বেশ ক বছর পর এলো শিউলি... শেষ সেবার স্পাইসজেটের লাল পাখায় দীপ্তর এই “আই লাভ ইউ” সহসা উড়ে গেল, পিছুও দেখলনা...
দীপ্তর হলুদ ডায়রিতে তখন শুকনো গোলাপ...পেস্তা রঙা পাঞ্জাবিটা আরো ফিকে...বিগত কত বইমেলায় তাই সে একাই পা দুলিয়ে গেছে ডটকমের টেবিলে...এর মাঝে কত রিনি-ঝিনি ! অথচ আওয়াজ তুলল না কেউই...
শিউলি একবার বলেছিল, যোগাযোগটা ভার্চূয়াল হলেও সম্পর্ক রিয়েল করে নেব... সে আশায় দীপ্তর তিরিশ - বত্রিশ হু হু করে চলে গেল... কিন্তু সব গল্পের শেষ তো আর এক হয় না...
দীপ্তর এখন একগাল দাড়ি, ভাবে কবি হতে এটুকুই যথেষ্ট...!
শিউলিরও এমনটাই মনে হত...তাই ওর গোটা রাত জেগে লেখা পঙ্তিগুলোতে কখনও হাত বোলায়নি সে...
যদিও এখন সেগুলির ঠাঁই যুবা ম্যাগাজিনের রঙিন পাতায়...উনিশকুড়ি যা গিলে গিলে খাচ্ছে...
প্রাইভেট ট্যাক্সির পেছন সিটে বসল ওরই এক ছোট্ট হমশকল...মায়ের কোলে মাথা রেখে দিব্যি ঘুমোচ্ছে... আর কলকাতার জমাট ঠান্ডাতেও ঘামছিল দীপ্ত...
এখনও কি সে পাড়ায়, নাকি নতুন কিছু করলে? শিউলির আওয়াজ ভেসে এলো...
সামনের সিটে বসা দীপ্ত ঘাড় ঘুরিয়ে হাসল শুধু...
যাব কোথায়? তোমার বরের মত অত হ্যাঁপা নেই বাবা!...হিল্লি দিল্লি করব...
মুখ লাল হলো শিউলির...ইচ্ছে হলো বলে, বরখানা বড় ভালোমানুষ গো...একাই বেরাতে ছেড়ে দিল...
দীপ্তর মনের পুরনো প্রেম মাঝে মাঝেই তখন বলতে চাইছিল, মে আই...ক্যান আই... ইচ্ছে হচ্ছিল বলে তোমার পাশে আজ যতটুকু ফাঁকা সেটা আমারই প্রাপ্য ছিল...কিন্তু জোর খাটানো দায়..
পাশ কাটিয়ে তখনই সরে গেল এক ঝাঁক রোদ্দুর...আর সাঁই সাঁই করে ঝুরিভাজা চানাচুরে একসাথে কাটানো সময়গুলো হাত নাড়িয়ে বলতে চাইল,
কেয়ারফুল মআই চাইল্ড..
লাভ ইজ ডেঞ্জারাস...ইট কসেস ...
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।