এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • যাদবপুর ও জনরোষ: ভাবনা ও দুর্ভাবনা

    Abin Chakraborty লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৮ আগস্ট ২০২৩ | ৪৪১ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • স্বপ্নদীপের মৃত্যুর পর থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে নানা রকম কর্কশ সমালোচনা, গালিগালাজ, শোক পালন, মিটিং মিছিল ইত্যাদি হয়ে চলেছে। স্বপ্নদীপের হত্যা/মৃত্যু সম্পর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের ও ছাত্রসমাজের সার্বিক গাফিলতি ও নৈতিক দায় রয়েছে, এ বিষয়ে কোন সংশয় নেই। এহেন ঘটনা দেশের নানা IIT তেও ঘটে থাকে এবং এই বিষয়ে সচেতনতা প্রসার ও প্রশাসনিক কঠোরতা অবশ্যই প্রয়োজনীয়। কিন্তু দৈনিক আবেগ ও মতামতের মন্থন থেকে সমাজের বৃহত্তর নানা ফাটল ও সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে - মফস্বল ও মহানগর, গ্রাম ও শহর, ইংরেজি মাধ্যম ও বাংলা মাধ্যম ইত্যাদি ইত্যাদি। আমাদের মত বৈষম্যদীর্ণ সমাজে আত্মপরিচয় গঠনের ক্রমিক ওঠাপড়ায় এরকম বিবিধ ফাটল সৃষ্টি হওয়াটা স্বাভাবিক। দুর্ভাগ্যের বিষয়, এই প্রসঙ্গে সমাজমাধ্যমে এবং অন্যত্র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে উঠে আসছে এক প্রবল ঘৃণা, যা শুধুমাত্র স্বপ্নদীপের মৃত্যুর সাথে যুক্ত নয়। Ragging নামক অপরাধটি যাদবপুরের একচ্ছত্র মালিকানার সম্পত্তি নয়। সারাদেশে অসংখ্য প্রযুক্তি বা কারিগরি বিদ্যার প্রতিষ্ঠানের অলিন্দে এই অপরাধের শাখা প্রশাখা ছড়িয়ে ছিল ও আছে। আমাদের রাজ্যেও এরকম দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা নানা মাত্রায় ঘটেছে বহুবার। National Anti Ragging Helpline এর তথ্য অনুসারে ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে বাংলায় ২৩৩টি ragging এর অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছিল, দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বাধিক। একাধিক ছাত্র ছাত্রী মারাও যায়। এই সব কথা বলার উদ্দেশ্য এটুকুই প্রমাণ করা যে যাদবপুরের ঘটনা, যতই মর্মান্তিক হোক না কেন তা বিরল বা বিচ্ছিন্ন নয়।

    তাহলে যাদবপুরের বিরুদ্ধে সার্বিকভাবে প্রকাশিত এই ঘৃণার উৎস বা চরিত্র কি? যে অভিযোগ গুলো বারবার উঠে আসছে সেগুলো কি? মদ ও মাদকের নেশা এবং নারী পুরুষের অশ্লীল শারীরিক ঘনিষ্ঠতা। নৈতিক দিক থেকে এইসব প্রশ্ন উঠতেই পারে। কিন্তু এই প্রশ্নগুলো কারা করছেন? রাজনীতিবিদরা এইসব প্রশ্ন করার অধিকারী নন, কারণ সাম্প্রতিকতম পঞ্চায়েত ভোট থেকে শুরু করে বিভিন্ন ঘটনায় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ব্যভিচার, দুর্নীতি ও হত্যালীলার যা পরিচয় পাওয়া যায় তাতে এইসব প্রশ্ন করা ভন্ডামি ও সুবিধাবাদ ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্ত বাকিদের প্রশ্নের ভিত্তি কি? তারা কি এমন কোন সমাজের বাসিন্দা যেখানে নৈতিক কাঠামো সম্পূর্ন ভিন্ন এবং যেখানে নেশা বা যৌনতা সম্পর্কিত কোন বিশৃঙ্খলার অস্তিত্ব নেই? বাংলায় আবগারি দপ্তরের যে বিপুল পসার তার উৎস কি?গত পাঁচ ছয় বছরে কলকাতা শহরের একাধিক বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা নারকোটিকস দপ্তরের হাতে মাদক সেবন ও বিক্রয়ের অভিযোগে কেন ধরা পড়েছে? প্রখ্যাত লেখক অমিত চৌধুরীর সন্তানের জন্মদিন উপলক্ষে আসা আবেশ চৌধুরীর মদের বোতলের আঘাতজনিত রক্তপাতের ফলে মৃত্যুর জন্য করা দায়ী ছিল? ছত্রাক সিনেমায় পাওলি দামের নগ্নদৃশ্য দেখার জন্য কি শুধু যাদবপুরের ছাত্ররা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল? অবশ্যই নয়। একটা সমাজের মধ্যে যে অবক্ষয়ের তরঙ্গ প্রসারিত হচ্ছে তার মধ্যে থেকে যাদবপুর কোন দ্বীপের মত সুরক্ষিত থাকতে পারে না।

    কিন্তু যাবতীয় তর্ক বিতর্কের মধ্যে যা অনুচ্চারিত থাকছে তা হল মেধা, গবেষণা ও সারস্বত চর্চার ধারাবাহিক উৎকর্ষতার এক ইতিহাস যা গড়ে উঠেছে শিক্ষক, ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষাকর্মীদের যৌথ প্রচেষ্টায়। যাদবপুরে "খেলা" শুরু করা থেকে, যোগীর বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া সহ নানা ধ্বংসাত্মক হুমকির পিছনে রয়েছে এই উৎকর্ষতার বিরুদ্ধে লালিত এক সুগভীর ঈর্ষা ও ঘৃণা। এটাও বোঝার ব্যাপার যে যাদবপুর বা JNU এর পক্ষে এই উৎকর্ষতা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে কারণ এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এক ধরণের স্বাধীনতার আবহাওয়া বজায় রাখতে পেরেছে যা সারস্বত চর্চার বিকাশের পক্ষে সহায়ক। কতিপয় মানুষ সেই স্বাধীনতার দুর্ব্যবহার করে বলে স্বাধীনতা বিসর্জন দিয়ে স্বেচ্ছায় নিজেদের ক্যামেরার নজরদারির আওতায় আনার মধ্যে কোন সার্থকতা বা নিরাপত্তা নেই।সিংহভাগ মানুষ যারা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন, তাদের আসল শিরঃপীড়ার কারণ এই স্বাধীনতা যা অন্য বিশ্ববিদ্যালয় বা সমাজের অন্য ক্ষেত্রে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। মেট্রোতে আলিঙ্গনরত যুগলকে পিটিয়ে তাড়ানোর জনতা এই স্বাধীনতা সহ্য করতে পারবেনা এটাই প্রত্যাশিত। স্বপ্নদীপের মৃত্যু এই স্বাধীনতাবিরোধী, ধর্ষকাম সংখ্যাগুরু জনমানসিকতার পুঞ্জীভূত বিদ্বেষের উদগীরণের ধারাপথ সৃষ্টি করে দিয়েছে। পাশাপাশি মনে রাখতে হবে যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যে স্বাধীনতার চেতনা জড়িয়ে রয়েছে, সেই স্বাধীনতাই তৈরী করে প্রশ্ন তোলার বিবেক ও স্পর্ধা যা শাসকের কাছে সর্বদা অস্বস্তির কারণ। বিগত কয়েক দশকে বাংলার সমস্ত প্রগতিশীল আন্দোলনের সাথে যুক্ত থেকেছে যে ছাত্র ও শিক্ষকসমষ্টি, তাদেরকে আক্রমণ করাটা ভবিষ্যতের সুরক্ষার পরিবর্তে ব্যক্তিগত schadenfreude এর প্রকাশমাত্র।নানা মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোট ছোট ছেলেরা যখন শিক্ষকদের পেটায় ও অসম্মান করে তখন চুপ করে মজা দেখা বা পরবর্তীকালে সেইসব ঘটনার প্রশ্রয়দাতাদের ভোটে নির্বাচিত করার নৈতিক অবক্ষয়ের দায় যে সংখ্যাগুরুর তারা যদি শুধু একটি প্রতিষ্ঠানকেই বিচ্যুতির দায়ে অভিযুক্ত করেন তবে তা একইসাথে হাস্যকর ও লজ্জাজনক।নিজেদের ভন্ডামির মুখোষগুলো না খুলে সার্বিক, নৈতিক সমস্যার সমাধান হয়না। যাদবপুরের বিরুদ্ধে উঠে আসা অভিযোগগুলো আমাদের সমাজের সার্বিক অবক্ষয়ের নানাবিধ প্রকাশ। নিজেদের নৈতিক ভন্ডামি ও আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের নিরসন না করে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে যদি ভাবের ঘরে চুরি করতে থাকি, তাতে কোন দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হবেনা। সার্বিক সচেতনতা বৃদ্ধির ধারাবাহিক প্রয়াস, যা শুরু হবে পরিবার ও অভিভাবকদের স্তর থেকে, এই সমস্যার একমাত্র সম্ভাব্য সময়সাপেক্ষ সমাধান। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের গাফিলতি সংশোধন ও ছাত্রসমাজের সচেতন সতর্কতা অবশ্যকাম্য। কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধা, উৎকর্ষ ও সারস্বত চর্চার সার্বিক স্বাধীনতার সংরক্ষণ ও নিঃসন্দেহে সমান ভাবে প্রয়োজনীয়।

    বি: দ্র: আমার শিক্ষাজীবনের কোনো স্তরে আমার সাথে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন সম্পর্ক ছিলনা বা নেই।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Note | 2402:3a80:1985:3f5d:378:5634:1232:***:*** | ১৮ আগস্ট ২০২৩ ২১:০২522602
  • প্রতিটি যুক্তিই ভীষণ রকম দুর্বল। যাদবপুর হলো একটি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়। যাদবপুরের কাছে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনেক। এখানে বাবা মা তাদের মেধাবী ছেলেমেয়েদের পাঠাবেন, যাতে লেখাপড়া করে বড় হয়। অকালে মরে যেতে বা নেশার শিকার হতে পাঠাচ্ছেন না।
    যাদবপুরে যদি এরকম বীভৎস র‌্যাগিং না হতো বা নেশার বাড়াবাড়ি প্রকাশ্যে না আসতো তাহলে তো এতো বিতর্কেই হতো না।
    রাজনৈতিক নেতারা কি সমালোচনা করলো সেটা বড়ো কথা নয়। কারণ তাঁরা এরকম সমালোচনা করার অধিকারী নন। কিন্তু সাধারণ মানুষ তো আতঙ্কিত।
    এই ছাত্ৰরা মলে যায় তখন সিসিটিভির কভারে থাকে। ব্যাগ চেকিং মেনে নেয়। পাশ কোরে টাই পরে কর্পোরেট এর চাকরীতে সুবোধ বালকের মতন আচরণ করে। গলায় ঝুলে থাকে আই ডি কার্ডের বকলেস।
    নিজের হাউসিং কমপ্লেক্স মোড়া থাকে সিসিটিভি তে। চব্বিশ ঘন্টা নজরদারি কড়া থাকে। ওই বুঝি চোর আসে।
    ট্রাফিক সিগন্যাল এর রুল ভাঙলে জরিমানা হয়। তবু মানুষ রুল ভাঙ্গে। কেউ তো জরিমানা তুলে দেবার কথা বলে না।
    বিশ্ববিদ্যালয়কে নেশামুক্ত অঞ্চলে পরিনত করুন। প্রাক্তণীদের বের করুন।
    আইন মেনে ইউ জি সি গাইডলাইন অনুযায়ী সিসিটিভি বসান। ক্যামপাসে ও হোষ্টেলে।
    বেশ কিছু ইউনি, মেডিকেল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ইউ জি সি রুল ভালো ভাবে ইমপ্লিমেন্ট করেছে।
    যাদবপুরকে করে দেখাতে হবে। আন্দোলনে আন্দোলনে গোঁয়ারতুমি করলে রাজনীতিবিদগণ ফায়দা তুলবেই।
    প্রতিবাদ করতেই পারেন কিন্তু সাধারন জনতা রেয়াত করবে না। সে যাদবপুরের ছাত্ররা যতই মেধাবী হন না কেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন