এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • প্রসঙ্গ টিউশন : কেমন আছে কৈশোর?

    দীপালোক ভট্টাচার্য লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৪ জুন ২০২৩ | ৪২৪ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি ব্লক। হলদিবাড়ি থেকে কিলোমিটার চারেক দূরের একটি উচ্চমাধম্যমিক বিদ্যালয় থেকে এ বছর উচ্চমাধ্যমিক দিয়েছে জানানারা খাতুন (নাম পরিবর্তিত)। বাকিদের মত ওর ব্যাঙ্ক একাউন্টে জমা হয়েছে তরুনের স্বপ্ন প্রকল্পের দশ হাজার টাকা। লেখাপড়ার সুবিধের জন্য মোবাইল বা ট্যাব কেনার জন্য এই অর্থ প্রদান করা হয় সরকারি বা সরকার সাহায্য প্রাপ্ত বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এটাই, জাহানারার সাধের মোবাইল কেনা হয়ে ওঠে নি। দীর্ঘ কয়েক মাস টিউশনের টাকা দেওয়া হয় নি তার। বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। বাবা ক্ষুদ্র কৃষক। এদিকে সব বন্ধুরাই টিউশন পড়ে। তাই মোবাইলের দোকান থেকে মোবাইল কেনার ভুয়ো রশিদ জোগাড় করে স্কুলে জমা দিয়েছে জানানারা। আর একাউন্ট থেকে টাকা তুলে গৃহ শিক্ষকের বকেয়া ফিস্ চুকিয়েছে সে।
     
    মাননীয় পাঠক, তাই বলে গৃহ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আবার কামান দাগতে যাবেন না যেন। খোঁজ নিয়ে দেখবেন, গ্রাম বাংলার শিক্ষিত বেকারদের এই মুহূর্তে টিউশন পড়ানোটাই অন্যতম সম্মানজনক পেশা। তাঁদের প্রায় সকলেই স্নাতকোত্তর। বি এড ডিগ্রিও আছে। এখনো সরকারি স্কুলে পড়ানোর স্বপ্ন বুকে আগলে ব্যাচে ব্যাচে কিংবা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্র পড়ায় দু বেলা।
     
    কিন্তু সরকারি বা সরকার পোষিত স্কুলে কি একেবারেই লেখাপড়া হয় না? সামর্থ না থাকলেও কেন গৃহ শিক্ষকদের কাছে ছুটতে হচ্ছে ছাত্র ছাত্রীদের? স্কুলগুলোর অন্দরে খোঁজ নিতেই উঠে আসল মিশ্র তথ্য।
     
    এক, উৎসশ্রী প্রকল্প চালু হওয়ার পর গ্রামীণ বিদ্যালয় গুলো শিক্ষকের অভাবে ভুগছে। এমনও দেখা যাচ্ছে, কোনো কোনো বিষয়ের স্থায়ী শিক্ষক নেই। কোথাও খুব স্বল্প বেতনে স্থানীয়ভাবে নিয়োগ করা হচ্ছে অস্থায়ী শিক্ষক। বিদ্যালয়গুলোর সদিচ্ছা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই নির্ধারিত সময়ে সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হয়ে উঠছে না, বিশেষত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে। ফলে ভিড় বাড়ছে কোচিং সেন্টারে। দুই, আবার অনেক শিক্ষকের অভিযোগ, ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে নিয়মিত আসেনা। খোঁজ নিলেই দেখা যায়, স্কুলের সময় তারা ছুটছে গৃহ শিক্ষকদের বাড়িতে। দেখা যাচ্ছে, সপ্তাহে দুই বা তিন দিন তাঁদের 'প্রাইভেট পড়া' থাকছে। গড়ে দশম কিংবা দ্বাদশ শ্রেণীর অর্ধেকের বেশি ছাত্র ছাত্রীরা নিয়মিত স্কুল মুখী হচ্ছে না। যে সমস্ত বিদ্যালয়ের একাদশ-দাদশে বিজ্ঞান বিভাগ পড়ানো হয়, সেখানকার অবস্থা আরো খারাপ। দেখা যাচ্ছে, শুধু যেদিন প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস থাকছে, সেদিনই কিছু ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে আসে। তিন, আর একটি প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী ভাবেই উঠে আসে। গ্রামীণ বা আধা মফস্বল অঞ্চলের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীরা কতটুকু শিখছে টিউশন থেকে? এ নিয়ে কোন সমীক্ষা হলে হয়ত নানান তথ্য উঠে আসবে। তবে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটা বড় সংখ্যক শিক্ষকদের মতে, বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী 'সবাই টিউশন পড়ছে তাই আমাকেও পড়তে হবে' - এরকম ধারণা পোষণ করে। বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষা, ভোট, লম্বা ছুটি বাদ দিলেও সপ্তাহে যত ঘন্টা প্রতিটি বিষয়ের উপর বরাদ্দ থাকে স্কুলে, সেটা টিউশনে বিষয়ে পিছু সময়ের চেয়ে অনেকাংশে বেশ খানিকটা বেশি। অনেক ক্ষেত্রেই আবার দেখা যায়, গৃহ শিক্ষক একসাথে প্রচুর সংখ্যক ছাত্রছাত্রীকে পড়াচ্ছেন। শিক্ষকদের আরো অভিযোগ, ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীরা অতটা মনোযোগী নয়। পাঠ্যের বিষয় বুঝতে না পারলেও তারা কোন প্রশ্ন করেনা শিক্ষককে। পুরনো শিক্ষকেরা এখন 'মিস' করেন কৈশোরের অনুসন্ধিৎসু মনকে।
     
    তবে শুধু গ্রাম বা আধা মফস্বল নয়, শহরের অভিভাবকরাও এই মুহূর্তে যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে চিন্তিত, সেটি হল ঘাড়ের ওপর গৃহ-শিক্ষকের ফিসের বাড়তি বোঝা। উঁচু ক্লাসের ছেলে-মেয়েদের একাধিক বিষয়ে গৃহ শিক্ষক রাখতে হচ্ছে। একের বেশি সন্তান থাকলে মাসের শেষে নাভিশ্বাস উঠছে ছাপোষা গৃহস্থের। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ কন্যাশ্রী, ঐক্যশ্রী, স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ সহ অন্যান্য বৃত্তির অর্থ রাশি কিংবা মায়েদের পাওয়া লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা ব্যয় হচ্ছে গৃহ শিক্ষিকদের বেতন খাতে। বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষায় মেধাতালিকায় স্থান পাওয়ার ছাত্রছাত্রীদের সংবাদ মাধ্যমে বলতে শোনা যায়, তাদের এই সাফল্যের পেছনে গৃহ শিক্ষকদের অবদান অনস্বীকার্য। গৃহ শিক্ষক ছাড়া পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া যায় কার্যত অসম্ভব, এই ধারণা বর্তমানে একটা মিথ হয়ে গেছে।
     
    এবারে আসুন গায়েত্রীর (নাম পরিবর্তিত) গল্প শোনা যাক। জলপাইগুড়ি শহরের সবচেয়ে কাছের গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় থাকে গায়েত্রী। গৃহবধূ। দুই সন্তানের মা। দুটোই স্কুলে পড়ে। সরকারি স্কুল। একজন হাই, একজন প্রাইমারি। স্বামী কাঠমিস্ত্রি। প্রতিদিনই কাজ পায়। আয় ভালোই। বাড়িতে কোনোকিছুরই অভাব নেই। কিন্তু সন্তানের গৃহ শিক্ষকের মাইনে দিতে গিয়েই বছর খানেক থেকে মাসের শেষে টানাটানি পড়ে যাচ্ছে। অগত্যা তিনটে বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করছে গায়েত্রী। সেই মাইনের পুরোটাই চলে যাচ্ছে সন্তানদের টিউশনের পেছনে। তাও সব সময় মনে হয়, অঙ্ক আর ইংরেজির জন্য বাড়িতে আলাদা করে একজন গৃহ শিক্ষক রাখলে বোধ হয় ভালো হত।
     
    খোঁজ নিয়ে দেখা গেল, যাদের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে গায়ত্রী কিংবা গায়েত্রীর মত বাকিরা, তাদের বাড়ির বাচ্চারা প্রায় সকলেই বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ে, যেখানে মাসের শুরুতেই মোটা অংকের টিউশন ফি জমা দিতে হয়। সেসব স্কুল গুলোতে অন্তত গ্রামের সরকার পোষিত স্কুলগুলোর মত ছাত্র শিক্ষক অনুপাত নিয়ে কোন অভিযোগ নেই। নিয়মিত ক্লাস হয়। 'বাড়ির কাজ'এর মূল্যায়ন হয় প্রতিদিন। ছাত্র ছাত্রীদের লেখাপড়ার মান সন্তোষজনক না হলেই 'গার্জিয়ান কল'। তবুও দেখা যাচ্ছে, সেসব স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরও গৃহ শিক্ষক রয়েছে একাধিক বিষয়। একাদশ - দ্বাদশ শ্রেণীতে যারা বিজ্ঞান নিয়ে পড়ছে, তাদের আবার রয়েছে ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষার বিশেষ কোচিং। সেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্র্যান্ডেড, মানে কাগজের প্রথম পাতায় বিজ্ঞাপন বেরোনো সংস্থা।
     
    প্রান্তিক কৃষকের গ্রামের বাংলা মাধ্যম স্কুলে পড়া মেয়ে বা শহরের বড় চাকুরে বা ব্যাবসায়ীর নামজাদা ইংরেজি মাধ্যমে পড়া ছেলে - দুজনের ক্ষেত্রেই একটা বিষয় 'কমন' - বিদ্যালয়ের পাঠন পাঠান ছাড়া এরা দুজনেই এক বা একাধিক গৃহ শিক্ষকের কাছে পড়ে। যে যার সামর্থ অনুযায়ী গৃহ শিক্ষক খুঁজে নিচ্ছে নিজের মত করে।
     
    কিন্তু প্রান্তিক কৃষক বা আপাত স্বচ্ছল চাকুরে কিংবা ব্যাবসায়ীর মধ্যে আর একটা বিষয়েও মিল আছে। গৃহ শিক্ষকের টিউশন ফি এর বোঝা টানতে হয় মাসের শেষে অর্থের টানাটানি কিংবা সঞ্চয়ে হাত পড়ছে দুজনেরই। বাড়ির গিন্নি, যারা এতদিন 'গৃহবধূ'র তকমাতেই আটকে ছিল, তারাও বাড়তি রোজগারের পেছনে ছুটছে, সন্তানকে ভালো টিউশন দেওয়ার আশায়।
     
    কিন্তু যাদের জন্য অভিভাবকদের নাভিশ্বাস, তাদের খোঁজ নেবার সময় এসেছে এবার। স্কুল, টিউশনের জোড়া চাপ সামলে কোমলমতি কৈশোর বড্ড হাঁপিয়ে উঠছে। সকাল - বিকেল দু বেলাই ছুটতে হচ্ছে কোচিংএ। ছুটির দিন বা রবিবারও বাদ যাচ্ছে না। বিজ্ঞান নিয়ে পড়লে দশম এর বোর্ড পরীক্ষার পরেই শুরু হচ্ছে একাদশ শ্রেণীর 'প্রাইভেট'। ক্রমশ দূরে চলে যাচ্ছে বিকেলের খেলার মাঠ, পড়ার ফাঁকে পড়া গল্পের বই, পরীক্ষার পর বা বড় ছুটিতে মামা মাসির বাড়ি, কিংবা কিচ্ছুটি না করে শুধু জানালা দিয়ে বৃষ্টি দেখে কাটিয়ে দেওয়ার মত একটা অলস বিকেল।
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন