদি না বিদ্যালয় গুলোর মত কাজের জায়গাতেও শুরু হয় মেয়েদের ‘ড্রপ আউট’ সমস্যা। আর গ্রামাঞ্চলে এইধরনের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রকল্পে গণ অংশগ্রহণ তখনি ঘটবে যখন চলনসই যোগাযোগের মাধ্যম, সাথে নিয়ে আসা শিশুদের নিরাপদে রাখার যায়গা – এধরনের ন্যুনতম পরিষেবা পাওয়া যাবে। মেট্রো ও ছোট শহরে যোগাযোগের একটা বিল্পব ঘটলেও অনেক গ্রামীন অঞ্চলে এখনো গণ-পরিবহন অপ্রতুল। কাজের যায়গায় যেতে ঝক্কি, সময় ও অর্থ সবই লাগে বেশী। উপরন্তু সন্ধ্যে হবার পর বাড়ীর পুরুষ সদস্যকে আসতে হয় ঘরের মহিলাটিকে কাজের যায়গা থেকে নিয়ে যাবার জন্য।

    এসব কারনেই অনেক সময় বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারি প্রকল্প সেভাবে সাফল্যের মুখ দেখে না। রোজগেরে গিন্নির স্ট্যাটাস বদলে যায় ‘হোম মেকার’ এ। তাই অর্ধেক জন সংখ্যার জন্য একটা নিরাপদ দেশ বানানোর অঙ্গীকারের পাশাপাশি চাই আরেকটা বদল – ‘ছেলেদের কাজ’ আর ‘মেয়েদের কাজ’ এর মাঝের দেওয়ালটা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া। কি, হাত লাগাবেন নাকি?

    --------------------------------------
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • xor | 182.69.***.*** | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:৫০523626
  • দরকারী লেখা yes
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন