এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • দেশভাগ দিবস

    দেবাদিত্য রায়চৌধুরী রানা লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৫ আগস্ট ২০২৩ | ৬৫০ বার পঠিত
  • ১৫ই আগস্ট, ১৯৪৭। প্রায় দুশো বছর ইংরেজ শাসনের পর ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করলো। মধ্যরাতে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু দেশের সংসদভবনে সেই ঐতিহাসিক ভাষণ দিলেন - "Long years ago we made a tryst with destiny ...."। বাস্তবে সেই সময়ে যখন একদিকে দেশে উচ্ছাস, আনন্দ উদযাপন চলছে স্বাধীনতার, তখন দেশের পূর্বপ্রান্তে মানে আমার আপনার বাংলায় এক ভিন্নপ্রকারের অন্ধকারময় "destiny " (নিয়তি) লেখা হয়ে গিয়েছে লক্ষ লক্ষ বাঙালির জীবনে - দেশভাগ।

    ১৫ই আগস্ট, ২০২৩। দেখতে দেখতে "দ্যাশটার" ৭৬ বৎসর হয়ে গেলো, ইতিহাসের স্রোতে মনে হয় এই তো সেদিন একত্রিত এক দেশ ছিল, অবিভক্ত এক বাংলা ছিল। দেখতে দেখতে ৭৬টা বছর কেটেই গেলো। স্বাধীনতা নাকি দেশভাগ ? মুক্তি নাকি উদ্বাস্তুকরণের প্রক্রিয়া ? প্রশ্নগুলো কমে আসছে। না আছে আমাদের দাদু দিদাদের প্রজন্ম যারা দিনটাকে যতটা স্বাধীনতা দিবস মনে করতো ঠিক ততটাই দেশভাগ দিবস ও ভাবতো, না আছে আমাদের প্রজন্মের সিংহভাগের ইতিহাস চর্চার ইচ্ছা বা চেতনা।

    দেশভাগ তথা বাংলাভাগের ইতিহাস নিয়ে আছে প্রচুর নথি, প্রচুর বই, প্রচুর আলোচনার ভিডিও। ১৯৪৬ এর নির্বাচন, সরকার তৈরী, ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে, দাঙ্গা, অতীতের জমিদারি অত্যাচার, নিপীড়ন ও অর্থনৈতিক বৈষম্য এইসব তো ইতিহাসে নথিভুক্ত। আমি একেবারেই সেই আলোচনার পথে আজ যাবোনা, উদ্দেশ্য কেবল ব্যক্তিগতস্তরে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করা এই দিনটাকে নিয়ে। চেষ্টা করবো নেহেরু, জিন্নাহ, সুহরাবর্দি, বর্ধমানের রাজা, শ্যামাপ্রসাদ কারুর কথা আজ না আনতে, শুধু বাংলাভাগে একেবারে সর্বস্য খোয়ানো দুই পারের হতদুর্ভাগ্যের শিকার মানুষগুলোর ছবি তুলে ধরতে। বাংলাভাগের মূল ফলাফল এই যে দুই সম্প্রদায়ের মানুষই ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে ছিন্নমূল উদ্বাস্তু হলো। আমি ছোটবেলায় দেখতাম আমাদের দাদু দিদাদের প্রজন্মের কাছে এই দিনটি যতটা উৎসাহ ও আনন্দের তার থেকে ঢের বেশি বিষন্নতার, সব ছেড়ে আসার বিষন্নতা, সব ফেলে আসার বিষন্নতা, সবটুকু হারিয়ে যাওয়ার বিষন্নতা, আসলে এরাই ছিল ঋত্বিক ঘটক, সুনীল গঙ্গপাধ্যায়ের সিনেমা বা উপন্যাসের শেষ অবশিষ্ট চরিত্রগুলি। আমরা তো সানি দেওল এর "গাদার" আর "বর্ডার" দেখা প্রজন্ম, ওই পাকিস্তানে হ্যান্ডপাম্প ছুড়ে মারছে দেখে চেঁচানো পাবলিক। ইতিহাস, দাঙ্গা, হানাহানি থেকে সরে এসে, যদি বাংলাভাগ নিয়ে শুধু ব্যক্তিগুলোর একক বা যৌথ গল্প,অনুভূতি, আক্ষেপ লিখতে বসতে হয় তালেও পৃথিবীর প্রায় সকল কালি ও কাগজ লেগে যেতে পারে। এক অদ্ভুত অস্থির উন্মাদনার সময় এসে পড়লো এই বাংলায়, যাকে কেন্দ্র করে হিংসা হানাহানির ফলে রাষ্ট্র চূড়ান্ত এক সিদ্ধান্তে পৌঁছে গেল যে শয় শয় বছর ধরে একসাথে পাশাপাশি থাকা মানুষগুলির ছিন্নমূল হওয়ার সময় এসেছে। এক দীর্ঘ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ফল বাংলাভাগ, যার প্রচেষ্টা পূর্বেই একবার ১৯০৫ এ হয়েছিল, সেইবার বাঙালির জেদের সামনে ষড়যন্ত্র ও ষড়যন্ত্রীরা হার স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিলেন। সেবার স্বয়ং কবিগুরু মিছিল করে গণ-রাখিবন্ধন উৎসবের ডাক দিয়েছিলেন, এপার ওপর সব কবিগুরুর ডাকা স্রোতে এক হয়ে গিয়েছিলো, হিংসা পরাজিত হয়েছিল, বাংলা জিতেছিল। তারপর ষড়যন্ত্রীরা যারা রাষ্ট্রের উঁচু পদগুলিতে ছিলেন, শুধু ব্রিটিশ না আমাদের দেশীয় রাজনীতিবিদ, পুঁজিপতি শ্রেণীর মানুষজন ও আছেন তাতে কম নয়, তাদের অপূর্ণ এক আশার প্রতিফলন ও ষড়যন্ত্রের ফল বাংলাভাগ।

    এটাও মনে রাখা জরুরি বাংলার যে আইনসভার ভোটের (৩টি পৃথক ভোটে হয়েছিল বাংলার আইনসভাতে ) দ্বারা বাংলাভাগ হয়েছিল, সেই আইনসভার যারা নির্বাচিত সদস্য ছিলেন তারা কিন্তু সমাজের সকল স্তরের প্রতিনিধিত্ব করতেন না। স্বাধীনতার আগের নির্বাচনগুলোতে এখনকার মতন সকল নাগরিকের অবাধ ভোটাধিকার ছিলোনা, সমাজের উচ্চবিত্ত মানুষজন এবং কিছু পেশার সাথে যুক্ত মানুষজনের একমাত্র ভোটাধিকার ছিল। তাই সেইরম নির্বাচকমণ্ডলীর ভোটে বিজয়ী আইনসভার সদস্যদের কখনোই কি গোটা বাংলাভাগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকার কথা ছিল ? এক্ষেত্রে অবিভক্ত বাংলায় গণভোট (অর্থাৎ রেফারেন্ডাম বা plebiscite ) হওয়া জরুরি ছিল বাংলাভাগের প্রশ্নকে সামনে রেখে, কারণ এর প্রভাব পড়তে চলেছিল লক্ষ লক্ষ পরিবারের উপর, যাদের মতামত কোনোদিন নেওয়াই হলোনা, তাদের শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয়ভাবে উৎখাত করে দেওয়া হলো তাদের ভিটেবাড়ি থেকে। শরৎ বোস, কিরণশঙ্কর রায়দের "অবিভক্ত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলা রাষ্ট্র" প্ল্যান নিয়েও সর্বাত্মক চর্চার অবকাশ রাখেনি লন্ডন, দিল্লি কিংবা করাচী। অসহায় বাঙালির চোখের সামনে এক অকল্পনীয় দুঃস্বপ্নের নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছিলো তখন, যা তাকে সর্বস্বান্ত উদ্বাস্তু বানিয়ে ছাড়লো।

    যারা একসাথে পাশাপাশি উনুন জ্বালালো হাজার বছর ধরে, একে অপরের সাথে উৎসব পালন করলো, যাদের অভিন্ন ভাষা, খাদ্যাভ্যাস ও সংস্কৃতি, সুখ দুঃখ সব ভাগাভাগি করে নিলো, তাদের হঠাৎ একদিন রেডক্লিফ সাহেবের এক কলমের খোঁচায় আলাদা দেশের নাগরিক হতে হলো। জেলার মাঝখান দিয়ে, গ্রামের ভেতর দিয়ে, পুকুরের মাঝ দিয়ে, নদীর উপর দিয়ে, বাসভিটের কোনা দিয়ে, রান্নাঘরের ভেতর দিয়ে তৈরী হলো এক অদৃশ্য অবাস্তব সীমান্তরেখা। দুইপাড়ে নাকি দুইখান আলাদা দেশ হইবো। যে মানুষটি (রেডক্লিফ সাহেব) এই লাইন টানলো, সে কোনোদিন বাংলার এইসব স্থানে আসে নাই, আসার চেষ্টাও করে নাই। যারা একদিন সুভাষবাবুর ডাকা "দিল্লি চলো" তে একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নেমেছিলো আন্দোলনে, যারা একদিন মাস্টারদার বিপ্লবের স্বপ্নে অংশীদার হয়ে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ রাজ এর বিরুদ্ধে, তাদেরই নাকি আলাদা আলাদা রাষ্ট্রের অংশ হতে হলো, বাপ ঠাকুরদার ভিটেমাটি ছেড়ে এসে। স্বপ্ন ছিল এক অবিভক্ত দেশ তথা অবিভক্ত বাংলার, কিন্তু ১৫ আগস্ট পাওয়া গিয়েছিলো শিয়ালদাহ স্টেশন বা যশোরের রেফিউজি ক্যাম্প এর হাহাকার, "মা দুটি ভাত দে, নাতো শুধু ভাতের ফ্যান দে" এই আর্তনাদ। দুইদল মানুষ নিজের সর্বস্য (মানে যতটুকু সাথে নেওয়া যায় আরকি) নিয়ে পারাপার করছে এক অদৃশ্য সীমারেখাকে মাঝখানে রেখে, তাহারা এক অপরের সাথে দেখা হলে নিশ্চিতভাবে ব্যক্ত করতে পারেনি কেন যাচ্ছে, কোথায় যাচ্ছে, কোথায় থাকবে, কি খাবে, কোথায় শোবে। রাষ্ট্রনীতির চক্র দুই পারের এই মানুষগুলিকে এনে ফেলেছিলো উল্টোপারে, বলেছিলো - "যা এবার যেভাবে পারবি বেঁচে থাক"। শহর কলকাতা এক মহা উদ্বাস্তু শিবিরে পরিণত হয়েছিল।

    প্রথম বছরগুলিতে বাংলায় উদ্বাস্তু পুনর্বাসন এর কোনো সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ছিলোনা। দিল্লির সাহায্য ছিল নামমাত্র, আর্থিক বঞ্চনার বিষয়ে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর বিধান রায়কে বহুবার নিজের দল তথা জাতীয় কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে হয়েছিল, দ্বারস্থ হতে হয়েছিল দিল্লির, লাভ বিশেষ হয়নি। কেন্দ্রের বাংলার প্রতি এই আর্থিক বঞ্চনার আদি গোড়া দেশভাগের সময় থেকেই। ছোটছোট উদ্বাস্তু কলোনী গড়ে উঠতে থাকলো দক্ষিণ শহরতলি এবং উত্তর চব্বিশ পরগণার শহরতলিগুলিতে। এইসব স্থানে পানীয় জলের অভাব, স্বাস্থ্যব্যবস্থার অভাব, নামমাত্র শিক্ষাব্যবস্থা, ক্ষুদ্র জায়গায় ঠাসাঠাসি করে হাজারহাজার মানুষের বাস, এই অকল্পনীয় দুর্বিসহ পরিস্থিতি ও সময় উপহার পেয়েছিলো বাঙালি, স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। আরো শোচনীয় হাল হয়েছিল যারা বিভিন্ন ক্যাম্প - কুপার্স ক্যাম্প ইত্যাদি তে গিয়েছিলো, পরবর্তী সময়ে বাঙালি উদ্বাস্তুর ঠাঁই হয়েছিল দন্ডকারণনের জঙ্গল এবং আন্দামান দ্বীপপুঞ্জতে।

    বাংলাভাগ যে শুধুমাত্র লক্ষলক্ষ মানুষকে ও পরিবারকে এক নিমেষে (কিছুক্ষেত্রে) বা আস্তে আস্তে ঘরছাড়া, ভিটেহীন, দেশহীন করেছিল এমনটা নয়, বাংলার অর্থনীতির মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছিলো। পাটশিল্প বাংলার সর্ববৃহৎ শিল্প ছিল, বাংলাভাগের ফলে সিংহভাগ পাটজমি পরে গেলো সীমারেখার ওপারে মানে ওপার বাংলায়, তথা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) এবং সিংহভাগ পাটকলগুলি পরে গেলো এপার বাংলায়, যার ফলে পাটশিল্পকে পরিকল্পিতভাবে দুস্থ করে দেওয়া হলো। তারপর তো মাশুল সমীকরণ, লাইসেন্স রাজ্ এইসব আছেই (সে এক ভিন্ন বিষয়বস্তু)। বাংলা এবং বাঙালির অস্তিত্ব, সত্তা, পরিচয়, দেশ, ভাষা, সংস্কৃতি, ভিটেমাটি, জমি, অর্থনীতি, ব্যবসা সকল কিছুর উপর মরণাস্ত্র হিসেবে নেমে এসেছিলো বাংলাভাগ।

    আজ ১৫ই আগস্ট, ২০২৩। চারিদিকে জোরে জোরে তারস্বরে হিন্দি দেশাত্মবোধক গান চলছে, টিভির পর্দায় গাদার, বর্ডার এইসব চলছে, খবরের চ্যানেলগুলোতে "৫৬ ইঞ্চির" শক্তিশালী সরকারের বন্দনা চলছে। আর একটা গোটা জাতি যারা ছিন্নমূল উদ্বাস্তু হলো তারাও বিস্মৃতির ক্যানভাসে ডুবে গেলো, তারাও আজকের দিনটাকে নিছক উদযাপনের দিন হিসেবে স্মরণ রাখলো, আত্মবিশ্লেষণের নয়। বাংলাভাগ থেকে সবচেয়ে বেশি শিক্ষণীয় আমার কাছে এই যে - ধর্মীয় উন্মাদনা যে হিংসার আগুন লাগাবে, সেই আগুন সবার ঘর পোড়াবে, আমার এবং আমার প্রতিবেশীর দুজনেরই। বিদ্বেষের আগুন ধর্ম দেখে আক্রমণ বা রক্ষা করবে না। একদিন সে দুই পক্ষকেই উদ্বাস্তু, সর্বহারা করে ছেড়েছিলো। দেশজুড়ে যে হিংসার ও বিদ্বেষের বাতাবরণ তৈরী করেছে বর্তমান রাষ্ট্রক্ষমতায় বসে থাকা মনুবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তিরা তাতে আবারো ঘর পুড়বে ও পুড়ছে দুই সম্প্রদায়ের গরিব এবং প্রান্তিক মানুষেরই। দেশভাগ থেকে শিক্ষা নেওয়া জরুরি, এই দিনটিকে স্মরণে রেখে এগোনো গেলেই একমাত্র অতীতের অন্যায়, ষড়যন্ত্র ও ভুলগুলির পুনরাবৃত্তি না ঘটারঅবকাশ আছে।

    দেশের যা অবস্থা বর্তমানে, তাতে উন্মত্ত, আগ্রাসী, উগ্র-জাতীয়তাবাদী কিছু "সন্দ্বীপ" রা যাদের কথা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বহু আগেই লিখে গিয়েছিলেন "ঘরে বাইরে" তে তারা কাল তেড়ে এসে আমায় প্রশ্ন করতেই পারে যে - "তালে কি তুমি মানোনা এই স্বাধীনতা ? তুমি কি দেশদ্রোহী ? "। আমি মধ্যবিত্ত ভীতু মানুষ, তাই আমার উত্তর আগেভাগেই লিখে রাখছি - "অবশ্যই আমি স্বাধীনতা মানি, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম মানি এবং তাকে পুজো করি যা হয়েছিল সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ রাজ এর বিরুদ্ধে। সংগ্রামীদের রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা এলো, তার সাথে রাষ্ট্রীয়-চক্রান্তে এলো দেশভাগ। এই দেশভাগ তথা বাংলাভাগ যা লক্ষ লক্ষ পরিবারকে একনিমেষে সর্বহারা ভিটেহীন উদ্বাস্তু করে দিয়েছিলো তাকে আজও মানতে বড়ো কষ্ট হয়, মনে ক্রোধ, আক্ষেপ ও বিষন্নতা সৃষ্টি হয়। এর জন্যে দায়ী সাম্প্রদায়িকতার উন্মাদনাকে আমি ভয় পাই, তাই আমি তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ডাক দিয়ে চলি "।

    ব্যক্তিগতভাবে আমি দিনটায় বই পড়ি, ল্যাদ খাই,কিছু সিনেমা দেখে থাকি, যেমন - ঋত্বিক ঘটকের "নাগরিক", "মেঘে ঢাকা তারা", "যুক্তি তক্কো আরগপ্পো "কিংবা "কোমল গান্ধার"। এই বছর ইচ্ছে আছে একটি দেখা সিনেমা পুনরায় দেখার, আমার খুব প্রিয় পরিচালক তানভীর মক্কামেল এর - "সীমান্তরেখা "।

    শেষ করছি অন্নদাশঙ্কর রায়ের অমর কালজয়ী লাইনগুলি দিয়ে -

    "তেলের শিশি ভাঙল বলে
    খুকুর পরে রাগ করো
    তোমরা যে সব বুড়ো খোকা
    ভারত ভেঙে ভাগ করো !
    তার বেলা?"

    স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা রইলো সকলের জন্যে।।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রেজানুল করিম | 157.4.***.*** | ১৫ আগস্ট ২০২৩ ১৪:২৪522504
  • খুব ভালো লিখেছেন। ওই জিনিসটি ভালো লেগেছে, আপনি লিখেছেন দুই পাশের মানুষের ক্ষতিগ্রস্ত।
    রেজানুল করিম।
  • Moitrayee Dey | ১৫ আগস্ট ২০২৩ ১৪:৫৩522507
  • এক বাক্যে অনবদ্য।
  • রঙ্কু দাস | 2409:40e1:100c:6ee5:8000::***:*** | ১৫ আগস্ট ২০২৩ ১৪:৫৭522508
  • সুন্দর লেখা। বেশ টানটান গদ্য। সতীনাথ ভাদুড়ী-র 'গণনায়ক' ছোটোগল্পটি পড়তে অনুরোধ।
  • অতনু কুমার | ১৫ আগস্ট ২০২৩ ১৫:৩৬522509
  • খুব ভালো লেখা৷ রাষ্ট্রনায়ক রা রাষ্ট্রনায়কই রয়ে গেলেন, দেশনায়ক হতে পারলেন না৷ ওঁরা দুটো রাষ্ট্র চেয়েছিলেন, পেলেন৷ দুই রাষ্ট্রে নিজেদের রাজনৈতিক কেরিয়ারও সুরক্ষিত রাখলেন৷ কিন্তু নিজেদের পাওনা আদায় করতে গিয়ে তাঁরা করাত চালালেন দেশের ওপর৷ এর আগেও দেশের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন শাসনতন্ত্রের অধীনে থেকেছে, কিন্তু তাতে দেশ ভাগ হয়নি, কাঁটাতার বসেনি৷ 
  • Indra Mukherjee | ১৮ আগস্ট ২০২৩ ১৪:০৪522591
  • বাংলা ভাগ 
     
    যদি  বাংলা ভাগ না হতঃ 
    বাংলা কি মুম্বাই বা চেন্নাই  হত ? 
    প্রচুর স্বদেশী ও বিদেশি বিনিয়োগ আসত? 
    অপারেশন বর্গা বা ঐ ধরণের ভূমি সংস্কার হত? 
    বাংলাদেশ এখন যে growth rate অর্জন করেছে তা হত ? সংসারের জন্য ছেলেমেয়েদের অন্য রাজ্যে যেতে হত না ? Riot হত না ? পর্যাপ্ত  শিক্ষা ঔ স্বাস্থ্য  বিনিয়োগ হত? আধুনিক বাংলা অথবা সোনার বাংলা পেতাম ? 
    Hypothetical অবস্থা । তবু একটু লিখুন না ।অনুরোধ ।
  • শীলা বসাক | 2409:4061:419:2756:dc73:b827:a267:***:*** | ১৯ আগস্ট ২০২৩ ২০:৪৫522632
  • লেখাটা বেশ যথোপযুক্ত হয়েছে।
    রাষ্ট্রনায়কেরা মনকে চোখ ঠেরে জনতাকে বোঝালেন, দেশভাগ হলেই বুঝি এত হিংসা, হানাহানি, রক্তপাত বন্ধ হবে। স্বাধীনতার ৭৬বছরেও মন্থন করে অমৃতের পরিবর্তে হলাহলই উঠছে।১৯৬৪  ১৯৯০,১৯৯২,২০০২... আজকের দিনেও সেই ঘটনার  পুনরাবৃত্তি ঘটানো হচ্ছে।এ এক বড়ো অস্ত্র ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করার।দেশ ভেঙেছে, প্রদেশ ভাঙছে, জেলা ভাঙবে... তারপর 'পৃথিবীটা নাকি ছোট হতে হতে কেবল আমাতে হবে বন্দী'। পুঁজিবাদ তো আসলে বিচ্ছিন্নতাবাদেরই নামান্তর।কেবল নেশা ধরাও.. রঙিন নেশা, তাতে বিভোর হয়ে একাকীত্বের খোলে ঢুকে ডুবে মরো।
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন