এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বর্বরিক ওরফে খাটু শ্যামের উপাখ্যান (দ্বিতীয় পর্ব) 

    Surajit Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৪৭৪ বার পঠিত
  • হস্তিনাপুরকে কেন্দ্র করে বিবদমান কৌরব এবং পাণ্ডব, দুপক্ষই উত্তীর্ণ কুরুক্ষেত্র রণাঙ্গনে। বেদব্যাসের কৃপায় দিব্যদৃষ্টি প্রাপ্ত সঞ্জয় যুদ্ধের বর্ণনা করছেন অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের কাছে, মোহিত হয়ে শ্রীকৃষ্ণের বৈদান্তিক দর্শনের ব্যাখ্যা শুনছেন অর্জুন, কপিধ্বজের মাথায় বসে শুনছেন রামভক্ত হনুমান। কিন্তু সেইদিকেও মন যেতে চাইছে না কিছুতেই। রণাঙ্গনের নৈসর্গিকতাকে ভঙ্গ করতে ইচ্ছে করছে না। বরং যুদ্ধক্ষেত্রের ওই কোনায় যে উঁচু টিলা দেখা যাচ্ছে, যেখান থেকে সমস্ত রণাঙ্গন স্পষ্ট এবং সুন্দরভাবে দেখা যায়, মন ছুটে চলেছে সেই টিলায়।  শান্ত যুদ্ধক্ষেত্র, রণাঙ্গনের মাঝখানে অর্জুনের সারথি হিসেবে যুদ্ধে অবতীর্ণ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বোঝাচ্ছেন অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যত, এই বিশ্বব্রহ্মান্ডের মায়া। পরবর্তীতে যা আমরা গীতার বাণী হিসেবে পাবো। রণক্ষেত্রের দুইদিকে হাজার হাজার সেনা, একদিকে দাঁড়িয়ে কৌরবদের পক্ষে ভীষ্ম, দ্রোণাচার্য, কৃপাচার্য, কর্ণ, দূর্যোধন, দুঃশাসন আর অন্যদিকে দাঁড়িয়ে যুধিষ্ঠির, ভীম, নকুল, সহদেব। পৃথিবীশ্রেষ্ঠ যোদ্ধারা সব আজকে রণাঙ্গনে হাজির, কুরুক্ষেত্রের রণাঙ্গন। বিপক্ষে নিজের আত্মীয়দের দেখে ক্ষণিকের আবেগে অর্জুন অস্ত্র ত্যাগ করে যুদ্ধ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সারথিরূপী অর্জুনসখা ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বোঝাচ্ছেন, এই পৃথিবীর সবকিছুই মায়া, সবই তাঁর লীলা, প্রত্যেকেরই জন্ম - মৃত্যু পূর্ব নির্ধারিত ইত্যাদি ইত্যাদি। অর্জুন বাধ্য শিশুর মতো শুনছেন সখার বিশ্লেষণ, মোহিত হয়ে রয়েছেন। যুদ্ধ তখনও শুরু হয়নি, দুপক্ষেরই সেনানীরা প্রস্তুতি নিচ্ছে, মহাযোদ্ধারাও তৈরী যুদ্ধ শুরুর জন্য।

    অন্যদের কানে শ্রীকৃষ্ণের সেই বাণী না পৌঁছলেও সঞ্জয়, হনুমান আর অর্জুনের কানে সেই অমৃত পৌঁছে যাচ্ছে। আমি কিছুই শুনতে পাচ্ছি না বলে যুদ্ধক্ষেত্রের প্রস্তুতিপর্ব দেখার চেয়ে কোনার টিলাতে নিজের জায়গা করে নেওয়ার দিকে উৎসুক হয়ে পড়ছি। যুদ্ধ শুরুর আগেই চারিদিকটা ভালো করে দেখে নিতে চাইছে মন। টিলার দিকে ধাবিত হতেই চোখে পড়ে জীবন্ত এক নরমুণ্ড। টিলার একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা আছে সেই নরমূণ্ড, চোখের পলক পড়ছে, ঠোঁট নড়ছে, যেমন জীবিত মানুষের হয়। কাছে যেতেই কানে আসে শ্রীকৃষ্ণের নাম জপ করছে সেই নরমুন্ড। তারমানে সে শুনতেও পাচ্ছে নিশ্চয়ই। কে এই ব্যক্তি, মানে নরমুণ্ডটি কার? অর্জুনের পাশাপাশি ভীমকেও আজকে খুব ম্রিয়মাণ মনে হচ্ছে। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ তো দুই রাজার যুদ্ধ নয়, একই পরিবারের দুই পক্ষের যুদ্ধ। ফলে জ্ঞাতির মধ্যে লড়াইয়ে ম্রিয়মাণ হওয়াটাই স্বাভাবিক। নাকি অন্য কোনো কারণ আছে ভীমের ম্রিয়মাণতার?

    শ্রীকৃষ্ণ কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে অস্ত্রধারণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁর নিজের যে সেনাবাহিনী ছিল, তা তিনি দুর্যোধনকে দিয়েছিলেন পাণ্ডবপক্ষের হয়ে যুদ্ধ করার জন্য। শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং যুদ্ধে অবতীর্ণ হলে মহাভারতের যুদ্ধ এক নিমেষেই শেষ হয়ে যেত, কারণ তাঁর ছিল সুদর্শন চক্র। যুদ্ধক্ষেত্রে ভয় দেখিয়েছেন তিনি অনেকবার, কিন্তু কাউকে প্রহার করেননি। যুদ্ধ না করেও তিনি যুদ্ধের নিয়ন্ত্রা ছিলেন। ভগবান হিসেবে, আবার অর্জুনের রথের সারথি হিসেবেও যুদ্ধের প্রতিটি পল, ক্ষণ নিয়ন্ত্রণ করেছেন তিনি। পাঁচ হাজার একশ বছর আগে সেই পৃথিবীতে আর একজন ছিলেন যিনি কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের নিয়ন্ত্রা হতে পারতেন, এক নিমেষেই যুদ্ধ শেষ করতে পারতেন, তিনিও সেই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। শ্রীকৃষ্ণের সম্বল যেমন একটি সুদর্শন চক্র তেমনি সেই মহাবীরের সম্বল ছিল তিনটি মাত্র বাণ।

    ভীমপুত্র ঘটোৎকচ আজ কোথায়? পাণ্ডব পক্ষের যাঁরা সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে আছেন তাদের মধ্যে ঘটোৎকচকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। মন চলে যায় সেই বারণাবত জঙ্গলে, যেখানে দূর্যোধন জতুগৃহ বানিয়েছিল পাণ্ডবদের মেরে ফেলার উদ্দেশ্য নিয়ে। বিদুর সেই গোপন কথা জানতে পেরে গিয়েছিলেন বলে পাণ্ডবরা প্রাণে বেঁচে যায় সেবারের মতো। বারণাবত থেকে পাণ্ডবরা পালিয়ে যে জঙ্গলের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছিল মাতা কুন্তীসহ সেই জঙ্গলের নাম কাম্যাকা, আর সেই জঙ্গলের রাজা ছিল হিড়িম্বা দেবীর দাদা হিড়িম্ব। দাদার আদেশে সুন্দরী রমণীর বেশে পঞ্চপান্ডবকে বধ করতে যান হিড়িম্বা। কিন্তু ভীমকে দেখে প্রথম দর্শনেই ভাল লেগে যায় তাঁর। বিয়ে করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। গোটা ঘটনা জানতে পেরে নিজের বোনকেই হিড়িম্ব হত্যা করতে উদ্যত হলে হিড়িম্বকে বধ করেন ভীম। এর পরেই কুন্তির আদেশে হিড়িম্বাকে বিয়ে করেন ভীম। শর্ত ছিল একটাই তাঁদের সন্তান হওয়ার পর হিড়িম্বাকে ত্যাগ করবেন ভীম। কথিত রয়েছে, ভীম এবং হিড়িম্বার সন্তান ঘটোৎকচ জন্মাবার পর ভীম সেখান থেকে চলে এলে মানালির ওই জঙ্গলেই পুত্রসন্তানকে নিয়ে গভীর তপস্যায় মগ্ন হন হিড়িম্বা। নিজের হাতে বড় করে তোলেন ঘটোৎকচকে। সেই ঘটোৎকচের আবির্ভাব হয়নি তখনও কুরুক্ষেত্রের আঙিনায়।

    হঠাৎ কেনো ঘটোৎকচের কথা মনে এলো? মহাভারতে যা পড়েছি তাতে এখনও সময় হয়নি ঘটোৎকচের যুদ্ধক্ষেত্রে আসার। তাহলে ভীম ছেড়ে ঘটোৎকচের দিকে মন চলে যাচ্ছে কেনো? এই নরমুন্ডের মুখমণ্ডলের সাথে ঘটোৎকচের কি কোনো মিল আছে? ভীম ছেড়ে চলে গেলেও মাতা হিড়িম্বা বড় করে তুলেছিলেন ঘটোৎকচকে। মায়ের প্রচেষ্টায় এবং নিজের সাধনায় ঘটোৎকচও একজন বড় যোদ্ধা হয়ে ওঠে। মহাভারতে তার নমুনা আমরা পেয়েছি। পিতার মতোই ঘটোৎকচের বিয়েরও এক কাহিনী আছে পুরাণে।

    একদা ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আর অসুর মুরের মধ্যে প্রচন্ড যুদ্ধ  হয়। তুমুল যুদ্ধের পর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের হাতে নিহত হন মুর। এ খবর শুনে মুরের কন্যা কামকালীকা (মতান্তরে মৌরবি) যুদ্ধ করতে আসলেন। কামকালীকা ছিলেন মা দূর্গার একনিষ্ঠ ভক্ত। যুদ্ধক্ষেত্রে তিনি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ওপর মা দুর্গার দেওয়া যতো অস্ত্র ছিল সবই প্রয়োগ করলেন। কিন্তু জগতের প্রতিপালকের কাছে সমস্ত অস্ত্রই যে ঠুনকো আর মুল্যহীন। তাই কামকালীকার প্রয়োগকৃত সকল অস্ত্র শ্রীকৃষ্ণের কাছে এসে নিষ্ক্রিয় হয়ে গেল। তখন প্রভু শ্রীকৃষ্ণ অসুর কন্যার এমন ধৃষ্টতা দেখে সুদর্শন চক্র দিয়ে কামকালীকাকে বধ করতে যাচ্ছিলেন। ঠিক তখনই মা দূর্গা স্বয়ং প্রকট হয়ে শ্রীকৃষ্ণের কাছে কামকালীকাকে না বধ করার জন্য প্রার্থনা করলেন এবং কামকালীকাকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পরিচয় দিলেন। এতক্ষণে কামকালীকা তার যুদ্ধক্ষেত্রের প্রতিপক্ষকে ভালোভাবে চিনতে পারলেন। অনুশোচনায় শ্রীকৃষ্ণের কাছে ক্ষমা চাইলেন তিনি। করুনাসিন্ধু ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তখন কামকালীকার যুদ্ধে প্রসন্ন হয়ে তার সঙ্গে ভীমের পূত্র ঘটোৎকচের বিবাহ ঠিক করলেন। স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ তার বিবাহের সম্বন্ধ  করছেন জেনে ঘটোৎকচ অত্যান্ত সম্মানিত বোধ করলেন। কিন্তু তিনি তার মাতা হিড়িম্বার আশির্বাদ নিয়ে এই শুভকার্য সম্পাদন করতে চাইলেন। ঘটোৎকচের প্রার্থনা মোতাবেক ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাকে এবং কামকালীকাকে ভীমপত্নী হিড়িম্বার কাছে নিয়ে গেলেন এবং তাদের শুভ বিবাহ সুসম্পন্ন করলেন। এরপর প্রস্থানের সময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হিড়িম্বাকে নির্দেশ দিলেন, ঘটোৎকচ ও কামকালীকার যে সন্তান হবে তাকে ছোটবেলা থেকেই ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক জ্ঞান প্রদান করতে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন