এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • কলতান আর চিউয়িং গাম - ২৭ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৯ জুলাই ২০২৩ | ৪৪৯ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  •  

    কলতান আর সিদ্ধার্থ সিনহাকে ঘরে ঢুকতে দেখে
    মিসেস সিনহা মোবাইল থেকে মুখ তুলে ওদের দিকে তাকালেন । মিষ্টি সংবেদনশীল হাসি হেসে
    সিদ্ধার্থবাবুর দিকে এগিয়ে এলেন ।
    ----- ' ইশশ্ ... দুদিনেই কি চেহারা হয়েছে ... মাগো ... ' দুচোখে বিষণ্ণ ছায়া নেমে এল জ্যাকলিনের । কুলচা সব কিছু ভুলে গিয়ে ওনার অভিনয় দক্ষতা দেখে মুগ্ধ হতে লাগল  ।
    জ্যাকলিন একটা কমলা চিউয়িং গাম মুখে দিল । তারপর একটু সরে গিয়ে দাঁড়াল। 
    কলতান গৌতমবাবুকে বলল , ' আমরা কি পাশের ঘরে বসব ? '
    ----- ' হ্যাঁ , সেটাই বেটার হবে । ওখানেই ... '
    কলতানকে একপাশে ডেকে  নিয়ে গিয়ে উনি নীচু
    গলায় বললেন , ' অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার স্যারকে মেল করেছিলাম .... রিপ্লাইও এসে গেছে ... '
    ----- ' আচ্ছা ! '
    ---- ' হ্যাঁ ... উনি একটা ছোট্ট রিপ্লাই দিয়ে এনডোর্স করেছেন .... এই যে দেখুন না ... ' বলে তিনি মোবাইল খুলে সগর্বে দেখালেন । ' এই যে ... এই দেখুন ... ' । কলতান মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখল ----- ' Case recorded . Go ahead . Get in touch with Crime Branch with my reference if necessary '
    ----- বাঃ ... ফ্যান্টাস্টিক।  স্প্লেনডিড প্রগ্রেস স্যার ... এর মধ্যে এই গো অ্যাহেড-টাই ইম্পর্টান্ট ব্যাপার ... ' কলতান সন্তুষ্টি গোপন করে না ।
    ----- ' আপনার সাজেশানেই তো হল ... '
    ----- ' সে যাক ... এখন মিসেস সিনহাকে ডেকে নেওয়া যাক  '
    ---- ' হ্যাঁ হ্যাঁ .... '
    গৌতম রক্ষিত মিসেস সিনহার কাছে গিয়ে বললেন , ' ম্যাডাম , একটু পাশের ঘরে যেতে হবে । আসুন ... '
    ম্যাডাম মুখ তুলে নিরুত্তাপ দৃষ্টিতে তাকালেন ।
    ----- ' কেন বলুন তো .... '
    এবার কলতান বলল, ' কিছু না ... আপনারা হাসব্যান্ড ওয়াইফ একটু কথাবার্তা বলবেন ... সেপারেট আছেন কয়েকদিন ... আমারও একটু আড্ডা মারার ইচ্ছে আপনাদের সঙ্গে ... এই আর কি ... ইন্টারেস্টিং কাপল আপনারা ... '
    ----- ' ওহ ... ইজ ইট ? '
    ----- ' ইয়েস... অবভিয়াসলি  ... '
    ----- ' আচ্ছা চলুন ... '

         পাশের ঘরে বেঞ্চের ওপর একজন চিৎপাত হয়ে শুয়ে ছিল হাফপ্যান্ট আর গেঞ্জি পরে । সে ওদের হঠাৎ ঢুকতে দেখে শশব্যস্ত হয়ে উঠে তাড়াতাড়ি বাইরে চলে গেল ।
    ঘরে একটা ভাঙামতো কাঠের টেবিল আর চারটে টেবিল আছে । কলতান আগে এল । পিছনে মিসেস আর মিস্টার সিনহা এসে ঘরে ঢুকলেন ।
    ------ ' বসুন বসুন .... ' টেবিলের মুখোমুখি দুটো  চেয়ার দেখিয়ে কলতান বলল । 
    কলতান একটা চেয়ার টেনে নিয়ে টেবিলের আড়াআড়ি বসল ।
    মিসেস সিনহা তার চোখের দিকে অন্তর্ভেদী দৃষ্টি ফেলে তাকিয়ে আছেন দেখে কলতান বলল, ' ডোন্ট ওয়ারি ... আমার কাজ হয়ে গেলেই আমি চলে যাব , তারপর আপনারা দুজনেই থাকবেন । আমার কাজটা যত তাড়াতাড়ি মিটিয়ে দেবেন আমি তত তাড়াতাড়ি বিদায় নিতে পারব ।'
    মিসেস সিনহা বা জ্যাকলিন মালিয়া কলতানের চোখে প্রখর দৃষ্টি ফেলে তাকিয়ে বললেন ,
    ' কা ..জ ? ' 
    ----- ' কাজ মানে ... আপনাদের সঙ্গে একটু কথাবার্তা বলে আমার কিছু কৌতূহল মিটিয়ে নেওয়া ... '
    ----- ' কিরকম ? ' বলে ঘড়ি দেখলেন মিসেস সিনহা , যেন কারো আসার প্রতীক্ষাতে আছেন তিনি ।
    ----- ' না ... বিরাট কিছু না । আপনি আপনার নামটা পাল্টালেন কেন ? '
    ----- ' কি নাম ? হোয়াট রাবিশ ইউ আর টকিং অ্যাবাউট  ? '
    ----- ' পাসপোর্ট , আধার কার্ডে যে নামটা আছে সেটাই তো আসল নাম বলে ধরব ? '
    ----- ' কি নাম আছে সেখানে আপনি জানলেন কি করে ? '
    ----- ' জ্যাকলিন মালিয়া নামটাই তো থাকবে আপনার ক্রিডেনশিয়াল-এ, সেটাই তো স্বাভাবিক ... '
    ----- ' হোয়াট ... জ্যাকলিন মালিয়া ? ' মিসেস সিনহার মুখের রঙ বদলাতে থাকে ।
    ----- ' ইয়েস ... দ্যাটস এগ্জ্যাক্টলি দ্যাট ... আপনি মিসেস সিনহা হতে যাবেন কেন ... আপনার সঙ্গে তো কোনও মিস্টার সিনহার বিয়েই হয়নি কোনদিন ... ' কলতান অভিজ্ঞ শিকারির মতো  জ্যাকলিনের চোখে স্থির দৃষ্টি রেখে তাকিয়ে থাকল ।
    ----- ' এসব অ্যাবসার্ড ইনফর্মেশান কোথায় পান আপনারা !  হাউ রিডিকিউলাস... শিট ... ' 
    কলতান এবার দাবার আসল চালটা দিল ।
    ----- ' কেন ! এই তো ... মিস্টার সিনহাই তো বলছিলেন .... '
    ----- ' কি ? '
    ----- ' যে , ওনার সঙ্গে আপনার কোনদিন বিয়েই হয়নি ... '
    জ্যাকলিন ঝট করে সিদ্ধার্থ সিনহার দিকে তাকাল।
    কথাটা হজম করে নিজেকে গুছিয়ে নিতে তার কয়েক সেকেন্ড সময় লাগল । এত সহজে খেলা ছেড়ে দেবার বান্দা তিনি নন ।
    সিদ্ধার্থ সিনহা কোন কথা না বলে নির্বিকার মুখে
    বসে আছেন ।
    জ্যাকলিনের মুখে এবার এক অদ্ভুত অভিব্যক্তি দেখা গেল । কোন সাধারণ কোমলপ্রাণ গৃহবধূর মতো তার মুখ কাঁদো কাঁদো হয়ে গেল । সে কান্নাভেজা গলায় বলতে লাগল , ' ও মাগো ... আর পারি না ... কি মিথ্যে কথা বলতে পারে গো .... যেদিন থেকে এই লোকটা আমার জীবনে এসেছে সেদিন থেকে আমার জীবনটা নরক হয়ে গেছে .... উঃ... '
    কলতান ভাবল , কুলচা এই দারুণ অ্যাকটিংটা মিস করল , ইশশ্ .... ' ।
    মিস্টার সিনহা এখনও কোন কথা বললেন না । কিন্তু তাকে বেশ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ দেখাচ্ছে । কলতানের মনে হল, ভিতরের চাপা ভয়টা তিনি কাটিয়ে উঠেছেন ।
    কলতান সংবেদনশীল ভঙ্গীতে বলল , ' আহা অত ভেঙে পড়বেন না ম্যাডাম । যা সত্যি সেটা মেনে নিন না । মিস্টার সিনহা মিথ্যে কথা বলবেন কেন ? আফটার অল উনি আপনার ওয়েল উইশার .... '
    ----- ' স্টপ দিজ ননসেন্স টকস ... স্টপ ইট ' জ্যাকলিন এখনও তার বেদনাহত ছাঁচে আছে ।
    সে ফোনে কাকে একটা ডায়াল করল । কলতান বাধা দিলেন না ।
    ----- ' কি হল... এত দেরি হচ্ছে কেন ? আমি কি ওপরে জানিয়ে দেব ? '
    এর উত্তরে ওদিকের শ্রোতা বোধহয় কিছু একটা কাকুতি মিনতি করল । শুনে জ্যাকলিন তেলেবেগুনে জ্বলে উঠল ---  ' চুপ ... চুপ  নাকে কান্না বন্ধ কর ... ওয়ার্থলেস ইমবেসাইল ... হারি আপ... দরকার হলে বসকে দিয়ে বলাও ... '
    জ্যাকলিন কলতানের সামনেই বলল এসব কথা । সে মরীয়া হয়ে যুদ্ধে নেমেছে । 
    ------ ' কাকে ফোন করলেন ম্যাডাম ... আপনার উকিলকে না সুগত সেনকে ? ন্যায্য কাজই করেছেন .... কম পয়সা তো খায়নি.... ফুলে ঢোল হয়ে আছে একেবারে । কাজের বেলা অষ্টরম্ভা । বলেছেন ঠিক করেছেন । অপদার্থ .... একটা কাজ ঠিকমতো করতে পারে না । তবে যতক্ষণ না আসে, আসুন  আমাদের বাকি কথাগুলো একটু সেরে ফেলি .... '
    জ্যাকলিন এ কথার উত্তর না দিয়ে চিবোন  চুয়িং গামটা ফুঃ করে  ফ্লোরের ওপর ফেলে দিল । গৌতমবাবু থাকলে রে রে করে উঠতেন।  কলতান কিছু বলল না । চিউয়িং গামটা বোধহয় এদের সিম্বল অফ ইউনিটি।  একতার প্রতীক ।
    ----- ' আপনি ম্যাডাম কত বিদেশ ভ্রমণ করেন ...  শুধু দুবাইয়েই গেছেন দশ এগারোবার । তাছাড়া আরো কত দেশে গেছেন ... এই তো সিদ্ধার্থবাবু বলছিলেন ... এ কি চাট্টিখানি কথা ...ক'জন পারে .... '
    জ্যাকলিন এবার আর মিস্টার সিনহার দিকে তাকাল না । মনে হচ্ছে ঘটনার গতি সে আন্দাজ করতে পারছে । তাই আর নাটকের কেরামতি করল না এবার ।
    ----- ' সো হোয়াট ? ফরেন ট্যুর তো আকছার  করছে লোকে । এটা কোন ব্যাপার  নাকি ? ' শ্লেষাত্মক ভঙ্গীতে বলল জ্যাকলিন ।
    ----- ' হ্যাঁ ... সে তো বটেই । কিন্তু তাদের তো নিশ্চয়ই ভ্যালিড পাসপোর্ট আছে ... '
    ----- ' আমারও তো আছে , নইলে কি করে ... '
    ----- ' সেটাই  তো বলছি আমি । পাসপোর্ট না থাকলে ফরেন ট্যুর হল কি করে ! ওই পাসপোর্টটাই দেখতে চাইছি আমি । দেখুন শেষ পর্যন্ত পুলিশ আপনার কাছ থেকে সব ডকুমেন্টস বার করবেই । কিন্তু তাদের বার করার পদ্ধতিটা আপনার পক্ষে সম্মানজনক হবে না । তারা তো  একটু অন্য ধরণের প্রফেশনাল ।  আমার মতো ইনিয়ে বিনিয়ে সাধাসাধি করবে না । তাদের প্রসেস খুব স্ট্রেটকাট ... মানে, ধর তক্তা মার পেরেক ... সুতরাং আমি সোজাসুজি বলছি , আপনি সারেন্ডার করুন । আর আমার লাস্ট  কোয়েশ্চেনটা আগেই করে রাখি.... আপনার মেন্টরের আইডেন্টিটি কি ? এপিসেন্টার অফ  অপারেশন কোথায় ? '
    ------ ' আপনি কি আমায় ভয় দেখাচ্ছেন ? '
    কলতান এর উত্তরে একটা পরিচিত ডায়লগ দিল ----- ' না , শুধু সাবধান করছি ...   ' ।
    তারপর হঠাৎ বলল, ' মিস্টার জয়চন্দ্রের খবর কি?  আচ্ছা উনিও কি চিউয়িং গাম চিবোন  ? '

    কেঁপে উঠল জ্যাকলিন । তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে সিদ্ধার্থ সিনহার দিকে তাকাল । মিস্টার সিনহা উদাস, ভাবলেশহীন মুখে বসে আছেন।  তিনি বোধহয় তার রাস্তা ভেবে নিয়েছেন । হয় এস্পার, আর নয়
    ওস্পার । এদের সঙ্গে আর নয় ।
    ----- ' বলুন , বলুন ম্যাডাম  । দেরি করবেন না । যত দেরি করবেন ততই জালে জড়িয়ে পড়বেন ... '
    কলতান আক্রমণাত্মক হয় । হিট দি আয়রন হোয়েন ইট ইজ হট ।
    জ্যাকলিনও এবার আক্রমণাত্মক হল ...
    ------ ' দেখুন ... আপনারা এক জন মহিলাকে উইদাউট এনি কগনিজেবল চার্জ পুলিশ স্টেশনে তুলে এনে ইন্টারোগেট করতে পারেন না ... ইউ উইল হ্যাভ টু পে ফর ইট .... আই টেল ইউ ... '
    ----- ' আচ্ছা তা না হয় হল .... কিন্তু আপনাকে ছেড়ে দিলেই কি আপনি স্বস্তিতে থাকবেন ? আপনার চেয়ারের একটা পায়া তো সরে গেছে । আর বাকি তিনটে পায়াও শিগ্রী সরে যাবে .... '
    কথার মাঝখানে জ্যাকলিন ভ্রু কুঁচকে বলে উঠল , ' রাবিশ .... হোয়াট ডু ইউ মিন টু সে ? '
    ----- ' বলছি তো .... একটা পায়া,  মানে সিদ্ধার্থবাবু যে সরে গেছেন তা তো দেখতেই পাচ্ছেন।  আর বাকি তিনটে পায়াও সরে গেল বলে । তারা হল সুগত সেন, অশেষ পালিত আর আপনাদের উকিল অরিত্র বাগচি ।'
    ----- ' আপনি জানলেন কি করে ? আমাকে বোকা বানাচ্ছেন ? '
    ----- ' কি করে জানলাম সেটা এখন নাই বা বললাম .... একটু পরে আপনি নিজেই দেখতে পাবেন .... এটা হবারই ছিল , কারণ এরা কেউই আপনার মতো বর্ন ক্রিমিনাল নয় । এরা কোন একটা লোভে পড়ে আপনার এই চক্রে ঢুকেছিল । কিন্তু কিছুদিন পর থেকেই এই ফাঁস থেকে নিজেদের ছাড়াবার চেষ্টা করছিল । ঘটনাচক্রে কেসটার মধ্যে আমি এসে পড়ায় তারা একটা সুযোগ পেয়ে যায় । এটা হল ডিভাইড অ্যান্ড স্ট্রাইক ফর্মূলা .... যাক, সে অন্য কথা । এখন কথা হল ,  আপনি যে চেয়ারে বসে আছেন, যদি তার চারটে পা-ই খুলে পড়ে আপনার অবস্থাটা কি হবে সেটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন .... '
    জ্যাকলিন মালিয়া নিজের পায়ের পাতার দিকে তাকিয়ে কি চিন্তা করতে লাগলেন।  নিশ্চয়ই নতুন কোন অস্ত্রশস্ত্র আমদানি করার কথা ভাবছে। 
    কলতান বলতে থাকে , ' আপনাকে একটা কথা  বলছি ... আপনি হয়ত ভাবছেন আপনার মেন্টর আপনাকে বাঁচাবে।  ওটা ভুলেও আশা করবেন না । আপনি ক্রিমিনাল ওয়ার্ল্ডে ইনভলভড ... সো ইউ নো ইট কোয়াইট ওয়েল ... আপনি ফেঁসে গেলে ওরা আপনাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে চাইবে । আপনাকে বাঁচাতে কখনোই চেষ্টা করবে না ... '
    ------ ' আপনারা কি চাইছেন আমার কাছে ? '
    ----- ' দেয়ার ইউ আর ... কি চাইছি । চাইছি যে আপনি ভেতরের খবর  আগাগোড়া পুরোটা আমাকে বলে দিন ইন ডিটেইলস। '
    ------ ' স্টপ ইট ... স্টপ ইট .... এনাফ অফ ইট ... ওঃ...মাই গুডনেস  ... ' জ্যাকলিন চেঁচিয়ে ওঠে ।
    ------ ' ঠিক আছে , আপনি ভাবতে থাকুন । সময় নিন ... ডিসাইড করে নিন কি ভাবে কি করবেন .... মিস্টার সিনহা আসুন আমরা বাইরে যাই... ওনাকে ভাবতে দিন ... '
    দুজন বেরিয়ে গেল । ঘরের দরজার বাইরে এসে দাঁড়াল একজন বন্দুকধারি কনস্টেবল । জ্যাকলিন আর একটা কমলা রঙের চিউয়িং গাম মুখে দিল ।
    সিদ্ধার্থবাবু তার থাকার ঘরে চলে গেলেন  । কলতান ওসির চেম্বারে গিয়ে ঢুকল । কুলচা চুপচাপ বসে আছে, বোধহয় অনেক নাটক দেখা থেকে বঞ্চিত হল , সেই আফসোস নিয়ে ।
    কলতান সবে এসে বসেছে এমন সময়ে একটা কালচে রঙের গাড়ি এসে থামল থানার বাইরে । তার থেকে নেমে দুজন স্যুট টাই পরা স্বাস্থ্যবান ভদ্রলোক থানার বাইরের কাউন্টারে গিয়ে দাঁড়ালেন ।
    ----- ' হ্যাঁ বলুন ... ওসির সঙ্গে দেখা করবেন কি ? বসতে হবে কিন্তু .... ব্যস্ত আছেন... '
    ----- ' না ঠিক ওসি-র সঙ্গে না ... '
    ----- ' তবে ? '
    ------ ' মিস্টার কলতান গুপ্ত এখানে আছেন তো ...'
    ----- ' হ্যাঁ আছে .... আপনাদের নাম বলুন ... '
    ------ ' সুগত সেন আর অরিত্র বাগচি '
    ------ ' আচ্ছা দাঁড়ান ... '
    এনকোয়্যারি ডেস্কে বসে থাকা ইন্সপেক্টর ইন্টারকমে ফোন লাগাল ওসির ঘরে ।

        ( চলবে )

    ********************************************

       

        

      


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | ২৯ জুলাই ২০২৩ ২২:০৯521877
  • তারপর?
  • Mousumi Banerjee | ২৯ জুলাই ২০২৩ ২২:২৯521881
  • তারপর? তাড়াতাড়ি
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন